গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ৩০।
লেখাঃ#মেহের।

(১৬+ এলার্ট আজকের পর্বে ছোটরা দূরে থাকুন।)

মারুফ জেসিকার ফর্সা পেটের দিকে তাকিয়ে ছিল।
জেসিকার কথা শুনে মারুফের মনে হচ্ছে নিজের মধ্যে নেই।
বৌয়ের রূপের ঘোরে চলে গেছে।

বিছানায় শুয়ে মারুফ জেসিকাকে টান দিয়ে বুকের ভিতরে নিয়ে নেয়।
জেসিকাকে হঠাৎ করে টান দেওয়াতে জেসিকা মারুফের বুকে আছড়ে পড়ে।

মারুফ জেসিকার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
তাকিয়ে থেকে মারুফ জেসিকার বেবি কাট চুল গুলো কানে গুঁজে দিয়ে আদুরে সুরে বলল, সোনা তোমাকে শাড়িতে সেই লাগছে ।
এখন থেকে আমার সামনে সবসময় রাতে শাড়ি পড়বে ।

জেসিকা মারুফের কথা শুনে বলল, ইস্ শাড়ি সামলাতে কষ্ট হয়না বুঝি?

জেসিকার কথা শুনে মারুফ বলল, শাড়ি পড়ে আমার চোখকে তৃপ্ত করা তোমার কাজ আর বৌয়ের শাড়ি সামলানোর দায়িত্বটা তো আমার।

কথাটা বলে মারুফ জেসিকার কানে আলতো করে কামড় দিল।
তাতে জেসিকার শরীরে প্রতিটা পশমে‌ পশমে শিহরণ খেলে যায়।
জেসিকা একটা জিনিস খেয়াল করেছে, মারুফের ছোঁয়া উপেক্ষা করা ওঁর সাধ্যে নেয়।

এদিকে মারুফ জেসিকার চোখে,গালে, ঘাড়ে ওষ্ঠ দিয়ে স্পর্শ করছে।
তাতে জেসিকা বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছে।

জেসিকার অবস্থা দেখে মারুফ মুচকি হেঁসে বলল,বৌ কাছে এসো তোমার কাঁপা কাঁপি কমিয়ে দেয়।

জেসিকা মারুফের কথা শুনে লজ্জায় মারুফের বুকে মুখ গুঁজে দিল।
আর মনে মনে বলল, দুষ্টু একটা মুখে কিছুই আটকায় না।

মারুফ জেসিকাকে জরিয়ে ধরেই উঠে বসল।
জেসিকার হাতে, কানে , গলায় পাথরের যে অলংকারগুলো পড়ে ছিলো।
মারুফ সেগুলো খুলে বিছানায় থেকে নেমে টি টেবিলের উপর রেখে দিল।
ওগুলো রেখে বিছানায় এসে আবার জেসিকাকে জড়িয়ে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ঠোঁট আলতো করে চুমু দিল।

জেসিকা মারুফের স্পর্শ চোখ বুজে নিল।

মারুফ জেসিকার মুখের দিকে তাকিয়ে ,ঘাড়ে ,গলায় নাক ঘষে আলতো করে কামড় বসিয়ে দেই।

তাতে জেসিকা মারুফের চুল খাঁমচে ধরলো।

মারুফের চুল টান পড়ায় মারুফ জেসিকার দিকে তাকিয়ে দেখে ওঁর ঠোঁট কাঁপছে।
তা দেখে মারুফ জেসিকার গলা ছেড়ে ওষ্ঠ দখল করে নেয়।
মারুফ বিরতিহীন ভাবে জেসিকার ওষ্ঠের সুধা পান করছে আবার কখনো কখনো ওষ্ঠে হালকা কামড় দিচ্ছিল।

জেসিকা আগেই মারুফের স্পর্শে আবেশে চোখ বুজে ছিলো।
মারুফ ওঁর ঠোঁট কামড়ে ধরেছে তাতে যেমন ব্যথা পাচ্ছে সাথে কিছুটা অন্য রকম অনুভুতি হচ্ছে।
জেসিকা তা অনুভব করতে চেষ্টা করছে।

একসময় জেসিকা মারুফের সাথে রেসপন্স করতে শুরু করে।

জেসিকা মারুফের ঠোঁট কামড়ে ধরে আদর করতে শুরু করে।
মারুফ বৌয়ের রেসপন্স পেয়ে আরও চেপে ধরল।
দুজনে মনে হয় প্রতিযোগিতা লেগেছে কে কাকে বেশি আদর দিতে পারবে।
তাতেই লেগে আছে দুজন তৃষ্ণার্ত।

অনেকক্ষণ পর একে ওপরের ওষ্ঠ ছেড়ে হাঁপাতে লাগলো।

মারুফ জেসিকার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল, ধন্যবাদ সোনা।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে চোখ নাচিয়ে জিজ্ঞেস করল কেন?
মারুফ জেসিকাকে চোখের ইশারায় বলল, আমার সাথে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ায়।

মারুফ কথাটা বলে চোখ টিপ দিল।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে লজ্জায় চোখ বুজে ফেলেছে।
আর মনে মনে বলল, দুষ্টু ছেলে।

মারুফ জেসিকা কে চুপচাপ দেখে জেসিকার কানের ফিসফিস করে বলল, সোনা আরো আগাবো?

