#মেঘের_আড়ালে_মেঘ”১২”
#জেরিন_আক্তার_নিপা

বাবা কতক্ষণ ইরফানের সামনে পায়চারি করে বললেন,

“মেয়েটার এখনও বিয়ে হয়নি। আমাদের বাড়িতে কাজ করতে এসেছে। ওকে নিয়ে সমাজের লোকেরা পাঁচ কথা বলুক তা আমি চাই না। তুই ওর জন্য সম্পূর্ণ একজন অচেনা লোক। তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে। তবুও আমি চাই না তোরা এভাবে এক ঘরে থাকিস।”

“বাবা আয়াম জেদ করছিল। তবুও সরি বাবা। ভুল আমারই হয়েছে। আয়াম ছোট, আমার ওকে বোঝানো উচিত ছিল। তোমার কথা আমি মনে রাখব বাবা। পরের বার থেকে এমন কিছুই হবে না।”

“মেয়েটার বাবা মা কেউ নেই ইরফান। এমন মেয়ের আজকের সমাজে একা লড়াই করে বেঁচে থাকা সত্যিই কষ্টকর। আমি চাই না আমাদের জন্য মেয়েটার জীবনে বাড়তি কোন সমস্যা দেখা দিক।”

“হুম। যাব বাবা?”

“ইরফান, একটা কথা বললে রেগে যাবি না তো?”

“রেগে যাব। তোমার সব কথা শুনব বাবা। কিন্তু ওই বিষয়ে কোন কথা না।”

“মেহরীন হামনার মত দেখতে…

” না বাবা। সত্যিই এই বিষয়ে আমি এখন কোন কথা শুনতে চাচ্ছি না।”

“আচ্ছা।”
.
.
অনন্ত মেহরীনের সাথে কথা বলছে,

“ও বাড়ির লোকজন কেমন রে?”

“ভালোই। আঙ্কেল ভীষণ ভালো। আয়ামও মিষ্টি ছেলে। মাঝে মাঝে একটু বায়না ধরে। তবে বোঝালে ঠিকই বুঝে।”

“আর ওই লোকটা?”

“ওই লোক! ওই লোক মহা বদ। বজ্জাতের হাড্ডি। আস্ত খচ্চর। লোকটা যে কী পরিমাণ হিংসুটে তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না।”

মেহরীনের কথা শুনে অনন্ত হেসে ফেলল।

“বলিস কী! লোকটা কী এমন করলো। তোর মুখ থেকে ওর জন্য ভালোবাসা উপচে পড়ছে।”

“ভালোবাসা! হাহ্, ওই লোককে ভালোবাসা যায়! অসম্ভব লোক একটা। তুমি জানো, আমি লোকটাকে চা সাধলে লোকটা কী বলে। বলে উনি নাকি চা কফি খান না। অথচ আঙ্কেল বলেছে, উনি ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত কোন কোন রাতে পাঁচ ছয় কাপও চা খায়। আচ্ছা আমি কি উনার চায়ে বিষ মিশিয়ে দিতাম।”

“মনে হয় লোকটা তোকে পছন্দ করে না।”

“আমি ওই লোককে যেন খুব পছন্দ করি!”

“আচ্ছা থাক। ওই লোকের কথা তোকে ভাবতে হবে না। তুই বল, তোর ওই বাড়িতে ভালো লাগছে তো?”

“হুম। শুধু তোমাকে অনেক মিস করছি।”

“আমিও। দেখা করতে আসব আমি। মেহু শোন, এই কয়টা দিন আমি একটু ব্যস্ত থাকব। কল করতে না পারলে তুই রাগ করিস না আবার।”

“আচ্ছা।”
.
হুমায়রা ইরফানের বাবাকে মেহরীন আর ইরফানের বিয়ে কথাটা বলেছে। বাবা শুনে বললেন,

“মেহরীনের হয়তো আগে থেকে কাউকে পছন্দ থাকতে পারে। আমি ওর মতামত না নিয়ে কোন কথা বলতে পারব না মা।”

“তা ঠিক আঙ্কেল। পছন্দ থাকলেও থাকতে পারে। আঙ্কেল আপনি মেহরীনকে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করে দেখবেন? আমি বয়সে ওর ছোট। আমার কাছে যদি বলতে লজ্জা পায়। আপনার সাথে তো ওর ভালোই সম্পর্ক। আপনি ফ্রেন্ডলি জিজ্ঞেস করলে নিশ্চয়ই বলবে।”

“দেখি। মেহরীনের দিক দিয়ে সমস্যা না থাকলেও ইরফান কখনোই রাজি হবে না।”

“আপনি সেই চিন্তা করবেন না আঙ্কেল। দুলাভাইকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার। আর তাছাড়া আয়ামও তো আমাদের সাথে আছে। আপু মারা যাবার আট মাস হতে চলল। দুলাভাইকে এভাবে দেখতে আমাদের কারোরই ভালো লাগে না।”

“আমি ওর বাবা, মা। ছেলের খুশি আমিও চাই।”
.
বাবা এক সন্ধ্যায় চা খেতে খেতে গল্পের ছলে বললেন,

“আমাকে তুমি বাবার মত ভাবো তো মেহরীন?”

