#রোমান্টিক_ডাক্তার
পার্ট: ১৪
লেখিকা: সুলতানা তমা
জোহরের নামাজ পড়ে জায়নামাজ এই বসে ছিলাম হঠাৎ ভাবির চেঁচামেচি শুনে ড্রয়িংরুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম। রুমের বাইরে আসতেই ভাবি সামনে এসে দাঁড়ালো, ভাবি খুব রেগে আছে বুঝতেই পারছি। আমার হাত ধরে টেনে ড্রয়িংরুমে নিয়ে আসলো। ভাইয়া, অয়ন, তিশা, কাব্য, মামি সবাই বসে আছে। বাহ্ কাব্য তো দেখছি সবাইকে ফোন করে এখানে নিয়ে এসেছে।
ভাবি: তিলোত্তমা এসব কি শুনছি..?
আমি: কি?
ভাবি: ডিভোর্স এর কথা আসছে কেন (কলিংবেল বাজছে, জানি শুভ্রা এসেছে)
মামি: তিশা দেখতো কে এসেছে।
আমি: শুভ্রা এসেছে আমি খুলছি দরজা।
দরজা খুলে শুভ্রার দিকে তাকিয়ে আছি, শাড়ি পড়ে খুব সুন্দর করে সেজেছে পুরাই পরী।
আমি: ভিতরে এসো।
শুভ্রা: কাব্য কোথায়..?
আমি: ওইতো বসে আছে। (শুভ্রা গিয়ে কাব্য’র পাশে দাঁড়ালো, কাব্য উঠে আমার কাছে চলে আসলো)
শুভ্রা: তিলোত্তমা কাব্য’কে ডিভোর্স দিবে বলেছিলে সব রেডি তো।
কাব্য: আমি আমার তিলো পাগলীকে ছাড়া থাকতে পারবো না প্লিজ তুমি আমায় এতো বড় শাস্তি দিও না। আমি যা করেছি শুধুমাত্র তোমাকে আমার করে পাওয়ার জন্য করেছি। (কাব্য আমার হাত ধরে কাঁদতেছে দেখে শুভ্রা এসে ওর হাত ধরলো)
শুভ্রা: কাব্য তুমি আমার কাছে এসো ও তোমায় কাঁদাচ্ছে কিন্তু আমি তোমায় কখনো কাঁদাবো না (শুভ্রার হাত ধরে টান দিয়ে আমার সামনে এনে ওর দুগালে কয়েকটা থাপ্পড় দিলাম। ও গালে হাত দিয়ে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে)
তিশা: আমি জানতাম তুই আমার মেসেজটা পড়বি। হিহিহি দারুণ হয়েছে।
আমি: তোর মেসেজ পড়েই তো শুভ্রাকে এখানে ডাকলাম।
শুভ্রা: এসব কি করছ তিলোত্তমা, তুমি তো বলেছিলে কাব্য’কে ডিভোর্স… (আরো কয়েকটা থাপ্পড় দিলাম)
আমি: বিয়ে নামক সম্পর্কটার জোড় কতোটা বেশি তুই হয়তো সেটা জানিস না। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এতো ঠোনকো না যে তোর মতো কোনো নষ্টা মেয়ে এসে একটা ঠোকা দিলেই সম্পর্কটা ভেঙে যাবে।
শুভ্রা: তুমি আমাকে ডেকে এনেছ এভাবে অপমান করার জন্য..?
আমি: তো তোর কি মনে হয় কাব্য’কে তোর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ডেকে এনেছি..? বৌভাত এর দিন কি বলেছিলাম ভুলে গেছিস..? ভুলে গিয়ে থাকলে আবারো বলছি “কাব্য আমাকে আর আমি কাব্য’কে দুজন দুজনকে ভালোবাসি। কাব্য আমার আর শুধু আমারই থাকবে” তোর মতো কোনো নষ্টা মেয়ে আমাদের আলাদা করতে পারবে না।
শুভ্রা: ডিভোর্স এর কথা বলে তুমি আমার সাথে নাটক করেছ..?
