#নিরবতায়_হৃদয়_কোনে
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৮
ভাদ্রমাসের পূর্ণিমা, আকাশে মস্ত বড় রাজকীয় চাঁদের ঝলমলে আলো। রাত গভীর হচ্ছে, কিন্তু ধরনীতে অন্ধকারের ছিটেফোঁটা ও নেই। অপরূপ সৌন্দর্য্যের উজ্জ্বল রাতে ঘুমে তলায়নি নির্ভীক। ফোন হাতে নিয়ে বিরতিহীন ভাবে পায়চারি করছে। কোথাও যদি চাকরির দেখা মেলে। অনেকক্ষণ পর পরিচিত নাম্বার রিসিভ হতেই একটু আশার আলো দেখলো সে।
কিন্তু তার সমস্ত আশাকে নিরাশা করে চূর্ণ করে দিলো অপরূপাশের ব্যক্তিটি।
ভেবেছিলো মিতালীকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারবে, কিন্তু পারলোনা।
ফোন রেখে আবার ও পায়চারি করলো। ভেবেচিন্তে লম্বা শ্বাস নিয়ে আরও একটি নাম্বারে ডায়াল করলো। তৃতীয়বার রিসিভ হলো।
সালাম দিলো নির্ভীক।
ওপাশ থেকে বেশ ভারী কন্ঠস্বর শোনা গেলো। রাশভারি গলায় সালামের জবাব দিলেন লোকটি। স্বাভাবিক বাক্যালপ শেষ করেই নমনীয় হলো নির্ভীক। ছোট স্বরে ইতস্তত করে বলল,
-“আঙ্কেল আপনার স্কুলে কোনো শিক্ষক কোটা খালি আছে?”
ভদ্রলোক নির্ভীকের মায়ের মামাতো ভাই। তার পরিচালনায় একটা কিন্ডারগার্টেন চলে।
তিনি উৎফুল্ল মেজাজে বললেন,
-“তুমি চাকরি করবে না-কি? আমরা কিন্তু দক্ষ শিক্ষক খুঁজছি।”
নির্ভীকের ঠোঁটে এক চিলতে স্বস্তির হাসি দেখা গেলো। ভদ্রলোককে বলতে নিচ্ছিলো “চাকরি আমার বন্ধুর জন্য”।
তার পূর্বেই ভদ্রলোক আবারও বললেন,
-” তোমার পরিচিত দক্ষ কেউ থাকলে বলতে পারো। আমাদের শিক্ষক কোটা খালি আছে।”
এ যে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। দারুণ এক লো*ভনীয় অফার অনায়াসে লুফে নিলো নির্ভীক। সে সিদ্ধান্ত নিলো চাকরি সে ও করবে। তখন আর মাঝখানে খুব বেশি দূরত্ব আসবেনা। সে মিতালীর কথা বলে দিলো।
-“আঙ্কেল আমার একজন বন্ধু আছে, ভালো স্টুডেন্ট। ও কে ও নিয়ে আসি?”
ভদ্রলোক খুশি হয়ে বললেন,”বেশ, তাহলে কালই দুজনে একবার এসো।”
-“জি আঙ্কেল।”
বিনয়ের সাথে ফোন রাখলো নির্ভীক। পরপরই ফোন লাগালো মিতালীর নাম্বারে। দ্রুতই ফোন রিসিভ হলো।
মিতালী বলল,
-“ফোন দিয়েছিস কোন সুখে?”
একটু চুপ থেকে নির্ভীক বলল,
-“মন খা*রা*প?”
মিতালী বিরক্ত হয়ে বলল,
-“মন খা*রা*প হলে কী করবি?”
