#মেঘের_আড়ালে_মেঘ”১৬”
#জেরিন_আক্তার_নিপা
চামড়ায় মোড়ানো লাল রঙের সুন্দর একটা ডায়েরি। কার ডায়েরি হতে পারে এটা? ইরফানের? নাকি হামনার? কারো ব্যক্তিগত জিনিসে না বলে হাত দেওয়া ঠিক না। আর এটা তো ডায়েরি। এখানে নিশ্চয়ই অনেক ব্যক্তিগত কথা লিখা থাকতে পারে। না, এই ডায়েরি পড়বে না সে। যেখানে ছিল সেখানেই রেখে দিবে। তারপরও মানুষের মন। কৌতূহল দমন করে রাখা সত্যিই কঠিন। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সব সময় একটু বেশিই আগ্রহ কাজ করে।
“আমি তো আর কারো ঘরে গিয়ে চুরি করে তার ডায়েরি পড়ছি না। সামনে পেয়েছি তাই হাতে নিয়েছি। আমার মনে তো আর কোন অসৎ উদেশ্য নেই। কার ডায়েরি এটা দেখতে তো কোন অন্যায় নেই।”
এমন অনেক যুক্তি দিয়ে নিজেকে বোঝালো মেহরীন। মনের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করলেও ডায়েরিটা খুলে দেখল। প্রথম পেইজে গোটা গোটা হাতে লেখা, “স্বপ্ন ঝুলি”
“স্বপ্ন ঝুলি! একটা ডায়েরির নাম!”
এক পাতা করে ওল্টাতে লাগল সে। এত সুন্দর হাতের লেখা কার হতে পারে। লেখাগুলো পড়তে পড়তে বুঝল এটা হামনার ডায়েরি। এখানে হামনার অনেক কথাই লেখা আছে। তার সব স্পেশাল দিনগুলির তারিখ লেখা আছে। কেন সেই তারিখ গুলো তার কাছে স্পেশাল এটাও পাশে ছোট করে লেখা আছে। মাঝখানে গিয়ে একটা লেখার উপর মেহরীনের চোখ আটকে গেল। “আমার জীবনে তার আগমন”
“নিশ্চয়ই হামনার জীবনে ইতর লোকটার আগমন নিয়ে কিছু লেখা আছে। ওই খবিশ ব্যাটার লাভ স্টোরি তো পড়তেই হবে। সরি, হামনা। আমাকে ক্ষমা করে দিও। অনুমতি না নিয়েই তোমার ডায়েরি পড়ছি। তোমার থেকে তো চাইলেও অনুমতি নিতে পারব না, তাই না। তুমি রাগ করো না। তুমি বেঁচে থাকলে আমি কখনোই তোমার ডায়েরি পড়তাম না।
মেহরীন বিছানায় গিয়ে পা তুলে বসে পড়তে শুরু করল।
” আজ আমরা নতুন বাসায় উঠেছি। আগে যেই বাসা টায় থাকতাম, ওখান থেকে আব্বু অফিস অনেকটা দূরে। যাতায়াত করতে আব্বুর কষ্ট হয় বলেই এই নতুন বাসা নেওয়া। ও বাসাটা আমার ভীষণ প্রিয় ছিল। বড় ছাদ ছিল। ছাঁদে আমি অনেক ফুলের গাছ লাগিয়েছি। সব ছেড়ে চলে আসতে হলো। এখানে এসেই আমার সাথে ভীষণ বাজে একটা ঘটনা ঘটলো। একে তো ওই বাসা ছাড়ার দুঃখ, তার উপর এক বাউণ্ডুলে ছেলের জন্য আমার একুরিয়াম ভেঙে সব মাছ মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে। দু’টা মাছ মারাও গেছে। গাড়ি থেকে জিনিসপত্র নামানো হচ্ছিল তখন। আমার কোলে পুচি(বেড়ালের নাম) হুমুর কাছে ঝুন্টু(টিয়া পাখি)
“এই, এই ভাইয়া, আমার একুরিয়ামটা সাবধানে নামাবেন। মাছগুলোর যেন কিছু না হয়। সকাল থেকে খাবার দিতে পারিনি। বেচারারা এমনিতেই খিদে কাত হয়ে আছে।”
পুচি তখন ম্যায়াও করে উঠল।
“তোকেও খাওয়াইনি। আমি জানি তো। রাগ করিস না। নতুন বাসায় উঠে নিই, সবার আগে তোকে খাবার দেব।”
টিয়া পাখিটা খাঁচার ভেতর লাফিয়ে লাফিয়ে বলছে,
“খাব,খাব,খাব।”
আর ঠিক তখনই কাণ্ডটা ঘটল। একটা ফুটবল উড়ে এসে হামনার একুরিয়ামের লাগলো। ঝনঝন শব্দে কাঁচ ভেঙে পানিসহ মাছগুলো নিচে পড়ে লাফাতে লাগল। যে দু’জন লোকের হাতে একুরিয়াম ধরা ছিল। ওরা সেভাবেই দাঁড়িয়ে হামনার দিকে হাঁ করে তাকাল। কী ঘটে গেছে তা বুঝতে হামনার দুই মিনিট লাগল। শব্দ শুনে বাবা কী হয়েছে দেখতে এসেছেন। হুমায়রা ফ্যাচফ্যাচে গলায় বলল,
“আপু!”
