#অভিশপ্ত_জীবন
পর্ব – ৭
লেখিকাঃ- #Fabiha_Busra_Borno
এভাবে একদিন দুইদিন করে সময় পার হতে লাগলো। মুহিত সব সময় রুনাকে নিজের ছোট বোনের মতো আদর করতো। তাদের কথা এবং চলাফেরায় কখনো খারাপ কিছুই দেখিনি। হঠাৎ মুহিতের পেটে প্রচুর ব্যাথা শুরু হয়। গ্রামের ডাক্তারের চিকিৎসাতে ভালো কিছু না পেয়ে রাজশাহীর পপুলারে নিয়ে যায়। মুহিতের পেটে টিউমার ধরা পড়েছে। অপারেশন করা লাগবে। প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা নিয়ে অপারেশন করার জন্য যায়। মোট ৭ দিন ছিলাম রাজশাহীতে। আমার হাঁস মুরগী সহ পুরো বাড়ির দেখা শোনা এবং আমার অসুস্থ শাশুড়ীর খেদমত সব কিছু রুনা এক হাতে সামলিয়েছে। মুহিত কে নিয়ে বাসায় আসার পরেও নানান ভাবে আমার বিভিন্ন কাজে রুনাকে সাথে পেতাম।
ছোট্ট পপি বড় হয়ে গেছে এমনকি বিয়ে ঠিক হয়েছে। আগামি সপ্তাহে বিয়ে। মুহিতের উপর সমস্ত দ্বায়িত্ব পড়ে। কাকে কিভাবে খাওয়ানো হবে, কি কি আয়োজন হবে, কোথায় কত টাকা খরচ হবে সব কিছু মুহিত সুন্দর ভাবে পরিচালনা করছে।আমরা বিয়ের তিন দিন আগেই আসছি। ছেলেটার বয়স একটু বেশি। প্রাইমারী স্কুলের সহকারীর শিক্ষক তবে ময়লা। আমার বোন টা টুকটুকে ফর্সা, নায়িকাদের মতো হওয়ার জন্য ওর নাম রেখেছিল পপি।আমি আমার জীবনে এমন কোন অধ্যায় নাই যা পার করিনি।মনের মতো পাত্র না পেলে কতটা কষ্ট হয় তাও বুঝি আমি। তাই নিজ অভিজ্ঞতা থেকে ছেলে কালো এটা নিয়ে পপির কোন সমস্যা আছে নাকি জিজ্ঞেস করলাম। বিয়েতে মন থেকে রাজি তার এইসবে কোন চিন্তা নেই, নিজে মুখে বললো পপি। নগদ সাত ভরী গহনা আর সরকারি চাকরি করা বর এইসব কথা বলে বলে হয়তো সবাই পপির কচি ব্রেন-ওয়াশ করেছেন। যায়হোক আমি ও কিছু বললাম না।
মনে মনে আল্লাহর কাছে একটাই দোয়া করে যাচ্ছি যেন আমার মতো কোনো কিছুর সম্মুখীন হতে না হয় আমার ছোট্ট পরীটার। শিহাবকে সাথে নিয়ে আসছি আমি। একটু দুরের আত্মীয়রা যারাই আমার সাথে শিহাব কে দেখছে তারাই ভাবছে আমার ছেলে। অনেকেই জিজ্ঞেস করছে ছেলে এতো বড় হলো কিন্তু তারা জানে না। বিয়ের বিভিন্ন দিক দেখাশোনা করা ও নানান রকম কাজের মধ্যে খুব ব্যাস্ত দিন কাটছে। আজ বিয়ে, বরযাত্রী হিসেবে কয়েকজন মেয়ে এসেছেন। আমি তাদেরকে বসানোর জন্য আলাদা ঘরে আনলাম। তাদের সাথে পরিচয় পর্ব শেষ করে আরো অনেক কথা বার্তা হলো। আমার ছেলেমেয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি বলি, আমার ছেলেমেয়ে হয় নি।এটা শুনেই অনেকের মুখ কালো হয়ে গেলো। আমি কি ভুল কিছু বললাম,, সত্যি কথা বলা কি আমার উচিত হয় নি। আজ মিথ্যা বলার পরে যখন তারা জানবে আমি নিঃসন্তান তখন কি হবে? দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পরে বরপক্ষের একজন আকার ঈঙ্গিতে এটা সেটা বলা শুরু করে। মেয়ের বড় বোনের বাচ্চা নেই এটা সহজ কথা না। যদি বড় বোনের মতো ছোট বোনের অবস্থা হয় তখন কি হবে।
