#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤Part: 13.+14
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
……
তীব্র এতক্ষন গাড়িতে বসে বসে পুরানো কথাগুলো ভাবছিল। আসলেই মেয়েটা আসার পর ওর লাইফের অন্যরকম একটা লক্ষ্য হয়ে গেছে। আগে বাচার কারন না থাকলেও এখন ওই মেয়েটাকে বাচিয়ে রাখার জন্য বাচতে ইচ্ছে করে। নিজের সমস্ত কাজ শেষ করার পর দু একদিন অবসর পেলেই হাজার মাইল পারি দিয়ে ওর কাছে আসতে ইচ্ছে করে। এখন আর কোনো সময় এমনি কাটে না সবটাই ব্যস্ততায় কাটে। হয়তো ওকে দেখার ব্যস্তটা নয়তো ওর কাছে আসার ব্যস্ততা…….
কিন্তু না চাওয়া সত্ত্বেও ওকে দেশে ফিরতে হবে। কিন্তু তীব্রের মন পরে রইল এখানেই…..
,,
,
,
,
,
ওদিকে তুর না একা একা বসে ভাবছে আবার কবে লোকটা আসবে। ততটাও খারাপ লাগে না লোকটাকে। এমনিতে ঠিক ঠাক আছে। এখানে থাকলে তবুও নিজেকে মানুষ মনে হয়। লোকটার সাথে কথা বলতে পারে না তো কি হয়েছে। কোনো মানুষের কথা তো শুনতে পায়। তবে এবার লোকটারকে খারাপ লাগেনি, আর না ততটা ভয় লেগেছে। বেশ শান্তই তো ছিল লোকটা।
তখনি তুর কারো গলা শুনতে পায়….
— হে তুর কি ভাবছ….
তুর হঠাৎ কারো কন্ঠ শুনে অবাক হয়ে যায়। ও এদিক ওদিক খুজতে থাকে। কিন্তু কাউকে দেখতে পায় না।
— আরে বোকা উপরে দেখ।
তুর উপরে তাকাতেই একটা বিড়াল দেখতে পায়… তবে সেটা রোবট বিড়াল….
— হায়…
— তুমি কি?
— আমি…. হা..হা.. হা… আমি তো রোবট। তোমার সাথে কথা বলার জন্য আমাকে সেট করা হয়েছে। আমি সারাদিন তোমার সাথে কথা বলব। তোমার সব প্রশ্নের উওর দিব….
— তুমি পারবে মানুষের মত উত্তর দিতে?
— কেন পারব না? তোমার সব প্রশ্নের উওর আমি ইন্টারনেট থেকে সার্চ করে দিব।
— তাই… তাহলে আমি তোমার সাথে কথা বলব। [ বেশ খুশি হয়ে ] আচ্ছা তুমি এতসুন্দর বাংলায় কথা বল কিভাবে?
— হা হা হা.।। আমার ভিতর পৃথিবীর সমস্ত ল্যাংগুয়েজ সেট করা… যেমনঃ ইংলিশ, বাংলা, স্প্যানিশ, হিন্দি,উর্দু….. আরো অনেক নাম বলল….
— এই থাম থাম…. আর লাগবে না। বাংলায় বললেই হবে😝😝
— ওকে ওকে…
তবে তুরের একটা ড্রা্উট হলো….
— আচ্ছা দেখি তো তুমি কতটা কি মানুষের মত বলতে পারো। আমি জানতে চাই… কিস খাওয়ার ফিলিংস কেমন?
— তুমি কোন কিসের কথা বলছ… লিপ কিস, ফ্লায়িং কিস, হ্যান্ড কিস, লাইফ সেভিং কিস…..
— এই থাম থাম… এত কিছ আছে সেটা আমার জানা ছিল না। যাই হোক আমি… ওই.. আমি ওই.. [ একটু লজ্জা পায় ] আমি টাইটানিক মুভির সেই কিসে…..
— সার্চ টাইটানিক মুভি….. টাইটানিক মুভিতে অনেক কিস ছিল তুমি কোন কিসের কথা জানতে চাইছ…
— সালার মালিক যেমন রোবটাও তেমন। কি শুনতে চাই কি বলে…..
— সালা… U mean… husband of sis… But i can’t married… তাহলে সালা কিভাবে….. [ চোখ গুলো বন্ধ করে খুলল ]
— উফফ… আচ্ছা বলছি.. লিপ কিস… তার অনুভূতি কেমন? জানার অনেক ইচ্ছে ছিল….. আমার তো সেই কপাল নেই না। ভেবেছিলাম বিয়ের পর জানতে পারব😍 কিন্তু সেইটাই হবে বলে মনে হচ্ছে না।
তীব্র এতক্ষন তুরকে ক্যামেরায় দেখছিল। ও রোবট টাকে ফিক্স করেছে যাতে তুর একা একা কথা বলতে না হয়। কিন্তু ও রোবট টাকে এমন প্রশ্ন করবে কে জানত…
— আজব প্রশ্ন… এখন আমি ওখানে থাকলে তোমাকে হাতে কলমে বুঝিয়ে দিতাম তুর….
ওদিকে….
— সার্চ লিপ কিস…. রসায়নের ভাষায় লিপ কিস হলো লবন পানীর আদান-প্রদান যা করার মাধ্যমে ডোপামিন নামের এক পদার্থের নিঃসরন হয় মতিষ্ক থেকে যা থেকে একপ্রকার অনুভুতি হয়৷
— ওকে ওকে… এইটুকুই যথেষ্ট…. 😤😤
— any others information….
— no thanks ….. আচ্ছা তোকে একটা নাম দেই। কি নামে ডাকব…. 🤔 টুরটুক… তোমায় আজ থেকে টুরটুক নামে ডাকব।
— টুরটুক… ওকে সেইভ….
,
,
,
,
,
,
,
,
,তারপর ওদের কথা শুনে তীব্র হাসতে হাসতে শেষ। তুর যে এমন কথা বলতে পারে তার কোন ধারনা তীব্রের ছিল না। এতদিনে একবারো মনে হয়নি তুর এসব কিছু ভাবতে পারে। নিতান্তই বাচ্চা মেয়ে।
— আমিও কি বলি জানতে ইচ্ছে হতেই পারে😏
,
,
,
,
,
,
,
২ দিন পর…….
