অরুর_সংসার
পর্ব_১/২

___________________
বিবস্ত্র অবস্থায় খাটে এলোমেলো হয়ে পরে আছে অরু। সাদা বিছানায় লাল রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। স্বামি নামক লোক টা পাশে বসে সিগারেট টানছে আর আড়চোখে অরুকে বারবার দেখছে।অরুর এই অবস্থা দেখে বা অরুর চোখের পানি দেখে তার বিন্দুমাত্র দয়া হচ্ছে কি না জানা নেই। কিন্তু অরুর বিবস্ত্র শরীর দেখে তার কামনা ক্রমশ প্রখর হচ্ছে…. রাত ১২ থেকে ৩ টা অবধি অরুকে দিয়ে নিজের কামনা মেটানোর পর ও কেন জানি শান্তি নাই অয়নের। তার এখন আবার চাই অরুকে। এক রাত নয় প্রতিটা রাতে চাই এখন থেকে! ৩য় সিগারেটের শেষ নামিয়ে আবার অরুকে নিজের কাছে টেনে নিল অয়ন।ভালবেসে না……… ভোগের তারনায়। আর অরুর তো শরীরে মিনিমাম শক্তি টুকু নেই নড়ার। চুপচাপ চোখের জল ফেলছে সে।সে শুধু একটা কথাই ভাবছে এখন যে বাসর রাত বুঝি এমনই হয়? এত যন্ত্রনাময়!!!!!!

।।

ভোরের দিকে অয়ন ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পরলো অরুর বুকের উপর! আর অরু কিছুক্ষন আগের কথা ভাবতে লাগলো…………

★বাসর ঘরে নতুন বউ সেজে বসে আছে অরু।পড়নে লাল টুকটুকে জামদানি শাড়ি♦লম্বা চুলগুলো পিঠে ছেড়ে দেওয়া♦ পড়নে বেশি ভারি সোনার গহনা নয় বরং ছোট একটা কানের সোনার দুল, সোনার চেইন আর হাতে চিকন ২ টা চুড়ি।
||
||
বিয়েতে শশুত পক্ষ যে তাকে গহনা দেয় নি তা কিন্তু নয়। কিছু সময় আগেও অরু লাল, গোল্ডেন রং এর কাতান শাড়ি আর গা ভর্তি সোনায় আবৃত ছিল। বাপের বাড়ী থেকে বিদাই নিয়ে কান্নাভরা চেহারা সহ শশুর বাড়ী আসার কিছুক্ষন বাদেই যেই না তাকে তার বরের ঘরে আনা হল হুট করেই তার ননদ এসে বলল…….
অহনা : এই যে নতুন ভাবি শুন… ভাইয়া বলেছেন এই এত ভারী শাড়ি, গহনা পরে লোকদেখানো অনেক হয়েছে এখন গোছল করে আটা ময়দা উঠিয়ে আর এই ভারী সব পোশাক আশাক খুলে হালকা কিছু পড়ে নেও।
Πঅরু অহনার কথা শুনে চুপচাপ মাথা নাড়াল Π
অহনা সাথেসাথে অরুর কানের কাছে এসে আবার বলল..
অহনা: হট কিছু পড়ে নেও তো জলদি…..

অহনার কথা শুনে অরুর শরীর টা কেমন শিরাশির করে উঠলো …………… এটা কি বলে গেল তার ননদ!!!!!!!!!নিমিষেই অরু ভ্রু কুচকে নিল আর অহনা হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হয়ে গেল।

