#গ্রামের_সেই_মেয়েটি
।।
পর্বঃ ০২
।।
ছেলে হয়ে ভয় পাচ্ছি এটা যদি ওরা জানতে পারে তা হলে আমার মানসম্মান সব শেষ তাই চুপচাপ হাটতে লাগলাম ওদের সাথে কিন্তু কিছু দূর যাবার পরে কিসের জানো একটা আওয়াজ শুনতে পেলাম আমি শুনে ওখান থেকেই আমি ওদের রেখে বাসার দিকে ছুটলাম।
একবারের জন্যও পিছু তাকাইলাম না শুধু ফাজিল দুটার হাসির শব্দ আমার কানে ভেসে আসছিল।
আমি বাসায় এসে দাঁড়িয়ে হাপাছিলাম এটা আম্মু দেখে জিগ্যেস করে বসে,
আমি এইভাবে হাপাছি কেনো এখানে দাঁড়িয়ে আর আমি কোথায় গিয়েছিলাম।
আমি যে আম্মুর কথার জবাব দিবো তা পারছি না হাপিয়েই যাচ্ছি শুধু।
তাই আম্মু আবারো প্রশ্ন করে কি হল উত্তর দিচ্ছি না কেন।
এইবার,
আমি- আম্মু একটু ওইদিকে হাটতে গেছিলাম তিশা আর অনু সাথে কিসের জন্য আওয়াজ আসছিলো ভয় পেয়ে ওদের রেখেই দৌউর দিয়ে বাসায় চলে এসেছি।
আম্মু- তুই কি ছেলে নাকি অন্য কিছু এইভাবে কেহ ভয় পায়,
হয় তো কোন প্রানি ডাকা ডাকি করছিলো,
আর তুই সেটার জন্যও ভয় পেলি ওদের দুজন কে কই রেখে এসেছি।
আমি কিছু বলারর আগেই দুষ্ট দুইটা হাসতে হাসতে এসে হাজির হয়।
অনু আম্মু কাছে এসে বলতে লাগলো যে আমি ভয়ে ওদের রেখে পালিয়ে এসেছি এটা বলে আবার হাসতে লাগলো দুটা নয় এখন তিনজনে মিলে হাসা হাসি করছে বলে
আমি – তোমরা আমার এটা নিয়ে মজা করছ থাকো তোমরা আমি গেলাম,
এটা বলে আমি ওখান থেকে রুমে চলে আসলাম রুমে এসে, জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে খেয়ে নিলাম পানি।
এর পরে খাটের এক সাইটে বসে পরলে,
দেখলাম জানালা দিয়ে বাহিরের চাঁদ টা সরাসরি দেখে যাচ্ছে আমি সেই দিকে ওখানে বসে কিছুসময় তাকিয়ে থাকলাম।
কিছুক্ষণ অনু আর তিশা আসলো আমাকে ডিনার করতে ডাকলে।
আমিও ওদের সাথে চলে আসলাম ডিনার করতে।
সবাই এক সাথে ডিনার করতে বসলাম।
আমি খাচ্ছিলাম তখনি তিশা আমাকে ইশারা করে বলতে লাগলো আমার আ কিছু চাই কি না।
আমিও ইশারা তে বুঝিয়ে দিলাম না লাগবো।
আমার খাওয়া শেষ হলে ওখান থেকে উঠে সরাসরি রুমেই চলে আসলাম।
রুমে এসে খাটে শরীল টা হেলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পরি।
অনেক সকালে অনু আর তিশা এসে আমার ঘুম ভাঙাল।
আমাকে জাগিয়ে
তিশা বলতে লাগলো সকালে প্রকৃতি দেখা টা মিস করবেন কেনে গ্রামের সকাল টা নাকি অনেক সুন্দর হয়।
আমি- সেটা অন্য দিন দেখা যাবে এখন আমাকে একদমি ঝালাবে না আমি আর ঘুমাব।
অণু- না ভাইয়া আর ঘুমাতে পারবি না,
সত্যি সকাল টা অনেক সুন্দর ভাল না লাগলে আবার চলে আসবি।
আমি- দেখ অনু ডিস্টার্ব করিস না তো আমায় এখন।
