শিমের বিচি খোসা ছাড়ানো এবং  ফ্রিজে না রেখেও বছরজুড়ে সংরক্ষণের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি||shimer bichi khusha Charano & songrokkhon.

বাংলাদেশের বীজ জাতীয় খাবারের মধ্যে শিমের বিচি সবার পছন্দের খাবার বলা যেতে পারে। তাছাড়া শিমের বিচি তে রয়েছে নানা রকমের ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ। এছাড়া শিমের বিচি দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না করলে যেমন:-  মাছ তরকারি , মুরগির মাংস তরকারি ,গরুর মাংস তরকারি।

তাছাড়া সব ধরনের সবজিতে দেওয়া যায় এছাড়া শুটকি রান্না সব ধরনের ভাজিতে দেওয়া যায়। এছাড়া এই সিমের বিচি দিয়ে রান্না করলে যেকোনো তরকারি খুবই সুস্বাদু হয়।

আর এই সিমের বিচি সারাবছর সচরাচর থাকেনা সিজনের সময় হয় । তাই এখন সিমের মৌসুম। তাই এই মৌসুমে কিভাবে সিমের বিচি সংরক্ষণ করে সারা বছর খাওয়া যায় সেই পদ্ধতিটা আজকের এই রেসিপির মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।

শিমের বিচি সারাবছর সংগ্রহ করার জন্য কয়েক ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা আর অন্যটি হচ্ছে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা।

আজকের রেসিপি মাধ্যমে তুলে ধরা হবে ফ্রিজে না রেখে কিভাবে রোদে শুকিয়ে সারাবছর সংরক্ষণ করতে পারব সিমের বিচি সেই পদ্ধতি।

প্রথমে আমরা শিমের বিচি কিভাবে খোসা ছাড়ানো হয় সেই পদ্ধতিটা নিচে আলোচনা করে নিচ্ছি:-

প্রথমে আদা কাঁচা সিমের বিচি গুলা কে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা।

তারপর চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর শিমের বিচি গুলুর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।

এছাড়া যাদের হাতের কাছে সময় নেই তারা চাইলে কুসুম কুসুম পানি দিয়ে ভিজিয়ে এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ছিলে নিতে পারেন । তাছাড়া আরও একটি পদ্ধতি হচ্ছে যদি কুসুম কুসুম গরম পানি দিতে না চান সেক্ষেত্রে লবণ দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে ও তাড়াতাড়ি ছেলে নেওয়া যায়।

সংরক্ষণ পদ্ধতি:-

শিমের বিচি খোসা ছাড়ানো হয়ে গেলে, বিচিগুলো ধুয়ে নিতে হবে। তারপর চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিতে হবে। তারপর দিয়ে দিতে হবে সামান্য একটু হলুদের করা এটা শুধু দেখতে দেখা সৌন্দর্যের জন্য দেওয়া না দিলেও হবে।

তারপর হাঁড়ির পানিটা ফুটে আসার পর দিয়ে দিতে হবে খোসা ছাড়ানো সিমের বিচি গুলো। তারপর শিমের বিচি গুলো 3 থেকে 4 টা বলো আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সর্বোচ্চ তিন থেকে চার মিনিট সিদ্ধ হওয়ার পর সিমের বিচি গুলো থেকে নিতে হবে। অর্থাৎ পুরোপুরি ষিদ্ধ করা যাবেনা সিমের কুচিগুলো হাফ সিদ্ধ করে ছেঁকে নিতে হবে।

তারপর সিদ্ধ করা বিচিগুলো ঠান্ডা হওয়ার পর রোদে শুকাতে দিতে হবে। আর যদি রোদে শুকানোর ব্যবস্থা না থাকে সেক্ষেত্রে ফ্যানের বাতাসে দিয়ে হালকা শুকিয়ে আসার পর চুলার নিচে দিয়েও শুকানো যাবে।

সিমের বিচি গুলো এবার পুরোপুরি ঝরঝরে শুকানো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে যদি করাকরি রোদ থাকে তিন দিনে শুকিয়ে যায়। এখন রোদ অনুযায়ী ভালো করে সময় নিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে ।শুকানো টা ভালো হলে শিমের বিচি গুলো আর নষ্ট হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

তারপরে শিমের বিচি গুলো শুকানো হওয়ার পর যেকোনো একটি এয়ার ড্রাই বক্সে রেখে দিলে সারা বছর যখন মন চায় তখনই খাওয়া যাবে। আর খাওয়ার আগে এক মুঠ শিমের বিচি নিয়ে পানিতে একটু ভিজিয়ে রাখার পর বা  একটু ব্যাপার দিয়ে রান্না করলেই হয়ে যাবে একদম কাঁচা শিমের বিচির মত।

আশা করছি এই সিমের বিচি খোসা ছাড়ানো এবং সংরক্ষণ পদ্ধতি টা সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here