#শ্রাবণের_শেষ_সন্ধ্যা
#৫ম_পর্ব

“আমার চাকরিটা হয়ে গেছে। অবশষে?”
“সত্যি?”

খুশিতে আত্নহারা হয়ে উঠে নবনীতা। শান্তের চিন্তা হুট করেই মাথা থেকে হাওয়া হয়ে যায়। তখন নীলয় বলে,
“হ্যা বাবা সত্যি, শুধু তাই নয়। আগামী পরশু আমার পুরো পরিবার আসবে বিয়ের কথা বলতে তোমার বাসায়। আমি মার সাথে কথা বলেছি।”
“আমি তো বাবা-মাকে কিছুই জানাই নি।”
“এখন আর চিন্তা নেই নীতু। এখন তুমি নিশ্চিন্তে আমাদের কথা বলতে পারবে। কারণ,
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি নীতু শুনছো?
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না”

নীলয়ের কথা শুনে হেসে উঠে নবনীতা। ছেলেটা পারেও। এতোদিনের অপেক্ষা এবার হয়তো সত্যি ফলপ্রসূ হবে। ছেলেটা কম চেষ্টা তো করে নি। হয়তো উপরওয়ালার এই সিদ্ধান্ত ই ছিলো। তাই তো নীলয়ের চাকরিটা হয়ে গেলো। বুক থেকে একটা গভীর চিন্তার পাহাড় নেমে গেলো নবনীতার। আনন্দের জোয়ার উঠেছে মনসমুদ্রে। চোখটা সুখের অশ্রুসিক্ত হচ্ছে। এতোমাসের প্রনয়ের এখন বুঝি পরিণয় ঘটবে। অতিসুখের আগমনেও মানুষের বুক কাঁপে, অজানা ভয়ে। যদি হুট করে সব ফক্কা হয়ে যায়! স্রষ্টা যদি সুখের দর্শন দিয়ে কেঁড়ে নেয় সেই কষ্ট অসহনীয় বিষ হয়ে ওঠে। কাঁপা স্বরে নবনীতা বললো,
“আমাদের গল্পের নতুন মোড় তবে আসছে, তাই না? আমাদের নতুন অধ্যায়টার সূচনা তবে হবে?”
“তোমার কি সন্দেহ হচ্ছে?”
“সন্দেহ না ভয় হচ্ছে!”
“আমার উপর এতোটা দিন বিশ্বাস রাখলে আর দুটো দিন পারবে না?”

নীলয়ের আকুতি কন্ঠ এক আশ্বস্তের ধারা বয়ে আনে। নবনীতা কোমল স্বরে বলে,
“আমার বিশ্বাস এতো ঠুঙ্কো নয় নীলয়। শুধু ভয় হয়! ভাগ্য কি সদয় হবে আমাদের প্রতি!”
“ইনশাআল্লাহ হবে, আমাদের ভালোবাসার বয়স কম হতে পারে। তবে সেটার ভিত্তি এতোটা নড়বড়ে নয় কিন্তু।”

নীলয়ের গভীর কন্ঠ বুকে জমা কালো মেঘের প্রস্তরকে সরিয়ে নতুন কিরণের অনুপ্রবেশ ঘটালো নবনীতার মনের কুড়েঘরে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সে। আবেগপ্রবণ কন্ঠে বলে,
“ধীরে ধীরে তোমাতে আসক্ত হচ্ছি, সেটা জানা আছে?”
“আমার কেস তো আরোও জন্ডিস, তোমাতে মত্ত ছিলাম, এখনো তার পাগলামীতে পরিণত হয়েছে। কি করা যায় বলতো?”

