#গ্রামের_সেই_মেয়েটি
।।
#পর্বঃ ০৫( অন্তিম পর্ব)
।।
ফ্রেশ হয়ে ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখলাম আমার ফোন টা বেজে চলছে হাতে নিয়ে এস্ক্রিনের উপরে তাকিয়ে দেখলাম অনু কল দিয়েছে আমি রিসিভ করলে ওপাশ থেকে তো, তিশা কন্ঠে বলতে লাগলো আপনি কি না গেলো হত না এইভাবে।
আমি- অফিসের ঝরলি কাজ পরে গেছে না আসলে অনেক প্রবলেম হত শুধু তাই না অনেক টাকা লচ হয়ে যেতো।
কিন্তু তুমি এইভাবে বলছ কেন,
আজকে না আসলেও তো দুইদিন পরে ঠিকি আসতে হত।
তিশা- না এমনি জানতে চাইলাম আর কিছু না।
আমি- তুমি আমাকে কিছু একটা বলতে চেয়েছ কি সেটা এখন বলো।
তিশা- না কিছু বলার নেই এটা বলে ফোন টা অনু হাতে দিয়ে দিলো।
ও ধরে,
অনু- ভাইয়া মেয়ে টা অনেক মন খারাপ করে আসছে তুই ওইভাবে চলে যাওয়া তে।
আমি- এতো দিন ধরে আমাকে ঝালিয়েছ,
এখন ঝালাতে পারছে না বলে হয় তো,
যাই হক আম্মু-আব্বু কে আর দাদি কে বলে দিস আমি বাসায় এসে পৌছিয়েছি।
অনু- আচ্ছা বলবনি,
এটা বললে আমি ফোন টা রেখে দিয়,
আমার জন্য যে খাবার গুলো এনেছে এই গুলো খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলাম অনেক টা জান্যি করলাম।
সন্ধ্যা আগেই উঠে পরলাম।
উঠে ফ্রেস হয়ে বাহির থেকে ঘুরে আবার বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে কালকের মিটিং এর জন্য কিছু কাজ করি তার পরে ঘুমিয়ে পরি।
পরের দিন উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পরি।
নাস্তা যে করবো সেটা আর করতে পারলাম না কেন না কাজের মেয়ে টা কে আমরা না আশা পর্যন্ত বারন করে দিয়েছে তার জন্য।
আমি বাসা থেকে বেরিয়ে কিছু নাস্তা করে অফিসে চলে আসলাম।
মিটিং টা ভালই হল সব কিছু ঠিক ঠকা ভাবে সামলাতে পালরলাম।
বিকালে অফিস থেকে বেরিয়ে ওদের সাথে একটু দেখা করে দিনাম।
এইভাবে কেটে গেলো দশ টা দিন।
শুনেছে আজকে নাকি আম্মু-আব্বু চলে আসবে এখানে
শুনে মন টা ভাল হয়ে গেলো।
আমার অফিস থেকে বাসায় আসতে রাত হয়ে আজকে।
বাসায় এসে দেখি আব্বু-আম্মু তারা চলে এসেছে।
আমাকে দেখে জিগ্যেস করে আমি ঠিক ঠাক আছি কি না।
আমি উত্তর দিতে যাবো তখনি ভুত দেখার মতো অনু সাথে তিশা কে দেখতে পেলাম।
আমি ওই টার উত্তর না দিয়ে,
আমি- আম্মু তিশা কি আমাদের এখানে বেরাতে আসলো।
অনু- জ্বী না তিশা আপু আমাদের এখানে থেকে পড়া শুনা করবে এখানে ভার্সিটি তে ভর্তি হবে।
আব্বু- শুনেছি মেয়ে টা নাকি লেখা পড়া তে অনেক ভালো তাই সাথে করে নিয়ে আসলাম।
এখানে থেকে পড়া শুনা টা শেষ করুক ওর বাবার ইচ্ছা ও বড় কিছু হক তার মেয়ে।
আমি- ও ভালই করছ,,
এটা বলে আমি ওখান থেকে রুমে এসে অফিসেএ ব্যাগ টা রেখে দিয়ে ওয়াসরুমে চলে আসলাম ফ্রেশ হতে।
ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি তিশা আমার রুমে,
এটা দেখে
আমি- ওই তুমি এইভাবে আমার রুমে কেন?