SR মেডিকেল কলেজ & হসপিটাল। বাংলাদেশের সুনামধন্য এই হাসপাতালে সবসময় ব্যস্ত সময় পাড় করে সবাই। কিন্তু এখানের একজন মানুষ আছে যার কাছে এটা হসপিটাল নয় বরং কোনো ফ্যান্টাসি কিংডম বলে মনে হয়। তার পরিচয় হলো সে এখানের সিনিয়র ডক্তরদের মধ্যে সবচেয়ে বেষ্ট ডক্তর। কিন্তু তার সাথে কথা বলে কেউ বুঝবে না সে আদো ডক্টর কিনা।
বরাবরের মত সে আজও রোগী ভিজিট করতে যাচ্ছে। তখনি একটা মেয়ে তাকে পিছন থেকে ডাক দেয়….
— ড. রায়হান কোথায় পালাচ্ছেন আপনি?
এটা শুনে ড. রায়হানের পা থেমে যায়। কে ডাকল সেটা দেখার জন্য পিছনে তাকাতেই একটা বাকা হাসি ফুটিয়ে তোলে….. তারপর মেয়েটির গাল টেনে একটা চুমো দেয় গালে তারপর বলে…..
— ড. রায়হান কখনো কোনো কিছুতে ভয় পায় না ঠিক আছে। আর তার গার্লফ্রেন্ডের ব্যাপারে তো একটু না।
— প্লিজ পাবলিক প্লেসে এমন কোরো না লোকে দেখলে কি বলবে?
— সেটা জেনে আমি কি করব?
— হে মি. বয়ফ্রেন্ড। এতোদিন পর আমার কাছে এসেছ অথচ খালি হাতে? hate u… 😤
— Doctor SR. তার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে খালি হাতে দেখা করতে আসবে নট ফেয়ার।
তারপর ওর হাতে একটা চকলেট বক্স দেয়। মেয়েটি চকলেট টা পেয়ে খুশিতে লাফাতে থাকে। ঠিক তখনি সেখানে ইনচার্জ শিপলা আসে… এসেই ওকে জড়িয়ে ধরে….
— এই কি করছ? ছাড় আমাকে….
— আরে SR. কি বলব বলত? তুমি এমন যে তোমাকে দেখলে বিড়ালের বাচ্চার মত লেপ্টে থাকতে ইচ্ছে হয়। তা এতদিন পর।
— এতদিন কোথায় মাত্র ৪ দিন….
— O come on sR তোমাকে ছাড়া একদিন বছরের মত মনে হয়। by the way you looking so handsome…. 😘
— Oo come on শিপলা। সেটা আমি জানি। তবে তুমি কি জান তোমাকেও আজ খুব…. …
— excuse me ড. রায়হান😡😡 you are my bf 😡so Don’t flirting with others girls…. 😡😡
এটা শুনে শিপলা পাশে তাকায়… একটা ১১ বছরের একটা মেয়ে ওকে কথা শুনাচ্ছে….
— তুমি এখানে কি করছ তুইনা। তোমার এখন বেডে থাকার কথা 😡
— তুমি আমার বিএফের সাথে ফ্লাটিং করবে আর আমি চুপচাপ দেখব। never.. 😠 Mr. Bf give me a kiss….
তুইনার কথা শুনে ড. রায়হান ওর গাল কিস করে।
— এই কিসটা তুমি শিপলা আন্টির গালে করতে পারবে।
রায়হান ওর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে না বলে।
— দেখলে মিস শিপলা আন্টি। ওনি তোমায় কিস করবে না। আর তুমিও তোমার বিএফ এর কাছে যাও। যাকে সেদিন তুমি কিস করেছ। সো আমার বিএফ থেকে দুরে থাক। mr. Bf come with me…. [ তারপর কি মনে করে নিজেই রায়হানের হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগল ]
— কিহল গার্লফ্রেন্ড… ওর সাথে আমার কাজ আছে…😕
— কি কাজ আছে তা আমি জানি😡 আর তুমি জানো না নিজের বিএফকে কোন চুরেলের সাথে ছাড়তে নেই।
রায়হানের বেশ মজা লাগছে। আর শিপলার গা জলে যাচ্ছে এই পিচ্চি মেয়েটা এতটা পাকনামী করে যে শিপলাকে রায়হানের কাছে আসতে দেয় না।
ওদিকে রায়হান আর তাইনা হাসতে হাসতে শেষ।
— ধন্যবাদ জিএফ আমাকে বাচানোর জন্য।
— ওয়েলকাম আমাকে চকলেট দেওয়ার জন্য। কিন্তু তুমি কেন ওই চুরেলের সাথে ফ্লাটিং করো। একটা মিষ্টি মেয়েকে দেখে প্রেম করতে পারো না। আর কত বাচাব আমি তোমাকে…. ওই চুরেলের হাত থেকে।
— মিষ্টি মেয়ে…[ হাল্কা হেশে ] দেখছি তো গার্লফ্রেন্ড। খুজছি কিন্তু পাচ্ছি না। এখন কার সাথে ফ্লাটিং করব।
— আমার সাথে করবে। তুমি তাড়াতাড়ি কাউকে খুজে নেও। নাহলে আমি বড় হয়ে তোমাকে বিয়ে করে নেব।
— 😂😂 আমি রাজি….
— আমিও রাজি কিন্তু বাবাই বলল তোমার সাথে নাকি আম্মুকে ভালো মানাবে….
এইটা শুনে রায়হান…. 🤣🤣🤣
— আচ্ছা যাও তুমি… আমার কাজ আছে।
তারপর রায়হান চলে গেল আর তুইনাও।
,
,
,
,
,
,
রায়হান একটা পেসেন্টের কেবিনে ঢুকল। সেখানে অলরেডি একজন ডক্টর ছিল। রায়হানকে দেখে বলে উঠল…..
— আরে আপনি এখানে? এখানে এখন বাইরের লোক এলাও না।
— ড. অরুন আপনি ভুলে যাচ্ছেন আমি একজন ডক্টর।
— ও সরি। আপনি এই কেবিনে এসেছেন আমি ভাবলাম ডক্টর না হয়তো পেসেন্টের গার্জিয়ান এসেছে।
— অরুন সব সময় কেন মজা করিস?
