#Gangster_Husband
#Part_14
#Writer_Fariha_Jannat_Oriddhi
সত্য কখনো চাপা থাকে না। তাই চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও লাভ নেই। সত্য ত একদিন সময়ের সাথে সাথে সবাই জানবেই ,হয়ত কিছছু সময় পর ।ঠিক তেমনি দুই পরিবারে খুনের পিছনে ঘটে যাওয়া ঘটনাটাও সবাই জানবে। তার আগেই বর্ণ বিন্দুদের পরিবারে প্রতিশোধ নিতে শুরু করে দেয় যা দু পরিবারে মাঝে নিয়ে আসে শোকের ছায়া।
.
বর্ণ যদি আর একটু সময় ওয়েট করতো তাহলে হয়তো এতো বড় সর্বনাশ হতো না কিন্ত বর্ণ সেটা করে ও বেলাল জামানের থেকে সর্বশেষ আশ্রয় স্থলটুকু ও কেড়ে নেয়। তাকে রাস্তায় নেমে দেয়।
বেলাম জামান যাবার আগে বলে যায়
“–সত্যটা জানলে তুমি আফসোস করবে। তুমি যতোই ক্ষমা চাবার চেষ্টা করো না কেন তোমায় কেউ ক্ষমা করবে না। তুমি একা হয়ে যাবে। তোমার চারেদিকে অন্ধকার দেখবে তুমি। তুমি আমার কাছে থেকে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছ ঠিক তেমনি তুমি একদিন আমার জায়গায় আসবে সেদিন হাজার চেষ্টা করলেও পথ খুঁজে পাবে না। একদিন তুমি আমার বুক থেকে আমার সন্তান কে কেড়ে নিয়েছ ঠিক তেমনি তোমার কাছে থেকেও তোমার সন্তাকে কেড়ে নিবে। উপরে একজন আছে বর্ণ তাকে অন্তত ভয় করে ।
বলে বেলাল জামান বেড়িয়ে যায় বর্ণ শুধু চোখের পানি ফেলছে আর বেলাল জামানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আটকাতে চেয়েও পারি নি কারণ সে যে তার পরিবারে খুনী কিন্ত আজ বেলাল জামানের কথা গুলো অদ্ভুত এবং কেমন জানি ছিলো বার বার মনে হয়ছে মানুষটি কথা গুলো সত্য বলছে কিন্তু এতোদিন ত আমি জেনে এসেছি যে উনি খুনী।
আমি কোন ভুল করছি না ত।
“হ্যালো জনি
“…..
“বেলাল জামান এইমাত্র এখান থেকে বেরিয়ে গেলো তোমরা নজর রাখো ওনার উপর
“…….
“সকল ইনফরমেশন আমার চাই।
“…..
বর্ণ কথা বলে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে গেলো হসপিটালের উদ্দেশ্যে যেখানে আছে আকবর চাচা। সময় মনে হয় যেতে চায় না এমন অবস্থা বর্ণের আর মাত্র 24 ঘন্ট বাকি আকবর চাচার জ্ঞান ফেরার। বর্ণের যে সকল রহস্যের সমাধান চাই কারণ ওর ধারণা মিথ্যা হলে নির্দশ একটা ফ্যামিলির উপর অবিচার করা হবে যা বর্ণ কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না আর নিজেকেও ক্ষমা করতে পারবে।
আকবর চাচাকে দেখে ডক্টরের সাথে কথা বলে বর্ণ রাতে বাসাই আসে ।এসে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে যায় সেখানে মনিমা,বিন্দু,শ্রাবণ ও বর্ষা বসে থেকে গল্প করছিলো ।বর্ণ ও সেখানে যেয়ে এড হয়। একবার বিন্দুর দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নেয় বিন্দুকে আজ বউ বউ লাগছে ফিরোজ রঙের একটা সুতি শাড়ি পরেছে মাছখানে সিঁথি করা আর কিছু স্বর্ণের অলংকার সব মিলিয়ে তার পিচ্চি বউ মনে হচ্ছে !
মনিমা বলে “–আকবর এর অবস্থা এখন কেমন ?
–” হুম কাল অবধি ওয়েট করতে হবে ।
–“শ্রাবণ বলল–টেনশন নিস না কাল সব রহস্যের সমাধান হবে।
–“ভাইয়া কিসের রহস্য রে “বর্ষা”
মনিমা বর্ষাকে ধমক দিয়ে উপরে যেতে বলে সাথে বিন্দু কেও নিয়ে যেতে বলে।
বিন্দুর আজকে কেন জানি খুব খারাপ লাগছে মনে হচ্ছে কাছের মানুষ খুব আপন জন তার থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে কিন্তু কেন এমন মনে হচ্ছে তার! সে নিজেও জানে না! তাহলে কি বাবাইয়ের কিছু হলো না ত? বাবাই কি ঠিক আছে?
আজকে কেন জানি বাবাইয়ের কথা মনে পড়ছে। আমায় ত ঐ গুন্ডাটা যেতেও দিবে না।
.
রাত 10 টা সবাই ডিনার করে যে যার মতো বেড রুমে যায়।
বর্ণ ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে। বিন্দু বর্ণের পাশে গিয়ে ভয়ে ভয়ে বসে কিছু বলতে চায় বাট বলতে পারে না। সে নিচের দিকে তাকিয়ে শাড়ির আচলা হাতে নিয়ে খেলতে থাকে।
বর্ণ বিন্দুর দিকে তাকিয়ে বলে, কিছু বলবে?
বিন্দু আমতা আমতা করে বলে একটা কথা বলার ছিলো।
:”ত বলে ফেলো
“বলছিলাম যে…..
তার আগেই বর্ণের ফোন আসে–
জনির ফোন সেজন্য বর্ণ রিসিভ করে কারণ জনি দরকার ছাড়া ফোন করে না।
“–হ্যালো জনি
“…..
” হোয়াট,,,, কোন হসপিটালে?
“….
“আমি এখনি আসছি সবাইকে নিয়ে তুমি সব রকম ব্যবস্থা করো।
বর্ণ ফোনটা রেখে বিন্দুকে বলে তার সাথে যেতে হবে এখনি সাথে মনিমা সহ সবাইকে বলে তার সাথে যেতে।
সবাই গাড়িতে বসে।
মনিমা বর্ণকে বলে তারা কোথায় যাচ্ছে।
” আমরা হসপিটালে যাচ্ছি।
“কিন্তু কার কি হয়ছে দা?”বর্ষা”
“আকবর চাচার জ্ঞান ফিরছে? শ্রাবণ বলে
“নাহ্
“তো
“বর্ণ কি হয়ছে আমার কেন যাচ্ছি বলো, মনিমা বলে
বর্ণ বিন্দুর অস্থির চাহনি দেখে বলে তাহলে শোন,,,,,,,,
.
.
.
চলবে,,,,,,,,,,,,,
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন