#Gangster
.
#পর্ব_১৩+১৪
.
#লেখক_Rashmik_Arifin_Asif
.
.
১২ তম পর্বের পর থেকে…!!
.
.
অতঃপর মাহিম আর তাফসির সেখান থেকে চলে গেলো।আর রাসমিক চলে এলো অন্য রুমে যেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় চেয়ারের সাথে বাধা ছিলো দুটো মানুষ,যার মধ্যে একজন ছেলে আর অপরজন মেয়ে!
.
.
রাসমিক,,,আমি তো ভাবছিলাম তোর ভাইয়েরা তোর মতোই চালাক প্রকৃতির হবে,কিন্তু না আমি ভুল ছিলাম তোর ভাইয়েরা তো খুব বোকা।দেখ কত সহজেই আমাকে বিশ্বাস করে নিলো।এখন আমি যেভাবে বলবো তোর ভাইয়েরা ঠিক সেভাবেই চলবে,হা হা হা…
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,কেন করছিস এমন?কে তুই আর কি তোর উদ্দেশ্য?
.
রাসমিক,,,ওলে ওলে বাবুটা দেখি এখনো কথা বলতে পারে!আমি কে সেটা নাহয় যেদিন তোকে মারবো সেদিন বলবো!আগে এক এক করে তোর কাছের তোর ভালোবাসার মানুষদের মেরে নেই!(চেয়ারে বাধা মেয়েটির গালে আঙ্গুশ স্লাইড করতে করতে)
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,আমার ভাইয়েরা চালাক নাকি বোকা সেটা নাহয় সময় হলে বুঝবি,তবে আমার লাইফে ইন্টারফেয়ার করে নিজের লাইফের মৃত্যু ঘন্টা তুই নিজেই বাজিয়ে দিয়েছিস!এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা!(একটা মুচকি হাসি দিয়ে)
.
রাসমিক,,,তোর এই একটাই প্রবলেম জানিস?তুই যেখানেই থাকিস,যে পরিস্থিতিতেই থাকিস না কেন তোর এই ডায়লোগ মারার স্বভাবটা গেলো না।তবে না যাওয়াটাই বেটার কারন তুই ভালো বিনোদন দিতে পারিস!হা হা হা…..আচ্ছা তোরা থাক তাহলে,আমার আবার একটু কাজ আছে!গুড বাই,জোকার!
.
.
রাসমিক একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে সেখান থেকে বেড়িয়ে গেলো।
.
.
অন্যদিকে…!!
.
.
মাহিম আর তাফসির এসে বাসায় পৌছালো মাত্র,বাসায় ঢুকে দেখে আবির ডাইনিং টেবিলে এ বসে বিরিয়ানি খাচ্ছে।
.
.
মাহিম,,,কিরে খচ্চর একলা একলা খাছ কেন?আমাদেরও একটু দে!
.
আবির,,,তোরা খাবি?
.
মাহিম,,,আরে আজবতো খাবো না কেন?
.
আবির,,,না মানে আমি তো ভাবছিলাম যে ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে তোরা এতটাই শোকাহত যে নাওয়া খাওয়া সব ভুলে যাবি!
কিন্তু তোরা তো দেখি বিরিয়ানি খাইতে চাস!
.
মাহিম,,,ধুর বেটা,বালের প্যাচাল পারিস না তো!ও মরছে তাতে আমরা নওয়া খাওয়া ছাড়বো কেন?
.
আবির,,,তোদের কলিজার ভাই মরছে তো তাই বললাম আরকি!
.
মাহিম,,,বালের ভাই আমার সবসময় শুধু অডার ই দিয়ে গেলো,কেন ওর বাপের কেনা গোলাম আমরা।আমাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা বলতে কিছু নাই নাকি?ওই হালায় মরছে এখন একটু শান্তিতে বাঁচতে পারবো!
.
আবির,,,কিরে ভাই হঠাৎ তোর মুখে এতো কথা ফুটলো কিভাবে?যে মাহিম সব সময় শুধু জি ভাই,হ্যা ভাই,ওকে ভাই,ঠিকাছে ভাই করতো আর আজ সে এতো কিছু বলছে!আমি তো পুরাই পুলোকিত,ওই তাফসির তুই পুলোকিত হছ নাই?
