১০.
#জলছবি
#১০ম_পার্ট
#কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া
.
সূর্যের লাল টুকটুকে আভা ফুটতে শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে। অন্ধকারকে দূরে, বহুদূরে ঠেলে দিয়ে আপন তেজে জ্বলে উঠছে ধীরে ধীরে। সেই তেজী আলোক রেখার এক চিলতে আলো এসে লাগে ঘুমন্ত মেয়েটার নাকের ডগায়, ঠোঁটে, গালে এবং সবশেষে চোখে-চোখের পাতায়! সূর্যের ছোঁয়ায় সূর্যকন্যার রূপ উতলে পড়ে যেন!
হরেক রকমের পাখির কিচিরমিচির ডাক ভেসে আসে নোলকের কানে। পিটপিট করে চোখ খুলে। মুখে হাত রেখে হামি দেয়। ঘুম জড়ানো চোখেই আধবোজা চোখ আশেপাশে বুলায়! এতো আলো! এতো আলোর উৎস চট করে ধরতে পারে না সে। সকাল বেলার তৈলাক্ত মুখ, চোখ দু’হাতে কঁচলে ভালো ভাবে তাকাতেই চমকে উঠে মেয়েটা। ছাদে! এত ভোরে ছাদে কেন সে? তবে কি রাতে ছাদেই ঘুমিয়ে পড়েছে? কিন্তু…!
এই ‘কিন্তুটা’ মনে জাগতেই শিওরে উঠে পাশে তাকাতেই দেখতে পায় শ্যামাকে। শ্যামা এলো কি করে? যতটা মনে পড়ে শ্যামা তো ছিলো না! নিচে হাত রাখতেই অনুভব করে সে ছাদে বসে আছে, তবে ছাদের ফ্লোরে নয়। নিচে পাটির উপর ছোট্ট একটা তোশক বিছানো। তার উপরেই ও। দুইটা বালিশও আছে!
নোলক খুব বেশি অবাক না হয়ে পারে না!
শ্যামা পাশেই আরেকটা বিছানা করে ওর মতোই সিমেন্টের রেলিংটার সাথে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে। নোলক বিস্ময়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়! ওর যতদূর মনে পড়ে, আদ্র’র সঙ্গে গল্প করতে করতে এক পর্যায়ে দুজন দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে বসে চাঁদ সুন্দরীর রূপের বাহার মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছিলো। এরপর….! এরপর? এরপর আর কিছুই মনে নেই তার। অবশ্য ঘুমের ঘোরের কোনো ঘটনা কোনো কালেই মনে থাকে না তার।
“দিদিমুনি, উঠছেন?”
শ্যামার কন্ঠে ভাবনার জগত হতে বেড়িয়ে আসে নোলক। সারা দেয়ার মতোন করে বলে,
“হুম?”
সেই সঙ্গে অনুভব করে প্রচন্ড ঘার ব্যথা করছে তার। এক হাতে ঘাড় বুলাতে বুলাতে জিজ্ঞেস করে,
“আমি কি এখানে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম?”
শ্যামা মুখ টিপে হেসে বলে,
“হয়, কত ডাকলাম, হুনলেন-ই! শ্যাষম্যাষ বাধ্য হইয়া এইহানেই পাহারা দিছি।”
নোলক ইতস্তত করে বলে,
“তুমি কিভাবে জানলা, আমি এখানে?”
শ্যামা হাস্যজ্জ্বল মুখেই বলল,
“ক্যামনে আর জানমু? আদ্র দা’ভাই কইছে।”
“ওহ!”
লাজুক ভঙ্গিতে বললো নোলক। সে তার কর্মকান্ডের ব্যাপারে অবগত। ঘুমের ঘোরে তার আশেপাশে তান্ডব বয়ে গেলেও সে টের পায় না। একবার ভূমিকম্পের সময় বিল্ডিং এর সবাই নেমে গেলেও ওর এই ঘুমের কারনে ওকে ছেড়ে ওর বোনও নামতে পারেনি। নিজের এই ভয়ানক ঘুম নিয়ে নিজেই মহা বিরক্ত। আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করে,
“বেশি ডেকেছিলা?”
“না, বেশি ডাকি নাই। আদ্র দা’ভাই না করলো। আর কইলো, আমি যেন থাকি। তোমার নাকি ভূতে ভয় আছে!”
বলেই মুখ টিপে হাসে।
নোলকের মানে লাগে খুব। সটান দাঁড়িয়ে চোখমুখ শক্ত করে বলে,
“মোটেও না। ভূ-ভূত-টূতে ভয় প-পাওয়ার কি আছে? আ-আমি কি ভীতু নাকি? তোমার আদ্র-অনাদ্র, ফাজিল দা’ভাই মিথ্যে কথা বলেছে। সে যে খুব মিথ্যুক জানো না?”
