#বিবর্ণ_বসন্ত (পর্ব ১০) [রি-পোস্ট]
নুসরাত জাহান লিজা
ষোল.
ফোনের রিংটোন কানে যেতেই ডায়েরির পাতা থেকে মুখ তুললো অন্বেষা, স্ক্রিনে মায়ের নাম্বার দেখতেই মন খারাপ হলো ওর। বাবার সাথে মায়ের ছাড়াছাড়ি হবার সময় ওকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছোট্ট অন্বেষা বাবাকে আঁকড়ে ধরেছিল, সেই থেকে মায়ের সাথে দূরত্ব। দিনে দিনে তা বেড়ে চলছে কেবল। কেন যেন কোনোদিন মায়ের সাথে সহজ হতে পারেনি ও। কলটা রিসিভ করে ফোনটা কানে ঠেকাতেই শুনল,
“কতক্ষণ থেকে ফোন করছি, তোমার কোন সাড়াই পাচ্ছিলাম না। ফোন ধরছিলে না কেন?”
অন্যান্য সময় অন্বেষা নিজেই একটু সময় নেয় কিন্তু আজ এর আগেও ফোন বেজেছে বুঝতে পারেনি। অতসীর ডায়েরিতে এতটা মগ্ন হয়ে গিয়েছিল যে আশেপাশের কোনকিছু খেয়ালই ছিল না!
“কাজ করছিলাম। আপনি কিছু বলবেন?”
“তোমার কী হাতি-ঘোড়া কাজ আমি জানি। আপনি বলাটা আজও ছাড়তে পারলে না, অথচ তোমার বাবার সাথে তোমার যত আহ্লাদ!” প্রশ্ন নয় অনেকটা স্বগতোক্তির মতো শোনাল কথাটা।
“আপনিও তো আমাকে তুমি বলেন, হৃদি আর রোমেলকে নিশ্চয়ই তুমি বলেন না?” হৃদি আর রোমেল ওর মায়ের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান।
মা হয়তো বুঝতে পারলেন কথাবার্তা খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাই সরাসরি প্রসঙ্গে ফিরলেন,
“তোমাকে অনেকদিন দেখি না, একদিন আসো না বাসায়!”
“আপনার বাসায় আমি যাব না, এটা তো জানেনই?”
“আমি জানি, বাসায় না আসলে, বাইরে কোথাও? তোমাকে অনেকদিন কাছ থেকে দেখি না। তাই ভাবলাম একটা ফ্যামিলি ট্যুর যদি প্ল্যান করি…..”
বাকিটা বলার আগেই অন্বেষা বলল, “ফ্যামিলি ট্যুর, তা আমাকে কেন বলছেন, আমি তো আপনার ফ্যামিলি নই!” ঝাঁঝালো গলায় বলল অন্বেষা।
“তুমি আর আমিও তো ফ্যামিলি, আমরা দুজন তো যেতেই পারি নাকি?” গলার কাতরতা কিছুটা হলেও স্পর্শ করল ওকে। তাই কিছুটা নরম স্বরে বলল,
“ভেবে দেখি, অফিস আছে আমার। কাজের ভীষণ চাপ। চাপটা কমুক, পরে দেখা যাবে।”
মা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন, বুঝলেন মেয়ে তাকে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইছে। এই মেয়েটা ঠিক তার মতোই জেদি হয়েছে।
“ভালো থেকো।”
এই বলেই ফোন রাখলেন। জীবনে কী বড় কোনো ভুল করে ফেলেছেন!
ফোন রেখে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে অন্বেষা, মন কেমন করা একটা অনুভূতি হচ্ছে। কেন আর দশটা স্বাভাবিক পরিবারের মতো হলো না সব! বাবা, মা আর অন্বেষা! হয়তো ছোট ভাইবোন থাকত সাথে। ছোটবেলায় কতবার মনে হয়েছে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, ঘুম থেকে উঠে দেখবে সবাই একসাথে আছে! আলাদা হয়ে যাওয়াটা একটা দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়! কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি, সবটাই সত্যি, বাস্তব। সব স্বপ্ন কী আর পূরণ হয়! মা অবশ্য ওকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সাথে, কিন্তু চির একাকী বাবাকে ফেলে যেতে চায়নি অন্বেষা।
এগারোটা বেজে গেছে, ওর খেয়ালই ছিল না! উঠে ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বেরোতেই বাবাকে দেখল, পত্রিকার পাতা উল্টাচ্ছিলেন, সামনে টিভিতেও খবর চলছে। সংবাদের ডাবল ডোজ আরকি। এটা বাবার সব সময়ের অভ্যাস। মন খারাপ ভাবটা নিমিষেই কেটে গেল। বাবা ওকে দেখে মৃদু হেসে বললেন,
“ঘুম কেমন হলো তোর? অসময়ে ঘুমের অভ্যাসটা এবার বাদ দেবার চেষ্টা কর।”
“আমি ঘুমাইনি তো! একটা কাজ করছিলাম।”
“ও, আমি আরও ভাবলাম ঘুমিয়েছিস বোধহয়! তা কী এমন কাজ, যে দুনিয়া ভুলে ডুবে ছিলি?”
