#তোমাতে_মাতোয়ারা ৭ম পর্ব

_আরশিয়া জান্নাত

মনোয়ারা বেগম বেশ মনোযোগ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে দেখতে লাগলেন।লম্বা চওড়া, ফর্সামতো রাজকুমারের মতো ছেলে! ঝাঁকড়া চুলগুলো কি সুন্দর করে সাজানো,কথা বলার সময় চোখ হাসে,কালো শার্টে ছেলেটাকে দেখতে নায়কের চেয়ে কম লাগছে না।
“এমন রাজকুমারের মতো পোলা যদি আমার চান্নিপহরের জামাই হইতো কতো ভালা হইতো!” মনে মনে আওড়ালেন তিনি।
ইরফাজ সাহেব বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে মনোয়ারা বেগম কে বললেন,ও হইছে ফরহাদের বন্ধু নিরব,ফরহাদরে চিনছো নি?পুষ্পির ভাই দাদুভাইয়ের বান্ধবী?ঢাকা থেইকা আইছে কিছুদিন এহানে থাকবো।তুমি ওরে মেহমানখানায় লইয়া যাও।
–ও বুঝছি।আসো ভাই ভেতরে আসো।জুলেখা মেহমানের লাই শরবত বানাই আন।
তা ভাই রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নাই তো?
তোমার বাড়ির সবাই ভালা?কে কে আছে পরিবারে?করো কি?
নিরব হেসে বললো,না কোনো সমস্যা হয়নি।
সবাই ভালো আছে,পরিবারে মা বাবা আর দুই বোন।
–এক মাত্র পোলা সাত রাজার ধন?
নিরব মাথা চুলকে হাসলো।
মনোয়ারা বেশ মুগ্ধ হলেন তাঁর হাসি দেখে।
হাতমুখ ধুইয়া এখানে বসো আমি আইতাছি।
নিরব চারদিকে তাকিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।
একটু পর কাজের মেয়ে জুলেখাকে নিয়ে শরবত আর নানারকম পিঠা নিয়ে মনোয়ারা বেগম আসলেন।
–এসব খাইয়া নাও এহন।
–এতো রকমের পিঠা?আমিতো এই প্রথম দেখলাম।
–খাইয়া দেখো কেমন।
নিরব সবগুলো থেকে একটা একটা করে চেখে দেখলো।
–উমমম অনেক মজা।বিশেষ করে এই পিঠাটা, কি নাম এটার??
–এর নাম ডিম সুন্দরী পিঠা।আমার চান্নিপহরের প্রিয় পিঠা এটা।
–চান্নিপহর?মানে কি এটার?
–চান্নিপহর মানে হইলো চাঁন্দের আলো।আমার নাতনি ঐন্দ্রিলা আমার চান্নিপহর।
–অনেক সুন্দর নিকনেইম।অনেক আদরের নাতনি বোঝাই যাচ্ছে।
–তা আর কইতে?আমার চার পোলামাইয়ার ঘরে ও ই একমাত্র নাতনি,বাকিসব নাতি।হের আদর তাই অনেক বেশি।তোমার দাদা তো নাতনি কইতেই জানপরাণ।
–শুনে অনেক ভালো লাগলো।আমার অবশ্য দাদা দাদী নেই।তবে আপনাদের দেখে এই প্রথম তাঁদেরকে মিস করছি।
–আহা মন খারাপ কইরোনাতো।তোমার যখন মন চাইবো এখানে চইলা আসবা।বুড়াবুড়ির আবার গল্প করার ব্যারাম আছে।হিহিহি
নিরবের অনেক ভালো লাগলো মনোয়ারা বেগমের মিশুক স্বভাব দেখে।তাঁকে দেখে মনেই হচ্ছে না তিনি তাঁকে চেনেনা বা এই প্রথম দেখছে।কি সাবলীল ভাবে সব গল্প করছে!