.
তাফসির,,,আরে বেটা ধুর তুই তো শুধু পুলকিত হইলি আর আমি তো শিহরিত,বিমুখিত,পুলোকিত,উচ্ছাশিত সব হইছি!হা হা হা…
.
মাহিম,,,তোরা কি এখন নাটক করবি নাকি খাবি?আমার কিন্তু খুব ক্ষুদা লাগছে!
.
আবির,,,আচ্ছা আয় বস,অনেক আছে যত মন চায় খাইতে থাক!
.
মাহিম,,,হুম,আর তোর সাথে আমাদের জরুরি কথা আছে।
.
আবির,,,হুম বল কি কথা?
.
মাহিম,,,ভাই মরছে বইলা যে সব তুই একলা ভোগ করবি সেটা হবে না!সবকিছুকে সমান তিন ভাগে ভাগ করা হবে!মানে ৩৩,৩৩,৩৩ এই হলো ৯৯% আর বাকি ১% প্রতি সপ্তাহে একদিন মজা মাস্তি করার জন্য।
.
আবির,,,আহা শালার কি শখ,এতোদিন কঠোর পরিশ্রমের পরে সবকিছু পেলাম আর তার থেকে নাকি ওনাদেরকে ভাগ দিতে হবে!হা হা হা এতোটাও আবার ভালো না আমি,সময় হলে তোদেরকে মেরে ফেলার আগে দুইবার কি একবারও ভাববো না আমি!কিন্তু এখন রাজি হয়ে যাই সময় মতো ওদেরকে পরপারে পাঠিয়ে দেয়া যাবে!(মনে মনে)
.
মাহিম,,,ওই বেটা কই হারাইয়া গেলি?
.
আবির,,,আচ্ছা ঠিকাছে,সবকিছু তিনভাগে ভাগ হবে।
.
তাফসির,,,আচ্ছা ড্রাগস্ এর বিজনেস শুরু করলে কেমন হয়?টাকা ও কামাতে পারবো আর মজা ও করতে পারবো!
.
আবির,,,বুদ্ধিটা দারুন কিন্তু ডিলার কই পামু?আমরা তো এই লাইনের কাউরেই চিনি না!
.
তাফসির,,,আমার কাছে ডিলার আছে,আর ওর মাল গুলাও একের।খুব ভালো দাম পামু আমরা!
.
আবির,,,আচ্ছা তাহলে তুই ওর সাথে কথা বলে আমাদের জানা!
.
তাফসির,,,আচ্ছা ঠিকাছে!
.
.
অতঃপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবির গেলো রাসমিকের রুমে আর মাহিম,তাফসির চলে গেলো অন্য রুমে।
.
.
রুমে গিয়ে তাফসির নিজের ফোন বের করে রাসমিকের নাম্বারে একটা কল দিলো!
.
.
তাফসির,,,হ্যালো,ভাই?
.
রাসমিক,,,হুম তাসফির বল!
.
তাফসির,,,ভাই আমি তাফসির,তাসফির না!
.
রাসমিক,,,উহুম উহুম,মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে আর কি!এখন বল কেন ফোন দিয়েছিস?
.
তাফসির,,,ভাই,আবির ড্রাগস্ এর বিজনেসে রাজি হয়ে গেছে,এখন একটা ডিলার লাগবে!
.
রাসমিক,,,হা হা হা হা হা…ইটস্ এ ভেরি গুড নিউজ।আচ্ছা আমি সবকিছুর ব্যাবস্থা করছি,তোরা রাত ৯ টার দিকে লেকের সামনে আইসা পরবি,আর খেয়াল রাখবি আবিরের কাছে যেন কোন আর্মস না থাকে তাহলে কিন্তু প্লানটা সাকসেসফুল হবে না,বুঝলি?
.
তাফসির,,,আচ্ছা ভাই আমরা সময় মতো পৌছে যাবো!
.
রাসমিক,,,আচ্ছা এখন রাখি তাহলে!
.
তাফসির,,,আচ্ছা ভাই।
.