“জি আঙ্কেল। আমার বাবা আপনার মতই ছিলেন। আমাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। বাবা আমার সবচে ভালো বন্ধু ছিল।”

“আমাকেও তোমার বন্ধু ভাবতে পারো।”

“আচ্ছা আঙ্কেল।”

“তুমি কী একাই থাকছো মা?”

“বাসায়? না। আমার এক রুমমেট আছে। ওর সাথেই থাকতাম। এখন তো এখানেই আছি।”

“ভবিষ্যত নিয়ে কিছু ভেবেছ?”

“আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর মনে হচ্ছে সেটা হয়ে উঠবে না।”

“ওহ। বিয়েশাদীর ব্যাপারে কিছু ভেবেছ? কাকে বিয়ে করবে? কেমন ছেলে তোমার পছন্দ?”

মেহরীন বিয়ের কথায় লজ্জা পেল একটু। সব মেয়েরাই পায়৷ এটাই স্বাভাবিক।

“তোমার কাউকে পছন্দ? পছন্দের কেউ আছে?”

মেহরীন অনন্তকে পছন্দ করে। কিন্তু বাবার বয়সী এই লোকটার সামনে বলতে লজ্জা লাগছে। নিজের বাবা হলে হয়তো বিনা সংকোচে বলে ফেলতে পারত।

“ওসব নিয়ে এখনও ভাবিনি আঙ্কেল।”

“ভাবা দরকার তো মা। জীবনে একজন বিশ্বস্ত কাছের মানুষের ভীষণ প্রয়োজন।”

“হুম।”

“আচ্ছা মা। আয়াম কোথায়?”

“রুমেই হোমওয়ার্ক করছে। আমি গিয়ে দেখি আসি আঙ্কেল?”

“আচ্ছা যাও।”

মেহরীন উনার সামনে থেকে উঠে গেলে বাবা মৃদু হেসে বললেন,

“ভালোই হয়েছে। মেহরীনের আগে থেকে পছন্দের কেউ নেই। মেয়েটা জীবনে একা। বাবা মা ছাড়া এতিম একটা মেয়ে। হামনার মত দেখতে। ওকে আমার ছেলের বউ করতে কোন আপত্তি নেই। এখন ইরফানটাকে বোঝাতে পারলেই হলো। এমন মেয়ে আজকাল শত খুঁজেও পাওয়া যায় না। আল্লাহ নিজে মেহরীনের সাথে আমাদের দেখা করিয়ে দিয়েছেন। ওকেই আমি ইরফানের বউ করব। এই বিয়ের জন্য ইরফানকে রাজি করাতে আমাকে যা যা করতে হয় সব করব।”
.
মেহরীন ইরফানের ঘর গোছাতে গোছাতে ড্রয়ারে একটা পুরোনো ছবির অ্যালবাম পেল। সে অ্যালবামটা নিয়ে নিজের ঘরে চলে এলো। আয়াম এখন দাদুর ঘরে। মেহরীন একটা একটা করে সবগুলো ছবি দেখতে লাগল। ইরফানের ছোট বেলার ছবিও আছে। ওর মা’র সাথে। ছোট বেলা ইরফান দেখতে একদম আয়ামের মতই ছিল।

“যাহ বাবা! বাপ ছেলে একই রকম দেখতে।”

ইরফানের স্কুল, কলেজের সব ছবি এখানে আছে। মেহরীন দেখছে আর হাসছে। ছবিতে ইরফানকে কেমন বাচ্চা বাচ্চা লাগছে। এখন অবশ্য ইরফানকে দায়িত্ববান সিরিয়াস টাইপের লাগে। কিন্তু ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, ভীষণ উদাসী একটা ছেলে। জীবন নিয়ে যার কোন মাথা ব্যথা নেই। স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। স্রোত যেখানে নিয়ে যায় যেতে রাজি।
মেহরীন বিড়বিড় করে বলল,

“আপনাকে তখনকার থেকে এখন বেশি ভালো লাগে। সব সময় মুখে সিরিয়াস ভাব ফুটিয়ে রাখা এটা আরও বেশি ভালো লাগে।”
.
দু’দিন কেটে গেল। এর মধ্যে ইরফানকে বাবার নতুন জ্বালা সহ্য করতে হচ্ছে। আচ্ছা বাবার মাথায় এই ভূত কে চাপিয়েছে। ইরফান এখন বাবাকে এড়িয়ে চলতে প্রাণপণ চেষ্টা করে। নইলে সামনাসামনি হলেই বাবা সেই এক কথা তুলবেন।

“তুই বিয়ে কেন করবি না?”

