#মেঘের_আড়ালে_মেঘ”৩৬”
#জেরিন_আক্তার_নিপা
ইরফান ফুপির ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে যা দেখল তাতে তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। সেই সাথে অনন্তর উপর রাগও হলো প্রচুর। সে এখন অনন্তকে সামনে পেলে জানে মেরে ফেলত। অনন্তর সাহস কী করে হয় তার বউয়ের গায়ে হাত দেবার। ইরফান পুলিশের সাথে যোগাযোগ করল। উনারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে কিছু প্রশ্ন করলেন। প্রশ্ন গুলো শুনতে খারাপ লাগলেও ইরফান সব প্রশ্নের জবাবই দিল।
“মিস্টার ইরফান, আপনি নিজেও আইনের লোক। এরকম কেসে সাধারণত কীভাবে আগাতে হয় তা আমাদের থেকে আপনি ভালো জানেন। আশাকরি আমাদের সিচুয়েশন বুঝবেন। প্রশ্ন গুলো না করলেই নয়। আপনি সব প্রশ্নের ঠিক ঠিক উত্তর দিলে তবেই আমরা শীঘ্রই উনাকে খুঁজে বের করতে পারব।”
“জি করুন। আমি যথাসম্ভব সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দেব।”
“উনি তো আপনার দ্বিতীয় স্ত্রী, তাই না?”
“হ্যাঁ। ”
“তা উনি আপনার বাড়ি ছেড়ে এই ফ্ল্যাটে এসে থাকছিলেন কেন?”
“কিছু কারণে কয়েকদিন আগে আমাদের মাঝে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। তারপর থেকেই সে আমার সাথে রাগ করে এখানে এসে থাকছে।”
“এটা আপনাদের চেনা কারো ফ্ল্যাট?”
“হ্যাঁ। আমার ফুপু শাশুড়ির।”
“ফুপু শাশুড়ি! ”
“জি। আমার প্রথম স্ত্রীর ফুপু হন উনি।”
“আই সী। তা আপনার স্ত্রীকে যে নিয়ে যাচ্ছে তাকে আপনি আগে থেকে চেনেন? মানে আগে কখনও দেখেছেন?”
“হ্যাঁ।”
“চিনেন! আপনার স্ত্রী চিনে?”
“হ্যাঁ। ”
“উনি আপনাদের কে হয়? সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যাচ্ছে আপনার স্ত্রী দরজা খুলে উনার সামনে কথা বলেছেন।”
“লোকটা আমার স্ত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক। আমাদের বিয়ের আগে ওদের সম্পর্ক ছিল। বিয়েটা অন্য সিচুয়েশনে হয়েছে। আপনাকে ঠিক বুঝাতে পারব না। কিন্তু বিয়ের পর আর ওদের মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিল না।”
“আপনি বলতে চাইছেন দাম্পত্য জীবনে আপনারা সুখী ছিলেন?”
“অফকোর্স।”
“তাহলে আপনাদের ঝগড়াটা কী কারণে হলো? এমন ঝগড়া হলো যে, আপনার স্ত্রী রাগ করে একেবারে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে।”
এই পর্যায়ে ইরফান আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারছে না। সে রেগে গিয়ে বলল,
“আমাদের ঝগড়ার কারণ জানার জন্য নিশ্চয়ই আপনাকে ডিকি নি। বিয়ের আগে আমার স্ত্রীর কার সাথে সম্পর্ক ছিল সেটা আমার কাছে ম্যাটার করে না। এখন আমি জানি আমরা কতটা খুশি আছি। আপনি তো সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাচ্ছেন, লোকটা ওর হাত ধরে ওকে জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তবুও কেন এত প্রশ্ন করছেন? আপনাদের গাফিলতির কারণে আমার ওয়াইফের কিছু হলে আমি কিন্তু আপনাদের ছাড়ব না। আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারেন অ্যাকশন নিন। ওই লোকের হাত থেকে আমার ওয়াইফকে উদ্ধার করুন। মেহরীনকে বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার পর আমি ঠান্ডা মাথায় বসে আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেব। কিন্তু এখন আপনারা কিছু করুন। নইলে ওকে খুঁজে বের করার জন্য আমাকেই একটা পথ ধরতে হবে।”
.