এমন ছোট ছোট নানা গুঞ্জন উপেক্ষা করে অবশেষে বিয়েটা সম্পুর্ন হলো। বিদায়ের সময় সবাই কান্না করছে কিন্তু আমি শান্ত কন্ঠে পপিকে বললাম,, জীবনের সকল বাধা-বিপত্তি ও নানা কূল প্রতিকূলে নিজেকে শান্ত রেখে সিদ্ধান্ত নিবি। আমার মতো হুট হাট করে ভুলভাল কোন সিদ্ধান্ত নিবিনা। আর পারলে যত তারাতাড়ি সম্ভব একটা বাচ্চা নিবি।সামান্যতম কোন ক্ষুতও যেন কেউ বের করতে না পারে।
পরেরদিন বউভাতে সকলের সাথে আমি ও গেলাম। কেন জানি না সবাই আমাকে দেখছে। বুঝতে পারলাম তাদের তাকানোর কারণ, নিজেকে জোকার মনে হচ্ছে। আমি তো বন্ধা নই তাও সবার চোখে আমি বন্ধা নারী। পপিকে নিয়ে আসার পরে জানতে পারলাম,, রাতেই নাকি আমার বন্ধত্বা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার পাহাড় বেধেছিল ওবাড়িতে। জীবন টা এমন হয়েছে যে হাজারো আনন্দঘন অনুষ্ঠানে গেলেও আমার জন্য সেখানে বিন্দু পরিমাণ আনন্দ থাকে না।
পপির বিয়ের চার মাস হতে না হতেই মা হতে চলেছে আমার সেই ছোট্ট বোনটা। এটা আমার কাছে অনেক আনন্দের সংবাদ হওয়ার কথা কিন্তু আমার ভিতরে ঈর্ষা অনুভব হচ্ছে। বারবার মনে হচ্ছে এভাবে খবর টা কেন আমি দিতে পারিনা। ছোট বোন মা ডাক শুনতে পাবে অথচ আমি বড় বোন হয়ে প্রতিদিন রাতে বাচ্চার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করি। এই খবরটা শুনার পরে সারাদিন কিছু খায় নি। সুয়ে বসে অতীতের স্মৃতিচারণ করে দিন পার করলাম।
শাশুড়ির বয়স হয়ে গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ কিন্তু বর্তমানে অবস্থা খুবই করুন। এই মানুষটাও এক সময় আমাকে কম অত্যাচার করেনি কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তিনিও মুহিতের মতো পালটে গিয়েছিলেন। আমি নিজের মায়ের মতো যত্ন-আত্তি করি উনার। প্রতিদিনের প্রসাব-পায়খানার বিছানা কাঁথা পরিষ্কার করা সহ আরো অনেক কিছু করি। মনের মধ্যে কখনো বিরক্ত আনি নাই এইসব কাজ করতে। শশুর শাশুড়ী থাকা মানে আলাদা শক্তি থাকা। এমনও অনেক রাত গেছে মুহিত বাসায় ছিলো না কিন্তু শাশুড়ী থাকায় কখনো কেউ দুষ্টু কথা বলার সাহস পায়নি।
বড় ভাসুর এবং মেঝো ভাসুর সহ আরো অনেকে এসেছেন আজ। মায়ের খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝা যাচ্ছে উনার নিশ্বাস ফেলা এবং চোখ মুখের আকৃতি দেখে। সন্ধ্যা থেকে গুরুতর অবস্থার সাথে প্রাণপণ লড়াই করে অবশেষে পরাজিত সৈনিক হলেন। মাথার উপর থেকে ভরসার খুঁটি হারিয়ে গেলো ভেঙে পরলাম অনেক। পরের দিন সকাল দশ-টাই জানাজা শেষ হলো। দূরের আত্মীয়রা চলে গেছে। মা আব্বা, খালাশাশুড়ি আর মেঝো জা আছে শুধু। চারদিন পরে সবাই চলে গেলো। কিন্তু আমি একা বাড়িতে থাকতে পারি না। খুব ভয় করে। কোন ভাবেই শাশুড়ীর ঘরে যেতে পারিনা। মুহিত কোথাও কাজে গেলে আমিও বাইরে অন্যদের বাড়িতে বসে থাকি। মুহিত সারাদিন বাড়িতে থাকলে পেট চলবে না তাই কিছুদিন পরে থেকে অটোরিকশা নিয়ে আগের মতো কাজ শুরু করে দেয়। বাড়ি ফিরতে মাঝে মাঝে রাত ১০ বেজে যেতো। সুমি আর শিহাব কে আমার কাছে রাখতাম। যেদিন তারাতাড়ি মুহিত ফিরতো ওইদিন সুমিকে বাড়িতে রেখে আসতাম আর যেদিন রাত বেশি করে আসতো সেদিন আমি সুমি শিহাব এক সাথে ঘুমাতাম আর মুহিত অন্য ঘরে ঘুমাতো।
