#তুমি শুধু আমার
#লেখিকাঃমোনালিসা
#পর্বঃ২১
মেঘ তার অফিস বসে ছিলো।আকাশের সাথে কথা বলছে সেই সময় বাসা থেকে ফোন আসে।আকাশ ফোন ধরাতে ফোনের ওপাশ থেকে ঘাবড়িয়ে নীলা আকাশ কে বলে মেঘ জিজু কে সাথে নিয়ে তারাতারি বাসায় আসতে।আকাশ নীলা কে জিঙ্গাস করাতে ওপাশ থেকে নীলা আর কিছুই বলে না শুধু মেঘ জিজু কে নিয়ে বাসায় আসতে বলে। এইটা বলেই নীলা অাস্তে করে ফোন টা কেটে দেয়।আর এক মূহুত দেরি না করে আকাশ দ্রুত মেঘ কে নিয়ে বের হয়ে যায়।সব কিছু ভুলে আকাশ দ্রুক মেঘ কে নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার আগে রনি কে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে যায়।মেঘ তারাতারি করে গাড়িতে বসে বার বার বৃষ্টি কথা চিন্তা করে ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছে।আকাশ হাওয়ার বেগে এিশ মিনিট পর বাসার গেইটের সামনে আসে।গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির দরজা ঠাস করে লাগিয়ে ছুটে বাসার ভিতরে গেলে দেখে হলরুমে সবাই বসে আছে।সবার মুখে কেমন যানি একটা ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।মেঘ সবার দিকে তাকিয়ে দেখে সবাই আছে কিন্তুু বৃষ্টি কে দেখা যাচ্ছে না।সবাই কপালে হাত দিয়ে রেখেছে।মেঘ সবার দিকে তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যায়।এলিনা সামনে গিয়ে নরম সুরে বলে….
মেঘ;;দাদি বৃষ্টি কোথায়?কি হয়েছে দাদি কথা বলো না কেনো। তোমরা সবাই এইভাবে বসে আছো কেনো।
এলিনা কিছু না বলে শুধু উপরের বৃষ্টির রুমের দিকে নজর দেয়।মেঘ শুধু এলিনার নজর লক্ষ্য করে সেইদিকে তাকায়।বুঝলো বৃষ্টি উপরের রুমে আসে।মেঘ আর কিছু না বলে সোজা উপরে চলে যায়।মেঘ কে উপরে চলে যেতে দেখে এলিনা নীলা ফিক করে হেসে দেয়।আর ওদিকে মেঘ তার রুমে গিয়ে দরজা খুলে ভিতরে যায়।ভিতরে ঢুকে মেঘ ছোটখাটো ঝাটকা খায়।
কেনো না ভিতরে অথাৎ রুমের পুরো হুলিয়ে পাল্টে গেছে।তাদের রুম তো এমনিতেই সাদা ধবধবে শুধু মাঝে মাঝে কিছু ডার্ক এশ কালারের আসবারপএ রাখা কিন্তু এখন সব কিছুই সাজানো করিড়র টা পুরো সাদা গোলাপ দিয়ে সাজানো।কোণায় কোণায় থোকা থোকা ফুল রয়েছে। তার মাঝে আবার নরম সাদা নেট কাপড় দিয়ে সাজানো।আশেপাশে ছোট ছোট গোল লাইট বল রয়েছে,বল গুলোর মাঝে টিমটিমিয়ে বাতি জ্বলছে।সামনে একটা কাচের টেবিল রয়েছে সেখানে ছোট ছোট মোমবাতি রাখা আর ফুলের পাপড়ি বিছানো।তার মাঝে একটা কেকে রাখা।মেঘ সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখছে।এইসব দেখেও যেনো মেঘের মাথা থেকে চিন্তাই দুর হচ্ছে না।হলরুমে তো সবাই ছিলো শুধু বৃষ্টি ছিলো না।তার মানে বৃষ্টির কিছু না কিছু একটা হয়েছে।কিন্তুু রুমে এসেও মেঘ বৃষ্টি কে দেখতে পারচ্ছে না।পুরো রুম ফাকাঁ শুধু মেঘ ছাড়া।এইসব যেনো দেখে মেঘের কিছুই ভালো লাগছে না। সে সামনে এগিয়ে গিয়ে বৃষ্টি বৃষ্টি বলে ডাকতে থাকে।কিন্তুু বৃষ্টি কোনো সাড়া শব্দ দেয় না।মেঘের যেনো এইবার চিন্তার ছাপটা দিগুন বেরে যায়।সামনে গিয়ে মেঘ বৃষ্টি বলে ডাকতে লাগলো
মেঘ;;বৃষ্টি,বৃষ্টি
————-
মেঘ;;বৃষ্টি দেখো আমার কিছুই ভালো লাগছেনা।কোথায় তুমি বৃষ্টি।প্লিজ কাম আউট।আমার ভিষন চিন্তা হচ্ছে বৃষ্টি প্লিজ বের হয়ে এসো জানপাখি।
