||অনামিকার সাক্ষ্য|| ||অংশ: ২১||
||লিখা: বর্ণালি সোহানা||

বাদলের তিন বছরের জেল হয়েছে। আদালত থেকে ফিরে এই কয়টাদিন অনেক অস্থিরতায় কাটিয়েছে অনামিকা। বারবার মনে হচ্ছিল কিছু একটা ভুল হয়েছে।

বাদলের পরিবারের সাথে গ্রামের লোকজন খারাপ ব্যবহার করছে। বাছিদ মাস্টার বাজারে গেলে তাকে দেখলে অনেকে দূরে সরে যায়। এমনকি ছোট্ট মিলনকেও বাচ্চারা খেলতে নেয় না।

“লম্পটের ভাইগ্না তুইও লম্পট।” বলেই ধাক্কা দিয়ে দূরে ফেলে চলে যায়।

মিলন কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে। আজকাল আর খেলতে বাইরে যায় না সে। রেহানা আর রুজিনা বানুও বেশিরভাগ ঘরেই থাকেন। বাছিদ মাস্টার সপ্তাহে একদিন গিয়ে বাজার করে আনেন। ছেলেকে সংসারের দায়ভার দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু এখন তাকেই সংসারের ঘানি টানতে হচ্ছে। বেঁচে থাকা যেন অসহ্য এক যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনামিকা পুকুর পাড়ে বসে আছে রিনির সাথে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। মাগরিবের আজান হতে বেশি দেরি নেই। পুকুরে গোসল করতে এসেছে সোনিয়ার বড় ভাই কবির। কাজ করে ফিরে বিকেলে গোসল দেয় সে। অনামিকার উঠে ঘরের দিকে কদম বাড়ায়। কবিরের কাছাকাছি আসতেই থমকে দাঁড়ায়। তার বুকে এসব কীসের দাগ! শুকনো ক্ষত! চোখ পরিষ্কার করে আরেকবার তাকায়। স্পষ্ট নখের আঁচড়ের দাগ কিন্তু এসব কোত্থেকে এলো! কবির ততক্ষণে ঘাসের উপর গামছা রেখে পুকুরে নেমে যাচ্ছে।

“কবির ভাই, এইগুলা কিসের দাগ?”, অনামিকা ছুটে এসে জিজ্ঞেস করে।

কবির নিজের দিকে একবার তাকায়। তারপর ইতস্তত করে বলল, “আরে এইগুলা! ওই লতাপাতা লাইগা চিইড়া গেছে হয়তো।”

কবিরের কণ্ঠস্বর অদ্ভুত শোনায়। কাঁপছে খানিকটা। দৃষ্টি চুরি করছে। আর কোনো কথার সুযোগ না দিয়ে পুকুরে নেমে যায়। অনামিকার চোখ লাল হয়ে আসে। অপরাধী তো তার কাছের মানুষই ছিল অথচ সে চিনতেই পারলো না! এক দৌড়ে ঘরের ভেতর যায়। বুকটা ধড়ফড় করছে। বাদলের কথা ভাবতেই সেদিন বিকেলের কথা মনে হয় তার। শহর থেকে ফেরার পর বিছানায় যখন শুয়েছিল তখন তো নিজেই খামচি দিয়ে ধরেছিল তার বুকে। রাগে, কষ্টে চিৎকার দিয়ে উঠে। এটা সে কী করে ফেলল! এতবড় ভুল, এতবড় অপরাধ কীভাবে হয়ে গেল তাকে দিয়ে! বাদল কেন তাকে সত্যিটা বলল না! বলবেই বা কেন, যেখানে সে নিজেই তাকে বিশ্বাস করেনি। ভালোবাসার প্রথম স্তম্ভটাই তো বিশ্বাস আর সেটাই সে তার উপর রাখতে পারেনি।

নিজের নিজেই চুল টেনে মাটিতে বসে রইল কিছুক্ষণ। মাথাটা ফাঁকা হয়ে আছে একদম। আচমকা উঠে খাটের নিচ থেকে ধান কাটার কাস্তে হাতে নেয়। জীবনে তো অনেক কিছু হারালো এবার না হয় নিজেকে হারিয়ে ভালোবাসার মানুষকে ফিরিয়ে আনবে। পুকুর ঘাটে আসতেই দেখে কবির ডুব দিয়ে উঠেছে মাত্র। অনামিকা একদম তার মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ায়।

কাস্তে তার গলার সামনে ধরে জিজ্ঞেস করে, “কবির ভাই, আমি সইত্যডা জানতে চাই। আমারে মিছা কইলে এক কোপে গলাডা থেইক্যা মাথা আলগা কইরা দিমু।”