হেসে ফেলল অন্বেষা, “বলা যাবে না, বাবা। সিক্রেট! একজনকে কথা দিয়েছি, কাউকে বলব না!”
বাবার মুখেও দুষ্টু হাসির রেখা, “আমাকেও না! তা মানুষটি কে? বিশেষ কেউ?”
“না, তোমাকেও না! বিশেষ কেউ তো অবশ্যই, তবে তুমি যা ভাবছ সেরকম কিছু না।” হেসে উত্তর দিল অন্বেষা। আবার মুখ খুলল,
“তুমি খাওনি নিশ্চয়ই, চল, চল। খাব, পেটে ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করছে।” কিছুটা থেমে বলল,
“ভেবেছ ঘুমিয়ে গেছি, খেয়ে নিলেই পারতে। নয়তো ডাকতে আমায়।”
“বাসায় থাকলে তোকে ছাড়া কখনো খেয়েছি, বলতো? তুই না খেয়ে ঘুমালেও এই সময়ই উঠে খাবি সে কী আর আমি জানি না নাকি! তাই ডাকাডাকি করিনি।”
অন্বেষা হেসে বাবার দিকে তাকিয়ে বলল, “বাবা, তুমি কি জান, তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা?”
“তুই কি জানিস, তুই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেয়ে?” দুজনেই হাসল সশব্দে, প্রশান্তির হাসি।
সতেরো.
পরদিন অফিসে বসে ছিল, আপাতত কোনো কাজ নেই। হঠাৎ আনন্দের কথা মনে হলো। ঢাকায় ফিরে আর যোগাযোগ করা হয়নি ওর সাথে। ছেলেটা সাহায্য না করলে আবিদ শাহরিয়ারের নাগালই পেত না ও। পেমেন্টও করা হয়নি এখনো। মনে হতেই আনন্দের নম্বর ডায়েল করল।
“কী রে! হঠাৎ ফোন? তোর তো আর কোনো খোঁজই নাই, ভাবলাম অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছিস কিনা রাইটারের দেখা পেয়ে।”
“আরে ধুর, মুড নষ্ট করিস না তো। ভালো মুড নিয়ে ফোন দিছি তোরে।”
“তো বল, কী মনে করে ফোন দিলি?”
“তোর টাকাটা দেয়া হয় নাই, তাছাড়া একটা ট্রিটও পাওনা আছে তোর। কই আছিস এখন সেইটা বল?”
“বাহ্! ট্রিট দিবি, তাইলে তো ভালোই হয়। আমি আছি তোর অফিসের আশেপাশেই।”
“মানে কী! এইখানে কী করিস? আচ্ছা যাই হোক, এইখানে একটা নতুন কফিশপ হইছে না? ওইখানে ওয়েট কর, আমি আসতেছি উইদিন টেন মিনিটস।”
কল কেটেই বের হলো অন্বেষা, কফিশপের প্রবেশ পথে ওর সামনে দিয়ে একটা মেয়ে ঝড়ের গতিতে বেরিয়ে গেল, মেয়েটাকে চেনা চেনা মনে হচ্ছিল। ভেতরে ঢুকতেই দেখল আনন্দ বিমর্ষ চেহারা নিয়ে বসে আছে। মেয়েটা কে তা এবার মনে পড়েছে।
“কী রে, তোর গার্লফ্রেন্ডরে দেখলাম এটম বোম হয়ে বেরিয়ে গেল। সমস্যা কী?”
“আর সমস্যা। সাথে এরকম একটা মূর্তিমান আতঙ্ক থাকলে সমস্যার কোনো শেষ থাকে নাকি!”
“ফালতু কথা না বলে কী হইসে সোজাসুজি বল না?”
“আর বলিস না, আজকের দিনে নাকি ওর সাথে আমার প্রথম দেখা হইছিলো, সেইটার অ্যানিভার্সারি। আমারে এইখানে ডাকছে, আমি আসতেই হামলা শুরু, জিজ্ঞেস করতেছে আজকে একটা বিশেষ দিন, বলোতো কী? আমি ভুলে গেছি, তাই ঝগড়া টগরা করে চলে গেল। আমি নাকি ভালোবাসি না, এই সেই হ্যানত্যান…”
“তা মনে রাখিস নাই কেন? ছোট্ট একটা তারিখ মনে রাখা এত সমস্যা? তাছাড়া বেশিরভাগ মেয়েই ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে স্পেশাল ডে’তে স্পেশাল সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে। এতে তো দোষের কিছু দেখিতেছি না! তোর তো মামা আহামরি কোন ব্যস্ততাও নাই!”
“তুই তো চিনিস না ওরে। তাই মনে হইতেছে দোষ নাই। বছরের তিন’শ পয়ষট্টি দিনই ওর আলাদা আলাদা করে স্পেশাল ডে। স্পেশ্যাল ডে বিশারদ হয়ে গেছে। দেখা হওয়ার দিন, রিলেশনশিপ শুরুর দিন, প্রথম হাত ধরার দিন, আমার সাথে প্রথম শাড়ি পরে কবে দেখা করছে সেই দিন, এমনকি প্রথম ঝগড়ার দিনও আরও কত কী, আজব দিন বের করে। কয়টা মনে রাখি বল। আর না মনে থাকলে তো ঝগড়া ফ্রি। এত প্যারা অসহ্য লাগে। বলে যেদিন আমাদের প্রথম ঝগড়া হইছে বছরের ওই দিনে নাকি সারাদিন ঝগড়া করবে। আবার যেই দিন প্রথম শাড়ি পরে আসছিল প্রতি বছর সেই একই দিন নাকি শাড়ি পরবে! চিন্তা করতে পারিস?”
গোবেচারা মার্কা চেহারা করে আনন্দ কথা শেষ করল। একটানা এতগুলা কথা বলে এখন হাঁপাচ্ছে বেচারা।
“ও তোরে কত ভালোবাসে বুঝতে পারতেছিস গাধা। এরজন্য তোদের ছোট ছোট ব্যাপারগুলাও ওর কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ। তোকে নিয়ে এত কনসার্ন, আর তোর কাছে এগুলো প্যারা!”
“এত ভালোবাসা আর নিতে পারতেছি না, দোস্ত।”
হঠাৎ করে আবিদের মুখটা ভেসে উঠলো অন্বেষার চোখে, ভালোবাসা হারানো উদভ্রান্ত এক লোক। চোখে কী যে গাঢ় বিষাদ! অথচ এই গাধা কিনা এত ভালোবাসা পেয়েও পায়ে ঠেলছে।
“এখন আছে তো, তাই বুঝতেছিস না। হারায়ে গেলে ঠিকই বুঝবি। মাথামোটা একটা।”
খেতে খেতে আনন্দ প্রশ্ন করল, “তোর ওই রাইটার সাহেব শেষ পর্যন্ত পাত্তা দিল তোরে?”
“আমি কী প্রেম করতে চাইছি নাকি যে পাত্তা দিবে?” মুখ বাঁকিয়ে বলল ও।
“তা কী কাহিনী শোনাইলেন উনি? যার জন্য এত দৌড়ঝাঁপ করলি, সাত সমুদ্র পারি দিলি?”
অন্বেষার এই বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। আনন্দের স্বভাবই হচ্ছে মানুষকে রাগিয়ে দিয়ে নিজে মজা উপভোগ করা। তাছাড়া কথা দিয়েছে আবিদকে, আর অন্বেষা কথা রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে তাড়া লাগায় ও। আনন্দের সাথে কাজ শেষে বাসায় ফিরে সব গুছিয়ে এগারোটার দিকে অতসীর ডায়েরিটা নিয়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসল।
অতসীর মায়ের কথা পড়ছিল, যেখানে ভালোবাসার মানুষ কয়েকদিনের জন্য লাপাত্তা হয়েছিল, চিহ্নিত পৃষ্ঠা বের করে পড়তে শুরু করল—–
প্রায় তিনসপ্তাহ কেটে গেছে, কাউকে যে জিজ্ঞেস করব সে উপায় নেই। মুখের উপর যদি বলে দেয়, এই চেহারা নিয়ে কেন কারো খোঁজ করছি, এত সাহস কোথায় পেলাম! সে আমার একেবারেই সইবে না। তিন সপ্তাহে আমি পাগলপ্রায়, ভালোবাসার প্রগাঢ়তা খুব ভালো মতো বুঝতে পারলাম।
এরপরই তার দেখা পেলাম। মনে হচ্ছিল কতদিন পরে দেখলাম তাকে। মনে জমা মেঘের বরফ যেন এক নিমেষে বৃষ্টি হয়ে ঝরতে শুরু করল। সেদিন কলেজ থেকে ফেরার পথে একই জায়গায় ওকে দেখলাম। লজ্জা, ভয়, সংকোচ ভুলে আমি তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আশেপাশে কারা আছে, কী ঘটছে কিছুই জানি না, শুধু জানি সে এসেছে। জলজ্যান্ত দাঁড়িয়ে আছে আমার সামনে।
“কই ছিলেন এতদিন? আসেননি কেন? কী হয়েছিল?”
