বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤Part: 39
#Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr [ Mêhèr ]
……

—– ” দিন দিন বড্ড দুষ্ট হয়ে যাচ্ছ তুমি তীর। সারাদিন শুধু বায়না আর বায়না। আব্বু আসবে একটু বাদেই তখন যা চাওয়ার চেয়ে নিয়ো। আমি পারব না। ”

—- ” আত্তা মাম্মা ওই পঁতা ছেলেটা আমাদের বাতায় কেন আতে? ”

তীরের এই কথায় তোয়া বেশ রেগে ওর দিকে তাকায়।
—– ” এটা কি হচ্ছে তীর। তুমি দিন দিন এমন হয়ে যাচ্ছে কেন? তাইয়্যান তোমার বড় ভাইয়ের মত। ও আমাদের বাসায় এসেছে বলে এমন করছ। ”

কথাটা শুনে তীরের গাল ফুলে যায়। ও কিছুক্ষন চুপ থেকে ওর দাদুর রুমে যায়। আর গিয়ে যা দেখে তাতে কান্নাই করে দেয়। ওর দিদা ( তায়ানের মা ) তাইয়্যানকে আদর করছে। ও গিয়ে তাইয়্যানকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।
—- ” এটা আমাল দিদা। ( বলে জড়িয়ে ধরে ) ”
এটা দেখে তীরের দিদা বলে,
—– “এটা কি হচ্ছে? আমি তো দুজনেরি দিদা। ”
—– ” না তুমি আমাল দিদা। ওই পঁতা তেলেটার লা। ” বলেই ভ্যা… করে কেঁদে উঠে।

ধাক্কা দেওয়াতে তাইয়্যানের রাগ উঠলেও ওর কান্না দেখে কিছুটা মন খারাপ হয়। ও মুখ বাঁকিয়ে অভিমানী কন্ঠে বলে,
—– ” তোর মত পঁচা মেয়ের দিদা লাগবে না আমার। ”
বলেই দৌড়ে চলে আসতে ধরে। তখনি তায়ানের সামনে পরে যায়। আর তায়ান ওকে কোলে নিয়ে বলে,
—– ” কী হয়েছে তাইয়্যানের? ”
—– ” কিছু না। “( গাল ফুলিয়ে )

তায়ান বুঝল কিছু নিয়ে আফসেট ও।
—— ” কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে।”
তাইয়্যান কান্নামিশ্রিত গলায় বলল,
—— “আমি পাপাইয়ের কাছে যাব। ”

বলেই কান্না করে চোখ মুছতে লাগল। তায়ান কিছুটা অবাক। তারপর থেমে বলল,
—– ” পাপাই তো সকালে গেল। আর এখন তো ‘‘ ( ঘড়ির দিকে তাকিয়ে কেবল ২’টা বাজে। আসলেই ছেলেটা একদম তীব্রের উপর ডিপেন্ড। এতটুকু সময়ের জন্য।)

—— ” বলুন না আংকেল। পাপাই কোথায়? ”
স্মিথ হাসল তায়ান।
—— ” পাপাই একটু কাজে গেছে। চলুন খেয়ে নি আমরা। নাহলে পাপাই এসে রাগ করবে। ”
—— ” পাপাই ছাড়া খাব না। ”
—— ” পাপাই তো সকালে খাইয়ে দিয়ে গেল আপনাকে। আপনি যদি এখন না খান তাহলে তো ওনি আমাকে বকবে। বলবে আমি আপনার খেয়াল রাখতে পারিনি। এটা কী ঠিক? ”
চুপ করে আছে তাইয়্যান।
—– ” তাহলে আপনি আর আমি আজকে লান্স করব একসাথে। আপনি একটু অপেক্ষা করেন আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।”

তাইয়্যানের ভরাট গালে একটা চুমো দিল তায়ান। তারপর ওকে নামিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল। কিছুক্ষন পর খাবার টেবিলে ফিরে এলো তায়ান। তায়ান আজকে অফিসের কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসায় এসেছে। টেবিলে তায়ানের বাবা-মা, তীর, তায়ান আর তাইয়্যান বসে আসে। তোয়া খাবার সাভ করছে। তীর পা দুলিয়ে দুলিয়ে তাইয়্যানকে দেখছে আর ভেংচি কাঁটছে৷ আর ওদিকে তাইয়্যান রাগে ফুঁলছে। তোয়া তাইয়্যানকে খাইয়ে দিতে গেলেই তীর কেঁদে উঠে।
—– ” আমি কাব লা। ”
—– ” তোমার আবার কিহল? “অবাক চোখে মেয়ের ‍দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল তোয়া।
—–” তুমি আমাল মা ওই তেলেকে কেন খাওয়াবে? ”

