গল্প:-মনের মহারাণী
লেখিকা:-Sohani_Simu
পর্ব:১৫

সকালে উমানের ডাকে ঘুম ভাঙলো।উনি খুব তাড়া দিয়ে আমাকে ডাকছেন।আমি বিরক্ত হয়ে উঠে বসলাম।উমান বিছানায় আমার পাশে বসে আমার একহাত টেনে উনার হাতের মধ্যে নিয়ে বললেন,

‘আমি কিন্তু তোকে ভালোবাসি আর তুইও আমাকে ভালোবাসিস ওকে?’

আমি ঘুমঘুম কন্ঠে বললাম,

‘এসব বলতে ডেকেছেন?আমার ঘুম..’

উমান থমথমে মুখ করে বললেন,

‘বাইরে নিষাদ ওয়েট করছে।’

আমি ভ্রু কুচকে বললাম,

‘নিষাদ ভাইয়া?এত সকালে কেন এসেছে?’

উমান উঠে দাঁড়িয়ে ড্রেসিং টেবিলের দিকে যেতে যেতে বললেন,

‘এগারোটা বাজে আর তুই বলছিস এত সকাল?কাল থেকে সকাল ছয়টায় উঠবি।পড়াশুনার কথা তো ভুলে গেছিস একদম।তোর মতো পড়া চোর মেয়ে আমি জীবনেও দেখিনি।অপদার্থ কি আর এমনি বলি?আসার পর থেকে দেখছি শুয়ে বসেই দিন কাটাস।একটা কাজও তো করিসনা।ঘরের কি অবস্থা!মহারাণী একেকদিন একেকটা ড্রেস পরবে আর আমাকে সেগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে।নিজের ড্রেসগুলো তো অন্তত গোছাতে শিখ।’

উনি রেগে কথা বলছেন।অবশ্য বলায় উচিত।আমি একটা কাজও করিনা।ঘর ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে রান্না-বান্না,কাপড় ধোয়া,মেঝে মোছা,থালা-বাটি পরিষ্কার করা সব কাজ উমান একাই করেন।উনার ঝারি শুনে বিছানা থেকে নেমে সোফায় রাখা ড্রেসগুলো গোছাতে শুরু করলাম।উমান সাথে সাথে আবার ঝারি দিয়ে বললেন,

‘এই রাখ ওসব।এখন তোকে ওসব কে করতে বলেছে হ্যা?তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে এসে আগে নিষাদকে বিদায় কর।আমার মাথা কিন্তু খারাপ হয়ে যাচ্ছে।’

উমানের কথার আগামাথা কিছু বুঝতে পারছিনা।রেগে যাচ্ছেন কেন উনি এভাবে!উনি আমাকে ঠেলে ঠুলে ওয়াশরুমে পাঠিয়ে দিলেন।ফ্রেশ হয়ে এসে চুল গুলো ঠিক করে নিয়ে ড্রইং রুমে আসলাম।উমান আর নিষাদ ভাইয়া কথা বলছেন।অনেকদিন পর নিষাদ ভাইয়াকে দেখলাম।খুব ভাল লাগতো একসময় উনাকে।আম্মুকে বলতাম বড় হলে নিষাদ ভাইয়াকে বিয়ে করব,নিষাদ ভাইয়া আমার ক্রাশ।তবে আজ আর উনাকে ভাল লাগছেনা।উনার হিরোর মতো চেহারার দিকে তাকাতেই ইচ্ছে করছেনা।সবচেয়ে বড় কথা উনাকে আমার বিরক্ত লাগছে।আমি নিজেই অবাক হচ্ছি।দুদিন আগেও নিষাদ ভাইয়ার জন্য আলাদা অনুভূতি ছিল আর এখন একটুও ভাল লাগছেনা উনাকে।আমি আসতেই নিষাদ ভাইয়া মুচকি হেসে বললেন,

‘কেমন আছো মিতি?’

আমিও মুচকি হেসে বললাম,

‘ভাল আপনি?

‘আমিও ভাল।অনেক দিন পর দেখা হল তোমার সাথে।শেষ বার একদম পিচ্চি দেখেছিলাম।’

আমি মুচকি হেসে বললাম,

‘মিনিকে দেখেছিলেন হয়তো।’

উমান আমার হাত টেনে উনার পাশে বসিয়ে দিলেন।হুট করে আমার গালে কপালে হাত দিয়ে নিষাদ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন,

‘প্রচুর জ্বর,মনে হয় একশো তিন।’

এরপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

‘মাথা ঘুরছে?চলো রুমে গিয়ে শুয়ে থাকবা।দেখা তো হলই নিষাদের সাথে।’

আমি কিছু বুঝতে না পেরে ভ্রু কুচকে উমানের দিকে তাকিয়ে আছি।এরমধ্যে নিষাদ ভাইয়া বললেন,

