#শ্রাবণের_শেষ_সন্ধ্যা
#১৪তম_পর্ব
সাজেকের অসীম সৌন্দর্যে সে যেনো হারিয়ে যেতেও রাজী। খানিকটা এগিয়ে গিয়ে নবনীতা দাঁড়ায় বারান্দার কর্ণিশে। অবাক চাহনীতে দেখতে থাকে পাহাড়। ঠিক তখন ই একটা ক্যামেরার আওয়াজ শুনতে পায় সে। পাশ ফিরতেই দেখে তাদের ঠিক পাশের বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক যুবক খুব ধৈর্যের সাথে তার ছবি ক্যামেরা বদ্ধ করছে। সে ছবিটি তুলে ক্যামেরা চোখ থেকে নামালো, নিজের তোলা ছবিটা পুনরায় দেখলো। তারপর বিরক্তির সাথে একটা আওয়াজ করলো। মনে হলো তার তোলা সুন্দর ছবিটা বিগড়ে গিয়েছে। নবনীতা অবাক চোখে ছেলেটাকে দেখতে লাগলো। বয়সে তার থেকে বেশ বড় লাগছে। কোকড়া চুল কপাল বেয়ে নেমে এসেছে। শ্বেত বর্ণের যুবকটি উচ্চতায় শান্তের সমান হবে। তার চোখ গুলো বেশ অন্যরকম, ঘোলাটে সুগাঢ় চোখ। হয়তো অতিরিক্ত শ্বেত হবার কারণে চোখগুলো এমন। পরণে কালো টিশার্ট এবং ঢোলা মোবাইল প্যান্ট। সে পুনরায় ক্যামেরা মুখের সামনে ধরলো। কিন্তু নবনীতা এখনো তার দিকেই তাকিয়ে রইলো। তাই সে একরাশ বিরক্তি নিয়ে নবনীতার উদ্দেশ্যে বললো,
“ধ্যাত, দিলেন তো পুরোটা ছবি বিগড়ে। নিন এবার একটু আগের পজিশনে দাঁড়ান তো।“
যুবকের এমন কথায় মাথায় ধপ করে আগুন জ্বলে উঠলো নবনীতার। একেই তার পারমিশন ব্যাতীত ছবি তুলছে। এখন আবার তাকে হুকুম দিচ্ছে। নবনীতা ঝাঝিয়ে উঠলো,
“এক্সকিউজ মি, আপনি পারমিশন ব্যাতীত আমার ছবি তুলছেন কেনো?”
“সৌন্দর্যের ছবি তুলতে বুঝি পারমিশন লাগে?”
যুবকের নির্লিপ্ত উত্তরে আরোও মেজাজ বিগড়ে যায় নবনীতার। কড়া কন্ঠে সে বলে,
“জড় কোনো বস্তুর ছবি তুলতে পারমিশন লাগে না, কিন্তু আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন আমি একটা জ্বলজ্যান্ত মানুষ। এটাকে ভদ্রতা বলে, হয়তো আপনি সেটা জানেন না।“
“ওহ, তাই বুঝি? তবে এবার পারমিশন নিয়েই বলছি। একটা ছবি তুলতে পারি কি?”
“আজ্ঞে না।“
বলেই সঠান ভেতরে চলে আসে নবনীতা। মেঘ দেখার ইচ্ছেটাই মাটি হয়ে গেছে তার। একটা অভদ্র লোক, বিনা ম্যানার্সে তার ছবি তুলছে। কোথায় একটু নমনীয়তা দেখাবে, না! উলটো এটিটিউড দেখাচ্ছে। এর মাঝেই শান্ত বেড়িয়ে আছে শাওয়ার নিয়ে। নবনীতাকে ফুসতে দেখে মাথা মুছতে মুছতে অবাক কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
“রেগে আছো মনে হচ্ছে? কিছু কি হয়েছে?”
