#পর্ব_৩
#এক_দেখায়
#লেখনীতে_পুষ্পিতা_প্রিমা
আমি যে চেয়ারে বসলাম চেয়ারটা ওই দূরে ছুড়ে মারলাম। চেয়ারে কেউ টমেটো রাখে? তা ও পাকা। গলে ভর্তা হয়ে গিয়েছে। আমার কাপড়টা ও নষ্ট। চিল্লাচিল্লির একপর্যায়ে সবাই ছুটে এল। ফুপী এসে বলল,
‘ কি হয়েছে আম্মা তোমার? কে মেরেছে আবার?
রোহিতা আন্টি জিজ্ঞেস করলেন,
‘ রায়ান, রায়ান কিছু বলেছে? কোথায় ছেলেটা?
ভাইয়া ভাবি তাড়াহুড়ো করে ছুটে এল। ভাইয়া বলল,
‘ কি হয়েছে রে রুউউ? চিল্লাচিল্লি করছিস কেন?
আমি আর ও জোরে চিল্লিয়ে বললাম,
‘ চেয়ারে কেউ টমেটো রাখে? দেখো আমার কাপড় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
টমেটোটা গলে গেল।
সবাই কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর হা হু করে হেসে উঠল। সুজন ভাইয়া আর রায়ান সাহেব ছুটে এলেন। কান থেকে ইয়ারফোন খুলে ছেলেটা বলল,
‘ কি হয়েছে? কোন রায়ান মেরেছে আবার আপনাকে?
আমি রেগে বললাম,
‘ ফালতু কথা বলবেন না। আমি রেগে আছি।
ছেলেটি হাসল। সুজন ভাইয়া তার পিঠে চাপড় দিয়ে বলল,
‘ রায়াম গা ঢাকা দিয়ে থাক ভাই। এই মহিলা বড্ড তেজি।
আমি সুজন ভাইয়ার দিকে রেগে থাকালাম। সুজন ভাইয়া হাসল। বলল,
‘ আরেহ রুশা রাগ করছ কেন? চেয়ারে কি আছে তোমার দেখে বসা উচিত ছিল। এখনি কি আর করার? চেন্জ করে নাও।
আমি সরলাম। বললাম,
‘ সবাই কি এখানে? কেউ কি মারা গেছে?
ভাইয়া বলল,
‘ রাগ করছিস কেন? ভুলটা তো তোরই।
আম্মা এসে বললেন,
‘ আমি ভুলে রেখেছিরে মা। আর রাগ করিস না।
ছেলেটা দূরে দাঁড়িয়ে হাসছে। সবাই একে একে চলে গেল। সুজন ভাইয়ার পিছু পিছু ছেলেটি ও চলে গেল। আমি ছেলেটির পিছু নিয়ে ডাক দিলাম
‘ শুনুন রাগটা পাঁচ থেকে বিশে উঠে গিয়েছে। আপনি হাসছিলেন কেন? মজা নিচ্ছিলেন?
ছেলেটির সাথে সাথে সুজন ভাইয়া ও দাঁড়িয়ে গেল। বলল,
‘ রুশা বেচারার উপর রাগ দেখিয়ে কি হবে? যা হওয়ার তা তো হয়ে গিয়েছে।
আমি বললাম।
‘ যান তো। মাথা খারাপ এমনিতেই।
দু’জনই একসাথে হাসল।
আমি তাদের মুখের উপর দরজা বন্ধ করলাম৷
______________
বাবা অনেক জোরাজুরি করে ও রোহিতা আন্টিকে রাখতে পারলেন না। ওনি চলে যাবেন বলেছেন চলেই গেলেন। ওনার ছেলে এত ব্যস্ত। ফোনের কাছে সারাক্ষণ ফোনটা লেগে থাকে। এসব ভিআইপি ছেলেগুলাকে আমার একদম পছন্দ না। ফোনে সারাক্ষণ কথা বললেই কি প্রেম হয়? আর মেয়েটাই বা কি ফালতু। মেয়েটার বাসায় কি কোনোকাজ নেই? পড়াশোনা নেই? যত্তসব ফাউল।
ছেলেটি যাওয়ার আগে বললেন
‘ আমাদের বাসায় যাবেন।
আমি বললাম,
‘ যা খেয়েছেন তা শোধ করার জন্য?