-“নিমিষেই যাদু করে তোর মন ভালো করে দেবো।”
মিতালী আরও একটু বিরক্তিবোধ করলো। বলল,
-“ওহ্ প্লিজ! তোর কবিতা শুনে এই মুহূর্তে আমার মন ভালো হবেনা।”
নির্ভীক বলল,
-“আমি মজা করার মুডে নেই। সত্যিই তোর মন ভালো করার ক্ষমতা এই মুহূর্তে আমার আছে।”
-“আচ্ছা, দেখি কেমন মন ভালো করিস।”
মিতালীকে একটু চমকে দিয়ে বলল,
-“চাকরি ম্যানেজ। তুই আর আমি, দুজনেই একসাথে চাকরি করছি।”
ভীষণ অবাক হলো মিতালী। তার হতভম্ব ভাব কাটলোনা। একইভাবে বোঝার চেষ্টা করলো।
-“মানে!”
একটু একটু করে সন্ধ্যা থেকে একটু আগ পর্যন্ত নিজের কর্মসাধনের কথা জানাতেই মিতালী বুঝতে পারলো। সত্যিই তার মন ভালো হয়ে গেলো। মিষ্টি হেসে বলল,
-“সত্যিই তো! যাদু করে আমার মন ভালো করে দিলি।
এজন্য তোর একটা উপহার তোলা রইলো।”
নির্ভীক বলে বসলো,
-“উপহার চুজ করার অধিকারটা কিন্তু আমিই নিলাম। একদিন চেয়ে বসবো কিন্তু।”
মিতালী হেসে ফেললো। রিনিঝিনি ঝংকার তুললো নির্ভীকের কর্ণধারে। একবার চোখের তৃষ্ণা মেটানোর লালসা জাগলো মনে।
মিতালী মিষ্টি করে আবদারের সুরে বলল,
-“এবার একটা কবিতা শোনা।”
নির্ভীক কটাক্ষ করে বলল,
-“একটু আগে কী বলেছিলি, আমি কি ভুলে গিয়েছি?”
-“প্লিজ!”
এমন সুমিষ্ট স্বরের আহ্লাদী আবদার না রেখে পারলোনা নির্ভীক। গলায় কবিতার টা*ন ধরলো।
“কোথায় পেয়েছ তুমি এই হাসি, প্রাণ কেড়ে
নেয়া এই দুটি চোখ-
কোন বনহরিণীর কাছে পেলে এই চকিত চাহনি!
এই চোখ দেখে আমি বহুদিন খুঁজেছি উপমা
কখনো সবুজ বন, কখোন উদার আকাশ-
কোনদিন জলভরা মেঘ তোমার চোখের সাথে
মনে মনে মিলিয়েছি আমি,
কিন্তু তোমার চোখের কাছে দেখেছি এসব কিছুই স্তিমিত।”
“মহাদেব সাহা”
মিতালী ঢিমে স্বরে প্রশ্ন করলো,
-“কবিতাটি আমার জন্য?”
শীতল কন্ঠে জবাব আসলো,
-“শুধু কি এই কবিতাটিই তোর জন্য মনে হলো? আর কোনোটি মনে হয়নি?”
চমকে উঠলো মিতালী। গভীর অন্ধত্বের ঘোর থেকে বেরিয়ে সুর পাল্টে ফেললো। চটপটে স্বরে বলল,
-“কিজানি, আমি অতটা মর্মার্থ ধরতে পারিনা। তা কাল কখন বের হচ্ছি আমরা?”