নীলয়ের গম্ভীর পুরুষালী কন্ঠ বুকে আলোড়নের সঞ্চার করে, লজ্জায় কুঁকড়ে উঠে নবনীতা। এই পুরুষটি না থাকলে হয়তো জানতো ও না সেও লজ্জা পেতে পারে। শ্যাম গালজোড়া হয়ে উঠে রক্তিম, ইশ! এ যে ভারী বিপদের সংকেট। প্রেমঘন মূহুর্ত গুলো আরো মিষ্টি হয়ে উঠে। প্রহরের পর প্রহর কাটে আলাপে। দুজন কপোত কপোতীর মনের জমানো সেই কথা। মোবাইলের বিল উঠে, রাত হয়ে উঠে গভীর। কথার মোহে সময়ের হিসেব টা গুলিয়ে যায়। হাসির ঝংকার রাতের নেশা আরও বাড়িয়ে দেয়। এখন শুধু অপেক্ষা সেই মিলন সন্ধীক্ষনের।
________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নবনীতা। নিজেকে একটু সরু নজরে দেখে নিলো। নাহ, মন্দ লাগছে না। নীল শাড়িতে যেনো নীলকন্ঠের পাপঁড়ির ন্যায় উজ্জীবিত লাগছে। সাপের ন্যায় চুলগুলো খোঁপায় বেঁধেছে, তাতে দিয়েছে মোটা বেলীর মালা। সুগাঢ় স্বচ্ছ নয়নে কাজল দিয়েছে সে। ঠোঁটে হালকা গোলাপী লিপস্টিক। আজ নীলয়ের রঙ্গে সেজেছে সে। কিছুক্ষণ বাদে তাদের আগমন ঘটবে। নীলয়ের বড় মা আসবে জানিয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর বড়মা ই তাদের পরিবারের এক মূখ্যম মানুষ। তার সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। নবনীতা চায় সবার সম্মতিতেই যেনো তাদের সম্পর্কের পরিণয় ঘটে। তাই আল্লাহর কাছে শুধু প্রার্থনা করছে যেনো সব কিছুই ভালোয় ভালোয় হোক। যদি নবনীতাকে তাদের পছন্দ হয় তবে আজকেই পাকাপাকি কথা বলবে তারা। এর মাঝেই আগমন ঘটে শারমিন বেগমের। এসেই ব্যাস্ত কন্ঠে বলে,
“তারা এসে গেছে। তোকে ডাকলে চায়ের ট্রে টা নিয়ে যাস।“

নবনীটা মাথা নাড়ে। তার মার মুখ বেশ হাসি হাসি। নবনীতা ভেবেছিলো মার হয়তো আপত্তি হবে। কিছুদিন পূর্বের ঘটনা নিয়ে শুনাবে। কিন্তু এমন কিছুই ঘটলো না। বরং নীলয়কে পাত্র হিসেবে তার মনে ধরেছে। হবে নাই বা কেনো। পাত্র হিসেবে নীলয় সত্যি বেশ মানানসই। যেমন উঁচু লম্বা, তেমন সুদর্শন। নতুন চাকরি হলেও বেশ ভালো বেতন ই সেটা, আর এখন তো মাত্র শুরু। ছেলে খাটতে পারে, ভবিষ্যতে মেয়েকে না খাওয়িয়ে রাখবে না। আর পরিবার বেশ ভালো। বাবা মারা গেছে বছর দুই গড়িয়েছে। একা ছেলে, ভাই বোন বলতে একজন বড় বোন। তার বিয়েও হয়ে গিয়েছে। মা ছেলের ছোট পরিবারে নবনীতার প্রবেশ পূর্ণতা আনবে। তাই আর অমত করেন নি শারমিন বেগম। আর জসীম সাহেবের মাপকাঠি সততা। ছেলে সৎ হলেই সই। টাকা তো আসবে যাবে। এই ভেবেই নবনীতার পরিবার অমত করে নি।

শারমিন বেগম মেয়েকে এক নজর দেখেন। মেয়ে তার সত্যি বড় হয়ে গিয়েছে। সেই ছোট নবনীতার আজ বিয়ের কথা চলছে। সত্যি ই সময়ের গতির সাথে কেউ পারে না। আয়াতুল কুরসী পড়ে তিনবার ফু দেন তিনি। বলা তো যায় না, কুনজর লাগলেও লাগতে পারে। বিবাহযোগ্য মেয়েদের উপর কুনজর একটু বেশী পড়ে। সেদিন একটা এতো চমৎকার বিয়ের কথা কিভাবে ওলট পালট হয়ে গেলো। তাই বুকে একটা ভয় আছেই তার। এর মাঝেই জসীম সাহেবের কন্ঠ শোনা যায়। শারমিন বেগম বলেন,
“চল, চায়ের ট্রে নিয়ে যাবি।“

চায়ের ট্রে হাতে নিয়ে বসার ঘরে ঢুকতেই থমকে যায় নবনীতা। অচেনা মুখের শাড়িতে দুটো মুখ তার পরিচিত। একটি মুখ নীলয়ের এবং অন্যটি হেনা বেগমের। উনার উপস্থিতি খানিকটা চমকে দেয় তাকে। মাথাটা হুট করেই শূন্য হয়ে যায় তার। পৃথিবী গোল জানা ছিলো তবে এতোটা সেটা আজ জানতে পারলো নবনীতা। তবে কি ইনি ই সেই বড় মা, যার কথা বলছিলো নীলয়। নবনীতা সকলকে সালাম দিয়ে চায়ের ট্রে টি রাখে। হেনা বেগম বলেন,
“ওয়ালাইকুম সালাম, বসো মা।“