— করি কি আর স্বাদে? তোর মত একজন মানুষ শুধু শুধু কেন পরে আছিস এই সামান্য ডক্টর হয়ে। আমি না হয় পেশা হিসেবে করছি।
— আর আমি আমার পেশনের জন্য। because i like this Profession… আর এটাই আমার hobby…
তোর জায়গায় আমি হলে…
— সেটা জেনে আমার লাভ নেই। কেমন আছে ও…..
— জানিনা নিজেই দেখে নে….
তখনি রুমে তুষা প্রবেশ করে।
— আরে তুই কখন এলি…
— এই এলো আরেকজন। [ বিরক্তি নিয়ে বলল ]
— সমস্যা কি তোমার অরুন….?😡
অরুন আর কিছু না বলে বেড়িয়ে যায়। সেটা দেখে তুষা বলল….
— জানিনা হয় কি ওর…😤
— নিজের উডি তার সামনে যদি অন্য ছেলের প্রসংশা করে এটাই স্বাভাবিক।
— তুই ও😡😡 না।
— সত্যি বলছি। তুই ওর উপর অন্যায় করছিস। ও কিন্তু এই ছেলের সাজে মেয়ের জন্য পাগল।
— আচ্ছা আচ্ছা পরে অনেকটা আদর করে দেব হইছে😤😤
— হুমম…
— আচ্ছা তুই কবে ফিরলি….
— গতকাল রাতে…..
— তুই ইদানীং বেশি কোথাও যাচ্ছিস না? এর আগে তো কখনো কোথাও যাসনি।
— কাজ ছিল। বিজনেসের কাজে গিয়েছিলাম।
— কিন্তু….
— বললাম তো কাজ ছিল। 😡
তুষা আর কিছু বলতে পারে না। রায়হান গিয়ে বেডে থাকা ছেলেটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল….
— কেমন আছে তায়ান….
য়ুষা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলে….
— ঠিক আগের মতন। তায়ানের তেমন কোনো রেসপন্স নেই। আচ্ছা তায়ান কি কখনো সুস্থ হবে না।
— তায়ানকে সুস্থ হতেই হবে। ওর খুব বড় একটা জিনিস আমার কাছে আমানত হিসেবে আছে। যা আমি ওকে ফিরিয়ে দিতে চাই। এতদিন সেই আমানত রক্ষা করলেও জানিনা আর কতদিন পারব।
— তায়ানের জিনিস তোর কাছে।
— হুমম। ওকে আমি সুস্থ করেই ছাড়ব।
তারপর তায়ানের রিপোর্ট নিয়ে বেড়িয়ে যায়। কিন্তু ওর কথায় কেমন জানি ঠেকল তুষারের। কিন্তু কিছু বুঝল না।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
রায়হান হাসপাতালে সবার সাথে দেখা করে। নিজের কাজ শেষ করে নিজের কেবিনে যায়। ঠিক তখনি ওর ফোনে কল আসে…..
— ড. SR আপনি তো ডাক্তারিতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন কিন্তু এখন এসব কাজ কে আমি একা কিভাবে করব স্যার…. 😭
ফোন নিতেই বুঝে এ আর কেউ নয় তার একান্তে জোকার পিএ রিদ্ধ…
— আমাকে যদি সব করতে হয় তাহলে তুমি আছো কেন?
— স্যার আমি সব কিছু রেডি করে রেখেছি কিন্তু আপনাকে ওখানে উপস্থিত থেকে সাইন করতে হবে।
— কিন্তু….
— প্লিজ স্যার আপনি মি. আলমের সুন্দরী পিএ চিত্রাকে চেনেন না। দেখতে যেমন হট তেমনি….
— রিদ্ধ… 😡
— না মানে… ওর সামনে গেলে আমার হাটু কাপে আর মেয়েটাও তেমন গায়ে পরা। আমাকে দেখলে গিলে খায় সেটা যদি আমার জিএফ জানতে পারে তাহলেই ব্রেক-আপ… 😭😭 প্লিজ স্যার….
— রিদ্ধ😡 কবে জানি তোমাকে চাকরি থেকে ব্রেক-আপ করে দি.. 😡
— ওকে কিন্তু এখন আসুন😭😭
তারপর তীব্র ফোনটা কেটে দেয়। হ্যা ওই হলো ডক্টর রায়হান। ডক্টর তীব্র রায়হান। কিন্তু সেটা কেউ জানে সবাই ওকে ড. রায়হান হিসেবে জানে….
তীব্রের সবকিছু আলাদা আলাদা। ওর একটা দুনিয়া আরেকটা দুনিয়া থেকে আলাদা। আর ওর সবচেয়ে ভয়ংকর দুনিয়ায় বাস তুরের। তুর হলো একমাত্র মানুষ যে তীব্রের আসল রুপটা দেখেছে। আর সবাই ওর দেখানো রুপেই বিশ্বাসী………….
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,ঘুমিয়ে আছে তুর। ঘুমের মাঝেই তুর নিজের উপর কাউকে ফিল করল। তুর চোখ খুলে তাকাতেই দেখে চারদিক অন্ধকার হয়ে রয়েছে। তুর চারদিক দেখে উঠে বসতে ধরলে কেউ ওর দুহাত বিছানায় চেপে ধরে। বুকটা ধক করে উঠে তুরের। ও কিছু বলতে যাবে তখনি কেউ ওর ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। ভয়ে ভয়ে তুর বলে উঠল….
— কে– ক– ক কে?
লোকটা তুরের আরো কাছে যায়। লোকটার নিশ্বাস তুরের উপর পরছে। তুর নিজেই কেপে উঠছে….
— কে আপনি?
-_ কে হতে পারে? কাকে আশা করছ তুমি?
— তীব্র… তীব্র আপনি…..??
এটা শুনে লোকটি তুরের বুকের উপর মাথা দিয়ে তুরের হার্টবিট শোনে তারপর গভীর একটা নিশ্বাস নিয়ে বলে উঠে……
-_ তীব্র ছাড়া তার #বন্ধ_দরজার_বন্দীনীর কাছে কে আসবে? কার এত সাহস তুরকে ছোয়ার অধিকার শুধু তার তীব্রের।
— কিন্তু……
তুর কিছু বলতে যায়। কিন্তু তীবে আবারো বাধা দেয় তুরকে।
— কেন? করছেন এমন…?