—– ” দেখলে তোমার মেয়ে কী হিংসুটে হয়েছে। ” তায়ানকে উদ্দেশ্য করে। তায়ান মেয়ের দিকে তাকাল।
—– ” আচ্ছা আজকে আমি পরীকে খাইয়ে দি। প্রতিদিন তো মায়ের কাছে খায়। ”

মাথা নাড়ায় তীর৷ ওর মাকে আর তাইয়্যানকে ভেংচি কাটে। তায়ান ওকে খাইয়ে দেয়৷ কিন্তু তাতে কুলায় না। ওর দাদা-দাদির হাতেও খায়। তারপর তোয়ার হাত থেকে খাওয়ার জন্য বায়না করে। তোয়া তাইয়্যানকে খাওয়াচ্ছিল। কিন্তু তীরের জন্য পারে না। বাধ্য হয়েই তীরকে খাওয়ায়। তাইয়্যানের যেন খুব হিংসে হতে লাগল। কত মানুষ তীরকে খাইয়ে দিচ্ছে।আদর করছে। কিন্তু ওকে শুধু তোয়া আন্টি খাইয়ে দিচ্ছে। ব্যাপারটা খেয়াল করল তায়ান। ও নিজেও তাইয়্যানকে খাইয়ে দিতে চায়। কিন্তু বাঁধ সাধল তীর।
—— ” আব্বু তুমি ওকে… ”
—– ” পরী তুমি শুধু আমার হাতে খাবে বলেছিলে। কিন্তু মাম্মের হাতে খেয়েছ। তাই তাইয়্যানকেও আমি খাইয়ে দেব। ”

এটা শুনে তীর কান্নাভাব নিয়ে তাইয়্যানের দিকে তাকাল। তাইয়্যান এবার ওকে ভেংচি কাটল।তাতে তীর কান্না করে দিয়ে বলল,
—– ” আমাল মাম্মা – আব্বুর হাতে ও কেল খাবে। ওল লেই। ”

বলেই আবার কেঁদে দিল।তোয়া বেশ রেগে গেলে । ওর রাগ দেখে তায়ানেন বাবা বলল,
—- “ রাগ করছ কেন? বাচ্চা মেয়ে। আর বাচ্চারা এমন করেই। “
—- “ ভাই তুই এদিকে আয়। “ তীরকে নিজের কাছে নিয়ে আসে ওর দিদা। কী মুশকিল? মেয়ে হয়েছে তো ছিট কাঁদুনে। থামার নাম নেই। ওর দীদা-দাদা তীরকে শান্ত করতে লাগল। তায়ান তোয়াও আদর করল। তখন তোয়া ওকে কোলে নিয়ে বলল,
—– ” ওরে আমার ডল বেবি। হিংসে হচ্ছে খুব। মাম্মাম সবচেয়ে বেশি তোমায় ভালোবাসে। মাম্মামের কথায় রাগ করে কেউ। বোকা। তাইয়্যান আমাদের মেহমান। ওর পাপাই কাজে গেছে তুমি যদি এমন করো তাহলে হবে। আর আমি তোমাকেই বেশি ভালোবাসি সোনা। তোমার পাপাইয়ের মত । না তার চেয়েও বেশি। ”

—— ” তত্যি আব্বু? ”
—— ” হুমম। মায়ের চেয়ে বেশি কেউ ভালোবাসে না। তবে আব্বু কিন্তু তোমাকে মায়ের মতই ভালোবাসে। বুঝলে হিংসুটে বুড়ি। ”

তীর থামল। সবাই ওকে থামিয়ে নিজেদের মত বসে পরল। কিন্তু কথাগুলো তাইয়্যানের মনে ইফেক্ট করল। সত্যি তো ওর মা কই? তোয়া আন্টিকে কাল থেকে দেখে আসছে। কত ভালোবাসে তীরকে। ওর মাও তো ওকে এত ভালোবাসবে। তীরের মত ওর ও মা, দাদু-দীদা থাকার কথা। ও তাদের কাছ থেকে আদর পাবে। গল্প শুনতে পারবে। যেমন আজ ও শুনেছে। কিন্তু তীরের জন্য পারেনি। কারন তারা তীরের দাদু-দীদা ছিল। ওর দাদু-দীদা হলে তীর এমন করতে পারত না। তখন তোয়া তাইয়্যানকে খাওয়াতে গেলে তাইয়্যান বলে উঠে,
—— ” তোয়া আন্টি। সবার কি মাম্মাম-পাপাই থাকে? ”

করুন চোখে তোয়ার দিকে তাকিয়ে। তোয়া কছুটা অপ্রস্তুত হয়ে হেসে জবাব দেয়,
—– ” হ্যা, কিন্তু কেন? ”
—– ” তাহলে আমার মাম্মাম নেই কেন? আমার কেন শুধু পাপাই? তীরের মত আমারো পাপাইয়ের সাথে মাম্মামের থাকার কথা। ”