আমি: তুই যেমন সবকিছু প্ল্যান করে করেছিস আমিও সবকিছু প্ল্যান করে তোর কাজের পাল্টা জবাব দিলাম।
শুভ্রা: তোকে তো আমি…(শুভ্রা আমাকে থাপ্পড় দিতে আসছিল, কাব্য শুভ্রার হাত ধরে ফেললো)
কাব্য: এতোদিন তোর সবকথা মুখ বোজে সহ্য করে গেছি কিন্তু আমার তিলোর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে তোর হাত আমি ভেঙে ফেলবো।
আমি: তোর পাতানো ফাদে কাব্য আটকে গিয়েছিল তাই ভুল করে ফেলেছে, ও যদি নিজে থেকে এমন করতো তাও আমি ওকে ডিভোর্স দিতাম না কারণ ও আমাকে ভালোবাসে আর ও যা করবে আমার ভালোর জন্যই করবে।
শুভ্রা: আজ যতো গুলো থাপ্পড় দিয়েছিস আর যতোটুকু অপমান করেছিস সবকিছুর প্রতিশোধ আমি নিবো।
আমি: যা খুশি কর শুধু এইটুকু মনে রাখিস কোনো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভাঙ্গা এতো সহজ না। (শুভ্রা রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলো)
কাব্য: ডিভোর্স এর কথাটা শুনে অযতাই ভয় পেয়েছিলাম ভুলেই গিয়েছিলাম আমার তিলো পাগলী আমাকে ভালোবাসে তাই কখনো আমাকে ডিভোর্স দিবে না।
আমি: আমাকে জানিয়ে যদি সবকিছু করতেন তাহলে আজ দুজনকে এতো কষ্ট পেতে হতো না। নিজের বউয়ের থেকে কথা লুকানোর শাস্তি তো আপনি পাবেনই।
কাব্য: যা খুশি শাস্তি দাও শুধু ছেড়ে যাওয়ার কথা বলোনা মরে যাবো।
অয়ন: ভাবি বিষয়টা কি হলো বলতো।
ভাবি: কাব্য তো ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল তুই নাকি ওকে ডিভোর্স দিবি বলেছিস তাই তো আম্মুকে হসপিটালে রেখেই ছুটে আসলাম কিন্তু এখন তো সবকিছু উল্টো হলো।
ভাইয়া: আমি জানি তিলোত্তমা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই পারে না।
আমি: ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তো, তোমাদের সবাইকে ছেড়ে এই শহর ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু হঠাৎ ফোন হাতে নিয়ে তিশার মেসেজ দেখে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি।
অয়ন: একটা মেসেজে সবকিছু ঠিক হয়ে গেলো, তিশা আপু তুমি কি জাদু করে মেসেজ পাঠিয়েছিলে..?
তিশা: জাদু না সবকিছু খুলে বলেছিলাম। আসলে দোষটা আমারই তমাকে আগেই সব জানানো উচিত ছিল।
কাব্য: জানাইনি তো ভয়ে যদি আমাকে ভুল বুঝে।
ভাবি: আচ্ছা মেসেজে কি লিখা ছিল..?
আমি: বলছি “তমা আমি জানি তুই রেগে আছিস আর একবার রেগে গেলে যে তুই কারো কথা শুনিস না সেটাও আমি জানি তাই তো মেসেজে সব বলছি। এসবে কাব্য’র কোনো দোষ নেই, দোষতো তোর মামি আর শুভ্রার। কাব্য তোকে ভালোবাসে এইটা শুভ্রা মেনে নিতে পারেনি তাই দুজন লোককে ও তোর মামির কাছে পাঠিয়েছিল। আন্টি রাজি না হওয়াতে ভয় দেখিয়েছিল তখন আন্টি ভয় আর কিছুটা লোভে রাজি হয়ে যায়। তুই আমার কাছ থেকে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কাব্য হঠাৎ হন্তদন্ত হয়ে আমার কাছে আসে আর বলে তোর মামি তোকে পতিতালয় এর দুজন লোকের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। আসলে আমার কাছে আসার আগে কাব্য তোদের বাসায় গিয়েছিল আর দরজা থেকে ওদের কথা শুনেই আমার কাছে চলে এসেছিল। তারপর আমরা তোদের বাসায় যাওয়ার পর অনেক কথা কাটাকাটি হয়, ওদের সাথে জামেলা করে লাভ হবে না বুঝতে পেরে কাব্য ওই দুজন লোকের থেকে তোকে কিনে নেয়। এছাড়া আর কোনো রাস্তা ছিল না আমাদের কাছে কারণ আমরা জামেলা করলে লোকগুলো