অরুর বয়স কেবল ১৯।যদিও আজ কালকের আধুনিক যুগে এই বয়সে মেয়েরা বাসর রাতের এ টু যেড সব জেনে যায় কিন্তু অরু এ সম্পর্কে ভীষণ কাচা! বাসর রাতে কি হয়? কিভাবে হয়?? বর তার বউ এর সাথে কি কি করে এই সব বিষয়ে অরু কিছুই জেনে উঠতে পারে নি তার আগেই তাই বিয়ে ঠিক করে দিতেছে তার সৎ মা। স্বামি নামক লোক টা কেমন, তার মন মানুষিকতা কেমন কিছুই তার জানা নেই।এমনকি তার বর যে দেখতে কেমন সেটাও এখনো অবধি অরুর অজানা!
|
||||
|
তার ওপর বাসর রাতে সে কি করবে তার সাথে তাই নিয়ে টেনশন!.তার উপর ননদের এমন কথা!!!! ..
||
||
এই নানান টেনশন মাথায় নিয়ে ননদের কথা মত ভারি শাড়ি গহনা খুলে লাল একটা জামদানি পড়ে নিল সে আর সাথে নিজের মায়ের অল্প কিছু গহনা।……

খাটে বসে রিতিমত কাঁপছিল বেচারি এর মাঝেই বুঝতে পারল কেউ ঘরে ঢুকছে!…. অরুর বুঝতে বাকি রইলো না এটা তার স্বামি♥ অরু চোখ তুলে যেই না তার দিক তাকালো অরুর চোখ জোড়া যেন নিমিষেই পরম শান্তি পেল!… পাবেই না কেন এত সুদর্শন একজন পুরুষ তার সামনে আর সে কিনা তারই স্বামি♥ প্রেমে পড়ে গেছে অরু এক নিমিষেই ♥♥♥♥♥ love at first site যাকে বলে আর কি। নিস্পলক ভাবেই তাকিয়ে ছিল অরু তার
স্বামির দিকে কিছুক্ষন।
||
||
||
তারপর হুট করে এই বাড়ী আসার আগে দাদির শিখানো কথা মনে পড়ে যেতেই অরু খাট থেকে নেমে ধীর পায়ে স্বামির কাছে যেয়ে তাকে সালাম করল ♥
|
l
তাৎক্ষনিক অয়নের হাত গেল নিজের প্যান্ট এর পকেটে….. ওয়ালেট টা বের করে নিল সে। তারপর অরুকে কিছুটা টেনে উঠিয়ে ওয়ালেট থেকে ১ হাজার টাকার ১০ টা নোট মানে ১০ হাজার টাকা বের করে অরুর হাতে দিল।

অরু অবাক।অবাক চোখেই সে তার স্বামির দিকে চেয়ে আছে আর ভাবছে যে দাদী তাকে বলেছিল বাসর রাতে স্বামি যা দেবে খুশী মনে গ্রহন করতে।…… কিন্তু টাকা!! কেমন যেন লাগল অরুর কাছে! কারন যে তার ভাবীর কাছে শুনেছে যে উপহার দেয় স্বামি তার স্ত্রি কে! কিন্তু
….. টাকা কি বাসর রাতের উপহার হয়??? নাকি টাকা উপহার হতেই পারে বাসর রাতে???? প্রশ্ন তো নিজেকে করে বসলই অরু কিন্তু এর উত্তর তার নিজের কাছে নেই।….

অরুর এসব ভাবনা কালে অয়ন কিন্তু অরুলে ভাল ভাবে দেখে নিয়েছে। হা খুব ভাল ভাবে অয়ন তার স্ত্রি এর চেহারা,বডি স্ট্রাকচার, ফিগার ভালমত অবজার্ভ করে নিয়েছে।….
সেইইইইইইইইই চেহারা,ফিগার অরুর। দুধে আলতা গায়ের রং, লম্বা সিল্কি চুল! আর ফিগার তো সেইইইইইইইইই হট।

