#Gangster_Husband
#Part_10
#Writer_Fariha_Jannat_Oriddhi
বিন্দু বেডে অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছে,, এক হাতে স্যালাইন ও অন্য হাতে ব্লাড পুশ করা,,,, চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে,,, কোন সেন্স নেই,, পাশে ডক্টর সব কিছু চেকআপ করছে আর বর্ণ বিন্দুর মাথার পাশে বসে অনুসচনায় ভুগছে,,,,কারণ আজকে বিন্দুর এ অবস্থার জন্য দায়ি শুধু বর্ণ,,,
সে প্রতিশধের নেশায় পাগল হয়ে গেছে,,,
হিংস্র পশুর মতো ব্যবহার করছে তিন দিন যাবৎ
যার ফলে বিন্দুর মতো নিষ্পাপ একটা মেয়ে আজকে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে,,,,,
[আপনারা হয়তো কিছু বুজতে পারছেন না, তাহলে শুনুন বর্ণ যখন বিন্দুর কথা মনে পড়ে তখন ও দৌড় দিয়ে বাগানের পূর্ব দিকের ঘর টায় যায় যেখানে বিন্দুকে সারা রাত আটকিয়ে রেখেছিলো,,, তালা খুলে ভিতরে গিয়ে বর্ণের চোখ কপালে উঠে যায় ফ্লোরে রক্ত দেখে,,,নিছে বিন্দু সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে,, আর হাত দিয়ে ব্লাড বের হচ্ছে ওর,, যার জন্য ফ্লোরে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে,,,,,বর্ণ বিন্দুকে ঐ অবস্থা থেকে তুলে তার রুমে নিয়ে আসে,,, এবং তাদের ক্লিনিকের ডক্টরের কাছে ফোন করে,,, ডাক্তারী যতো সামগ্রী আছে সব নিয়ে আসতে বলে,,, সব মিলিয়ে ছোটখাটো একটা হসপিটাল দেয় চৌধুরী নিবাসে,,, কজ বিন্দুকে এই অবস্থায় হসপিটালে এডমিট করলে মিডিয়ার সামনে হেনস্তা হতে হবে,,, আর বিন্দুর অবস্থাও খুব খারাপ এর দিকে যাচ্ছে]
বিন্দু তখন তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়ে যায় আর তার শরীর প্রচন্ড উইক ছিলো যার ফলে সে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে,, মাটিতে লুটিয়ে পড়ার আগে তার হাত যায় তার পাশে রাখা টেবিলের গ্লাসের উপর যা ভেঙে তার হাতে ঢুকে যায় এবং প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়,,, তারপরে তার জ্ঞান ফিরে নি]
,
বর্তমানে,,,,,,,,
ডক্টর বিন্দু হাত ড্যাসিন করে বেন্ডেজ করে দেয়,,, আর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণের জন্য,,, অনেক রক্ত দিতে হচ্ছে,,, একটা ইনজেকশন পুষ করেছে,,,
ডক্টর বর্ণকে বললো,,,,,
-মি. চৌধুরী রোগীর এ অবস্থা কিভাবে হলো,,,
বর্ণ ফেলফেল করে তাকিয়ে আছে ডক্টরের দিকে,, তার কাছে কোন উত্তর নেই
কি বা উত্তর দিবে ও ত মেতে ছিলো প্রতিশধের নেশার
যার ফল স্বরূপ বিন্দুর এই অবস্থা
একটা অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে যেয়ে আর একটা অন্যায় করছে ও নিষ্পাপ ফুলের মতো ছোট্ট মেয়েটার সাথে,,,
ডাক্টারে কথায় বর্ণের ঘোর কেটে গেলো,,,
ডক্টর বললো পেশেন্ট এখন পুরোপুরি বিপদ মুক্ত না,,, 24 ঘন্ট না যাওয়া অবধি কিছু বলা যাবে না,,, আর একটু দেরী হলে বাঁচানো যেতো না,,, ঠিক সময়ে ফোন করেছেন আপনি, মি চৌধুরী,,,
বর্ণ অসহায় ভাবে বললো ডক্টর ও বাঁচবে ত,,,
-সব আল্লাহর ইচ্ছা,, উনাকে ডাকুন,,, আর হসপিটালে এডমিট করালে ভালো হতো
-ডক্টর যতো টাকা লাগে আমি দিবো আপনি সব কিছু এই বাড়িতে করুন,,,
-ঠিক আছে,,, আমি কিছুক্ষণ পর এসে দেখে যাবো আর দুজন নার্স পাঠিয়ে দিচ্ছি,,,
-ধন্যবাদ ডক্টর
