শেষটা_সুন্দর পর্ব____২৭
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)

‘চুপচাপ, এভাবে থাকো কিছুক্ষণ। আমি বোধ হয় অসুস্থ হয়ে পড়ছি।’

নির্ঝরের জড়ানো কন্ঠে তরী ঠকঠক করে কাঁপা শুরু করলো। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো সে। তার দৃষ্টি ক্রমেই ছন্নছাড়া হয়ে যাচ্ছে। কেমন অদ্ভুত পরিবেশ। জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছিটেফোঁটা এসে তাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। চোখের সামনে ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ার দৃশ্য। কানে টিনের চালে পড়া বৃষ্টির ফোঁটার অদ্ভুত সংগীত। সাথে তার একমাত্র প্রিয় মানুষ। আর কি লাগে! এসব কিছু, এই পরিবেশ এত পূর্ণতা পেত না যদি না তার কাঙ্ক্ষিত মানুষটা পাশে থাকতো! সে মনে মনে চাইলো, এ সময়টা এখানেই থেমে যাক বা অনন্তকাল ধরে এভাবে চলতে থাকুক।

বাইরের দমকা হাওয়ার কিছু অংশ তরীর ভেতর স্থানান্তর হয়েছে। বুকের ভেতর সুখের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির কারনে আবহাওয়া শীতল হলেও তার মোটেই শীত করছে না। পেছনের মানুষটার বুকের সমস্ত উষ্ণতা তার ভেতরে আদান প্রদান হচ্ছে যেন। সে মৃদু শব্দ করে হেসে ফেলল। সে মায়া জড়ানো কন্ঠে বলল,

‘নির্ঝর সাহেব!’

নির্ঝর ভেতরে ভেতরে প্রচন্ড চমকালো। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন করলো না। তরীর মুখে প্রথম বারের মতো নিজের নাম শুনে মন পিঞ্জরে সুখ পাখিরা ডানা ঝাপটানো শুরু করলো। সো হাতের বাঁধন আরো শক্ত করে মৃদু স্বরে বলল,

‘জ্বি বলেন মহারাণী।’

‘আমি কাউকে ভালোবাসি কি না কিভাবে বুঝবো ?’

‘তোমার এত বুঝতে হবে না। বড় হও!’

তরী সহসা উত্তর দিল না। দুজন কিছুক্ষণ মৌনতা অবলম্বন করলো। জানালার ওপাশে বৃষ্টির বেগ বেড়ে চলেছে। সাথে দুজনের শরীরের উত্তাপ! কয়েক মিনিট পর তরী চোখ জোড়া বন্ধ করলো। ঘোর লাগা কন্ঠে বলা শুরু করলো,

‘জানেন, এই কয়েক মাস আগে আমি পূর্ণাঙ্গ ভালোবাসা বুঝতাম না। ভালোবাসা আর ভালোলাগা বা মোহের মধ্যে তফাৎ করতে পারতাম না। এতদিন কাউকে নিয়ে স্বপ্ন সাজাতে ভালো লাগতো না। কিন্তু এখন আমার একজনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। রাত দিন তাকে নিয়ে কল্পনার শহর সাজাই। মনের মধ্যে সারাক্ষণ শুধু সেই মানুষটা বিচরণ করে। আজ পর্যন্ত কোনো ছেলের সাথে কথা বলার সময় আমার বুক ধুকপুক করেনি। কিন্তু এই একটামাত্র মানুষ, যার কথা স্মরণ করলে, দূর থেকে দেখলে, আশপাশে অনুভব করলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়। তাকে একটু কাছে পেলে বড় বেশি অগোছালো হয়ে যাই। কল্পনায় তাকে নিয়ে আমি ভবিষ্যত কাটিয়ে ফেলেছি। তার হাতে হাত রেখে বার্ধক্যের শহর চিনেছি, কত শত বছর একত্রে কাটিয়েছি। তার সাথে আমার অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব কাটাসো শেষ। মানে আমার সবটা জুড়ে এখন শুধু সেই মানুষটার বিচরণ। সবটা মানে সবটা! সবটা জুড়ে সেই মানুষটার অস্তিত্ব। আমার আমি তে সেই মানুষটার অধিকার বেশি। বুঝিয়ে বলতে পারছি না। সত্যি বলতে এখন আমার বলতে কিছু নেই। সবটা ওই মানুষটার মধ্যে। তার চোখ দিয়ে আমি এখন জীবন দেখতে চাই, তার বুকে মাথা রেখে বাঁচতে চাই, তার হাতের আঙুল আঁকড়ে বাকি পথ পাড়ি দিতে চাই। সেই মানুষটা হলো আপনি! বুঝতে পেরেছেন?’