কিন্তু না এই দুটা আমাকে ঝালিয়ে যাচ্ছে তাই বাদ্ধ হয়ে উঠে পড়লাম।
আমি ফোন টা হাতে নিয়ে দেখলাম সকাল ছয় টা বেজেছে এতো তাড়াতাড়ি উঠাল এতো সকালে যে আমি কবে উঠেছি এটা আমারি মনেই আজকে এই দুটার জন্য উঠে হলো।
ওদের দুজন কে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পরলাম।
সত্যি সকাল টা অনেক সুন্দর,
মনে হচ্ছে মাত্র সূর্য টা উঠেছে।
উঠে ভালই হল এটা ওদের না বুঝতে দিয়ে বললাম এইসব দেখানো জন্য আমাকে এতো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে জাগালে।
তিশা- এটা দেখবার জন্য না চলে আমার সাথে এটা বলে
তিশা আমাদের নিয়ে একটা ফসলের ক্ষেতে নিয়ে আসলো।
চার দিকে সবুজ সশ্য শ্যামলা রয়েছে দেখতে খুবি সুন্দর লাগছে।
বলা যায় মন জুরিয়ে যাবার মতো।
তিশা কোথায় জানো দৌউরে গিয়ে কিছু ফুল নিয়ে আসলো সেই গুলো এনে অনু কে দিলো ও অনেক খুশি হল।
এমন ফুল আমি এর আগে কখনো দেখনি অনেক সুন্দর।
আমাকে নিয়ে ওখানে কিছুক্ষণ ঘুরলো আর বলতে লাগলো এই ক্ষেত সব আমাদের নাকি।
কিছুক্ষণ পরে আমরা বাসায় চলে আসলাম।
এসে ফ্রেশ হয়ে সবাই মিলে নাস্তা করে নেই।
নাস্তা করা হলে আব্বু আমাকে ডাকতে আসলো।
এসে বললো আফিফ চল আমার সাথে বাহির থেকে ঘুরিরে আসি আর একটু বাজারেও যেতে হবে।
আমি কিছু না বলে,
আব্বুর সাথে আবার জন্য রাজি হয়ে যাই।
আব্বুর সাথে বাসা থেকে বেরিয়ে পরি।
আব্বু আমাকে তাদের বাগান বাড়ি নিয়ে আসলো অনেক সুন্দর বাগান বাড়ি টা অনেক ভল রয়েছে এখানে।
সেখান থেকে আব্বু তার এখানে কিছু বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় তারা আমাকে দেখে অনেক খুসি হলেন।
তারা আমার কাছে কিছু প্রশ্ন করলেন আমি কি করছি এখন লেখা পড়া শেষ হয়েছে কি না গ্রামে আসি না কেনো একদম আমি তো এই গ্রামেরেরি একজন ছেলে।
আমি তাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বললাম এর পরে সময় পেলেই চলে আসবো।
তারা আব্বু কে কিছু প্রবলেমের কথাও বললেন।
কেন না আব্বু এখানে একজন নাম করা মানুষ তার বাবাও অনেক নাম করা মানুষ ছিলেন।
তার বাবা বলতে আমার দাদা।
আব্বু বললেন এই বার গ্রামে অনেক দিন থাকবো আর আমাকে দেখিয়ে বললেন আপনাদের যা যা প্রবলেম ওকে বলবেন কেন না আমি একটা সংস্থার প্রজেক্ট নিয়েও কাজ করি এই গ্রামের মানুষ দের জন্য হ্লেপ করার জন্য।
অনেক সময় পরে ওখান থেকে আমাকে আব্বু বাজারে নিয়ে আসলো।
সেখানে এসে কিছু মাছ-মুরগি আর কি কি জানো কিনলেন সেই গুলো কিনে আম্মু একজন কুলি দিয়ে আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দিলেন তার পরে আব্বু সাথে আবার চলে আসলাম বাসায়।