“আমরা রুম চেঞ্জ করছি”
“কিন্তু কেনো? এটা এখানের ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট রুম। সকালে এখান থেকে বেটার মেঘ দেখা যায়।“
“বারান্দায় যদি দুদন্ড না দাঁড়াতে পাড়ি, সেখানে মেঘ দেখা গেলেও কি লাভ?”
নবনীতার কথার আগামাথা বুঝতে পারে না শান্ত। তাই টাওয়ালটা বিছানায় রেখেই বলে,
“একটু ঝেড়ে কাশো তো। আমি কিছুই বুঝছি না।“
“পাশের রুমে কে বা কারা উঠেছে জানি না। বিনা পারমিশনে আমার ছবি তুলছে একটা লোক। তাই এই রুমে থাকবো না।“
নবনীতার কথা শুনার সাথে সাথেই মুখের ভঙ্গিমা বদলে যায় শান্তের। চোয়ালজোড়া শক্ত হয়ে যায় তার। সময় নষ্ট না করে বারান্দায় চলে যায় সে। মেজাজটা অত্যধিক খারাপ হয়ে গেছে তার। সেও দেখতে চায়, কে এই লোক যে বিনা পারমিশনে তার বউ এর ছবি তুলেছে। বারান্দায় পৌছে দেখে যুবকটি এখন সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। সে একটা পারফেক্ট ছবি তোলার প্রচেষ্টায় আছে। কিছু এখনো সেটা ক্যামেরা বন্দি হয় নি। শান্ত কোনো ভনীতা ব্যাতীত ই তার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়,
“এক্সকিউজ মি, আপনি কি একটু আগে আমার ওয়াইফের ছবি তুলেছেন? কাইন্ডলি ওটা ডিলেট করবেন।“
হুট করে এমন প্রশ্নে যুবক খানিকটা চমকে উঠে। সে ক্যামেরা নামিয়ে হতবাক দৃষ্টিতে শান্ত এর দিকে তাকায়। কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার পর তার ঠোঁটে এক অদ্ভুত হাসি ফুটে উঠে। উচ্ছ্বাসিত কন্ঠে বলে,
“শান্ত না? সিটি কলেজ ১০ ব্যাচ?”
“জ্বী?”
“আমাকে চিনতে পারিস নি? আমি শ্রাবণ, সিটি কলেজ ১০ ব্যাচ ”
শান্ত কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে থাকে। সে সত্যি চিনতে পারে নি ছেলেটিকে। যুবকটির নাম শ্রাবণ। তারা একই সাথে সিটি কলেজে ইন্টার পড়েছে। খুব পরিচিত মুখের মধ্যে একজন ছিলো সে। কলেজের প্রায় অনেক প্রোগ্রামের অফিশিয়াল ফটোগ্রাফার ছিলো শ্রাবণ। পড়াশোনা ব্যাতীত ও একটি জগৎ আছে সেটা কেবল ওকে দেখলেই বোঝা যেতো। কিন্তু হুট করেই ছেলেটা হারিয়ে গেলো। আজ এগারো বছর পর আবারো ছেলেটা শান্তের সামনে এসে দাঁড়ালো। ছেলেটি একেবারেই পালটে গিয়েছে। আগে চশমা পড়তো, এতো বড় বড় ঝাকরা চুল ছিলো না, মুখে দাঁড়ি ছিলো না। সবসময় ক্লিন শেভ থাকতো সে। মেয়েদের হার্ট থ্রব ছিলো। শ্রাবণ হেসে বলে,
“চেনা কি যায়?”
