#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_3 ( সম্পূর্ণ নতুন পার্ট )

আপনার পুরো নাম টা জানা হলো না মিস ঝিল।
সামনের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেই বলল অভিনব। ঝিল লম্বা শ্বাস ফেলে বলল
_ অহনা মির্জা ঝিল।

_ ওহহহ । কোন ক্লাসে পড়ছেন ?

_ এইস এস সি পরীক্ষা দিয়েছি।

অভিনব আর কিছু বলল না। গুগল ম্যাপে লোকেশন দেখে নিলো। এখন ওরা গুলশানে আছে। মির্জাপুর যেতে আর ও বেশ অনেক ক্ষণ সময় লাগবে।
যে পরিমান জ্যাম লেগেছে, না জানি কতো সময় লাগে ।

ঝিল ঘামছে, রোদ পরেছে প্রচুর তার উপর জ্যামে আছে। এসি টা অফ করা, ঝিল মুখ ফুটে কিছু বলতে ও পারছে না।
অভিনব বার বার ঘড়ি দেখছে। তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল
_ গরম লাগছে বলতেই পারতেন ?

ঝিল আমতা আমতা করতে লাগলো। অভিনব কিছু না বলে এসি অন করে দিলো। মূহুর্তেই পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। লম্বা করে শ্বাস নিলো ঝিল।

গাড়ি চলছে নিজ গতিতে। বড় বড় দালান পেরিয়ে খানিকটা গাছপালা দেখা যাচ্ছে। এই তো মির্জাপুর , ঝিল যেন প্রান ফিরে পেল। নিজ জন্মস্থান টাকে এতো সুন্দর লাগছে কেন ?
হয়তো এতো বড় বিপদ থেকে বেঁচে ফিরেছে তাই। প্রশস্ত হাসলো ঝিল, অভিনব গলা ঝেরে বলল
_ কোন দিকে যাবো ?

_ সোজা গিয়ে ডান দিকের সরু রাস্তার পাশে নামালেই হবে।

অভিনব গাড়ি ঘুরিয়ে সে দিকে নিয়ে গেল। সরু রাস্তা বরাবর বিশাল বড় সাদা রঙের বাড়ি দেখা যাচ্ছে।
অভিনব সরু রাস্তা বরাবর গাড়ি থামালো। ঝিল প্রশস্ত হেসে বলল
_ আমার বাড়ি এসে গেছে।

ঝিল গাড়ি থেকে নেমে চলে গেল।
অভিনব বোকা বনে গেল। মেয়েটা একটু ধন্যবাদ ও বলল না। এতো টা অকৃতজ্ঞতা আশা করে নি ওহহ।
হালকা হাসলো অভিনব , সরু রাস্তা টা দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে ঝিল।
চারিদিকে লাগানো রেনট্রি , তাল গাছ , ইউক্যালিপ্টাস আর সুপুরি গাছ।
দেখে খুব ভালো লাগলো ওর। ঝিল গেট দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতেই অভিনব গাড়ি ঘুরিয়ে নিলো।

সে তার রেসপনসিবিলিটি সঠিক ভাবে পালন করতে পেরেছে এটাই যা।
দুজনে দুদিকে ছুটে চলছে , বাড়ছে দুরুত্ব। অথচ দুজনের মাঝে যে পবিত্র বিয়ে নামক বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে তা কারোর ই মনে রইলো না।
আচ্ছা ওদের কি আর কখনো দেখা হবে ? নাকি কয়েক ঘন্টার সম্পর্কের এখানেই ইতি টানা হবে ?
ভাগ্য বড় বিচিত্র এক ঝটকায় পুরো জীবন ই বদলে দেয়।

*

ঝিল ডিবাইন এ পা উঠিয়ে বসে আছে। আর তার ই দু পাশে বসে আছে ওর বাবা , আর দুই কাকা।
আর সামনে দাড়িয়ে আছে ওর পাঁচ ভাই।