ইদানিং সুমিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র দেখা দেখি শুরু হয়েছে। সারাজীবন তো মেয়েকে ঘরে বসিয়ে রাখা যাবে না। কোথাও না কোথাও বিয়ে দিতেই হবে। অন্য কোথাও সুমির বিয়ে হলে শিহাব কে ওর দাদা দাদি নিয়ে যাবে। যখন ইচ্ছে সুমি বা সুমির বাবা-মাও শিহাব কে নিয়ে আসতে পারবে। সুমির বিয়ের ভালো মন্দের তদারকি সুমির শশুর শাশুড়ীও করছেন। উনারাও চান ভালো কোন ছেলের সাথে সুমির বিয়ে হোক।
আমার মাথায় অত্যাধিক ভালো মানুষ সাজার ভূত চাপছে। কিছুতেই শিহাব কে আমি দূরে রাখতে পারবো না। চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমাদের গ্রামের মজিবুর চাচার দুটো বউয়ের মিলে মিশে থাকা স্মৃতি গুলো। একজনের বাচ্চা হয় না বলে আবারও বিয়ে করিয়েছিলেন মজিবুর চাচা কে। আমারও মন চাইছে মুহিত কে বাবা ডাক শোনানোর স্বপ্ন কে বাস্তবে রুপ দিতে। বারবার মনে পড়ছে ঢাকায় যখন প্রেগন্যান্ট হলাম তখন মুহিতের সেই আনন্দের কথা গুলো, বাবা ডাক শুনতে তার কত আকুলতা দেখেছিলাম তার মাঝে। এখনো হয়তো সেই অনুভূতি গুলো আছে মুহিতের কিন্তু আমি কষ্ট পাবো ভেবে কিছু বলে না।
গত দুই দিন থেকে ভাবছি এইসব কথা। মুহিতের সাথে কোন রকম আলাপ আলোচনা না করেই অনেক বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। শিহাব বা রুনা কাউকে আমি দূরে যেতে দিবো না। শাশুড়ি বৃদ্ধা হয়ে পড়ে ছিলো আমরা ছেলে/ছেলের বউরা তার সেবা যত্ন করেছিলাম। কিন্তু আমার বা মুহিতের বৃদ্ধা অবস্থায় কে দেখাশোনা করবে।আর এমন নিশ্চুপ একা বাড়িতে থাকতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। মুহিত যাওয়ার পরে কথা বলার জন্য কাউকে পায় না। তাই আমি আমার চাচা শশুর কে সরাসরি বললাম মুহিতের সাথে রুনাকে বিয়ে দেওয়ার কথা। হঠাৎ আমার মুখে এমন কথা শুনে উনি অবাক হয়ে চেয়ে থাকলেন। আমিও ধিরে ধিরে আমার মনের মধ্যে হওয়া কথা গুলো বুঝিয়ে বললাম। চাচা শুধু বললেন আগে ভেবে চিন্তে দেখি।
দুইদিন পরে মুহিত বাড়ি ফিরে সরাসরি আমাকে থাপ্পড় মারে। বুঝলাম না কেন থাপ্পড় দিলো, সকালেই তো ভালো মানুষ খাওয়া দাওয়া করে অটো নিয়ে বাইরে গেলো। এইসব ভাবতেই মুহিত চিল্লায়ে বলা শুরু করেছে,, খুব শখ তোর সতিনের সাথে সংসার করার তাই না। এতো বার এতো কিছু করলাম তাও তোর সখ মিটেনি? এখন আবারও সখ জাগছে! তোর একবারও কি লজ্জা করলো না যাকে আমি বোন ভাবি তার সাথে এইসব কথা বলতে।
বুঝতে পারলাম কেন এতো বচ্ছর পরে আবারও আমার গায়ে মুহিত হাত তুললো। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল। মুহিতের সাথে সারাদিন আর তেমন কথা হলো না। রুনা বা শিহাব কেউ আর আসেনি আমাদের বাসায়। আমি আমার বড় ভাসুর কে বললাম মুহিত কে যেনো বুঝায় একটু। বেশ কিছু দিন থেকে মুহিত কে বুঝানোর পরে মুহিত রাজি হয়। রুনার মা বাবা শশুর শাশুড়ী সবাই রাজি। আর রাজি হবেই না বা কেন নির্ঝঞ্ঝাট পরিবার এবং ছেলে পাচ্ছে।