মেঘ বার বার বৃষ্টির নাম ধরে ডাকতে থাকে। আর মেঘের এতো ডাকা ডাকির পর অবশেষে বৃষ্টি বের হয়ে আসে।পিছনে ফিরে দেখে বৃষ্টি আজকে হালকা গোলাপী কাতান শাড়ি পরে আছে, হাত ভরতি চুড়ি,চুল গুলা ছেড়ে দেওয়া,কানে ছোট ছোট ঝুমকো,চোখে হালকা আভায় কাজল দেয়া,ঠোটঁ রাঙানো তার মিষ্টি রঙে।মেঘ যেনো খুটিয়ে খুটিয়ে পা থেকে মাথা অবধী দেখে নেয়।বৃষ্টি এগিয়ে এসে ঠোটেরঁ কোণেয় মুচকি হাসি রেখে মায়াভরা দৃষ্টিতে মেঘের দিকে তাকায়।মেঘ ক্ষণী একটা দম ছেড়ে দ্রুত গিয়ে বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে তার কোমড়ে হাত রেখে দেয়,আরেক হাত তার মাথার পিছনে চুলে এলিয়ে দিয়ে কপালে চুমু একে দেয়।বৃষ্টি মুচকি হেসে মাথা তুলে মেঘের দিকে তাকায়।
বৃষ্টি;;ভয় পাও?
মেঘ;;তোমার জন্য,শুধু একমাএ তোমার জন্য?তোমাকে হারানোর ভয়।
বৃষ্টি;;তাই?তাহলে ভয় টা যে আরও দিগুন হয়ে গেলো।
মেঘ যেনো বৃষ্টির মুখে এইসব কথা শুনা মাএই আরও শক্ত করে বৃষ্টি কে জড়িয়ে ধরে।মেঘ তো এতোক্ষন চিন্তার মাঝে ডুব ছিলো।মেঘের এমন চেহারা দেখে এই দিকে বৃষ্টি তো শয়তানি হাসি দিচ্ছে।মেঘ চোখে তুলে তাকিয়ে দেখে যে বৃষ্টি হাসছে।
মেঘ;;কি হলো?এইভাবে হাসছো কেনো??
বৃষ্টি;;হিহিহিহিহি?হাসবো না তো কি করবো।
মেঘ;;আরে কি হলো?বলবে তো এইভাবে হাসছো কেনো?বৃষ্টির হাসি দেখে যেনো মেঘ ও হেসে দেয়।
বৃষ্টি;;ও হো জামাই কাহিনী আছে।অনেক বড় কাহিনী আছে।
মেঘ;;আচ্ছা সেই কাহিনী টা কি?বলবে তো?




ফ্ল্যাশব্যাক,,,
সকালে মেঘ অফিস চলে যাওয়ার পরেই বৃষ্টি হলরুমে চলে আসে।নিচে এসে বৃষ্টি এলিনার আর নীলার সাথে কথা বলে।কিন্তুু হঠ্যাৎ করে বৃষ্টি মুখে হাত দিয়ে দৌড়েই ওয়াশরুমে চলে যায় তার সাথে নীলাও যায়।
নীলা কিরে কি হয়েছে তোর আজ দুইদিন ধরে বমি করে যাচ্ছিস শরীর কি বেশি খারাপ লাগছে চলো দেখি হলরুমে গিয়ে বসবি।
বৃষ্টি হুম চল।শরীর টা সত্যি খুব খারাপ লাগছে।আচ্ছা তুই এইখানে থাক আমি খাবার নিয়ে আসছি বলেই নীলা বৃষ্টির জন্য খাবার আনতে গেলো।
এলিনা কিরে তখন এইভাবে দৌড় দিলি কেনো শরীর খারাপ করেছে না কি?নীলা খাবার এনে বৃষ্টির সামনে নিয়ে বসে কিন্তুু বৃষ্টি কোন মতেই খাবার খাবে না।তখনই দরজার কলিংবেল বেজে ওঠে।তুই খাবার টা খেয়ে নে আমি দেখছি বলে নীলা দরজার সামনে গিয়ে দাড়ায়।দেখে যে একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে।সে হস্পিটাল থেকে।
মিসেস.বৃষ্টি মেঘ আহমেদ চৌধুরী আছে তার জন্য হস্পিটাল থেকে রিপোর্ট এসেছে।হস্পিটাল থেকে তার নামে রিপোর্ট আসাতে বৃষ্টি তারাতারি এসে একটা সাইন করে দেয়।নীলার হাতে রিপোর্ট টা দেয়া মাএই নীলা সব কিছু এক এক করে চেক করতে থাকতে।
নীলা তো বৃষ্টির রিপোর্ট দেখে তার চোখ বড় বড় হয়ে যায়।মানে কি থেকে কি হচ্ছে এসব।সব যেনো নীলার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।নীলাকে এমন চুপ থাকতে দেখে এলিনা এগিয়ে গিয়ে বলে,,,
এলিনা;;কি হয়েছে নীলা??এইভাবে মুর্তির মতো হাতে রিপোর্ট নিয়ে দাড়িয়ে আছিস কেনো?কি হয়েছে বৃষ্টির আরে বলবি তো নীলা।
বৃষ্টি;;কিরে ভুতনী বলনা কি এসেছে রিপোর্টে?