মেহরীনের কিডন্যাপের খবর পেয়ে হুমায়রা, ফুপি,হুমায়রার বাবা সবাই চলে এসেছে।
আয়াম মাম্মীকে না পেয়ে পুলিশ দেখে কাঁদছে। এই পরিস্থিতিতে তার ভয় পাওয়ারই কথা। ছোট বাচ্চা সে আর কতটুকু বুঝে। আয়াম কাঁদতে কাঁদতে ইরফানকে বলল,
“পাপা, মাম্মীকে কে নিয়ে গেছে? মাম্মী আমাকে বলেছিল, তুমি মাম্মীকে সরি বললেই মাম্মী বাসায় চলে যাবে। তাহলে এখন মাম্মীকে পাওয়া যাচ্ছে না কেন? মাম্মী কোথায় গেছে?”
ইরফান আয়ামকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“মাম্মীর সাথে তোমার কখন কথা হয়েছে, বাবা?”
“স্কুলে। মাম্মী তো আমার স্কুলে যেত। আমার সাথে দেখা করত।”
“এই কথা তুমি আমাকে আগে বলোনি কেন আয়াম।”
“মাম্মী বারণ করেছিল। মাম্মী বলেছিল তোমার সাথে রাগ করেছে। তাই যেন আমি তোমাকে না বলি। আর তোমাকে বিরক্তও না করি। মাম্মী কয়দিন পরেই বাসায় ফিরে যাবে।”
.
অনন্তর মাথা যদি আগের মত খেলত, তাহলে সে ঠিকই একবার হলেও পুলিশের কথা ভাবত। তার মাথায় আসত ইরফান মেহরীনকে খুঁজে না পেলে পুলিশে খবর দেবে। বা তাকে খোঁজার চেষ্টা করবে। সে মেহরীনকে নিয়ে অন্য কোথাও সরে গেল না। তার ফ্ল্যাটেই রইল। আসলে অনন্ত যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তা সে নিজেও বুঝতে পারছে না।
এখন তার সমস্ত চিন্তা মেহরীনকে কীভাবে নিজের কাছে রাখা যায়। কীভাবে ইরফানের থেকে দূর করা যায়।
“মেহু, মেহু তুই ওই ইরফানকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করবি।”
“মরে গেলেও না। তুমি একটা পাগল। তোমাকে আমি মরে গেলেও বিয়ে করব না।”
অনন্ত ঠাস করে মেহরীনের গালে চড় মারল। চড় মেরে সে নিয়েই অবাক হয়ে কতক্ষণ নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে রইল। পরক্ষণে সে কী করেছে এটা বুঝতে পেয়ে হাত সমানে দেয়ালের সাথে বাড়ি দিতে লাগল। মেহরীন চড় খেয়ে যতটা বিস্মিত না হয়েছে, অনন্তর কাণ্ড দেখে তার চোখ বড় হয়ে গেল। অনন্ত ছুটে এসে মেহরীনের গালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলতে লাগল,
“তোকে মেরেছি আমি! ব্যথা পেয়েছিস মেহু? আমি তোকে মেরেছি! দেখ এই হাতকে আমি কীভাবে শাস্তি দেই। এই হাত তোকে মেরেছে, না?”
এটা বলে সে আবার ফ্লোরে হাত বাড়ি দিতে লাগল। মেহরীনের মুখে কোন কথা নেই। সে ভয়ে মরার মত ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। অনন্ত সত্যি সত্যিই পাগল হয়ে গেছে। এর জন্য একদিক দিয়ে সে-ই দায়ী। তাকে ভালোবেসেই অনন্ত এমন পাগলামি করছে। তাকে পাওয়ার তাগিদে অনন্তর আজ এই অবস্থা হয়েছে। অনন্তর জন্য মায়াও লাগছে তার। এই অনন্তকে সে কখনও দেখেনি। তার দেখা অনন্ত ছিল, কঠিন, গম্ভীর। যে কাউকে পাওয়ার জন্য এতটা উতলা হতো না। তার স্বভাবে এমনটা ছিল না। মেহরীন সেই সময়টার কথা ভাবছে। যখন সে অনন্তকে বিয়ের কথা বলত। আর অনন্ত হেসে বলত, মেহু আমার উপর কি তোর বিশ্বাস নেই? তুই কি ভাবিস আমি তোকে কখনও ধোঁকা দেব? তোকে ছেড়ে অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করব! আরে পাগল, আমি তো শুধু তোকেই ভালোবাসি। বিয়ে কী বল তো? আজ করি বা দশ বছর পর। বউ তো তুই আমারই হবি।”
মেহরীন কাঁদছে। সে নিজের কথা ভাবছে না। অনন্তর এই অবস্থা তাকে এখন কষ্ট দিচ্ছে। সে এর জন্য মনে মনে নিজেকেই দায়ী করছে।
ভালোবাসা মানুষকে কী থেকে কী বানিয়ে দিতে পারে। কাউকে নতুন করে গড়তে পারে। আবার কাউকে পুরোপুরি শেষও করে দিতে পারে।
“আমরা বিয়ে করব। তুই আমি এই শহর ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাব। কেউ আমাদের পাবে না। অনেক সুখে থাকব আমরা। যাবি না মেহু? বল তুই যাবি না?”