“আমার মন চায় না।”

“কেন চাইবে না?”

“সেটা আমাকে না জিজ্ঞেস করে মনকে করো।”

“তোকে জিজ্ঞেস করলেই তোর মনের উত্তর পাওয়া যাবে। মেয়েটা ভালো।”

“আমি খারাপ বলিনি কখনও।”

“তাহলে বিয়ে করতে সমস্যা কী?”

“পৃথিবীর অর্ধেক মেয়ে ভালো। এখন সবাই ভালো বলে আমাকে সবাইকে বিয়ে করতে হবে?”

“সবাইকে বিয়ে করার কথা আমি বলেছি?”

“বাবা তুমি ভীষণ জ্বালাচ্ছ। এমন করলে আমি কিন্তু আর বাড়িতেই ফিরব না। অফিসেই থাকব।”

“তুই বাড়িতে না ফিরলে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।”

“কেন ছেলেমানুষি জেদ করছো বলো তো।”

“তুই মেহরীনকে বিয়ে কর। আমি তোকে সুখী দেখে যেতে চাই। মরার আগে নতুন করে তোর সুখ দেখতে চাই বাবা।”

“আমি এখনও সুখেই আছি বাবা।”

“দেখতে পারছি তো কেমন সুখে আছিস।”

“আমি ওই মেয়ে কেন পৃথিবীর কোন মেয়েকেই বিয়ে করব না। না আজ, না কাল আর না সারাজীবন।”

“ইরফান! ”

বাবার সামনে বেশিক্ষণ থাকল না ইরফান। বাবা রীতিমত পাগলামি করছে। বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে চায় না সে। তাই রাগ উঠে যাওয়ার আগেই বাবার চোখের সামনে থেকে চলে গেল।
হামনা মারা যাবার তো এক বছরও হয়নি। এখনই সবাই তাকে ভুলে গেছে! বাবা তাকে হামনাকে ভুলে গিয়ে ওই মেহরীন মেয়েটাকে বিয়ে করতে বলছে! হামনার এত ভালোবাসা বাবা কীভাবে ভুলতে পারল? যে মানুষটা মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত পরিবারের কথাই ভেবেছে, সে মারা যাবার কয়েকটা মাস পরেই পরিবারের মানুষ তার জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে আসতে চাইছে!
.
ছুটির দিনে ইরফান আজ সারাদিন বাড়িতেই রইল। মেহরীন আজ বুয়াকে বসিয়ে রেখে নিজে সব রান্না করেছে। তার রান্নার হাত মোটামুটি ভালোই। বাবা খেয়ে ভীষণ প্রশংসা করত।
ইরফান,বাবা,আয়াম, মেহরীন সবাই একসাথে দুপুরে খেতে বসেছে। মেহরীন এটা সেটা সবার পাতে তুলে দিচ্ছে। বাবা চিংড়ি মাছের আইটেমটা খেতে খেতে বললেন,

“আহ! মনে হচ্ছে যেন অমৃত খাচ্ছি। এত ভালো রান্না করতে পারো তুমি! কার কাছ থেকে শিখেছ মা?”

“আমার মায়ের থেকে। মা’ও ভীষণ ভালো রান্না করতেন। বাবার জন্য মাঝে মাঝে শখ করে রান্না করতাম। যা শিখেছি মায়ের কাছ থেকেই শিখেছি।”

“ভালো, ভালো। বুয়া যা রান্না করে মুখে দেওয়া যায়না। হামনাও ভালো রান্না করত। ঠিক তোমার মতই।”

ইরফান খেতে খেতে বাবার দিকে তাকাল। বাবা বলেই যাচ্ছেন।

“তোমাকে তো সারাজীবন আমাদের কাছে রাখতে পারব না। নইলে না তুমি আমাদের ভালো ভালো রান্না করে খাওয়াতে।”

“যতদিন আছি ততদিন খাওয়াবো আঙ্কেল।”

“না মা। সেটা কী হয়? তুমি তো আমাদের বাড়ির কাজের লোক না। তোমার কাজ আয়ামকে দেখা। তোমাকে কীভাবে ঘরের কাজ করতে দিই বলো?”