এলিনা;;কিছু তো বলবি না কি?
নীলা;;ইইইইইই দাদি,এখন তো ড্যান্স দিতে মন চাচ্ছে😁
এলিনা;;পরে ড্যান্স করিস আগে বল কি হয়েছে?
নীলা;;বৃষ্টিইইইইই প্রেগন্যান্ট দাদি🥳
এলিনা;;মানে বৃষ্টি?
নীলা;;হ্যাঁ দাদি আমাদের বৃষ্টি প্রেগন্যান্ট।
বৃষ্টি;;মা মানে আম,আ আমি আমি প্রেগন্যান্ট।মানে আম আমার আ আমার বাচ্চা।আমার বাচ্চা।
নীলা;;হ্যাঁ বৃষ্টি তুই মা হবি।ইশশ আমার যে কতো আনন্দ লাগছে।
বৃষ্টি তার পেটে হাত রাখে তার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরছে।এতো আনন্দের কারনে বৃষ্টি কোন খেয়াল নেই যে তার চোখের পানিতে তার বুকের অর্ধেক জামা ভিজে গেছে।এতোটাই খুশি যে বৃষ্টি কোন কথাই বলতে পারছে না খুশিতে নীলাকে জরিয়ে ধরে।সেই খুশিতে এলিনা বৃষ্টি বাবা মাকে জানিয়ে দেয় তারাও এই খবর শুনে খুব খুশি হয়।তাদের মেয়ে সত্যি অনেক বড় হয়ে গেছে।এইভাবে তিন জনের অনেক অানন্দে সময় টা কেটে যায়।বৃষ্টি তো ভাবছে কিভাবে মেঘ কে সারপ্রাইজ দেয়া যায়।যেই ভাবা সেই কাজ।তারা তিনজন প্লেন করে যে মেঘকে বাসায় আনবে কি বলে।এক প্রকার নীলাকে জোর করে ভয়ন্তো কন্ঠেএইভাবে কথা বলতে বলে।ওপাশে ফোনে আকাশ এমন কথা শুনে তারাতারি করে মেঘ কে নিয়ে বের হয়ে যায়।গাড়ির শব্দ শুনে তারা সোফায় গিয়ে বসে থাকে।মেঘ আকাশ হল রুমে ঢুতে দেখে সবার মুখে কেমন যানি চিন্তার ছাপ।আর এখন তো মেঘ তার রুমে।




বর্তমান,,
মেঘ এখন তো কিছু বলো আমার খুব চিন্তা হচ্ছে বৃষ্টি প্লিজ কিছু বলো।বৃষ্টি মুচকি হেসে মেঘ কে বিছানার উপর বসিয়ে দিয়ে আলমারি থেকে ছোট একটা বক্স এনে মেঘের হাতে দেয়।মেঘ হাতে বক্স টা নিয়ে বৃষ্টির দিকে তাকায়।
মেঘ;;কি এইটা বৃষ্টি??