কথাটা শুনেই ওখানের সবাই বিস্ফোরিত চোখে তাইয়্যানের দিকে তাকায়। বড্ড অসহায় লাগছে ওকে। ওনারা নিজেদের মুখ চাওয়া-চাওয়ী করল। কিন্তু কিছু বলতে পারল না। তোয়া কিছু বলতে যাচ্ছিল। কিন্তু তায়ান ইশারায় না করে। ওরা চুপ থাকে। তাইয়্যান আর কথা বলে না। তায়ান কথা ঘুড়িয়ে তাইয়্যানকে অনেক কিছু বলে। কিন্তু ও মুখটা ভার করেই ও শোনে।

★—————————★————————-★

বিকেলের দিকে তীব্র তায়ানের বাড়িতে আসে। এসেই তাইয়্যানকে ডাকে। বাবার কণ্ঠ শুনে তাইয়্যান দৌড়ে ছুটে আসে। কাছে আসতেই তীব্র ওকে কোলে তুলে খানিকক্ষন জড়িয়ে রাখে। তার মাঝেই তায়ান আর তোয়া আসে। ওদের দেখে তাইয়্যানকে কোল থেকে নামায় তীব্র। তারপর হাটু গেড়ে বসে ছেলের গালে হাত দিয়ে বলে,
—-“ পাপাই দুপুরে খেয়েছ তো? “
মাথা নাড়ায় তাইয়্যান।
—- “ তোয়া আন্টি আর তায়ান আংকেল খাইয়ে দিয়েছে।”

এটা শুনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে তীব্র। ছেলের গালে চুমো দেয়। এটা দেখে তোয়া বলে,
—- “ ভরসা নেই নাকি। ভূলে যাবেন না ও কিন্তু একসময় আমার কাছেই ছিল। আপনার চেয়ে ভালো না রাখলেও খারাপ রাখিনি। “

হালকা হেসে উঠে দাড়ায় ও। তাইয়্যানের ‍চুল হাতরে বলে,
—– “ ভরসা না থাকলে রেখেই যেতাম না। তবে তোমাদের উপর ভরসা থাকলেও এনার উপর নেই। আমি না থাকলে খায় না।”

বেশ অবাক হয় তায়ান।
—- “ তুই কী সবসময় ওর সাথে থাকিস? যখন বাইরে যাস?”
—- “ ভিডিও কলে সামনে বসে থাকতে হয়। অনেক দুষ্ট হয়েছে। যাই হোক তীর কই? “
—-‘‘ ঘুমচ্ছে। “ তোয়ার উত্তর।

তীব্র নিজের পকেট থেকে একটা ছোট বক্স বের করে তোয়ার ‍দিকে দেয়।
—- “ ধরো। “
—- “ কী এটা ? “ হাতে নিয়ে।
—- “ জানতাম না তোমার মেয়ে হয়েছে। তাই কিছু আনতে পারিনি। এখানে এসে নিয়ে এলাম। এমনিতে অনেক করেছ তুমি তাইয়্যানের জন্য। “
—- “ প্রতিদান দিচ্ছেন। “
—- “ যা করেছ তার ঋণ শোধ করার মত না। ৬ মাস ও তোমার কাছেই ছিল। এটা উপহার । এমনিতেই কিছুই দিতে পারিনি তীরকে। তাই যাবার আগে দিয়ে যাচ্ছি। “

কথাটা শুনে তায়ান , তোয়া দুজনেই ভ্রু কুঁচকায়।
—- “ চলে যাবি মানে? “ দুজনের কণ্ঠেই উৎকন্ঠা।
—- “ হুমম। চলে যাচ্ছি। আজ রাতেই ফ্লাইট। তাই সবটা ফিক্স করতে দেরি হয়ে গেল।এখান থেকে ফার্ম হাউজ। ওখান থেকে সোজা এয়ারপোর্ট।

—– ” আপনি এটা কিভাবে বলতে পারেন? আপনি চলে গেলে… ”

বেশ উত্তেজিত হয়ে পরে তোয়া। কিন্তু তখনি তাইয়্যানের দিকে চোখ পরে। ও জিজ্ঞাসুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কি কথা তা বুঝতে পারছে না।
—– ” দেখ তুই শান্ত হো। আমি জানি এখন ব্যাপারটা আগের মত নেই। কিন্তু আমাদের হাতে কিছু করার নেই। শেষ ভরসা তুই। নিজদের কথা না ভাব অন্তত তাইয়্যানের কথাটা ভাব। ”

গীব্র স্পষ্ট গলায় উত্তর দিল,
—– ” ওর কথা ভেবেই এই সিন্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া ভালো আছি। ”
তোয়া প্রায় কেঁদে দিয়েই বলল,
—- ” প্লিজ ভাইয়া! এমনটা বলবেন না। তুর….”