ঘরোয়া ভাবে বিয়ে টা করাতে হবে। আমি মুহিতের থেকে টাকা চাইলাম আপাতত কিছু কেনাকাটা করার জন্য কিন্তু মুহিত কোন টাকা দিলো না। আমার কাছে জমানো কিছু টাকা ছিলো তা দিয়ে দুটো শাড়ি একটা থ্রি পিস, সেন্ডেল, শিহাবের জন্য শার্ট-প্যান্ট আর দুটো গেঞ্জি নিলাম। বিকালে রুনাদের বাড়িতে গিয়ে মেহেদী লাগিয়ে দিলাম। তারপর বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ করে ইচ্ছে মতো কান্না করলাম। প্রথম প্রথম তাই হয়তো খারাপ লাগছে কিছু দিন গেলেই সব কিছু সহনীয় হয়ে যাবে। আর আমি তো অজানা কাউকে স্বামীর ভাগ দিচ্ছি না। রুনা অনেক ভালো মেয়ে সে নিশ্চয়ই কখনো আমাকে সতীন ভাববে না। নিজের বোনের মতো করে থাকবো দুজন। মাগরিবের আজান হচ্ছে অজু করে নামাজ শেষ করে বড় ভাসুরে বাড়িতে গেলাম।
ভাবি আমাকে দেখে বুঝতে পারছে সারাদিন আমি কিছু খায় নি তাই জোর করে খেতে দিলেন। খাবার খেতে মোটেও ইচ্ছে করছে না।ভাবির জোরাজোরিতে কোন মতে দুই লোমকা মুখে নিলাম। ভাবি আমাকে বুঝাতে লাগলেন। সুখে থাকতে নাকি আমাকে ভুতে কিলাচ্ছে। বাকি জীবন কি চোখের সামনে নিজের বর কে অন্য কারো সাথে দেখে সহ্য করতে পারবো?
আমি নিরবে চোখের পানি মুছে বললাম,,
এর আগেও তো মুহিত কে অন্য কারো সাথে একাধিকবার দেখেছি, তখন সহ্য করতে পারলে এখনো পারবো। আর আমি জানি মুহিতের কাছে আমি কতটা আপন। মুহিত আর কখনো আমাকে কষ্ট দিবে না।
অনেক রাতে মুহিত বাড়িতে এসে আমাকে না দেখে এখানে আসছে খোঁজ করতে। আমি আর মুহিত বাড়ি চলে আসছি। মুহিত কে খেতে বললাম, সে খাবে না। আমিও আর জোর করলাম না। সব ঘরে তালা দিয়ে গেইট বন্ধ করে ঘুমানোর বন্দবস্ত করলাম। মুহিত চুপচাপ অন্য দিকে মুখ করে সুয়ে আছে। আমি লাইট নিভিয়ে পাশে সুয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পারেই মুহিত আমাকে জড়িয়ে ধরে ছোট বাচ্চাদের মতো কান্না করতে থাকে আর বলে,, আমার জন্য আর কত ত্যাগ করবে তুমি, জীবনে কখনো তোমার কষ্ট গুলো বুঝিনি, অন্য নারীতে মত্ত্ব থাকা একটা ছেলে তোমার ধৈর্যের কাছে পরাজিত হয়ে, তোমাকে নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে চাইছিলো। আমি কখনো চাইনি তুমি ছাড়া অন্য কোন নারীকে স্পর্শ করতে। তোমার মতো মেয়েকে বউ হিসেবে পেয়ে আমি সত্যিই ধন্য।
তুমি যতটা সহজ ভাবছো বাস্তব ততটা সহজ না। তোমার সরল মনে কঠিন চিন্তা ভাবনা কখনো আসে না তাই সব কিছু কে তোমার সহজ মনে হচ্ছে। কাল থেকে হয়তো তোমার যন্ত্রণা গুলো নতুন ভাবে জেগে উঠবে। তুমি বা আমি চাইলেও আর সেই যন্ত্রণা থেকে তোমাকে মুক্তি দিতে পারবো না।
আমি নিরব শ্রোতা,, নিরবে মুহিতের বুকে মাথা রেখে চোখের লোনাপানি ঝাড়াচ্ছি আর ভাবছি, কাল রাতে হয়তো এতোক্ষণ এই বুকে অন্য কেউ মাথা রেখে পরম তৃপ্তিতে নতুন জীবনের সুচনা শুরু করবে।
চলবে,,,,,,,
আপাতত কিছু দিন ছোট করে গল্পটা আপলোড করি। সামনে আর ৪/৫ টা পার্টের মধ্যে শেষ করে দিবো। অনেক গুলো কাহিনী বাদ দিয়ে মেইন কথা গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি।