#অদ্ভুত__মুগ্ধতা
৩য় পর্ব
©মিশু মনি
.
বিয়ের প্রোগ্রাম হবে শুনে খুজিন্তা একটু বেশিই অবাক হয়েছে! সত্যিই ব্যাপার টা আশ্চর্য রকমের বিস্ময়কর! এত সহজে কারো বিয়ে মেনে নিয়ে প্রোগ্রাম করার বিষয় টা এর আগে কখনো দেখেনি ও।তাছাড়া সাফায়েত উল্লাহ সাহেব নিজেই খুজিন্তার বাসায় মিষ্টি নিয়ে গেছেন এটাও আশ্চর্যের ব্যাপার! ভাবতেই কাজী পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেলো ওর।
এ বাড়িতে ঢোকার পর থেকেই চোখ ঘুরিয়ে আশপাশ টা দেখছে ও।বাড়ির সাজসজ্জা দেখেই বোঝা যায় সকলে অনেক রুচিশীল। মাত্রার পরিবার টা যে এত সুন্দর হবে এটা ও কল্পনাও করেনি।
★
মৈত্রী হেসে বলল,কাজল মোটেও ছ্যারাব্যারা হয়নি।তুমি বসো।
– ভাইয়া তো বাসায় নেই।
– আমি তোমার সাথেই গল্প করতে এসেছি।
মিশু অবাক হয়ে বলল,আমার সাথে! আমি কি মহাপুরুষ টাইপের কেউ নাকি?
– হয়ত বা।
– হুম,তাহলে গল্প শুরু করুন।
– তুমি শুরু করো।
– আমার তো অনেক গুলো ব্রেকিং নিউজ আছে।শুনবেন?
– হ্যা শুনবো।
– আমার কাজিন অনামিকার বিয়ের সম্বন্ধ এসেছে।পাশের বাড়ির চাচার একটা ছাগলের তিন টা বাচ্চা হয়েছে।নিয়নের ব্রেকাপ হয়ে গেছে।আর গুলো মনে নেই।
– বাহ! অনেক নিউজ জানো দেখছি।
– হ্যা।এবার আপনি বলুন আপনার খবর কি?
– আমার সেরকম কোনো খবর নেই।
– আশেপাশে কত কিছু ঘটছে। একটু চোখ কান খোলা রাখলেই হয়।
মৈত্রী একটু ভেবে বলল,আমার সবচেয়ে ছোট ভাই মাত্রা আজ সকালে বিয়ে করে বউ নিয়ে বাসায় এসেছে।
মিশু লাফিয়ে উঠে বলল,ওয়াও! গ্রেট নিউজ! আগে বলবেন না?
– আগে তো তুমি জানতে চাওনি।
– জানতে না চাইলে বুঝি বলা যায়না? চুপিচুপি বিয়ে?
– হ্যা,
– প্রেমের বিয়ে তাহলে।নতুন বউ দেখতে কেমন?
– খুবই মিষ্টি।
– খেয়ে দেখেছেন?
– না।
– তাহলে কিভাবে বুঝলেন মিষ্টি?
– সব জিনিস খেয়ে দেখার মত না।বোঝার মত ও কিছু জিনিস আছে।
– উদাহরণ দিন তো।
– মাঝেমাঝে অনেকে বলে গল্পটা খুব মজার।গল্প কি খাওয়া যায়? নিশ্চয় ই অনুভব করে বুঝে নেয়?
মিশু চেঁচিয়ে উঠে বলল,উফ আপনি তো খুব ব্রিলিয়ান্ট! আচ্ছা নতুন বউয়ের নাম কি?
– খুজিন্তা।
– কি জিন্তা?
– খুজিন্তা।
মিশু কয়েক সেকেন্ড চেয়ে রইলো মৈত্রীর দিকে।তারপর বলল,এ কেমন নাম! আগে কক্ষনো শুনিনি!
– হ্যা।মেয়েটা তোমার মতই চঞ্চল।
– সত্যি! আমার না বউটাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।
– দশ দিন পর ওদের ওয়েডিং প্রোগ্রাম।তখন তোমাকে দাওয়াত করবো।
– না।আমি আজই দেখবো, এক্ষুনি দেখবো।
– এক্ষুনি?