—– ” আমি আসছি… ”

আর কোন কথা বলার সুযোগ দিল না। তাইয়্যানের হাত ধরে বেড়িয়ে গেল।

—— ” প্লিজ ওনাকে আটকাও তায়ান। ওনি চলে গেলে তুরকে আর ফেরানো যাবে না। বাকিটুকু শেষ হয়ে যাবে। ”

অঝোরে কাঁদতে শুরু করে।
—– ” প্লিজ কেঁদোনা। আমি দেখছি। ”

তায়ান নিজেও বেড়িয়ে যায়। কিন্তু তার আগেই তীব্র গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরে। দম বন্ধ হয়ে আসছে ওর। অসহ্য লাগছে। নিতে পারছে না আর।

ওদিকে তোয়া বার বার তুরকে ফোন করছে পাগলের মত। কিন্তু সেটা বারবার কেঁটে যাচ্ছে।

★————————–★—————————-★

সন্ধ্যার পর….
তুর এখনো ক্লাবের সোফায় বসে আছে। বাম গালে পুরো রক্ত জমাট বেঁধে গেছে। ওর কাছে যাওয়ার কেউ সাহস পাচ্ছে না। সবার নিজেদের মধ্যে কানাঘুষা করছে। যা তুর যে বুঝতে পারছে না তা নয়। তখনি ক্লাবে রিদাম আসে। ক্লাবের পরিবেশ বেশ থমথমে কারো মুখে কোনো কথা নেই। গতিবিধি বেশ ভালো লাগল না। ও সামের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,
—— ” কি হয়েছে রে এখানে। আজ তোদের কপাল ফুটো হয়ে গেল নাকি? ”

ওর কথায় সাম মুখে একটা বিদঘুটে হাসি দিয়ে বলে,
—– ” আমার কপাল ফুটো হলেও তোর ভাগ্য ফুটো হওয়ার চাঞ্চ আছে। ”

কিছুটা ভ্রু কুঁচকায়,
-_— ” মানে? ”

_— ” মানে ( অট্টহাসি দিয়ে ) তুরের কাছে যাও বুঝবা মামা। ”

রিদম বুঝল না। কিছু জানতে চাওয়ার আগেই সাম চলে গেল। তাই রিদম মনে মনে কিছু আওরে তুরের কাছে গেল। তুরের কাছে গিয়ে শুধু এতটুকু বলল, ” কি হয়েছে তুর? ” তার সাথে সাথে তুরের হাতের একটা চড় ওর গালে পরল। মূহুর্তেই চোখ-মুখ শক্ত হয়ে এলো রিদমের। কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
—— ” কি হয়েছে এতটা… ( তখনি নজর যায় তুরের গালের দিকে। রক্ত জমাট বেঁধে আছে।) এই তোমার গালে… ”

হাত দিতে যায়। কিন্তু তুর ওর হাত ছিটকে ফেলে দেয়।
—– ” ডোন্ট ডেয়ার টু টাচ মি.. ” প্রচন্ড রেগে।

—– ” ওকে। ওকে। ক্লেম ডাউন। এরকম হয়েছে কিভাবে? ”

তখনি তুর প্রচন্ড চেঁচিয়ে বলে,
—– ” তোমার সাহস কিভাবে হয় নিজেকে আমার বিএফ বলার। তুমি নাকি আমাকে বিয়ে করতে চাও। জাস্ট সেদিন তুমি আমাকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলে বলে আমি তোমাকে হেল্প করেছি। বাকিদের মত না ভেবে তোমার সাথে ঘুরেছি আর তার জন্য তুমি সবার কাছে আমাকে নিজের গার্লফ্রেন্ড বলবে? হাউ কুড ইউ? এত সাহস পেলে কই? ”

—– ” তুর তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে। আমি কেন এসব বলতে যাব। তাছাড়া… ”

তখনি তুর একহাত দিয়ে ওর শার্টের কলার ধরে,
—– ” আমি বাচ্চা নই। আর না ঘাসে মুখ দিয়ে চলি যে, তুমি আমাকে যা বোঝাতে চাইবে তোতার মত তাই বুঝব। জাস্ট গেট লস্ট। আমার চোখের সামনে থেকে যাও। ”

বলেই ওকে একটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। তারপর সোফায় বসে বড় বড় নিশ্বাস টানতে লাগল। ও কেন রাগছে জানে না। তীব্রের মার খাওয়ার জন্য। নাকি তীব্র ওকে রিদমের গার্লফ্রেন্ড বলেছে তার জন্য। নাকি দু’টির সংমিশ্রন। ওদিকে রিদম নিজের শার্ট ঠিক করে রাগে গজগজ করতে করতে কাউন্টারে যায়। তখনি ওর সামনে একটা ড্রিংসের গ্লাস ধরে।
—— ” নে খেয়ে নে। এত কষ্টের পোষা পাখি খাঁচায় ঢোকার আগেই যদি হাত ফসকে যেতে চায় তখন আর কী করার?”
—— ” সাম তুই? কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছিস? ”
—– ” দিচ্ছি বইকি। ( গ্লাসটা কাউন্টার টেবিলে রেখে। “) দেখ আমি তো মাছের আশা করিনি। তাই ঝোল-টোল যা পাইছি তাই লাভ। তাই পাখি ফুরুৎ হইলে চিন্তা নাই। কিন্তু তুই তো বছর ধইরা পিছে পইরা রইলি। যদিও আমার চেয়ে তুই বেশি কামাইছোস। ”