বৃষ্টি;;খুলে তো দেখো কি আছে এইটার মধ্যে বলেই মুচকি হাসে।
মেঘ;;জানপাখি তুমি আমাকে গিফট করলে তাও আবার শুধু বক্স আর কিছুই না।
বৃষ্টি;;এতো কথা না বলে বক্সটা তো খুলবে।
মেঘ বৃষ্টির কথায় বক্সটা আস্তে আস্তে করে খুলতে থাকে।বক্সটা যতই খুলছে ততই একটার পর একটা বক্স বের হচ্ছে।মেঘ এইবার বৃষ্টি মুখের দিকে তাকায়।
মেঘ;;আচ্ছা জানপাখি তুমি আমাকে কি গিফট করেছো শুধু বক্স আর বক্স।
বৃষ্টি;;এতো কথা কেনো বলো?কিছু না কিছু তো গিফট করেছি তাই না।
—-বৃষ্টির এমন কথা শুনে যেনো মেঘ বক্স খুলতে ব্যস্ত হয়ে পরে।মেঘের এমন কান্ড দেখে বৃষ্টি মুচকি হাসতে থাকে।শেষের বক্সটা যখন খুলে তখন মেঘের চোখে বেবি পিংক কালারের এক জোড়া বেবি জুতা দেখে।মেঘ একবার বৃষ্টি দিকে আর একবার জুতোর দিকে কপাল কুচকে তাকিয়ে থাকে।মেঘ যেনো অবাক দৃষ্টিতে জুতো জোড়ার দিকে তাকিয়ে আছে।তার পুরো দুনিয়া টা যেনো উল্টে গেছে।মেঘের যেনো নিশ্বাস ভারি হয়ে আসছে বুকের ভেতর টা কেমন যেনো ছাত করে উঠলো।মেঘ ছুকনো কিছু ঢোক গিলে বৃষ্টি দিকে তাকায়।মেঘ তাকিয়ে দেখে যে বৃষ্টির ঠোটেরঁ কোনে হাসি লেগে আছে।কিছু সময়ের জন্য মেঘ বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।বৃষ্টি মেঘের কাছে গিয়ে বলে,,
বৃষ্টি;;কি হলো মেঘ কিছু তো বলো?
মেঘ;;বৃ,বৃ,বৃষ্,,,বৃষ্টি!
বৃষ্টি;;হুম বলো??
মেঘ;;বে ব বেবি!
বৃষ্টি;;হুম হুম হুম মেঘ।
মেঘ;;you mean we, we are gonna be parents!
বৃষ্টি;;yes.
বৃষ্টির মুখে হ্যাঁ শোনা মাএই মেঘ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না সোজা দাড়িয়ে বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে।
মেঘ;;জানপাখি তুমি মানে তুমি প্রেগন্যান্ট।ও আল্লাহ আমি মনে হয় খুশিতে পাগল হয়ে যাবো।আমি বাবা হবো।সত্যি বৃষ্টি আমি, আমি পাগল হয়ে যাবো।মেঘ এতো টাই খুশি যে তার চোখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরছে।বৃষ্টি অনুভব করে যে তার একপাশের কাধ ভিজে গেছে মেঘের চোখের পানিতে।মেঘ বৃষ্টিকে ছেড়ে দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলে।
মেঘ;;আমি কখনই ভাবি নেই যে তুমি আমাকে এতো সুন্দর একটা জিনিস উপহার দিবে।সত্যি বলছি জানপাখি আমি এইটা ভাবি নি।আকাশ যেই ভাবে বললো তখন মনে হলো আমার পুরো পৃথিবী উল্টে গেছে।
বৃষ্টি;;এতো ভালোবাসো তুমি আমাকে?আর যদি সত্যি সত্যি আমার কিছু হয়ে যেতো তখন কি করতে তুমি?
মেঘ;;বৃষ্টি ছাড়া এই মেঘের কোন অস্বস্তি থাকবে না।তুমি ছাড়া আমি কিছুই না।ভালোবাসি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
বৃষ্টি;;তুমি খুশি হওনি?
মেঘ;;বলার বাহিরে।এই দিনটা যে আমার জীবনে আসবে তার কল্পনাও করিনি।আর তুমি জানো আমি কতো টা ভয় পেয়ে গিয়েছি।কিন্তুু তোমার তো?
বৃষ্টি;;আমার কি?