মিশু খুব জেদ ধরল আজই খুজিন্তাকে দেখতে যাওয়ার।মৈত্রী ও মিশুর আম্মু ওকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু মিশু নাছোড়বান্দা। সে আজই নতুন বউকে দেখতে যাবে।নয়ত খুঁজতে খুঁজতে মৈত্রীর বাসায় গিয়ে বউ দেখে আসবে।
মৈত্রী ভাবল,এই মেয়েকে বিশ্বাস নেই।রাত্রিবেলা আম গাছে চড়ে বসে থাকতে পারে যে মেয়ে,সে অনায়াসে মৈত্রীর বাসায় চলে যেতে পারবে।কাজেই ওকে একবার নিয়ে গিয়ে খুজিন্তার সাথে দেখা করিয়ে দিলেই চলবে।
সবকিছু ভেবে ও মিশুকে বলল রেডি হতে।ডাক্তারের সাথে যাচ্ছে শুনে মিশুর মা ও আপত্তি করলেন না।চিকিৎসার স্বার্থে কতকিছুই করতে হবে!
মৈত্রী মিশুকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো।
♦
তানিন ও মর্ম নিজেদের কাজে গেছে।বাসায় আছে সাফায়েত উল্লাহ সাহেব,তার স্ত্রী, মাত্রা, খুজিন্তা ও কাজের মেয়ে হিমু।
মৈত্রি কলিং বেল টিপতেই হিমু দরজা খুলে দিলো। মৈত্রীর পাশে মিশুকে দেখে বড় ধরণের ধাক্কা খেলো হিমু।কয়েক মুহুর্ত নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে থেকে এক ছুটে ভিতরের দিকে চলে গেলো।
চেচাতে চেঁচাতে বলল,আম্মা গো।সর্বনাশ হয়া গ্যাছে।
– কি হইছে?
– মৈত্রী ভাই ও বিয়া করে বউ আনছে।
কথাটা শুনে সাফায়েত উল্লাহ সাহেব দাঁড়িয়ে পড়লেন। স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ভুল শুনলাম না তো?
– দুজনেই ভুল শুনার কথা না।এসব হচ্ছে টা কি?
– সেটা তো আমার ও প্রশ্ন।শেষ পর্যন্ত মৈত্রী ও বিয়ে করে ফেললো!
ওনার স্ত্রী এসে স্বামীর বুকে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ভাগ্য মাঝেমাঝে কতটা নির্মম হয় দেখেছ? আমাদের দুই ছেলে একা একাই বিয়ে করে ফেললো। আমাদের জানালে তো নিজেই মেয়ের বাসায় প্রস্তাব নিয়ে যেতাম।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব হেসে বললেন, ওরা আমাদের খাটুনি আর খরচ টা বাঁচিয়ে দিয়েছে।ভালো ছেলে আমাদের।
– এই পরিস্থিতি তে ও তোমার মুখে হাসি আসছে?
– ছেলেরা বিয়ে করে বউ এনেছে।হাসা উচিৎ না?
– তোমার জন্য।তোমার লাই পেয়ে পেয়ে ছেলেরা আজ এসব করার সাহস পেয়েছে।
– চলো বউ দেখে বরণ করি।পরে মর্ম ও বিয়ে করে আনলে দুই বউ একসাথে বরণ করতে কষ্ট হবে।
বলেই হাসলেন।ওনার স্ত্রী অবাক হয়ে তাকালেন একবার।তারপর চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলেন।তার সব রাগ এখন স্বামীর উপর। লোকটা খুব কেমন যেন!
মৈত্রীর মাকে দেখে মিশু সালাম জানাল।উনি সালাম নিয়ে তাকিয়ে রইলেন।
মিশু জিজ্ঞেস করল,আপনি কাঁদছেন কেন?
– শখে কান্দি।
মিশু এগিয়ে এসে বলল,কাঁদবেন না আন্টি।ছেলে বিয়ে করেছে বলে কাদতে হয়না।সে যাতে সুখী হবে ভেবেছে,তাই করেছে।
ছেলের বউয়ের মুখে এই কথা শুনলে যেকোনো মহিলার ই রেগে যাওয়ার কথা।মৈত্রীর মা রাগলেন কিনা বোঝা গেলো না।ডুকরে কেঁদে উঠলেন।
মিশু ওনার চোখের পানি মুছে দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন ওনাকে।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেবের হাসি পাচ্ছে ভীষণ। মৈত্রীর বউ তো চমৎকার মেয়ে! এসেই শ্বাশুরিকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে!
মিশু বলল,আন্টি আপনি কাঁদবেন না।কারো কান্না দেখলে আমারো কান্না পায়।প্লিজ আন্টি।
এবারে উনি নিজেকে সামলে নিয়ে মিশুর দিকে তাকালেন।মেয়েটা বেশ রূপবতী! ভালো মেয়েই মনে হচ্ছে।কিন্তু মৈত্রীর মত একজন মানুষ একা বিয়ে করবে এটা ভাবাই যায় না!
