অরুর_সংসার
পর্ব ৫
নিশি কথা
________________
জয়া হুট করেই অয়ন যে টেবিল বসা সেখানে বসে পড়লো! বলল……
জয়া: স্যার বাইরের খাবার এখন খাওয়া ঠিক কা।দেখে করোনা ভাইরাসের যে প্রকপ! আমি বাসা থেকে নিজের হাতে রান্না করে এনেছি “! প্লিজ এখান থেকে খান..
অয়ন: নাহ আমি রোজ যা খাই আমি তাই ই খাব!! আর আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে হাসপাতালের ক্যান্টনের খাবার অস্বাস্থ্যকর!!!! মানে আপনি আমার মেনেজমেন্ট এর উপর সন্দেহ করছেন “!! আমি এদের পর্যপ্ত টাকা দিয়ে রাখছি! এরা স্বাস্থ্যকর খাবার ছাড়া সরবোরাহো করে না!!!
জয়া: না আমি কাউকে কোন দোশ দিচ্ছি না কিন্তু আপনি আজ আমার হাতের খাবার ই খাবেন প্লিজ প্লিজ প্লিজ!!
(জয়ার জোরাজুরি তে অয়ন বেশি কথা বাড়ালো না,খেয়ে নিল)
……..
||||||||||
…
কেবিনে অয়নের কথায় কস্ট পেলেও এখন জয়ার মন খুব ভাল কারন অয়ন তার হাতের রান্না খেয়েছে.. আর খেয়ে ওঠার সময় রান্নার প্রসংশাও করেছে ♥♥♥
♣♣♣♣♣♣♣
ওদিলে অনিকের আসতে দেড়ী দেখে আরোহী ফোন দিল।
অনিক : হা বলো!
আরোহী : শুন! আজ তারাতারি ফেরার কথা ছিল কিন্তু , মনে আছে? বিকালে বাড়ী যেতে হবে না! পরশু ভাই এর বৌভাত!!!
অনিক: ওহ! মনে ছিল না।কাল যাব সকালে। আজ ফিরতে পারবো না জলদি
আরোহী: এটা কোন কথা হল!! না তুমি আজ ই আসবে!!! কিচ্ছু জানিনা আমি
অনিক : বললাম তো পারবো না। বলে ফোন কেটে দিল
(আরোহী ছাড়ার পাত্র না.
আজই যাবে সে আর তাও অনিক কে নিয়ে )
আরোহীর ব্যাগ গুছানোও কম্পলিট! রুশা কে রেডি করে নিয়ে অরোহী ব্যাগ
পত্র নিয়ে বের হয়ে গেল অনিকের অফিসের উদ্দ্যেশে!!!!
অনুকের অফিসে পৌছে ব্যাগ আর রুশা কে গাড়িতে রেখে আরোহী ভিতরে ঢুকলো।
আরোহীকে দেখে সবাই দাড়িয়ে সালাম দিল।আরোহী অনিকের কেবিনে নক না করেই ঢুকে গেল। অনিক মনযোগ দিয়ে ফাইল দেখছে….
আরোহী :surprise…..
অনিক: তুমি?
আরোহী : শুধু আমি না,সাথে ব্যাগ পত্র আর তোমার মেয়েও আছে।তারা গাড়িতে….
চলে তো এখন
অনিক : কোথায়???
আরোহী : বললাম না বাড়ী যাব…. চল
অনিক :what the f**k!! r you Creazy?? বলি নাই তোমাকে যে আজ যেতে পারবো না??? তাও তুমি এমন ব্যাফ পত্র নিয়ে আসো কোন সেন্স এ”!! যাও বাসায়! বলদ নাকি!! গো! “””
আরোহী : চিৎকার করছো কেন তুমি অনিক? সবাই কি ভাবছে ” দেখো কাচের দরজা , সবাই তাকিয়ে আছে এদিক।
অনিক : আমি কি করেছি? তুমি ননসেন্স এর মত কাজ করলা কোন আক্কেলে???? (চিৎকার করে)
(আরোহী এবার কেঁদে দিল)
আরোহী : কিভাবে কথা বলছো তুমি!!! এত খারাপ বিহেব কেন করছো??
অনিক : এই শোন!! যা সর!! মাথা গরম করে দেয়! ভাল মুড টা নস্ট করে দিল।
(আরোহী অনিকের তুই তুকারি দেখে হতবাক)
আরোহী : অনিক তোমার কি হয়েছে? তুই তুকারি করছো তুমি আমার সাথে??
অনিক : যাও তুমি বাসায় এখন প্লিজ, মাথা আর গরম করো না! সিন ক্রিয়েট করো না আর।জাস্ট লিভ!!!!!!
