গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্ব :৫৪
লেখাঃ #মেহের।

জেসিকা ওর মেয়ের কথা শুনে বলল,তা আমার পাখিটা হঠাৎ বাবার উপর ক্ষেপলো কেন?

জানো মা পিকু সবার সাথে কত মজা করছে।
ছোট বাবাও পিকুকে কোলে নিয়ে আদর করেছে।
পিকু বাবার সাথে এসে বাবা ও মায়ের বিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছে।
সবার সাথে মজা করছে।
কিন্তু তোমার আর বাবার বিয়েতে বাবা আমাকে নিয়ে আসিনি তাই বাবার সাথে আমার কাট্টি।
জেসিকা মেয়ের কথা শুনে বলল,…কী ?
বলে আবার হেঁচকি ওঠে গেছে।
তার ছেলে ও মেয়ে এমন কথা কোথায় খুঁজে পায় তাই জেসিকার মাথায় এলো না।
জেসিকা বুঝতে পারছে না এখন মেয়েকে কি বলে বুঝ দিবে।
ওর মেয়েটা লক্ষী হলেও একটু নাছড়বন্ধা স্বভাবের।
জেরিন একবার কিছু জানতে চাইলে তার উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত সে বিষয় থেকে এক চুলও নড়চড় হয়না।
জেসিকা যখন এসব ভাবছিল,
তার মধ্যেই রুমে মারুফের আগমন ঘটে।

জেসিকা মারুফকে রুমে ঢুকতে দেখে মারুফের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল!

মারুফের পাঞ্জাবীতে ঝোল জাতীয় কিছু দেখে জেসিকা অবাক হয়েছে।
তবুও নিজেকে সামলে বলল,এই তোমার পাঞ্জাবীতে ঝোলের দাগ লাগলো কোথায় থেকে ?

মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল,আর বলো না বৌ, রাজিবের ছেলেটা এতো চঞ্চল যে কি আর বলব!
জেসিকা মারুফের কথা শুনে বলল, তোমার পাঞ্জাবীর দাগের সাথে রাজিব ভাইয়ের ছেলের কী সম্পর্ক?

আমি বরযাত্রীদের সবাইকে খাবার সার্ভ করছিলাম তারমধ্যে ও কোথায় থেকে এসে আমার সাথে ধাক্কা খেলো।
আর এদিকে তখন আমার হাতে গোশতের বোল ছিল। ওর ধাক্কা লেগে বোলের সব ঝোল আমার শরীরে উপরে পরে যায়।

জেসিকা মারুফের কথা শুনে ওর কাছে এসে বলল, তরকারি তো মনে গরম ছিল কোথায় কি হয়েছে দেখি পাঞ্জাবি খুলো!
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল,বৌ আমার কিছু হয়নি। আর তরকারি তেমন গরমও ছিল না।
জেসিকা বলল, তুমি তাড়াতাড়ি পাঞ্জাবী খুলে ফেলো ।না হলে শরীররে ঝোলের ঝাল লাগলে শরীর জ্বলবে।

মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, ঠিক আছে আমি খুলছি আর তুমি তাড়াতাড়ি আলমিরা থেকে আমার সাদা পাঞ্জাবিটা বের কর।
আমি এই ফাকে দাগ লাগা জায়গাটুকু ধুয়ে আসছি,
কথাটা বলেই মারুফ ওয়াশ রুমে চলে যায়।

কিছুক্ষণ পর মারুফ ওয়াশ রুমে থেকে বের হয়ে পাঞ্জাবি পরতে পরতে বলল, সোনা ময়নাগুলো এখানে কেন?
সবাই বাহিরে আনন্দ ফূর্তি করছে তোমরাও তাদের সাথে আনন্দ কর।
পিকুর সাথে খেলবে চলে এসো।
মারুফ ওদেরকে কথাটা বলেই রুম থেকে বের হওয়ার সময় জেরিন ও মুহিবের দিকে খেয়াল করে তাকিয়ে দেখলো মারুফ ওদের ডেকেছে তারপরও ওরা মন খারাপ করে গালে হাত দিয়ে খাটে বসে আছে।
যেখানে বাবা বলতে পাগল দুজনে।

এদিকে বাচ্চাদের মন খারাপ দেখে মারুফ চমকে উঠে।
ভাবতে থাকে তার কলিজার টুকরো গুলোর হঠাৎ করে কি হলো!

