#অদ্ভুত__মুগ্ধতা ”
পর্ব ১০
মিশু মনি

.
সবাই চুপচাপ খাবার খাচ্ছে।মিশু অবাক হয়ে চেয়ে আছে মর্ম’র দিকে।একটা সময় বুঝতে পারলো সবাই ওর দিকেই চেয়ে আছে।তখন লজ্জা পেয়ে টুক টুক করে খেতে আরম্ভ করলো।

খাওয়া শেষ হতেই সাফায়েত উল্লাহ সাহেব সকলকে বিয়ের কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন। মৈত্রীর উপর দায়িত্ব পড়েছে বিয়ের কার্ড সবার বাসায় পৌছে দেওয়া, ডেকোরেশনের কাজগুলো দেখাশুনা করা।মর্ম’র কাজ হচ্ছে বর কনের পোশাক থেকে শুরু করে আপ্যায়ন পর্যন্ত সবরকম কেনাকাটা,ওয়েডিং প্লানারকে সাহায্য করা,রান্নাবান্না পর্যবেক্ষণ করা।তানিন সকলের সাজসজ্জা আর মেকাপের ডিরেকশন দেবে।ওর কাজটাই সবচেয়ে মজার।গায়ের হলুদের আগের দিন থেকে বৌভাত পর্যন্ত বাসার সকলে কে কোন পোশাক পড়বে,কেমন গেট আপ নেবে,বর কনের ড্রেস আপ,কেনাকাটা,এসকল কাজ।তবে নিজ দায়িয়্বের বাইরেও সবাইকে সব ধরণের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।কাজের মেয়ে হিমুর কাজ হচ্ছে সবার নির্দেশ মেনে কাজ করা আর আত্মীয়স্বজন দের কারো যাতে কোনো অসুবিধা না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখা।

সবাই মিলে আলোচনা শেষ হলে যে যার কর্মস্থলে যাবার জন্য প্রস্তুত হলো।মিশু লিস্ট হাতে নিয়ে সাফায়েত উল্লাহ সাহেবকে দিয়ে বললেন, এইসব জিনিস কিনতে হবে।আজকেই ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব লিস্ট হাতে নিয়ে বললেন, আমার ম্যানেজার এসে দিয়ে যাবে।আজ সবাই সবার কর্মস্থলে যাচ্ছি।বাসায় শুধুমাত্র তুমি আর হিমু থাকবে।টেক কেয়ার ওকে?
– জি আংকেল।আপনি ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব হেসে বেড়িয়ে পড়লেন। ওনার সাথে ওনার স্ত্রী ও বেড়িয়ে গেলেন।মাত্রা খুজিন্তাকে নিয়ে বেড়াতে যাবার জন্য অনেক আগেই বেড়িয়ে পড়েছে।মর্ম ও তানিন একসাথে এফডিসির দিকে রওনা দিয়েছে।এখন বাকি শুধু মৈত্রী।ও এখনো বেরোচ্ছে না কেন?

মিশু কৌতুহলী হয়ে মৈত্রীর ঘরের দরজায় এসে উকি দিলো। দেখল মৈত্রী খুব মনোযোগ দিয়ে কি একটা কাজ করছে।ওকে বিরক্ত করা ঠিক হবেনা।এটা ভেবে মিশু চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই মৈত্রী নরম গলায় ডাকল,মিশু..
মিশু থমকে দাঁড়িয়ে বলল,কাজ করছিলেন বলে ডিস্টার্ব করিনি।
– আসো,ভিতরে আসো।
মিশু মৈত্রীর ঘরে এসে বসতে বসতে বলল,সবাই চলে গেছে।আপনি ই শুধু বাকি।
– আজ যদি আমি সারাদিন বাসাতেই থাকি?
– বাসায় থেকে কি করবেন?
– তোমার সাথে সারাদিন গল্প করবো।
– একদিন চেম্বারে বসলেই আপনার অনেক টাকা আয় হয়।আমার জন্য অযথা কেন বাসায় বসে থাকবেন?

মৈত্রী অবাক হয়ে খেয়াল করলো মিশুকে খুবই বিষন্ন দেখাচ্ছে।এমন ফুটফুটে মেয়েটা মন খারাপ করলে একটু ও ভালো লাগেনা।কি হলো ওর হঠাৎ?
মৈত্রী জিজ্ঞেস করলো,মিশু তুমি কি কোনো কারণে আপসেট?