“সত্যি, আমি চিনতে পারি নি। এগারো বছর পর তোকে দেখবো কল্পনাও করি নি।“
“আমিও, এখানে এসেছি ভ্যাকেশনে। ভাবলাম কিছু ছবি তোলা যাক।“
“এখনো ফটোগ্রাফি করিস।“
“ছাড়তে পারলাম না রে।“
নবনীতা তখন বারান্দায় প্রবেশ করে। শান্ত যেভাবে বারান্দায় গিয়েছিলো। সে ভেবেছিলো একটা গন্ডগোল আজ হবেই। কিন্তু কিসের কি? সে তো এখানে হাসাহাসি করছে। নবনীতাকে দেখে শ্রাবণ বলে,
“সরি রে, তোর ওয়াইফের ছবিটা না বলে তুলেছি। সরি ভাবী, আসলে আপনার ছবিটা এতো সুন্দর ফ্রেমে আসছিলো সে লোভ সামলাতে পারি নি।”
যুবকের মুখে ভাবী শুনে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় নবনীতা। শান্ত তখন হেসে বলে,
“নবনীতা, ও আমার কলেজ ফ্রেন্ড, শ্রাবণ। কলেজের পর আর দেখা হয় নি ওর সাথে। আর শ্রাবণ সি ইজ মাই ওয়াইফ, নবনীতা।“
“ওয়াও, নবনীতা। মানে নতুন জীবন। আপনার নামটা আপনার মতোই সুন্দর কিন্তু।“
শ্রাবণের কথায় খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে নবনীতা। সে শান্তকে ধীর গলায় বলে,
“আমি ভেতরে গেলাম।“
শান্ত মাথা নাড়ায়। সে শ্রাবণের সাথে গল্প জুড়ে দেয়। বহুদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা। তাই কথা ও অনেক জমে গেছে।
রুমে এসে ধপ করে বিছানায় বসে নবনীতা। অহেতুক কারণে তার মেজাজ খারাপ। হয়তো তার একান্ত সময়টা বিশ্রীভাবে নষ্ট করে দিয়েছে এই শ্রাবণ নামক ব্যাক্তিটি। অজানা কারণেই একেবারেই পছন্দ হয় নি তাকে নবনীতার। তার চাহনী, কথা বলা একটু অন্যরকম। অনেকটা গা পড়া স্বভাব লেগেছে। আরে বাবা, কোনো নারীর ছবি পারমিশন বাদে তোলার মতো অভদ্রের কাজ আর হয়? এমন একটা লোক শান্তের বন্ধু কিভাবে হলো, বুঝে পায় না নবনীতা। অবশ্য শান্ত এর বা কি দোষ। রতন রতনে চিনে। সে যেমন অসহ্যকর, বন্ধু জুটিয়ে আরেক অসহ্যকর। নয়তো বন্ধু পেয়ে কেউ ভুলে যায় বউ এর কথা? যতই বন্ধু হোক, সে তো তার বউ এর ছবি তুলেছে। কই সেটা ডিলেট করতে বলবে, না খোশ গল্পে লেগে আছে। এতো “ভুলোমন” লোক হয়? এর মধ্যেই গল্প শেষ করে রুমে আসে শান্ত। নবনীতাকে বসে থাকতে দেখে শান্ত বলে,
“ডোন্ট ওয়ারি, ও ডিলেট করে দিয়েছে ছবি।“
শান্তের কথায় মুখ তুলে তাকায় নবনীতা। শান্তের দিকে কিছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে থাকে সে। শান্ত কিভাবে বুঝলো তার মনের কথা? সে কি মন পড়তে পারে? সে বুঝতে পেরেছিলো নবনীতা এই ব্যাপারটা নিয়েই চিন্তিত ছিলো। এবার শান্ত পকেটে হাত ঢুকিয়ে একটু ঝুঁকে দাঁড়ায় নবনীতার দিকে। বাঁকা হাসি দিয়ে বলে,
“আমি ভুলোমন হতে পারি, কিন্তু নিজের বউ এর ব্যাপারে একটু প্রটেকটিভ।“