বেস!!!! অয়ন এর সেই পছন্দ হয়েছে তার বউ কে।

Πঅয়ন বড়লোক বাপের একমাত্র ছেলে। বোন আছে ২ টা। একজন বড়, নাম আরোহি.. আর ছোট বোনের নাম অহনা। অয়ন পেশায় বাংলাদেশের বৃহৎ হাসপাতাল অ্যাপোলো হাসপাতাল এর CFO। মেয়েদের সে ভালবাসার পাত্র মনে করে না,ভোগ্যপন্য মনে করে। (যদিও সেটা মনে করার পিছনে তার যথেষ্ট কারন আছে তার… সে কারণ নাহয় পরেই জানান দিবে,এখন না!! )কাজের চাপে কখনো মেয়েদের দিকে অত নজর দেওয়ার সময় তার হয়ে ওঠে নি তাই মেয়েদের ভোগ্যপন্য মনে করলেও তাদের ভোগ করার অত ইন্টারেস্ট অয়ন এর জমে নি। কখনো কোন মেয়েকে দেখে এমন তীব্র পাওয়ার ফিলিংস আসে নি তার।আজ ই প্রথম তাও অরুকে দেখে ।বয়স ২৮ অয়নের মানে অরুর থেকে ৯ বছরের বড় সে। বিয়ে টা এক প্রকার জোর করেই দিয়েছে অয়ন এর বাবা মিঃনিসাদ হোসাইন তাকে কারন তার ধারনা ছেলের উপযুক্ত বয়স হয়েছে বিয়ের!!সংসারে মন নেই তার ছেলের, তাই দায়িত্ব ঘাড়ে পড়লে সংসারের প্রতি মন আসবে অয়নের… তাই ই নিজের বান্ধুবির মেয়েকে ছেলের জন্য পছন্দ করেছিলেন।যদিও বিয়ের আগে অরুর ছবি দেখেছে অয়ন কিন্তু অরু বাস্তবে আজ অয়নকে যে মুগ্ধ করেছে( হোক সেটা শারীরিক ভাবে) তা ছবি তে তো করেছিল না……Π

অরুর ভাবনায় ছেদ পড়লো আয়নের প্রশ্নে!

অয়ন: নাম কি তোমার?
অরু: জি আরিশা জামান
অয়ন:ডাক নাম??
তোমার??
<অরু এবার অবাকের চরম শীর্ষে..... তার স্বামি কি না তার নাম ই জানেনা>
অরু: জি অরু
অয়ন: হুম আরিশা হুসাইন অরু।নট জামান।মাইন্ড ইট।

অরু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে অয়নের দেওয়া টাকা টা ধীর পায়ে গিয়ে নিজের ব্যাগে রেখে দিল। এর ই মাঝে অয়ন অরুকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত খুব ভাল ভাবে আরেকবার পর্যবেক্ষন করে নিল।হ্যা এই মেয়েকে তার চাই….এখন এই মুহূর্তেই!!! কামনার তারণা তাকে মুহূর্তেই যানো গ্রাস করে ফেলছে। পলকেই সে অরুর পিছে গিয়ে দাড়ায়!
অরু যেই না পিছনে ফরতে যাবে অয়নের সাথে ঢাক্কা খেল। ভয় পেয়ে গেল সে।

অরু কিছু বুঝে ওঠার আগেই অয়ন আর দেরী না করে অরুকে কোলে তুলে নিল। বিছানায় ঠাস করে নামিয়ে অরুর উপর নিজের গায়ের ভর ছেড়ে দিল। অয়ন অরুর কাঁধে ঠোট বুলাচ্ছে আর ওরু ভয়ে কাঁপছে, অনেক ঘামছে এসি অন থাকার পরও! বাসর রাত কি তাহলে এমন ই হয়???? এ রাতে স্বামি কোন কথাই বলে না??
ভাল মন্দ জিজ্ঞাস ও করে না?? এখন কি হতে চলেছে তাহলে অরুর সাথে?? অরু ভয়ে হু হু করে কেঁদে দিল……….

অয়ন এর কানে অরুর কান্না যায় নি,বা হয়তো সে শুনেও না শোনার ভান করে তখনই অরুর ঠোটজোড়া নিজের দখলে নিয়ে নিল!…….