— যদি বলি ভালোবাসি তোমাকে।
কথাটা শুনে তুরের বুকে একটা মোচর মারে।
— আপনি ভালোবাসেন আমাকে… সত্যি…
— কেন বিশ্বাস হয় না…..
মাথা নাড়ায় তুর….
তখনি তুর তুরকে কাছে টেনে ওর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দেও। তুরের সাথে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না। তুরের কানে শুধু তীব্রের বলা ভালোবাসি কথাটা বাজছে। সত্যি কি তীব্র ওকে ভালোবাসে। সত্যি কি তীব্র তুরকে তার #বন্দী_দরজার_বন্দীনী না #বন্দী_দরজার_তুমি🖤 করতে চায়।
তখনি তুর……
,
,#বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤
#Written_By_Mêhèriyâr_Mêhèr
#Part: 14…….
তখনি তুরকে কাছে টেনে ওর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ভালোবাসার পরশ ছুইয়ে দেয়। তুরের সাথে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না। তুরের কানে শুধু তীব্রের বলা ভালোবাসি কথাটা বাজছে। সত্যি কি তীব্র ওকে ভালোবাসে। সত্যি কি তীব্র তুরকে তার #বন্দী_দরজার_বন্দীনী না #বন্দী_দরজার_তুমি🖤 করতে চায়।
— তুর…. এই তুর.. No ans… No.. Ans…
টুরটুক ডাকে তুর লাফিয়ে উঠে….
— তীব্র… তীব্র… কই তীব্র? ভালোবাসি বলল কই ও….. [ তুর আশে পাশে তীব্রকে খুজতে থাকে ]
— তুর এখানে তীব্র নেই।🐭🐭🐭 আমি তো তোমাকে ইমেজিং করতে বলেছি তাই তুমি করছ.….
— এই আমি তোর থেকে কিস খেতে কেমন লাগে জানতে চাইছি।😘 তাই তুই তীব্রের কথা বলে বলে আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছিস😡 তোকে তো আমি… 😠
— তুর আমি রোবট আর আমার পাওয়া ইনফরমেশন মতে তুমি যদি নিজে থেকে কাউকে কিস করো তাহলে সেই ফিলিংসা তুমি ভালোভাবে বুঝতে পারবে কেননা ফিলিংস কখনো বর্ননা করা যায় না। 🐭🐭
— তাই বলে তুই আমাকে কিস করতে বলবি তাও ওই লোকটাকে🙄 আমি কিভাবে ওই লোকটাকে কিস করব?😕
— কেন পারবে না? তুমি একটা মেয়ে আর তীব্র একটা ছেলে….🐭🐭
— আরে এটা তোর কম্পিউটারের প্রোগ্রাম নয়। এটা মনের ব্যাপার। চাইলে যাকে তাকে করা যায় না। শুধু ভালোবাসার মানুষকে দেওয়া যায়…. কিন্তু তীব্র তো সে নয়….😥
— আচ্ছা তীব্রর কি কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে🐭🐭🐭
— জানিনা। কেন?
— তাহলে ওকে নিজের বিএফ বানিয়ে নেও।
ওইটা শুনে তুর বসা থেকে উঠে দাড়ায়….
— এই তুই কি বলছিস😨😰😱 ওই লোকটাকে আমি নিজের বয়ফ্রেন্ড বানাবো।😰😰
— কেন তাতে কি? আমার তো মনে হয় ওনি তোমাকে ভালোবাসে?
এইটা শুনে তুর একটু চুপ থাকে। তারপর না বোঝার ভান করে বলে….
— তুই বেশি জানিস ওনি আমাকে ভালোবাসে। এত বাজে কথা বললে না। 😡😡…. [ তারপর আবার কি ভেবে বলে ] আচ্ছা তো… র কেন মনে হলো ওনি আমাকে ভালোবাসে…. না মানে আমি জানতে চাইছি কেন মনে হচ্ছে এটা আদো সত্য নাও হতে পারে….
রোবট বলে বুঝছে না। কিন্তু মানুষ হলো ঠিকি বুঝতে পারত যে তুর কি পরিমান ছটফট করছে এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য…. আসলে রোবটের সাথে এই ২ দিনে তুর তীব্রকে নিয়ে এতটা কথা বলেছে যে ওর মনে তীব্রের জন্য অন্য রকম একটা চাওয়া তৈরি হয়েছে…..
,— কিরে বলছিস না যে? বল… তুই কি করে বুঝলি ওনি আমাকে ভালোবাসে।
— Ok…. আমি যা যা জিজ্ঞেস করব তার উত্তর তুমি দেবে আমাকে তারপর আমি বলব….
— ওকে….
— তীব্র কি তোমার সবকিছুর খেয়াল রাখে…
— হুমম। আমার কোনো কিছুর অভাব তো ওনি রাখেনা।
— তীব্র কি তোমায় আঘাত করে…??
— আগে করত কিন্তু এখন তো করে না?
— তীব্র কি আদর করে?
এইটা শুনে তুরের কাশি উঠে যায়….
— আদর…. 🙄🙄 তা মাঝে মাঝে একটু আধটু করে🙈 মানে ওভাবে না। কিন্তু আমি ঘুমিয়ে থাকলে মাঝে মাঝে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। কিন্তু আমি বুঝেও না বোঝার ভান করি😏
— Ans 90% positive…. Ans 90% positive…. tibro is in love with tor… Tibro is in love with tor… 🐭🐭🐭
— এই চুপ। একদম চুপ😡😡 এতে কিভাবে বুঝায় ওনি আমাকে ভালোবাসে?
