#শ্রাবণের_শেষ_সন্ধ্যা
#১৭তম_পর্ব
এর মাঝেই দেখা হয় শ্রাবণের সাথে। শ্রাবণ তার ক্যামেরায় সাজেকের বহু সৌন্দর্য তুলে রেখেছে। আজ সে ফিরবে ঢাকা। শান্তের সাথে দেখা হতেই জড়িয়ে ধরে সে। নবনীতার মুখভাব পালটে যায় শ্রাবণকে দেখে। শ্রাবণের সাথে তার গত পরশুর কথাটা বলা হয় নি শান্তকে। শান্ত কিভাবে প্রতিক্রিয়া করবে তা জানা নেই তার। সেজন্য ই বলা হয় নি। নবনীতা শ্রাবণের সামনে থাকতে বিব্রতবোধ হতে থাকে। তাই সে শান্তকে বলে,
“আপনারা কথা বলুন, আমি পলি ভাবির সাথে কথা বলে আসছি।“
বলেই নবনীতা পলি এবং নন্দিনীর কাছে চলে যায়। তারাও সুর্যোদয় উপভোগ করতেই এসেছিলো। শান্তকে একা পেয়ে হুট করেই শ্রাবণ বলে উঠে,
“তোদের মধ্যে আই মিন, তোর আর নবনীতার মধ্যে সব ঠিক আছে তো?”
শ্রাবনের প্রশ্নে হতচকিত হয় শান্ত। বিস্মিত কন্ঠে বলে,
“হঠাৎ এই প্রশ্ন?”
“আসলে, তোর ওয়াইফ এর ব্যাপারে আমার কিছু বলার আছে তোকে। কিন্তু বুঝতে পারছি না কিভাবে বলবো। একজন থার্ড পার্সন হয়ে তোদের ভেতরে কথা বলাটা কাইন্ড অফ অড। ইভেন আই হ্যাভ নো রাইট টু জাজ ইউর ওয়াইফ। কিন্তু আমার মনে হলো কথাগুলো না বললে লেট হয়ে যাবে।“
শ্রাবণ খানিকটা ইতস্ততভাবেই কথাটা বললো। শ্রাবণের কথাগুলো শুনে ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে গেলো শান্তের। সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো শ্রাবণের দিকে। সন্দেহের ক্ষীণ রেখার আবির্ভাব হলো তাতে। মনের ভেতর কৌতুহলেরা বীজ বুনছে। শ্রাবণ শান্তের চাহনী দেখে বলে,
“ডোন্ট গেট মি রং। আমি সত্যি জানি না তোদের মধ্যকার রিলেশনটা ঠিক কেমন? তবুও কথাগুলো বলছি।“
“না পেঁচিয়ে সরাসরি বল, কি কথা?”
“তোর ওয়াইফের ব্যাগে এন্টি কাটার থাকে, তুই কি জানিস এই ব্যাপারটা?”
“এন্টি কাটার? লাইক সিরিয়াসলি?”
“শুধু তাই না, সে আমার উপর হামলাও করেছে। পরশুদিন ক্যাম্পফায়ারের সময়……”
শ্রাবণ ধীরে ধীরে সেদিনের সকল ঘটনা শান্তকে বলে। শান্ত হতবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে শ্রাবণের দিকে। এই ঘটনাগুলি নবনীতা তাকে জানায় নি। এতো বড় ঘটনা সুন্দর লুকিয়ে গেছে তার কাছে। শান্ত দূর থেকে নবনীতার দিকে তাকায়। নবনীতা তখন হেসে হেসে কথা বলছিলো পলির সাথে। শ্রাবণ শান্তের দৃষ্টি অনুসরণ করে বলে,
“আমার মনে হয়, নবনীতা কোনো একটা কারণে খুব ভয় পেয়ে আছে। ওর মনের ভেতর ভয়টা বাজে ভাবে আকার নিয়েছে। সেই কারণেই হয়তো এইভাবে সেদিন রিয়াক্ট করেছে। ওর রিয়াকশনটা খুব এবনরমাল ছিলো। ও ইভেন যখন আমাকে এট্যাক করছিলো ও রীতিমতো কাঁপছিলো। তাহলে চিন্তা কর, কতোটা পিক পজিশনে থাকলে মানুষ এমন রিয়াক্ট করে। এই কথাগুলো তোকে বলাটা জরুরী ছিলো। একটা মানুষের সাথে ভয়ানক ইন্সিডেন্ট না হলে সে এতোটা ট্রমাটাইজ হয় না, সাধারণত। দেখ, আমি জানি না তোর আর তোর ওয়াইফের রিলেশনটা ঠিক কেমন? বাট এজ এ হাসবেন্ড তোর উচিত ওকে একটু সাপোর্ট করা। যাতে ও ফ্রিলি তোর কাছে ওপেন আপ হতে পারে। ওর ভেতরের ভয়টা ওকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। যাই হয়ে যাক না কেনো, ওকে ট্রাস্ট টা করিস। আমার কেনো যেনো মনে হলো, ওর একটা ট্রাস্ট ইস্যু আছে। কেউ ওকে ট্রাস্ট করে না বলে, ও ও কাউকে ট্রাস্ট করতে পারছে না। যেকারনে ও ওপেন আপ হতে পারছে না। আই হোপ ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড।“