অরু থথথ…..
সে জানে এটা লিপ কিস,মুভি তে দেখেছে তো….কিন্তু সেখানে ২ জন মানুষ ভালবেসে পরম আপন হয়ে তো এমন করে কিন্তু তার বরের এমন করার মাঝে তো কোন ভালবাসা নেই! আর সে???সে তো স্বামি নামক লোকটাকে এখনো ঠিক মত ৫% ও চিনতে পারে নি, তার উপর সে তো লিপ কিস করতেই পারে না।দম আটকে আসছিল তার! … হাত পা ছুড়াতে লাগলে সে, কিন্তু অয়ন এর তো এখন অরুকে চাই,যে করে হোক।তার উপর অরু তার স্ত্রি! প্রায় ১০ মিনিট এভাবে কিস এর মাধ্যমে নিজেকে আরো উত্তেজিত করে নিল অয়ন। তারপর অরুর ঠোটে জোরে কামড় বসিয়ে দিল। অরু চিৎকার দিয়ে আরো জোরে কান্না শুরু করল। অরুর ঠোট দিয়ে রক্ত পরছে! অয়ন অরুর চিৎকার শিনে অরুর মুখ চেপে বলল….

অয়ন: ইসসস““`চুপ! আস্তে। আর এত কান্না করার কি আছে…?
( অরুর কান্না আরো বেড়ে গেল)
(অয়ন এবার ভ্রু একটা উঁচু করে অরুর দিকে তাকায় আছে,নাহ! অরুর মুখের দিকে কিন্তু না,অরুর বুকের দুকে)
তারপএ যেই না শাড়ির আচল সরাতে যাবে অরু বলে উঠল…
অরু: কি করছেন আপনি? আমার খুব ভয় করছে। আনাকে প্লিজ একটু সময় দিন। আমি এগুলো বুঝে উঠতে পারছি না।আমাকে একটু খাপ খায়িয়ে নিতে দিন অনুগ্রহ করে!!
(অয়নের এবার মেজাজ বিগরে গেল।বলে কি এই মেয়ে! )
অয়ন: বাবাহ এত গুছায় কথা বলতে পারো। কিন্তু লাভ নেই।
*এই বলে অয়ন আর এক সেকেন্ড ও অপেক্ষা না করে ঝাঁপিয়ে পড়লো অরুর উপর।অরুর শরীর থেকে শাড়ি টেনে খুলে ফেলল*
…………………………..
………………………….
ভোরের আলো চোখে পরায় ভাবনাত জগৎ এ ছেদ পরলো অরুর। নির্ঘুম সারা রাত কাটিয়েছে অরু কিন্তু
তার বুকের উপর অয়ন এখনো অঘোরে ঘুম।……….

চলবে……………..

2

ভোরের আলো চোখে পরায় ভাবনাত জগৎ এ ছেদ পরলো অরুর। নির্ঘুম সারা রাত কাটিয়েছে অরু কিন্তু
তার বুকের উপর অয়ন এখনো অঘোরে ঘুম।……….

|
||
|||
অরুর শরীর খুব ব্যাথা হচ্ছে,সরাতে চাচ্ছে সে অয়নকে তার বুক থেকে কিন্তু পারছে না।।।।
খানিকক্ষণ চেস্টার পর সে সক্ষম হল।অয়ন পাশ ফিরে ঘুমালো।অরু ওঠার চেস্টা করছে কিন্তু শরীরে মিনিমাম শক্তি তার নেই। থাকবেই বা কি করে বিয়ের অনুষ্ঠানের সম্পন্ন করে রাত ১১ টায় বাড়ী ফিরেছিল তারা, বিয়ের টেনশনে আর লজ্জার খাতিরে তেমন কিছু খায় ও নি।এর উপরে খালি পেটে তার বরের শারীরিক অত্যাচার!!!…

অরু আর কান্না করলো না।কান্না করার শক্তিও নাই এখন তার। বিছানা থেকে উঠে নিচে পরে থাকা শাড়ী টা কোনমতে গায়ে জরিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল সে।….
তখন বাজে সকাল ৬ টা। ওয়াশরুমে ঢুকে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলো অরু।………….. না শরীরের খুব কম সংখ্যক জায়গা আগের মত ক্লিন আছে আর বাকি সব জায়গায় দাগ, রক্ত জমাট বাধা। না দাগ বললে ভুল হবে এগুলা তার স্বামির ভালবাসার চিহ্ন…..কামড়,খামচির দাগ না এগুলো আদর অয়নের…..