— You are little baby tor… আমার পাওয়া ইনফরমেশন অনুযায়ী তীব্র তোমাকে ভালোবাসে।
— কিভাবে….🙄
— তীব্র তোমার খেয়াল রাখে, তোমায় কষ্ট দেয় না। তোমাকে সিনেমার হিরোর মত আদর করে তারমানে ও তোমাকে ভালোবাসে। আমি যতগুলো মুভি সার্চ করেছি সবাই একই ইনফরমেশন দিয়েছে আমাকে… 🐭🐭🐭
— তা….. ই [ টুরটুকের কথা শুনে একদম শান্ত হয়ে গেল তুর। তাহলে সত্যি কি লোকটা তুরকে ভালোবাসে। নাহলে কেনই বা একটা মেয়েকে এভাব আটকে রাখবে। কি লাভ তার.. যদি খারাপ কিছু করার জন্যই এনে থাকবে তাহলে এতদিনে তো করতেই পারত।কিন্তু তিনি তা করে নি। কিন্তু এটাও বলেছেন যা হবে তা আমার সন্মতিতে কিন্তু আমি বা রাজি হব কেন? আর ওনি বা আমার মতামত নিতে চাইবেন কেন? যদি আমাকে ভালো না বাসবেই। তারপরেও একটা প্রশ্ন থাকে… তাহলে ওনি কেনই বা বলল আমাকে ওনি বিয়ে করবে না। এটা কেমন ভালোবাসা যার কোনো প্রকাশ আছে আর না কোনো নাম। যেটা আছে সেটা শুধুই চাওয়ার কথা। কিন্তু সেটাও জোর করে নয় কেন? আসলে কি চায় লোকটা? আমাকে নাকি ভালোবাসা…..
কথা গুলো নিজের মনে ভাবতে থাকে তুর। কিন্তু কিন্তু কিছুতেই কিছু মিলাতে পারছে না। বিবেকের বিচারে তীব্রকে অপরাধী লাগছে তুরকে জোর করে আনার জন্য। কিন্তু মনের কাছে যখন জিজ্ঞেস করছে তখন মনে হচ্ছে হয়তো তীব্র নিরাপরাধ। কারন জোর করে আনলেও কোন খারাপ কিছু করতে চায়নি ওর সাথে। হ্যা অনেক কষ্ট দিয়েছিল কিন্তু তুর নিজের ক্ষতি করতে গিয়েছিল তাই। তাহলে কি তীব্র সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলল……
— তুর তুর…. no reply…. no Reply… Ans is messing…. 🐭🐭🐭
— এই তুই না বড্ড বাজে বকিস 😡😡 না বড্ড বেশি বাজে বকিস…. 😡😡
— আচ্ছা তোমার কি তীব্রকে ভালো লাগে না। 🐭🐭🐭
— আগে ভয় লাগত কিন্তু এখন কেন জানি ততটা লাগে না। ওনি যখন আমাকে কঠোর কন্ঠে ধমকায় তখন মনে হয় ওইগুলো সব শোনানোর জন্য😋😋 বেশ মজাই লাগে। 😘 কারন আমি জানি ওনি ওরকম কিছুই করবে না শুধু শুধু আমাকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে…. 🤣🤣🤣
_- হি… হি.. হি.।। আমার তো মনে হচ্ছে তীব্রের চেয়ে ওর প্রেমে তুমি বেশি পরেছে।🐭🐭
— এই এতক্ষন বললি তীব্র আমাকে ভালোবাসে এখন বলছিস আমি বাসি😡😡 মিথ্যে কথা…
— আমি মিথ্যে বলি না। আমার প্রোগ্রাম সেভাবে সেট করাই হয়নি🐭🐭 আর তুমি তো বললে তীব্রকে তোমার ভাল লাগে।
— হ্যা তা তো লাগে। ওনি রাগী হলেও ওনার চেহারায় একটা কিউটনেস আছে😋 চকলেটের মত মনে হয় খেয়ে ফেলি😋
— তো তীব্রকে নিজের বিএফ বানিয়ে নেও।
— কিন্তু সেটা কিভাবে? 🙄
— কেন তোমার কি কোনো বিএফ আছে যে তুমি তীব্রকে বিএফ করতে পারবে না।
—😥😥 আর বিএফ সে কপাল কি আমার আছে। যখন ছেলেরা প্রপোজ করত পাততা দিতাম না। এখন বুঝছি কত বড় ভুল করছি।তখন ভাবতাম বড় হয়ে বেশ প্রেম করব😋 কিন্তু আর বড় 😥 এখন কেন ১৮ বছর হলো সেইটা নিয়ে দুঃখ লাগছে। ওনি যদি আমাকে বলত তুর আমাকে বয়ফ্রেন্ড করবে তাও হতো কিন্তু বেটা খারুস কি বলল…. [ গাল ফুলিয়ে তীব্রের অভিনয় করে হেটে তীব্রকে নকল করে বলল ] Now you are 18… So you are suitable for a physical relationship….. সালা কোন পাগলে এরকম একটা লোককে নিজের বিএফ বানাবে.. উফফ😤😤😤 তাও বলবে না কেন দেখ তো বুঝাই যায় বেটা বুড়ো হয়ে গেছে😘 প্রেমের বয়স পার হয়ে এখন বিয়ের বয়স😂 তাই হয়তো আমাকে এসব বলছে কিন্তু বেটায় তো বিয়ে করতে চায় না😕
— তাহলে রাজি করাও🐭🐭
— কেমতে…. 😕😕
— তুমি সত্যি ওনাকে ভালোবেসে ফেলেছ যখন তখন ওনার মন জয় করো। মুভিতে ত এরকম হয় হিরোইন হিরোর মন জয় করে … 🐭🐭
_- তাই বলছিস পারব আমি? [ চিপস খেতে খেতে দেয়াল গেশে বসে ] যদিও জানিনা ওই লোকটা রাজি হবে কিনা তবুও একটু ট্রাই মেরে দেখি কি বলিস? এমনি বুড়ো লোক আমি ছাড়া কোনো মেয়ে হয়তো কপালে জোটেনি তাই আমাকে আটকে রেখেছে😋😋😋 কিন্তু লজ্জা পাচ্ছিল আমি বাচ্চা মেয়ে বলে 😏 সব বুঝে গেছি….