এতক্ষণ মুখ টিপে হাসলেও এবার জোরেই হেসে ফেললো শ্যামা। কলসি নেয়ার মতো করে তিনটা বালিশ নিতে নিতে বলল,
“আমি কি হের কথা বিশ্বেস কইরছি নিহি? আমার দিদিমুনি যে মেলা সাহসি হে তো আমি জানি। চলেন নিচে চলেন।”
মিথ্যে হোক কিংবা সত্য! শ্যামার কথায় নোলকের ফুঁসে উঠা ত্যাজে কিছুটা ভাটা পড়লো। খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ বুজে বুক ভোরে সতেজ নিঃশ্বাস নিয়ে বিড়বিড় করে বলে ‘খুব আড়াম, অনেক মজা!’
শ্যামা বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“কী মজা দিদিমুনি?”
নোলক আগের মতোই থেকে বলে,
“বাতাস।”
“অ্যাঁ?”
চোখেমুখে শ্যামার রাজ্যের বিস্ময় ভর করলো। যেন এমন অদ্ভুত কথা এর আগে সে কখনই শোনেনি। লোকমুখে শুনেছে ভূত-প্রেতে ধরলে নাকি মানুষ আজগুবি কথা বলে। তার মনে শংকা তৈরি হলো, ছাদে রাত কাটানোর ফলে ভূতে ধরলো নাকি?
শ্যামার এই চিন্তায় পড়ে যাওয়া টাইপ চাহনি দেখে নোলক হেসে ফেললো। স্নিগ্ধ সুন্দর হাসি। তারপর সামনে আগাতে আগাতে বলে,
“এমন অথৈ জলে পড়ে যাওয়ার মতো থেমে না থেকে পা চালিয়ে নিচে নেমে আসো।”
নোলক চলে যাওয়ার পরও কিছুক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে শ্যামা। বিড়বিড় করে বলে,
“বাতাস কি হাছাই মজা নিহি? দিদিমুনির কাছে জিগাইতে হইবো, বাতাস কেমনে খায়!”

নোলক ধুপধাপ আওয়াজ করে নামে। সিড়ির মাঝামাঝিতে মুখোমুখি হয় ইশানের। সেও সদ্য ঘুম থেকে উঠা তৃষ্ণার্ত যুবক। এই তৃষ্ণা প্রকৃতির রূপ, লাবণ্য, অপার মায়া ক্যামেরা বন্ধী করার তৃষ্ণা! ইশান ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্তগতিতে উঠছিল। তখনই দেখা হয়ে গেলো তার অগ্নিশর্মা সঙ্গে। নোলককে দেখতে পেয়ে সবসময়ের মতোই হাসলো। বিনিময়ে নোলকও ঘুমুঘুমু হাসি ফিরিয়ে দিলো। ইশান নিজের এলোমেলো চুল গোছাতে গোছাতে বলল,
“সুপ্রভাত, অগ্নিকন্যা!”
নোলক হাসিমাখা মুখে ইশানের মত করেই বলে,
“সুপ্রভাত, ছবি-মানব!”
ইশান পুরুষালি আওয়াজে হেসে বলে,
“ছবি-মানব? বাহ, সুন্দর তো!”
নোলক একটু নিচু হয়ে নিচু স্বরে বলে,
“আপনার ঐ পাজি বন্ধু হচ্ছে বই-মানব আর আপনি হচ্ছে ছবি-মানব। বইয়েতে ছবি থাকে, ছবিতে গল্প থাকে। নাইস কম্বিনেশন, নাহ?”
ইশান তার নিজস্ব হাসি ধরে রেখে বলে,
“হ্যাঁ, একদম। অগ্নিশর্মা যা-ই বলে, তা-ই আগুন!”
কথা শেষ করেই পুনরায় জিজ্ঞেস করে,
“ছাদে যাবা? আসো একটু ফটোগ্রাফি করি।”
নোলক ক্লান্ত ভঙ্গিতে বলে,
“নাহ, ছাদ থেকে এলাম।’
এই এতক্ষণ বাদে ইশান কিঞ্চিৎ অবাক হওয়ার মত করে জিজ্ঞেস করে,
“এত সকালে ছাদে গিয়েছিলে? কেন? সূর্য বিলাস?”
নোলক আনমনে বলে ফেলে,
“যাই নি, ছিলাম। ছাদেই ছিলাম।”
ইশানের ভ্রু বেঁকে আসে। বুঝে নাই টাইপ হেসে বলে,
“মানে?”