১ঘন্টার ধরে শাওয়ার নিল অরু। তারপর নিজেকে হালকা গোলাপি আর সাদা পাড়ের মনিপুরি তঁাত শাড়ি তে জরিয়ে নিল।রাতের গয়না গুলা আবার পোরে নি। হাতে গোলাপি, সাদা রেশমী চুরি পরে নিল।…… ট্রি কোয়ার্টার ব্লাউজ আর চুরি তে হাতের দাগ গুলা ঢেকে গেল আর শাড়ি তে বুকের সহ সারা শরীরে দাগ ঢেকে গেল। ভেজা চুলগুলা দিয়ে পিঠের দাগগুলা ঢেকে গেলেও বাধ সাধলো ঠোটে সেই দাগ। লোয়ার লিপ্সে রক্ত জমাটা বেধে লাল টুকটুকে হয়ে ছিল ফুলে….. হা এখানেই তো গতকাল তার বর কামড় বসিয়ে দিয়েছিল………. কোন উপায় নেই অরুর স্বামির দেওয়া এই দাগ ঢাকার……….
তার উপর অনেক বেশি ক্ষুধা পেয়েছে অরুর। বমি এসে যাচ্ছে ক্ষুধার ঠেলায়। কেবল ঘড়ী তে বাজে ৭:১৫… কেউ কি উঠেছে বাড়ীর? কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছে না অরু।….. দরজার কাছে দাড়িয়ে ভাবছে সে যে ঘর থেকে বের হবে কি হবে না….বের হয়ে কি ই বা বলবে যে তার ক্ষুধা পেয়েছে???? কি ভাববে সবাই যে নতুন বউ বাড়ী আসছে একদিন ও হয় নি এখনই খাই খাই করছে!।:|

এমন নানান কথা ভাবতে থাকলো অরু! কোন উপায় ই না পেয়ে সাহস করে রুম থেকে বের হয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলো………………. নেমে যা ভেবেছিল তাই….! কেউ ই ওঠে নি শুধু বাড়ীর কাজের বুয়ারা ছাড়া!!! যে যার মত ঘরের কাজ করছে… অরুর দিকে তাকানোর সময় ই নেই কারো…….. আজ অরুর শাশুড়ি যদি থাকতেন তাহলে তার নজরে ঠিক ই হয়তো অরু পরতো…. কিন্তু তার শাশুড়ি নেই কে??? শুনেছিল মারা গেছে কিন্তু মারা গেলেও তো তার প্রসংগ একবার না একবার উঠার কিথা? কই?? কেউ ই বলে না তাকে নিয়ে কিছু….. তার উপর বাড়ীতে এক ছবি টাঙানো কিন্তু অরুর শাশুড়ির কোন ছবি নাই! নাকি হয়তো আছে!!! অরুর চোখে পড়ে নি!!!! পরবেই বা কিভাবে অরুর তো ভালকরে বাড়ী টা দেখাই হয় নি এখনো। আসা থেকেই তো নিজের ঘরে…….
……………
সেলিনা : আরে নতুন বউ? এত সক্কালে এইখানে কি????????? কিছু কইবা??????

অরু: জি মানে…. (অরু মাথা নিচে করে ফেলল)

সেলিনা : কও কও কিছু লাগবো নি? শরম কইরো না…..