—— ” আমার পুরোটা চাই। সঙ্গে এইটারেও। ”

—–” এই না না.. এমন কথা বলিস না। আজকে যা দেখছি তারপরে এসব মুখে আনাও পাপ। তওবা তওবা। ” নিজের গালে থাপ্পাড় মেরে৷

ভ্রু কুঁচকালো রিদাম।
—- ” কেন? আর তুরের গালে কী হয়েছে? ”
—- ” থাপ্পাড়ের দাগ। ”

কথা শুনেই শুকনো গলায় বিষম খেল রিদাম।
—- ” আর ইউ জোকিং? তুরকে মারার সাহস… ”

–_- ” এইটা শুনেই এই অবস্থা। যে মেরেছে তার নাম শুনলে কী করবি? ”
—– “কে? ”
—– ” Sr. কোম্পানির মালিক, ড. রায়হান মানে তুরের প্রাক্তন বা বর্তমান হাজবেন্ড। কোনটা ঠিক বুঝিনি। ”

—_ ” সত্যি ওনি… ”
—– ” কী বলব ভাই। বিশ্বাস কর যেমন দেখতে, তেমন বডি, তেমন ষ্টাইল। উফফ… মেয়ে হলে আমি প্রপোস করতাম। আর এসেই কি করল? যার সামনে কথা বলতে ভয় লাগে তাকে পরাপর ঠাস ঠাস করেই দুইটা। বাঘিনী কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরেকটা। তৎক্ষনাৎ বাঘিনী চুপ। তার কিছুক্ষন পর আবার আরেকটা। উফফ ছবির পুরা পয়সা উসুল করার মত সিন। এই মাইয়া যা জ্বালাইছে সব এই চড়গুলায় ধুইরা গেছে। ”

—– ” তুর কিছু বললো না। ”

অট্টহাসিতে ফেটে পরল,
—— ” ৩টা থাপ্পাড় খাইয়া চুপ। ও যদি ঝাল মরিচ হয় তাহলে ওই বেটাও বোম্বাই মরিচ। একদম মেইড ফর ইচ আদার। তার মাঝে তুমি কেন মামা? ”

—– ” কিন্তু ওই লোক তো…”
—– ” দেখ তোরে ভালো আইডিয়া দি। যা পাইছোস তা নিয়া সন্তুষ্ট থাক। আর চাইস না। আর ড. রায়হান তোর জন্য ওরে মারছে। তার মতে তুই ওর বিএফ। মারছে তো ঠিক। মারার পর আদর কইরাও দিয়ে গেছে। এ থেকেই বোঝা যায় বেটায় তুরের লাইগা কতখানি পাগল। ”

—– ” তুই কি বলতে চাস এতকিছু করে তুররে ছেড়ে দিমু। ”

—– ” ভালোর জন্য তাই কর। হ্যা কইতাম যদি তুররে পটাইতে পারতি। যেই মাইয়ারে ২-৩বছর ঘুরানোর পরে টাচ পর্যন্ত করতে পারলি না। তারে এখন তুই পাবি। এতদিন তাও ওর হাজবেন্ড ছিল না। এখন আসছে। ”

রিদম চুপ।

—– ” আর এইটা এইজন্য বলতাসি। যখন ড. রায়হান তুরকে স্টিক দিয়া মারতে গেছিল তখন মাইয়া না পালাই বরং ওনারেই জড়াই ধরছে। ভাবতে পারস। আমি হইলে চুলের মুটি ধইরা কি করতাম জানিনা। কিন্তু হেয়। তুর জরাই ধরার সাথে সাথে ঠান্ডা হইয়া। বউরে আদর কইরা গেল। আর ওনি যাওয়ার পর মারিয়াকে মারছে। কারন ও বলছে এরকম হ্যান্ডসাম হলে বিবাহিত সমস্যা নাই। পটাই ফেলমু। আর এই কথায় আহহ… সেই কি অবস্থা করছে মেয়েটার।

সামের কথা শুনে রিদম নিরব।
—– ” তোর সত্যি মনে হয়। আমি তুররে ছাইড়া দিমু। ”
—– ” সেটা তোর ব্যাপার। বাট আমার ইচ্ছা নাই ড. রায়হানের সাথে টক্কর দেওয়ার। ”