নোলক বাস্তবে ফিরে এসে থতমত খায়। আমতা আমতা করে বলে,
“না মানে…ইয়ে, ঘুম পাচ্ছে। আপনার সঙ্গে পড়ে কথা বলবো।”
বলেই হুরমুর করে সিড়ি ভেঙে নিচে নেমে আসে। ইশান নোলকের উদ্ভট কথার মানে বোঝার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে ঠোঁট উল্টায়। তখনই কাথা বালিশ নিয়ে নিচে নেমে আসে শ্যামা। শ্যামার হাতে এসব দেখে ইশান কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করে,
“এগুলো কই থেকে আনছো শ্যাম কন্যা?”
এই ‘ক্যামেরা বাবুকে’ শ্যামার ভীষণ ভালো লাগে। কেন লাগে তা জানে না। তবে এই তাকে দেখলেই কেমন যেন লাজে মরে যায়। শ্যামা না বলে যখন ‘শ্যাম কন্যা’ বলে তখন বুক ঢিপঢিপ করে!
শ্যামা আঁচল টেনে মাথা নিচু করে বলে,
“ছা-ছাদ থেইকা, ছাদ থেইকা আনছি। আপনে যান, ছাদ পরিষ্কার আছে। আমি চা দিয়া যামুনে।”
বলেই এক ছুটে এক প্রকার পালিয়ে বাঁচে যেন। হতভম্ব ইশান এই মেয়ের কর্মকান্ড ঠিক ঠাওর করতে পারে না। কেমন যেন অদ্ভুত!
.

অনুপমা দেবীর সঙ্গে খোশ গল্পে মেতে উঠে নোলক। অনুপমা দেবীর কোল ঘেঁষে বসে এই পুরোনো বাড়ি নিয়ে নানান বিস্ময়কর কথা শোনে। তার শ্বশুর মশাই আর শাশুড়ি মা যে কেমন পাগল কিছিমের লোক ছিলো তার বিবরণ দিতে গিয়ে হেসে লুটোপুটি খায় নিজে এবং সঙ্গে নোলকও।
বাড়ির আঙিনায় ঢুকতে ঢুকতে নোলক আর অনুপমা দেবীর হাসির কল্লোল কানে পৌছায় ইশান আর আদ্রর। নোলক ওদের দিকে এক পলক চেয়ে আগের ন্যায় হাসতে থাকে।
ইশান উৎসুক হওয়ার মত করে বলে,
“ওরে বাবা! খুব মজার কিছু হচ্ছে নাকি এখানে? অগ্নিকন্যা দেখি ঝর্ণার মতো ঝংকার দিচ্ছে!”
অনুপমা দেবী হেসে দিয়ে বলে এদিকে এসে বসো বাবারা!
নোলকের দিকে আড়চোখে চেয়ে অনুপমা দেবীর অপর পাশে বসে আদ্র। আদ্রর পাশে বসে ইশান। অনুপমা দেবী উচ্ছাস নিয়ে বলে,
“একবার কি হইছিলো শোন! শ্বশুর মশাইয়ের সাথে শাশুড়ি মায়ের ঝগড়া হইলো। ঝগড়ার কারন সামান্য। শাশুড়ি মাকে বলছে পান বানায়ে দিতে। তিনি কাজটা সঙ্গে সঙ্গে না করে নিজের চুল আঁচড়াতে ব্যস্ত ছিলেন। শ্বশুর মশাই মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে তাচ্ছিল্যের স্বরে কইলেন, এহ! যেই না পেত্নীর লাহান চুল, তার নিয়া ফোসন মারায়! স্বামী কথার থেকেই তার এই শাঁকচুন্নির মতো চুলের মূল্য যেন বেশি!

পরিনামে শাশুড়ি গেলেন ভয়ানক রাইগা। তখন তো চিল্লামিল্লি করলেন-ই উপরন্তু শাস্তি হিসেবে অন্য বুদ্ধিও করে রাখলেন মনে মনে। ঝগড়া মিটমাট হয়ে গেলেও সে তার চুলের খোটা ভুলতে পারে নাই। পরদিন সকালে শ্বশুর পান চাইলে শাশুড়ি পানের ভেতর ঝাল মরিচ দিয়া পান বানায়ে দিছে। শাশুড়ি তো সোহাগ কইরা দিছে যার ফলে শ্বশুর বুঝতে পারর নাই তার বউয়ের মনে কি আছে! পান মুখে দিয়ে চিবানোর পর টের পাইছে শাশুড়ির কারিশমা। বেচারার অবস্থা তো ভয়ানক খারাপ হয়ে গেলো তখন। পানি পানি কইরা বাড়ির এই মাথা থেইকা ঐ মাথায় দৌড়! শাশুড়ি আমার হেসে কুটিকুটি। হা হা হা!”