তিনি হেসে আমাকে বললেন,
‘ মোটেও না। শোধ না করে ঋণী হলে আরও বেশি খুশি হবো। আর টমেটোটা কিন্তু আমি রেখেছি।
আমি লোকসম্মুখে কিছু বলতে পারিনি। কিন্তু কোনোদিন যদি সুযোগ হয় আমি এর শোধ তুলে নেব।
_______________
ছয় কিংবা সাতমাস গেল মনে হয়। বিয়ের পীড়াপীড়ির কারণে খালামণির বাসায় গিয়ে উঠেছি একদম। প্রায় একবছর পর যাওয়ার কথা শুনে খালামণি নিজেই খালুআব্বাকে পাঠিয়েছেন আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ঢাকা শহরে নিজস্ব ফ্ল্যাট আছে খালামণির। যাব যাব বলে আর যাওয়া হয়না। বাসায় সারাক্ষণ বিয়ে আর পাত্রপক্ষের গুণগান শুনতে শুনতে একপ্রকার বিরক্ত হয়ে গেছি৷ মিশুকে ছেড়ে কোথাও যেতে ও ইচ্ছে করেনা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তাই সিদ্ধান্ত নিলাম যাব। যেই মুখ থেকে বের করলাম
‘ বাবা আর আম্মার ও তাড়া লাগল। হয়ত ভেবেছে খালামণি আমাকে তেল মাখবে বিয়ের জন্য। কিন্তু তাদের চালাকি আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে গেছি।
খালামণির বাসায় উঠার পর আরেক ঝামেলা বাঁধল। সুপার শপে দেখা হয়ে গেল রায়ানের সাথে। ছেলেটির পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু পরিবর্তনটা কোথায় সেটা ধরতে পারলাম না। আমাকে দেখে সে হয়ত প্রচন্ড রকম শক খেয়েছে।
আমি নিজেই কথা বললাম
‘ কেমন আছেন?
সে হেসে উত্তর দিল।
‘ খুব ভালো। আপনি এখানে?
আমি তার বিস্মিত চাহনি প্রচন্ডরকমভাবে উপেক্ষা করলাম। বললাম,
‘ ভালো আছি। খালামণির বাসা থেকেই এখানে আসা৷ পাশেরটা আমার খালাতো বোন, শান্তা৷
রায়ান হাতে থাকা হেলমেটটি ছুড়ে আবার ক্যাচ ধরে বলল,
‘ আমি ও আম্মুর সাথে এসেছি। আম্মু ওই পাশে মেবি। আজকে আমাদের বাসায় যাবেন কিন্তু। কোনো না শুনব না। আপনার কাজিন ও যাবে।
শান্তা ঘনঘন মাথা নাড়িয়ে বলল,
‘ এটা হয়না।
রায়ান নাছোড়বান্দা। রোহিতা আন্টির সাথে কুশলাদি শেষ করে কোনোমতে পালাতে চাইলাম। উনি হাত ধরে ফেললেন।
‘ যেতেই হবে রুশা। আন্টি বলেছি তাই যাবে।
আমি খালামণিকে ফোন করে পারমিশন নিলাম। আন্টি নিজেই কথা বললেন খালামণির সাথে।
রায়ান বাইকে উঠে চলে গেলেন নিমেষেই। রোহিতা আন্টি অটো ডেকে আমাদের ও তুললেন। বললেন,
‘ একটা মেয়ে না থাকায়, আমাকে কত কষ্ট করতে হয়। টুকটাক জিনিসগুলো কেনার জন্য ও শপে চলে আসতে হয়। ফারহান আর রায়ানকে যেটা বলি তার উল্টোটা করে বসে। আর তাদের বাবার কথা নাই বা বলি৷
রোহিতা আন্টির সাথে বাসায় পৌঁছানোর পর দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর একটু ঘুরাঘুরি করলাম তাদের বাসার নিচে বাগানে। বাগান পার হয়ে বাসায় ডুকা একটি ছেলেকে দেখে শান্তা হঠাৎ আমার কাপড় টেনে ধরল৷ বলল,
‘ রুশুরে আমি আর এক মুহূর্ত ও থাকব না এখানে?