কারো রুমে আসতে হলে পারমেশন নিয়ে আসতে হয় ভুলে গেছো।
তিশা- সবার রুমে আসতে হলে এটা লাগে না আমার কথা না শুনে আশা,
দেখেন আমি কি করি আপনাকে আপনাকে ঝালিয়ে শেষ করবো,
এটা বলে ফাজিল মেয়ে টা আমার রুম থেকে চলে গেলো।
আমি খাটের এক কোনে বসে ভাবতে লাগলাম এই মেয়ে আমার সাথে এইভাবে কথা বলছে কেনো আর আমাকে এইভাবে ঝালায় কেন ঝালান কথা কেন বলে গেলো।
আমার মাথাতে কোন কাজ করছে না,,
আমি এই গুলো ভাবছিলাম এখনি অনু এসে আমাকে বলে যে আমাকে নাকি ডিনার করে ডাকছে এখনি আমি ওর সাথেই রুম থেকে বের হয়ে আসলাম।
এসে এক সাথে ডিনার করতে বসলাম।
আমরা ডিনার করছি এর মাঝে আব্বু আমার থেকে অফিসের কিছু খোজ খবর নিলো আমিও আব্বু কে গ্রামের কিছু জানে নিলাজ এর মাঝে রাস্তা কাজ টা কত দূর এটা ও জেনে নিয়েছে।
সেটা নাকি অনেক টা শেষ আর যেটুকু আছে তার গ্রামের এক বন্ধুর কাছে দিয়ে এসেছে কিছু দরকার হলে তোকে জানাতে বলেছি।
তিশা- রাস্তা টা হয়াতে গ্রামের মানুষের অনেক উপকার হল।
আরো কিছু কথা বললাম আমরা আমার খায়া শেষ হলে,
ওখান থেকে উঠে আমার রুমে চলে আসলাম।
এসে খাটে শুয়ে পরতেই ঘুমিয়ে যাই।
সকালে তিশা এসে আমাকে ঘুম থেকে জাগালো কোন ফাজলামো না করে।
আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে একেবারে অফিসে যাবার জন্য রেডি হয়ে নাস্তা করতে চলে আসলাম।
আমি আর আব্বু এক সাথে নাস্তা করতে বসলে আব্বু তিশা কে নিয়ে কিছু কথা বললো।
ওর বাবা এখানে আসতে দিতে চাইনি আব্বু জোর করে নিয়ে এসেছে তার জানো কোন অসুবিধা না হয় এখানে থাকায় আর ওর বাবা কে এটা ও বলে এসেছি ওকে বড় কিছু করার সুজগ করে দিবো,
এক্সাম এর বাকি আর বেশি দিনে নেই আর তুই যদি তার আছে কিছু দিন ওকে কোচিং করার ব্যবস্থা করে দিতো অনেক ভাল হত।
আমি- আব্বু আর কটা দিন আছে এখন কেহ কোচিং কে নিতে চাইবো না তো।
আব্বু- আমি জানি তার পরেও তুই একটু কথা বলে দেখলে ভাল হবে আমি জানি তুই পারবো।
আমি আব্বু কে আচ্ছা বলে দেই।
নাস্তা করা শেষ হলে আম্মু কে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম।
সরাসরি অফিসে চলে আসি।
তিশার জন্য আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলি ওর এক চাচা কোচিং আছে সেখানে কাজ হয় কিনা এটার জন্য আমি অনুরধ করার ও বলে কথা বলে দেখবে।। ওকে এখানি কথা বলে জানাতে।
কিছুক্ষণ পরে কথা দিয়ে বলে এই সময় তো কাউকে নেওয়া হয় না আমি বলেছি বলে হয়েছে অনেক কষ্ট করে।
রাতে বাসায় এসে জানিয়ে দেয় ব্যবস্থা হয়ে গেছে।
পরের দিন ওকে আমাকে দিয়ে আসতে হলো।
এটা আমাকে এখন প্রতিদান করতে হলো আজকে ওর ভর্তি এক্সাম গেলো ও তো বললো অনেক ভাল হয়েছ এখন ও আর আল্লাহ ভালো জানে কেমন হয়েছে।
কিছুদিন পরে রেজাল্ট দিলে জানতে পারি তিশা চান্স পেয়ে গেছে তাও অনেক ভালো করে।
এইভাবে কেটে গেলো একটা বছর ও এখানে এসেছে কিন্তু এখনো ওর দুষ্টামি গুলো জায়নি।
ওর বাবা এর মাঝে একবার ওকে দেখতে এসেছি।
আমাকে গ্রামে যেতে হয়েছি কিছু কাজের জন্য একটা কলেজ করে দেওয়ার করে দেওয়ার জন্য।
গ্রাম এখন অনেক টা উন্নতি দিকে গিয়েছে এটাই আমি আর গ্রামের মানুষ গুলো চেয়েছি।
এইভাবে কেটে গেলো আরো এটা বছর।
আজকে আমার birthday তাই অনেক বড় অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছে।
ফাজিল দুটা সব কিছু দায়িত্ব নিয়েছে।
অনেক ভালো করেই সাজিয়েছে।
আমি দুজন কে এর জন্য দুটা শাড়ি গিফট করি একি রং এর।
আমি রেডি হয়ে রুম থেকে বের হয়ে সবার কাছে চলে আসি কিছুক্ষণ পরে অনু আর তিশা আসলো ওদের দুজন কে দেখো সবাই হা করে তাকিয়ে থাকলো কেন না….
রুম থেকে বের হয়ে সবার কাছে চলে আসি কিছুক্ষণ পরে অনু আর তিশা আসলো ওদের দুজন কে দেখো সবাই হা করে তাকিয়ে থাকলো কেন না. দুটা কে অনেক সুন্দর লাগছে শাড়ি তে তার ভিতরে আজকে তিশা কে সম্ভব সুন্দর লাগছে যা বলার মতো না।
তিশা আমার পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে বসে ওকে কেমন লাগছে।
আমি কি উত্তর দিবো হা করে ওর দিকেই তাকিয়ে রয়েছি তাই তিশা আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলে ওই আপনি কি ভাবছেন এইভাবে।
আমি ওর কথায় বাস্তবে ফিরে আসলাম যা ও বুঝতে পারে নাই।
আমি- কিছু বলছিলে তুমি।
তিশা- হুম আমাকে কেমন লাগছে শড়ি তে।
আমি- হুম অনেক ভালো।
ও অনেক খুশি হলো আমার কথাতে।
কিছুক্ষণ পরে সবাই চলে আসে আমার বার্থডে কেক কাটা হলো।
আম্মু-আব্বু কে নিজের হাতে করে খাওইয়ে দিলাম আমি তিশা আর অনু আমাকে খাওয়াই দিলো।
অনেক মজা হল।
রাতে সবাই খাবার খেয়ে চলে যায় আমিও আমার রুমে চলে আসলাম।
খাটে শুয়ে পরতেই ঘুমিয়ে যাই।
সকালে উঠে অফিস যাওতা বাসার সবার সাথে অ্যাডা দেওয়া এইভাবে চলে গেলো আর দুটা বছর।
এখন অণু ভার্সিটি তে পরে আর এইবার তিশার ফাইনাল এক্সাক।
শুনেছি ওর এক্সাম নাকি অনেক ভালো হয়েছ।
এক্সাম শেষ হলে আমাকে নিয়ে গ্রেমে যেতে চাইলে আমি পারবো না বলে দেই কেন না আমার অনেক কাজ পরে আছে ওকে বলি তোমার যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেই কিন্তু আমি না গেলে যাবে না।
ও আর গ্রামে গেলো না,