অরু: অরু মাথা নিচু করেই বলল খালা আমার না খুব ক্ষুধা লেগেছে………

|`
||“`
|||““
||“`
|`
♣♠♣♠♣♠♣♠♣♠
হাসপাতালে মনমরা হয়ে বসে আছে জয়া। আজ বাকি দিনের তুলনায় আগেই এসেছে হাসপাতালে। সিজার ছিল একটা! কাজ সেরে কেবল এসে বসল নিজের কেবিনে! কিছুতেই তার মন বসছে না।ঘড়িবসবেই বা কি করে। গতকাল সারা দিন অয়মকে দেখে নি সে।লোক টা কেন গতকাল আসল না!! সে কি বোঝে না যে রোজ তাকে না দেখলে জয়ার চলেই বা।বড্ড বেশি ভালবাসে যে সে অয়ন কে।ঘড়ির দিক নজর গেল কেবল বাজে সকাল ৭:৪০.! অয়ন তো ৯:৩০ এ আসে রোজ। ঠিক ৯:৩০.!!!১মিনিট ও লেট হয় না তার!! সময়ের বিষয়ে সে অনেক সচেতন…! তাই তো চিন্তা করতে হয় না জয়ার। কিন্তু গতকাল যখন ৯:৩০ বেজে আরো ৩০ মিনিট পার হয়ে গেল জয়ার অস্থিরতা যেন বেড়েই যাচ্ছিল…… যখন সারাদিন পার হয় রাত ৯:৩০!”! জয়া তো পাগলপ্রায়……. ফোন যে করবে তার ও তো অধিকার নেই জয়ার। অয়ন যদি কিছু মনে করে…… ভাবতেই মন খারাপ হয়ে গেল জয়ার
..

Π জয়া বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। এই তো গত বছর আপোলো হাসপাতাল এ জইন্ট করেছিল গাইনোক্লোজিস্ট হেসেবে। হাসপাতালে তার অনেক নাম ডাক ১ বছরের মাঝেই। অনেক মেয়েরা তো এপয়েন্ট হবার আগেই বলে দেয় যে সিজার করালে ডঃজয়া শেখ এর কাছেই করাবে……… MBBS পাশ করার পর জয়ার বাবা মিঃআফজাল শেখ কত বললেন বিদেশ যেতে… সে যায় নি…তিনি এও বলেছিলেন যে তিনি ১বছরের মাঝে জয়াকে জয়ার নিজের হাসপাতাল তৈরী করে দেবেন, তাতেও জয়া নারাজ।সে Apollo তে ই জইন করবে….. যেদিন জয়া interview দিতে ১ম হাসপাতালে ঢুকেছিল সেদিন interview room এ প্রথম দেখে অয়ন কে। অয়ন এর এটিটিউট, কথা বলার ভঙ্গী দেখে ফুল ক্রাশ খেয়েছিল জয়া অয়নের উপর। সেই ক্রাশ ই ১বছরের মাথায় ভালবাসায় পরিণত হয়েছে যে কবে জয়া বোঝে নি। জয়া শুধু এটুক জানে রোজ অয়ন কে না দেখলে, কাজের সূত্রে ১ঘন্টা অয়নের সাথে না কাটালে তার ভাল লাগে না।………….. Π

[]আজ কি অয়ন আসবে? নাকি আজ ও আসবে না??….. জানা নেই জয়ার[]

|||
|
|
♠♣♠♣♠♣♠♣♠♣(সেলিনা অল্প করে খিচুড়ি, দিন ভাজি, আচার দিল অরুকে খেয়ে…অরু সাথেসাথে খেয়ে নিল সব)
সেলিনা: ইশ রে মাইয়াডার খুব ক্ষুধা লাগছিল রে…ঠিক ই খায় নাই তো রাতভোর কিছু। সাহেব, অয়ন বাবা, অহনা মা সবাইই ই তো রাইতে কিছু না কিছু খাইছে! মাইয়াডারে তো সাধে নাই।……… (মনেমনে)
সেলিনা: নতুন বউ এই বাড়ী তে সক্কলে ঠিক ৮:৩০ টায় রুম থেইকে বাইর হয়।৯ টার মদ্ধি বাইর হইয়ে যায় যে যাইর কাজে।৮টায় রানতি যায় মিনু। রান্না কইতে ওই চা, বেরেড বাটার আর জুস।
আপনি ওগো লগে আবার খাইয়েন।এই খিচুরি আমি ফিরিজ থেইকা বের কইরা গরম কইরা দিছি। নুতন বউ এই খাওয়াইছি হুনলে সাহেব রাগ করবে……
(অরু মাথা নারিয়ে সন্মতি দিল,উঠে হাত ধুয়ে নিজের রুমে যাবে বলে সিঁড়ি তে পা বাড়ালো)