মেহরীন কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“যাব। যাব।”
মেহরীনের এই কথায় অনন্ত খুশি হয়ে উঠল। মেহরীন আসলে একটু সময় চাচ্ছিল। তার মন বলছিল, ইরফান নিশ্চয়ই তাকে খুঁজতে খুঁজতে এখানে চলে আসবে। অনন্তর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। এখন মেহরীন তার কথা না শুনলে সে যেকোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে। হয়তো রাগের মাথায় মেহরীনের গলা টিপে তাকে মেরেও ফেলতে পারে। মেহরীন চোখ বুজলো। তার চোখের সামনে আয়ামের মুখটা ভেসে উঠছে। মেহরীন ফোঁপাতে ফোপাঁতে বলল,
“আয়াম বাবা, আমি কি শেষ বারের মত তোমাকে দেখতে পারব না? তোমার মুখ থেকে মা ডাক শোনার জন্য আমার বুক তৃষ্ণার্ত হয়ে আছে। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে এসো বাবা। তোমার পাপাকে নিয়ে আমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে যাও। আমি তোমাদের সাথে নিয়ে আরও অনেক বছর বাঁচতে চাই।”
অনন্ত হঠাৎ স্বাভাবিক হয়ে বলে উঠল,
“মেহু, চল আমরা এখান থেকে চলে যাই। এখানে বেশি দেরি করলে ওই ইরফান চলে আসবে। ওই কুত্তার বাচ্চা তোকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চায়। আমি ওকে সেই সুযোগ দেব না। ও আসার আগেই তোকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাব। হা হা… ইরফান আমাদের নাড়াল পাবে না।”
মেহরীন অনন্তকে যতটা পাগল ভাবছিল, অনন্ত এখনও ততটা পাগল হয়নি। তার বোধশক্তি কাজ করছে। শুধু তার মাঝে পাগলামির ছিট দেখা যাচ্ছে। মেহরীন মনে মনে আল্লাহকে ডাকছে,
“আল্লাহ এই পাগলের হাত থেকে তুমি আমাকে রক্ষা করো।”
.
ইরফান যখন পুলিশের সাথে অনন্তর ফ্ল্যাটে পৌঁছুল তখন অনন্ত মেহরীনকে নিয়ে অন্য কোথাও সরে পড়ছিল। মেহরীন ইরফানকে দেখেই অনন্তর হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে চলে এসে ইরফানের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে। তখন অনন্তর হাতে কোন অস্ত্র ছিল না বলে পুলিশ তাকে খুব সহজেই ধরতে পেরেছে। অনন্ত গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে।
“আমি তোকে ছাড়ব না ইরফান। আমি তোকে ছাড়ব না। তুমি মেহুকে আমার থেকে নিতে পারবি না।”
মেহরীন ইরফানের বুকে নিজের নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়ে চোখের জলে বুক ভাসিয়ে দিল।
“আপনি এত দেরি করে এলেন কেন? ওই পাগল আমাকে মেরে ফেলত। আপনি জানেন না ও পাগল হয়ে গেছে। আমার ভীষণ ভয় করছিল।”
ইরফান মেহরীনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,
“এখন তো আমি এসে গেছি। দেখো আমি তোমার পাশে আছি। ভয় পেও না। ও এখন আর তোমার কিচ্ছু করতে পারবে না। আমি তোমার কিছু হতে দেব না। ওকে এখন পুলিশে ধরে নিয়ে যাবে।”
তবুও মেহরীনের কান্না থামছে না। সে সত্যিই অনেক ভয় পেয়েছে।
“এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিল, আমি বোধহয় আর আপনাদের দেখতে পাব না। আয়ামের মুখ থেকে আর মা ডাক শুনতে পাব না। আয়াম, আয়াম কোথায়?”
