#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_15

“সুন্দরবনের আসল মজা হচ্ছে বনের গহীনে। বনের গহীনে যেতে হলে অবশ্যই সাহসের প্রয়োজন রয়েছে। বাঘের কিংবা যে কোনো পশু পাখির আক্রমন হতে পারে যে কোনো সময়।
তাই সবাই কে চোখ কান সচেতন রাখতে হয়।
খুলনার প্রধান আকর্ষন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।
আর এটা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তো আমরা এখন যাচ্ছি মাংকি ট্রেইল আর ওয়াচ টাওয়ার ঘুরতে।
সবাই এক সাথে চলাফেরা করবেন। কেউ কারো থেকে বেশি দূরে অবস্থান করবেন না।”

এই টুকু বলেই ট্রাভেল নির্দেশক সবাই কে নিয়ে রওনা হলেন।
ঝিল হাঁটতে হাঁটতে ভাবতে লাগলো মাংকি ট্রেইল টা আবার কি ?
বেশ অনেকক্ষণ ভেবে ও কিছু পেল না ওহহ। অগত্যা অভিনব কে প্রশ্ন করলো। অভিনব বলল
_ মাংকি ট্রেইল হচ্ছে কাঠের তৈরি ব্রিজ। বনের ভেতরে কাঠ দিয়ে ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। মূলত এই ব্রিজের আশে পাশে অনেক মাংকির দেখা মিলবে।

মাংকির কথা শুনতেই ঝিল শুকনো ঢোক গিললো। ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। অভিনব আশ্বস্ত করে বলল
_ আপনি আমাকে ধরে ধরে হাঁটুন। একদম ভয় পাবেন না। যদি বেশি ভয় পান তাহলেই কিন্তু মাংকি আপনার ঘাড়ে চরে বসবে।

ঝিলের শরীর ঘিন ঘিন করে উঠলো। হাত পা অঝোরে কাঁপছে । উপায় না পেয়ে অভিনব ঝিলের হাত শক্ত করে ধরলো।
ঝিলের সারা শরীর বেয়ে শিহরন জেগে গেল।
ঝটকা মেরে হাত টা সরিয়ে নিলো। অভিনব হতাশ দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে বলল
_ সরি। আসলে আপনি কাঁপছিলেন তাই।

ঝিল হালকা হেসে ইটস ওকে বলল।
অভিনব আর ঝিল পাশা পাশি হাটতে লাগলো।
সবার আগে দুজন গাইড আর পেছনে দুজন গাইড। অভিনব রা মাঝামাঝি হাঁটছে । ওদের আগে পেছনে বেশ অনেক মানুষ রয়েছে।
একটু হাঁটার পর ই কাঠের ব্রিজ চলে আসলো। ঝিল একটু সাইট করে হাঁটতেই কাঠ গুলো কেমন ঝনঝন শব্দ তুললো।
ঝিল ভয় পেয়ে অভিনবর সাথে লেপ্টে দাঁড়ালো।
অভিনব মুচকি হেসে বলল
_ মাঝ বরাবর হাটুন, মাঝে লোহা বসানো আছে।

ঝিল মাঝ বরাবর হাঁটতে লাগলো। ঝিলের পাশে অভিনব হাঁটছে আর নানান গাছের ছবি তুলে যাচ্ছে। প্রায় সব গুলো গাছ ই অচেনা। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাচ্ছে ঝিলের দু চোখ। একটা গাছ ও চিনে বলে ও মনে হচ্ছে না।
কাঠের তৈরি পাটাতন গুলো নিয়মিত মেরামত করা হয়। তবু ও বেশ কিছু জায়গা ঝুঁকি পূর্ন। ঝিল আশে পাশে তাকাতে তাকাতে একটু ভাঙা পাটাতনে পারা দিলো ।
মটমট আওয়াজ তুলতেই ঝিলের আত্মা কেঁপে উঠলো। অভিনব ঝিল কে খিচে ধরে নিলো।
ঝিলের শ্বাস বেড়ে গেছে। অভিনব ভ্রু কুঁচকে বলল
_ মাঝ বরাবর হাঁটতে বলেছি। আর আপনি সাইটে চলে যাচ্ছেন।