তোর ক্ষতি করতো। কাব্য ওদের এক কোটি টাকার চেক দেওয়ার পর ওরা চলে গিয়েছিল। তারপর তোর রুমে গিয়ে আমরা তোকে পাইনি, কাব্য তোকে পাগলের মত খুঁজেছে পরে তো রাস্তায় তোকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়েছিল। লোক দুটু তোকে সাথে নিয়ে যায়নি বরং দ্বিগুণ টাকায় তোকে কাব্য’র কাছে বিক্রি করে শুভ্রার সাথে বেঈমানি করেছিল তাই শুভ্রা কিছু লোক ভাড়া করে আমাদের বাসায় পাঠিয়ে জামেলা করেছিল। ওদিকে তোর জ্ঞান ফেরার পর যখন তুই আন্টির দোষ ঢাকার চেষ্টা করলি তখন কাব্য ভয়ে আর কিছু তোকে বলেনি। কাব্য তোকে ভালোবাসে তাই তোকে বাঁচানোর জন্য এমন করেছে আর তোর থেকে সবকিছু লুকিয়েছে শুধুমাত্র তোকে হারানোর ভয়ে। একটা মেয়েকে টাকা দিয়ে কেনাটা তো ভালো কাজ না। তুই এসব শুনে যদি কাব্য’কে ভুল বুঝিস তাই ও ভয়ে কিছু বলেনি, আমাকেও বলতে নিষেধ করেছিল। ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ভয় পাওয়াটা তো স্বাভাবিক। কাব্য’কে আর ভুল বুঝিস না প্লিজ” এটাই ছিল তিশার মেসেজ।
অয়ন: এখন সব বুঝলাম, তাও আমি বলবো ভাইয়া ভুল করেছে। তখন যদি ভাইয়া ভাবিকে সব বলে দিতো তাহলে শুভ্রার কাছ থেকে ভাবিকে এসব শুনতে হতো না আর ভাবি এতো রাগ করতো না।
কাব্য: আমি তো ভয়েই বলিনি। (চুপচাপ মাথা নিচু করে বসে আছে)
মামি: সব ভুল আমার তমা আমাকে ক্ষমা করে দে মা।
আমি: ক্ষমা..(হাসলাম)
মামি: ওরা আমাকে ভয় দেখিয়েছিল আর কিছুটা লোভে পরে… কিন্তু তুই বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর আমি বুঝতে পেরেছি তোকে আমি কতোটুকু ভালোবাসি। শুভ্রাকে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দে।
তিশা: তমা আন্টি তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন ক্ষমা করে দে।
আমি: হুম।
কাব্য: তিলো এবার বাসায় চলো।
মামি: তোমরা সবাই প্রথম এসেছ আমার বাসায়, খাওয়া দাওয়া করে রাতে যাবে।
ভাইয়া: ঠিক আছে।
জানালার কাছে দাঁড়িয়ে আছি আর বিকেলের প্রকৃতি দেখছি হঠাৎ তিশা এসে পাশে দাঁড়ালো।
আমি: ব্যাপার কি..?
তিশা: কিসের..?
আমি: আদনান ভাইয়ার সাথে মনে হচ্ছে সামথিং সামথিং।
তিশা: তেমন কিছু না এমনি একটুআধটু কথা বলি।
আমি: বিয়ের দাওয়াত কবে পাবো..?
তিশা: তমা তুই না…
কাব্য: তোমরা বললে আমি হেল্প করতে পারি (কাব্য এসে আমার অন্যপাশে দাঁড়ালো)
তিশা: কাব্য তুমিও…
কাব্য: বুঝেছি ব্যাপারটা আমাকেই দেখতে হবে তাই তো তিলো..?
সুন্দর সুন্দর গল্প পরতে চাইলে আমাদের গ্রুপে জয়েন হন।
আমি: আপনার ইচ্ছে।
কাব্য: এখনো আপনি..?
তিশা: আমি যাই এই সুযোগে রাগটা ভাঙিয়ে নাও। (তিশা চলে যেতেই কাব্য আমাকে টান দিয়ে ওর বুকের সাথে জরিয়ে ধরলো)
কাব্য: এতো অভিমান আমার তিলো পাগলীর জানতাম নাতো।
আমি: (নিশ্চুপ)
কাব্য: সব তো মিটেই গেলো তাহলে এখনো রেগে আছ কেন..?
আমি: উঁহু মিটেনি, আপনি আমার থেকে কথা লুকিয়েছেন এইটার শাস্তি তো আপনাকে পেতেই হবে।
কাব্য: আমি তো ভয়ে বলিনি প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো।
আমি: শুভ্রা যে বাজে ভাবে বলেছে আপনি তো সেভাবে বলতেন না অবশ্যই বুঝিয়ে বলতেন। আগে বলে দিলে কি শুভ্রা আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করার সুযোগ পেতো আর আমি কি এতো কষ্ট পেতাম।
কাব্য: (নিশ্চুপ)
আমি: ভালোবাসেন অথচ সবকিছু শেয়ার করতে পারেন না, কেন?