মৈত্রী বলল,মা। এর নাম হচ্ছে মিশু।
– বিয়ে করে এনে আবার পরিচয় করানো হচ্ছে?
কথাটা বলেই মা কাঁদতে কাঁদতে ভিতরে চলে গেলেন।মৈত্রী কিছু বুঝতে না পেরে হা করে তাকিয়ে রইলো। তারপর বলল,আব্বু।আম্মু এভাবে বলল কেন?
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব বললেন,তুই ও বিয়ে করে বউ নিয়ে বাসায় ফিরবি এটা তিন্নি ভাবতে পারেনি।
মিশু খিলখিল করে হেসে উঠল।মৈত্রি বাবার কাছে এসে বলল,ওহ মাই গড! তোমরা ভেবেছ আমি বিয়ে করে এনেছি? ওহ আব্বু।তোমরা ভুল বুঝেছ।
তারপর কানেকানে বলল,মিশু আমার পেশেন্ট।
বাবা হেসে বললেন, পুরনো পাগলে ভাত পায়না।নতুন পাগলের আমদানি।
– আব্বু,আম্মুকে বোঝাও।মিশু আমার বউ নয়।
– তোর আম্মুকে বোঝাতে গেলে আরো ঝামেলা বাধবে।বাড়িটা তো পাগলা গারদ নয়।
– আব্বু একটু আস্তে।মিশু শুনতে পাবে।
– পাগল কে পাগল বললে কিছুই হয় না।
মৈত্রী ফিসফিসিয়ে বলল,ও পাগল নয়।সামান্য একটু ব্রেইন ডিফেক্ট আছে হয়ত।এখনো ওর কোনো মেন্টাল ডিসঅর্ডার ধরা পড়েনি।সেটা বুঝার জন্যই ওকে পর্যবেক্ষণ করছি।
বাবা ও হেসে ফিসফিসিয়ে বললেন,তাহলে আরও সমস্যা।তোর আম্মু ভাব্বে এতদিন কোনো পেশেন্ট বেড়াতে আসেনি,আজ মাত্রার বিয়ে করা মাত্রই বেড়াতে আসলো।নিশ্চয় ই এটা তোর বউ?
এমন সময় মিশু এগিয়ে এসে বলল,আপনারা ফিসফিস করছেন কেন?
মৈত্রী বলল,আম্মু ভেবেছে আমি তোমাকে বিয়ে করে এনেছি। খুব হার্ট হয়েছে।
– ও এই ব্যাপার! আমি বলে দিচ্ছি আমি আপনার বউ নই।আমি নতুন বউকে দেখতে এসেছি।
– সেটা বললে আম্মু বিশ্বাস করবে কেন?
– তাহলে বলে দিন মিশু একজন ওয়েডিং প্লানার।
– ভালো বলেছ।কিন্তু তুমি কি ও ধরণের কাজ জানো?
– কি যে বলেন! একুশ টা বিয়ের দায়িত্ব এই মিশু পালন করেছি।
– বাহ! ভালো তো।তাহলে তো খুবই ভালো হয়।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব বললেন, মিশু তো খুব চমৎকার মেয়ে।অনেক গুণ দেখছি ওর! মৈত্রী এটাই তোর আম্মুকে বল।
– আইডিয়া টা ভালো। কিন্তু মিশুদের বাসা অনেক দূর।ঢাকা শহরের জ্যামের অবস্থা তো জানো ই।রোজ রোজ অতদূর থেকে ওকে কে নিয়ে আসবে?
– ওয়েডিং প্লানারের দায়িত্ব যখন নেবে,তখন তো ওর অনেক কাজ।মিশুর সমস্যা না হলে বিয়ের পরের দিন পর্যন্ত ও এই বাড়িতেই থাকুক।
মৈত্রী এইবার মিশুর দিকে তাকাল।মিশুকে খুব উৎফুল্ল দেখাচ্ছে।
ও বলল,আমার কোনো সমস্যা নেই।ভাইয়াকে শুধু রাজি করাবেন।
– আচ্ছা।কিন্তু কাজটা তুমি পারবে তো?