সবাই ঝিলের দিকে ঝুঁকে আছে। মেয়েটা কোনো কথাই বলছে না শুধু রাগে ফুঁসছে।
বেশ কিছুক্ষণ পর ঝিল ঠোঁট টা গোল করে বলল
_ তোমরা যদি আগামী এক মাসের মধ্যে বিয়ের নাম টা ও নাও আমি কিন্তু সত্যি সত্যি বাসা থেকে চলে যাবো।

ঝিলের বাবা জাফর মির্জা গলা ঝেরে ভীত কন্ঠে বলল
_ মামুনি আর আমরা মানে আগামী একমাসের মধ্যে আমরা কেউ বিয়ের কথা বলব না।
কিন্তু তুমি এভাবে পালিয়ে যাও যে যদি কোনো ক্ষতি হয়ে যায়।

ঝিল নাক ফুলিয়ে বসে রইলো। ঝিলের বড় কাকা গলা খাকাড়ি দিয়ে বললেন
_ সবাই সর তোরা আমি আমার মামুনির সাথে কথা বলবো।

ঝিল অন্য দিক মুখ ফিরিয়ে রইলো। ইকবাল মির্জা মুখ টা গোমড়া করে নিলেন।

মনিরুল মির্জা সামান্য সাহস নিয়ে বললেন
_ সরো তোমরা আমার মামুনি আমার সাথে কথা বলবে।

সঙ্গে সঙ্গে ঝিল চেঁচিয়ে বলল
_ মেঝো পাপা আমি তোমার সাথে ও কথা বলবো না।

তিন ভাই ই চুপ হয়ে গেলেন। মেয়ের রাগ বেড়ে কলাগাছ হয়ে গেছে। এখন তার ভাইয়া রাই পারবে তাকে সামলাতে।
ওনারা বুঝে গেছেন মেয়ে ওনাদের সাথে কথা বলবে না।

তাই অতি সন্তর্পণে চলে গেলেন। পাঁচ ভাই বোনের দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। বোনের মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছে। বোন দের সাথে ছোট দুই ভাইয়ের বেশ খাতির। বড় তিন ভাইয়ার সাথে এভারেজ, হয়তো বয়সের ফারাকের জন্য।
বড় তিন ভাই এগিয়ে আসতেই ঝিল রাগি চোখে তাকালো।
সঙ্গে সঙ্গে তিন ভাই চলে গেলো।
ছোট দুই ভাই তাকিয়ে আছে , রোহন গলা ঝেরে বলল
_ রহিম চাচা রহিম চাচা এক গ্লাস ঠান্ডা বাদামের সরবত নিয়ে আসো , আমার বনুর জন্য।

রহিম চাচা দ্রুত বাদামের সরবত বানাতে গেলেন। ঝিল বাঁকা চোখে তাকিয়ে থেকে বুকে হাত গুঁজে দিলো।

আহনাফ লম্বা করে শ্বাস নিলো। রোহনের দিকে একপলক তাকিয়ে হাঁক ছাড়লো
_ রাহেলা চাচি , কোথায় তুমি আমার বনুর জন্য কড়া ঝাল দিয়ে লেবুর আঁচার বানিয়ে আনো তো। আর লেবু টা যেন কাঁচা হয় আমার বনু কিন্তু পাঁকা লেবু একদম ই সহ্য করতে পারে না।

ঝিলের কোনো মতিভ্রম হলো না। ভাইয়াদের আহ্লাদে গদগদ সে , এই দুই ভাইয়ের মতো অভিনেতা ও দেখি নি। কি করে যে ওকে মানিয়ে নেয়।

রহিম চাচা আর রাহেলা চাচি খাবার হাতে রেডি। দু ভাই সরবত আর লেবুর আঁচার নিয়ে বোনের পায়ের কাছে হাঁটু গেড়ে বসলো।
এসি অন থাকলে ও দুজন দু হাতে মর্ডান হাত পাখা নিয়ে বাতাস করতে লাগলো।
বেশ কিছুক্ষণ পর ঝিল ঝাঁঝ গলাতে বলল
_ কি চাই ?

রোহন _ কিছু চাই না বনু ম্যাম , শুধু আপনার পদধুলি পেলেই হবে।

আহনাফের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে সরু চোখে তাকালো ঝিল। আহনাফ বোকা বোকা করে বলল
_ আমি তো আপনার একমাত্র পেয়াদা বনু ম্যাম। আপনি বললেই কল্লা হাজির।

ঝিল নাক ফুলিয়ে বলল
_ আপনাদের উত্তরে আমি প্রসন্ন প্রজাগন। আপনাদের অনুরোধ গ্রহন করা হলো তার ই সাথে সমস্ত শাস্তি বাতিল ঘোষনা করা হলো।

রোহন আর আহনাফ লাফিয়ে উঠলো। ডিবাইনের দু পাশে বসে ঝিল কে জড়িয়ে ধরলো। ঝিল হো হো করে হেসে বলল
_ অভিনেতা রা কি এখনো অভিনয় করে যাচ্ছে?

রোহন আর আহনাফ মোহনীয় হেসে বলল
_ আপনার সামনে অভিনয় করি কি করে ?
অভিনয় করলে তো আছিই আমরা আর আমাদের কল্লা।
আপনার দরবারে না হয় কল্লা খানা বারিয়ে দিবো।
ঝিল হো হো করে হাসলো।
তারপর ঝিল গলা ঝেরে বলল
_ আপাতত ক্ষমা করেছি, এখন দুজন আমার দাবি গুলো লিস্ট করে নিন।

সঙ্গে সঙ্গে ঝিলের তিন ভাই আর কাকারা হাজির হলো।
মেয়ের রাগ কমেছে এখন। ঝিল বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল
_ আপনাদের সবার শাস্তি ও বাতিল ঘোষনা করলাম ।

ঝিলের কথাতে সবাই এক যোগে হেসে উঠলো। বাড়ির এক মাত্র কন্যা ঝিল , সব থেকে আদুরে যাকে বলে। আর তাই সবার ইচ্ছা মেয়ে কে বিয়ে দিয়ে বাড়িতেই রাখা। তার জন্য ই কয়েক দিন পর পর বিয়ে ঠিক করে।
আর ঝিল বিয়ে করবে না দেখে পালিয়ে যায়। অবশ্য পালিয়ে যাওয়া তে কেউ রাগ করে না উল্টো ঝিল বাসায় ফিরে সবার নাকের ডগায় ছুড়ি ঘোরায়।
ঝিলের গায়ে কেউ ফুলের টোকা ও দেয় নি কখনো ।
ঝিলের বাবা রা তিন ভাই কোনো বোন নেই। মির্জা বংশের নাম ডাক পুরো মির্জাপুর জুড়ে।
ঝিলের বড় কাকা ইকবাল মির্জা তারপর মেঝো কাকা মনিরুল মির্জা আর ওর বাবা সব থেকে ছোট জাফর মির্জা।
ইকবাল মির্জার তিন ছেলে মাহিন , সজল আর আহনাফ।
মাহিন আর সজল পড়াশোনা কমপ্লিট করে পারিবারিক বিজনেস দেখছে।
আর আহনাফ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।
মনিরুল মির্জার দুই ছেলে রাফাত আর রোহন রাফাত ও পড়াশোনা শেষ করে পারিবারিক বিজনেস দেখছে আর রোহন মাস্টার্স পড়ছে।
রোহন আর আহনাফ সম বয়সী দুজনের মাঝে বেশ ভালো বন্ধুত্ব।
সবার চোখের মনি হলো ঝিল। ঝিলের নিজের কোনো ভাই না থাকলে ও এরা সবাই ওর ভাই।
এ পরিবারে কেউ কাউকে আলাদা করে দেখে না।