ঝিল মাথা নিচু করে রইলো। অভিনব ফোঁস করে দম ফেলে ঝিলের হাত টা আলতো করে ধরে নিলো।
ঝিলের কেমন এক অনুভূতি হচ্ছে। তবে এবার আর ঝিল হাত টা ছাড়ালো না। অভিনব হাত ধরে ধরে ঝিল কে নিয়ে আগাতে লাগলো।
ঝিল বার বার দোয়া পড়ছে যাতে বানরের দেখা না মিলে।
মাংকি ট্রেইলের অর্ধেক টা আসা হলে ও কোনো মাংকির দেখা মিললো না।
ঝিল বেজায় খুশি । মাংকি ট্রেইল হলো মূলত কাঁঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি হাঁটা পথ। এটা দিয়ে শুধু হেঁটেই যাওয়া যায়।
এটা করমজল বন্যপ্রানী আশ্রয়কেন্দ্রের দক্ষিন পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে বনের ভেতরের ওয়াচ টাওয়ার হয়ে ঘুরে দক্ষিন পূর্ব প্রান্তে শেষ।
গাছের ফাঁক দিয়ে হালকা কুয়াশা ভেদ করে আসছে। ঝিল মৃদু হেসে তা উপভোগ করতে লাগলো ।
একটু দূরেই চোখে পরলো দুটো ছেলে বনের ভেতরে থাকা চিপসের প্যাকেট , পানির খালি বোতল কুরিয়ে নিচ্ছে।
অভিনব দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিলো। আমরা পর্যটক রা দেশের পর্যটন কেন্দ্র গুলো কে এভাবেই নষ্ট করে যাচ্ছি।
এই সব প্লাস্টিক কয়েক শ বছর পর ও মাটির সাথে মিশবে না।
মাটির ক্ষতি করে যাচ্ছি আমরা। অভিনবর কুঁচকানো ভ্রু দেখে ঝিল বলল
_ কি হয়েছে?

_ তেমন কিছু না। তবে দেখুন বনের ভেতরে হাবি জাবি ফেলা। যারা ঘুরতে আসে মূলত তারাই তো এগুলো ফেলে ?

ঝিল ঠোঁট দুটো গোল করে নিয়ে বলল
_ এভাবেই আমরা আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে যাচ্ছি।

অভিনব আর ঝিল আবার হাঁটা লাগালো। সূর্যের হালকা আলো আর কুয়াশা মিলিয়ে পরিবেশ টা কে বেশ মোহনীয় করে রেখেছে।
ওরা ছাড়া ও আর ও বেশ অনেক জন পর্যটক এসেছে।

একটু দূরেই একজন কুমির কে ঢিল ছুঁড়ে যাচ্ছে। অভিনবর ভীষন রাগ হলো। এভাবে ওদের ডিস্টার্ব করা উচিত নয়। অভিনব নিজের রাগ কে সংবরন করতে পারলো না।
লোকটার সামনে গিয়ে বলল
_ এক্সকিউজ মি। আপনি যে কুমির টাকে এভাবে আঘাত করছেন এটা কি ঠিক ? ওহ হয়তো ঘুমিয়ে আছে। এভাবে জাগানো টা আদৌ উচিত নয়। ওরা বিরক্ত হচ্ছে নিশ্চয়ই। আপনার সাথে এমন করলে আপনি নিশ্চয়ই খুশি হতেন না ?

অভিনবর কথা তে লোকটা কিছু টা লজ্জা পেল। সরি বলে স্থান ত্যাগ করলো।
অমিত অভিনবর কাছে এসে বলল
_ কি হয়েছে অভিনব ?

_ আরে ভাই দেখো কুমির টার গায়ে ঢিল ছুঁড়ছিলো।

_ এদের মানসিকতার ঠিক নেই। ধৈর্য বলতে কিছু ই নেই এদের । যাই হোক পিছে পরে যাচ্ছে ফাস্ট আসো।

অভিনব মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালো। অমিত চলে গেল। অভিনব চোখ খিচে নিজেকে শান্ত করলো।
ঝিল হা হয়ে তাকিয়ে আছে। অভিনব ইশারা করতেই ঝিল মৃদু হাসলো। সাথে অভিনব ও হাসলো ।
_ আপনি প্রকৃতিকে নিয়ে অনেক সচেতন তাই না ?