“ও বাবার কাছে আছে। তুমি চিন্তা কোরো না। তোমার ছেলের কিছু হয়নি। আয়াম এখন বড় হয়ে গেছে। ও বুঝতে শিখেছে।”
পুলিশ যখন অনন্তকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে তখন অনন্ত আগুন চোখে মেহরীনের দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমাকে ধোঁকা দিয়েছিস তুই! আমার সাথে যাবি বলে আমাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলি! তোকে আমি ছাড়ব না। তোর ওই ইরফানকেও দেখে নেব আমি।”
পুলিশ অফিসার ধমক দিয়ে বললেন,
“আচ্ছা, আচ্ছা দেখে নিস। আগে তো আমরা তোকে দেখে নিই। তারপর জেল থেকে সহিসালামত বের হতে পারলে তুইও উনাকে দেখে নিস। দেখাদেখির জন্য আমরা আছি। আর হাতেও অনেক সময় আছে।”
.
মেহরীনকে বাড়ি নিয়ে এলে সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে ওকে ঘেরে ধরে। আয়ামকে দেখে মেহরীন নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে ওকে জড়িয়ে ধরে আবার কাঁদতে শুরু করে।
“তোমাকে ছেড়ে বাড়ি থেকে যাওয়াই আমার ঠিক হয়নি বাবা। আমার ভুল হয়ে গিয়েছিল। আমি তোমাদের ছাড়া থাকতে পারব না। আমার বেঁচে থাকার জন্য তোমরা আমার নিঃশ্বাসের মতই জরুরি। আমাকে ক্ষমা করে দিও আয়াম।”
আয়াম মাম্মীর মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
“মাম্মী কেঁদো না। ও মাম্মী, তুমি কাঁদলে আমার কষ্ট হয়না! তুমি আমার বেস্ট মাম্মী। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।”
“আমিও তোমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি বাবা।”
হুমায়রা মেহরীনকে ঘরে নিয়ে ওকে একটু ধাতস্থ করে আয়ামের সাথে রেখে বাইরে ইরফানের সাথে কথা বলতে গেল।
এখানে ওদের দু’জনের বাবা, ফুপি সবাই আছে। মিসেস হেমা বললেন,
“ছেলেটা মেহরীনকে কেন ধরে নিয়ে গিয়েছিল?”
হুমায়রা বলল,
“সেসব অনেক কথা ফুপি। আমি পরে তোমাকে সব বুঝিয়ে বলব। কিন্তু দুলাভাই আপনি এখন কী করবেন? ওই ক্রিমিনালের শাস্তি হবে না?”
বাবা ফোঁসে উঠে বললেন,
“অবশ্যই হবে। ওকে এমনি এমনি ছেড়ে দিলে ওই ছেলে কখনও মেহরীনের পিছু ছাড়বে না। ওকে যোগ্য শাস্তি দিতে হবে।”
“হবে বাবা। ওর সাজা হবে। পুলিশ ওকে নিয়ে গেছে। মেহরীনের সাথে ও যা করেছে তারপর আর ওকে ছেড়ে দেওয়া যায়না।”
ইরফান আজ অনেকদিন পর ঘরে এসে মেহরীনকে দেখল। মেহরীন আয়ামের পাশে শুয়ে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। ইরফান মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল। সব ঠিক আছে। মেহরীন তার কাছে ফিরে এসেছে। মেহরীন ওর দিকে তাকালে ইরফান শব্দ না করে ঠোঁট নাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল,
“আয়াম ঘুমিয়ে গেছে?”
মেহরীন মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে এক ধ্যানে এই মানুষটার দিকে তাকিয়ে রইল। এই মানুষটা এই পৃথিবীতে তার নিরাপদ আশ্রয়। তার ভালোবাসা। তার স্বামী। মানুষটার দিকে তাকিয়ে সে বিনা ক্লান্তিতে এক যুগ পার করে দিতে পারবে।
চলবে___
আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/107175347372111/posts/547240126698962/