গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ ২৫।
লেখাঃ #মেহের।

জেসিকার কারণে মারুফকে কতবার সবার সামনে লজ্জায় পড়তে হয়েছে।
কিন্তু তবুও জেসিকাকে কারো কাছে লজ্জিত হতে দেয়নি।
মারুফের এসব কাজ ওঁর মনে দাগ কেটেছে।
তাইতো জেসিকা বুঝতে পারছে মারুফের মত এমন স্বামী পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।

জেসিকা যখন মারুফের ভাবনাতে মগ্ন হয়ে ছিলো সে সময়ে মারুফ রুমে আসলো।

রুমে এসে জেসিক কে বসে থাকতে দেখে বলল,বৌ যাও তো আমার জন্য একটু চা করে আনো।

মারুফের আওয়াজ শুনে জেসিকা ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে আসে।
মারুফ রুমে এসেছে জেসিকা তা খেয়াল করেনি ঠিক কিন্তু মারুফ যে ওঁর কাছে চা চেয়েছে সেটা ঠিকই শুনতে পেয়েছে।

তাই জেসিকা মারুফকে জিজ্ঞেস করে,চা এর সাথে বিস্কুট বা আর অন্য কিছু দিবো?

জেসিকার কথা শুনে মারুফ বলল,চা এর সাথে সবজির পাঁকোড়া দিলে মন্দ হয়না।
তবে বানাতে তোমার কষ্ট হলে দেওয়া লাগবে না।

জেসিকা মারুফের কথা শুনে মনে মনে বলল, খেতে চেয়ে আবার বলে কষ্ট হলে দিতে হবে না আজব কথা বার্তা।
জেসিকা মনে মনে এসব বলে চা আর পাঁকোড়া করতে চলে যায়।

এদিকে মারুফ ওদের দোকানের খাতাপত্র নিয়ে বসে।
অনেক দিন হয়েছে হিসাবের খাতাপত্র দেখা হচ্ছে না।
কার কাছে কত পাবে তা একবার দেখা দরকার।
তাই মারুফ খাতাপত্র দেখতে ব্যস্ত হয়ে পরল।

এদিকে আধাঘণ্টা পরে জেসিকা চা আর সবজির পাঁকোড়া নিয়ে রুমে এসে দেখে মারুফ গভীর মনোযোগ দিয়ে খাতাপত্র চেক করছে।
মারুফকে দেখে জেসিকার মনে হচ্ছে আশেপাশে ঘূর্ণিঝড় হলেও এই বান্দা খবর পাবে কিনা সন্দেহ।
তাই জেসিকা নাস্তার ট্রে কিছুটা শব্দ করেই বিছানার মাঝে রেখে নিজে বিছানার এক সাইডে বসল ।

শব্দ পেয়ে সেদিকে তাকিয়ে মারুফ জেসিকাকে বসতে দেখে বলল,বৌ পাঁকোড়া গুলো আমাকে খাওয়ায় দাও তো।

জেসিকা মারুফের কথা শুনে বলল, কেন আপনার হাত নেয় যে আমাকে খাওয়াতে হবে?

মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, বৌ তুমি সবসময় এত বেশি বুঝতে চাও কেন?
তুমি দেখছই তো আমি খাতাপত্র চেক করছি।
এখানে হাত না থাকার কি হয়েছে?
আমি ব্যস্ত সেজন্যই তো তোমাকে খাওয়াতে বলেছি।
না পাড়লে রেখে দাও পরে খাবো।

জেসিকা মারুফের কথা শুনে নিজের ভুলটা বুঝতে পারছে ।
বেচারাকে তো কত কষ্ট করে দোকানে করতে হয়।
তার কষ্টের টাকায় তো আমাদের সংসারের খরচ চলে
নিজের কথা না ভেবে আমাদের কথা আগে ভাবে।
সেই মানুষটির সাথে আমি এমন ব্যাবহার করা ঠিক হয়নি।
আর মারুফ তো কাজেই ব্যস্ত ছিল তাই হয়তো আমার হাতে খেতে চেয়েছে।
এসব ভেবে জেসিকা পাঁকোড়া হাতে নিয়ে মারুফের মুখের কাছে ধরল।

পাঁকোড়া মুখের সামনে ধরে রাখতে দেখে মারুফ জেসিকার দিকে তাকিয়ে দেখে জেসিকা ওঁর মুখের সামনে খাবার ধরে ওঁর দিকে তাকিয়ে আছে।

মারুফ আজকে জেসিকা দৃষ্টিতে ওঁর জন্য মায়া দেখে অবাক হয়ে যায়।
ওঁর বৌয়ের আবার ওঁর প্রতি মায়াও হয়।
বিশ্বাস করতে মনে কষ্ট হচ্ছে মারুফের।
মারুফ তো জেসিকার কথা শুনে রাগ করে একবার ভেবেছিলো কিছু কাজ করা শেষ হলে নিজের হাতেই খাবে।

জেসিকার মায়াভরা দৃষ্টি দেখে পরে চিন্তা করে দেখলো বৌ পূর্বের আচরণের জন্য এখনো ওঁর সাথে রাগ করে আছে। এখন মারুফও যদি রাগ দেখিয়ে না খায় তাহলে তো কোনো সমাধান হচ্ছে না উল্টো দুপক্ষ এভাবে যদি অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে থাকে তাহলে একসময় ওদের সম্পর্কে ফাটল ধরে যাবে।

তার থেকে রাগ অভিমান ভুলে চুপচাপ বৌয়ের হাতে খেয়ে নেওয়ায় ভালো।
তা ভেবে মারুফ মুখ হালকা হা করে পাঁকোড়া মুখে নেয়।

মারুফ খেতে খেতে জেসিকা কেও খেতে বলল।
কিন্তু জেসিকা খায়নি ওঁর এগুলো পছন্দ না।

মারুফের খাওয়া শেষ হলে জেসিকা বই নিয়ে কোমলের কাছে চলে গেল।
কারণ এখানে বসে মারুফের কাজের মনযোগ নষ্ট করতে চাচ্ছে না।

মারুফ জেসিকাকে বই নিয়ে যেতে দেখে আবার কাজে মনোযোগ দিল।
এতদিন ধরে ওঁর জমে থাকা হিসাবগুলো বসে বসে মিলাচ্ছে।
মারুফের মনে হচ্ছে আজ সারারাত চলে যাবে খাতাপত্র ঘাটতে ঘাটতে।
এজন্যই প্রতি সপ্তাহে দেখা উচিত তাহলে একদিন এতো চাপ পরত না।

পরের দিন সকালে

জেসিকা সকালে উঠে ভার্সিটিতে যাওয়ার আগেই যতটুকু সম্ভব সংসারের কাজকর্ম করে তারপর ভার্সিটিতে যায়।
মায়া বেগম তার বৌমার কাজে আজকাল ভীষণ খুশি।
সে তো এমন বৌয়েই চেয়েছে তার ছেলের জন্য।

অন্যদিকে দোলা মনে করে মারুফ আরও ভালো বৌ পাওয়ার যোগ্য।
কপালের ফেরে জেসিকার মত এমন মেয়ে মানুষ জুটেছে মারুফের সাথে।
জেসিকা এখন ভালো হয়েছে না ভালো হওয়ার অভিনয় করেছে তা ভেবে দোলা সন্দিহান অবস্থা।

এদিকে চাঁদনী বানু মনে করে জেসিকা যতদিন ভালো হয়ে চলবে সে ততদিন ভালো ব্যাবহার করবে।
কিন্তু কখনো যদি জেসিকা ওঁর ভোল পালটে অতীতে রণচন্ডী রূপে ফিরে তাহলে জেসিকাকে সোজা করতে এই চাঁদনী বানু একাই যথেষ্ট।
জেসিকা এ বাড়িতে আসার পরে যে আচরণ করেছে তারপর ওঁর মত মেয়ে এতটা বদলে গেছে তা কিছু কিছু মানুষের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
তবে মারুফ ওঁর মা,ভাই ও বোন জেসিকাকে মন থেকে বিশ্বাস করে।
ওঁরা জানে জেসিকা জেনে শুনে কখনো ওদের ক্ষতি করবে না।

আজকে সকালে নাস্তার পরে সবাই ড্রইং রুমে বসে গল্প করছে।
আর জেসিকা কিভাবে কাজ কর্ম করছে তা দেখছে।
এবং মনে জেসিকার পরিবর্তন নিয়ে ভাবছে।
মারুফ দোকানে যাবে তাই নিজেদের রুমে রেডি হচ্ছে।

জেসিকার যেহেতু আজকে সকালে ক্লাস তাই তাড়াহুড়ো করে কাজ সেরে নিজেদের রুমে যায়।

মারুফ রেডি হয়ে বের হচ্ছিল তখন জেসিকাকে রুমে আসতে দেখে ওখানেই থেমে গেল।

জেসিকা রুমে ঢুকে জামা কাপড় বেড় করতে আলমিরার কাছে যায়।
মারুফ জেসিকাকে আলমিরার কাছে দেখে সেও জেসিকার পিছনে পিছনে এসে দাঁড়ায়।

জেসিকা ওঁর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে পিছনে ঘুরে দেখে মারুফ ওঁর খুব কাছে দাঁড়িয়ে আছে ।
জেসিকা পিছনে ঘুরার সময়েই মারুফের বুকের সাথে লেপ্টে যায়।
মারুফ সে সুযোগে ওকে আলমিরা সাথে চেপে ধরেই জেসিকার ঘামে ভেজা মুখের দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

কিছুক্ষণ এভাবে তাকিয়ে থেকে মারুফ কিছুটা নিচু হয়ে জেসিকার ঘাড়ে ওঁর নাক দিয়ে সুরসুরি দিচ্ছে।

মারুফের এমন হঠাৎ আক্রমনে জেসিকার শরীরে শিহরণ খেলে গেল।

মারুফের স্পর্শে জেসিকা অজানা অনুভূতিতে হারিয়ে যাচ্ছে।
জেসিকা কোনো সাড়া শব্দ নেই।
শরীর নিস্তেজ লাগছে কিছুক্ষণের জন্য মনে হচ্ছে কোনো ঘোরের মাঝে চলে গেছে।

মারুফ ওঁর এতো কাছে এসে দুষ্টুমি করছে তবুও জেসিকা কোনো প্রতিবাদ করছে না তা দেখে মারুফ আরও সাহসী হয়ে উঠেছে।
কামড়ের ভয় ভুলে গিয়ে জেসিকার ওষ্ঠ দখল করে নেয়।

মারুফ জেসিকাকে আলমিরার সাথে চেপে ধরাতে জেসিকা ব্যথা পাচ্ছে তবুও কোন হুস নেই।
জেসিকা মারুফের তৃষ্ণা মেটাতে সুযোগ করে দিতে
ব্যস্ত।

আর অন্য দিকে মারুফ জেসিকার ওষ্ঠের সুধা পান করতে যখন ব্যস্ত ঠিক সে সময়ে চাঁদনী বানু ওদের রুমে ঢুকে বলল, কিরে আলমারির কাছে তোরা কি করছিস জুস?
ও না না ভুল হয়ে গেছে জুস না জেসিকা ।

চাঁদনী বানুর কথার শব্দ শুনে দুজনে চমকে উঠল।
তাড়াহুড়ো একে অপরকে ছেড়ে ছিটকে দূরে সরে যায়।

মারুফ তো তোতলাতে তোতলাতে বলে,জু … জুস খাচ্ছিলাম।

চাঁদনী বানু একথা শুনে চিৎকার করে বলল কি তোরা জুস খাচ্ছিল !
তাহলে আমায় খেতে ডাক দিলি না কেন?

মারুফ মনে মনে বলল, খেতে আর দিলে কয়?
আজকে বৌ বাঁধা দেয়নি ভেবেছি আরও কিছুক্ষণ অমৃত সুধা পান করব।
তুমি কাবাবে হাড্ডি হয়ে মাঝে এসে পরলে এটা কোন কথা হলো।
দাদা ভাই উপরে থেকে তুমি এসে দেখে যাও তোমার চাঁদনী জুস খেতে চাচ্ছে !

মারুফ কে চুপচাপ দেখে চাঁদনী বানু বলে, কিরে দাদু কোথায় হারিয়ে গেলি ?
জুস কি সব শেষ!

দাদুর কথা শুনে মারুফ বুঝতে পারছে দাদু জুসের উত্তর না নিয়ে ওকে ছাড়বে না।

তাই কথা ঘুরানোর চেষ্টা করে বলে,আরে কয় কি খাচ্ছি ।
জুস আনলে তো তোমাকেই আগে দিয়ে আসি।
দাদু তুমি কি শুনতে কি শুনেছো তুমিই তা জানো!

মারুফের কথা শুনে চাঁদনী বানু বলে, তাহলে কি দাদু আমি জুসের কথা ভুল শুনেছি?

মারুফ ওঁর দাদুকে বলল, হুঁ,আমি তো বলেছি যে দোকানে যাচ্ছি।
তুমি অন্য কিছু বুঝেছো এই আর কি!

দাদু আমার দেরি হয়ে গেছে আমি আসি।
তুমি সাবধানে থেকো আর জেসিকা তুমি রাস্তা দেখে শুনে যেও আল্লাহ হাফেজ এ কথা বলে মারুফ ওখানে থেকে কেটে পড়ল।

মারুফ রুমে থেকে চলে যাওয়ার পর চাঁদনী বানু জেসিকাকে বলল,এই নাতবৌ মারুফ এমন চোরের মত কেটে পড়ল কেন?
জেসিকা দাদুর কথা শুনে চমকে উঠে ,আমতা আমতা করে বলল, দাদু আমি কি জানি।
আপনার নাতি আপনি ভালো জানবেন।
আর মনে মনে বলল, আপনার নাতি তো চোর ।
ও না না ডাকাত।
তাইতো হুটহাট আমার ঠোঁটের উপর হামলে পড়ে।