বিকেলে ইরফাজ সাহেব নিরবকে সাথে করে বাগানের দিকে হাঁটতে বেরোলেন।সাথে পরিবারের খোঁজখবর নিলেন।কে কি করে, কয় ভাইবোন ইত্যাদি সাধারণ আলাপন।শান বাঁধানো পুকুরঘাটে বসে নিরবের মনটা জুড়িয়ে গেল।কি সুন্দর ছায়ায় ঘেরা সিঁড়ি ঘাট!
ইরফাজ সাহেব চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে রইলেন তাঁকে এমন অন্যমনস্ক দেখে নিরব বললো,দাদাজান আপনি কি কোনো কারণে চিন্তিত হঠাৎ চুপ হয়ে গেলেন?
ইরফাজ সাহেব শুকনো হাসি দিয়ে বললো,এখানে আইলেই মনটা খারাপ হইয়া যায়।এখানে যতো ফুল গাছ দেখতেছ সব আমার নাতনির বয়সী।ও যে বছর হইছে আমি এই সবগুলা রোপন করছি,আমার জান্নাতের ফুল আইছে কি না!
তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
ছেলেমেয়ের বিয়েশাদী হয়ে গেলে বাপ মা এমনিতেই একা হয়ে যায়,তখন নাতি নাতনিরাই সম্বল।আমার দুই মেয়ে বছরে একবার আসে আর ছেলে একটা ঢাকায় আরেকটা উপজেলায় থাকে।নাতনিটা অবশ্য সুযোগ পাইলেই চইলা আসে,তোমার দাদীও যায়।কিন্তু সবসময় তো চোখের সামনে দেখিনা।তাই মায়া লাগে বেশি।
নিরব বাকরুদ্ধ হয়ে ইরফাজ সাহেবের ধরা গলায় বলা কথা শুনলেন।
“তুমি খুব লাকি ঐন্দ্রিলা।বটবৃক্ষের মতো স্নেহপরায়ণ দাদা দাদী পেয়েছ!”
___________

বেশকিছু দিন ধরেই ইশতিয়াক অন্যরকম ফিল করছে।দিয়া মেয়েটা কোত্থেকে ওর সব ইনফরমেশন কালেক্ট করেছিল কে জানে।রোজ অফিস এর সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা কল করে এটা সেটা বলা যেন তাঁর রোজকার রুটিন।ইশতিয়াক বারবার এড়িয়ে গেছে।একজনকে হারিয়ে সে মরতে বসেছিল ,পরিবারের সবাইকে কষ্ট দিয়েছে।সে আবার কাউকে জড়িয়ে দূর্বল হতে চায়না।কিন্তু সেদিন মেয়েটা দেখা করতে বলায় খুব বেশিই রুড বিহেভ করে ফেলেছে বোধহয়।এর পর থেকে মেয়েটা আর কল করেনা,অফিসের সামনে আসেনা। ছুটির পর আনমনেই মেয়েটাকে খুঁজতে থাকে।এটা কি মায়া নাকি অভ্যাস? বুঝে পায়না ইশতিয়াক।

এ কয়দিনে নিরব খুব ভালোভাবেই মিশে গেছে ঐন্দ্রিলার দাদা দাদীর সঙ্গে।ওনারা এতো অমায়িক আর সৌহার্দপূর্ণ যে কেউ মিশে যেতে বাধ্য।মনোয়ারা বেগম যখন শুনলেন নিরব নামকরা গায়ক,অবাক হলেন বেশ।নিরহঙ্কার গায়ক ছেলেটাকে বেশ মনে ধরেছে তাঁর বলা বাহুল্য।
এক রাতে মনোয়ারা বেগম নিজের মনের সুপ্ত কথা পেশ করলেন স্বামীর নিকট।পান সাজাতে সাজাতে বললেন,
–নিরব পোলাডারে তোমার কেমন লাগে?
–ভালাই তো।ক্যান?
–তুমি ওর খোঁজখবর নাও ভালা কইরা।দেখো তো মনে ধরে নি?
–খোঁজখবর তো নিছিই।ভালা বংশের পোলা,বাপ মায়ের ও নাম ডাক আছে।সবচেয়ে বড় কথা মন পরিষ্কার।দেখোনা কি সুন্দর কইরা আমার লগে গল্প করে,দাদাজান বইলা বইলা পরাণ দেয়।
–একটা কথা কই?গোস্সা কইরোনা কিন্তু।
(পান এগিয়ে দিয়ে বললেন তিনি)
–তোমার লগে আমি কখনো গোস্সা করছি?