– খুব পারবো। আজ আমি বউ দেখেই বাড়ি যাবো।জামাকাপড় নিয়ে কাল আসবো।
– আচ্ছা।
তারপর বাবার দিকে তাকিয়ে বলল,আব্বু। মিশু কিন্তু খুব পাজি।ঝামেলা না বাধিয়ে ফেলে।
বাবা হেসে বললেন, বিয়ে বাড়িতে দু একটা বান্দর না থাকলে হয়না।তোর মা বলে আমি নাকি হনুমান।এবার হনুমান বান্দরে মিলে বাড়িটাকে না হয় মাতিয়ে রাখবো।
মৈত্রী হেসে রান্নাঘরের দিকে গেলো। যদিও ব্যাপার টা মজার,তারপর ও কেমন যেন লাগছে।মিশু তো অসুস্থ,একজন পেশেন্টকে এই কাজের দায়িত্ব দেয়াটা কি ঠিক হলো? অবশ্য মিশুর সমস্যা এখনো ধরা পড়েনি! হতে পারে ওর কোনো সমস্যাই নেই।ওর সাংঘাতিক দুষ্টুমি গুলো দেখে ওর বাড়ির লোকরা ভয় পেয়েছিল হয়ত।
★
তানিন গালে হাত দিয়ে বসে আছে শুটিং স্পটে।সামনেই একটা শর্ট ফিল্মের শুট নেয়া হচ্ছে।নায়িকা দেখতে ভালো ই কিন্তু অভিনয় টা ঠিক জমছে না।মেয়েটার হাত নাড়ানো, কথা বলার স্টাইল সবকিছু তেই একটা অতিরিক্ত পার্ট! নায়িকার পার্ট থাকাটা স্বাভাবিক।কিন্তু এসব চরিত্রে পার্ট দিয়ে কিছুই হয় না।প্রয়োজন হয় আর্ট।প্রতিটা অভিনয়েই আর্ট ফুটিয়ে তুলতে হয়।এই মেয়েকে দিয়ে সেটা সম্ভব না।
তানিন যতই দেখছে,ওর মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে।এবার নিজেই উঠে গিয়ে ক্যামেরাম্যানের গায়ে চিমটি কাটল।
শর্টফিল্ম টার ডিরেকশন দিচ্ছে মর্ম।তানিন ওকে বলল,ভাইয়া একটু শুনবি?
– হ্যা রে বল।
-এই নায়িকা দিয়ে কাজটা করাস না।
মর্ম চমকে তাকাল তানিনের দিকে।তারপর বলল,কেন?
– ভাইয়া,অভিনয় যত ন্যাচারাল হয়,দর্শকের মনে তত জায়গা করে নেয়।এই মেয়েটার কাজ দেখেই মনে হচ্ছে ও একটিং করছে।তার উপর ও ওভার একটিং করে।কিন্তু এইসব চরিত্রে ভিতর থেকে আবেগ টা প্রকাশ করতে হয়।তবেই তো অন্যের মনে প্রভাব ফেলবে।তাই না?
মর্ম কি যেন ভাবল।তারপর বলল,ভেবেছিলাম আজকে কোথাও ঘুরতে যাবো।সেটা তো আর যাওয়া হল না। স্ক্রিপ্ট রেডি করাই ছিল।তাই হুট করেই কাজ শুরু করলাম।
– কয় মিনিটের ফিল্ম?
– ৮ মিনিট।
তানিন একটু ভেবে বলল,আমি পার্ট টা করে দিচ্ছি।
বলেই মেকাপ ম্যানকে ডাকতে ডাকতে চলে গেলো।মর্ম অবাক হয়ে চেয়ে আছে! মেয়েটাকে এর আগে অনেক বার রিকুয়েস্ট করেছিল একটা শর্টফিল্মে অভিনয় করার জন্য।কিন্তু রাজি হয়নি।আজ হঠাৎ নিজে থেকে করতে চাইলো! মেয়েটার কখন যে কি মতিগতি হয় বুঝা মুশকিল!
♦
মৈত্রী রান্নাঘরে ঢুকেই মাকে ব্যাপার টা বুঝিয়ে বলল।মা সবটা শুনে বললেন,
– ওইটুকুন বাচ্চা মেয়ে কিভাবে বিয়ের দায়িত্ব সামলাবে?
– আম্মু,ও একুশটা বিয়ের কাজ করে দিয়েছে।তাছাড়া আমার বন্ধুর বোন তো,পরিচিত মানুষ। কম খরচেই একটা সুন্দর আয়োজন করা যাবে।অন্য কাউকে ডাকলে বাজেট টা বেশি পড়তো।
– কি জানি বাবা।আমাদের বিয়ের সময় এসব প্লানারের দরকার হয়নি।আমরা নিজেরাই ভালো ভালো প্লান করতে পারতাম।
– মেয়েটা অনেক ট্যালেন্ট।
– হ্যা।খুব ভালো লেগেছে আমার। চল,আলাপ করি গিয়ে।
মা মিশুর সাথে আলাপ করতে যাচ্ছে।ভাগ্যিস মিশুটা একটা ভালো বুদ্ধি দিয়েছে।নয়ত আম্মুকে বোঝানো টাই কঠিন হয়ে দাঁড়াত।
.
.
.
.
.
চলবে….