চাঁদনী বানু জেসিকাকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল,কি ব্যাপার আজকে কলেজে যাইবা না।
জেসিকা চাঁদনী বানু কথা শুনে বলল,হ্যাঁ দাদু যাব তো।
তাহলে দাদু আপনি বসুন আমি রেডি হয়ে আসি।
জেসিকার কথা শুনে চাঁদনী বানু বলে, তুমি রেডি হও আমি আমার ঘরে যায়।
এ কথা বলে চাঁদনী বানু চলে যায়।
জেসিকার দেরি হয়ে গেছে তাই তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়ে ভার্সিটিতে চলে যায়।

বিকালে
জেসিকা ভার্সিটিতে থেকে দুইটার দিকে ফিরেছে।
ফিরেই গোসল করে নামায পড়ছে।
নামায শেষ হলে মায়া বেগম ওকে তাদের সাথে খেতে বলছে।
কিন্তু জেসিকা মারুফ আসলে খাবে তাই সবার সাথে খেতে বসেনি।
সেই দুপুরে থেকেই জেসিকা মারুফের আসার অপেক্ষা করছে।
প্রতিদিন তো মারুফ আরও আগেই বাসায় এসে পরে।
আর যদি কখনো দেরি হয়ে যায় তবে ফোন করে বলে দেয়।
কিন্তু আজকে কল করে বলেনি যে আসতে দেরি হতে পারে।
এখন মারুফের ফোনে কল করে ওঁর ফোন বন্ধ পাচ্ছে।
কিছু হয়েছে হয়েছে কিনা তাও বুঝতে পারছে না!
সকালে তো ভালো মানুষ গিয়েছে।
আজকে জেসিকা তো মারুফের সাথে কোন খারাপ আচরণও করেনি।
এসব ভেবে জেসিকার মাথা নষ্ট হওয়ার পথে।

অন্যদিকে বাসার সবাই ভেবেছিল মারুফ দোকানের কাজে ব্যস্ত আছে হয়তো।
কিন্তু মারুফের চাচ্চু বাসায় এসে যখন বলেছে মারুফ নাকি দোকানে থেকে সকালে ১১টায় কাজের কথা বলে বের হয়েছিল এখনো দোকানে যায়নি।

তার কাছে ওঁর দোকানের এক কর্মচারী ফোন দিয়ে জানতে চায়ছে মারুফ ভাই কোথায় আছে সে তা জানে কিনা?
ঐ ছেলে ফোন নাকি করেছে। মারুফকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না।
এ কথা শুনে ইসহাক ফোন করে মারুফের নাম্বারে।
সেও ফোন বন্ধ পাচ্ছে।

বাসায় সবাই এ পর্যন্ত ভেবেছে মারুফ দোকানে কিন্তু এই কথা শুনে বাড়িতে কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেছে।
জেসিকা নিজের রুমে গিয়ে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদছ।
মানুষটা কোথায় হারিয়ে গেছে।
ওঁর সাথে রাগ করে বাড়ি ছাড়েনি তো।
মানুষটা বুঝে না কেন ওঁর হৃদয়ের শুধু মারুফের রাজত্ব।
যে বন্ধন এক সময় ছিলো ভালোবাসাহীন।
আজকে তা হয়েছে ভালোবাসায় ভরপুর।
দুটো হৃদয় মিলে যে হৃদয়ের বন্ধনে আটকে গেছে।
তা কি মানুষটা বুঝতে পারল না।
এখন কোথায় খুঁজতে যাবে।
কোথায় গেলে জেসিকা ওঁর মারুফকে পাবে।
দেখতে দেখতে রাত দশটা বাজে এখনো মারুফের ফেরার নাম গন্ধ নেই।
মায়া বেগম জায়নামাজে বসে আল্লাহর কাছে ছেলের সুস্থতার ফরিয়াদ করছে।
ইসহাক খান ও রাশেদ আশেপাশের সব জায়গায় মারুফকে খুঁজে যাচ্ছে।
জেসিকা ওঁর বাবাকে ফোন করে মারুফ নিখোঁজ তা জানিয়ে অনেক কান্নাকাটি করছে ।

মেয়ের অবস্থা দেখে উকিল সাহেবও জামাতার খুঁজ নিচ্ছে আশেপাশের হসপিটালে গুলোতে।

এদিকে জেসিকা নফল নামায পড়ে মারুফের জন্য দোয়া করছে।
মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো মারুফ ফিরে এলে আর কখনো ওকে কষ্ট দিবে না।

আজকে সকালেও যে বাড়িতে হাসিখুশি ঢল ছিলো।
এখন সেখানে কেমন থম থম অবস্থা।
সবাই শুধু মারুফের একটা খবর পেতে উৎসুক হয়ে আছে।
হঠাৎ করে কোথায় হারিয়ে গেছে মারুফ।
মারুফের সাথে কোন অঘটন ঘটে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here