আকাশ পাতাল কাঁপিয়ে হো হো করে হেসে উঠলো সবাই। আদ্র কেবল মুখ বাঁকিয়ে অস্ফুট স্বরে বলে,
“শেয়ালের কাছে মুরগির গল্প, হায়রে!”
মনেমনে বলেই খ্যান্ত হয়নি। অনুপমা দেবীকে ফিসফিয়ে বলে,
“যার কাছে এই গল্প করছো কাকিমা, সে তোমার শাশুড়ির চাইতেও ভয়ানক। তার মাথা এর থেকেও ডেঞ্জারাস ডেঞ্জারাস প্ল্যান এর বসবাস। তুমি জাস্ট ভুল মানুষকে ভুল কেচ্ছা শোনাচ্ছ! ”
অনুপমা দেবী হাসে। ইশান আদ্রকে কাছে টেনে নিয়ে বলে,
“সাবধানে ব্রো। অগ্নিশর্মার কানে গেলে, আগুন লাগিয়ে দিবে তোর শরীরে।”
আদ্র ইশানের সংকেত বার্তায় বিশেষ পাত্তা দেয় না। বাকা হেসে চশমা ঠিক করে।
ফিসফিয়ে বলার ফলে নোলক ভালো মতো শুনতে পায়নি। হাসি থামিয়ে সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞেস করে,
“এই যে মিস্টার? আপনি কি আমায় নিয়ে কিছু বলছেন? কেমন যেন চোর চোর ভাব টের পাচ্ছি!”
শেষের কথাটার জন্য কপাল কুটিল করে তাকায় আদ্র। ইশান মুখ টিপে হাসে। অনুপমা দেবী গন্ডগোল এর আশংকা টের পেয়ে বলে,
“না না। তেমন কিছু না, মা।”
নোলকের সন্দেহ দূর হয়না। কিন্তু আর সন্দেহের বিজ বড় করার ও সুযোগ পায় না। তার আগেই বাড়ির আঙিনায় হুরহুর করে ঢোকে চঞ্চল বন্ধুমহল। নোলক প্রথমে দেখতে পেয়েই ছুটে গিয়ে লুবনা আর শ্রেয়াকে জড়িয়ে ধরে।
পুরো বাড়ি মূহুর্তেই বন্ধুত্বের উল্লাসে মেতে উঠে। নোলক জিজ্ঞেস করে,
“চলে এলি যে?”
সবাই সমস্বরে বলে,
“তোরে মিস করতেছিলাম। তুই ছাড়া জমে না দোস্ত।”
ফয়সাল এদিক সেদিক তাকাতে তাকাতে হেয়ালি করে বলে,
“তাছাড়া ভাবলাম, তোরে আবার ভূতে-টূতে খাইয়া ফেলায় নি! তাই চলে আসলাম।”
নিষাদ বলে,
“এক্সাক্টলি! দিজ ইজ কল্ড মহব্বত, ব্রো। তোর প্রতি আমাদের একটা মহব্বত আছে না?”
আদ্র উঠে দাঁড়ায়। কাটকাট কন্ঠে বলে,
“তাকে তুলে নেয়ার সাহস ভূতেরও নেই। বরং ভূতেই আতংকে থাকে, তুরতুর করতে করতে না আবার তাদের নাক-টাক ফাটিয়ে দেয়!”
বলেই পাঞ্জাবী ঠিক করে হনহনিয়ে চলে যায়।

সবাই হেসে ফেলে। সবাই বোধহয় একপ্রকার সহমত আদ্রর সাথে। নোলক মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
সেই মূহুর্তে প্রবেশ ঘটে দ্বীপের। সবার হাসির কারন ধরতে না পেরে জিজ্ঞেস করে, “এতো হাসির কারন কি?”
ইশান কাছে এসে বলে,
“তুমি মিয়া আর কথাই বলবা না। তোমার নাগালই তো পাই না। টেনেটুনে ঢাকা থেকে নিয়ে এলা, অথচ আশেপাশের কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেলা না। এইটা কোনো কথা?”
দ্বীপ বিজ্ঞদের মত করে বলে,
“আসলেই তো। স্যরি দোস্ত। কই যাবি বল? সীতাকুণ্ড? সীতাকুণ্ড কাছেই আছে। যাবা নাকি সবাই?”
সবাই লাফিয়ে উঠে বলে,
“ইয়েএএ! অবশ্যই যাবো!”
নোলক বলে,
“ভাইয়া, রেডি হয়ে আসবো?”
ফয়সাল নোলকের মাথায় চাটি মেরে বলে,
“এহহ! বেড়ানোর নাম উঠলেই বান্দরনি সবার আগে লাফিয়ে উঠে!”…….(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here