নির্ভীক দীর্ঘশ্বাস ফেললো। মেয়েটা যেনো বুঝেও বুঝলোনা। নাকি বুঝতে চায়না।
সময়টা বলেই বিদায় নিলো সে।
সেদিনের পাশাপাশি তোলা দুজনকে একই ফ্রেমে বন্দী দেখে না পাওয়ার তৃপ্তি মেটাতে চাইলো। একবুক প্রেম নিয়ে দু’ঠোঁটের ফাঁক গলিয়ে আওড়ে নিলো মনঃ কথন।
“তোমার সান্নিধ্যের প্রতিটি মুহূর্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতের
মতো মনোরম
একটি তুচ্ছ বাক্যালাপ অন্তহীন নদীর কল্লোল,
তোমার একটুখানি হাসি অর্থ
এককোটি বছর জ্যোৎস্নারাত
তুমি যখন চলে যাও পৃথিবীতে আবার হিমযুগ নেমে আসে।”
——মহাদেব সাহা।
★★★
সাদামাটা সুতোয় গাঁথা জামা গায়ে জড়িয়ে দু’পায়ে চলনসই একজোড়া জুতা পরে বের হলো মিতালী। যাওয়ার আগে মাকে হু*ম*কি দিতে ভুললোনা। বলে গেলো,
-“তুমি যদি এদিকওদিক গিয়েছো আমি শুনেছি, তবে আজকের পর আর আমার দেখা পাবেনা।”
রোগ-শোকে বার্ধক্য থলথলে চামড়ার শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন রোজী বেগম। মেয়ের কথার নড়চড় করার সাহস পেলেননা। তবে চিন্তা ও গেলোনা। মিতালী চাকরির সুসংবাদ মাকে দিতে ভুললোনা। একটু স্বস্তি পেলেন রোজী বেগম।
মাহা টিউশন শেষ করে স্কুলের জন্য তৈরী হয়ে নিলো। দুবোন একসাথেই বের হলো।
নির্ভীকের সাথে দেখা হতেই তারা আলাদা হয়ে গেলো। মাহা এগোলো নিজ স্কুলের পথ ধরে।
নির্ভীক রিকশা ডাকলো। পাশাপাশি চড়ে তার ভীষণ প্রেম প্রেম পেলো। এই শরতের দিনে সে ঠকঠক করা ঠান্ডায় কেঁপে উঠলো।
পাশ থেকে মিতালী টের পেলো নির্ভীকের নিমেষহীন উচাটন। চট করে তার একখানা হাত মুড়িয়ে নিলো নিজের হাতের মুঠোয়। অবলীলায় ত্রস্তব্যস্ত ভাবে নির্ভীকের হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভীতিকর স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
-“তোর হাত এমন ঠান্ডা হয়ে আছে কেন? এমন কাঁপছিস’ই বা কেন?”
নিথর হয়ে আসা গভীর স্বরে নির্ভীক বলল,
-“আমার প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছে। এই মুহূর্তে একটা চাদর লাগবে।”
মিতালীর ললাটে চিন্তার গভীর ছাপ পড়লো। এমুহূর্তে শরীরে জড়ানো ওড়না ছাড়া বাড়তি একটুকরো কাপড় তার কাছে নেই। তাবে কী করে নির্ভীকের শীত নিবারন করবে?
নির্ভীক নির্দ্বিধায় চেয়ে রইলো তার প্রতিটি অস্থিরতা মুহূর্ত। মিতালীকে চিন্তা মুক্ত করতেই সে রিকশা থামিয়ে নেমে পড়লো। হুট করে নির্ভীকের এমন নেমে পড়ায় ভড়কে গেলো মিতালী।
নির্ভীক হেসে বলল,
-“চা খেলে ঠিক হয়ে যাবে। তুই এখানে বস, আমি চা নিয়ে আসছি।”
মিতালীর কথা না শুনেই চা নিতে চলে গেলো নির্ভীক। রিকশাওয়ালা মামা বিরক্ত হলেন। তার বিরক্ত হওয়া সাজে বটে। এভাবে মাঝরাস্তায় রিকশা থামিয়ে কে দাঁড়িয়ে থাকবে?
উনাকে বেশি বিরক্ত না করে ত্রস্ত ভঙ্গিতে ফিরলো নির্ভীক। হাতে দুটো ওয়ান টাইম কাপ। রিকশায় চড়ে বসলো। চায়ে চুমুক দিয়েই মিতালী জিজ্ঞেস করলো,
-“এখন কেমন লাগছে?”