.
কলটা কেটে দিয়ে তাফসির আনমনা হয়ে বিছানায় বসে পড়লো।মাহিম বিষয়টা লক্ষ করে তাফসিরকে বললো!
.
.
মাহিম,,,কিরে কি এতো ভাবছিস?
.
তাফসির,,,ভাই কেমন পরিবর্তন হয়ে গেছে জানিস?
.
মাহিম,,,কেন কি হইছে?
.
তাফসির,,,আরে ভাই আমাকে একটু আগে তাসফির বলে ডাকলো আর এছাড়াও আমি ভাইকে কখনো এমন পৈশাচিক হাসি দিতে দেখি নি!
.
মাহিম,,,আরে ভাই হয়তো একটু টেনশনে আছে তাই মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে,বাদ দে এইগুলো।ভাই কি বললো?
.
তাফসির,,,রাত ৯ টার সময় লেকের পাড়ে যেতে বলছে,আর আবিরের কাছে যেন কোন আর্মস না থাকে সেটাও খেয়াল রাখতে বলেছে!
.
মাহিম,,,আচ্ছা ঠিকাছে চল আবিরকে সব বলে আসি!
.
তাফসির,,,হুম।
.
.
অতঃপর ওরা আবিরের রুমে চলে গেলো এবং সব কিছু আবিরকে বুঝিয়ে বললো!আবির তো শুনে মহা খুশি!
.
.
রাত ৯ টা…!!
.
.
আবিরদের গাড়ি এসে থামলো লেকের পাড়ে,আবির,মাহিম আর তাফসির গাড়ি থেকে নেমে দেখে ওদের থেকে কিছুদূরে একজন লোক দাড়িয়ে আছে হাতে ব্রিফকেস নিয়ে।ওরা তিনজন ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো লোকটার দিকে!
.
.
তাফসির,,,মাল?
.
লোকটা,,,(নিজের ব্রিফকেসের দিকে ইশারা করে!)টাকা?
.
তাফসির,,,এই নিন!
.
.
অতঃপর ওরা নিজেদের ব্রিফকেস আদান প্রদান করে যখন চলে আসতে যাবে তখনই….!!
.#Gangster
.
#পর্ব_১৪
.
#লেখক_Rashmik_Arifin_Asif
.
.
১৩ তম পর্বের পর থেকে…!!
.
.
অতঃপর ওরা একে অপরের সাথে ব্রিফকেস আদান প্রদান করে যখন চলে আসতে যাবে তখনই পিছন থেকে একটা গুলি এসে লাগে ঐ লোকটার মাথায় আর ওর নিথর দেহটা মাটিতে লুটিয়ে পরে।আবির সামনে তাকিয়ে দেখে যে ৫ জন লোক কালো স্যুট আর হাতে পিস্তল নিয়ে দাড়িয়ে আছে।আবির নিজের কোমরে হাত দিয়ে দেখে যে ওর কোমরে গান নেই।অন্যদিকে মাহিম আর তাফসির নিজেদের গান বের করে ওদের কে মারতে শুরু করে দিয়েছে,একে একে সবাইকেই মেরে ফেলে ওরা দুজন।আবির ওদের দুজনের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে যখন পিছনে ঘুরে চলে আসতে যাবে তখন ই মাহিম খেয়াল করলো যে একটা লোক আবিরকে উদ্দেশ্য পিস্তল তাক করে আছে গুলি করার জন্য,মাহিম লোকটাকে মারার আগেই লোকটা গুলি চালিয়ে দিলো আর মাহিম আবির কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিবার কারনে গুলিটা এসে লাগলো মাহিমের গায়ে এবং মাহিম সেখানেই লুটিয়ে পরে আর তাফসির ঐ লোকটাকে সাথে সাথে গুলি করে মেরে ফেলে!আবির আর তাফসির তাড়াতাড়ি মাহিমকে নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
.
.
অন্যদিকে রাসমিকের ফোনে একটা ম্যাসেজ এলো…
.
.
ম্যাসেজ…প্লান সাকসেসফুল।
.
.