সারাদিন আম্মুর সাথেই কাটিয়ে দেয়।
কিন্তু এই ফাজিল মেয়ে টার এখনো দুষ্টামি গুলো কমেনি সময় পেলেই আমাকে ঝালিয়ে মারে কিছু বলতে পারি না কেন পারি না এটা বলতে পারছি না।
এইভাবে চলে যায় আরো কিছুদিন কালকে ওর রেজাল্ট বের হয়েছে বরাবরের মতো এইবারো অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে তার জন্য আব্বু সবাই কে মিষ্টি খাওয়াল।
তিশাও অনেক খুশি হল এটার জন্য।
আমরা সবাই মিলে ডিনার করতে বসলে,
তখন,
তিশা- আঙ্কেল আমার তো লেখা পড়া শেষ এখন তো আমার কিছু করা দরকার আপনার যা করেছেন তা মনে হয় না আপন বাবা-মা রাও করে।
কিন্তু এইভাবে আর কটা দিন চলবে এখন তো আমার কিছু করা দরকার,
বাবা অনেক কষ্ট করেছে আমার জন্য তাকে এখন একটু তাকে শান্তি দিতে চাই।
আব্বু- তিশা এইভাবে না বললে ও পারতে তোমাকে আমার মেয়ের মতো দেখেছি অনু কে যা দিয়েছি সেইম জিনিশ তোমাকে দিয়েছি না চাইতেও তোমার আন্টি তোমাকে এনে দিয়েছে সব কিছু,
আল্লাহ রহমাতে আমার যা আছে যা হয়েছে তা দিয়ে ভাল করেই দিন চলে যায়।
জব করবে সেটা সময় হলে আমি ঠিক করে দিতাম।
তিশা- সরি আমি এমন টা বলতে চাইনি,
আর বলবো না আপনার যা ভালো মনে হয় তাই করবেন।
এটা বলে তিশা আর কিছু বললো না।
ডিনার শেষ হলে যার যার রুমে চলে যায়।
পরেরদিন আব্বু কে জানালাম তিশার জন্য জব ঠিক করেছি আমাদের অফিসে।
আব্বু- আচ্ছা ঠিক আছে ওকে বলে দিস।
আব্বু এটা বললে আমি তিশা কে বলি ও রাজি হয়ে যায় পরের দিন ও আমাদের অফিসে জয়েন করে নেই।
ভালই কাজ করছে এখন প্রথম প্রথম প্রবলেম হল আমি সব কিছু শিখিয়ে দিলে এখন সব নিজে নিজে করতে পারে।
এইভাবে কিছু দিন যাবার পরে আজকে অফিস সব থাকায় তিশা আর আম্মু মিলে অনেক রান্না কর পছন্দের সেই গুলো খেতে বসলাম সবাই মিলে।
আমরা খাবার খাচ্ছি তখন,
আব্বু- তোমাদের একটা কথা বলা হয়নি,
তিশার জন্য এতো কিছু করছি যখন ভেবেছি ওকে এইবার বিয়ে টা বিয়ে দেই।
তোমরা কি বল ওর বাবার সাথে আমার কথা বলা হয়ে গেছে ছেলে টাও অনেক ভালো।
এই কথা বললে তিশার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওর মুখ টা জানো কেমন হয়ে গেছে আর কিছু টা মন খারাপ করেছে এটা ওকে দেখাই বুঝা যাচ্ছে।
আম্মু- হুম ভালই করছ এর পরে তো অনু কেও দিতে হবে।
অনু- তোমার এতো বড় একটা ছেলে রেখে আমাদের পিছু পরে আছো কেন ওকে দেখো না ওর কি বিয়ের বয়স হয়নি বিয়ে দিতে হলে ওকে আগে দেও এই বাদরের জন্য আগে বৌউ ঘরে আনো
আমি- তুই আবার আমার পিছনে লাগলি কেন আমি কি কিছু বলছি তোকে।
আব্বু- হয়েছে তিশার বিয়ের পরে না হয় ওকে দিবো।