— তাই তো…🐭🐭
— ইসস এবার সত্যি নিজেকে সুন্দরী বলে মনে হচ্ছে একদম আলিয়ার মত🙈🙈। আয়না থাকলে একটু দেখে নিতাম নিজের চেহারা।
— 🐭🐭
— আহারে একে তো মাইয়া সুন্দরী তার উপর অল্প বয়সী তাই হয়তো লজ্জা পাচ্ছিলেন। এই পিচ্চি সুন্দরীরে ওনি প্রপোজ করলে যদি আমি না করে দেই এই জন্য আমাকে তুলে এনেছি। সব বুঝেছি বুইড়া জানি কোথাকার। 😁😁 কিন্তু বেটা হ্যান্ডসাম আছে🙈🙈
— 🐭🐭🐭
— যদিও ব্যাটা বুইড়া কিন্তু সমস্যা নাই ম্যানেজ করে নিব। দেখে তো মনে হয় ৪০/৫০ হবে🤔🤔 এখন ঠিক কত হতে পারে জানিনা🤣🤣
—- 🐭🐭🐭
— কিন্তু কথা সেইটা না ধরলাম আমি শুধু বুইড়ার উপর ক্রাশ খাইছি। কিন্তু ওই তীব্র ওইটার কি হবে? 😕 ওই বেটা তো আমারে ভালোবাসের প্রপোজ না ফিজিক্যাল রিলেশনের প্রপোজ করে গেছে।😥
— তাতে কি তুর? সব জায়গায় ভালোবাসার কথা আগে বলে তীব্র নাহয় রিলেশনের কথাই বলল….🐭🐭🐭
— বলছিস… 🙄
— হুমম🐭🐭🐭 তুমি ট্রাই তো করো।
— কথা সেইটা না। আমি ওনাকে এখন পটাবো কিভাবে🤔🤔
— 1 minutes…. Search লোক পটানো আইডিয়া…. search লোক পটানো আইডিয়া… result is coming… Result is coming…..
— যাক বাবা এই দিনো দেখতে হইলো😕 শেষ পর্যন্ত ছেলে রেখে এই বয়সে এখন ওই হুইড়া লোক পটানোর আইডিয়া খুজতে হবে। 😤😤 ভাগ্যিস পরিচিত কেউ নাই। তাইলে আর মান সন্মান থাকত না। 😁😁 এদিক দিয়ে ব্যাটা মিডনাইট ম্যান ভালোই করছে😋😋 নাইলে যদি কিডন্যাপ হওয়ার আগে ক্রাশ খাইতাম তখন😬😬😬
— তুর.. যেকোনো পুরুষের মনের রাস্তা তার পেট হয়ে যায়…. যেকোনো পুরুষের মনের রাস্তা তার পেট হয়ে যায়। 🐭🐭
— যাক বাবা…. ওইটা তো ছেলে না লোক মানে পুরুষ…. সেইটা বুঝলাম কিন্তু এই পেটের ব্যাপারটা ত বুঝলাম না। 🤔🤔 পেটের ভিতর মনের রাস্তা কেমনে থাকে?🙄 ভাবনার বিষয় 🤔🤔 আচ্ছা ওনার পেটে কি সুড়সুড়ি দিতে হবে নাকি টুরটুক……
— পেটের রাস্তা মানে সুড়সুড়ি নয়… সুড়সুড়ি হয়। তাকে তোমাকে ভাল ভাল রান্না করে খাওয়াতে হবে…. 🐭🐭🐭
— হায় হায় বলে কি? 😱😱 ওগুলো মানে লোকেরা কি রাক্ষস হয় নাকি? যে পেটে থাকে মনের রাস্তা তাহলে তো সারাজিবনে তো শেষ হবে না। কারন ফুপি বলত পেট নাকি ভরা যায় না। আর না ভরালে মনের কাছে কেমনে যাব.।।😰😰
— তুর… তুর… তোমাকে ভাল রান্না করে খাওয়াতে হবে। তাহলেই হবে….🐭🐭
— 🤣🤣🤣 তাহলে আমি কোনোদিন ই মন পাব না। কারন আমি রান্না করতেই পারি না। 😬 আর ভালো রান্না একবার করেছিলাম খাওয়ার মত কিন্তু তা খেয়ে সবার একদম ডায়রেক্ট হয়ে গিয়েছিল। ছ্যা.।।। সেকি কান্ড.. 😂
— 🐭🐭🐭 তাহলে উপায়…
-_ সেইটাই তো… 😥
— একটা কাজ করো তোমার বদলে ওকে রাদতে বলো তারপর তুমি তাকে খাইয়ে দিও ব্যস…. 🐭🐭
— তাই বলছিস… 😕😕 যদি না খায়…
— ভালোবাসলে ঠিক খাবে🐭🐭🐭
— তাইলে এখন শুধু ওনার আসার অপেক্ষা….. এবার মনে হয় তুর আর সিঙ্গেল থাকবি না ওই বুড়োর গার্লফ্রেন্ড হয়ে যাবি……..
,
,
,
,
,
,
,
এভাবে কেটে যায় প্রায় ১৫ দিন……
তীব্র নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এতটাই ব্যস্ত হয়ে পরেছে তুর কি করে না করে সেটা শোনার সময় তীব্রের হয় না। ও রোবট ক্যাটটাকে এইজন্য রেখেছে যাতে তুরের একা একা না লাগে…. আর এদিকে ওর সম্পুর্ন ব্যস্ত।
বিশেষ করে তায়ানের জন্য। কারন তায়ান ওর জিবনের সবচেয়ে আপন। ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও সেটা রক্তের চেয়েও বেশি। কারন তীব্রের বাবা মারা যাওয়ার পর তায়ানই ছিল তীব্রের সঙ্গী। তীব্র যখন খুব ছোট তখন ওর মা মারা যায়। তখন তায়ানের মা কাছেই ও তায়ানের সাথে থাকে। ও ডক্টর হওয়ার ইচ্ছায় ও মেডিকেলে পরতে চায়। কিন্তু কলেজে থাকা অবস্থায় ওর বাবাও মারা যায়। তখন ওদের বিজনেজ ম্যানেজার ই সামলেছে। আর তীব্র নিজের পরাশুনায়। তীব্র যতই ম্যানেজারের সাথে রাগ করুক। অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ওর জন্য ম্যানেজার। যদিও তার প্রকাশ নেই ওর। আর ওর বাবা মারা যাওয়ার পর সবচেয়ে পাশে থেকেছে যে ব্যাক্তি সে হচ্ছে ছোট বেলার সঙ্গী তায়ান। আর তীব্রের কাছে তুর ই সেই মেয়ে যে যার জন্য তার কলিজার বন্ধুর এই অবস্থা……
তাই ও তায়ানকে বাচানোর আপ্রান চেষ্টা করছে। তাই ওর সবকিছু ফিক্স করে বিদেশে সমস্ত ডক্টরদের সাথে। তাই এতটা ব্যস্ততা। সমস্ত কিছু কমপ্লিট করতে করতে ১৫ দিন চলে গেছে তার মাঝে একবারো ছুটি নেয়নি তীব্র।
ক্লান্ত শরীর নিয়ে রাতে বাসায় ফেরে তীব্র। তখন তুরের কথা মনে পরে। এ কয়দিনে তেমন খোজ নেয়নি মেয়েটার।
তীব্র ল্যাপটপ অন করে দেখে তুর ঘুমিয়ে আছে। তীব্র জুম করে তুরকে দেখতে থাকে। প্রথমে ওকে খারাপ লোকদের হাতে তুলে দিতে চাইলেও এখন তীব্রের অন্যকিছুই চাই…..