শান্তের ধীর কন্ঠে “বউ” শব্দটি শুনে বুকটা হুট করেই ধক করে উঠে নবনীতার। হৃদস্পন্দন কিঞ্চিত বেড়ে যায়। শান্তের দৃষ্টি তার চোখের দিকে। সাথে সাথেই চোখ নামিয়ে নেয় নবনীতা। মনে হালকা শরৎ এর দোলা দেয়। স্নিগ্ধ শীতল বাতাস বয়ে যায় মনের কাশবাগানে। সাদা সাদা তুলো নীল গগণে খেলে বেড়ায়। নবনীতার লাজুক মুখটা দেখে হাসিটা প্রসারিত হয় শান্তের। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে,
“আমি পানি ধরে এসেছি। এখানের সিনারি সুন্দর হলেও পানি গত একটা ক্রাইসিস আছে। হুট হাট পানি নাই হয়ে যায়। তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও, আমি খাবারের ব্যাবস্থাটা দেখে আসি।“
বলেই রুম থেকে বেরিয়ে যায় শান্ত। নবনীতা এক নজরে তাকিয়ে থাকে শান্তের দিক। একটু একটু করে তাদের সম্পর্কটা এগোচ্ছে, হয়তো এটাই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। না চাইতেও একটা পবিত্র টান তৈরি হয়েই যায়। যেমনটা টান তৈরি হচ্ছে নবনীতার মনে। তার মনে হচ্ছে সে একটু একটু করে, নীল ভালোবাসার খাঁদে এগিয়ে যাচ্ছে। মনের বেরঙ্গ ক্যানভাসে হাজারো রঙ্গ নিজের পেখম মিলছে। সাদা কালো মনের রঙ্গের ছিটা লাগছে। হয়তো প্রতারিত মনটা আবারো রাঙ্গতে চাচ্ছে শান্তের রঙে_____________________
খাওয়া শেষ করতে করতে চারটা বেজে যায় শান্তদের। রিসোর্ট থেকে মিনিট পাঁচেকের হাটার মধ্যে খাবারের হোটেল পাওয়া যায়। তাদের ট্যুর সুপারভাইজার ই খাবারের ওর্ডার দিয়ে আছে। পাহাড়ী রান্না সত্যি অতুলনীয়। পাহাড়ী মুরগী, ডাল, সবজি, আলু ভর্তা নিয়ে জম্পেস খাওয়ার ব্যাবস্থা। শান্ত এবং নবনীতা তাদের গ্রুপের সাথেই খেতে যায়। বন্ধুমহল টি হুল্লোর সেখানেও অবধারিত থাকে। শান্ত এবং নবনীতার সাথে থাকা দম্পতিদের সাথে বেশ ভালোই ঘুলে মিলে গিয়েছে নবনীতা। তাদের এক দম্পতির নাম পলি, মাহির এবং অন্য দম্পত্তি ফাইয়াজ এবং নন্দিনী। উভয় দম্পত্তির বিয়ের বয়স দশ উর্ধ্ব। খাওয়ার মাঝেই পলি বলে উঠে,
“যা মজা করার এখন ই করে নাও ভাই, ছেলে মেয়ে হয়ে গেলে ওদের চিন্তায় জীবন তেজ পাতা হয়ে যাবে।“
পলির কথায় খানিকটা লজ্জা পায় নবনীতা। খাওয়া শেষে রিসোর্ট ফিরেই বিছানায় গা এলিয়ে দেয় শান্ত। সারাদিনের জার্নিতে শরীর ধরে এসেছে। নবনীতা ভেজা চুল খুলে দেয় ড্রেসিং টেবিলের সামনে। সাপের মতো চুলগুলো নেমে যায় তার কাঁধ বেয়ে। বিকেলে সোনালী রোদ চুয়ে আসছে রুমের ভেতর। শান্ত ঘোর লাগা চোখে দেখতে থাকে নবনীতাকে। কালো কুর্তি এবং প্লাজোতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে শ্যামলীকে। মেয়েটা আজকাল নেশার মত তাকে কাছে টানছে। আজও মনে আছে এক দিন এই মেয়েটাই সজোরে থাপ্পড় মেরেছিলো তাকে। অথচ আজ সেই মেয়েটাকেই বেহায়া চোখ দেখে যাচ্ছে। আয়নার ভেতরথেকে শান্তের চাহনী লক্ষ্য করে নবনীতা। তাই পেছনে না ফিরেই বলে উঠে,
“কি দেখছেন?”