বাসায় এসে দেখি অনু আর তিশ মিলে গল্প করছে আর আম্মু নিজে রান্না করে।
আমি ওদের কাছে না গিয়ে দাদির কাছে গিয়ে তার সাথে গল্প করতে লাগলাম।
এইভাবে অনেক সময় পার হয়ে যায়,
দুপুর হলে রুমে এসে গোসল করে নেই,
লাঞ্চ এর সময় হলে সবাই মিলে লাঞ্চ করে নেই।
লাঞ্চ সময় দাদি বললেন তিশা কে নিয়ে বিকালে ঘুরতে বের হতে।
অনু ও যাবে আমাদের সাথে এটা বলে।
আমি না করে দেই ওকে নিয়ে অন্য সময় যেতে বলি।
কিন্তু ও যাবেই আমিও ওকে নিবো না জানি টা হলে আমার বর টা বাজিয়ে ছারবে তাই আমিও আম্মু কে বললাম ও জানো আমার সাথে বিকালে বের না হয়।
অনু মন খারাপ করে বলে আচ্ছা যাবো না।
তিশা কিছু বলতে গিয়েও বললো না।
আমার খাওয়া শেষ হলে ওখান থেকে উঠে বাহিরে এসে চেয়ারে বসে পরি কেন না রুমের বাতাস এর চেয়ে প্রকৃতি বাতাস অনেক ভালো এটা তে কোন ভেজাল থাকে না শহরের মতো।
অনেক সময় এখানে বসে থাকর পরে তিশা এসে আমাকে বলে আমি জানো রেডি হয়ে নেই এখনি যাবে তা না বলে আবার সন্ধ্যা হয়ে যাবে বাসায় আসতে।
আমি আচ্ছা বলে ওখান থেকে উঠে রুমে এসে রেডি হয়ে নেই।
এখন ওয়েট করতে হচ্ছে তিশার জন্য।
মেয়েদের এই একটা দোষ কখনো সময় মতো বের হতে পারে।
কিছুক্ষণ পরে তিশ চলে আসলো।
ওকে দেখে বুঝলা কিছু টা সাজগোছ করেছে।
আর সুন্দর লাগছে বসয়ে অনেক ছোট হবে আমার ওকে দেখেই বুঝা যায় তার পরেও মনে হয় না ওর কথা শুনে।
আমার কাছে এসে বলতে লাগলো এখন চলেন তা হলে।
আমি ওকে নিয়ে বেরিয়ে পরি বাড়ি থেকে।
ওর সাথে হাটছি ওর চারদিক টা ও দেখাচ্ছে আর ও নিজেই সেই গুলো বরনা দিয়ে যাচ্ছে ও গ্রামের মেয়ে হলে হবে কি অনেক চঞ্চল চঞ্চলা।
আর অনেক কথাও বলে সাথে তো দুষ্টামি আছেই।
আমি ওকে প্রশ্ন করে বসি ও লেখা পড়া করে কিনা।
তিশা- হুম এইবারে HSC দিয়েছি এখনো রেজাল্ট দেয়নি তার জন্য এতো ফিরি থাকি।
আর আপনি।
আমি- আমার লেখা পড়া শেষ হয়েছে অনেক আগেই এখন আব্বুর সাথে আর বিজনেস দেখা শুনা করি থাকে একটা সংস্থা নিয়ে কাজ করি।
আর তুমি একমিশন এর জন্য কোচিং কর না।
তিশা- গ্রামের মেয়ের আবার কোচিং তবে আমি অনেক ভালো student আশা করি চান্স পেয়ে যাবো।
এইভাবে ওর কিছু কথা বলছিলাম এর মাঝে তিশা একটা কথা বলে আমি অনেক টা অভাগ্য হয়ে যাই অনেক না আমি ভাবেনি ও..
– গ্রামের মেয়ের আবার কোচিং তবে আমি অনেক ভালো student আশা করি চান্স পেয়ে যাবো।
এইভাবে ওর কিছু কথা বলছিলাম এর মাঝে তিশা একটা কথা বলে আমি অনেক টা অভাগ্য হয়ে যাই অনেক না আমি ভাবেনি ও কেন না ও আমার কাছে প্রশ্ন করে বসে আমার গার্লফ্রেন্ড আছে কি না।
আমি- হুম অনেক গুলো রয়েছে কেনো?