সবার কানে তালা লাগানোর মতো করে হামনা এক চিৎকার দিল।
“আমার মাছ!”
সে ছানাবড়া চোখে মাটিতে পড়ে থাকা মাছগুলোকে দেখছে।
বাবা বললেন,
“এসব কীভাবে হয়েছে? একুরিয়াম ভেঙেছে কীভাবে?”
একটা ছেলে বল নেওয়ার জন্য দৌড়ে এদিকে এলো। ওদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,
“এদিকে একটা বল এসেছে?”
হামনা তীক্ষ্ণ চোখে ছেলেটার দিকে তাকাল। তার চাউনির মানে, ‘দাঁড়া দেখাচ্ছি তোকে বল’
বেড়ালটা বাবার কাছে দিয়ে হামনা পাশে পড়ে থাকা বলটা হাতে নিল।
“তোমার বল এটা?”
“আমাদের। আমরা ওখানে ফুটবল খেলছি।”
“ওহ আচ্ছা।”
“বলটা দাও। দেরি হলে ইরফান ভাই রেগে যাবে।”
“ইরফান ভাই! বলটা তোমার ভাইয়ার?”
“হ্যাঁ।”
“বল এদিকে কে ছুড়েছে, তুমি?”
“না। ইরফান ভাই।”
“আচ্ছা। এই হুমু তোর ব্যাগে জ্যামিতি আছে না?”
“আছে। কেন? ”
“বের কর।”
“কেন? ”
ধমক দিয়ে হামনা বলল,
“বের করতে বলেছি। প্রশ্ন করতে বলিনি। বের কর।”
“করছি।”
হুমায়রা পাখির খাঁচা নিচে রেখে জ্যামিতি বের করল।
“করেছি।”
“কাটা কম্পাসটা দে।”
“কেন? ওহ বুঝেছি। নে।”
হামনা কম্পাস হাতে নিয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলল,
“তোমার ভাই আমার যে ক্ষতি করেছে তার পক্ষে এটা কিছুই না। এই বলের থেকে আমার মাছগুলো অনেক দামী ছিল। তোমার ভাইকে বলবে, এটা ফুটবল খেলার জায়গা না। আর খেলতে হলেও লোকের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত।”
বলেই সে কম্পাসের কাটা বলে ঢুকিয়ে দিল। ফুচ করে শব্দ হয়ে বলের সব হাওয়া বেরিয়ে গেল।
“নাও এবার এই বল নিয়ে খেল গিয়ে। আর তোমার ভাইয়াকে বলবে, কপালের নিচে চোখ না থাকলে ফুটবল খেলতে নেই।”
মেহরীন এটুকু পড়ে থামল। এইটুকু পড়েই উত্তেজনায় তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। নিশ্চয়ই এই কাণ্ডের পর ইরফান রেগে আগুন হয়েছে।
“আহ্, হামনা তো সেই সাহসী ছিল। কীভাবে বল ফোটো করে দিল! বেচারির মাছগুলোও তো কষ্ট পেয়েছে। পরে কী হলো? আর অপেক্ষা করতে পারছি না। এই ডায়েরি পুরোটা না পড়া পর্যন্ত আমার ঘুম হবে না৷ শান্তি পাব না আমি।”
মেহরীন আবার পড়তে শুরু করল।
হামনা বল ফোটো করে দিলে ছেলেটা ইরফানকে ডেকে আনলো। হামনা বলল,
“ডাকো দেখি কাকে ডেকে আনবে। আমিও দেখি তোমার ইরফান ভাইয়ের ঘাড়ে কয়টা মাথা।”
ইরফান আসতে আসতে দূরে থেকেই বলল,
“তোকে বল নিয়ে যেতে বলেছি। তুই এখানে এসে আটকে গেলি কেন? আর আমাকে ডাকছিস কেন?”