“অনু, এইসব কী করতাছস তুই? সরা কইতাছি। এইডা অনেক ধার। কাইট্যা যাইবো।”, বলতে বলতে পিছিয়ে যাচ্ছে কবির।

“আমার মাথা আউলাইয়া গেছে৷ আমি পাগল হইয়া গেছি। সইত্য না কইলে কাইট্যা ফালামু।”, অনামিকার কথার সাথে চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে।

কবির অনেক কথায় তাকে ভুলানোর চেষ্টা করলো। ফাঁদে পা দিয়ে অনেক ভুল করেছে আর নয়। কাস্তে দিয়ে কবিরের হাতে আঁচড় বসিয়ে দেয়। গলগল করে রক্ত বেরুলো।

ভয়ে আর ব্যথায় কবির গড়গড় করে বলতে থাকে, “হ, আমিই তোর ইজ্জতে হাত দিছিলাম। আর দিতাম না ক্যান? আমি যে তোরে ভালোবাসি তা তুই দেখস না? পরশ ভাইরে আমি রাজী করাই নিছি। আমার সাথে সে তোর বিয়া দিত। কিন্তু ওই বাদইল্যা মাঝখান দিয়া ঢুইক্যা পড়ছে। তারে তো আমি বহুত আগেই খুন কইরা দিতাম কিন্তু পরশ ভাইয়ের কথায় এমনে ফাঁসাইছি। ভাবছিলাম, সাপও মইরা যাইবো আর লাঠিও ভাঙবো না। কিন্তু শালার কুত্তা কপাল আমার!”

অনামিকার চোখের সামনে অন্ধকারে ছেয়ে যায়। দুলাভাই হয়ে সে এমন একটা কঠিন ফাঁদ পাতলো তার জন্য! ঘরের মানুষই ধোঁকা দিয়ে গেল! বিশ্বাস করেছিল সে তাকে। বোনের স্বামী নয় বরং বড় ভাই ভেবেছিল। আর সেই তার সুযোগ নিলো!

“দুলাভাই! দুলাভাই এমন ক্যান করলো?”, প্রশ্ন করে অনামিকা।

“তোমাগো ওই ভিটা আর জমিনডার লাইগা। তোমারে আমার সাথে বিয়া দিলে আমি কোনো যৌতুক নিতাম না। সবডা আফিয়া আপা পাইতো আর আফিয়া আপার মানে তো পরশ ভাইয়ের।”

সবকিছু পরিষ্কার হয়ে এসেছে তার কাছে। ভ্রুজোড়া বিস্তৃত করে তাকায়। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া শেষ, ফলাফলের জন্যেও প্রস্তুত। কাস্তে দিয়ে কবিরের গলায় কোপ বসিয়ে দেয়। ওমনি গলার নালী কেটে গলগল করে রক্ত বেরুতে লাগে। দু’হাতে গলা চেপে ধরে কবির। কিছু বলার চেষ্টা করছে কিন্তু কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না। ধপাস করে তার দেহটা পুকুরে পড়ে গেল। গাঢ় সবুজ পানি রক্তিম হয়ে আসছে৷ নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে দেখছে অনামিকা। যে ছোট্ট একটা প্রাণকে হত্যা করেছে, তার সুখের সাজানো স্বপ্নগুলো এলোমেলো করেছে তাকে শাস্তি দিয়েছে সে। এখন আরেকজন বাকি। কিন্তু তার বোনের সংসার! সারাজীবন তো বোনের সংসার নিয়ে ভাবলো এবার না হয় একটু নিজের কথা ভাবুক। এই জালিমের হাত থেকে তার বোনকে সে মুক্ত করে দেবে।

এলোমেলো শাড়িতে রক্তের ছোপ। কাস্তের মাথা বেয়ে লাল রক্ত বেয়ে পড়ছে। সবাই যার যার ঘরের ভেতর। সন্ধ্যা হলে আর কাউকে বাইরে পাওয়া যায় না। অনামিকা দোরগোড়ায় এক পা উঁচু করে বসে। পরশের ফিরে আসার অপেক্ষায় সে। রাত নেমেছে। আজকের রাতটা ভীষণ সুন্দর। চাঁদ আকাশে খিলখিল করে হাসছে। অনামিকা আকাশ পানে চোখ তুলে তাকায়। তার ঠোঁটেও মৃদু হাসি।

পরশ ফিরে এসেছে। অনামিকার দিকে লাইট মেরে ভয়ে আৎকে উঠে সে।

“আফিয়া…”, বলে ডাকতে না ডাকতেই লাইট হাত থেকে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। কাস্তের কোপ বসে গেছে তার গলাতেও। খুব সহজ মৃত্যু দিয়েছে অনামিকা তাদের। এখন সে অনেক ক্লান্ত। পরশের নিথর দেহের পাশে ধপ করে বসে যায়।