তিশা- আমি ওই গার্লফ্রেন্ড
এর কথা বলেনি,
আপনার প্রেমিক আছে কিনা এটা জানতে চাইলাম।
আমি জানি আগের বার এমনি প্রশ্ন করেছে তার পরেও ও কি বলতে চাচ্ছিল এটা বুজবার জন্য জেনেও না জানবার মতো করলাম।
আমি এই বার ওর কথা শুনে না হেসে পারলাম না।
আমার এইভাবে হাসি দেখে তিশার মুখ টা গম্ভির করে ফেলে তাই,
আমি- না আমার এমন কোন গার্লফ্রেন্ড নেই,
লেখা পড়া করতে করতে এইসব নিয়ে যে সময় দিবো এমন সময় তখন ছিলো না।
তিশা- আচ্ছা আমরা ওইদিক টা তে চাই,
এইভাবে আমরা গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাটতে লাগলাম এখানে সব রাস্তা গুলো কাচা রাস্তা রয়ে গেছে এমন।
তেমন উন্নতি হয়নি এখানে এইসব দেখে নিজের কিছু টা খারাপ ও লাগছে গ্রামের মানুষ কত কষ্ট করে জীবনে চলতে হয়,
এটা না পায় সুশিক্ষিত হতে না পারে ভালো করে জীবন নিয়ে বাচতে কষ্ট করেই জীবন পার করে দিতে হয়।
আমাকে এখানকার এর জন্য কিছু করতেই হবে।
এইসব ভাবছিলাম তখন পাশে থেকে,
তিশা- আপনি এতো কিভাবছেন এতো বার ডাক দিলাম শুনছিলেন না।
আমি- না তেমন কিছু না কি বলবে বলো।
তিশা- এই পাশের বাড়ি টা আমার এক বেস্ট ফ্রেন্ড এর বাসা চলেন ওর সাথে দেখা করে আসি।
আমি- তুমি যাও আমি এখানে দাঁড়াই তার চেয়ে।
তিশা- কেন,আপনি না গেলে আমি কি করে যাবো।
আমি- আচ্ছা চলো যাই তা হলে,
এটা বলে তিশা আমাকে ওই বাসায় নিয়ে গেলো।
মেয়ে টা কে দেখলাম উঠানে বসে কি জানো কাজ করছে।
তিশা কে দেখে আমাদের কাছে ছুটে আসলো, এসে
মেয়েটা- তিশা তুই এইসময় এইদিকে যে,
আর ছেলে টা কে তোর সাথে।
তিশা- তাতে নিয়েই গ্রাম ঘুরতে বের হলাম।
এটা হলো, আমার আব্বুর নাম বলে আমি তার এক মাত্র ছেলে তিশা বললো।
মেয়েটা- ও সেটা আগে বলবি না,এতো বড় একজন মানুষ কে নিয়ে এসেছিস।
মেয়ে টা দৌউরে বাসার ভিতরে গেলো আমার দুজন কে বসার জন্য দুটা চেয়ার নিয়ে আসলো।
এসে আমাদের বসতে বলে।
আমরা দুজনে চেয়ারে বসে পরলে,
মেয়ে টা আবার বাসায় চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পরে আমাদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসলো সেই গুলো খেতে বললো।
আমি না চাইতেই খেতে হল এতো কষ্ট করে মেয়ে টা নিয়ে আসলো।
ওই মেয়েটা- ভাইয়া আপনি মনে হয় অনেক বছর পরে গ্রামে এসেছেন।
আমি- হুম দশ বছরের মতো হবে।
এইবারো আশা হত না আব্বু জোর করে নিয়ে আসলো।
এসে ভালই হয়েছে গ্রামের মানুষ এর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হয়ে গেলো।
মেয়েটা- হুম তা ঠিক, তিশার মুখে আপনার অনেক নাম শুনেছি আজকে দেখা হয়ে ভাল হল।
তিশা- রিয়া,আন্টি কে দেখছি না যে।
রিয়া- ও মা, একটু কই জানো গেলো।
আমি- আচ্ছা আমরা এখন উঠি, গ্রাম ঘুরতে বের হয়েছি সেটাই যদি না হয় টা হলে কেমন হয়।
রিয়া- হুম ভাইয়া ঠিক বলেছেন তবে আবার আসবেন ওর সাথে।
আমি,- আচ্ছা দেখি,
তিশা এখনো চলো।
এটা বলে রিয়া কে বলে চলে আসলাম।
ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে আবার ঘুরাঘুরি করতে লাগলাম।
আমরা ঘুরিতেছি তখন কিছু বেদপ ছেলে তিশা কে নিয়ে আজেবাজে কথা বলতে লাগলো যেটা আমার কাছে একদম ভালো লাগলো না।
আমি তিশা কে জিগ্যেস করকাল ছেলে গুলো দেখা হলে প্রতিবার এমন করে কি না।