“ইরফান ভাই, এই আপুটা।”
কাছে এসে দাঁড়াল ইরফান। বিরক্ত মুখে বলল,
“কোন আপুটা? কী হয়েছে? ”
হামনা ইরফানকে উদেশ্য করে বলল,
“আপনি ইরফান? ”
“ইরফান নাম নিয়ে ডাকার পর মানুষটা যেহেতু আমি এসেছি তাহলে ধরে নিন আমিই ইরফান।”
“কথা তো ভালোই পেঁচিয়ে বলতে পারেন। দেখুন আপনি বল মেরে কী করেছেন। আমার একুরিয়াম ভেঙে দিয়েছেন। দু’টা মাছ মরেছে। বাকিগুলো বাঁচবে কি-না সন্দেহ।”
“সরি।”
“সরি! অত বড় ক্ষতি করে দিয়ে এত অবহেলা করে সরি বলছেন?”
“তাহলে কী করব? আপনার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইব। দেখুন আমি এখন কোন ঝামেলা করতে চাইছি না। তাই আপনিও ঝামেলা করবেন না। বল দিন আমরা চলে যাই।”
“বল! আচ্ছা। এই নিন আপনার বল। যান, এবার কোন ঝামেলা না করে লক্ষী ছেলের মত চলে যান। আপনি তো ঝামেলা চাইছেন না,তাই না?”
হাওয়া ছাড়া বল দেখে ইরফানের মাথা গরম হয়ে গেল। অসভ্য মেয়ে তার বল ফোটো করে ফেলেছে। এই মেয়েকে সে ছাড়বে না। একে উচিত শিক্ষা দিবে।
“আপনি…! আপনাকে আমি ছাড়ব না। দেখে নেব আপনাকে।”
হামনা দু’পা এগিয়ে এলো। ইরফানের দিকে মুখ বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
“নিন দেখুন। ভাল করে দেখে নিন।”
“আপনি… আপনি একটা
” আপনি আপনি করে তোতলাচ্ছেন কেন? মুখে কথা আটকে গেছে? ”
ইরফান কিছু করার আগে তার বাবা এসে গেল। দূর করে তিনি বললেন,
“ইরফান! এই ইরফান এদিকে আয় তো।”
“যান। কে যেন আপনাকে ডাকছে।”
“এখন যাচ্ছি। পরে আপনাকে দেখে নেব। এখানেই তো উঠেছেন মনে হচ্ছে।”
ইরফান খাঁচার টিয়া পাখি,হুমায়রার হাতে বেড়াল দেখে মুখ বাঁকিয়ে বলল,
“জঙ্গল। পুরো চিড়িয়াখানা নিয়ে এসেছে। আবার নাকি মাছও আছে।”
ইরফান আর না দাঁড়িয়ে চলে গেলে হামনা রাগে ফেটে পড়ে বলল।
“তুই জঙ্গল। ব্যাটা পাঁজি। চিড়িয়াখানা বলে গেল! কত বড় সাহস। ভালো হয়েছে। চিড়িয়াখানায় আরও জন্তু জানোয়ার আনব। তাতে তোর কী? পাঁজি কোথাকার।”
টিয়া পাখিটাও বলছে,
“পাঁজি, পাঁজি, পাঁজি।”
.
“মাম্মী! মাম্মী তুমি কোথায়? ”
আয়ামের ডাক কানে আসতে মেহরীন তাড়াহুড়ো করে ডায়েরিটা টেবিলের উপর রেখে ছুটে বেরিয়ে গেল। আজ এইটুকুই পড়তে পেরেছে। একটু পরে সময় পেলে আবার পড়তে। সে যতক্ষণ ডায়েরি শেষ করতে না পারবে ততক্ষণ স্বস্তি পাবে না।
.
রাতে ইরফান বাড়ি ফিরলে মেহরীন নাচের স্কুলের কথা তুললো। মেহরীন ভেবেছিল ইরফান হয়তো তাকে মানা করবে। ইরফান যাতে মানা করতে না পরে তাই সে প্রথম থেকেই কিছুটা রাগ মিশ্রিত জেদি গলায় বলল,
“আমি আবার নাচের ক্লাসে জয়েন করব। সারাদিন বাড়িতে বসে বেকার সময় কাটাতে আমার ভালো লাগে না। তাই ভেবেছি কাল থেকেই যাব।”
“ঠিক আছে যাবেন। আপনার যেটা ভালো লাগে করবেন। তার জন্য আমার থেকে অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। আপনি এক বেলা নাচের ক্লাসে গিয়ে যদি আয়ামের খেয়াল রাখতে পারেন তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই।”
যাহ! এত সহজে মেনে নিল! এই লোকটাই হামনার সাথে কেমন ত্যাড়া ত্যাড়া কথা বলছিল। এটা সেই লোক হতেই পারে না। তার এক কথায় রাজি হয়ে গেল! মেহরীন ঝগড়ার করার একটা কারণও পেল না। সে আমতা আমতা করে বলল,
“আপনি আমাকে আর আপনি আপনি করে বলবেন না। নিজেরা যখন একা থাকি তখন বললে সমস্যা নেই। কিন্তু আয়ামের সামনে বলবেন না। আর আয়ামের সামনে আমাকে মেহরীন বলেও ডাকবেন না। আয়াম আজ জিজ্ঞেস করছিল, বাবা আমাকে মেহরীন ডাকে কেন? ছেলেটা বড় হচ্ছে। অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে।”
“হুম ঠিক আছে।”
.