আফিয়া বাইরে এসে পরশের এই অবস্থা দেখে চিৎকার করে উঠে। পরশের মাথাটা কোলে নিয়ে কাঁদছে।

“হায় আল্লাহ এইডা তুই কী কইরা দিলি রে অনু। আমার কপালডা পোড়াইয়া দিলি।”

অনামিকা দৃঢ় কণ্ঠে বলল, “তোরে মুক্তি দিছি আপা। আমার বাদল মিয়ারে জেলে পাঠানের পেছনে তোর জামাইর হাত আছিল। হেয় আমার জীবনডা নষ্ট কইরা দিছে। আমি তার জীবনই কাইড়া নিলাম।”

আফিয়া স্থির হয়ে বসে রয় কতক্ষণ। পরশকে রেখে অনামিকার কাছে এসে বলল, “তুই এইহান থেইকা পলায়া যা। বাড়ির লোকজন আইলে তোরে জেলে দিয়া দিব। আমি সব সামলাইয়া নিমু। তুই যা।”

অনামিকা তার বোনের কথা শুনে না। কারণ এখনো তার কাজ শেষ হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির সবাই নিজেদের ঘর থেকে বেরিয়ে উঠানে জড়ো হয়। অনামিকাকে কতশত প্রশ্ন করা হচ্ছে সে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয় না। থেমে থেমে শব্দ করে হাসছে। আবার কিছুক্ষণ পর কাঁদছে। সবাই ভাবে পাগল হয়ে গেছে সে। কান্নার রোল পড়ে গেছে চারদিকে।

২৫.
অনামিকা চোখ খুলে তাকায়। অতীতের সুন্দর স্মৃতির সাথে বেদনার মুহূর্তের ছবিও যেন ভাসমান দেখতে পেল। কখন পুলিশ এসেছে সেদিকে খেয়ালই করেনি। আফিয়া এখনো সেই আগের জায়গায় বসে আছে। রিনি মায়ের আঁচল ধরে বসে কান্না করছে। গুলবাহার বিবি প্রলাপ বকে যাচ্ছেন। একমাত্র সোনিয়াকে নিজের পাশে দেখতে পেলো সে।

রাত থেকে একশ বার হবে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে সে কেন খুন করেছে কারো কথার কোনো উত্তর দেয়নি। সোনিয়ার মুখে আবারো সেই প্রশ্ন শুনতে পায় সে।

“অনু, তুই ক্যান পরশ ভাইরে খুন করলি? নিজের বইনডারে বিধবা কইরা দিলি তুই? রিনি যে বাপহারা হইয়া গেল। কী এমন হইছিল? একবার ক্যান ভাবলি না রে?”, সোনিয়া সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুধায়।

সে তার শীতল চোখে তাকিয়ে ম্লান হেসে বলল, “আপন মানুষরে খুন করা তহনই সহজ হইয়া যায়, যহন জানতে পারা যায় মানুষডা বেঈমান আছিলো।”

পুলিশ এসে অনামিকার হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেয়। তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। লাশের উপর সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। গ্রামের মানুষ ভিড় জমিয়েছে চারপাশে।

পরশের লাশের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় অনামিকা থমকে গিয়ে বলল, “লাশ কী একডাই নিবেন? যান সাহেব, পুকুর থেইক্যা আসল জানোয়ারের লাশ নিয়া যান। ওই কুত্তার বাচ্চা আমার ইজ্জতে হাত দিছিল। তার লাইগা আইজ আমার বাদল জেলে!”

কথাগুলো শুনে পুলিশ চোখ বড় বড় করে তাকায়৷ এই অল্প বয়সী মেয়েটা দুই-দুইটা খুন করে ফেলেছে বিশ্বাস হচ্ছে না। পুলিশের সাথে সাথে সবাই হুড়মুড়িয়ে ছুটে যায় পুকুরের দিকে। সোনিয়াও যায় দেখতে। নিজের ভাইয়ের লাশ দেখে সে যেন পাথর হয়ে যায়৷ এখন আর তার বোঝার কোনো কিছু বাকি নেই। সে বুঝে গেছে অনামিকা কেন এই খুনগুলো করেছে। তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য কষ্ট পেলেও কোনো আফসোস করবে না কোনোদিন। যে মেয়ে একটা সাজানো-গোছানো জীবন শুরু করতে চেয়েছিল সেই মেয়ের ইজ্জতে হাত দিয়েছে, তার স্বপ্নগুলো গুড়িয়ে ফেলেছে। এটা তার প্রাপ্য শাস্তি ছিল।

