তোমাকে
পর্ব 25.1
– হ্যালো অনিমা
– কোথায় তুমি ? এটা কার নাম্বার ?
-ডিপার্টমেন্টের ফোন থেকে কল করছি
– তোমার ফোন কোথায় ? তুমি জানো আমি কতবার ফোন করেছি ?
বলতে বলতে অনিমা কেঁদে ফেলল
– ফোনটা যেন কোথায় রেখে দিয়েছি I খুঁজে পাচ্ছিনা I তুমি ফোন দিয়েছিলে কেন ? আবার জ্বর এসেছে ? ওষুধ খাওনি নিশ্চয়ই I
অনিমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে I এতক্ষণ ধরে ও ভয়ে মরে যাচ্ছিল আর এই লোক ওষুধ আর খাওয়া নিয়ে পড়ে আছে
– কি হলো খেয়েছো ?
– না খাইনি আর খাব ও না I তুমি কখন আসবে ?
– একটু সময় লাগবে I কি হয়েছে ? তুমি কাঁদছো কেন ?
– তোমার এখানে সব ঠিক আছে ?
– হ্যাঁ ঠিক আছে তো I কোন সমস্যা নেই
– আমি একটু আসি তোমার কাছে ?
– না, একেবারেই না
– কেন ? তুমি তো বললে ওখানে সব ঠিক আছে I
-হ্যাঁ ঠিকI আছে এখানে পুলিশ এসেছে I জায়গাটা পুরো ব্যারিকেড দেয়া I তোমাকে ঢুকতে দেবেনা I
-বদমাইশ গুলোকে নিয়ে গেছে তাহলে তোমাকে কেন থাকতে হচ্ছে ?
মুনির হেসে ফেললো I বলল
– আমি স্টুডেন্ট এডভাইজার এজন্য I কিছু পেপার ওয়ার্ক আছে I এগুলি শেষ করেই চলে আসব I হাসিনা চলে গেছে ?
– হ্যাঁ I তুমি কতক্ষন পর আসবে ?
– এই ধরো ঘন্টাখানেক
– তুমি যদি এক ঘণ্টার মধ্যে না আসো তাহলে কিন্তু আমি চলে আসবো
– না কখনোই আসবেনা I আমি যদি কোনদিনও না আসি তবুও তুমি বাসা থেকে বেরোবে না I
কথাটা বলে মনিরের নিজেরই খারাপ লাগলো I ওকে আসলে এভাবে বলা টা উচিত হয়নি I বেচারী এমনিতেই ভয় পেয়ে আছে I আসলে আজকের ছেলেগুলো এত বেশি উদ্ধত ছিল এবং এমন ভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করেছিল যে মুনির এর মত ঠান্ডা মাথার ছেলের ও মাথা গরম হয় গেছিল I
মুনির একটু নরম গলায় বলল
– অনিমা শোনো আমি না সকাল থেকে কিছু খাইনি I তুমি কি আমার জন্য তোমার ওই বিখ্যাত পোলাও টা রান্না করতে পারবে ? কিসের যেন পোলাও ছিল ওটা , মুড়ির ?
অনিমা কাঁদতে কাঁদতেই হেসে ফেলল
– মুড়ির আবার পোলাও হয় ? ওটা চিড়ার I
– ও হ্যাঁ তাইতো চিড়ার I পারবে বানাতে ?
– পারব I তুমি কি আমাকে বোকা বানাতে চাইছো ?
– বোকা বানাতে চাইবো কেন ? তুমি তো এমনিতেই বোকা
– কি বললে ?
– আচ্ছা আচ্ছা শোনো এখন এতো কথা বললে আর এক ঘণ্টার মধ্যে ফিরতে পারব না I এখন তো চারটা বাজে আমি পাঁচটার মধ্যেই চলে আসবো ইনশাল্লাহ I তুমি কিন্তু একদম বাসা থেকে বের হবে না I ঠিক আছে ?
– আচ্ছা
– ওকে রাখছি I
অনিমা খুব যত্ন করে চিঁড়ের পোলাও টা করল I যদিও কয়েকটা ইনগ্রিডিয়েন্ট খুঁজে পাচ্ছিল না তবে সেটা পুষিয়ে দিল ওর যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে I
অনেকদিন পর অনিমা আজ সাজলো I রান্না শেষে স্নান সেরে একটা গোলাপি রঙের তাঁতের শাড়ী পরল I যত্ন করে চোখে কাজল দিল I বহু বছর পর আজ ও সাজলো ওর ভালোবাসার মানুষের জন্য I তারপর অনেক বছর আগে যেভাবে ও মুনিরের জন্য অপেক্ষা করতো আজও সেই ভাবে অপেক্ষা করতে লাগল I
অপেক্ষা করতে করতে অনিমা যখন একেবারে ধৈর্যের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছে তখনই গেটে বেল বাজলো I দরজা খুলে অনিমা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল I মুনির এতটাই চিন্তামগ্ন ছিল যে অনিমার সাজ ওর চোখে পরল না I ভেতরে ঢুকে অন্যমনস্ক ভাবে জানতে চাইল জ্বর আছে কিনা I অনিমা জবাব দিল না তাকিয়ে রইল শুধু I মুনির ক্লান্ত বিধ্বস্ত পায়ে বেসিনের কাছে গিয়ে হাত ধুলো , চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিল অনেকক্ষণ ধরে I তারপর অনিমার কাছে এসে ওর কপালে হাত রাখল I ঠান্ডা হাত টা অনিমার উষ্ণ ললাটে ভালোলাগার শীতল স্পর্শ দিয়ে গেল I অনিমা বলল
– খাবেনা ?
– খাব , আগে একটু শাওয়ার করে নি
– আচ্ছা I আমি খাবার গরম করে দিচ্ছি
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও মুনির আসছেনা দেখে অনিমা ঘরে গেল I মুনির অন্যমনস্ক হয়ে বিছানায় বসে ছিল I ভেজা চুল টা পর্যন্ত মুছেনি I অনিমা একটা তোয়ালে এনে ওর হাতে দিয়ে বলল
– চুল টা মুছে খেতে এসো
– আসছি
গেটের কাছে এসে অনিমা পেছন ফিরে দেখল মুনির ওই ভাবে বসে আছে I মুনির আসলে আজকের ঘটনাটা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গেছে I ছেলেগুলো যথেষ্ট উদ্ধত I আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ওরা মুনির এর সম্পর্কে সবাই জানে I অনিমা আর সেজুতিকে খুব সাবধানে রাখতে হবে I দেশের অবস্থা সম্পর্কে ওদের ধারণা নেই I হুটহাট ক্যাম্পাসে হাঁটতে বেরিয়ে পড়লে সমস্যা হতে পারে I এছাড়া আরো সমস্যা আছে I ডিপার্টমেন্টে মুনির এর জনপ্রিয়তা অনেক I ডিপার্টমেন্টের ছেলেরা যদি জানতে পারে ওকে বাইরের কিছু ছেলে এসে থ্রেট করে গেছে তবে ওদের মধ্যেও এক ধরনের ক্ষোভ দানা বাঁধবে I তখন ওদেরকে সামলানোটাও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে I
অনিমা গেটের কাছে থেকে ফিরে এলো তারপর তোয়ালেটা নিয়ে মুনির এর চুলগুলো সযত্নে মুছে দিতে লাগলো I মুনির হতভম্ব হয়ে গেল I অনিমা এত কাছে দাঁড়িয়ে আছে অবিশ্বাস্য লাগছে I ওর শরীর থেকে সেই মিষ্টি গন্ধটা আসছে I মুনির এর মাথা ঝিমঝিম করছে I ও কোনোমতে চোখ বন্ধ করে শক্ত হয়ে বসে রইল I
অনিমা তোয়ালে টা পাশে রেখে দুই হাত দিয়ে ওর চুলটা ঠিক করতে করতে বলল
– হাসিব ফোন করেছিল I ওর বাসায় আমাদের অনারে পার্টি দিয়েছে I সাতটার সময় যেতে বলেছে
– আমার কোথাও যেতে ইচ্ছা করছে না
অনিমাকে ছেড়ে ওর আসলেই কোথাও যেতে ইচ্ছা করছে না I ইচ্ছা হচ্ছে অনিমা আরো কিছুক্ষণ এভাবে ওর কাছে থাকুক I যদিও অনিমার দিকে তাকাতে ওর সাহস হচ্ছে না I আগে এরকম হত না I আজকাল কি যে হয়েছে কারনে অকারনে শুধু ওকে কাছে টানতে ইচ্ছা করে I মুনির অন্য দিকে তাকিয়ে বলল
– তুমি যেতে চাও ?
– না গেলে খারাপ দেখাবে
– আচ্ছা I কবে যাবে আমাকে বল
– সন্ধ্যার পরে
অনিমা এখনও মুনির এর চুলের মধ্যে আঙুল চালিয়ে যাচ্ছে I মুনির ওর হাতদুটো নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বলল
– তুমি আমাকে কোনদিনও ভালোবাসোনি তাইনা অনিমা
– এ কথা বলছ কেন ?
-তাহলে আমার কাছে আসো না কেন ?
অনিমা হেসে ফেললো I বলল
– আমি তো তোমার কাছেই আছি I আর কত কাছে আসবো ?
– যতটা কাছে আসলে আমার মনে হবে না যে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে I
অনিমার মনটা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেল I
-তোমার কি ধারনা আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাব ?
-কাল রাতেই তুমি চলে যাওয়ার কথা বলেছ
অনিমা খুব আদুরে কন্ঠে বলল
– আর কোনোদিনও বলবো না
মুনির এতক্ষণে অনিমাকে ভালো করে লক্ষ্য করলো I ওর পাট ভাঙ্গা শাড়ি , কাজল পরানো চোখ , এলো চুল আর ওর আদুরে কণ্ঠ সব মিলিয়ে হঠাৎ করে মুনির এর ভেতরটা এলোমেলো হয়ে গেল I
মুনির উঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত দিয়ে অনিমাকে কাছে টেনে নিল I তারপর ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিল I
অনিমার চোখে পানি এসে গেল I মুনির ওকে এতটাই ভালোবাসে যে বারবার নিজের কাছে পরাজিত হয়ে ওকে কাছে টেনে নেয় অথচ অনিমা ওকে কি কষ্ট টাই না দিয়েছে I
মুনির হঠাৎ করেই টের পেল অনিমার ভেজা গাল I ভীষণ লজ্জা পেয়ে ও অনিমাকে ছেড়ে দিল I তারপর চোখ নামিয়ে আস্তে আস্তে বলল
– আমি জানি তুমি এখন আমাকে ভালোবাসো না I একদিন নিশ্চয়ই ভালবাসবে I আমি সেই দিনের অপেক্ষায় থাকবো I
তারপর আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল I
অনিমা হতভম্ব হয়ে গেল I ও এটা কি বলে গেল ? এই লোক নিজেকে খুব বুদ্ধিমান ভাবে I বোকা একটা I
পর্ব 25.2
মুনিরের যখন জ্ঞান ফিরলো তখন সকাল হয়ে গেছে I পর্দার ফাঁক গলে সকালের কড়া রোদ ঘরের ভেতরে এসে পড়েছে I মুনির পাশ ফিরে দেখল খাটে হেলান দিয়ে হাসির ঘুমিয়ে আছে I ও মনে করতে পারল না ওর কি এমন হয়েছে যে হাসপাতালে আনতে হল I মুনির আস্তে করে ডাকলো
– হাসিব
হাসির ধরমর করে উঠে বসলো I
– কি হয়েছে ? এখন কেমন লাগছে?
– আমি ঠিক আছি I চল হলে যাই
– মাথা খারাপ তোর I শুয়ে থাক চুপচাপ I আমি খাবার নিয়ে আসছি I
– একবারে ঘরে গিয়ে খাই
– তোকে এখন রিলিজ করবে না
– কেন ? এখন তো ঠিকই লাগছে
– তুই জানিস 12 ঘন্টা তোর জ্ঞান ছিল না I অনেক চেষ্টা করেও জ্ঞান ফেরানো যায় নি I
– এখন তো জ্ঞান ফিরেছে I
– 24 ঘন্টা অবজারভেশনে রাখতে বলেছে
মুনির দীর্ঘশ্বাস ফেলল I ওর সাধারণত এরকম হয়না I মুনিরের স্বাস্থ্য অস্বাভাবিক রকমের ভালো I অনেক বড় বড় ধকল ও খুব সহজেই সামলে নিতে পারে I কিন্তু এবার পারল না I
হাসির খাবার নিয়ে ফিরে এসে দেখল মুনির অন্যমনস্ক হয়ে বসে আছে I হাসির ভেবেছিলো মুনির হয়তো খাবে না I কিন্তু মুনির খেলো I তারপর আস্তে আস্তে বলল
– তোর অনেক ঝামেলা গেছে তাইনা ? তুই হলে চলে যা I নাজমা কে পাঠিয়ে দে
হাসির কেঁদে ফেলল I বলল
– আমি যদি জানতাম তাহলে বিয়ের আসর থেকে ওকে তুলে নিয়ে আসতাম I
-বাদ দে না I আমি কি বিশ্বাস করি জানিস ? আল্লাহ যেটা ঠিক করে রাখে সেটাই হয় I তুই আমি চাইলেও সেটা আটকাতে পারব না I এটা ঠিক করা ছিল যে আমি ওকে পাবোনা I তুই কিছু খেয়ে নে I অনেক ঝামেলা গেছে তোর I
হাসির অবাক হয়ে মুনির কে দেখল আর ভাবলো ওএখন ও কি করে ওইভাবে কথা বলছে ?