“তোমাকে”
শান্তের সরাসরি উত্তরে খানিকটা ভ্যাবাছ্যাকা খেয়ে যায় নবনীতা। চট করেই পেছনে ফিরে সে। এর মধ্যেই শান্তের মোবাইলটা বেজে উঠে। তাই কথা না বাড়িয়ে মোবাইল নিয়ে বারান্দায় চলে যায় শান্ত। হয়তো রুমে থাকলে নবনীতার লজ্জায় লাল হওয়া মুখটা তার দৃষ্টি কাড়তো।
রাত ৯টা,
বারবিকিউ এর আয়োজন করা হয়েছে ট্রিপ ম্যানেজারের পক্ষ থেকে। পাহাড়ী স্টাইলের বারবি কিউ। আজ তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি নবনীতাদের। আগামীকাল তারা কলাংক পাহাড় আরোহন করবে। আজ ক্লান্ত দিন কাটায়, তারা কোথাও যায় নি। সন্ধ্যায় শান্তের সাথে সাজেকের পথে হেটেছিলো নবনীতা। ওখানে একটি চার্চ ছিলো, সেখানেও যায় তারা। চা পাগল নবনীতা এখন ব্যাম্বো টি এর ভক্ত হয়ে গিয়েছে। মার্কেট ঘুরলেও তেমন কিছুই কেনা হয় নি তাদের। বারবিকিউ পার্টিতে আবার দেখা হয় শ্রাবণের সাথে। সে নবনীতাকে দেখে সালাম দেয়। নবনীতাও নমনীয়ভাবে তাকে সালাম জানায়। ক্যাম্প ফায়ারের মতো বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। আগুনের চার পাশে গোল করে বসেছে সবাই। ঠান্ডা থাকায় খুব একটা খারাপ লাগছে না। উপস্থিত বন্ধুমহলে ছেলেমেয়েরা গিটার হাতে বসেছে। খাবার আসতে আসতে তারা গানেই পেট ভরবে। সবাই যখন গান বাজনায় ব্যাস্ত তখন নবনীতা খেয়াল করে, তার মোবাইলটা রুমেই রেখে এসেছে। সে শান্তের শার্ট টেনে বলে,
“আমি মোবাইল আনি নি, নিয়ে আসছি।“
“একা যেতে পারবে?”
“হ্যা, পারবো।“
শান্ত বাঁধা দেয় না। নবনীতা রওনা দেয় নিজের রুমের দিকে। ক্যাম্পফায়ারটা একটু দূরে হওয়ায় খানিকটা পথ হেটে যেতে হবে নবনীতাকে। রিসোর্টের আলো ততটা জ্বলছে না। পাহাড়ে কোনো বিদ্যুৎ কানেকশন নেই। উপরন্তু এখানে রাত হতে না হতেই প্রকৃতি শান্ত এবং নীরব হয়ে উঠে। নবনীতা তাই একটু দেখে শুনেই এগোতে থাকে। যেহেতু রিসোর্টের সব পর্যটক ক্যাম্পফায়ারে। তাই রিসোর্ট এর পরিবেশ একটু বেশী ই নীরব হয়ে গিয়েছে। ক্যাম্পফায়ারের কলরবের ধ্বনি আসছে। হঠাৎ নবনীতার মনে হয় কেউ তার পিছু নিয়েছে। ঘাসের উপর মানুষের পায়ের শব্দ শুনতে পায় সে। হুট করেই মনটা ভয়ে কেঁপে উঠে। নবনীতা পেছনে না তাকিয়েই পায়ের গতি বাড়ায়। পিছু নেওয়া লোকটিও তার গতি বাড়ায়। লোকটি খুব কাছে এসে পড়লেই…………
চলবে