হেনা বেগমের শীতল কন্ঠ মনে ভয়ের সঞ্চার করে। তবে কি সব শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যাবে! নবনীতা আড়চোখে একবার নীলয়কে দেখে নিলো। সে স্বাভাবিক ভাবেই বসে আছে। অন্য সময় হলে হয়তো তাকে ইশারায় জানাতে পারতো, কিন্তু এখানে এতো মানুষের ভীড়ে জানানো সম্ভব নয়। হেনা বেগম অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই দু একটা কথা বলছে। সম্পর্কে তিনি নীলয়ের বড় মামী হন। নিজের একমাত্র ননদকে বোনের মতো করেই আগলেছেন তিনি। নিজ হাতে বিয়ে দিয়েছেন। সেই সুবাদে নীলয়ের মার কাছে তিনি অতীব সম্মানীয় একজন। তাদের অভিভাবক ও বলা চলে। সেই জন্য আজ নবনীতাকে দেখতে আসা। শারমিন বেগমের মুখটাও পাংশু বর্ণ হয়ে আছে। সেদিন মেয়ে যেভাবে চিৎকার করেছিলো, আজ একটা অঘটন ঘটলে আসলেই বলার অবকাশ থাকবে না। এর মাঝেই হেনা বেগম বলেন,
“আমি একটা কথা বলতে চাই, আমার কথা প্রিয়াও আপত্তি করবে না জানি।“

হেনা বেগমের কথা শুনেই বুক ধরপর করতে থাকে নবনীতার। সেদিনের ঝাল তিনি কি তবে আজ উঠাবেন? তার ছেলেকে অপমান করার ফল কি তবে নীলয়ের সাথে বিচ্ছেদ? দূর্ভাবনায় মাথাটা নষ্ট হয়ে যায় তার। চিন্তায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তবুও নিজেকে শান্ত করে রেখেছে সে। হেনা বেগম একটু থেমে বললেন,
“আমার নবনীতাকে বরাবর ই পছন্দ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে একটা।“

জসীম সাহেব চিন্তিত কন্ঠে বলেন,
“জ্বী কি সমস্যা?”

হেনা বেগম স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দেন,
“আমাদের ছেলের নতন চাকরি। আগামী সপ্তাহে তার জয়েনিং। চিটাগাং এ পোস্টিং। তাই আমরা চাচ্ছি, বিয়েটা একটু তাড়াতাড়ি আড়ম্বড়তা ছাড়াই হোক। বিয়ের পর তারা চিটাগাং ই স্যাটল হোক। একবার জয়েন হয়ে গেলে ছুটি পাওয়াটা একটু ঝামেলার হয়ে যাবে। কি বলো প্রিয়া?”

প্রিয়া বেগম অর্থাৎ নীলয়ের মাও সম্মতি দেন। তারা চটজলদি বিয়েটা সারতে চান। আত্নীয়ের ঘনঘটা ব্যাতীত ছোট্ট বিয়ে। জসীম সাহেব একটু আমতা আমতা করেন। তার একমাত্র মেয়েকে এভাবে বিয়ে দিতে তার মন সায় দিচ্ছে না। তিনি সবিনয়ে বলেন,
“আমার বড় মেয়ে, বুঝতেই পারছেন। একটু লোক না ডাকলে কিভাবে হয়?”
“বুঝতে পারছি, কিন্তু আমাদের ছেলের তো সবে চাকরির শুরু। আগামী শুক্রবার নাহয় আমরা আমরা আকত টা সেরে ফেলি। তারপর আমাদের ছেলে প্রমোশোন পেলে না হয় বড় করে অনুষ্ঠান করে উঠিয়ে দিলেন। মেয়ে না হয় আপনাদের কাছেই থাকলো।“

হেনা বেগমের কথায় জসীম সাহেব আমতা আমতা করছিলেন, কিন্তু শারমিন বেগম ফট করে বললেন,
“শুভস্র শীঘ্রম। ভালো কাজে দেরী করতে নেই। শয়তানে লাড়া দেয়। এর থেকে শুক্রবার বিয়েটা হয়ে যাক।“

শারমিন বেগমের কথায় তার আপত্তি করতে পারলেন না জসীম সাহেব। সবাই মিষ্টি মুখ করে। নবনীতাকে নিজ হাতে আংটি পড়িয়ে দেন হেনা বেগম। স্বর নামিয়ে বলেন,
“ছেলের বউ না হও, ভাগ্নের বউ তো হলে। এটাই ভালো।“

তার স্নিগ্ধ হাসিতে বুকের সকল চিন্তা হাওয়ায় মিলিয়ে যায় নবনীতা। হেনা বেগম তার কপালে হাত বুলিয়ে দেয়। এর মাঝে নীলয়ের সাথে চোখাচোখি হয়। নীলয় চোখ টিপ্পনী কাটে। লজ্জায় চোখ সরিয়ে নেয় নবনীতা। আগামী সপ্তাহে বিয়ে কথাটা ভাবতেই মনে এক প্রশান্তি বয়ে যাচ্ছে। অবশেষে তাদের গল্পটার শুভ পর্বের সূচনা হতে যাচ্ছে।
________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________