মুনির হতাশাগ্রস্থ হলো না , আত্মহত্যার চেষ্টা করল না , শুধুমাত্র যে পড়াশোনা আর রিচার্জ এ ও একদিন শুধু অনিমাকে পাবার জন্য ঢুকেছিল সেই পড়াশোনাতেই ও নিজেকে ডুবিয়ে দিলো I গভীর রাত পর্যন্ত ওকে লাইব্রেরীতে, সেমিনারে, রিসার্চ ল্যাব এ কাজ করতে দেখা গেল I
এখনো ও আগের মতই সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে I সবাইকে সাহায্য করার চেষ্টা করে I শুধু ওর সেই চিরচেনা হাসিটা কোথায় যেন হারিয়ে গেল I
অনিমা পাশ ফিরে হতভম্ব হয়ে গেল I ওর পাশের সিটে মুনির বসে আছে I ওর ঠোটে সেই ভুবনভোলানো হাসিটা I অনিমা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল
-তুমি এখানে কি করছ ?
ফ্লাইটে উঠে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অনিমা ঘুমিয়ে পড়েছিল I যখন খাবার দিতে এলো আশিক দেখল অনিমা ঘুমাচ্ছে তাই আর ওর জন্য খাবার রাখলো না I ঘুম ভেঙে অনিমার খুব খিদে পেল I ও তাকিয়ে দেখল আশিকের সামনে এঁটো খাবারের ট্রে I ও বুঝল ওর জন্য খাবার রাখা হয়নি I অনিমা অবাক হলো না I এরকম ব্যবহার পেয়ে ও অভ্যস্ত I ওর বাড়িতে কেউ ও ওর জন্য আলাদা করে ভাবে না I এই পৃথিবীতে শুধু একজনই ছিল যে না বলতে ও ওর প্রয়োজন গুলো বুঝে যেত I ওকে অনেক যত্ন করতো I সে আর কোনদিন ও আসবেনা I অনিমা পাশ ফিরে চমকে উঠলো I
– তুমি এখানে কি করছ মুনির ?
– তোমার খিদে পেয়েছে তাই না ?
– হ্যাঁ
– তাহলে খাচ্ছো না কেন ?
– খাবার নেই
– সকালে তোমার ব্যাগে একটা স্যান্ডউইচ আর একটা জুসের প্যাকেট রেখেছিল মনে আছে ?
– হ্যাঁ তাইতো
– ওটা খেয়ে ফেলো I আমি না থাকলে তোমার কি হবে বলতো ?
– তুমি এমন কেন করলে মুনির ? কেন চলে গেলে ? বলতে বলতে অনিমা কেঁদে ফেলল
-আমি কোথাও যাইনি I তোমার মধ্যেই আছি
অনিমা , এই অনিমা কি হয়েছে ? ঘুমের মধ্যে কাঁদছো কেন ?
অনিমা চোখ খুলে আশিক কে দেখলো I কোন জবাব দিল না I চোখ মুছে ব্যাগ থেকে জুসা আর স্যান্ডউইচ বের করে খেতে লাগলো I
জানালার বাইরে তখন মেঘেরা উড়ে বেড়াচ্ছে I অনিমা আনমনা হয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইল I
– একটা গান শোনাবে অনিমা ?
অনিমা আবারো চমকে উঠলো I
-তুমি আবার কোথা থেকে চলে এলে ?
– আমি তো তোমার মধ্যেই আছি I এবার গানটা শোনাও প্লিজ
অনিমা চোখ বন্ধ করে মনে মনে গান শুরু করল
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর
লোক-লোকান্তরে, যুগ-যুগান্তর
জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর
লোক-লোকান্তরে, যুগ-যুগান্তর
তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই
কোনো বাধা নাই ভুবনে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
রয়েছ নয়নে, নয়নে
চলবে……..
লেখনীতে
অনিমা হাসান