“সমস্যা নেই আঙ্কেল। বুয়া এসে নাহয় অন্য সব কাজ করে দিবে৷ আমি শুধু রান্নাটা করব।”

“উঁহু। না,না৷ তবুও আমার মন মানবে না। তোমাকে যদি কোনভাবে নিজের কাছেই রেখে দিতে পারতাম।”

মেহরীন উনার মনের খবর জানেন না। তাই সবটা স্বাভাবিক ভাবেই নিল। ইরফান আর সহ্য করতে না পেরে উঠে গেল।

“আমার খাওয়া শেষ।”

বাবার দেখাদেখি আয়ামও বলল,

“আমার খাওয়াও শেষ মাম্মী।”

রাতে বাবার সাথে ইরফানের একচোট কথা কাটাকাটি হয়ে গেল। বাবার পাগলামি আর সহ্য করা যায় না।

“তুমি কী চাইছো বাবা? আমি তোমার যন্ত্রণায় এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাই, এটাই চাইছো তো?”

“ইরফান! আমি তোর বাবা। আমি শুধু তোর ভালো চাই। আর কিছু না।”

“আমার ভালো তোমাকে চাইতে হবে না। দ্বিতীয় বিয়ে করার মাঝে আমার কোন ভালো নেই। আমি হামনাকে কোনোদিনও ভুলতে পারব না। তাই অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করে আমি তার জীবন নষ্ট করতে চাই না। তার প্রাপ্য ভালোবাসা, সম্মান কোনোটাই দিতে পারব না আমি।”

“কেন পাবরি না? এভাবে তোর জীবন কাটবে? বয়স কত হয়েছে তোর? এখনও তোর অর্ধেক জীবন বাকি। বাবারে মৃত মানুষটাকে মনে রেখে কতদিন এভাবে কষ্ট পাবি! আমি মারা গেলে তুই একা হয়ে যাবি। আয়ামের মা দরকার।”

“আয়ামের কাউকে দরকার নেট। আমি ওকে যথেষ্ট ভালোবাসা দিতে পারব।”

“তবুও তুই মেহরীনকে বিয়ে করবি না?”

“না। শুধু মেহরীনকে কেন কাউকেই করব না। মা মারা যাবার পর তুমিও তো দ্বিতীয় বিয়ে করো নি বাবা। নিজে ঠিকই এক স্ত্রীর ভালোবাসা বুকে ধারণ করে জীবন কাটিয়েছ। তাহলে আমার বেলায় কেন এমনটা হতে দিচ্ছ না।”

“তোর মা মারা যায় তুই যখন কলেজ পাস করে ফেলেছিস। তখন বিয়ের বয়সী ছেলে রেখে আমি বিয়ে করাতম!”

“আমার আয়ামও…

বলতে বলতে ইরফান থেমে গেল। বাবা রেগে গিয়ে বললেন,

” বল। বলছিস না কেন? বল তোর আয়ামও বিয়ের বয়সী। হায় আল্লাহ! এই ছেলের মাথায় তুমি কী দিয়েছ? এই গাধার বাচ্চা আমার ছেলে হলো কীভাবে! ”

ইরফান আমতা আমতা করছে। বাবা বললেন,

“আর তুইও তো তখন চাইতি না তোর মায়ের জায়গায় অন্য কেউ আসুক। কেউ আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করার কথা বললেই তো তুই রেগে যেতি। এখন বড় হয়ে খুব বড় বড় কথা বলছিস।”

“আমি রাজি থাকলে তুমি দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাবা!”

“অবশ্যই করতাম। দ্বিতীয়টাও মরে গেলে। তৃতীয় বিয়ে করতাম।”

“বাবা কেন মিথ্যা বলছো! আমি রাজি থাকলেও তুমি করতে না। মা’কে তুমি অনেক ভালোবাসতে।”

“এখনও বাসি। তাই বলে এটা না যে, দ্বিতীয় বিয়ে করলে তোর মা’র প্রতি আমার ভালোবাসা কমে যেত। ভালোবাসা অতটা ঠুনকো না যে, নতুন কারো উপস্থিতিতে আমি আগের জনকে ভুলে যাব। আমি তোর মায়ের ভালোবাসার জায়গাটা ঠিক রেখে, নতুন জনকেও একটু গুরুত্ব দিতাম। তোর মা’কে কখনও ভুলে যেতাম না। এটা হয়তো তোর ক্ষেত্রে হবে। তাই তুই দ্বিতীয় বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছিস।”

“বাবা তুমি আমাকে যতই উসকাতে চাও না কেন, আমি তোমার কথায় আসব না।”

ইরফান বাবার ঘর থেকে চলে আসার সময় পেছন থেকে বাবা বললেন,

“শুনিস না। আমার কোন কথাই তুই শুনিস না। আমি মরে গেলে তখন কষ্ট পাস, বাবা বেঁচে থাকতে কেন বাবার কথা শুনলাম না। তুই আমাকে শান্তিতে বাঁচতে দিচ্ছিস না। আমিও দেখবি তোকে ছেড়ে চলে যাব। তখন একা থাকিস। আর আমার কথা মনে করে চোখের পানি ফেলিস।”

চলবে___

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here