মামি: তমা খেতে আয়।
আমি: আসছি।
খাওয়াদাওয়া করে সন্ধ্যার দিকে অয়ন, কাব্য আর আমি বাসায় চলে আসলাম। ভাইয়া আর ভাবি আবার হসপিটালে চলে গেলেন।
আজ তো ভাবি নেই তাই আমিই রাতের খাবার রান্না করছি, আর ভুয়া আমাকে হেল্প করছে। কাব্য বার বার ড্রয়িংরুম থেকে কিচেনে উকি দিচ্ছে দেখে খুব হাসি পাচ্ছে। হুট করে কাব্য কিচেনে চলে আসলো, মতলব কি ওর।
কাব্য: বুয়া রান্না কতোদূর।
বুয়া: এইতো আর কিছুক্ষণ।
কাব্য: বাকিটুকু তিলো করে নিতে পারবে তুমি সারাদিন একা একা কতো কাজ করেছ আর করতে হবে না বাসায় চলে যাও। (কাব্য’র দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালাম, ও মিটিমিটি হাসছে। বুঝলাম না ও হঠাৎ বুয়াকে পাম দিচ্ছে কেন)
বুয়া: তাইলে আমি যাই।
আমি: ঠিক আছে। (বুয়া চলে যেতেই কাব্য এসে আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো)
কাব্য: খুব তো এতোক্ষণ আমার উকি মারা দেখে হাসছিলে এখন কি হবে, বুয়াকে তো পাঠিয়ে দিলাম।
আমি: কি হচ্ছে এসব, অয়ন বাসায় আছে।
কাব্য: থাকুক।
অয়ন: ভাবি (অয়নের কন্ঠ শুনে তাড়াতাড়ি দূরে সরে গেলো, ওর দিকে রাগি চোখে তাকালাম। কান ধরে আস্তে বললো সরি)
অয়ন: খিদে লেগেছে তো।
আমি: বসো।
খাওয়াদাওয়া করে রুমে আসতেই কাব্য পিছন পিছন আসলো।
কাব্য: তিলো নামাজ পড়বে না? (ওর প্রশ্ন শুনে কিছুটা না অনেক অবাক হলাম)
কাব্য: চলো দুজন একসাথে নামাজ পড়ি।
আমি: আপনি নামাজ পড়বেন?
কাব্য: সকালেও পড়েছি আর এখনো রেগে আছ, আপনি করে বলছ? (কাব্য’র কথার উত্তর না দিয়ে ওযু করতে চলে আসলাম। কাব্য’র উপর রেগে থাকলেও মনে মনে অনেক খুশিই হয়েছি কাব্য নিজে থেকে নামাজ পড়ার কথা বলেছে)
দুজন একসাথে নামাজ পড়ে নিলাম। আমি বিছানায় বসে আছি আর কাব্য জায়নামাজে বসে আড়চোখে আমাকে দেখছে।
কাব্য: ও আল্লাহ্ আমার তিলো পাগলীর রাগটা কমিয়ে দাও প্লিজ (কথাটা বলে কাব্য আমার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে, ওর কথা শুনে আর রাগ করে থাকতে পারলাম না ফিক করে হেসে দিলাম)
কাব্য: যাক বাবা শেষ পর্যন্ত রাগটা কমলো তাহলে।
আমি: হু কমেছে কিন্তু যদি আর কখনো আমার থেকে কিছু লুকিয়েছ তখন আর রাগ কমবে না। (নিশ্চুপ হয়ে কি যেন ভাবছে, তাহলে কি কাব্য এখনো
আমার থেকে কিছু লুকুচ্ছে)
আমি: হলো কি এতো কি ভাবছ?
কাব্য: ভাবছি তিলো পাগলীর রাগটা যখন কমেই গেছে এখন তাকে আদর করবো।
আমি: মানে কি? (কিছু না বলে আমার কাছে এসে আমাকে বসা থেকে শুয়ে দিলো। জোর করে ওকে সরাতে চাইলাম উল্টো আমাকে জরিয়ে ধরলো)
আমি: কি করছ ডাক্তারবাবু..?
কাব্য: উহ প্রাণ ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে কতো বছর পর ডাক্তারবাবু বলে ডাকলে।
আমি: তাই বুঝি।
কিছুনা বলে ডান হাতটা আমার ঘাড়ের কাছে নিয়ে রাখলো, বাম হাত দিয়ে আমার একটা হাত ওর মুখের কাছে নিয়ে গিয়ে আমার হাতে আলতো করে চুমু খেলো, ওর ঠোঁটের স্পর্শে কেঁপে উঠে চোখ দুটু বন্ধ করে ফেললাম। ও হাত ঘুরিয়ে আমার পেটের উপর দিয়ে নিয়ে আমার হাতের উপর ওর হাত রাখলো। আমার হাতের আঙ্গুলের ভাজে ভাজে ওর হাতের আঙ্গুল গুলো আটকে দিলো।
আমি: ডাক্তারবাবু প্লিজ ছাড়ুন।
কাব্য: চুপ, কথা তো বলতে পারছ না ঠোঁট দুটু কাঁপছে তাও এতো কথা বলো কেন।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওর ঠোঁট গুলো আমার ঠোঁটের উপর আলতো করে রাখলো।
চলবে