ফখন তীব্র রিদ্ধকে ফোন দেয়।
— জি স্যার বলুন….
— আমার এদিকের সমস্ত কাজ গুছানো শেষ। আমার যাওয়ার ব্যবস্থা করো।
— ওকে স্যার….
— আর হ্যা তুষাকে ফোন করে বলো যেন তায়ানের খেয়াল রাখে…
বলে ফোনটা কেটে বিছানায় ফেলে দেয়…..
,
,
,
,
,
,
পরের দিন তীব্র রাতে তীব্রে চলে যায় তুরের উদ্দেশ্যে……
আর ওদিকে….
পেহেলা নেশা পেহেলা খুমার.
নেয়া প্রেয়ার হে নেয়া ইন্তেজার….
কারলুমে আবনা কেয়া হে মেরে দিল বেকারার……
তুর নিজের মনে গান গাচ্ছে আর তীব্রের একটা শার্ট নিয়ে নাচ্ছে। কথায় আছে না একসাথে থাকতে থাকতে মানুষের প্রতি এমনি মায়া এসে যায়। আর সেইখানে তীব্রের সাথে আছে ৩ মাস।
সেদিন টুরটুকের সাথে কিসের কথা বলার পর টুরটুক নিজের ফাংশনাল ভাবে তুরকে সবকিছু এমন ভাবে বুঝিয়েছে যা না চাইতেও তুরকে বাধ্য করছে তীব্রকে নিয়ে ভাবতে। আর এই বয়সের মেয়েরা সাধারনত এই ব্যাপারে বেশি সেন্সটিভ নয় এসব ফিলিংসে। আর টুরটুক নিজের ফাংশনের নিয়মে বুঝিয়েছে তুর তীব্রকে ভালোবাসে। আর দিনের পর দিন এটা ভাবার পর তুরের মনেও এটা পেয়ে বসেছে ও সত্যি তীব্রকে ভালোবাসে।
প্রথম ভালোবাসার প্রথম ফিলিংস এটা তুরের কাছে। সব কিছুতেই অন্যরকম মাদকতা লাগছে তুরের। আজ সব খারাপ গুলোও যেন ভালো লাগছে। নিজেকে দেখতে ইচ্ছে করছে তুরের কিন্তু পারল না। কারন কোথাও আয়না নেই। কিন্তু তবুও নিজেকে পরিপাটি করতে ব্যস্ত তুর। ও জানেনা তীব্র কবে আসবে কিন্তু অপেক্ষার প্রহর যেন কাটছে না। যার আসার ভয়ে একদিন একদিন তথস্ত থাকত আজকে যেন শুধু তার আশার অপেক্ষা……
— এই টুরটুক একটা কথা বলত…
— বলো…. বলো.।। 🐭🐭🐭
— তীব্র নামটা খুব সুন্দর তাই না।।😇😇 আর দেখ দুজনের নামের মধ্যে কতটা মিল আমি তুর…. ও তীব্র…. 😎 ওনি তীব্র আমি তুর… তীব্র-তুর…. ওনার নামের মত ওনার মধ্যেও একটা ব্যাপার আছে তীব্রতার…. দিল ছু দিয়া রে…. 😘😘
নাজার জো তেরি লাগি মে দিয়ানী হো গায়ী
দিয়ানি হো দেয়ানি.. দেয়ানি হো গায়ী।
মাশহুর মেরে ইস্কোকি কাহানী হোগায়ী…
— সরি মিসটেক আমার প্রেমের কাহিনী সবাই কেমনে জানবে… 😁😁 আমি তো বন্ধ দরজার দিওয়ানী🤣🤣 আমার দিওয়ানা বুইড়ার অপেক্ষা করছি। তবে বুঝলাম না একটা কথা 🤔 আমি ৫০/৬০ বছরের বুইড়ার প্রেমে কেমতে পরলাম😂 তবে যাই হোক ওনাকে দেখতে, ওনার বকা, এমনকি ওনার থাপ্পড় গুলাও সেই… 🤣 আর সবচেয়ে বেশি ভালো ওনার আদর গুলা🙈🙈
🤣🤣🤣 কথায় আছে না, যাকে ভালো লাগে তার খারাপ টাও ভালো। আর ভালোটার তো কথাই নাই। আর যাকে খারাপ লাগে তার গুন হারিকেন দিয়ে খুজলেও পাওয়া যায় না। তুরের হয়েছে সেই দশা। ও এখন ওর খেয়ালে আছে।
তারপর তুর নিজের মত কাজ করতে করতে কখন ঘুমিয়ে গেল নিজেও জানে না।
,
,
,
,
,
,
তুর ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ ওর ঘুম ভেঙে যায়। আর চোখটা খুলতেই দেখে ওর পাশে তীব্র দেয়াল গেষে এক হাটু উঠিয়ে ঘুমিয়ে আছে। এটা দেখে তুর তীব্রের দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে থাকে। তারপর আস্তে আস্তে ওর কাছে গিয়ে ওর গালে হাত রাখে।
— প্রতিদিন শুধু স্বপ্নে কেন আসেন? আপনি এখানে আসবেন কবে? জানেন কতটা অপেক্ষা করে আছি আপনার জন্য…..