নির্ঝর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছে। তরী এসব বলবে তা তার কল্পনার মধ্যে ছিল না। সে এতটা বিস্মিত হয়েছে যে তৎক্ষনাৎ কোন কথা খুঁজে পেল না। তরী নিজে থেকে ফের বলল,

‘নির্ঝর সাহেব, আমার অন্ধকার পথের আলো হবেন?’

‘হু!’

‘ সারাজীবন আমার! শুধু একান্ত আমার থাকবেন তো?’

‘থাকবো।’

তরী লজ্জা রাঙানো মুখে প্রথম বারের মতো উচ্চারণ করলো,

‘ভালোবাসি। ভালোবাসি নির্ঝর সাহেব।’

____________

আজ আকাশে ঝলমলে রোদ উঠেছে। চারিদিকে রোদের স্নিগ্ধ ছোঁয়া। আকাশ স্বচ্ছ। নীল আর সাদার কম্বিনেশনে দূর্দান্ত লাগছে। কলেজের সামনে গাড়ি থেমে গেল। বাইরে প্রচুর কোলাহল।। কারণ আজ শেষ প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা। এরপর সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে। কিছুদিন চিন্তামুক্ত থেকে আবার নতুন উদ্যমে ভার্সিটিতে এডমিশন নেওয়ার পড়া শুরু করবে।

সিলভার কালারের হাত ঘড়ির দিকে এক নজর চেয়ে সময় দেখলো তরী। পরীক্ষা শুরু হতে এখনো মিনিট পঁচিশেক দেরি। এতটা সময় কি করবে? সে গাড়ি থেকে নামতে নিতে বয়স্ক গলায় কেউ একজন বলল,

‘পরীক্ষা শেষ হইবো কয়টায়? আবার কতক্ষণ বাদে নিতে আইবো?’

তরী রমজান চাচার দিকে তাকালো। মানুষটা তার বাবার বয়সী। দীর্ঘ দিন ধরে ফুপির বাসায় টুকিটাকি কাজ করে। বাজারঘাট থেকে শুরু করে ড্রাইভিং সব পারেন তিনি। খুবই অমায়িক একজন মানুষ। তার মানুষটাকে ভীষণ পছন্দ। মুচকি হেসে সে বলল,

‘চাচা, বিকেলে আপনার আসতে হবে না। আমি একাই চলে যেতে পারবো।’

‘ক্যা গো মা? বড় আফা কইছে নিয়া যাইতে।’

‘ফুপিকে বলে এসেছি আমি। আপনার আসতে হবে না। রিকশা করে চলে যাব আমি।’

রমজান চাচা প্রথমে রাজি হতে চাইলো না। তরী অনেক বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিল। পরীক্ষা শেষে তার একটু গোপন কাজ আছে। সেটা কমপ্লিট করে সে বাড়ি যাবে। আশপাশে এক নজর দেখে সে কলেজের ভেতর ঢুকলো।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে আজ প্রথম সে একা এসেছে। বাকি দিনগুলো নির্ঝর নিজে সাথে থেকে নিয়ে এসেছে। আবার পরীক্ষা শেষে বাড়ি নিয়ে গেছে। কিন্তু নির্ঝর এখন সিলেট নেই। গত পরশু ইম্পর্ট্যান্ট ফোন কল পেয়েছে। তার অফিসে জরুরি মিটিং। সেজন্য পর দিন ভোরবেলা ঢাকা চলে গেছে। গতকাল তার পরীক্ষা ছিল না। নির্ঝর রাতের বেলা অনেক চেষ্টা করেছে সিলেট আসার। কিন্তু পারেনি। অফিসের কাজ সব কমপ্লিট করে সে আজ সকালবেলা সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।

তরীর মন প্রচন্ড খুশি খুশি। আজ পরীক্ষা শেষ। দুঃশ্চিতা মুক্ত হয়ে যাবে। এবার পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে৷ এটা অন্তত সিউর যে ইনশাআল্লাহ পূর্বের ন্যায় ফেল আসবে না। তার চেয়ে বড় কারণ দু দুটো দিন হলো সে নির্ঝরকে দেখে না। আজ সন্ধ্যায় দেখতে পাবে, ছুঁতে পারবে, জড়িয়ে ধরতে পারবে, একটু অনুভব করতে পারবে ভেবে মন বার বার পুলকে ভরে উঠছে। সে ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে শহীদ মিনারের কাছে দাঁড়াল।

সে প্লান করে রেখেছে নির্ঝরকে বিশাল একটা সারপ্রাইজ দিবে। ভয়ানক চমকে দিবে মানুষটাকে। বিগত মাসগুলোতে তার জন্য, তার পড়াশোনার জন্য মানুষটা অনেক খাটাখাটুনি করেছে। আজ সে তার কিছুটা ক্লান্তি লাঘব করবে। সে ভেবে রেখেছে আজ নির্ঝরের রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখবে। নানা রকমের ফুল দিয়ে এত সুন্দর করে সাজাবে যেন নির্ঝরের তাক লেগে যায়। বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে যায়। ইশ! ভাবতেই কি যে ভালো লাগছে।

তরী এক্ষুনি কল্পনা শুরু করলো। আর ভাবতে লাগল এসব দেখে নির্ঝরের রিয়েকশন কেমন হবে!