_—- ” তুরকে আমি ছাড়ছি না। এত কষ্ট কইরা পাখি বড় করছি। টেষ্ট করমু না। আর কিছু না পাই আমার তুররে চাই। তারপর দেখমু। ও কেমনে পালায়। ”

বলেই সামের নিয়ে আসা গ্লাসে ছিপ দিল।

★—————————-★————————-★

তীব্র আর তাইয়্যান এয়ারপোর্টে পৌছেছে। তাইয়্যানকে যাত্রীদের ওখানে বসিয়ে সবকিছু জেনে নিতে গেছে। রাত ১২টায় ফ্লাইট। এখন ৮টা বাজে। রিদ্ধ তীব্রের কথা মত সব ব্যবস্থা করে রেখেছে। প্রয়োজনীয় কাজ মিটিয়ে তীব্র খাবার নিয়ে তাইয়্যানের কাছে আসে। এসে দেখে তাইয়্যান করুন চোখে কোনদিক তাকিয়ে আছে। এইটা দেখে তীব্র ওর পাশে গিয়ে বসে। তারপর ওকে পানি খাইয়ে ড্রাই ফুড খাওয়াতে থাকে। তাইয়্যান কোন কথা না বলে চুপচাপ খেয়ে নিতে থাকে। ব্যপারটা যেন অস্বাভাবিক। তীব্র খাওয়া শেষ করে ওর মুখ মুছাতে মুছাতে বলল,
—– ” কি হয়েছে? মুড অফ কেন? ”
তাইয়্যান চুপ। এটা দেখে আরো অবাক হয় ও। ও তাইয়্যানকে নিজের কোলে নেয়। তারপর আবার জিজ্ঞেস করে। কিন্তু তাইয়্যান এবারো চুপ। তবে কিছুর দিকে তাকিয়ে রইল। তীব্র ওর দৃষ্টি অনুসরন করে সামনে তাকাতেই দেখে একটা মা তার ছেলেকে খাইয়ে দিচ্ছে। আর ছেলেটি একটা লোকের কোলে হয়ত বাবা। এটা দেখে ও বিস্ফোরিত চোখে তাইয়্যানের দিকে তাকায়। ও ওদিকে কেন তাকিয়ে আছে। ছেলের মন বোঝার চেষ্টা করছে। যে জন্য এইখানে এসেছিল সেইটাই কি তবে সত্যি হবে। তাইয়্যান ওর মায়ের কথা জানতে চাইবে। ভেবেই তীব্র চুপ।

কিছুক্ষন নিরবতার পর তাইয়্যান ওর বাবার দিকে তাকাল। তীব্র তাইয়্যানের ছোট ছোট আঙুল গুলো ছুইয়ে দিতে দিতে নিজের হাতের মধ্যে পুরে নিল। তারপর চুমো একে বলল,
—— ” তাইয়্যানের মন কেন খারাপ তা সে পাপাইকেও বলবে না। ”

এটা শুনে তাইয়্যান ওর দিকে তাকায়। তারপর মাথা নিচু করে বলে,
—– ” তুমি রাগ করবে না। ”

এটা শুনে ভরসার হাসি হাসে তীব্র,
—– ” আমার চ্যাম্প যদি বেড কিছু না করে তাহলে কেন রাগ করব? আমি জানি সে সবসময় ভালো কিছুই বলবে সো বলুন। ”

তাইয়্যান তীব্রের দিকে তাকিয়ে কান্নাভেজা গলায় বলে,
—– সবার মাম্মা-পাপা থাকে, আমার স্কুলের বন্ধুদের, তায়ান আংকেল, রিদ্ধ আংকেল, আর ওই পঁচা তীরের ও। তাহলে আমার শুধু পাপাই কেন আছে। ”
কথাটা শুনেই তীব্র তাইয়্যানকে জড়িয়ে ধরে। আর তাইয়্যান বলে,
—– ” তোয়া আন্টি তীরকে কত আদর করে। তীরের দাদু-দিদা কত আদর করে। আমার কেউ নেই কেন পাপাই।”

তীব্র কাঁপাকাঁপা গলায় বলে উঠে,
—– ” পাপাই কি তোমাকে কম আদর করি। “ভিজে আসে ওর গলা তাইয়্যান বুঝতে পারে পাপাই বোধহয় কষ্ট পেয়েছে।

-_– ” তাহলে? ”
তাইয়্যান তীব্রের গলা জড়িয়ে ধরে।
—– ” সরি পাপাই। আর বলব না। তুমি আমাকে বেশি ভালোবাস। আমার মাম্মাম চাই না। তুমি কষ্ট পেও না। ”