-এটা আমার কর্তব্য,,,
ডক্টর চলে গেলো,,, বর্ণ বিন্দুর হাত ধরে ফ্লোরে বসে পরে চিৎকার করতে থাকে
কেন এমন হলো আমার সাথে
কেন আমি সব কাছের মানুষদের হাড়িয়ে ফেলি,,,আমি তোমায় এভাবে কষ্ট দিতে চাই নি বিন্দু বিশ্বাস করো,,, আমি ত চেয়েছি তোমার বাবার অন্যায় এর প্রতিশোধ নিতে,,,,,আমি জানি না তুমি আমায় ক্ষমা করবে কি না,,,
কিন্তু আমি বেলাল জামানকে ছাড়বো না,, কিছুতেই না,,, ওর শাস্তি ওকে পেতেই হবে,,,
,
বর্ণ কথা গুলো বিন্দুর হাত ধরে ফ্লোরে বসে চিৎকার করে বলছে আর কাঁদছে,,,,
,
এরমধ্যে মনিমা আর বর্ষা চিন্তিত হয়ে রুমে ঢুকে
বর্ণ ওদের দেখে ঘাবড়ে যায়,,
-মনিমা তোমরা,,,তোমার ত এক সপ্তাহ পর আসার কথা ছিলো তবে আজকে কেন,,,
মনিমা আর বর্ষার চোখ পরে বেডে পড়ে থাকা বিন্দুর দিকে,,, বিন্দুকে দেখেয় বুঝা যাচ্ছে সারারাত মেয়েটা কি অবস্থায় ছিলো,,,
,
বর্ণ কিছু বলতে যাবে তার আগেই মনিমা গায়ের জোরে বর্ণকে ঠাসসসস করে থাপ্পড় দেয়,,, বর্ণ গাল ধরে দাঁড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে,,, বর্ষা ও ঘাবড়িয়ে যায়,,, কারণ ওদের মনিমা কখনো ওদের গায়ে হাত দেয় নি
বাবা মার অভাব বুঝতে দেয় নি,, আর আজকে কি না দার গায়ে হাত তুলেছে,, তবে এটা হবার ইইই ছিলো,,
দা যা করছে মোটেও ঠিক করে নি,,,
,
মনিমা বর্ণের কাছে যেয়ে বলতে শুরু করে
অনেক হয়েছে আর না
কি পেয়েছিস তুই নিজেকে,,
হিংস্র জানোয়ার এর মতো কাজ করছিস,,, ছোট্ট একটা মেয়েকে এভাবে শাস্তি দিতে তোর বিবেকে বাধছে না
আমি ভেবেছিলাম মেয়েটা তোকে তার ভালোবাসা দিয়ে তোর ভিতরে প্রতিশধের আগুন নিভিয়ে দিবে কিন্তু এখন দেখছি তুই মেয়েটার জীবনের আলো নিভিয়ে দিচ্ছিস,,,,
কিন্তু আমি তা হতে দিবো না,,,,
তুই মেয়েটাকে এখানে থাকলে মেরে ফেলবি ও সুস্থ হয়ে গেলে আমি ওকে ওর বাসাই দিয়ে আসবো
ওর বাবা আর তোর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
তোরা দুজন ইই খুননননননি,,,,
আগে যদি জানতাম তুই বড় হয়ে প্রতিশধের নেশায় এভাবে তোর থেকে এগারো বছরের ছোট মেয়ের উপর এভাবে অত্যাচার করবি তাহলে তোকে আমি তোর বাবা মা ও পরিবারের সাথেই মাটি চাপা দিয়ে আসতাম,,,,
,
বর্ণ এতোক্ষণ সব দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুনছিলো,,, ওর মধ্যে অনুসচনা হচ্ছে,,, ওর মনিমা কে কখনো এরূপে দেখে নি,,,, আজ নতুন দেখছে,, কিন্তু শেষের কথা শুনে বর্ণ আর নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারে নি হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে যায়,,,
কোথায় যাবে জানে না তবে ওর কোন সেন্স নেই,,, গাড়ি চলছে ফুল স্পীড এ
,
মনিমা রাগের মাথায় এতোগুলো কথা বলে ফেললো বুজতে পারে নি যখন বুজলো তখন বর্ণ চলে গেছে,,,
মনিমা কি করবে বুজতে পারছে না একদিকে রাগী জেদি বর্ণ আর অন্যদিকে সরল সোজা মিষ্টি মেয়ে বিন্দু,,,,,
মনিমা কি পারবে দুই পরিবারে প্রতিশোধ এর আচ থেকে বর্ণ আর বিন্দুকে রক্ষা করে ওদের স্বাভাবিক জীবন ফিরে দিতে,,,,
পারবে কি সব প্রতিশধের নেশা এখানেই শেষ করতে,,,
মনিমা তো আর কাউকে হাড়াতে চায় না,,, এটুকু জীবনে সে অনেক কিছু হারিয়েছে,,,,,
,
,
,
চলবে,,,,,,
[বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here