বলেই তীব্রের গালে একটা চুমো খায়। হঠাৎ এমন স্পর্শে তীব্রের ঘুম ভেঙে যায়। ও এয়ারপোর্ট থেকে সোজা তুরকে দেখতে আসে। অনেকটা ক্লান্ত থাকার কারনে আর যাওয়া হয়নি ওখানেই বসে বসে শুয়ে পরেছে।
আর ওদিকে তুরের সেই কিস খাওয়ার ফিলিংসের কথা মনে হলো। এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কি হবে?
— তুর স্বপ্নে হলেও কিসটা করে দে। বাস্তবে পরে খাস আগে স্বপ্নে কর… 😘 দেখ কেমন লাগে….
তীব্র দেখে লোভাতুর দৃষ্টিতে তুর ওর দিকে এগিয়ে আসছে…. এটা দেখে তীব্র চোখ কচলে ভ্রু কুচকে ওর দিকে তাকায়….
— কি হয়েছে?
— আমি না আপনাকে চুমো খাব😘 [ ঘুম মিশ্রিত মাতাল কন্ঠে ]
— মানে….
তুরকে সরানোর জন্য ওকে ধরতে চায়। কিন্তু তুর তীব্রের হাত দুটো বিছনায় চেপে ওর আরো কাছে যায়। তারপর তীব্রের নাকে নিজের নাকটা ঘষে ওর দুহাতে তীব্রের কাধ পেচিয়ে ধরে…. তুরের এই বিহেভে তীব্র বোকার মত হা করে দেখতে থাকে। ও কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। আর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন তুর কি করছে এটা?
— তুর হচ্ছে টা কি?
— হুসস… বাস্তবে তো শুধুই বকেন। আমার স্বপ্নে আছেন তাহলে এবার একটু রোমান্টিক মিষ্টি কথা বলুন না হিরোদের মত। যেমন রাজ সিমরানকে বলে….. [ নেশাক্ত কন্ঠে ]
— তুমি না যা করছ তাতে শাহরুখ খানের না। ইমরান হাশমির ফিলিংস আসছে…. [ বিরক্ত হয়ে ]
— আপনি বড্ড বাজে😭 নিজে যখন রোমান্স করেন আমি বাধা দেই🙈 তখন তো জোর করে করেন। তাই আমিও আজ জোর করেই করব….. রোমা…ন্স😘
— মানে…. 😕
— আমি চুমো খাব… [ তীব্রের ঠোঁটের আরো কাছে গিয়ে। তীব্রের মনে হচ্ছে কিস না বাচ্চা মেয়ে ললিপপ চাচ্ছে ] দিন না একটা…
— এমন করো না তুর। পরে কিন্তু ব্যাপারটা খারাপ দিকে যাবে। তখন নিজের দোষে নিজে পস্তাবে….
এতে তুর আরো ক্ষেপে যায়। তীব্রকে ফেলে ওর বুকের উপর চড়ে বসে।
— আরেকটা কথা বললে খুন করে ফেলব। আমার চুমো চাই মানে চুমো চাই। এটা আমার স্বপ্ন আর এখানে আমি যা চাই তাই হবে।
এতক্ষনে তীব্রের কাছে ব্যাপারটা ক্লিয়ার। মানে তুর স্বপ্ন দেখছে ভাবছে। কিন্তু এটা বুঝতে পারছে না। ও কাকে ইমাজিন করছে…..
তীব্র ওকে নিজের উপর থেকে সরিয়ে পাশে ফেলে দিয়ে দেয়ালে গেশে বসে…..
তুর রেগে গিয়ে ওর শার্টের কলার ধরে বলে…
— আপনার সাহস কি করে হয় তুরের স্বপ্নে তুরকে ধাক্কা দেওয়ার। এতদিন আমার উপর গুন্ডামি করেছেন তাই না। এবার বুঝবেন জোর করে রোমান্স করলে কেমন লাগে… 😇 এবার লেডি গুন্ডি দেখবেন😈
তুরের কথায় তীব্রের প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে। কিন্তু তবুও নিজের হাসিটাকে চেপে রাখছে….
— ও তাই। কি করবে শুনি..
— আপনি আপনার সিলমোহর দিয়েছিলেন এবার তুরের পালা। কিন্তু আপনার মত খোবিস ভাবে না মিষ্টি ভাবে😋😋
— মানে.. 😏
— মানে… 😇 চোখ বন্ধ করুন….
— কেন?
— ধুর…😤😤
তারপর নিজেই তীব্রের চোখ দুটো বন্ধ করে দেয়। তীব্রের আরেকটু কাছে গিয়ে ওর শার্টের কলার আরো শক্ত ধরে তীব্রের ডান চোখের কোনে একটা গভীর চুমো আকে। তুরের স্পর্শে অন্য এক দুনিয়ার চলে গেছে তীব্র। তীব্র চোখে চোখ পরতেই তুর মিষ্টি একটা হাসি দেয়। তারপর তীব্রের ঠোঁটের দিকে তাকায়। তুর তীব্রের ঠোঁট একদম ছুই ছুই….. ঠিক সেই সময় তীব্রের ধ্যান ভাঙে….. তীব্র তখনি ওকে খুব দ্রুত ওকে ফেলে চিতকার করে উঠে……
— এসবের মানে কি তায়্যিরাত…..
তীব্রের গর্জন শুনে তুরের হুশ ফেরে। ও চারদিকে তাকিয়ে তীব্রের দিকে তাকায়। তীব্র রক্ত লাল চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও এখন ঠিকি বুঝতে পেরেছে তীব্র ওর কল্পনা নয় সত্যি….
— আপনি…. [ ভয়ে ঢোক গিলে ]
— কেন কাকে আশা করছিলে? ঘুমের মধ্যে কাকে আমাকে কে ভেবেছিলে😡😡
— আমি অন্য কাউকে…
— Just shut up….. 😡😡 আমার।বাড়িরে থেকে। আমার খেয়ে… ঘুমের মধ্যে চুমু খাওয়া না।😡😡 কাকে ভেবেছিলে তুমি…?? আজ তোমার শখ মিটাব আমি😡
বলেই তুরের দিকে এগোতে থাকে…..
— আমার কথাটা তো শুনুন। আমি কাউকে না এমনি………
,
,
,
চলবে