__________

পরীক্ষা শেষ হতে তরী রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো। হাতঘড়িতে সময় দেখলো, দেড়টা বাজে।সে দ্রুত পায়ে হেঁটে গেটের কাছে এলো। গেটের বাইরে বের হয়ে সে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারলো না। কারণ রোদের তেজ বেড়ে গেছে। চামড়া ভেদ করে শরীরে ঢুকছে। সহ্য করা যাচ্ছে না। সে আবার হাঁটা শুরু করলো। তার বাড়ি যাওয়ার পথ উত্তর দিকে। কিন্তু দক্ষিণ দিকে হাঁটছে সে। দক্ষিণ দিকে কিছুদূর গেলে কয়েকটা ফুলের দোকান পাওয়া যাবে।

‘তরী আপু!’

বেশিদূর এগোতে পারল না তরী। পেছন থেকে মেয়েলি সুরে কেউ ডেকে উঠলো। তবুও সে হাঁটা থামাল না। কোনো বান্ধবী হয়তো ডাকছে। ডাকুক! তার আজ অনেক তাড়া!

তার তাড়া থাকলে কি হবে! প্রকৃতির বোধ হয় তাড়া নেই। মেয়েটি আরো ঘনঘন ডাকা শুরু করলো এবং যত ডাকছে তার স্বর তত নিকটবর্তী হচ্ছে। আর এগিয়ে যেতে বিবেক সায় দিচ্ছে না। প্রবল অনিচ্ছা নিয়ে সে পেছন ঘুরে তাকালো। যা ভেবেছিল তাই! তাকিয়ে দেখলো তার ক্লাসমেট জেরিন।

জেরিন তার সাথে পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু তার চেয়ে এক বছরের জুনিয়র। তরী দ্বিতীয় বারের মতো বোর্ড পরীক্ষায় বসলো। কিন্তু জেরিন এই প্রথম বার। তার ভাবনার মাঝে জেরিন তার নিকটে এলো। তরী হাসিমুখে বলল,

‘কেমন আছো জেরিন?’

জেরিন মুচকি হেসে বলল,

‘ভালো। তোমার খবর কি?’

‘আলহামদুলিল্লাহ! সব ঠিকঠাক। পরীক্ষা কেমন হয়েছে সবগুলো?’

‘মোটামুটি। আপু আমি তিনতলায় আলাদা ক্লাসে পরীক্ষা দিচ্ছি। তোমার সাথে দেখা করবো করবো করে করা হচ্ছে না।’

‘দরকারী কিছু বলবে?’

‘হুম! বাংলা ম্যাম তোমাকে দেখা করতে বলেছে।’

তরী ভীষণ চমকালো। বাংলা ম্যাম তাদের ডেইলি হাজিরা নিতেন। স্টুডেন্ট দের ভালো মন্দ দেখভাল করতেন। তিনি হঠাৎ তার সাথে দেখা করতে চাইছে কেন? সে বিস্মিত হয়েই বললো,

‘কেন বলো তো?’

‘জানি না তো আপু। আজ সকাল বেলা প্র্যাক্টিক্যাল খাতা সিগনেচার করতে কলেজ গিয়েছিলাম। সেখানে ম্যামের সাথে দেখা হতে এ কথা বললো।’

তরী নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,

‘ঠিক আছে জেরিন। আমি পরে দেখা করে নিবো বা ফোনে কথা বলে নিবো।’

তার কথা শেষ হতে না হতে জেরিন চিন্তিত মুখে বলল,

‘কিন্তু আপু ম্যাম তো পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে তোমায় দেখা করতে বলেছেন। বলেছেন, তিনি টিচার্স রুমে তোমার জন্য অপেক্ষা করবে আজ। তোমার ইমপ্রুভমেন্টের ব্যাপারে কোনো ঝামেলা হয়েছে মনে হয়। ‘

ইমপ্রুভমেন্টের ব্যাপারে ঝামেলা শুনে তরী নড়েচড়ে দাঁড়াল। এখান থেকে তার কলেজ বেশি দূরে নয়। দশ-পনের মিনিটের ব্যবধান। সে একবার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু একা যাওয়ার সাহস হলো না। সে জেরিনের হাত চেপে বলল,

‘এত আর্জেন্ট যেতেহু সেহেতু যেতে হবে। তুমি একটু আমার সাথে চলো না! প্লিজ!’