৮:৩০ নাগাদ আয়নের ঘুম ভাঙ্গল…… ঘুমঘুম চোখের মবাইল অন করে ৮:৩০ বাজে দেখে মেজাজ সেই বিগরে গেল অয়নের!!! এত লেট কিভাবে উঠলো সে! ধপ করে উঠে বসলো সে। গায়ের চাদর সরায় উঠতে যাবে হাত আটকে গেল তার। রাতের কথা মনে পরলো অয়নের। ওহ এখন তো সে বিবাহিত।ভোরের দিকে ঘুমানোর পর ও সেই শান্তির ঘুম হয়েছে মেয়েটার বুকে। পাশে তাকিয়ে দেখলো মেয়েটা নেই………. গেল কই??
হুট করে চোখ গেল সামনের স্কাঊচ এর দিকে।কুরিয়েমুরিয়ে শুয়ে আছে অরু নামের মেয়েটা…….
তার বউ। ভেজা চুল গুলো কয়েকটা সামনে এসে কপাল ঢেকে গেছে..দুধে আলতা গায়ের রং,গোলগাল দেখতে। অরুকে দেখে অয়নের রাগ যেন নিমিষেই চলে গেল।….
বিছানা থেকে উঠে টাওয়াল টা নিজের কোমরে জড়িয়ে অরুর কাছে গেল। ভাল করে কিছুক্ষন অরুকে দেখে ওর চুল গুলা মুখ থেকে সরাতে যাবে আবার মনে পরে গেল যে সে লেট হচ্ছে…তাড়াতাড়ি আলমারি থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে গেল শাওয়ার নিতে।।।।।