‘হ্যাঁ মিতি তোমার নাকি শরীর খারাপ?এখানে কষ্ট করে বসে থাকতে হবেনা যাও রেস্ট নাউ।’

আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা।আমি তো একদম ফিট,জ্বর আসলো কোথায় থেকে?উমান মিথ্যে বলছেন কেন?স্ট্রেন্জ!!আমি নিষাদ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম,

‘না না ভাইয়া আমি ঠিক আছি।’

উমান আমার হাতে চাপ দিলেন।তারপর নিষাদ ভাইয়ার সামনেই আমাকে একপাশ থেকে জরিয়ে ধরে আমার মাথা উনার বুকে হেলান দিয়ে রেখে বললেন,

‘একা যেতে পারবানা না?চলো আমি রুমে দিয়ে আসি।নিষাদ আছে তো,পরে কথা বল ওর সাথে।’

নিষাদ ভাইয়া ব্যস্ত হয়ে বললেন,

‘হ্যা ভাইয়া ওকে রুমে দিয়ে আসুন।মিতি?নিজের যত্ন নিও ওকে?আমি এখন ভার্সিটিতে যাব।অন্য একদিন এসে জমিয়ে আড্ডা দিব।’

আমি কিছু বলব উমান আমাকে নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।পিঠের পেছন দিয়ে আলতো করে আমার কোমড়ে হাত রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

‘ভাইয়াকে বাই বলো,আবার আসতে বলো।’

আমি মুখ মলিন করে নিষাদ ভাইয়াকে আবার আসতে বললাম।উমান নিষাদ ভাইয়ার তাকিয়ে বললেন,

‘নিষাদ তুমি একটু ওয়েট করো আমি ওকে রুমে দিয়ে আসি।খুব উইক হয়ে পরেছে মাথা ঘুরে পরে গেলে আবার আরেক বিপদ।’

‘ওকে ওকে দিয়ে আসুন আমি ওয়েট করছি।

উমান আমাকে নিয়ে রুমে চলে আসলেন।আমি কিছু বলব তার আগেই উনি ফট করে আমার গালে কিস করে বললেন,

‘রেস্ট নাউ ওকে?আমি ওই আপদটাকে বিদায় করে আসি।’

আমি হতভম্ব উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।উনার মাথা টাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি?এমন করছেন কেন?তিনমিনিট ধরে রুমের মধ্যে পায়চারী করছি তখন উমান ঘরে আসলেন।আমি উনার দিকে তেড়ে গিয়ে বললাম,

‘এই আপনি তখন মিথ্যে কথা বললেন কেন?’

উমান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে আমাকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে সোফায় বসে বললেন,

‘এর শোধ আমি নিবই।আমাকে জ্বালিয়ে একদম ঠিক করিসনি।’

আমি উনার সামনে গিয়ে ভ্রু কুচকে বললাম,

‘আজব তো,আমি কখন আপনাকে জ্বালালাম?আপনিই পাগলের মতো করছেন।’

উনি চোখ ছোট ছোট করে আমার দিকে কয়েকসেকেন্ড তাকিয়ে থাকলেন।হুট করে আমার হাত টেনে আমাকে উনার কোলের উপর নিয়ে মুচকি হেসে বললেন,

‘তোর সাথে আমার অনেক কথা আছে।’

আমি নড়েচড়ে উনার কোল থেকে উঠার চেষ্টা করে বললাম,

‘কি কথা?’

উনি একহাতে আমার দুই হাত চেপে ধরলেন অন্যহাতে আমার কোমর পেচিয়ে ধরে আমার ঘাড়ে গলায় পরপর কয়েকটা কিস করে বললেন,

‘আমি না থাকলে চাচ্চু কিন্তু চাইবে তোর বিয়ে দিতে।নিষাদ একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন তোকে বিয়ে করতে।তুই যদি বিয়ে করিস আই সোয়্যার খুন করে ফেলবো তোকে।’

আমি ভ্রু কুচকে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,

‘কি বলছেন এসব।মাথা ঠিক আছে আপনার?’

উনি আমার গালে কিস করে বললেন,

‘এখন ঠিক আছে কিন্তু তুই অন্য কাউকে বিয়ে করলে ঠিক থাকবে না।’

আমি এবার রেগে গেলাম।কেন উনি সারাক্ষণ শুধু এসব কথা বলেন!উনার কোল থেকে উঠে বেড সাইড টেবিল থেকে পানির জগ আর গ্লাস মেঝেতে ফেলে দিয়ে উনার দিকে তাকিয়ে রেগে বললাম,

‘আমি কেন অন্য কাউকে বিয়ে করব?আর একবার এসব বললে সব ভেঙ্গে ফেলব।’

বলতে বলতে ভারী ফুলদানিটা ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় ছুড়ে মারলাম।মনে মনে ভাঙবোনা ভাঙবোনা বলতে বলতে ড্রেসিং টেবিলে সাজিয়ে রাখা পছন্দের কাচের রেশমি চুড়ি গুলোও সব ভেঙে ফেললাম।উমান সোফায় বসে থেকে সব দেখছেন অথচ আমাকে আটকাচ্ছেন না।উনাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে আমার রাগ হচ্ছে খুব।পছন্দ অপছন্দ আর দেখলাম না।ড্রেসিং টেবিলের সব জিনিস মেঝেতে ছুড়ে ফেললাম।

রাত বারোটা বাজে।চারদিকে পিনপতন নীরবতা।আমি নিজের রুমে বিছানায় গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছি।উমান এখনও রুমে আসেননি।একঘন্টা আগে বাইরে গিয়ে দেখে এসেছি উনি সোফায় বসে ল্যাপটপ চালাচ্ছেন।এখনও শুতে আসছেন না।এদিকে আমার খুব ভয় লাগছে।উনি মনে হয় আজ আমার সাথে থাকবেন না।সকালে ভাঙচুরের পর উনি আমাকে খুব বকেছিলেন।চড় মারার জন্য হাতও তুলেছিলেন কিন্তু মারেননি।তারপর থেকে আমি আর উনার সাথে কথা বলিনি।উনিও তেমন কথা বলছেন না।দুপুরে খেতে চাইনি তাও জোর করে খাইয়ে দিয়েছিলেন।বিকেলে একবাটি পাস্তা দিয়েছিলেন রাগ করে খাইনি।ডিনারে ডেকেছিলেন তাও যাইনি।উনিও জোর করে আর খাওয়াননি।

ঘুমোবার চেষ্টা করছি কিন্তু ভয়ে ঘুম আসছেনা।জানালার দিকে তাকিয়ে দেখি ভাল করেই লাগানো আছে তাও ভয় লাগছে।চারপাশটা কেমন যেন ছমছম করছে।উঠে বসলাম।উমান যে আসবেননা এটা আমি বুঝে শেষ।সব রাগ অভিমান সাইডে রেখে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম।যা ভেবেছিলাম তাই।ড্রইং রুমের আলো নেভানো,উমান নেই।আমি সব আলো জ্বালিয়ে দিয়ে পাশের রুমের দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বললাম,

‘উম ভাইয়া?দরজা খুলুন।ওই রুমে একা ভয় লাগছে আমার।উম ভাইয়া?উম?’

পেছন থেকে উমানের আওয়াজ পেয়ে হকচকিয়ে লাফিয়ে উঠলাম।উমান একহাত ট্রাউজারের পকেটে ঢুকিয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।অহ তারমানে উনি রুমের ভেতরে নেই।আমি শুধু শুধু ভয়ে অস্থির হলাম।উনি আমার সাথেই থাকবেন,আই নো।কিন্তু আমি যে উনাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা এটা উনাকে বুঝতে দেওয়া যাবেনা তাহলে বজ্জাতটার ভাব বেড়ে যাবে, আমার সাথে থাকতে চাইবেন না।পরে উনার হাতে পায়ে ধরতে হবে।মনে মনে এসব ভাবছি উনি বললেন,

‘হোয়াট?’

আমি আমতা আমতা করে বললাম,

‘পপপাস্তা,পাস্তা খাব।’

উনি উল্টো দিকে ঘুরে আমার রুমে যেতে যেতে বললেন,

‘খা,কে বারণ করেছে?’

আমি উনার পেছন পেছন যেতে যেতে বললাম,

‘কোথায় আছে?’

‘ফ্রিজে।’

ফ্রিজ খুলে পাস্তার বাটি বের করলাম।অনেক ঠান্ডা,গরম না করলে খাওয়া যাবেনা।কিচেনে এসে একটা প্যানে পাস্তাগুলো ঢেলে দিলাম।স্টোভের সুইচে হাত দিয়েছি আর উমান আমার হাত সরিয়ে দিলেন।আমাকে একপাশে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বললেন,

‘আমি করে দিচ্ছি।’

আমি মনে মনে বললাম যাক ভাল হল,মাস্টারশেফ বর পেয়েছি একটা।কি কপাল আমার!কিন্তু মুখে বললাম,

‘আমিই করছি,আপনি…’

উমান আমার কথার মধ্যেই বললেন,

‘আমি নাথাকলে আগুনের কাছে আসবিনা।মনে যেন থাকে।’

আমি ভ্রু কুচকে বললাম,

‘কেন?’

‘আমি বলেছি তাই।কিচেনে ঢুকবিনা আর।’

বাবাও আমাকে কিচেনে ঢুকতে দেয়না।দু-একবার ঢুকলেও প্রচুর রাগ করতো।সেজন্যই তো আমি রান্নাবাড়া কিছু পারিনা।আম্মু যা একটু শেখাতে চাইতো বাবার ধমক খেয়ে আর কিছু বলতো না।উমানও বাবার মতোই কথা বলছেন।এদের কথা শুনলে মনে হয় আগুনের সামনে আসলেই আমি পুড়ে যাব।বেশি বেশি!

দুজনেই পাস্তা খেলাম।কথার ছলে যানতে পারলাম উমান ও এতক্ষণ না খেয়ে ছিলেন।খাওয়া শেষ করে রুমে আসলাম।উমানও এসেছেন তারমনে উনি আমার সাথেই থাকবেন।যাক আর কোনো ভয় নেই।খুশি খুশি মেজাজে ল্যাম্পশেড অন করে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলাম।উমান দরজা বন্ধ করে লাইট অফ করে বালিশ নিয়ে সোফায় গিয়ে শুলেন।উনাকে সোফায় যেতে দেখে আমার মুখ মলিন হয়ে গেল।উঠে বসে মন খারাপ করে বললাম,

‘ওখানে কেন শুলেন?’

উনি কিছু না বলে কপালের উপর হাত রেখে সোফার হ্যান্ডেলের উপর পা তুলে দিলেন।অত বড় শরীর নিয়ে ওই টুকু জায়গায় কিভাবে থাকবেন উনি?ভেবেই উনাকে অনেকবার বললাম বিছানায় আসার জন্য।উনি আসলেন না।উনি আসছেননা জন্য আমারও একা একা বিছানায় থাকতে ভাল লাগছেনা।ধূর যা ভাবে ভাবুক।বিছানা থেকে নেমে গিয়ে উনার উপর শুয়ে পরলাম।উমান রাগী কন্ঠে বললেন,

‘এই নাম,এখানে কেন এসেছিস?’

আমি উনার গলার মধ্যে মুখ গুজে থাকলাম।তোমার সব কথার উত্তর দিতে হবে তার কোনো মানে নেই।আম্মু রেগে গেলে বাবাকে এই কথা বলতো আর আজ আমি বলছিনা করে দেখাচ্ছি।আজকে উনাকে কোন কথার উত্তর দিবনা।

উমান আমার পিঠে হাত রেখে বললেন,

‘রেগে আছি আমি।’

ভেবেছিলাম আজকে আর কথা বলব না কিন্তু উনি কেন রেগে আছেন সেটা জানার খুব ইচ্ছে হচ্ছে।উনার গলা থেকে মুখ তুলে বললাম,

‘কেন রেগে আছেন?’

উনি মাথা ডানদিকে ঘুরিয়ে বললেন,

‘তুই আজকে আবার আমাকে ভাই ডেকেছিস।’

অহ এই ছিল আপনার পেটে?কি সাংঘাতিক লোক!!কখন না কখন ভাই ডেকেছি আমারই মনে নেই আর এতক্ষণে উনি রাগ দেখাচ্ছেন।আমি হালকা রেগে বললাম,

‘ভাই ডাকলাম তো কি হল?এমন তো না যে আপনি আমার ভাই নন।আচ্ছা ভাই ডাক পছন্দ নাহলে দাদু,নানু বলে ডাকি? কিংবা… ।’

উনি আমার দিকে তাকিয়ে রেগে বললেন,

‘বেশি কথা বলছিস।’

আমি মুখ ভেঙচিয়ে বললাম,

‘আপনিই বেশি কথা বলছেন।’

উনি আমাকে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরে বললেন,

‘ভাইয়ের সাথে এভাবে শুয়ে আছিস লজ্জা করছেনা?একবার ইমাজাইন কর আমি তোর শ্রদ্ধেয় বড় ভাই,তুই আমার ছোট বোন।রাতের বেলা অন্ধকার রুমে দুই ভাই-বোন ছোট একটা সোফায় শুয়ে চুটিয়ে রোম্যান্স করছি।’

উনার কথা শুনে ধুড়মুড় করে নিচে নামলাম।ছিঃ! ছিঃ!কি বললেন উনি এসব!আমি উনাকে কখনও ভাই মনে করিনি।সবসময় ছেলে ছেলে নজরেই দেখেছি। বিছানায় এসে অন্যপাশ ফিরে শুলাম।উমান সোফা থেকেই বললেন,

‘আর ভাই ডাকবি?’

আমি উপুর হয়ে চোখ খিচে বন্ধ করে বললাম,

‘কখনও না।’

কিছুক্ষণ পর নিজের উপর ভারী কিছু অনুভূত হওয়ায় বুঝতে পারলাম উমান বিছানায় চলে এসেছেন।এখন নিশ্চিন্তে আর আরামে ঘুমোনো যাবে।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here