মারুফের কথা শুনে জেসিকা চোখ বুজে মারুফকে শক্ত করে জরিয়ে ধরল।
মারুফ জেসিকার সম্মতি পেয়ে জেসিকার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
জেসিকার গলায়, ঘাড়ে মারুফের ওষ্ঠ দিয়ে স্পর্শ করতে করতে বুকে কাছে এসে ছোট ছোট আদর ও কামড় বসিয়ে দিচ্ছিল।

জেসিকা সহ্য করতে না পেরে মারুফের পিঠ খাঁমচে ধরলো।
তাতে মারুফের পিঠে জেসিকার নখ গেঁথে যায়।

মারুফের সেদিকে হুস নেয়।
মারুফ জেসিকাকে আদরে ভরিয়ে দিতে ব্যস্ত।
মারুফ ওষ্ঠদিয়ে জেসিকার পেটে বারবার ছোঁয়া দিচ্ছিল ।

অন্যদিকে পেটে মারুফের ওষ্ঠের ছোঁয়া পেয়ে জেসিকা কেঁপে কেঁপে উঠছে।
তা দেখে মারুফ জেসিকার ওপরে নিজের সম্পূর্ণ ভর ছেড়ে দেয়।
জেসিকা মারুফের চাপে হাঁসফাঁস অবস্থা।
মারুফ জেসিকার নেশায় বুঁদ হয়ে আছে।
মারুফ জেসিকার শাড়ির কুচি খুলে ফেলেছে।
এরপর পুরো শাড়িটা টেনে নিচে ফেলে দিল।

মারুফের এই কাজে জেসিকা লজ্জায় ওঁর স্বামীর বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল।

মারুফ জেসিকার লজ্জায় লাল হয়ে থাকা মুখটা দেখে কপালে চুমু দিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে।
তারপর মারুয নিজেদেরকে চাদরের মধ্যে আবৃত করে নেয়।

রাত প্রায় শেষের দিক এখনো মারুফের চোখে ঘুম নেয়।
ফ্লোরে পড়ে আছে, জেসিকার শাড়ি, ব্লাউজ ।

আজকে বিয়ের এতদিন পরে মারুফের নিজেকে পরিতৃপ্ত মনে হচ্ছে।
ঘোর লাগা দৃষ্টিতে জেসিকার দিকে তাকিয়ে আছে।
জেসিকার ফর্সা শরীরে কোথাও কোথাও লাল হয়ে গেছে।
এই মুহূর্তে জেসিকাকে দেখতে অপূর্ব সুন্দরী লাগছে।

প্রথম দিকে ঘনিষ্ঠ মূহূর্তে জেসিকার কষ্ট হচ্ছিল।
তবুও সে মুহূর্তে মারুফের প্রতিটি স্পর্শে সাড়া দিতে ভুল করেনি।

ওদের কয়েক দফা ভালোবাসাবাসি শেষ হলে জেসিকা নেতিয়ে গেছে।

মারুফের মনে হচ্ছে ওঁর বৌয়ের শরীরের বিন্দুমাত্র শক্তি নেয়।
এটা দেখে কিছুটা খারাপ লাগছিল।
জেসিকার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,বৌ বেশি কষ্ট হচ্ছে?

জেসিকা মারুফের কথা শুনে আস্তে করে বলল, আপনাকে এতো অস্থির হতে হবে না। আমি ঠিক আছি ।
জেসিকা মারুফকে ঠিক আছে বললেও ওঁর মাঝা ও তলপেটে মনে হচ্ছে ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে।
জেসিকা এসব বলে মারুফের মন খারাপ করতে চাচ্ছে না তাই ঠিক আছে বলেছে।

মারুফ জেসিকাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল,লক্ষীটি আযান দেওয়া সময় হয়ে এসেছে।
তুমি ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো।
জেসিকা মারুফের কথা চুপ হয়ে আছে।

তা দেখে মারুফ বলল, শুনো বৌ ওযু করে ফরয গোসলটা সেরে একটু যলদি বের হবে।

জেসিকা বলল, জলদি বের হতে হবে কেন?