–তা করোনাই আইচ্ছা শুনোনা,আমাগো ঐন্দ্রিলার জন্য নিরবরে তোমার পছন্দ হয়??
ইরফাজ সাহেব কিছুক্ষণ ভেবে বললেন,তোমারে একটা কথা কই মনুরাণী।নিরব ঐন্দ্রিলারে ভালোবাসে।ও এখানে আইছে আমাগোরে রাজী করাইতে।
মনোয়ারা বেগম উচ্ছাসিত গলায় বললেন,হাছা কইতাছো!!!
–হ।ফরহাদ আমারে ফোনে সব কইছে।আমিও কইলাম ঠিকাছে পাঠাই দাও,দেখি কেমন।তোমারে আগে কইনাই যাতে নিরপেক্ষ বিচার করতে পারো।এখন দেখি তোমার ও ওরে মনে ধরছে।
–হ্যাঁ গো চান্নি জানে?ওরে নিরব কিছু কইছিল নি?
ইরফাজ সাহেব প্রসন্ন মনে বললেন,আমার নাতনি এসবে নাই গো মনুরাণী।ও আমাগোর আশায় বইসা আছে কারো প্রেম নিবেদনে রাজী হয়না।নিরব বলে কলেজে থাকতে কইছিল ও কিছু কয়নাই।
–এখন তোমার মত কি?
ইরফাজ সাহেব চোখ বন্ধ করে বললেন,কিছু খোঁজখবর নেওয়া বাকি,লোক লাগাইছি দেখি কি আসে ফলাফল,এরপর একটা সিদ্ধান্ত নিমু।
কাল বোধহয় নিরব চইলা যাইবো।পোলাও রাইন্ধো কিন্তু।
নিরবের খুব মন খারাপ লাগছে দৌলতপুর ছেড়ে যেতে একদম ইচ্ছে করছেনা।এখানে থেকে একবারও মনে হয়নি সে মেহমান,বরং মনে হয়েছে আপন দাদাবাড়ি এসেছে।যাওয়ার সময় মনোয়ারা বেগম কেমন ছলছল চোখে তাকিয়ে ছিল মনে করতেই বুকটা কেমন ভার হয়ে আসে তাঁর।”ঢাকায় গেলে অবশ্যই খবর দিবেন” এমন প্রতিজ্ঞা নিয়েই নিরব প্রস্থান করেছে।

দেখতে দেখতে কেটে গেল অনেকগুলো দিন।সামনেই ঐন্দ্রিলার ফাইনাল ইয়ারের এক্সাম,রেগুলার ক্লাসের পাশাপাশি বাসায় ও জোরেসোরে পড়াশোনা শুরু হয়েছে।পুষ্পি বিয়ে হানিমুন ইত্যাদি চক্করে অনেকটা পিছিয়ে গেছে।তবে ওর ফ্রেন্ডরা সবাই মিলে ওকে হেল্প করেছে।ক্লাস শেষে আমলকি গাছতলায় বসে চৈতি বললো,দেখতে দেখতে চার বছর শেষ!এই গাছের নীচে আর রোজ বসা হবেনা,ক্যাম্পাসটাকে খুব মিস করবো রে।
–ফেল করে থেকে গেলেই পারিস।আগের পাশ কর তারপর নাহয় এসব ইমোশনাল কথা বলিস।
পাশ থেকে বললো রাকিব।
–তোর মুখে কি বারোমাসি করলা লেগে থাকে?কখনো একটু মিষ্টি কথা বের হয়না?