শাওয়ার নিয়ে চুল মুছতে মুছতে বের হয় অয়ন।অরু এখনো ঘুমাচ্ছে! ঘুমাবেই বা না কেন সারারাত তো অয়ন তাকে ঘুমাতে দেয় নি…….! অয়ন সুট, প্যান্ট, সু পড়ে রেডি হয়ে নিল। এমনিই অনেক হ্যান্ডসাম অয়ন তার উপর অফিসের ড্রেসাপে তাকে আরো হ্যান্ডসাম লাগে।।।অয়ন ঘড়ি হাতে পড়তে পড়তে অরুর দিক তাকাতেই অরুর ঘুম ভেংগে গেল। অরু চোখ খুলে তাকাতেই সামনে তার স্বামিকে দেখতে পেল একদম টিপটপ অবস্থায়…. অয়নকে দেখে কিছুটা হা করেই তাকায় ছিল অরু… অয়ন অরুকে উদ্দেশ্য করে বলল….
অয়ন: এদিকে আসো
অরু:………….
অয়ন : কই? কুইকক…..
( অরু ধীর পায়ে অয়নের কাছে গেল)
(অয়ন নিজের ওয়ালেট টা পকেটে ঢুকিয়ে অরুর দিক তাকালো…..অরুর কোমরে হাত দিয়ে ওকে নিজের কাছে নিয়ে এলো)(অরু হাত পা কাঁপছে, তার থেকে বেশি কাঁপছে অরুর ঠোট জোরা আর অয়ন সেদিকই তাকিয়ে আছে ) (অয়ন তার এক হাত দিয়ে অরুর ঠোটের কাটা স্থান স্পর্শ করলো, অরু কেঁপে উঠলো! ব্যাথা যে ওখানটায়!!!)
অয়ন: বাহ বেশ সুন্দর লাগছে তোমার গোলাপি ঠোটে আমার বাইট এর স্পট টাহ! সো হট!♥(বলে অরুর ঠোটের ওই জায়গার ছোট্ট করে একটা চুমু দিল…………. ♥♥ অরু আবারো কেঁপে উঠলো! চোখ জোড়া বড়বড় করে তাকিয়ে আছে অরু!! ওর ঠোট কাপাও বন্ধ হয়ে গেছে এবার।)
[]অরু ভাবছে এএএএ কোন অনুভুতি♥♥♥♥♥ কই গতরাতে তো এই মানুষটাই সারা রাত ধরে অরুর শরীরের এমন কোন জায়গা নেই যে ছোঁয় নি, চুমু দেয় নি…এমন অদ্ভুত অনুভুতি তো হয় নি অরুর তখন !!! এখনের ছোঁয়ায় অরু প্রথম একটু ভালবাসা পেল যা কাল রাতে ছিল না []
(অরুর এমন চোখ গোলগোল করে তাকিয়ে থাকা দেখে অয়ন ভ্রু কুছকে বলল……..)
অয়ন : আজ তোমার চক্করে আমি উঠতে লেট করলাম!! আমার কেরিয়ার লাইফে এই ফাস্ট!
(অরু কিথাটা শুনে বোকার মত তাকিয়ে আছে আয়নের দিকে)
অয়ন: আর কি যেন বলছিলে রাতে? অহ হা “আমার একটু সময় চাই, অগুলো করেন না,আমাকে সময় দিন এসবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্লা ব্লা ব্লা”
অরু হয় তুমি বোকা নয় অনেক বেশি চালাক। অবশ্য মেয়েদের বোঝা অসম্বব! নাটকে তো তোমরা নাম্বার ১! তোমাদের কোনটা আসল ব্যক্তিত্ব আর কোনটা নকল বোঝা অসম্বব…..
অরু:………
( অয়নের কথা গুলা যেন অরুর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে! কি বলছেন উনি এসব? আগা মাথা কিছুই বুঝছি না মনেমনে বলছে অরু)
অয়ন: যাক।।.<অয়ন অরুর কোমর ছেড়ে দিয়ে একটু দুরে দাড়ালো >.. অয়ন:তোমরা কেমন আমার তা বোঝার বুন্দুমাত্র ইচ্ছাও নেই। লুক ৯:৩০ বাজে <ঘড়ির দিকে ইশারা করে>এখন থেকে রাত ১০ পর্যন্ত হিউজ টাইম তোমার কাছে। যত সময় চাই এই খাপ খাওয়াতে নিয়ে নেও। আমি ফিরে তোমার ঢং দেখবো না, তোখন আমার তোমাকে চাই।। i mean to say তোমার শরীর টাকে! be prepared!!!!!!!!

(কথাটা বলে অয়ন রুম থেকে বের হয়ে গেল মোবাইল নিয়ে)(অরু অয়নের প্রথম কথাগুলা না বুঝলেও শেষ কথাগুলা খুব ভাল করে বুঝেছে তাই নিঃশব্দে চোখ থেকে পানি ঝড়াচ্ছে)
[]
[]
[]

ওদিকে জয়ার মন খারাপ এখন অস্থিরতায় পরিণত হয়েছে….
অস্থিরতা বললে ভুল হবে চরম অস্থিরতা!!! ৯;৩০ তো কখন পার হয়ে গেছে!! কই? অয়ন তো এলো না………..
সে কি তাহলে আজ ও আসবে না? কি হয়েছে তার?……. জয়ার চোখ বেয়ে ২ ফোটা পানি গরিয়ে পরলো……. তাহলে কি আজ ও অয়নের দেখা মিলবে না?………
.
চলবে………….

1 COMMENT

  1. অনেক ধন্যবাদ এইরকম একটা অসাধারণ গল্প দেওয়ার জন্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here