ম্যাসেজটি দেখে রাসমিকের মুখে একটা পৈশাচিক হাসি ফুটলো,আর সে চলে গেলো চেয়ারে বাধা ঐ মানুষ দুটোর কাছে!
.
.
রাসমিক,,,তোর জন্য একটা ব্রেকিং নিউজ আছে বুঝলি!তোর আদরের কলিজার ভাই মাহিমের গুলি লেগেছে!
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,কিহহ?কিভাবে?(উত্তেজিত হয়ে)
.
রাসমিক,,,আরে আরে এতো উত্তেজিত হস না,তোর শরীরের জন্য ভালো না!চিন্তা করিস না ও মরবে না,এটা তো আমার একটা প্লান মাত্র।ও মরলে যে আমার প্লানটাই সাকসেসফুল হবে না!
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,আসলে তুই চাইছিস কি বলতো?
.
রাসমিক,,,শুনতে চাস আমি কি চাইছি?তাহলে শুন,আমি তোর সব কাছের মানুষদের,ভালোবাসার মানুষদের এক এক করে মৃত্যু চাইছি!
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,কিন্তু কেন?
.
রাসমিক,,,কারন তোকে আমি বোঝাতে চাই যখন প্রিয় মানুষটা,ভালোবাসার মানুষটা আমাদের ছেড়ে চলে যায় তখন ঠিক কতটা কষ্ট লাগে!
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,তোর ভালোবাসার মানুষ তোকে ছেড়ে চলে গেছে তার সাথে আমার কি সম্পর্ক?
.
রাসমিক,,,কারন তুই তাকে খুন করেছিস!
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,আমি খুন করেছি মানে?কাকে খুন করেছি আমি?
.
রাসমিক,,,হা হা হা…না বাবু না সেটা তো এখন বলবো না,সেটা বলবো তোকে মারার কিছুক্ষন আগে।আর তোর মৃত্যুর সিরিয়ালটা একটু পিছনে আগে আবির,মাহিম,তাফসির,নওরিন এদেরকে মেরে নেই,তারপর নাহয় তোকে ধীরে সুস্থে মারা যাবে।ততোদিন পর্যন্ত বরং তুই ওদের মৃত্যুর তান্ডব দেখ!
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,আমাকে মেরে ফেলতে হলে এখনই মেরে ফেল,নাহলে পরে আর সেই সুযোগটা পাবি না!
.
রাসমিক,,,ভাই তোর এইসব ডায়লোগ বাজি বন্ধ করবি প্লিজ?এইগুলো শুনলে আমার মাথায় রক্ত উঠে যায় আর মনটা চায় যে এক্ষুনি বন্ধুকের ৬ ৬ টা গুলি তোর মগজের ভিতরে ঢুকিয়ে দেই!(চেয়ারে বাধা ছেলেটির মাথায় পিস্তল তাক করে)
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটি,,,আরে মেরে ফেল,মেরে ফেল!কারন যদি আমি বেঁচে থাকি তাহলে তুই আর বাচতে পারবিনা।আর তোর বয়স ও অল্প,মনে তো হয়না যে বিয়ে শাদি করছিস,তাই এতো অল্প বয়সে মরে কি লাভ বল?তার চেয়ে বরং আমাকে মেরে ফেল,তারপর একটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নে,তার সাথে একটু ভালো ভাবে বাচ।আর আমি যদি বেচে থাকি তাহলে বিয়ে তো দূরের কথা নিজের হবু বউয়ের মুখটা পর্যন্ত দেখতে পাবি না।তাই এখনো সময় আছে আমাকে মেরে ফেল!
.
.
চেয়ারে বাধা ছেলেটির কথা শুনে রাসমিক ওর হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে সজোরে একটা আঘাত করলো ঐ ছেলেটার মুখে আর সাথে সাথে ঐ ছেলেটার নাক ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকে।রক্ত দেখে ছেলেটার মুখে একটা মুচকি হাসির রেখা দেখা দিলো!
.
.
রাসমিক,,,আগে এইখান থেকে বেড়িয়ে তো নে,তারপর নাহয় আমাকে মারিস।আচ্ছা অনেক কথা বলে ফেলছি তোর সাথে এখন আমি যাই অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজ আছে বুঝলি!