আরোহী : তুমি বদলে গেছো অনিক!! বুদলে গেছো!! (এই বলে অনিকের কলার ধরে কাছে টেনে নিল আরোহী ) কাচের দরজার বাইরে দাড়িয়ে সবাই ওদের দেখছে “! অনিকের মাথায় এবার রক্ত উঠে গেল…আরাহীকে সরিয়ে ঠাসসস্্্্্্্্্্্্্ করে চড় বসিয়ে দিলে
♣♣♣♣♣♣♣
♣♣♣♣♣♣♣
সন্ধা ৬:৩০। জয়া সব ফাইল রেডি করে যেই না অয়নের কেবিনে ঢুকতে যাবে দেখলো অয়ন ফোনে কথা বলতে বলতে একটা ছেলেকে ইশারা করলো! ফোন রেখে জয়াকে বলল যে সব ডিটেইলস ওকে বুঝিয়ে দেন ডাঃ জয়া ।He is my new assistant.সায়ম আহমেদ!
(এই বলে অয়ন বের হয়ে গেল…)
(জয়ার মন খুব খারাপ হয়ে গেল এবার একটু হলেই কেঁদে দেয়)
।
।।
।।।
।।
অয়ন বাসায় ফিরে আসলো।মাথা টা তার খুব ব্যাথা!! রুমে ঢুকে দেখে তার বউ ঘুমাচ্ছে….. মোবাইল, ওয়ালেট ডেক্সে রেখে অরুর কাছে গেল সে।তারপর কি ভেবে টাওয়েল নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল অয়ন।
দরজা আটকানোর শব্দে অরুর ঘুম ভাংলো!!
সেকি!! ৭:৩০ বাজে!! সে এতক্ষন ঘুমিয়েছে “!! ঘুমের ঠেলায় তো দুপুরে খায় ও নি! অরুর মাথায় হাত! ” ওয়াশরুমে কিসের শব্দ?? উনি চলে এসেছেন??
অরু দ্রুত পায়ে নিচে গেল। কাজের বুয়া রা সবাই লাইন দিয়ে স্টার জলসার সিরিয়াল দেখছে! অরু কাউকে কিছু না বলে রান্নাঘরে গেল। এক গ্লাস লেবুর সরবত বানিয়ে উপরে নিয়ে গেল। যাওয়ার সময় বুয়াদের উদ্দেশ্য করে অরু বলল! ”
অরু : খালা আমি তো দুপুরে খাই নি কিছু! আপনারা একবার ও তো আমাকে ডাকলেন না খেতে!!
(বুয়া রা থ হয়ে গেছে! সেলিনা অরুর কথায় উত্তর দিয়ে বলল ।।। )
সেলিনা : নুতন বউ কত্ত ডাকিছি তুমারে! তুমি তো কি ঘুম! উডলাই না
(আসলে কেউ ই অরুকে ডাকেনি কারন তারা ভুলেই গেছিল যে ঘরে নতুন একটা বউ আছে! আসলে এত বছরের অভ্যাস তো একারাই দুপুরে খাওয়ার! নতুন মানুষকে তারা ভুলেই গেছিল)
(অরু সেলিনার কথা শুনেআর কিছু বলল না…উপরে চলে গেল)
অরু রুমি ঢুকাতেই দেখে অয়ন শাওতার নিয়ে খালি গায়ে বের হচ্ছে। অরুকে দেখে টাওয়াল টা রেখে পকেটে হাত দিয়ে দাড়ালো। অরু অয়নের কাছে গিয়ে গ্লাস টা এগিয়ে দিল।বলল
অরু :এটা খেয়ে নিন। অফিস থেকে এসেছেন নিশ্চই খুব ক্লান্ত
অয়ন : সরবত বুঝি খাওয়া যায়??
অরু :………
অয়ন: দেও! (অয়ন ঢকঢক করে পুরোটা সাবার করলো! সত্যি রিলিফ লাগছে। অয়ন গ্লাস টা পাশে রেখে অরুর কোমর ধরে নিজের কাছে নিয়ে গেল)
অয়ন : কি বলছিলে যেন তখন? আমার কোথাও কাটছে কি না? ওটা তোমার রক্ত!
অরু: কিন্তু আমার তো হয় নি
অয়ন: কি হয় নি
অরু :……………….
অয়ন অরুকে ছেড়ে খাটে গিয়ে আধশোয়া হয়ে বলল….
অয়ন: বললাম বা তুমি হয় অনেক চালাক হয় খুব বোকা.. যাক এদিকে এসো
(অয়নের কাছে ডাকায় অরুর বুক টা ধুক করে উঠলো”! তাহলে কি এখন আবার অয়ন ওসব করবে?? অরু ধীর পায়ে অয়নের কাছে গেল। অয়ন অরুর হাত ধরে কাছে বসালো।
অয়ন : মাথা টা খুব ব্যাথা করছে ” চেপে দেও
(অরু অবাক)
অয়ন: কি হল?? দেও
(অরু কাপা কাপা হাতে অয়নের মাথায় হাত দিল। চেপে দিচ্ছে.. আর অয়নের চোখ বন্ধ?)
(এরকম আধা ঘন্টা যাওয়ার পর হঠাৎ অয়ন চোখ খুলে তাকালো অরুর দিকে একটা নেশা ভরা চোখে)
অয়ন: হয়েছে আর লাগবে না।কিছুটা রিলিফ লাগছে! আর বাকিটা…..
(অয়ন উঠে বসে অরুর ২গাল ২হাত দিয়ে টাচ করলো….তারপর হুট করে অরুর ঠোটে নিজের ঠোট মিলিয়ে দিল )
(অরুর চো