মিশু একবার চোখ তুলে মৈত্রীর দিকে তাকালো।ছলছল করে উঠল মিশুর চোখ।খুবই করুণ সে দৃষ্টি।দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটার কোথাও কোনো বড় ধরণের কষ্ট আছে।এই বুঝি কেঁদে ফেলবে ও।ওর করুণ ও অসহায় মুখের দিকে তাকিয়ে বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াল মৈত্রী।সেই মুহুর্তে দাঁড়ানো মাত্র কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই মিশু ছুটে এসে মৈত্রীকে জড়িয়ে ধরলো। মৈত্রীকে জাপটে ধরে ফুঁপিয়ে কেদে উঠল ও!
মৈত্রী একদম হতবাক! ও চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।এই প্রথম ও খানিক টা ভড়কে গেছে ব্যাপার টায়।কোনো শব্দ বা নড়াচড়া না করেই ও ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। মিশু ওর বুকে মাথা রেখে অঝোরে কেঁদে চলেছে।

মৈত্রী কোনো প্রশ্ন করলো না।মিশুকে বাধা দিলো না,এমনকি মিশুর গায়ে হাতও রাখলো না।মিশু একাই ওকে জাপটে ধরে অনবরত কেঁদে চলেছে।প্রায় মিনিট দশেক ধরে ও কাদলো।মৈত্রী দশ মিনিট ধরেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। এরপর মিশুর হাত আস্তে আস্তে শিথিল হয়ে গেলো। তারপর ও মৈত্রীকে ছেড়ে দিয়ে এক দৌড়ে ঘর থেকে ছুটে বেড়িয়ে গেলো।

ঘটনার আকস্মিকতায় মৈত্রী একদম নির্বাক।এই প্রথম ওর মনে হতে লাগলো মিশু এখন স্বাভাবিক নেই।ওর সত্যি কোনো সমস্যা আছে।এখন ব্রেইনের উপর কোনোভাবে চাপ পড়ার কারণে এভাবে কেঁদে দিলো।মেয়েটা নিশ্চয় ই কোনো বড় ধরণের আঘাত পেয়েছিল।সেটা থেকেই এমন হয়েছে।আর মাঝেমাঝে এ কারণেই ও আপসেট হয়ে পড়ে।শুধুমাত্র এই একটা ঘটনা থেকেই মৈত্রী অনেক ব্যাখ্যা দাড় করিয়ে ফেললো।

তারপর দ্রুত তৈরী হয়ে মিশুকে ডাকতে ডাকতে বাইরে আসলো।এসে দেখল মিশু তানিনের রুমে সোফার উপর গালে হাত দিয়ে বসে আছে।মৈত্রী ধীরেধীরে এসে ওর পাশে বসলো। তারপর বলল,মিশু আমার চোখের দিকে তাকাও তো।
মিশু লক্ষী মেয়ের মত ওর চোখের দিকে তাকালো।এখনো ওর চোখ ভেজা।খুবই করুণ দৃষ্টি! চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে।মৈত্রী বলল,আমার চোখের দিকে তাকিয়েই থাকো।আর যা যা জিজ্ঞেস করছি তার উত্তর দাও।
মিশু হেসে বলল,আমাকে হিপনোটাইজ করবেন নাকি?
– তুমি ঠিকঠাক উত্তর দিলে হিপনোটাইজ করবো না।
– না বললে করবেন?
– করতেও পারি।
– ঠিকাছে জিজ্ঞেস করুন,আমি উত্তর দিচ্ছি।
মৈত্রী ওর চোখের দিকে তাকিয়েই বলল,তোমার কখনো সিটিস্ক্যান করা হয়েছিলো?
– হ্যা হয়েছিলো।
– কবে?
– আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি।
– কেন? কি সমস্যা হয়েছিল?
মিশু এবারে চোখ নামিয়ে নিলো।দৃষ্টি ঘোরালো অন্যদিকে।যেন এই প্রশ্নের উত্তর ও মৈত্রীকে বলতে চায় না।অন্যদিকেই চেয়ে রইলো।
মৈত্রী বলল,মিশু আমাকে বলতে পারো।তুমি কি অসুস্থ হয়েছিলে?
– হ্যা হয়েছিলাম।
– আচ্ছা থ্যাংকস। লক্ষী মেয়ে তুমি।
মৈত্রী হেসে মিশুর মাথায় একবার হাত বুলিয়ে দিলো।মিশু বলল,এবার আপনি একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো।
– হ্যা বলো।
– আপনার নাম মৈত্রী কেন হলো?
– তোমার নাম মিশু কেন হলো?
– আমি সবার সাথে অনায়াসে মিশি তাই আমার নাম মিশু।কিন্তু আপনি মুসলিম হয়ে এমন নাম নিয়েছেন কেন?
– মৈত্রী মুসলিম দের নাম হয়না?
– আগে কখনো শুনিনি।কিন্তু এটা শুনেছি যে,ভগবান বুদ্ধ আবারো নাকি জন্মাবেন। আর তখন ওনার নাম হবে মৈত্রেয়।

মৈত্রী এক মুহুর্ত অবাক হয়ে তাকাল।তারপর বলল,এটার উত্তর পরে বলবো। আমাকে এক্ষুনি একটা কাজে যেতে হবে।আমার ঘরে অনেক বই রাখা আছে।যেটা খুশি নিয়ে পড়ো গিয়ে।আমি তাড়াতাড়ি ফিরবো। টেক কেয়ার।
কথাগুলো বলেই মিশুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মৈত্রি দ্রুত বেড়িয়ে গেলো।মিশু আপন মনেই বলল,নিশ্চয় ই নিজের নামের অর্থ ও জানেনা।তাই এভাবে ছুটে পালালো।নিজের নামের অর্থ আর নাম রাখার কারণ টা তো সবার জানা উচিৎ। যেমন, খাটো মানুষ দের নাম সবসময় নাট,বল্টু আর স্ক্রু টাইপের হয়।কিন্তু কেন হয় তা কি ওরা জানে?

.
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব অফিসে গিয়েই ম্যানেজারের হাতে লিস্ট টা দিয়ে বলেছেন দ্রুত এই জিনিস গুলো ম্যানেজ করে আমার বাসায় দিয়ে আসার ব্যবস্থা করুন।ওনার নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ম্যানেজার সাহেব তড়িঘড়ি করে সব জিনিস জোগাড় করে ওনার বাসায় পাঠিয়ে দিলেন।
মিশু সবকিছু বুঝে নিয়ে ঘরের এক কোণায় সাজিয়ে রাখল।তারপর আলপনা আকার রঙ গুলো হাতে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো কোন জায়গায় কোন রঙের আলপনা আকা হবে!


মর্ম ও তানিন ডিরেক্টর অয়ন চৌধুরীর সাথে দেখা করতে ওনার অফিসে গিয়েছে।উনি খুব জরুরি কথা বলবেন বলে মর্ম ও তানিন কে ডেকেছেন।ওরা অয়ন চৌধুরীর রুমে বসে চা খেতে খেতে কথা বলছে।অয়ন ভাই জানালেন খুব শীঘ্রই একটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।আরো আট টা দেশ এতে অংশগ্রহণ করবে।অনেক বড় ধরণের একটা উৎসব।তিনি চাচ্ছেন মর্ম এতে অংশগ্রহণ করুক।

মর্ম সব শুনে বলল,আমি চেষ্টা করবো ভাই।এর আগে কখনো ফেস্টিভ্যালে কাজ করিনি।তাই একটু অনভিজ্ঞ বলতে পারেন।
অয়ন ভাই বললেন, মর্ম,ফেস্টিভ্যালে সাধারণত আর্টফিল্ম গুলো সিলেক্টেড হয়।আর আর্টফিল্ম এ দেশের জনগণ তেমন একটা দেখে না।সো,তুমি যদি প্রথম সাত জনের মধ্যে থাকতে পারো, তাহলে তোমার ক্যারিয়ার নিয়ে আর চিন্তা করতে হবেনা।কিন্তু যদি সিরিয়ালে না থাকো,তোমার ফিল্মে লস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।তাই যা করবা,ভেবে করবা।

মর্ম তানিনের দিকে তাকালো।তানিন হেসে ইশারায় ওকে বুঝিয়ে দিলো, কাজটা করা উচিৎ।তারপর যা হবার হবে।মর্ম চিন্তা করতে লাগলো কি করা যায়? আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রথম দিকে থাকাটা অনেক কঠিন।তার চেয়েও কঠিন হচ্ছে মনোমুগ্ধকর একটা ছবি বানানো।একজন ডিরেক্টর তার সবটুকু দিয়ে একটা ছবি বানান,কাজটা যতটা আনন্দের ঠিক ততটাই কঠিন।