তিশা- হুম এর ভিতরে নাকি একজন আমাকে পছন্দ করে গ্রামের বদ ছেলে এরা।
এইভাবে দেখা হলে আজেবাজে কথা বলে যেদিন থেকে আমি না করে দেই আমার পিছুপিছু ঘুরার জন্য।
আব্বু কেও একবার বলে ছিলাম সেও অনেক কিছু বলেছে ওদের কাজ হয়নি সেই দেখা আরো বেরে গেছে ওরা।
আমি- আচ্ছা তুমি একটু এখানে দাঁড়াও আমি একটু কথা বলে আসি ওদের সাথে।
তিশা- না ভাইয়া থাক ওদের সাথে ঝামেলা করতে হবে না ওরা অনেক খারাপ আপনার কিছু ক্ষতি করে দিতে পারে আবার।
আমি- সেটা আমি বুঝে নিবো।
গ্রামে ও যে এই গুলো হয় এর আগে জানতাম না,
এইসব যে করে এর চেয়ে খারাপ মানুষ পৃথিবীতে খারাপ মানুষ দুটা হয় না এইসব তোমাদের মতো মেয়ে দেরি রুখে দাঁড়ানো উচিত টা না হলে এরা সুদ্রাবে না।
আচ্ছা আমি যদি কিছু করতে বলি এখন করতে পারবে ভয় না পেয়ে।
তিশা- আমি ভয় পাই না কিছু তে,
আচ্ছা আপনি বলেন কি করতে হবে আমাকে।
আমি- এখন ছেলে গুলোর কাছে গিয়ে দাঁড়াবে যদি খারাপ কিছু বলে ওদের গালে চর লাগিয়ে দিবে।
তিশা আমার কথা শুনে চলে গেলো ওদের কাছে গিয়ে দাঁড়াতে তিশা কে জানো কি জানো বললো তিশা সাথে সাথে ওদের গালে চর বসিয়ে দেয়।
তিশা কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি ওর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম তার পরে,
আমি- কাউকে পছন্দ করা খারাপ না ভালো লাগা বা ভালো বাসা টা ও খারাপ না কিন্তু সেটা সম্মান করে করতে হয়,
এইভাবে অসভ্যতা করে না।
জানিস তিশা চাইলে এখন এইসবের জন্য ও কি করতে পারে।
এইসব বললে ওর ভিতরে একটা ছেলে বারে সবাই হাসতে লাগলো।
এটা সুধানো ছেলে না এমন কিছু করা দরকার এর পরে এইসব করতে দশবার ভাবে এইসব যারা করে তাদের।
আমি ফোন টা বের করে নেটে ঢুকে এখানকার পুলিশের নাম্বার বের করে তাদের কল দিয়ে তাড়াতাড়ি এখানে চলে আসলাম।
আমার পরিচয় জানতে চাইলে বললাম সেটা সামনা সামনি দেখতে পাবেন।
কিছুক্ষনের ভিতরে কিছু পুলিশ এসে হাজির হয়।
এই ছেলে গুলো প্রথমে বিশ্বাস করলো না যে আমি পুলিশ খবর দিয়েছে যখন তাদের দেখল পালাতে চাইলেও পারলো না আমি সবা গুলো কে নিয়ে যেতো বললাম আর সব কিছু তিশা কে দিয়ে বলালাম।
তারা ওদের নিয়ে চলে গেলো।
তারা চলে যাবার পরে,
তিশা- এই গুলো কি ঠিক হল।
আমি- একদম ঠিক হয়েছে এখন চলো এখান থেকে।
ওর সাথে আর কিছু সময় ঘুরে সন্ধ্যা হলে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে আজকেও ফ্রেশ হয়ে উঠানের মাঝে গল্প করে বসে পড়লাম।
আজকে আর তাদের থেকে দূরে গেলাম না কেন না কালকে অনেক টা ভয় পেয়েছিলাম।
অনেক সময় পরে আমরা সবাই বাসার ভিতরে চলে আসলাম।
কিছু সময় তাদের সাথে অ্যাডা দেওয়ার পরে আর ভালো লাগছিলো না তাই উঠে,
রুমে চলে আসলাম।
রুমে আসতে না আসতে ফাজিল দুটা এসে হাজির হয় আমাকে ঝালাতে।
আমি- ওই আবার কি আমার রুমে।
অনু- আসলাম তিনজন মিলে গল্প করবো তিশা আপু বললো।
আমি- না আমার এখন গল্প করতে ইচ্ছা করছে না।
তোরা এখন যা তো এখন থেকে।
তিশা- অনু চল তো আমরা ছাদে গিয়ে গল্প করি সে যখন এতো করে বলছে আমাদের সাথে গল্প করবে না।
এটা বলে ওরা চলে গেলো,
ওরা চলে যাওয়ার পরে ফোন টা বের করে সেটা টিপাটিপি করছিলাম এখনি….
#চলবে