_ উহহু এটা সবার ই হওয়া উচিত। যারা ভ্রমন করে তাঁদের মাস্ট এই বিষয় টা খেয়াল রাখা উচিত।

ঝিলের রক্তে শীতল বাতাস বয়ে গেল। অভিনবর জীবের প্রতি মায়া দেখে ঝিল অবাক হলো।
কেন জানি ওর নিজেকে গর্বিত বলে মনে হচ্ছে । এর কারন ও জানে না। হয়তো সেই অদৃশ্য মায়াই এর কারন।
যার জন্ম হয়েছিলো দেড় বছর আগে।

ঝিল এতো টাই বিভোর যে আশে পাশে কি হচ্ছে কোনো খেয়াল ই নেই।
অভিনব হাত দিয়ে চুটকি বাজাতেই ঝিল মাথা নিচু করে ফেললো।
অভিনব স্পষ্ট লক্ষ্য করলো ঝিল লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
কিন্তু এর কারন কি ? সময় কম দেখে অভিনব সে দিকে আর পাত্তা দিলো না।
ঝিলের হাত ধরেই হাঁটতে লাগলো।

ঝিল লক্ষ্য করলো একটা গাছের মধ্যে সাইন বোর্ড টানানো। যার মধ্যে লিখা
“কাঁকাড়া”

ঝিল ভাবুক দৃষ্টি তে প্রশ্ন করলো।
_ এই গাছ টার মধ্যে এমন কি আছে যার জন্য এটার নাম কাঁকড়া ।
এটার মধ্যে কি কাঁকড়া উঠে থাকে নাকি ?

ঝিলের কথাতে অভিনব গগন কাঁপিয়ে হাসতে লাগলো ।
ঝিল কোমরের হাত গুঁজে দাড়িয়ে রইলো।
অভিনব পেট চেপে হাসছে। এই হাসি টা এতোক্ষন বিরক্ত লাগলে ও এখন কেন জানি খুব ভালো লাগছে।
অভিনব মুখ চেপে হাসতে হাসতে বলল
_ লুক। ওটার নিচে কি লিখা।

ঝিল সরু চোখে তাকিয়ে দেখলো তার নিচে ইংরেজিতে লেখা KANKARA. আর ঐ টা কাঁকড়া লিখা নয় কাঁকাড়া লিখা।
ঝিল খানিক টা লজ্জা পেল।
অভিনব ও এই গাছ সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে পারলো না।
ঝিল কে নিয়ে আরেকটু আগাতে লাগলো। সামনেই ওয়াচ টাওয়ার দেখতে পেল। কেউ কেউ তো ওয়াচ টাওয়ারে উঠে ও গেছে।
ঝিল ওয়াচ টাওয়ারের দিকে তাকিয়ে বলল
_ আমা বোধহয় উঠতে পারবো না আর।

_ আসুন আমার হাত ধরে উঠুন। পারবেন আপনি।

ঝিল ক্লান্ত হয়ে বলল
_ আমি পারবো না। আপানরা জান আমি নিচেই আছি।

_ এটা কেমন কথা ঝিল। আপনার জন্য ই আমি ড্রোন চালালাম না।
আর আপনি ই নাকি উঠবেন না। ঝিল মলিন এক হাসি দিলো।
সিঁড়ি বেয়ে উঠার শক্তি ওর আর নেই। ক্লান্ত হয়ে গেছে ওহ। অভিনব কিছু না ভেবেই ঝিল কে কোলে তুলে নিলো।
আচমকা এমন করাতে ঝিল অবাকের চরম পর্যায়ে। কয়েক সেকেন্ড বাদে বলল
_ আরে করছেন টা কি আপনার কষ্ট হবে।

_ হুসসস। কোনো কথা না , আমার একটু ও কষ্ট হবে না।

_ অভিনব সবাই দেখছে আমাদের ।

অভিনব আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো ওদের দিকে কেউ বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। কেউ বা সরু চোখে। কেউ কেউ সিটি ও বাজাচ্ছে । অভিনব এক গাল হেসে ঝিল কে নিয়ে উপরে উঠতে লাগলো।
ঝিল অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো। অভিনব স্পষ্ট বুঝতে পারলে ও ঝিলের দিকে তাকালো না।
মাহেরার চোখ দুটো ছোট ছোট হয়ে গেছে। ঝিল সেটা দেখতে পেয়ে বেশ খুশি হলো। একটু জেলাস ফিল করানোর জন্য অভিনবর গলা জড়িয়ে ধরলো।
অভিনব ঝিলের দিকে এক পলক তাকিয়ে বলল
_ লজ্জায় লাল হচ্ছেন কেন ? এর আগে ও আমি আপনাকে কোলে নিয়েছি। ইনফেক্ট সেটা অনেক বেশি সময়ের ছিলো।

ঝিল কিছু বলল না। অভিনবর খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলোর দিকে তাকিয়ে রইলো। মসৃন গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো বেশ ভালোই লাগছে।
ইচ্ছে হচ্ছে একটু ছুঁইয়ে দিতে। কিন্তু ঝিল সেটা আর করলো না।
অভিনব উপরে উঠে ঝিল কে নামিয়ে দিলো। ঝিল ড্রেস ঠিক করতে করেত বলল
_ থ্যাংকস।