শ্রাবণের কথাগুলো শুধু শুনে গেলো শান্ত, কিছুই বললো না। তার দৃষ্টি শুধু নবনীতার দিকে। তার হাস্যজ্জ্বল মুখটা দেখে বুকটা ছ্যাত করে উঠলো তার। একটা মেয়ে নিজের ভেতর কতো কিছু সহ্য করে রেখেছে। শপিং মলের সেই ঘটনার পর থেকে মেয়েটার পুরো জীবনটাই উলোট পালট হয়ে গিয়েছে। শান্ত ব্যাপারগুলো খেয়াল করেছে কিন্তু এতোদিন পাত্তা দেয় নি। নবনীতার প্রতি এতোদিন এতোটা টান অনুভূত হয় নি। তবে এই ট্যুরে যখন বুঝতে পারলো সে নবনীতার প্রতি আসক্ত হচ্ছে তখন ব্যাপারগুলোকে এড়িয়ে যাবার মানেই হয় না। সম্পর্ক যেভাবেই শুরু হোক না কেনো, এটা তাদের একান্ত। শান্ত ম্লান হাসি দিয়ে শ্রাবণকে বলে,
“আমি নবনীতাকে ঠিক বের করে আনবো। আমি আমার শ্যমলীকে হারিয়ে যেতে দেবো না দেখিস।“
শ্রাবণ হেসে বললো,
“বেস্ট অফ লাক। আই হোপ নবনীতা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আসলে মানুষের মনটা খুব নরম হয়, ক্ষত, যখন পেতে পেতে সেটা কঠিন থেকে কঠিন তর হয়। নবনীতা ওর জীবনে ঠিক কি ধাক্কা খেয়েছে তা আমার জানা নেই, জানতেও চাইবো না। তবে সেই ধাক্কাটা ওর জীবনে খুব বাজে ভাবে ইফেক্ট করেছে। আই হোপ তুই ওর জীবনে নতুন সূর্যের কিরণের ন্যায় ওর কালো অধ্যায়ের অন্ধকারগুলো ঘুচিয়ে দিবি। থাক, আমার প্যাকিং করতে হবে। একেবারে ঢাকা চলে যাবো। বাই দ্যা ওয়ে তোদের কিছু ভালো ছবি আছে, এডিট করে মেইল করে দিবো নে।“
“শিওর, ইনশাআল্লাহ আবার দেখা হবে।“
“ইনশাআল্লাহ। নবনীতার কাছ থেকে বিদায় নিবো না। তুই ওকে বলে দিস।“
“ওকে।“
শ্রাবণ চলে গেলে শান্ত নবনীতার কাছে যায়। নবনীতা তখন পলিদের সাথে ছবি তুলছিলো। শান্ত গিয়ে ঠিক ওর পাশে দাঁড়ায়। আলতো হাতে ওর কাঁধে হাত রাখে। নবনীতা তার দিকে তাকালে সে মুচকি হেসে বলে,
“ছবিটা নষ্ট হয়ে যাবে তো। ক্যামেরার দিকে তাকাও“
নবনীতা কথা বাড়ায় না। পলি শান্ত এবং নবনীতার অনেকগুলো ছবি তুলে দেয়। তারপর বেশ কিছুক্ষণ শান্ত এবং নবনীতা সাজেকের ঢালু রাস্তায় হাটে। শান্ত নবনীতার হাতটা নিজের হাতের ফাঁকে রাখে। তারপর মৃদু গতিতে হাটে। নবনীতাও বাঁধা দেয় না। তারা হেটে যায় মেঘের নগরীর পিচঢালা পথে। এখানে বহু ছোট ছোট দোকান আছে। একটা দোকানে নবনীতারা যায়, সেখানে একটা নীল রংগের থামি কিনে সে। শান্ত সেই ফাঁকে নবনীতার জন্য একটা পাহাড়ী কানের দূল কিনে। কিন্তু নবনীতা সেদিকে খেয়াল করে না। সে সবার জন্য কিছু না কিছু কিনে। এই সাজেক ট্যুরের ২ রাত তিন দিন তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মূহুর্ত। দোকান থেকে বের হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে, মেঘে ঢাকা শহরটির দিকে। সে আবার ফিরে আসতে চায় এই মেঘে ঢাকা নগরীতে_____________