বুধবার,
বিয়ের কেনাকাটায় ব্যাস্ত নবনীতা এবং নীলয়। ধরে বেঁধে অবশেষে শান্ত তাদের সাথে আসতে রাজী হয়েছে। শুধু শান্ত নয়, নীলয়ের সব ভাই বোনেরাই এসেছে এখানে। বিয়ের শপিং নামে সবার সাথে পরিচিত হবার একটা বাহানা। সবার সাথে কুশলাদি বিনিময় হলেও শান্তের উপস্থিতি বেশ অস্বস্তিতে ফেলছে নবনীতা। লোকটাকে দেখলেই বেশ লজ্জাবোধ হচ্ছে না। শান্ত সম্পর্কে নীলয়ের মামাতো ভাই। তার হবু ভাসুর। নীলয়কে সেদিনের অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো বলা হয় নি। হেনা বেগম স্বাভাবিক ভাবে নিলেও শান্ত মোটেও স্বাভাবিক ব্যাবহার করছে না। আসার পর থেকেই একটি বার ও কথা বলে নি তার সাথে। বরং নিজের ফোনের মধ্যেই ঢুকে আছে। তার নবনীতা ঠিক করে নিজে থেকেই কথার সূচনা করবে, দোষ যখন তার ছিলো ক্ষমা চাইতেও আপত্তি নেই তার। তার যখন সবার নজর নীলয়ের পাঞ্জাবীতে তখন সে শান্তের উদ্দেশ্যে বলে,
“সরি”

প্রথমে খেয়াল না করলেও নবনীতা যখন তার কন্ঠের স্বর বাড়ায় তখন সরু চোখে তাকায় শান্ত। অবাক কন্ঠে বলে,
“কি?”
“সেদিনের জন্য সরি। আসলে ভুলটা আমার ছিলো।“
“ভুল? তা মন থেকে সরি বলছেন নাকি আমার ভাইয়ের সাথে বিয়ে ভাঙ্গার ভয়ে বলছেন?”

শান্তের ঠেস মারা কথায় খানিকটা মেজাজ খারাপ হয় নবনীতার। আরে ব্যাটা, সরি বলছি নে না, এতো পার্ট কিসের। কিন্তু রাগলে হবে না, দোষের অনেকটা তার ছিলো। তাই নমনীয় কন্ঠে বলে,
“আসলে সেদিন আমি বুঝি নি, হঠাৎ কারোর নোংরা স্পর্শে গা কেঁপে উঠে। তাই…”
“ঠিক আছে, বুঝতে পেরেছি। পাস্ট ইজ পাস্ট। এখন সেটা নিয়ে না ভাবলেই ভালো। আমিও ভাবতে চাই না। একটা নতুন সম্পর্ক হচ্ছে। সেটাই নাহয় হোক। আমার ভাইটা তোমাকে পছন্দ করে। তাই এসব কথা আর টানতে চাচ্ছি না।“
“ও কি জানে?”
“আমি বলি নি, তুমি চাইলে বলতে পারো। না চাইলে নাই।“
“ধন্যবাদ।“

শান্ত মাথা নাড়িয়ে ধন্যবাদ গ্রহণ করে, এর মাঝেই নীলয়ের ডাক পড়ে। নবনীতা সেদিকে নজর দেয়। বুক থেকে একটা পাথর নেমে যায়। শান্ত একনজর নবনীতাকে দেখে। মেয়েটা ঘুরে ফিরে তার গন্ডিতেই চলে এসেছে। উপরওয়ালার কি ইচ্ছে আছে জানা নেই। তবে নবনীতার উপর অভিমান চেপে লাভ নেই। ফুপাতো ভাইয়ের বউ এর উপর অহেতুক অভিমান করার মানে নেই। সেদিন ওর জায়গায় অন্য মেয়ে হলে হয়তো এভাবেই রিয়েক্ট করতো।

শপিং শেষে বিল পেমেন্ট করে সবার সাথে জড়ো হয় নীলয়। রাত দশটা কখন বেজে গেছে খেয়াল করে নি। সবাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। সবাই মল থেকে বের হতে নিলেই খেয়াল করলো নবনীতা নেই। বড় বোন নীতিকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে,
“নবনীতা তো ওয়াশরুমে গিয়েছিলো।“

নীলয় সাথে সাথে ফোন লাগায় নবনীতাকে। কিন্তু……………….

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here