মারুফ কথাটা ভেবেই ওদের কাছে গিয়ে ওদের বুকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়ে বলল,কি হয়েছে আমার সোনা ময়নাদের?
আমার রাজপুত্র আর রাজ কন্যার মন খারাপ কেন
কে বঁকেছে?

জেসিকা মারুফের কথা শুনে বলল, কারো দায় পরেনি ত তোমার রাজপুত্র ও রাজকন্যাকে বকা দেওয়ার।
উল্টো ওরা তোমার উপরেই রেগে আছে ।
কারণ আমাদের বিয়েতে তোমার রাজপুত্র ও রাজকন্যাকে কেন নিজের সাথে রাখনি সেজন্য।

মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল,বৌ তুমি আগে বলবে না ,আমার সোনারা এজন্য মন খারাপ করে আছে!
জেসিকা মারুফের কথা শুনে মনে মনে ভাবছে, মারুফ এই কথাটা এত সাধারণ ভাবে নিচ্ছে কেন?
যার উত্তর দিতে আমাকে হিমসিম হচ্ছে।

এদিকে মারুফ বলল, তাহলে আমার সোনারা এজন্য মন খারাপ করে আছে!
কথাটা বলেই বাচ্চাদের বুকে মধ্যে চেপে ধরে বলল,আব্বু আম্মু তো তোমাদের নিয়েই বিয়ে করতাম।
কিন্তু তোমরা এতটাই কিউট ছিলে যে আল্লাহ তার কাছে তোমাদের রেখে দিয়েছিল।
আর তোমরাও তার ওখানে থাকতে চেয়েছো।

তাইতো মা বাবাকে তোমাদেরকে রেখে বিয়ে করতে হয়েছে।

মারুফের কথা শুনে জেরিন ও মুহিব তার বাবার গলা জড়িয়ে ধরে বলল, সত্যি?
মারুফ ওদের কথা শুনে মাথা ঝাঁকিয়ে ইশারাতে হ্যাঁ, বলল।
জেরিন তো ওর বাবার গলা জড়িয়ে ধরে রেখেই বলল,মা ও মা দেখছো আব্বু সব জানে?
আর তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করলেই শুধু হেঁচকি দাও।

জেরিনের কথা শুনে মুহিব প্রতিবাদ করে বলল,শুন বনু মা তো আমাদের বলতো কিন্তু বাবার পোশাকে ঝোলের দাগ ছিল আর দাগ ধুয়ে নতুন পোশাক খুঁজতে গেলে বাবার বাহিরে যেতে দেরি হবে তাই তো আম্মু আব্বুর পোশাক বের করছে সেজন্য আম্মু আমাদের প্রশ্নের উত্তর বলতে তখন সময় পায়নি।

মারুফ দুজনের কথা শুনে বলল, হয়েছে এবার তাড়াতাড়ি বাহিরে চল দেরি হচ্ছে তো।
আর বৌ তোমার যোহরের নামায শেষ হলে মায়ের রুমে এসো।
আমি ওদের মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।
কথাটা বলে মারুফ বাচ্চাদের চোখের উপরে হালকা করে হাত দিয়ে চেপে ধরে জেসিকার কপালে চুমু দিল।
এরপর রুমে থেকে বের হয়ে এলো।