মর্ম একমনে চিন্তা করছে সে অংশগ্রহণ করবে কিনা।এমন সময় তানিন হঠাৎ বলল,আমরা অবশ্যই অংশ নেবো।
মর্ম মেঝের দিকে তাকিয়ে গালে হাত দিয়ে ভাবছে।তানিনের কথায় ও একটু ও ভাবান্তর হলোনা।
অয়ন চৌধুরী বললেন, স্টোরি, হিরো হিরোইন,প্রডিউসার যেকোনো কিছুর জন্য হেল্প লাগলে আমাকে বলবে।
তানিন তৎক্ষণাৎ জবাব দিলো,সবকিছুর ব্যবস্থা আমি করবো।
এবারে একটু চমকে উঠল মর্ম।তানিন তো ফিল্মের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ।ও কি ব্যবস্থা করবে?
তানিন বললো,অয়ন ভাই।আমার বাবা একজন লেখক। যদিও বই ছাপান না,কিন্তু উনি কত ভালো লেখেন সেটা আমি জানি।আমি আমার বাবার লেখা দিয়ে ছবি বানাবো।আর প্রডিউসার লাগবে না,আমরা শর্টফিল্ম বানাবো। যা টাকা লাগে,সবটাই আমি দিবো।লাভ হলে আমাদের হবে,লস হলেও আমাদের ই হবে।প্রডিউসার কে এটা নিয়ে টেনশন করতে হবেনা।আর নায়িকা নিয়েও ভাবতে হবেনা।ফিল্মের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবো আমি নিজেই।

এতক্ষণে বড় ধরণের চমক খেলো মর্ম।চমকে উঠে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো তানিনের দিকে।ওর ছোট্ট বোনটা এত বড় বড় কথা বলতে পারে! এইতো কদিন আগেও ফিল্মের জগতের কিছুই বুঝতো না।আর আজ সে নিজেই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্য শর্টফিল্ম বানাতে সাহস পাচ্ছে! তানিন সত্যিই অনেক বড় হয়ে গেছে!
মর্ম নিষ্পলক ভাবে চেয়ে আছে ওর ছোট বোনটার দিকে।অয়ন চৌধুরী হেসে বললেন, আরে মর্ম তোমার আর চিন্তা কিসের? এমন একজন জিনিয়াস বোন থাকতে তোমার ভাবতে হয়?
তানিন বলল,অয়ন ভাই আমরা এ পৃথিবীতে সকলেই অভিনেতা।এখানে আমরা সবাই প্রতিনিয়ত অভিনয় করি।তাহলে সিনেমায় আলাদা করে অভিনয় করার কি আছে? শুধু নিজের ভিতর থেকে সত্যিকার সবচেয়ে ভালো অভিনয় টাকে টেনে বাইরে আনতে হয়।
অয়ন ভাই হেসে বললেন, স্যালুট তোমায়।
মর্ম অবাক হয়েই চেয়ে আছে।ও কি বলবে বুঝতে পারলো না।

অয়ন চৌধুরি জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে ডিসিশন ফাইনাল?
তানিন জোর গলায় জবাব দিলো, একদম।আর কয়েক দিন পর মাত্রার ওয়েডিং প্রোগ্রাম।এটা হয়ে গেলেই আমরা কাজ শুরু করবো।
– বাহ! দারুণ খুশি হলাম।আমি জানি তোমরা একদিন অনেক উপরে উঠে যাবে।
তানিন লাজুক ভঙ্গীতে হেসে বলল,আমি উপরে উঠতে চাইনা।আমার ভাইটাকে উপরে তুলে দিতে চাই।

একথায় মর্ম আরেকবার অবাক হলো।সত্যি আজ ওর বিস্ময়ের সীমা নেই! চোখে জল এসে যাচ্ছে।চোখ বন্ধ করে ফেললো ও।চোখের জল ও কাউকে দেখাতে চায়না।

অফিস থেকে বেড়িয়ে মর্ম তানিন কে জিজ্ঞেস করলো, তোর নায়িকা হওয়ার শখ আছে আগে কক্ষনো জানতাম না।
– আমার নায়িকা হওয়ার শখ নেই।আমি শুধুমাত্র নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে চাই।

মর্ম মুগ্ধ হয়ে ভাবতে লাগলো,তানিনের ব্যক্তিত্ব একদম অনন্য! প্রত্যেক টা নারীই একেকজন রহস্যময়ী।আমার মা অনেক সাধাসিধা কিন্তু অদ্ভুত ভালোবাসার ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছেন।বাবাকে উনি আমাদের চেয়েও বেশি ভালবাসেন।খুজিন্তা হচ্ছে আরেকজন রহস্যময়ী।ও সর্বক্ষণ কিছু একটা নিয়ে ভাবছে।আর মিশু? সে তো ধরা ছোঁয়ার বাইরে! খুব সহজেই ওকে সবার থেকে আলাদা করা যায় কিন্তু বিশ্লেষণ করা কঠিন! সত্যিই নারী বিধাতার অপূর্ব সৃষ্টি!

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here