-“ভালো লাগছে।”
ছোট করে উত্তর দিয়ে মনে মনে বলল নির্ভীক,
-“যদি তুমি জানতে কী আমার অসুখ,
তবে বুকের খাঁচায় বন্দী করে বলতে
কাটুক সময় এভাবেই কাটুক।”
মিতালী নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো একবার নির্ভীকের হাত ছুঁয়ে দিলো।
একটু কেঁপে উঠেই স্বাভাবিক হলো নির্ভীক।
স্কুলে পৌঁছে ভাড়া মেটালো। সরাসরি অফিস কক্ষের সামনে গিয়ে স্থির হয়ে সর্ব প্রথম অনুমতি চাইলো। অনুমতি নিয়ে দুজনে ভেতরে প্রবেশ করলো।
হারুনর রশীদ কথা বলেই দুজনকে দুটো ক্লাসে পাঠালেন।
এখান থেকেই তাদের যাত্রা শুরু।
★★★
আকাশে মেঘ করেছে, ভারী বর্ষনের পূর্বাভাস। ঝড়ো বাতাসে আকাশ রঙের ইউনিফর্ম ভেসে বেড়ালো। বিরক্তিতে চোখমুখ কুঁচকে খাটো করে নিলো মাহা। বাড়ি ফেরার সময় এমন আবহাওয়ার মানে কি?
-“ইশরাক তাড়াতাড়ি চল।”
মাহা আশেপাশে তাকালো। কে কথা বললো?
তার থেকে কিছুদূর দুটো ছেলেকে এগিয়ে আসতে দেখলো দ্রুত পায়ে। মুহূর্তেই সকল বিরক্তি মুগ্ধতায় রূপ নিলো। স্থির হলো চোখজোড়া। গ্রামে পরিপূর্ণ আধুনিকতার বেশধারী যুবককে দেখে কিশোরী মনে আবেগ জন্মালো। দৃষ্টি ফেরালোনা সে, চেয়ে গেলো অবিরাম।
বন্ধুর কথায় সায় জানিয়ে দ্রুত এগিয়ে গেলো ইশরাক। কতবছর পর সবার সাথে দেখা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যে আকাশের এমন মেঘ মেঘ বদন দেখতে হবে, কে জানতো?
আশেপাশে না তাকিয়ে প্রস্থান করলো। চতুর্দিকে দৃষ্টি ফেরালে হয়তো নজরে পড়তো কারো সুপ্ত গভীরতম চোখে সে এক ঢোক নে*শা পানীয় হয়ে রইলো।
লোকটি চক্ষু অগোচরে হারিয়ে গেলো, কিন্তু মাহার পা জোড়া এগোলোনা। অন্তঃকোণে ঘনঘন উচাটন হলো। অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনে কেঁপে কেঁপে উঠলো সে।
বাড়ি ফিরে নিজেকে ঘরবন্দী করলো। বুকের নিচে চাপা পড়লো নিরীহ বালিশ। চিনচিনে ব্যথাভাব কমাতে থম ধরে পড়ে রইলো। তার কিছু ভালোলাগছেনা। পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা থাকলেও খাওয়ার ইচ্ছে হলোনা। তার ভীষণ কান্না পাচ্ছে। কী এই অযাচিত কান্নার কারণ? সে জানেনা। শুধু জানে তার কাঁদা উচিত। অন্তঃকরণে প্রজাতির দল সুখ সুখ পাখা ঝাপটালো।
বুকের ভেতরে একদল অনুভূতিরা হৈচৈ করে বলল “তাকে আরও একবার দেখি, অনন্তকাল দেখি।”
★★★
প্রথম ক্লাস খুব ভালো কা*ট*লো মিতালীর। স্টুডেন্ট অল্পস্বল্প। যতটুকু বুঝতে পারলো তাদের শ্রম দিতে হবে। এই ছোট বাচ্চাদের গড়ে তোলার দায়িত্ব তাদের।
রান্না বসিয়ে গোসল নিলো সে। গ্রামাঞ্চল হলেও একটা বিশেষ সুবিধা হলো তাদের এলাকায় বাড়ি বাড়ি গ্যাস লাইনের ব্যবস্থা আছে। গোসল নিয়ে চুলায় আলুভাজি বসিয়ে দিলো। অবশিষ্ট থাকলে সকালে সবাই মিলে রুটির সাথে খাওয়া যাবে। আজই মাহবুবের দিকে খাওয়ার পনেরোতম দিন। ভাত নিয়ে রুমে ফিরলো। আসার পর থেকেই মাহাকে কেমন ঘাপটি মে*রে শুয়ে থাকতে দেখে কপালে, গলায় হাত ছুঁয়ে দেখলো। নাহ্ জ্বর-টর আসেনি। নরম স্বরে জিজ্ঞেস করলো,
-“কী হয়েছে মাহা? খা*রা*প লাগছে?”