মেঘ;;তোমার অনেক কষ্ট হবে।তুমি সামলাতে পারবে তো।তোমার কষ্ট হলে আমি সহ্য করতে পারবো না।
বৃষ্টি মেঘের দিকে তাকিয়ে বলে।তুমি আমার পাশে আমার কোন কষ্ট হবে না বলেই বৃষ্টি মেঘকে জড়িয়ে ধরে।
—-আকাশ,ও হো আমার রোমিও জুলিয়েট তোমাদের রোমান্স শেষ হলে কি আমরা ভিতরে আসতে পারি।
আকাশের এমন কথা শুনে বৃষ্টি তারাতারি করে মেঘ কে ছেড়ে দেয়।
মেঘ,হুম আয় ভেতরে।মেঘের কথা শুনে তিনজনেই রুমে ঢুকে।আকাশ মেঘ কে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানায়।তুই তো বাবা হবি আর আমি নীলার দিকে তাকিয়ে।আমি তো কিছুই হবো না।কি কপাল আমার।
বৃষ্টি;;কে বলেছে ভাইয়া, তুমি তো চাচ্চু হবে।
আকাশ;;আরে বউমনি সেইটা তো জানি,কিন্তুু বাকি টা বলার আগেই এলিনা আকাশের কান ধরে বলে।
এলিনা;;অনেক বড় হয়ে গেছিস তাই না দাড়া তোর ব্যবস্থা ও করছি।
আকাশ;;ও দাদি কান ছাড়ো লাগছে আমার।সবাই এমন কান্ড দেখে হেসে দেয়।এলিনা গিয়ে বৃষ্টি কে জড়িয়ে ধরে আর নীলা তো অনেক খুশি।সবাই হাসি মজা করে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
মেঘ গায়ে থেকে জ্যাকেট টা খুলে বৃষ্টির কাছে গিয়ে তার মাথা টা বৃষ্টির মাথার সাথে ঠেকিয়ে দেয়।বৃষ্টি মেঘের এক হাত এনে তার পেটের উপর রেখে দেয়।
বৃষ্টি;;তুমি বাবা হবে মেঘ।
মেঘ;;আর তুমি আম্মাম।
বৃষ্টি;;ইইইইইই।আচ্ছা শুনো এখন তোমাকে দুইটা বেবি সামলাতে হবে।
মেঘ;;মানে??দুই টা বেবি কোথা থেকে আসলো।
বৃষ্টি;;বারে এক আমি আর এক যে আসবে সে বুঝলে আমার জামাই জান।
—-মেঘ আচ্ছা ঠিক আছে আমি দুইজনকেই সামলাবো।এখন তুমি বলো কিছু খেয়েছো।বৃষ্টি শুধু মাথা নিয়ে এপাশ ওপাশ করে তার মানে সে খায়নি।মেঘ বৃষ্টিকে বিছানায় বসিয়ে দ্রুত ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে।ফ্রেশ হয়ে এসে মেঘ খাবার আনতে নিচে চলে যায়।এক প্লেটে দুইজনের খাবার এনে নিজেও খায় আর বৃষ্টিকেও খাইয়ে দেয়।দুইজনের খাওয়া শেষ হলে মেঘ বৃষ্টিকে আস্তে করে শুয়ে দিয় আর নিজেও বৃষ্টিকে বুকে ছড়িয়ে শুয়ে পরে।আচ্ছা বৃষ্টি শোন আমি আর তেমন অফিসে যাবো না।এখন থেকে তোমার সাথেই থাকবো।আকাশ এইদিক টা দেখে নেবে।
—–বৃষ্টি,এই কেমন কথা এখন তো কিছুই হয়নি আর তুমি অফিস যাবে না।তুমি অফিস যাবে বাসায় তো দাদি নীলা তারা তো আছেই দরকার পরলে বাবা মাকে বাসায় ডেকে নেবো।
মেঘ তোমার কথা আমি শুনছি না।আমি যা বলবো তোমাকে তাই শুনতে হবে।সময় মতো খাবার হবে।দৌড়ানো একদম বারন।বাহিরের খাবার খাওয়া চলবে না।
বৃষ্টি মেঘের মুখে তাকিয়ে বলে।এতো কিছু নিষেধ।
মেঘ,আমার পিচ্চি বউ আর আমার বেবি খেয়াল রাখতে হলে এইসব তো করতেই হবে।
বৃষ্টি,আমি মোটেও পিচ্চি না।আমি এখন অনেকটাই বড় হয়ে গেছি।
মেঘ;;ও আচ্ছা তাই? আমার তো মনে হয় না?
—-বৃষ্টি,মনে হবে কেমন করে।আমি তো আর বড় না বলেই দুইজনে ফিস করে হেসে দেয়।এইভাবে দুইজনের দুষ্টুমিষ্টি ঝগড়ার মাঝে রাত টুকু পার করে দেয়।
#চলবে~~~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here