ছেলের কথায় তীব্র হাসে। নিজেকে সামলে নেয়। তখনি তাইয়্যান মুখ তুলে তীব্রের দিকে তাকিয়ে বলে,
—— ” আচ্ছা পাপাই ডিজনিতে পিন্সদের যাদের মাম্মাম ছিল না। তারা নাকি গডের কাছে ছিল আমার মাম্মাম ও কি…? ”

তখনি তীব্র তাইয়্যানের মুখে চেপে ধরে ওকে বকে জড়িয়ে নেয়।
—– ” এসব বলতে নেই বাবা। আপনার মাম্মা আছে। ”

কথাটা শুনেই তাইয়্যান বিশ্ব্জয়ের হাসি দেয়।
—– ” সত্যি আমার মাম্মা আছে! ”
মাথা নেড়ে হ্যা বলে তীব্র।
—– ” মাম্মামকে চাই আপনার? ”
মাথা নাড়ায় তাইয়্যান।
—– ” আচ্ছা এনে দিব। ”
—– ” তুমি কি বিয়ে করবে? অরিনা বলেছিল ওর পাপা নাকি বিয়ে করে ওর জন্য মাম্মাম নিয়ে এসেছে।”

ছেলের কথায় হাসে তীব্র।
—– ” বিয়ে করলে খুশি হবে। ”
—— ” হ্যাহহ… ”
—– ” আচ্ছা তাহলে তাই হবে। তোমার পাপা ববিয়ে করে তোমার জন্য একটা ডল মাম্মাম ইয়ে আসবে। ”
—– ” তাল-পাতার সিপাহির মত কিউট। ”
—– ” এইটা কে? আচ্ছা তুমি যেমনটা চাইবে। সুন্দর একটা মাম্মাম। এবার ভালো ছেলের মত চুপ করে ঘুমাও। ফ্লাইট ছাড়তে দেরি আছে। নাইলে কিন্তু মাম্মাম এনে দিব না। মাম্মাম তখনি এনে দিব যখন তাইয়্যান পাপাইয়ের সব কথা শুনবে। ”
—– ” আচ্ছা শুনব। ”
—– ” প্রমিস…. ”
—– ” প্রমিস। ”

★————————–★—————————-★

ওদিকে তুরের মনে স্বস্তি নেই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে কাঁটা ৮:২৫ ঘরে। না চাইতেও কেন জানি অস্থির হয়ে উঠেছে। হঠাৎ গালে হাত পরতেই কুঁকড়ে উঠে। জ্বলছে গালটা। তখনি ব্যাগের দিকে নজর যায়। ও ব্যাগটা হাতে নিয়ে খুলতেই দেখে ফ্লাশ হয়ে ভাইব্রেট হচ্ছে। মানে কল করছে কেউ। সাইলেন্ট তাই রিং শোনা যাচ্ছে না। তুর ধরার আগেই কেঁটে গেল। তোয়ায় কল। করতেই দেখে কয়েকশো মিসড কল। ও কিছু ভাবার আগেই আবার কল এলো। তুর বিশেষ কিছু না ভেবেই ফোনটা কানে দিল। কানে দেওয়ার সাথে সাথে তোয়ার ভয়ার্ত আওয়াজ শুনতে লেল।
—– ” হ্যালো তুর…. ”
—– ” বলছি। ”
—– ” ড. রায়হান চলে যাচ্ছে। চিরদিনের মত চলে যাচ্ছে। ”

কথাটা শুনেই তুরের বুকের ভিতর কি যেন ধলা পাকিয়ে আসে। নিশ্বাস মনে হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম সৃষ্টি হয়েছে। না চাইতেও চিৎকার বেড়িয়ে আসতে চাইছে বুক চিড়ে। কিন্তু তা যেন কণ্ঠনালী থেকে ঠোঁট পর্যন্ত আসতে ব্যর্থ। কেন তা ও নিজেও জানে না।
—– ” কি হল তুর কিছু বলবি না? ”
নিশ্চুপ তুর।

—- ” তুর তোর তীব্র চলে যাচ্ছে আর তুই… ”
—- ” তো বলার কি আছে। ওনার ইচ্ছে হয়েছে ওনি ঘুরতে এসেছে ওনার ইচ্ছে হবে চলে যাবে। এতে আমার বলা, না বলা, চাওয়া, না চাওয়ায় কী আসে যায়।

—- ” তুর… ” স্তব্ধ তোয়া।
—- ” হুমম আমি। আর কী বলছিস ওনি চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছে। ওনি যে কোনদিন ফিরবে তার কোন ভিত্তি ছিল নাকি আশা। আমার চাওয়া, না চাওয়ার কথা কেউ কোনদিন ভাবেনি। আর আজ যে ভাববে না। সেটা নিয়ে নতুন করে আর কি বলব। ৫ বছর আগেও ওনি নিজের ইচ্ছায় চলে গিয়েছিলেন আর ৫বছর পরেও। এখানে আমার কিছু দেখছি না। ”