কক্সবাজার পৌছাতে পৌছাতে সন্ধ্যা ৭টা বাজে শান্তদের। মাঝে বাসটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। খাগড়াছড়ি থেকে বের হতে বেশ সময় লেগেছে তাদের। শান্তরা “সি প্রিন্সেস” হোটেলে উঠে। হোটেলটা বিচের অনেক কাছে। তিন কিলোমিটারের মধ্যেই সুগন্ধা বিচটা পড়ে। শান্তদের রুম থেকে সাগর বেশ ভালো করেই দেখা যায়। নবনীতা রুমে এসেই গা এলিয়ে দেয় বিছানায়। সকাল থেকে এক নাগারে বসে বসে তার মাজা ধরে এসেছে। শান্ত রুমে লাগেজ রেখেই চলে যায় ওয়াশরুমে। এর মাঝেই নবনীতার ফোনটা বেজে উঠে। নবনীতা ফোন হাতে নিতেই দেখে শারমিন বেগম ফোন করেছে। শারমিন বেগমের সাথে গত তিনদিন ভালো করে কথা হয় নি নবনীতার। তার ফোনের টাওয়ার না থাকায় নেটওয়ার্ক একেবারেই পায় নি। ফোনটা ধরেই উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বলে,
“মা, আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছো?”
“ওয়ালাইকুম সালাম, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আসি, তুই?”
“আলহামদুলিল্লাহ মা, আমরা মাত্র কক্সবাজার পৌছেছি। রুমে ঢুকলাম।“
“জামাই কেমন আছে?”
“আছে আলহামদুলিল্লাহ”
“ফিরবি কবে তোরা?”
“এই তো আগামী পরশু রাতে।“
“ঢাকায় একে কিন্তু বাসায় আসবি জামাইকে নিয়ে। কতদিন তোদের দেখি না বলতো?”
“নিশাদ, বাবা কেমন আছে?”
“সবাই আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছে। তো সাজেক কেমন ঘুরলি? তোকে ফোন দিয়ে বেশ কিছুবার পাই নি।“
“আসলে ওখানে আমার সিমের টাওয়ার নেই তো। তাই মাঝে মাঝে নেটওয়ার্ক থাকতো না। ওখানে খুব ভালো লেগেছে মা। মেঘে ঘেরা শহর। কাঠের রিসোর্ট। কি সুন্দর! তোমাদের একবার নিয়ে যাবো। তুমি তোমাদের খবর বলো মা?”
নবনীতা হেলান দিয়ে শারমিন বেগমের সাথে গল্প জুড়ে দেয়। সময় পেরিয়ে যায় তাদের হুশ নেই। এর মাঝে শান্ত গোসল সেরে বেড়িয়ে আসে। শান্ত এলে শান্ত ও শ্বাশুড়ির সাথে কথা বলে। সাধারণত সে শাশুড়ির সাথে কথা বলে না। কিন্তু আজ কেনো জানে নিজ থেকেই যেচে কথা বলে শারমিন বেগমের সাথে। শান্তের এই পরিবর্তনটা অবাক করে নবনীতাকে। আবার কোথাও একতা ভালো লাগাও কাজ করে। কথা শেষে শান্ত বলে,
“তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি রুমে ওর্ডার করে নিচ্ছি।“
নবনীতা মাথা দোলায়। ঘন্টা খানেক বাদে নবনীতা ভেজা চুলে বেড়িয়ে আসে। খাবার চলে এসেছে। শান্ত বেশ সুন্দর করে খাবার সার্ভ করেছে। নবনীতা বেড়িয়ে এলেই শান্ত রুমের লাইটটা নিভিয়ে দেয়। পকেটের লাইটার দিয়ে চারটা মোম জ্বালায়। ঘরে এসি চলছে। তার মাঝে মোমের আলো। বাহিরে বৃষ্টি নেমেছে। শ্রাবণ চলে গেলেও শ্রাবণের আমেজ যায় নি। মেঘের দলেরা সন্ধি করেছে তারা আজ বর্ষণ খেলা খেলবে। বাহিরে বর্ষণ, রুমের ভেতরে মোমের স্মিত আলো। পরিবেশটাকে রোমাঞ্চকর করে তুলেছে। নবনীতা অবাক কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
“এসব কি?”