অভিনব মুচকি হাসলো। মাহের ড্রোন চালাতে চালাতে বলল
_ অভিনব ভাই টাওয়ার টা আরেকটু উঁচু হলে ভালো হতো।
এখান থেকে সম্পূর্ন ভিউ দেখা যাচ্ছে না।
ড্রোন দিয়ে কতো সুন্দর লাগছে। অভিনব একপলক তাকিয়ে সম্মতি জানালো। ঝিল লম্বা করে দম নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।বেশ ভালো লাগছে ওর

এখানে কিছুক্ষণ থেকে সবাই টাওয়ার থেকে একে একে নেমে গেল। এবার আর ঝিল কে কোলে তুলে নিতে হয় নি।
কারন সিঁড়ি বেয়ে নামা সহজ , তবে উঠা কঠিন।

সবাই টাওয়ার থেকে বেরিয়ে হাঁটা লাগালো।
মাংকি ট্রেইলের একে বারে শেষ প্রান্তে এসে সবাই অনেক গুলো মাংকি দেখতে পেল। যাক মাংকি ট্রেইল নাম টা বুঝি এবার স্বার্থক হলো।
যারা কাঠের ব্রিজে উঠে খেলছে। ঝিল ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেল। অভিনব মুচকি হেসে ঝিল কে নিয়ে হাঁটতে লাগলো। এবার আর মাংকি ঝিলের দিকে তেড়ে আসে নি।
ঝিল এক বিশ্ব জয়ের হাসি দিলো।
সন্ধ্যা হতে এখনো কিছু টা সময় থাকাতে সবাই করমজলের কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের দিকে আসলো।
এখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বিপন্ন প্রজাতির Northern River Terrapin কচ্ছপ। যাদের বৈজ্ঞানিক নাম ( Batagur baska )
বি : দ্র: বৈজ্ঞানিক নাম বোঝাতে এই নামের উপর একটা চিহ্ন দেওয়া হয়, কিংবা একটু বাকিয়ে লিখতে হয়।
যেটা আমি পারছি না, ক্ষমা সূচক দৃষ্টা তে দেখবেন।

এই কচ্ছপ গুলো বর্তমান বিশ্বে বন্য পরিবেশে শুধু সুন্দরবনেই কদাচিৎ দেখতে পাওয়া যায়।
ঝিল বেশ খুশি হলো। বিরল এক প্রানীর দেখা পাবে যে তাই।
অভিনব জানালো , মূলত এদের লুপ্ত হওয়ার পেছনে আমরা মানুষরাই দায়ি।
পরিবেশের সঠিক সংরক্ষণ না করলে এভাবেই হারিয়ে যাবে হাজারো প্রানী।
ঝিল তপ্ত শ্বাস ফেলল। এটা সত্যি, আমরাই আমাদের পরিবেশ কে নষ্ট করে যাচ্ছি।

সবাই কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রে এসে পৌছালো। কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রটি করমজলের মূল বন্যপ্রানী আশ্রয় কেন্দ্র থেকে একটু দূরে পশ্চিম দিকে।
তবে সেখানে গিয়ে সবাই একটু আশাহত হলো।
কারন পুরো জায়গা টা দেয়াল আর দেয়ালের উপর কাঁটা তার দিয়ে ঘেরা।
তবে দেয়াল নিচু থাকাতে ভেতরের পুকুর গুলো দেখা যায়।
পুকুরের পানিতে কচ্ছপের মাথার উপরের অংশ দেখে কচ্ছপের উপস্থিতি বোঝা যায় এই টুকুই যাহ।
পানিতে থাকায় পুরো কচ্ছপ দেখার সুযোগ মিললো না।
সবাই কচ্ছপ দেখে ফিরে আসলো। মাগরিবের আযান দিয়ে দেওয়াতে সবাই করমজলের মসজিদে নামাজ আদায় করে বোটে ফিরে আসলো।
এখানেই শেষ হলো সবার করমজল যাত্রা। ঝিল এক পলক লম্বা করে শ্বাস নিলো।
অভিনব মুচকি হেসে ঝিলের দিকে তাকিয়ে রইলো।
আর এক হাতে জড়িয়ে ঝিল কে প্রটেক্ট করতে লাগলো।

*
হ্যাপি জার্নি গাইস নেক্সট যাচ্ছি সুন্দরবনের অন্য এক সৌন্দর্যর স্বাদ নিতে।

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here