জেসিকার কথা শুনে মারুফ বলল, সোনা ,আমারও গোসল সারতে হবে তো।

আরও কিছুক্ষণ মারুফ জেসিককে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখলো।
জেসিকার কপালে গাঢ় করে চুমু দিল।
জেসিকা মারুফের স্পর্শ পেয়ে চোখ বুজে আছে।
তা দেখে মারুফ জেসিকাকে বলল সোনা নামায পড়ার পর ঘুমাও।
জেসিকার খুব দুর্বল লাগছিল।
তাই বারবার চোখ বুজে আসছে যদি ঘুমিয়ে যায় তাহলে নামাজ মিস্ হয়ে যাবে ।
সে ভয়ে জেসিকা উঠে গায়ে চাদর জড়িয়ে ওয়াশরুমে রুমে গোসল করতে চলে যায়।

এই ফাঁকে মারুফ বিছানার চাদর উঠিয়ে ফেলে।
চাদরে রক্তের দাগ লেগে আছে।
তাই ওটা ধোয়ার জন্য ওয়াশরুমে সামনে বিনে রেখে দিল।
মারুফ মনে মনে বলল, জেসিকা বের হলে ওকে একটা ব্যথার ঔষুধ দিতে হবে খাওয়ার জন্য।
তাহলে একটু ভালো অনুভব করবে।
আর
চাদরটা গোসলের সময় ধুয়ে ফেলতে হবে।
জেসিকা গোসল করে বের হয়েছে।
জেসিকা বের হলে মারুফ গোসল করতে চলে যায়।
গোসল শেষে জেসিকার শাড়ি ব্লাউজ এবং বিছানার চাদর ধুয়ে দিল।
জেসিকা মারুফের হাতে কাপড় চোপড় দেখে বলল, এগুলো কষ্ট করে আপনি করতে গেলেন কেন?
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, সোনা তুমি কর কি ব্যাপারটা কিন্তু একেই বুঝলে বৌ!

এরপর আযান দিলে দুজনে একসাথে নামায আদায় করে।

নামায শেষ করে দুজনে জড়াজড়ি করে বিছানায় শুয়ে আছে।
মারুফ জেসিকার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছিলো।
জেসিকা আরাম পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুমিয়ে গেছে।

জেসিকা ঘুমিয়ে পড়েছে তা দেখে মারুফ জেসিকার কপালে ভালোবাসার পবিত্র স্পর্শ দিয়ে দেয়।
মারুফ আস্তে আস্তে ঘুমন্ত জেসিকার পাশে থেকে উঠে আসে।
তারপর মনে মনে কিছু একটা ভেবে রুমে থেকে বের হয়।
মারুফ বাহিরে এসে সোজা মায়ের রুমে যায়।

মায়ের কাছে গিয়ে তার শরীরের খোঁজ খবর নেয়।
এরপর মারুফ ওঁর মা’কে বলল,মা তোমার বৌমার শরীরটা একটু খারাপ তাই আমি ওকে নামাজ শেষে ঘুমাতে বলেছি।

মায়া বেগম মারুফের কথা শুনে বললেন, ভালো করেছিস ওকে ঘুমাতে বলে।
এমনিতেই কিছুদিন হয়েছে মেয়েটা একদমই বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাচ্ছেনা।
সারাদিন সংসারের কাজে ডুবে থাকে নিজের খেয়াল পর্যন্ত রাখে না।
আজকে নাহয় একটু ঘুমাক।

মারুফ মায়ের কথা শুনে বলল,হম , তবে মা তুমি কিন্তু এই অসুস্থ্য শরীরে ভুলেও রান্না ঘরে যাবে না।
আমি রাশেদকে টাকা দিয়ে দিচ্ছি সকালের নাস্তা আনতে।
তোমার কোন ঝামেলা করতে হবে না।
মারুফের কথা শুনে মায়া বেগম বললেন,বাবা তুই অযথা এতো চিন্তা করছিস !
আমি সুস্থ্যয় আছি শুধু শুধু তুই আর জেসিকা আমাকে কোন কাজ করতে দেস না।

মারুফ বলল, তুমি অসুস্থ্য শরীরে রান্না করতে গেলে আমি জেসিকাকে ঘুমে থেকে তুলে আনবো।
মারুফের কথা শুনে মায়া বেগম বললেন, খবরদার আমার অসুস্থ্য বৌমাকে ঘুম থেকে তুলেছিস তো কান মলে দিবো।
মায়ের কথা শুনে মুচকি হেসে বলল,মা বকা দিলে ভয় পায় তো।
মারুফের কথা বলার ঢং শুনে ওঁর মা হেসে দিল।
মারুফ মায়ের সাথে আরও কিছুক্ষণ কথা বলে রাশেদকে নাস্তার টাকা দিয়ে রুমে চলে এলো।
সারারাত ঘুমায়নি এখন মারুফের ঘুমের প্রয়োজন তাই
রুমে এসে বিছানায় শুয়ে জেসিকাকে জরিয়ে ধরে চোখ বুজে রইলো।
পরম আবেশে মারুফের দুচোখে ঘুম নেমে এল।

আজকে জেসিকার ঘুম ভাঙল সকাল সাড়ে আটটার দিকে।

জেসিকা ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল।

সময় দেখে মনে মনে বলল,আজকে কপালে শনি রবি সব আছে।
বাড়ির বৌ হয়ে এতো বেলা পর্যন্ত ঘুমানো মোটেও উচিত হয়নি আমার।
নেহাৎ শরীরে ব্যথায় এমন হয়েছে।
কিন্তু সবাইকে তো শরীরে ব্যথা এটা বলতে পারব না।
আর দাদু তো আমার উঠতে দেরি দেখে মনে হয় রেগে বোম হয়ে আছে !
ইস্ কত কাজ তা ফেলে মরার মত ঘুম দিলাম।
এখন কি হবে?
জেসিকা এসব ভেবে তড়িগড়ি করে বিছানা থেকে নামতে গেলে মারুফ ওকে টান দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে।

জেসিকার রাতের কথা মনে পড়ে লজ্জায় মারুফকে দিকে তাকাতে পারছে না।
মারুফ জেসিকার অবস্থা দেখে শব্দ করে হেসে উঠল।
জেসিকা লজ্জায় অন্যপাশে ফিরে বলল, হাসছেন কেন?
আর প্লিজ আমাকে ছাড়ুন তো।
এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে।

মারুফের জেসিকার কথা শুনে বলল, টুনটুনি পাখি এখন ছাড়া যাবে না তো।
বৌ তোমার লজ্জা রাঙ্গা মুখ দেখতে খুব ভালো লাগছে।

জেসিকা মারুফকে বলে, ছাড়ুন তো!আর একটু বুঝতে চেষ্টা করুন।
এখনো নাস্তা বানানো হয়নি।
সবাই আরেকটু পরে টেবিলে আসবে নাস্তা করতে ।
তখন কি হবে তা চিন্তা করে আমি অস্থির হয়ে আছি।
আর এদিকে আপনি দুষ্টুমি শুরু করছেন।

মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, চুপচাপ শুয়ে থাকবে ।
আর শুনো তোমার দেবরকে সকালেই নাস্তা আনতে টাকা দিয়ে এসেছি তাই তোমার এতো চিন্তা করতে হবে না।

জেসিকা মারুফের কথা শুনে বলল,সরি ,ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে।
আমরা এতো গুলো মানুষের নাস্তা বাহিরে থেকে কেনার জন্য অনেক টাকা অপচয় হয়ে গেল আমার অলসতার কারণে।

জেসিকার কথা শুনে মারুফ আস্তে ধমকে বলল,এত বেশি বুঝতে হবে না।
আর তুমি খাওয়া দাওয়া ঠিকমতো করো না কেন?
বিয়ের প্রথম দিন তোমার কথা শুনে ভেবেছিলাম আমার বৌয়ের কত শক্তি কথায় কথায় লড়াই করতে আসে।
কালরাতে তোমাকে দেখে বুঝতে পারছি বৌ আমার শক্তি নিয়ে এতদিন ফাঁকা বুলি ঝেরেছে আমার সামনে।

জেসিকা মারুফের কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
কালকে থেকে ওঁর দুষ্টুমি বেরে গেছে।
শুধু উল্টপাল্টা কথা বলে ওকে লজ্জা দিচ্ছে।

এরমধ্যে মারুফ জেসিকার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল কাল রাতের জন্য ধন্যবাদ সোনা।

মারুফ কথা শুনে জেসিকা লজ্জা পেয়ে মারুফের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলল।

কালকে ঝর্নাকে দেখতে আসবে তাই মারুফ নাস্তা সেরে কালকের জন্য বাজার করতে গেছে।
এদিকে জেসিকা ঘুম থেকে উঠে সংসারের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছে।

তবে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে বলে, দাদু এবং দোলা চাচী এক চোট ঝেরেছে। বাড়ির বৌ হয়ে বেলা পর্যন্ত নাক ডেকে ঘুমানোর জন্য।

দোলা তো বলেই ফেলে জেসিকা নাকি ঝর্নার বিয়ে হোক তা চাচ্ছে না।
সেজন্য কাজকর্ম থেকে সরে থাকতে ঘুম থেকে দেরিতে উঠেছে।

জেসিকা খুঁজে পাচ্ছে না কি এমন করছে যে চাচী এসব কথা বলেছেন বা নিজে বিশ্বাস করছেন।

জেসিকা ঝর্নাকে বোনের মত ভালবাসে।
তারপরও এসব বললে তখন,,,

বিঃদ্রঃ লেখায় ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আর যদি গল্পটা আপনাদের ভালো লাগলে তো লাইক ও কমেন্ট করবেন।
আপনাদের সারা পেলে লেখার উৎসাহ জাগে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here