জেরিন উসখুস করতে লাগলো। কিছুক্ষণ তরীর জোড়াজুড়িতে রাজি হয়ে গেল। তরী হাসি মুখে কলেজের দিকে রওনা করলো। পশ্চিম দিকে একটু গেলেই তাদের কলেজ।

ধীরপায়ে গেট পেরিয়ে কলেজে পা রাখতে তরীর ভেতরটা কেঁপে উঠলো। চোখ দুটো ছলছল করতে লাগলো। কতগুলো দিন, কতগুলো মাস পর সে তার বিদ্যাপীঠে প্রবেশ করলো। বিয়ের আগে সেই যে টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে কলেজ থেকে বের হয়েছিল আর ঢোকা হয়নি। সে যখন ঢাকায় তখন তার ফুপি গিয়ে এডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ যত আনা নেওয়ার কাজ করেছে।

এত দিনে যে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। ইশ!

অনার্সের বিল্ডিং গুলোর দিকে তাকিয়ে তরী হেসে ফেলল। কত বোকা ছিল সে। এগিয়ে গিয়ে ফার্স্ট ফ্লোরের করিডোরে ঢুকলো। কিছুটা বিস্মিত হলো সে। কারণ কলেজে মানুষের আনাগোনা একদম নেই। দু একজন শুধু চোখে পড়ছে। ক্লাসরুমের বেশিরভাগ গুলোয় ভারী তালা ঝুলছে। সে জেরিনকে কিছু বলার আগেই জেরিনের ফোন বেজে উঠলো। সে ফোনটা রিসিভ করে কানে নিয়ে হ্যালো বললো। তারপর তরীর দিকে চেয়ে ক্ষীনকায় কন্ঠে বলল,

‘প্রয়োজনীয় কল। আমি নিচে অপেক্ষা করছি। তুমি বরং আপু দোতলার টিচার্স রুম থেকে ম্যামের সাথে দেখা করে এসো।’

‘হুঁ!’

তরী মন খারাপ করে সিঁড়ির দিকে এগোল। কয়েক ধাপ উঠে মাথা ঘুরিয়ে জেরিনকে দেখলো। জেরিন হাসি হাসি মুখে কারো সাথে ফোনালাপে ব্যস্ত।

দোতলা একদম সুনশান। টিচার্স রুমের দরজায় বড় একটা চাইনিজ তালা ঝুলছে। তালাটা নেড়েচেড়ে তরী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। চোখের দৃষ্টি সূদুর প্রসারী করে সে লম্বা করিডোরের এ মাথা থেকে ও মাথা নজর বুলাল।

করিডোর খাঁ খাঁ করছে। কেমন ভুতুড়ে পরিবেশ যেন! মুহূর্তে বুক কেঁপে উঠলো তার। সে দ্রুত পায়ে পেছন ঘুরে সিঁড়ির দিকে এগোল। লম্বা লম্বা পা ফেলেও যেন এগোতে পারছে না। সিঁড়ির কাছে পৌঁছাতে পারছে না। সে আতংকিত হয়ে দৌঁড় দিল। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সামনের রুম থেকে একটা হাত বের হলো। চোখের পলকে হ্যাঁচকা টানে তাকে রুমের ভেতর নিয়ে গেল। তরী প্রচন্ড ভয়ে হাঁসফাঁস করতে লাগলো। অন্ধকার রুমে মুখ চেপে রাখা হাতটা সে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো। না পেরে ভয়ে কেঁদে দিল। কয়েক সেকেন্ড পর কেউ কানের কাছে বলে উঠলো,

‘ভালোই সুখে আছো দেখছি তরী বেইবি। ‘

কন্ঠটা কানে যেতে ভয়ে তরীর পিলে চমকে উঠলো। শরীর নিস্তেজ হয়ে গেল। প্রচন্ড ভয়ে আতংকের সৃষ্টি হলো। শরীরের ভর ছেড়ে দিল! তাকে নিস্তেজ দেখে মুখের উপর থেকে হাত সরে গেল। সে জড়ানো কন্ঠে কোনো রকমে বলল,

‘আশিক! আ-আশিক!’

(চলবে)

আজ লেখার স্পৃহা নেই। প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে। সবাই অপেক্ষা করবেন বলে এতটুকু লিখে পোস্ট করলাম। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। 🤎
একটা গ্রুপ খোলা হয়েছে প্রিয় পাঠক মহলের জন্য। গ্রুপের লিংক–
https://www.facebook.com/groups/552626552415182/?ref=share

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here