“ক্যান্ডেল লাইট ডিনার। ম্যা আই মাই লেডি?”
বলেই হাত বাঁড়িয়ে দেয় সে। শান্তের এমন কাজে অজান্তেই হাসি ফুটে উঠে নবনীতার অধরে। সেও হাত এগিয়ে দেয়। তারা রুমের কর্ণারের টেবিলটিতে বসে। খাবারের ট্রলিটা পাশেই রয়েছে। শান্ত চেয়ার এগিয়ে দেয় নবনীতাকে। অনন্য পরিবেশে ডিনার শেষ করে তারা। ডিনার শেষে কানের দূলটা এগিয়ে দেয় শান্ত। তারপর বলে,
“তুমি বারবার ফিরিয়ে দিলেও আমি বারবার এগিয়ে আসবো।“
কথাটার মর্মার্থ বুঝতে বাকি থাকে না নবনীতার। খাওয়া শেষে হোটেলের সার্ভিস বয় সব নিয়ে যায়। ক্লান্ত শরীরে দুজনের রাত জাগার শক্তি থাকে না। নবনীতা শুয়ে পড়তেই ঘুমিয়ে যায়। আর শান্ত তার হাতটা নিজের দু হাতের ফাঁকে রেখে চোখ বুজে_________
সকাল ১০টা,
বৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর। নবনীতা দাঁড়িয়ে আছে ব্যালকনিতে। বিচে যাওয়া মানা করে দিয়েছে গার্ডরা। সাগরের ঢেউ বেসামাল। নবনীতা সাতার পারে না। তাই বীচে যাবে না শান্ত। শ্রাবণ মাস পাড় হয়ে গেলেও শ্রাবণ পিছু ছাড়ছে না। বৃষ্টি হুটহাট হয়েই যাচ্ছে। ব্যালকনি থেকে সাগর দেখতে ভালো লাগছে না নবনীতার। সাগর কি দূর থেকে দেখার জিনিস। সেটা তো কাছে যেয়ে অনুভব করতে হয়ে। শান্ত, তার ল্যাপটপ খুলে কাজ করছে। অফিসের একতা ফাইল দিতে হবে তাকে। নবনীতার ইচ্ছে হচ্ছে লোকটার মাথা ভাঙ্গতে। ভ্যাকেশনে কে কাজ করে? সাজেক গিয়ে সেধে সেধে কথা বলতো অথচ এখন উলটো ল্যাপটপে বসে রয়েছে সে। এই তার এগিয়ে আসা? নবনীতার ফোনটা বন্ধ হয়ে আছে। নয়তো গান শুনতো সে। এবার মুখ ফুলিয়ে শান্তের সামনে বসলো সে।
“মোবাইল টা দিন”
গোমড়া মুখে কথা বললো নবনীতা। ল্যাপটপ থেকে মুখ না উঠিয়েই শান্ত বললো,
“তোমার মোবাইল কি হয়েছে?”
“আমার মোবাইল চার্জ নেই। চার্জ দিয়েছি। মোবাইলটা দিন তো। গান শুনবো।“
শান্ত কথা না বাড়িয়ে মোবাইলটা লক খুলে এগিয়ে দেয় নবনীতার দিকে। নবনীতা অবাক কন্ঠে বলে,
“পাসওয়ার্ড কি? আসলে লক হয়ে গেলে বারবার আপনাকে জ্বালাতে হবে। তাই বলছিলাম”
“17 08 21”
নবনীতা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো শান্তের দিকে। লোকটা নির্লিপ্ত ভাবেই পাসওয়ার্ডটা বললো। শুধু তাই নয়, এটা তাদের বিয়ের তারিখ। নবনীতা আর বসলো না। চলে গেলো বারান্দায়। কানে এয়ারফোন দিয়ে গান শুনতে লাগলো,
“কিছু কিছু কথা
বসে আছে ভিজে
মিছি মিছি ব্যথা
হয় নিজে নিজে
ঝরে যাওয়া পাতা
জুড়ে বসে ডালে
মেঘে মেঘে কথা
শোনে সে আড়ালে
আকাশ যখন গাইবে বলে
বাদলেরই গান
বাতাস তখন বয়তে গিয়েও
দেখায় অভিমান, অভিমান।
আকাশ যখন ফিরতি পথের
মন খারাপের সুর
বাতাস তখন নীরব চিঠি
পাঠায় বহুদূর, বহুদূর “
তখন ই একটা মেইল আসে শান্তের মোবাইলে। মেইলের নোটিফিকেশন সাউন্ড আসলে নবনীতার চোখ যায় মোবাইলে। মেইলটির উপরে লেখা “নবনীতা”……………
চলবে