আমি কিছু বললাম না তিশাও কিছু বললো না খাবার খাওয়া শেষ হলে আমি আমার রুমে এসে খাটে শুয়ে দিলাম ঘুম।
একবারে সন্ধ্যারর কিছুক্ষণ আগে ঘুম ভাঙল।
উঠে ছাদে এসে দেখি তিশা ও রয়েছে আমি ওর কাছে গিয়ে ওর পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলাম কান্না করছে।
এই মেয়ের আবার কি হল এইভাবে কান্না করেছে কেন।
আমি- ওই তিশা তোমার কি হল এইভাবে কান্না করছ কেন কেহ কিছু বলছে নাকি কোন প্রবলেম হয়েছে।
এটা বললে তিশা আমাকে জরিয়ে ধরল আমি অনেক অভাগ্য হয়ে গেলম কেন না আমি ভাবেনি এমন টা করবে ও তার পরে ওকে সামলিয়ে আমার থেকে ছাড়িয়ে জিগ্যেস করলাম এইভাবে কান্না করছে কেন,
তখন
তিশা- আমি এই বিয়ে টা করতে পারবো না আমি বিয়ে করতে চাইনা।
আমি- সেটা বললেই তো হয়ে যায়,যে বিয়ে করতে চাই না তার জন্য কান্না করার কি আছে।
তিশা- আমি এই বিয়ে টা না করলেও পরে তো ঠিকি করতে হবে কিন্তু আমি কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।
আমি- কেন কাউকে পছন্দ কর মানে লাভ করো।
তিশা- হুম আমার জীবনের চেয়েও বেশি সেটা আর কেহ না আপনি সেই মানুষ টা,
জানি আমি আপনার জগ্যে না তার পরেও বলবো আমি আপনাকে ভালো বাসি।
কি বলে এই মেয়ে আমাকে ভালো বাসে সেটা আমি জানি না,
কখনো তো বুঝতে দেয়নি ও সব দিক দিয়েই ভালো একটা মেয়ে ও যদি আমার মতো পরিবারের মেয়ে হত তা হলে আমি ওর জগ্যে হতাম না।
তার পরেও,
আমি- তুমি এটা কি বলছ আমাকে কেনো পছন্দ তোমার এটা কোন দোষের কিছু না কিন্তু তুমি আমার সাথে ভাল থাকতে পারবে।
তিশা- হুম পারবো, ভালো থাকতে পারবো কিনা জানি না তবে তোমাকেই ভালো বাসি।
আমি আর কি বলবো কেন না ওকে আমিও কিছু টা পছন্দ করি তবে কখনো ভাবেনি ও আমাকে এইভাবে ভাল বেসে ফেলবো ও নাকি আমার জন্যওই এখানে লেখা পড়া করতে এসেছে।
এতো যে মেয়ে ভালো বাসতে পারে তাকে আমি কিভাবে ফিরিয়ে দেই বলেন।
শুধু তাই না অণু নাকি এটা জানে ও বলতে বারণ করেছে তাই বলেনি এখনো।
জানি আমার আম্মু-আব্বু কে বললে ও তারাও রাজি হবে।
তাই আমি- ওকে আমি রাজি হব যদি আমাকে এখনি প্রপোজ কর।
তিশা- আমি কেন করবো আপনি করবেন এই গুলো ছেলেরা করে।
আমি- তা হলে আমি কিছু জানি না অন্য দের সাথে বিয়ে হলে।
তিশা- মেরে ফেলবো,
এটা বলে তিশা আমার সামনে হাটু ব্যেকে বসে পরে তার পরে পারবে কি গ্রামের মেয়ে টা কে বুকে ঠাই দিতে আপনার।
জীবনের শেষ পর্যন্ত আপনাকে চাই অনেক ভালো বাসি আপনাকে।
এটা বললে ওকে উঠিয়ে বুকে টেনে নেই।
এই ছিলো আমার গল্পের কাহেনি।
#সমাপ্ত।