ঝিলের যখন দু বছর তখনি ওর মা আর কাকি রা কার এক্সিডেন এ স্পর্ট ডেড হয়।
কারো মুখ ই ঝিলের মনে নেই। ঝিলের পৃথিবীতে শুধু ওর ভাই রা আর পাপা রা।
কখনো অভাব রাখে নি কিছুর।এতো এতো ভালোবাসা দিয়ে রেখেছেন।
আ বড় তিন ভাইয়ের পঁচিশ বছর পেরিয়ে গেলে ও কেউ বিয়ে করবে না এখন।
কারন বউ যদি তাদের বোনের দিকে আঙুল তুলে । তাই এমন বউ আনবে যারা ঝিল কে খুব ভালোবাসবে।
যদি ও সবার গার্লফ্রেন্ড আছে তবে তারা পরীক্ষা দিয়ে উপযুক্ত হলেই বিয়ে করে আনবে।
বোন কে নিয়ে নো কমপ্রোমাইছ।

*
সাত দিন পর
_আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি। সবাই এতো পরিমানে রেগে আছে যে কি আর বলবো।
হ্যাঁ মম আমি গিয়েছিলাম , মামা রা আমাকে খানিক টা মেনে নিলে ও তোমাদের প্রতি সহানুভূতি দেখালো না।
ভাবছি আবার বছর খানেক পর আসবো। তবে দেখে যা বুঝলাম , সবাই আমার প্রতি উপর দিয়ে রাগ দেখালে ও ভেতরে ভেতরে আমাকে দেখে বেশ খুশি হয়েছেন ।

বলতে বলতে দীর্ঘশ্বাস ফেলল অভিনব। মা বাবার সাথে মামাদের সম্পর্কের মিতালি গড়ার জন্যই বিডি তে এসেছে ওহ।
কিন্তু হলো না , অন্য দিকে ইহরিমা সরকার কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন।
ভালোবেসে চলে গিয়েছিলেন সবাই কে ছেড়ে। অভিনবর বাবা ধর্মে মুসলিম হলে ও আমেরিকান।
অভিনবর মামারা আমেরিকান ছেলের সাথে বিয়ে
দিবেন না বোনের ।
তাই বাধ্য হয়ে ভালোবাসার মানুষ টার হাত বেছে নেন ওনি।
মূলত অঠারো শতক থেকে অভিনবর পূর্বপুরুষরা আমেরিকা তে আছেন।
আর এভাবেই জন্মসূত্রে সবাই আমেরিকান হয়ে গেছেন। তবে ঐ যে বলে শেখরের টান , বাঙালিয়ানা তো রয়েই গিয়েছে।
আর তার জন্যেই অভিনবর চেহারাতে আমেরিকানদের একটা ছাঁপ আছে।
হাজার হোক ওহহ তো জন্মসূত্রে আমেরিকান ই।

অভিনব তার দীর্ঘ পল্লব বুজে বলল
_ ডোন্ট ওরি মম। একদিন না একদিন মামারা মেনে নেবেই তোমাদের।
আমাকে কিন্তু মেনে নিয়েছেন, হয়তো তোমাদের প্রতি এখনো অভিমান কাটাতে পারেন নি।

ইহরিমা সরকার ডুকরে কাঁদছেন। ভাইদের দেখা হয় নি কতো বছর হলো। একটা ভুলের জন্য এতো অভিমান করে থাকবে?
আচ্ছা সেদিন যদি ওনি ভালোবাসার মানুষ টার হাত ধরে না আসতেন তাহলে অন্য পুরুষের সাথে ওনি কি সুখী হতেন ?