মাহা ব্যাপারটা লুকিয়ে গেলো। মৃদু শব্দে বলল,
-“আমার বুকের ভেতর আইঢাই করছে, পেট গুড়গুড় করছে। বোধ করি আমি ম*রে-টরে যাবো।”
মিতালী ব্যস্ত হয়ে বলল,
-“কিছু নিয়ে ভ*য় পেয়েছিস, সোনা? বল আমাকে কেন খা*রা*প লাগছে?”
গাল থেকে মিতালীর হাত সরিয়ে দিয়ে মাহা চোখ বুঁজে ফেললো। ধীর স্বরে বলল,
-“এখন একটু ভালোলাগছে, আমায় এখন বিরক্ত করোনা।”
মিতালী চুপচাপ খাওয়া শেষ করলো।
রাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘর থেকে বের হলো। সবাই রাতের খাবার খেতে বসেছে। মিতালী সেখানে গিয়ে দাঁড়ালো। মাহবুব কিছু নিয়ে হয়তো রে*গে আছে। তার রা*গ সুঁচ হয়ে বাবা-মাকে আ*ঘা*ত করতে ভুললোনা।
দুর্বৃত্ত গলায় বলল,
-“এই কু*ফা গুলার খাওন আইতে না আইতেই আমার রোজগার কইমা গেলো। একের পর এক বি*প*দ মাথায় চাইপ্পা বসে। ফকিন্নির জাত।”
ভাতের প্লেটে ঝোলে মাখোমাখো হাত। লোকমা উঠছেনা হাতে, তবে চোখের পানি টপটপ করে ভাতের প্লেটে ঠিকই স্থান নিচ্ছে৷ বাবা মায়ের এই করুণ কান্না মিতালীর ভেতরটা নাড়িয়ে দিলো। দুমড়েমুচড়ে উঠলো অন্তঃস্থল। তার গলার স্বর চওড়া হলো।
-“কোন সাহসে আব্বা আর মাকে তুমি কথা শোনাচ্ছো? তোমাকে তো কেউ বলেনি তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে।”
মাহার শরীর ও আজ প্রচন্ড রা*গে থরথর করে কেঁপে উঠলো। উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করে বলল,
-“খোদার কসম, আমার আব্বা আর মায়ের চোখ থেকে যদি দ্বিতীয়বার অশ্রু ঝরে, তোমায় র*ক্ত*ক্ত করতে আমার সময় লাগবেনা।”
মাহবুব, পিয়ালী দুজনেই আহত বাঘের মতো গর্জে উঠলো। মিতালী আজ বাঁধা দিলোনা মাহাকে। কথা বলতে দিলো। চুপ থাকাকে এরা দুর্বলতা মনে করে বারবার আ*ঘা*ত করতে আসে। খুব শীঘ্রই এর একটা বিহীত হবে। সন্তর্পণে ফোনের রেকর্ড অপশন অন করে নেয় সে। এরা মি*থ্যা*বা*দী। আজ কী বলেছে, আগামীকাল তা ভুলে যাবে। শক্ত প্রমাণ না থাকলে ধূ*র্ত শেয়ালের মতো ট*প*কা*তে সময় লাগবেনা।
হঠাৎ মাহবুবের হাত থেকে একখানা জুতা এসে পড়লো মাহার শরীরে।
#চলবে……