এবার তোয়ার কপট রাগ হলো। তাই ও রেগে গিয়েই বলল,
—- ” ভালোই তো। এবার আর কেউ তোকে কোনকিছুর জন্য মানা করবে না বল। তুই নিজের ইচ্ছে মত যা ইচ্ছে করে বেড়াবি। মদ,নেশা, নোংরামি যা ইচ্ছে করে বেড়াবি।”

তুর ওর কথা গুলো শুনে হালকা হাসল। তারপর শান্তভাবেই বলল,
—– ” সবাই এতদিন তাই বলত। শুধু তুই বুঝতে দেরি করে ফেলেছিস। আমি আসলেই খারাপ। তার ব্যাক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সেটা আমি… নিজেই জানি। আর শোন খারাপকে খারাপের মতই থাকতে দে। তোদের মত ভালো হতে চাই না। আমি খারাপ, স্বার্থপরই ভালো। শুধু একটা ব্যাপারে খারাপ লাগে বাবা-মাকে না চাইতেও কষ্ট দিয়ে ফেললাম। ওনারা ওটা ডিজাভ করেন না সেই প্রথম থেকেই। এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকেই আমার জন্য তাদের দূর্রভোগের শেষ নেই। জানি ওরা খুবই নরম মনের। শাসন করেছে কিন্তু কথায় আছে না কেউ না চাইলে তাকে শোধরানো যায় না। আমিও তাই। বাবা-মা তো তাই এখনো ফেলে দেয়নি। যতই খারাপ হই না কেন, যতই বকুক, আর অভিশাপ দিক দিন শেষে মাথায় হাত দেওয়া আর খেয়েছি কিনা জিজ্ঞেস করার জন্য একরাশ অভিমান আর ঘৃনা নিয়ে ওনারাই পথ চেয়ে থাকে। বাড়ি না ফিরলে তোদের মত ওনারা অভিমান করে বসে থাকতে পারে না। খবর নিতে ঠিক চলে আসে। জন্ম দিয়ে, বড় করে দায় ঠেকেছে ওদের। তাই আরকি। ফেলে দিতে পারে না সহ্য করে নেয়। যাই হোক ভালো লাগছেনা। ওদের ফোন দিয়ে বলে দিস আজ আর আমার বাড়ি ফেরা হবে না। নাইলে প্রতিদিনের মত আজকেও বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করবে। বিরক্ত লাগে এসব দেখতে। না করলেও শোনে না। অভিমান সবারই আছে, নেই তাদের। তাইত বেহায়া, নির্লজ্জের মত এত ঝারি, কড়া কথা আর অপমান সহ্য করেও অন্যদের মত মুখ ফিরিয়ে নেয় না। বলিহারি ওদের। দয়া করে বলে দিস ফিরছে না তুর…..

—– ” হ্য…হ্যালো তুর… ”

আর কিছু বলার আগেই ফোনটা কেঁটে দেয় তুর। ফোনের দিকে তাকিয়ে স্মিথ হাসে। হয়ত নিজেকে তাচ্ছিল্য করতে ইচ্ছে করছে খুব। মেয়ে হিসেবে বড্ড বেশি বাজে হয়ে গেছে। সবকিছুর মাঝে তুর থাকলেও তুর নামের সেই অস্তিত্ব বিলীন। এই বিলীন অস্তিত্বের ব্যাক্তিত্বহারা মানুষকে সবাই খারাপ বললেও শুধু দু’টি মানুষ পারে না। কিন্তু তবুও কেন অদ্ভুতভাবে ৩য় একটা মানুষের জন্য সেই মানুষগুলো কষ্ট পেতে হচ্ছে নিজের মেয়ের কাছে। আসলেই অদ্ভুত যারা প্রান দিয়ে নিজের সন্তানের ভালো চায়। আজকাল তাদের জন্য নয় জীবনের মূল্য এমন কারো জন্য নষ্ট যার কাছে তার জীবনের কোন মূল্য নেই। কথাগুলো ভেবে নিজেকে যতটা না ছোট মনে হচ্ছে তার চেয়েও বেশি হাসি পাচ্ছে। হয়ত তীব্রের প্রতি চাপা ক্ষোভ বা রাগ থেকেই এরকম পাগলামি প্রথমবার করেছিল। কিন্তু সঙ্গদোষটা কাল হলো। কি আসে যায়? ও তো ভালো আছে। সবাই সবার মত ভালো থাকুক। মোবাইলের গ্যালারিতে বিশেষ কিছু ছবি ভেসে উঠে।কিন্তু পরক্ষনেই আবার ফোন। বড্ড রাগ লাগে। মোবাইলটা ছুড়ে মারে দেয়ালে…

হাত দিয়ে কিছুক্ষন মুখ ঢেকে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে শুধু এইটুকুই বলে, —- ” সরি। ”

,
,
,
,
,

,[ বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন। ]

Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here