পুলিশ তাকে নিয়ে যাচ্ছে থানায়৷ গ্রামের মানুষজন পিছু নিয়েছে৷ নানা রকম কানাঘুষা করছে। এসবে কোনো আফসোস নেই, কোনো কষ্ট নেই। সে আজ ভেতর থেকে শান্তি পাচ্ছে।

আফিয়া মাঝপথে এসে পথ রুখে দাঁড়ায়। তার হাতে সেই রক্তমাখা কাস্তে। পুলিশকে বলল, “সাহেব, আমার বইন মিছা কথা কইতাছে। আমিই আমার স্বামীরে খুন করছি। আর কবির ভাইরেও। আমার আর অনামিকার জীবনডা শ্যাষ কইরা দিছিল তারা। সেই শাস্তি দিছি আমি। আমার বইন আমারে বাঁচানের লাইগা মিছা কতা কইতাছে।”

অনামিকা মৃদুস্বরে বলল, “আমি আমার অন্তরের মানুষডারে জেলে পাঠাইছি। তার ভালোবাসা, বিশ্বাসরে খুন করছি। আমি খুনি। আমারে শাস্তি পাইতে হবে, কঠিন শাস্তি।”

পুলিশ কর্মকর্তাগণ দ্বিধায় পড়ে যায়। আসল খুনি কে! লাশ দুইটা এখন খুনিও দুইজন! কাকে নিয়ে যাবে আর কাকে ছেড়ে দেবে! খুন হতে কেউ দেখেনি। কার কথার উপর ভিত্তি করে আসামী ধরে নেবে তারা!

এসবের কিছুই ভাবছে না অনামিকা। সে নিরন্তর তাকিয়ে আছে। ঠোঁটে ও চোখে হাসির এক অপূর্ব শান্ত মিশ্রণ। মলিন চেহারাতেও কী এক উজ্জ্বলতা ছেয়ে আছে! বাছিদ মাস্টার, রুজিনা বানু আর রেহানা দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছে সবকিছু। তারা হয়তো আজ তাকে এই অবস্থায় দেখে আনন্দ পাচ্ছে, শান্তি পাচ্ছে।

বাদলের সাথে কী সংসারটা আর করা হবে না তার? সবকিছু সে ঠিক করে নেবে কিন্তু পরিস্থিতি কী আগের মতো হবে! জানে না কী হতে চলেছে। তবে এখন কেবল অনামিকার সাক্ষ্য বদলের পালা।

মিলনের দিকে চোখ যেতেই আচমকা শিলার মৃত্যুর কথা মাথায় আসে অনামিকার। শিলাকে কে মারলো? বাদলকে সেই হুমকি দিয়ে চিঠি কে পাঠিয়েছিল? এসব যদি কবির করতো তাহলে তো তাকে তখনই বলতো। মৃত্যুর আগে অন্তত কেউ মিথ্যা বলে না। তাছাড়া কবির তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে কিন্তু ধর্ষণ করেনি। চাইলে তো ধর্ষণ করতে পারতো। তাহলে কেন করলো না? এসব কিছুর মানে অনামিকার কাছে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে আসে। কবির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেখানে গিয়েছিল। কেবল নিজের বুকে আঁচড় নিতে চেয়েছিল যাতে বাদলকে ফাঁসাতে পারে। আর কোনো প্রমাণও তার কাছে ছিল না। তাছাড়া ঘাটপাড় তাদের দেখা করার জায়গা এটার কথা কেউ জানে না কেবল সে আর বাদল ছাড়া। ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে সর্বপ্রথম সন্দেহ বাদলের উপরই যেত। তখন নিশ্চয়ই অনামিকা বাদলের বুকে আঁচড়ের দাগ আছে কি-না যাচাই করতো। নিশ্চয়ই কেউ একজন বাদলের বুকে আঁচড়ের দাগ দেখে তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্রের পেছনে সমপরিমাণ কলকাঠি নেড়েছে। তাহলে কী এসবের আড়ালে আরো কেউ রয়ে গেল!

সমাপ্ত…

[বিঃ দ্রঃ “অনামিকার সাক্ষ্য” শেষ হয়েই যেন হইলো না যেন শেষ। আসবে কখনো অনামিকার সাক্ষ্য বদলের অধ্যায়। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কেমন হলো মন্তব্য করে জানাবেন। পারলে ছোট্ট করে গল্পের রিভিউ দিবেন। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা সবাইকে সাথে থাকার জন্য।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here