আমি বললাম,
‘ কেন? কি হয়েছে?
শান্তা আমাকে রোহিতা আন্টির পাশে ছেলেটাকে দেখিয়ে দিলেন। বললেন,
‘ ফারহান সাহেব এখানে? ও আল্লাহ? আমি এক্ষুণি বাসায় ফিরব?
আমি জিজ্ঞেস করলাম,
‘ কেন রে, উনি তোর এক্স বয়ফ্রেন্ড নাকি রে?
শান্তা এক নিঃশ্বাসে বলল,
‘ ফালতু কথা বন্ধ কর। আমি থাকব না এখানে।
সন্ধ্যার দিকে যাওয়ার তাড়া পড়লে রোহিতা আন্টি প্রশ্ন ছুড়তে লাগলেন আমাদের দিকে। আমি কিছু বলতে পারলাম না। ওনার বড় ছেলের সাথে কথা বলা হয়ে উঠেনি। একরোখা স্বভাবের মনে হলো। ওনি আমাদের দেখে ওনার মাকে শুধু জিজ্ঞেস করলেন,
এরা কারা আম্মা ?
রোহিতা আন্টি কি কি যেন বললেন।
শান্তা পুরোটা সময় লুকিয়ে ছিল।
________________
বেরোনোর আগে বাগানে চেঁচামেচি শুনতে পেলাম৷ রায়ান সাহেবের গলার আওয়াজ। মালিকে বকছে।
রোহিতা আন্টির পিছুপিছু আমি ও গেলাম।
‘ গাছের ফুল ঝড়ে গিয়েছে কেন এটা কি মালির দোষ? আস্ত বজ্জাত ছেলে তো।
উনি মালির কাছ থেকে পানির পাইপ কেড়ে নিলেন। গাছের গোড়ায় পানি দিতে দিতে বললেন
‘ এভাবেই দিবেন। গাছের আগায় কেউ পানি দেয়? কাজ না জানলে কাজ নেন কেন?
রোহিতা আন্টি ডাকলেন
‘ আব্বা এমন কেউ করে? এভাবে বকছিস কেন? এত মাথা গরম করে লাভ আছে?
ছেলেটি কিছুই বলল না। আমার সামনে এসে থেমে গেলেন। বললেন
‘ কোথায় যাচ্ছেন আপনি?
আমি বললাম,
‘ বাসায়। খালামণির।
উনি বললেন,
‘ যান।
আমি ভড়কে গেলাম।
‘ কি বেয়াদব ছেলে? কিভাবে কথা বললো?
শান্তা কাঁচুমাচু করে বলল,
‘ ভালো হয়েছে বকেছে। বলামাত্রই তোকে এসে যেতে হলো।
আমার অপমানবোধ হলো। রোহিতা আন্টিকে দেখালাম না তারপর ও। আন্কেল আসার সময় মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
‘ আবার এসো মা।
রোহিতা আন্টি হেসে বললেন,
‘ এমনিতেই আসতে হবে।
আন্টির জোরাজুরিতে রায়ান আমাদের গাড়িতে তুলে দিলেন। কথা বলার প্রয়োজন মনে করলেন না হয়ত। আমার আর ও অপমান লাগল। কেন যে আসতে গেলাম। তার পরের দিন খালামণির বাসায় আমাদের পুরো পরিবার আসল। মিশু তো আমাকে দেখে কোলে ঝাপ দিল। আমাকে বলল,
‘ আমমমো মার মার।
আমি বললাম,
‘ আমমো মেরেছে?