–সত্যি কথা বলতে রাকিব ভয় পায় না এখন সেটা মানুষের কাছে করলা লাগুক বা মিষ্টি।
–আসছে বড় সত্যবান।
–সত্যবান বলে কিছু নাই হবে যে সত্যবাদী।
–আমি ইচ্ছে করেই সত্যবান বলছি।
–হ ভুল ধরাই দিলে “”ইচ্ছে করে করছি””।
–রাকিব্বা মাথা গরম করিস না।
–চিতুই পিঠা ফুলিস না।
চৈতি রেগে রাকিবকে এলোপাথাড়ি মারতে লাগলো।রাকিব ডিফেন্স দিতে দিতে বললো,ওরে হস্তীরাণী আমারে মাফ কর,তোর আড়াই কেজির হাতের মাইর পড়লে আমি মইরা যামু।
বাঁধন উস্কানি দিয়ে বললে,চৈতি ও তোরে হাতির রাণী বলছে।আল্লাহ এতো বড় অপমান!!
চৈতী আরো রেগে আগুন হয়ে গেল।
বাঁধন এই মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দী করে রেখে দিলো।
ঐন্দ্রিলা –উফ তোদের চিৎকার চেঁচামেচিতে এখানে টিকা যাচ্ছে না।অসহ্যকর!
পুষ্পি–তোরা ও না আজব।শোন রাকিব তুই ই সবচেয়ে বেশি চৈতি মিস করবি দেখে নিস।
রাকিব– এতো খারাপ দিনো আমার আসেনাই এরে মিস করতে যাবো।ইনফ্যাক্ট চৈতির সাতকপালের ভাগ্য আমার মতো ফ্রেন্ড পাইছে।
চৈতি—ওলে লে উনার মতো ফ্রেন্ড পাইতে সাত কপাল লাগে।
বাঁধন– আসলেই ছাগলরে ফ্রেন্ড হিসেবে পাইতে সাত কপালের ভাগ্য লাগে।ছাগল আর হাতি ইউনিক ফ্রেন্ডশীপ।হাহাহা
বাঁধন হাসতে হাসতে তাকিয়ে দেখে সবাই ওর দিকে চেয়ে আছে।রাকিব আর চৈতি রেগে ওর দিকে তেড়ে আসতেই ও দিলো এক দৌড়।তিনজন পুরো মাঠ জুড়ে দৌড়াতে,তবে রে শালা আমাদের ঝগড়ায় ঘি ঢেলে এখন পালানো হচ্ছে।
বাঁধন চেঁচিয়ে বললো– তোর সাথে থেকে থেকে সত্যবান হয়ে গেছি।সত্যি কথা মুখে আটকায় না।
চৈতি হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,রাকিব ওরে পাইলে আমার পক্ষ থেকেও মারিস।
পুষ্পি আর ঐন্দ্রিলা ওদের কান্ড দেখে হাসতে হাসতে খুন।
পুষ্পি–তবে যাই বলিস এই মুহূর্তগুলো সত্যিই খুব মিস করবো।
ঐন্দ্রিলা– তা অবশ্যই।তা তুই মাস্টার্স করবি?
—দেখি আগে রেজাল্ট আসুক।সংসার সামলে পড়াশোনা করা অনেক টাফ।এখন বুঝি আম্মাজান কত কষ্ট করে,একা হাতে সংসার সামলানো সহজ কথা না।
—হুম।
—আচ্ছা ঐন্দ্রিলা একটা কথা বলি রাগ করবিনা কিন্তু?
—বল কি কথা?
—নিরব ভাইকে তুই দেখতে পারিস না কেন?
ঐন্দ্রিলা ভ্রু কুঁচকে বললো,হঠাৎ নিরব ভাইয়ের কথা??
— আরেহ বল না?
—দেখতে পারিনা তা না।আমার আসলে ফেমাস মানুষদেরকে ভয় লাগে।আর উনাকেতো ক্যাম্পাসের সবাই মাথায় তুলে রাখে,তাই একটু এভোয়েড করে চলি।
—শুধুমাত্র এই কারণে তুই উনার প্রপোজাল Deny করলি??
ঐন্দ্রিলা চমকে উঠলো।কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,Deny করিনি পুষ্পি।
—তবে সেদিন কিছু না বলে চলে গেছিলি কেন?