.
.
রাসমিক সেখান থেকে বেরিয়ে গেলো আর চেয়ারে বাধা ছেলেটির মুখে একটা মুচকি হাসি ফুটলো!
.
.
অন্যদিকে ও.টির সামনে দাড়িয়ে আছে আবির আর তাফসির,২ ঘন্টা হলো মাহিমকে ও.টির ভিতরে নেওয়া হইছে,কিন্তু ডাক্তার এখনো বেরোচ্ছে না।তাফসিরের তো পাগলপ্রায় অবস্থা,ওর চোখ দিয়ে অনবরত পানি গড়িয়ে পড়ছে।আর আবির ওকে সান্তনা দিচ্ছে।কিছুক্ষন পর ডাক্তার ও.টি থেকে বেরিয়ে এলো,সেটা দেখে আবির আর তাফসির তড়িঘড়ি করে ডাক্তারের কাছে চলে গেলো।
.
.
তাফসির,,,ডক্টর,আমার ভাইয়ের কি অবস্থা?ও এখন কেমন আছে?(কান্না করতে করতে)
.
ডাক্তার,,,চিন্তার কোন কারন নেই,হি ইজ ওকে নাও!ওনাকে একটু পরে কেবিনে দেওয়া হবে!আপনার চাইলে তখন দেখা করতে পারেন!
.
তাফসির,,,থ্যাংক ইউ সো মাচ,ডক্টর!
.
ডাক্তার,,,ওহ প্লিজ,ইটস মাই ডিউটি!
.
.
ডাক্তার সেখান থেকে চলে গেলো,ডাক্তার চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই মাহিমকে বেডে দেওয়া হলো!আবির আর তাফসির কেবিনে ঢুকে দেখে মাহিম এখনো ঘুমিয়ে আছে…
.
.
আবির,,,তাফসির,মাহিম তো এখনো ঘুমিয়ে আছে,তুই বরং ততক্ষনে ওর জন্য ওষুধ আর খাবার নিয়ে আয়।আমি এখানে আছি!
.
তাফসির,,,আচ্ছা ঠিকাছে!
.
.
তাফসির কেবিন থেকে বেড়িয়ে যাবার কিছুক্ষন পড়েই মাহিমের জ্ঞান ফিরলো!মাহিম উঠে বসতে চাইলে আবির ওকে বাধা দেয় যেন ও না উঠে!
.
.
মাহিম,,,কিরে তুই একা কেন?তাফসির কই?ওর আবার কিছু হয় নি তো?(উত্তেজিত হয়ে)
.
আবির,,,আরে তুই এই অবস্থায় উত্তেজিত হোস না!তাফসির একদম ঠিক আছে আর ও তোর জন্য ওষুধ আনতে গেছে,এইতো এক্ষুনি চলে আসবে!
.
মাহিম,,,আচ্ছা ঠিকাছে!
.
আবির,,,আচ্ছা তুই আমার জন্য নিজের জীবন ঝুকিতে ফেললি কেন?
.
মাহিম,,,আরে বেটা তোরা আমার ভাই তোদের জন্য নিজের জীবন দিবার আগে একবারও ভাববো না!
.
আবির,,,কিন্তু তাই বলে নিজের জীবন ঝুকিতে ফেলবি?যদি তোর কিছু হয়ে যেতো!(চোখ দিয়ে দুফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো)
.
মাহিম,,,আরে আমার কিছু হবে না,এখন বাদ দে তো এইসব কথা।
.
আবির,,,,হুম।(যে মাহিমকে আমি মারার কথা ভাবছি আর সেই মাহিমই আমাকে বাচাতে নিজের জীবন দিতে গিয়েছিলো,নাহ ওকে আমি মারতে পারবো না,এমন ভাই পাওয়া সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার,,মনে মনে)
.
.
অন্যদিকে দরজার বাইরে দাড়িয়ে থাকা একটি কালো অবয়ব ওদের কথা শুনে হাসতে হাসতে অন্ধাকারে মিলিয়ে গেলো…!!
.
.
চলবে..!!
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here