পরের দিন ইরফানকে অফিসে পাঠিয়ে, আয়ামকে স্কুলে দিয়ে মেহরীন বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো। ম্যামকে বুঝিয়ে বললেই ম্যাম আবার তাকে জব ফিরিয়ে দেবে। ঠিক এক ঘন্টা পরে মেহরীন রাস্তায় বেরুলে অনন্ত তাকে দেখে রাস্তার পাশে গাছের আড়ালে চলে গেল।
“মেহু এখানে কেন? মেহু কি নাচ শেখানোর জবটা আবার নিয়েছে? ভালোই হলো। এখানে এসে আজ মেহুকে দেখতে পেলাম। ওই বাড়িতে তো ওর সাথে দেখা করতে যেতে পারতাম না। শর্ত অনুযায়ী মেহুও আমার সাথে দেখা করতে পারবে না।”
অনন্ত দু’চোখ ভরে মেহরীনকে দেখল। অনন্ত জানে টাকার জন্য মেহুকে সে অন্য লোকের বউ হয়ে অভিনয় করতে দিয়েছে। শর্ত মেনে মেহুকে সে দিনে দু’বারের বেশি কলও করেনি। অনন্তর মনে হচ্ছে এই এক দিনেই মেহু তার থেকে এক হাজার বছরের দূরে সরে গেছে। এমনটা মনে হওয়ার কোন কারণ নেই। তবুও মেহুকে বড্ড মিস করছে সে।
“এখন বুঝতে পারছি, আমি তোকে মিছেমিছিও কারো সাথে ভাগ করতে পারি না মেহু। তোকে আমি বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই একটা বছর তোকে আমার থেকে একটু দূরে থাকতে হবে।”
মেহরীন রাস্তা পেরিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি ফেরার জন্য আজ সে ভীষণ তাড়াহুড়ো করছে। কাল বিকেলে ডায়েরিটা যা আরেকটু পড়তে পেরেছিল। ইরফান বাসায় ফেরার আগে আগে সে আবার ডায়েরিটা আলমারিতে আগের জায়গায় রেখে দিয়েছে। অনন্ত লুকিয়ে মেহরীনকে দেখছে। এক্ষুনি হয়তো রিকশা নিবে মেহু। অনন্ত কি মেহরীনের সামনে যাবে? ইরফানের শর্ত ছিল সে ওদের বাড়িতে যেতে পারবে না। বাড়ির বাইরে রাস্তায় দেখা করতে তো নিষেধ নেই। অনন্ত বেইমান, চোর, বাটপার হতে পারে। কিন্তু তার জবান পাক্কা।
“না। এখানে দেখা করলে চুক্তির কোন শর্তই ভাঙা পড়বে না। মেহুকে এতটা কাছ থেকে চলে যেতে দেব! একবার সামনে গিয়ে কথা বলব না!”
মেহরীন রিকশা নিচ্ছিল। অনন্ত আড়াল থেকে বেরিয়ে ওকে ডাকতে ডাকতে দৌড়ে মেহুর দিকে এগোতে লাগল।
“মেহু! এই মেহু দাঁড়া।”
অনন্তর গলা শুনে মেহরীন প্রথমে আশেপাশে তাকে খুঁজলো। তারপর রাস্তার এপাশে চোখ পড়তে রিকশা ছেড়ে দিল সে। অনন্ত তার সামনে এসে দাঁড়াল। মেহরীন তীক্ষ্ণ চোখে অনন্তকে দেখল। তারপর রাগ করে তার সাথে কোন কথা না বলে হাঁটতে লাগল। অনন্ত হাঁ করে চেয়ে রইল।
“এই যাহ! এটা কী হলো? এই মেহু কোথায় যাচ্ছিস তুই? আরে আমাকে রেখে চললিটা কোথায়? মেহু, মেহু দাঁড়া।”
চলবে___
গল্প সম্পর্কিত সকল আপডেট পেতে গ্রুপে জয়েন করুন
👇
https://www.facebook.com/groups/928548141001685/?ref=share