অভিনবর ভেতর থেকে একের পর এক দীর্ঘশ্বাস বের হচ্ছে। মায়ের কান্না আটকানোর জন্য পাপার সাহায্য ই নিতে হবে।

অভিনব ফোন রেখে দিলো। বাবার নাম্বার ডায়াল করে কল দিলো।
সঙ্গে সঙ্গে ফোন রিসিপ হলো।

অভিনব সরস হেসে বলল
_ হাউ আর ইউ পাপা ?

_ আম গুড মাই সান। তুমি ঠিক আছো ইয়াং ম্যান ?

_ ইয়েস পাপা। বাট মমের জন্য কিছু করতে পারলাম না।
তাই খুব খারাপ লাগছে আমার।

ওপাশ থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন অহেদ সরকার যা স্পষ্ট শুনতে পেল অভিনব।
অহেদ সরকার তপ্ত কন্ঠে আশ্বস্ত করে বললেন
_ ডোন্ট ওরি মাই বয়। আই উইল বি ম্যানেজ। ইউ নো দ্যাট ইউর মম টু মাচ লাভ মি ।

ঝরা হাসলো অভিনব। তারপর একটু গম্ভীর কন্ঠে বলল
_ এন্ড ইউ অলসো নো দ্যাট মাই মম লাভস মি মোর দ্যান ইউ।

হো হো করে হাসলেন অহেদ সরকার। তৃপ্তির কন্ঠে বললেন
_ আই নো দ্যাট মাই বয়। উই আর টু মাচ লাভ ইউ। টেক কেয়ার মাই সান।

_ লাভ ইউ পাপা, টেক কেয়ার অলসো।

অভিনব ফোন রেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
দুদিন বাদেই ইউ এস এর ফ্লাইট। চলে যাবে বি ডি ছেড়ে , আপাতত কাজ স্থগিত। বছর খানেক পর না হয় আবার আসবে মান অভিমানের পাল্লা ভাঙতে।
গাজীপুর থেকে রওনা হলো অভিনব। উত্তরা যাওয়ার পূর্বে একটা লেকে যাচ্ছে ওহহ।
গ্রামীন পরিবেশ টা আরেকটু না হয় উপভোগ করা যাক।
লেকের সামনে গাড়ি থামিয়ে নেমে আসলো অভিনব । বুক ভরে শ্বাস নিয়ে পকেটে হাত গুঁজে লেকের পার ধরে হাঁটতে লাগলো।
সন্ধ্যা প্রায় ছুঁই ছুঁই, ধূসর রঙা আকাশ টায় মেঘ করেছে বোধহয় বৃষ্টি হবে।
কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে আসছিলো অভিনব । হঠাৎ করে এক ধূসর রঙের প্রজাপতি এসে ওর নাকের ডগায় বসলো।
অভিনব চমকালো , ধরতে গেলেই পাখা মেলে উড়ে গেল প্রজাপতি টা।
প্রজাপতি টা যেন ওকে টানছে, বলছে যাস না চলে।
তোর আপন কেউ যে আছে এখানে, তাকে ফেলেই চলে যাবি ?
অভিনব হাসলো , ফেলে রেখে গেল তার কয়েক ঘন্টার বিয়ে করা বউ কে।
ধূসর রঙের প্রজাপতি টা ব্যর্থ হলো, অভিনব তার গাড়ির ধোঁয়া উঠিয়ে চলে গেল।
পরে রইলো শুধু ধূসর রঙের প্রজাপতি টা , অভিনবর গাড়ি ধূসর রঙের মাঝে হারাতেই প্রজাপতি টা মিলিয়ে গেল ঐ ধূসর আকাশে।

** মুসলিম দের নামের পদবি ও সরকার হয়। আর অভিনব নাম টা হিন্দুদের মতো মনে হলে ও ইহান নাম টা আরবি নাম।
আশা করি কারো কোনো কনফিউশন থাকবে না।

আপনাদের রেসপন্স দেখে গল্প আগাবে। গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি ।

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here