মিশু মাথা নাড়াল। বলল,
‘ বিথা।
আমি হাসলাম। বললাম,
‘ আমি না থাকায় সবাই আমার মা টাকে মেরেছে।
আম্মার এখানে এসে ও শান্তি নেই। এখানে ও বরপক্ষ। বরপক্ষ দেখতে আসবে। আমি অনেক কান্নাকাটি করলাম। খালামণি অনেক বুঝালেন। শান্তা আর আমাকে বললেন,
‘ তোরা দুইজনই জামাই ছাড়া কতকাল থাকবি? বিয়া করুম না, করুম না ছাড়া আর কোনো কথা নাই।
আম্মা রেগে বললেন,
‘ জীবনে ও আর মা ডাকিস মা আমায়। আমার কোনো কথার দাম নাই তোর কাছে। কত ভালো ভালো পাত্র হাতছাড়া করেছি। দুই মাস সময় দাও, তিন, চার, পাঁচ, ছয় মাস করতে করতে বুড়া হয়ে যায় আমরা। কবরে চলে গেলে তারপর বিয়েতে মত দিস তুই। ভাইয়া কোনোকথা বলল না আমার সাথে। দুইদিন পার হতেই আমাকে ডেকে বলল,
‘ তোর পছন্দের ছেলে থাকলে বলিস৷ নইলে তোর ভাই তো তোকে পঙ্গুর সাথে বিয়ে দিবে।
আমি শক্ত কন্ঠে বললাম। ‘ আমি রাজি আছি। তোমাদের যা করার করো।
শান্তা দরজা বন্ধ করে নাচতে শুরু করল। বলল,
‘ ওরে রুশুনি তোর বিয়া খামু।
আমার এমন রাগ লাগল। টেবিলের নিচে থাকা লোহার স্কেল বের করে মারলাম এক বাড়ি। ঠান্ডা হয়ে সে পড়ে রইল বিছানায়।
তারপরের দিন বরপক্ষ থেকে দেখতে এল যারা তাদের দেখে আমি যেন মাটি ফাঁক করে ভেতরে ডুকে গেলাম।
ফুপী, ফুপুআব্বা, রোহিতা আন্টি আর আন্কেল। রোহিতা আন্টি আমার কাছে এসে চুপিচুপি বললেন
‘ তোমার আন্কেল জেদ ধরেছে এই রুশাকেই বড় ছেলের বউ বানাবে।
আমি মূর্তির মতো বসে রইলাম শুধু। কি কথাবার্তা হচ্ছে, আমায় কি বলছে তা কোনোকিছুই কানে নিলাম না।
মিঃ ফারহানের সাথে আলাদা করে কথা বলার সুযোগ দিলেন আমায়। তা ও ছাদে। আমি কোনোকিছু বললাম না। উনি নিজ থেকে কথা বললেন,
‘ আপনার এই সম্পর্কে অমত আছে?
আমি তার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকলাম। কি বলব আমি? কি বলা উচিত আমার? আমি উত্তর না দিয়ে প্রশ্নটা উনাকে করলাম।
ফোন টিপতে টিপতে একটি ছেলে ছাদে আসতেই আমাদের দেখে ভড়কে গেলেন৷ ফারহান সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললেন,
‘ ভাইয়া ইমার্জেন্সি কল ছিল তো।
মিঃ ফারহান হেসে বললেন,
‘ সমস্যা না। আমরা কথা বলছিলাম।
ফারহান সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করে চলে গেলেন। আমি ওই ফোন হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বললাম
‘ বাহ। ইয়ার্কি করার মোক্ষম চান্স চলে এসেছে আপনার হাতে। ভাইয়ের বউয়ের সাথে ইয়ার্কি বেশ মানায়।
অগ্নিরূপ ধারণ করা চোখদুটো আড়াল করে ফেলল ছেলেটি মুহূর্তেই। কিন্তু আমি বুঝে গেলাম। আমি যে সব বুঝি।
আমি থামলাম না। বললাম,
‘ মিঃ রায়ান অপেক্ষার অপর নাম কি জানেন?
ফোন পকেটে রেখে উনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আমাকে বললেন
‘ জানিনা। তবে জানি ও।
আমি মুখ ফিরিয়ে নিলাম।
‘ এই ছেলেটার সাথে কথা বলে কোনো ফায়দা হবেনা জানি।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে ব্যাঙ্গার্থক হাসি হাসলেন। বললেন,
‘ ভাবি মনে করে একটা সহজ প্রশ্ন করি?
আমি সায় দিলাম চোখ দিয়ে। ব্যস সে বুঝে নিল। তার প্রশ্নটা ছিল
‘ কখনো কাউকে ভালোবেসেছেন কি?
_________________
গোল টেবিলের মিটিং যাকে বলে। একটি টেবিলকে ঘিরে গোল হয়ে বসেছে সবাই। রুশার মা এসে তাড়া লাগালেন
‘ ছেলেটা কতদূর এল রে রুশা? ফোন দিয়েছিস?
রুশা আর তার বাকি বান্ধবীদের ধ্যান ভাঙ্গে। রুশার মায়ের কথাকে উপেক্ষা করে রুশার বান্ধবীরা সমস্বরে বলে,
‘ “”কখনো কাউকে ভালোবেসেছেন কি? “””” এইই রুশা প্রশ্নটার উত্তরে সেদিন তুই কি বলেছিলি? তোর উত্তর কি ছিল?
রুশা বলল,
‘ দাদুর মেজবান। অথচ আমি দেখ তোদের সাথে গল্পে মজে গেছি। উনার খোঁজটা ও নেইনি। সর উঠতে দে৷
সবাই রুশার হাত চেপে ধরল।
‘ প্লিজ রুশা বাকিটা বলে যাহ। তর সইছেনা শেষটা জানার।
রুশা হাসল। বলল,
‘ সবকিছু বলা যায়না। বুঝে নে।
সবাই রুশার হাত চেপে ধরল একপ্রকার। রুশার মা বললেন
‘ কি হচ্ছেরে? তোরা কি ওকে ছাড়বিনা?
রুশা ক্লান্ত হলো।
রুশার বাবার সাথে কথা বলতে বলতে মাঝরুমে চলে এল একটি ছেলে । রুশার বাবা চলে গেলেন। মা ও চলে গেলেন। রুশা ঢোক গিলে হাতঁড়ে ফোন খুঁজে নিল। ফোনের দিকে তাকিয়ে জিভে কামড় দিয়ে বলল,
‘ সরি। সাইলেন্ট ছিল।
ছেলেটি তার গম্ভীর চাপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
‘ সাইলেন্ট ছিল নাকি সাইলেন্ট রেখেছ? বরাবরের মতো সাইনলেন্ট রাখতে পছন্দ করো আমাকে। আজকে ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
রুশার চোখজোড়া চকচক করে উঠল। তার বান্ধবীরা সমস্বরে বলে উঠল,
‘ ভাইয়া,, আসলে ও আমাদের,,,,
রুশা থামিয়ে দিল। মিনমিন করে বলল
‘ দোহাই লাগে এসব কিছু বলিস না।
ছেলেটি গটগট করে পায়ের আওয়াজ তুলে ভেতরে চলে গেল।
রুশা কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
‘ কার সামনে কি বলবি সেটা ও জানিস না তোরা। এই গল্পটা আমার জীবনের খুব স্পেশাল একটা গল্প। তোদের সাথে শেয়ার করলাম। আর তোরা?
রুশার বান্ধবীরা চুপ হয়ে গেল। কেউ একজন বলল,
‘ ভাইয়ার কাছ থেকে লুকিয়ে ভালো করলি না। এই ডায়েরীটা ভাইয়ার পড়া উচিত। নাহলে ভাইয়ার সাথে অন্যায় হবে।
রুশা ডায়রীরা কেড়ে নিল ফট করে। বলল,
‘ আমার সাথে যে রোজ অন্যায় হয়? তার বেলা?
চলবে,
কালকেই শেষ পর্ব। মন্তব্যের আশায়।