প্রিয়ঃ_আপডেট পর্ব ৭
মোর্শেদা রুবিঃ

৭.
শারদ আজ সকাল সকালই বেরিয়ে গেছে।বিয়ের ঝামেলায় গত কয়েকদিন অফিস যাওয়া হয়নি।তাই আজ সকাল বেলাতেই সে অফিসের জন্য উঠে পড়েছে।রাতেই মা’কে জানিয়ে রেখেছিলো যে কাল অফিসে যাবে আর সাজেদা জানিয়েছেন প্রিয়াকে।
শারদ গোসল সেরে বেরিয়ে দেখেছে চা নাস্তা একেবারে টেবিলে সাজানো।
তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছে বলেছিলো-“নাস্তা তো আমি অফিসেই সারি!”
-“কেন,অফিসে কেন? আজ থেকে বাড়ী থেকে নাস্তা করে বেরোবেন!”
-“দরকার কি বাসায় ঝামেলা করার!”
-“এটাকে ঝামেলা বলছেন কেন?”
শারদ আর কথা বাড়ায়নি গায়ে গেঞ্জী চড়িয়ে চুপচাপ চেয়ারে বসে গেছে।
প্রিয়া হাত বাড়িয়ে তোয়ালেটা নিয়ে সরে গেছে সেখান থেকে।
শারদের নাস্তা শেষ হবার মিনিট খানেক আগেই ধোঁয়া ওঠা চা এসে হাজির।শারদ চুপচাপ সেটা টেনে নিয়ে নিরবে নাস্তা খেয়ে অফিসে চলে গিয়েছিলো।

শারদ অফিসে চলে যেতেই প্রিয়া এবার প্রিয়কে নিয়ে পড়লো।ওর গোসল খাওয়া সেরে নিজেও গোসল নামাজ সারলো।বিকেলের দিকে চাচ্চু ফোনে জানালেন।সন্ধ্যার পর আরমানদের বাড়ী থেকে লোকজন আসবে পাপিয়ার বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে।প্রিয়া যেন বাড়ীর বড় মেয়ে হিসেবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে!

প্রিয়া এসে খবরটা সাজেদাকে জানাতেই তিনি হেসে বললেন,” হ্যাঁ,আমাকে তোমার খালা শ্বাশুড়ী ফোনে সব জানিয়েছে।আবার তোমার চাচাও যেতে বলেছে আলাদা করে!এখন দেখি শারদ আসুক।ও কখন ফিরবে কিছু বলেছে তোমাকে?”
-“জ্বী,না। সেরকম তো কিছু বলেনি।”
-“আচ্ছা,ও ফিরুক দেখি।”

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো।শারদের আজ দেখা নেই!মাজেদা কয়েকবারই ফোন করে ফেলেছেন এর মধ্যে।তিনি বড়বোন দুলাভাইকে ছাড়া বিয়ের তারিখ ঠিক করবেন না বলেই দিয়েছেন।
সন্ধ্যার পর পর শারদের বাবা আজহারউদ্দিন স্ত্রী বললেন-“চলো,আমরা দুজনে চলে যাই,শারদ এলে প্রিয়াকে নিয়ে চলে আসবে। ফোন করে ওকে বলে দাও যে আমরা চলে যাচ্ছি!ও যেন প্রিয়াকে নিয়ে চলে আসে!”

সন্ধ্যের পরপরই সাজেদা আর আজহারুদ্দিন বেরিয়ে গেলেন।প্রিয় তখনো ঘুমে।তারা চলে যাবার মিনিট দশেক পরেই শারদ চলে এলো! বাড়ীঘর ফাঁকা দেখে নিজেই বললো-“বাবা মা,দুজনেই চলে গেছে নাকি ?”
-“জ্বী! আপনি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে নিন।তারপর নাহয় আমরা যাবো!”

শারদ কৌতুকের দৃষ্টিতে তাকালো-“সকাল বেলা যেভাবে পেট ভরে খাইয়ে দিলে।সারাদিন ওতেই পেট ভরে ছিলো!”
-“ইস্,কিইবা এমন খেয়েছেন!”টেবিলে শারদের নাস্তা দিতে দিতে হেসে ফেললো প্রিয়া।কিন্তু শারদ গম্ভীর সুরে বললো-
-“বিবাহিত জীবনে আজই প্রথম তৃপ্তির সাথে ভরপেট নাস্তা খেয়ে অফিসে গেলাম!”
বলেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলো শারদ।
ফ্যাকাশে হেসে বললো-“আসলে নীরা ওর বাড়ীর খুব আদুরে মেয়ে ছিলো তো।সকাল সকাল ওসব করতে পারতো না।আমিও ওকে কখনো প্রেসার করিনি!”
প্রিয়া মৃদু হেসে বললো-“বেঁচে থাকলে হয়তো পরে অনেক কিছু গুছিয়ে নিতে পারতেন।সবার এক সময়ে সবকিছু হয় না।কারো কারো সংসারের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগতে একটু দেরী হয়!”
প্রিয়া চলে যেতে নিলে হঠাৎ শারদ ওকে থামালো।
-“আসলে প্রিয়া,নীরাকে আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম।ওর সাংসারিক গুণপনাকে দেখিনি।খোঁজার চেষ্টাও করিনি।প্রিয় কে জন্ম দিয়েই ও হঠাৎ চলে গেলো।আর ও চলে যাবার সাথে সাথেই আমাদের সংসারটা শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যায়।”
প্রিয়া চুপ করে দাঁড়িয়ে পড়লো।শারদ গম্ভীর মুখে বলে চললো-“আজ অনেক দিন পর, সকালে অফিসে যাবার সময় পুরোনো দিনগুলোকে ফিল করতে চেষ্টা করছিলাম।সকাল থেকেই সবকিছু অন্যরকম লাগছে।কেমন,ঠিক বলে বোঝাতে পারবোনা!”

প্রিয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে ওড়নার প্রান্ত দিয়ে মুখ মুছে বললো-“আপনি নাস্তাটা খেয়ে নিন।আমাদের তো আবার যেতে হবে!”
প্রিয়া রান্নাঘরের দিকে যেতে উদ্যত হলে শারদ হঠাৎ ওর সামনে এসে ওকে ঘেরাও করার মতো করে দাঁড়ালো।
প্রিয়া চমকে তাকালো-“কি হয়েছে?”
শারদ একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো যেন কিছু বলবে।
প্রিয়া নার্ভাস ভঙ্গিতে মুখ নামিয়ে বললো-“কিছু বলবেন?”
-“মাথা নাড়লো শারদ।প্রিয়া অস্বস্তি ঢাকতে বললো-
-“আমি আপনার জন্য চা নিয়ে আসি!”

শারদ কোনো কথা না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।প্রিয়া যাবার জন্য ডানে বামে পথ খুঁজে না পেয়ে শারদকে ইশারা করলো সরতে।শারদ ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হঠাৎ ধীর পায়ে সামনের দিকে এগুতে লাগলো।প্রিয়া অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলো।তারপর বাধ্য হয়ে পেছনের দিকে হটতে লাগলো! নইলে শারদের গায়ে ধাক্কা খেতে হবে।
শারদের চোখে শ্রাবনের ঘোর।প্রিয়া হঠাৎ লক্ষ্য করলো সে আর পিছাতে পারছেনা। পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে।পুরোপুরি কোনঠাসা হয়ে পড়েছে সে।আরক্ত চোখে শারদের দিকে তাকালো-“কি হলো কি আপনার?”
শারদ এবার গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে হঠাৎ বললো-“আচ্ছা! তুমি কি চাও কি আমার কাছে?”
-“কিছু না!” বলতে গিয়ে গলাটা কেঁপে গেলো প্রিয়ার!
-“তাহলে এতো খেদমত কেন?”
-“ওমা,স্ত্রী স্বামীর খেদমত করবে এটাই তো আল্লাহর বিধান!”
-“তাই! তা বিনিময়ে স্বামী কি করবে?”
-“স্বামীরটা স্বামী জানে,আমি কি জানি!” প্রিয়া কোনমতে বললো!সরে যেতে চাইলো পারলোনা।শারদ একটু ঝুঁকে কি যেন বলতে গেলো অমনি ফোন বেজে উঠলো!

ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শারদ ফোনটা তুললো।প্রিয়া ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো কারন শারদ ওর জায়গা থেকে একচুলও নড়েনি।চাচাজান ফোন করেছেন।জানতে চাচ্ছেন ওদের দেরী হচ্ছে কেন!শারদ জানালো,”আসছি আমরা!”বলে ফোনে কথা শেষ করে শারদ প্রিয়ার দিকে তাকালো।
প্রিয়া সংকোচে চোখ নামিয়ে নিলো।ওর বুকের ভেতর হাতুড়ী পিটছে।গলা শুকিয়ে কাঠ।
-“দাও,আমাকে খেতে দাও!”বললো শারদ।
-“সরুন,দিচ্ছি!”
শারদ সরে গেলো সেখান থেকে।নাস্তাটা চুপচাপই সারলো ও!
ওকে চা দিয়ে প্রিয়া ঈশার নামাজটা পড়ে নিলো।শারদ তখন নাস্তা সেরে বিছানায় গড়িয়ে পড়েছে।প্রিয়া নামাজ পড়ে এসে চুপচাপ নিজের কাপড় গুলো নিয়ে চলে যেতে ধরলে শারদ বললো-“তোমার একটা নীল জামা আছেনা?”
-“না তো!”
-“সেদিন পড়লে দেখলাম!”
-“কোন্ দিন?”
-“বিয়ের দিন রাতে।জামা পাল্টে পড়ে তো ওটাই পড়েছিলে? ”
প্রিয়া ঠোঁট সামান্য বাঁকা করে বললো-“সেদিন আমি নীল জামা পড়িনি,পেষ্ট কালারের জামা পড়েছিলাম।পেষ্ট নীল হয় কি করে!”
শারদ হঠাৎ উঠে এসে আলমারী থেকে নীল রঙের একটা থ্রী পিস সেট বের করে দিয়ে বললো-“যদি একটা অনুরোধ করি, রাখবে!”
-“বলুন!”
-“এই জামাটা পড়ে চলো!” বলে একটা ফিনফিনে পলিপ্যাক বাড়িয়ে ধরলো প্রিয়ার দিকে।প্রিয়া হতবিহ্বলের মতো প্যাকেটটা হাতে নিয়ে বললো-“এটা আমাকে কেন পড়তে বলছেন?”
শারদ মৃদু হেসে বললো-“তোমাকে কেমন লাগে দেখবো!”
-“এটা কি নীরার জামা?”
-“ও একদিনই পড়েছিলো।আমি ওকে গিফট করেছিলাম জামাটা।তারপর আর পরতে পারেনি তার আগেই…..!”
প্রিয়া কিছুক্ষণ কাপড়টা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। শারদ ওর দিকে তাকিয়ে বললো-“কি ভাবছো?”
-“না,মানে।জামাটা আমার গায়ে লাগবে কিনা তাই ভাবছি!”
-“লাগবে!”
-“আপনি কিভাবে জানলেন ?”প্রিয়া অবাক হয়ে তাকালো!”
-“নীরার স্বাস্থ্য তোমার চেয়ে ভালো ছিলো।তাই মনে হলো!”
প্রিয়ার হঠাৎ কেন যেন রাগ হয়ে গেলো।শারদ ওর মাঝে তাহলে নীরাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।সে কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলোনা।শারদ আচমকা ওর ডান হাতের কব্জি ধরে বললো-“তুমি কিছু মনে করছো না তো?”
প্রিয়া কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো।মাথা ঝাঁকিয়ে জামাটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
শারদ নিজেও পাজামা পাঞ্জাবী পড়ে তৈরী হয়ে গায়ে সেন্ট মাখাতে শুরু করলো ! প্রিয়া দ্রুতপায়ে ঘরে ঢুকে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে কানের দুল বের করতে লাগলো।পেছন থেকে শারদ রীতিমত স্থির হয়ে গেলো সেদিকে তাকিয়ে।পোশাকটা প্রিয়ার গায়ে খুব সুন্দর ভাবে ফিট হয়েছে।শারদ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো-“তোমাকে খুব ভালো দেখাচ্ছে!”
প্রিয়া মুখ ফসকে বলে বসলো-“নীরার চেয়ে বেশী না কম?”
শারদ হঠাৎ থেমে গেলো।প্রিয়া আবায়াটা টেনে নিয়ে গায়ে দিয়ে বললো-“কি হলো! একেবারে চুপ মেরে গেলেন যে ?”
-“এরকম একটা কথা বললে কেন তুমি?”
-“খারাপ কিছু তো বলিনি।কেবল জানতে চেয়েছি জামাটা কার গায়ে বেশী মানিয়েছিলো?”
-“যদি বলি নীরার?”
প্রিয়া মুচকি হাসলো-“উত্তরটা এমনই আশা করেছিলাম কারন আপনি অফিস থেকে ফেরার পর থেকেই অদ্ভুত আচরণ করছেন।হয়তো আজ আপনাকে নীরার নষ্টালজিয়া পেয়ে বসেছে।না,ঠিক আছে।এটা হতেই পারে,কিন্তু আমাকে আপনি নীরার জায়গায় বসিয়ে নীরার মতো দেখতে চেষ্টা করবেন,এটা কিন্তু ঠিক না!”
-“মানে?”
-“আপনার অনুরোধ ফেলতে পারিনি বলেই নীরার জামাটা পড়েছি। আপনি সেই তখন থেকেই আমাকে নীরার মতো করে সাজাতে চেষ্টা করছেন।যেন আমি নীরার সংশোধিত রূপ।এটা কেন করছেন?”প্রিয়ার চোখে হঠাৎ পানি দেখা গেলো!

শারদ হকচকিয়ে গেলো!
-“আমি এতো কিছু ভেবে এসব করিনি!”
-“যেটা ভেবেই করেন না কেন।এর ফলাফলটা আমার বা নীরার কারো জন্যেই ভালো ফল বয়ে আনবেনা।কারন আমার মাঝে নীরাকে দেখতে গিয়ে আপনি আমাদের দুজনের খামতি বা বাড়তি গুণটুকু আলাদা করতে শুরু করবেন।প্রতিমুহূর্তেই আপনার মনে হবে,নীরা এমন ছিলো কিন্তু প্রিয়া তো এমন না বা মনে হবে প্রিয়ার মাঝে এটা নেই কিন্তু নীরার মাঝে তো এটা ছিলো।এতে করে আমাদের দুজনের যে কোনো একজনকে খাটো হতে হবে।আমার খাটো হতে আপত্তি নেই কারন একজন মৃত ব্যক্তির প্রতি কারো বিদ্বেষ থাকেনা কিন্তু নীরাকে কেন খাটো করবেন!”

শারদ চুপ করে কথাগুলো শুনে বললো-“আসলে ব্যপারটা ইচ্ছাকৃত নয়।আমি নীরাকে ভুলতে পারছিনা!”
-“আমি তো আপনাকে ভুলতে বলিনি।ভুলবেন কেন?সে আপনার স্ত্রী ছিলো আপনার প্রথম প্রেম ছিলো।আর প্রথম প্রেম কেউ ভুলতে পারেনা!আমিও পারবোনা!”
-“তোমার?”শারদ কিছুটা চমকে তাকালো “তুমিও কি কখনো কাউকে ভালোবেসেছো নাকি?”
প্রিয়া হেসে মুখ নামালো।
শারদের মুখের ঔজ্জ্বল্য কমে গিয়ে সেখানে ভীড় করলো একরাশ হতাশা।
-“শুনেছিলাম,তুমি একজন ধার্মিক মেয়ে।ছোটবেলা থেকেই অপ্রয়োজনে কারো সামনে যাওনি।কারো সাথে মেশোনি।এদিকে তো আবার ঠিকই প্রেম করে বসে আছো!”
শারদের স্বরে বিদ্রুপ না রাগ ঠিক বোঝা গেলোনা।প্রিয়া হিজাব বেঁধে প্রিয়র ব্যাগ গোছাতে লাগলো।শারদ একভাবে দাঁড়িয়ে ওর কাজকর্ম দেখতে লাগলো।তারপর হাতের চিরুনীটাকে সশব্দে ড্রেসিং টেবিলে ছুঁড়ে ফেলে বললো-“তারমানে তুমিও কাউকে ভালোবাসতে!”
প্রিয়া শারদের রাগ দেখে থমকে গিয়ে বললো-“এখন এসব কথা বাদ দিন তো।চলুন দেরী হয়ে যাচ্ছে!”
-“আগে আমার কথার জবাব দাও!”
-“কি বলবো?”
-“তাকে ভালোবাসো কিনা!”
-“হ্যাঁ,বাসি।একমাত্র তাকেই বাসি।”বলে প্রিয়া ব্যাগটা শারদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো-“আমি প্রিয়কে নিচ্ছি।আপনি ব্যাগটা ধরুন!”
শারদের তীক্ষ্ম চাহনী উপেক্ষা করে প্রিয়কে কোলে নিয়ে বেরিয়ে গেলো প্রিয়া।

প্রিয়াদের ঢুকতে দেখে মিজানুর রহমান প্রায় দৌড়ে এলেন।
-“কি রে মা,তোদের এতো দেরী কেন!সবাই বসে আছে তোদের জন্য।দে নানুমনিকে আমার কোলে দে!এসো বাবা!”বলে তিনি শারদকে আগলে ভেতরে নিয়ে গেলেন।
প্রিয়া সোজা ভেতরে চলে গেলে আর ওর সাথে বাকিটা সময় আর দেখা হলোনা শারদের।সাজেদা একবার ছেলের কানের কাছে ঝুঁকে বললেন-“কি রে,খুব ক্লান্ত নাকি।মুখটা অমন শুকনো দেখাচ্ছে!”
-“না,ততটা ক্লান্ত না!”
-“খাসনি কিছু?”
-“উফ্….মা।কি শুরু করেছো।আমি ঠিক আছি।এদের কি খবর বলো ? বিয়ের তারিখ কবে ঠিক হলো?”
-“বিয়ের তারিখ তো আরো এগিয়ে এসেছে।সামনের মাসের তের তারিখ!”
-“তেরো?”
-“হ্যাঁ।কেনো?”
শারদ আর কিছু বললো না।রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে চলে আসার আগ মুহূর্তে প্রিয়ার দেখা মিললো।সে হাসিমুখে প্রিয়কে নিয়ে বেরিয়ে আসছে।শারদের অন্তর্জ্বালা বাড়লো।প্রিয়ারও প্রিয় কেউ ছিলো বা আছে।যাকে সে এখনো খুব ভালোবাসে।আজ তাকে জানতেই হবে, কে সে!”

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here