অস্থির হয়ে এতগুলো প্রশ্নবাণ একেবারে ছুড়েছিলাম।
সে মুচকি হেসে ফেলে বলেছিল,
“আমার না থাকা তোমায় পুড়িয়েছে, তার মানে আমি না থেকেও ছিলাম তোমার সবটা জুড়ে। তুমিও আমাকে ততটাই অনুভব কর যতটা আমি করি। আমার আর কিছুই চাইবার নেই।”
ওর গলায় তখন যে কী অদ্ভুত মাদকতা খেলা করছিল! আমি নিজেকে তাতে হারিয়ে ফেলছিলাম বারবার। ওর কথাগুলো যেন আমাকে নতুন করে বাঁচাল, কালো রাজকন্যার জন্যও তবে ভালোবাসার অধিকার আছে। সুদর্শন রাখাল বালক তবে কালো রাজকন্যার জন্যও বাঁশিতে সুর তুলে!
সেই থেকে আমাদের ‘চোখাচোখি’ প্রেম পূর্ণতা পেল। ভীষণ সুন্দর কিছু অনুভূতির প্রগাঢ়তায় বুঁদ হয়ে থাকলাম। ও বলেছিল অসুস্থতার জন্য আসতে পারেনি। তারপর দুজনের ভালোবাসার একটা ছোট্ট পরীক্ষা করেছিল। দুজনেই তাতে লেটার মার্ক নিয়ে পাস।
কিন্তু নশ্বর পৃথিবীতে সুন্দর সময় হয়তো বেশিদিন স্থায়ী হয় না। নজর লেগে যায় লোকের। আমাদেরও তাই হলো। কীভাবে যেন পুরো এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলো। বাড়িতে সবার ভীষণ আদরের হলেও, রক্ষণশীল পরিবারের কেউই সম্পর্কটা মানল না। তার উপর ছেলের নেই চালচুলো, শুধু আছে কেবল একটা সুন্দর চেহারা। আমার কাছ থেকে সবটা শুনে বাবা সেদিন বলেছিলেন,
“সুন্দর চেহারায় মন ভুলবে, পেট ভরবে না। ওর বাপ যা রেখে গেছে তা কয়দিনেই ফুরাবে। এই ভবঘুরে ছেলের তো আয় রোজগারের ইচ্ছাই নাই। টোটোকোম্পানির ম্যানেজার সে। যে ছেলে কাজকর্ম ভুলে আহাম্মকের মতো একটা মেয়ের জন্যে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে তার তো সংসার ধর্মে মন নাই বোঝাই যায়। তোকে কীভাবে সুখে রাখবে?”
বাবার কথা যে কতটা সত্য তা বুঝেছিলাম অনেক পরে সব হারিয়ে।
আমার সহস্র ফোঁটা চোখের জল আর শত অনুরোধ উপরোধ উপেক্ষা করে দুদিনের মধ্যে পাত্র জোগাড় করে ফেললেন। শুরু হলো বিয়ের আয়োজন। কোনোভাবেই বাড়ি থেকে বেরোতে পারছিলাম না। এই বিয়ে আমার কিছুতেই করা সম্ভব নয়। মন পরে থাকলো মনের জায়গায়। অপেক্ষায় থাকলাম সুযোগের। কাঙ্ক্ষিত সে ক্ষণ ধরা দিল অবশেষে। মায়া জিনিসটা সত্যিই এত অদ্ভুত! বিয়ের আগের রাতে সহসা সুযোগ পেতেই কাজে লাগাতে দেরী করলাম না এক মুহূর্তও।
রাতের অন্ধকারে বেরিয়ে পরলাম মায়ার টানে, চির বোহেমিয়ান এক তরুণের হাত ধরে পারি জমালাম অচেনা গন্তব্যে। সাথে নিয়েছিলাম আমার বিয়ের জন্য আগে থেকেই বানিয়ে রাখা কিছু গয়না। এছাড়া সঙ্গী কেবল বিশ্বাস, ভরসা, মায়া, ভালোবাসা আর এক সমুদ্র আবেগ! সেই আবেগের সমুদ্র জলেই ডুবে মরলাম!
……….
(ক্রমশ)