ঐন্দ্রিলা আকাশের দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,উনি আমাকে যেভাবে টেনে ক্লাসরুমটায় নিয়ে গিয়েছিল আমার মাথায় তখন জুনায়েদ এর ঘটনা ঘুরছিল।এতোটাই ঘোরে ছিলাম তাঁর বলা শব্দগুলো কানে যাচ্ছিল না।আমি সেই ঘটনা পুনরাবৃত্তি করতে চাইনি বলেই ওখান থেকে চটজলদি বেরিয়ে এসেছি।
—তাহলে কি ধরে নেবো তোর মনে নিরব ভাইয়ের জন্য কিছু ছিল?
ঐন্দ্রিলা বেশ খানিকক্ষণ চুপ রইলো।তারপর বলতে লাগলো,পরবর্তীতে আমি যখন সব রিকল করলাম,ভেবে দেখলাম তাঁর কথাগুলো।সত্যি বলতে একবারও মনে হয়নি মিথ্যে বলছে,ইনফ্যাক্ট অনেক ভালো লেগেছিল।অনেক সুন্দর ছিল প্রতিটি কথা,,কিন্তু তুই জানিস আমি মানি বিয়ের আগে প্রেম হারাম।আর আমি আমার দাদাইয়ের পছন্দে বিয়ে করবো এটাই আমার পণ।
পুষ্পি রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বললো,What if দাদাই তোকে নিরব ভাইকে বিয়ে করতে বলে?খুশিমনে রাজী হবি নাকি বাধ্য হয়ে?
—তুই নোট করবি নাকি আমি যাবো?
—আহা রাগিস কেন?বল না আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড না??
—জানিনা ঐভাবে ভাবিনি কখনো।তবে নিরব ভাই আমাকে এখন অনেক ঘৃণা করে।
—কিভাবে বুঝলি?
—তোর হলুদে,,,,,
—আরেহ ধুর।ঐটা হয়তো অভিমান থেকে দেখিয়েছে।
—কি জানি হলেও হতে পারে।
—তাহলে কি ধরে নিবো ঐন্দ্রিলার মনে সামথিং সামথিং??
—বিয়ে করে তোর মাথাটা একেবারে গেছে।
—মাথা যায়নি বল যে স্বর্গীয় অনুভূতির সন্ধান পেয়ে গেছি।তাই চাইছি আমার প্রিয় বান্ধবীটাও সেই সুখের রাজ্যের রাণী হোক।
— বাব্বাহ এতো ভালোবাসা??
— একদম টইটম্বুর।হাহাহা
চৈতি এসে বললো, আমাকে ফেলে কি নিয়ে হাসাহাসি করছিস তোরা?
পুষ্পি–বলছি তুই এমন ডেইলি দৌড়ালে ক্যাটরিনা ক্যাইফ হয়ে যাবি।
চৈতি–আমার শখ নাই ক্যাটরিনার মতো শুটকি হওয়ার।সোনাকশির মতোই দারুণ আছি।
ঐন্দ্রিলা– এই না হলে চৈতি!এভাবেই কনফিডেন্ট থাকবি সবসময়।তুই এমনিতেই অনেক কিউট,সোনাকশির চেয়ে বেশি।
চল তোদেরকে আজ ফুচকার ট্রিট দিবো।
চৈতি–সবসময় তুই দেস আজকে পুষ্পি দিবে।ঐ পুষ্পি চল তোর জামাইয়ের টাকায় প্রথম ট্রিট দে।
—ঠিক আছে চল।বাঁধনরা কই ওদেরকেও ডাক।
।।
ঐন্দ্রিলার মন আজ অনেক ভালো।সকালেই তাঁর দাদাই ফোন করে বলেছেন উনারা ঢাকায় আসছেন।খবরটা পাওয়ার পর থেকেই ঐন্দ্রিলার আনন্দ রাখার জায়গা নাই।সে খুব যত্ন করে দাদাইয়ের রুমটা পরিষ্কার করলো।রজনীগন্ধার স্টিক এনে ফুলদানিতে রাখলো।সুন্দর করে পরিপাটি হয়ে দাদাই আর দাদুনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলো।

“আচ্ছা ঐন্দ্রিলার দাদাই হঠাৎ ঢাকায় আসছে কেন??”

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here