মারুফের বাড়িতে আজকে হাসি আনন্দের মেলা বসেছে।
কারণ আজকে ঝর্নার বিয়ে।
অবশ্য এই বিয়েটা মারুফ ঠিক করেছে ।
ঝর্নার হাজবেন্ড মারুফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়।
নাম রাজিব।
রাজিবের আগে বিয়ে করেছিলে সে ঘরে তার একটা ছেলেও আছে তার নাম হচ্ছে পিকু।

রাজিবের এই বিয়ের আগে যে বিয়ে করেছে তা পারিবারিক ভাবেই হয়েছিল।
ওদের বিয়ের দুই বছর পর পিকুর জন্ম হয় ।
পিকুর মা সব সময় পিকুর প্রতি উদাসীন ছিল।
তখন রাজিবের মনে স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ হয়।
পিকুর মায়ের পিকুর প্রতি উদাসীন দেখে খোঁজ নেয় তাতে জানতে পারে ,
পিকুর মা তার মামাতো ভাইকে তাদের বিয়ের আগে থেকেই ভালোবাসত।
কিন্তু তাদের প্রেম ভালোবাসার কথা জানা জানি হলে পিকুর নানা জোর করে মেয়ের বিয়ে দেয়।
আর সে সময়ে ওর মামতো ভাই বেকার ছিল তাই মামাতো ভাইয়ের কথায় পিকুর মা রাজিবকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
রাজিবের সাথে বিয়ের পরে পিকুর মায়ের আচরণের রাজিব কখনো বুঝতেও পারেনি এমন নিষ্পাপ চেহারার মধ্যে লুকিয়ে আছে বৈয়মানী ।
এদিকে পিকুর মা বিয়ের পরও গোপনে গোপনে তার মামাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক রাখে।
পিকুর এক বছরের সময় ওর মা পিকুকে রেখে তার মামাতো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে যায়।
তখন থেকেই রাজিব মেয়েদের ঘৃণা করতো।
কিন্তু মারুফ তাকে সব সময় বুঝাত সব নারী এক রকম নয়।
সব নারী যদি এক রকম হতো তাহলে পৃথিবী চলত না।
আর একবার ভেবে দেখতো তোর আর আমার মা তো একজন নারী ।
কিন্তু তারা আমাদের জন্য কত কষ্ট সহ্য করছে নীরবে।
তারা কত উদার মনের।
আর তাদের কষ্টের ফল কিন্তু এই আমরা।
মারুফের কথা শুনে এক সময় রাজিব নারী সম্পর্কে নিজের মত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।
পিকুর কথা ভেবে বিয়ে করতে রাজি হয়।
মেয়ে দেখার দায়িত্ব দেয় মারুফকে।
এদিকে ঝর্না ঐ ঘটনার পর থেকে নিজেকে পুরোপুরি বদলে দেয়।
ঝর্নার দিন শুরু হয় আল্লাহর যিকির দিয়ে । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে পর্দা করে চলে।
নিজেকে আল্লার কাছে সঁপে দিয়েছে।
মারুফ বোনের এমন পরিবর্তন দেখে খুশি হয়।
চাচা চাচীর সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকলে ঝর্নার পরিবর্তন দেখে মারুফ চাচা চাচীর সামনে ওর কাছে রাজিবের সম্পর্কে সবকিছু খুলে বলেন।

আরও বলে ঝর্না যদি পিকুর মা হতে পারে ?
তাহলে সে রাজিবের কাছে ওকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিবে।

ঝর্নার মা মারুফের কথা শুনে সাথে সাথে রাজি হয়ে যায়।
মারুফ তার চাচীকে বলে, বিয়ে আপনার না ঝর্নার তাই ও যা সিদ্ধান্ত নিবে তাই হবে।
ঝর্না দুইদিন ভেবে তারপর ওর সিদ্ধান্ত মারুফকে জানায়।
এটাও বলে ওর পিকুর মা হতে কোন সমস্যা নেই।
আল্লাহ নিশ্চয়ই এর মধ্যে ওর জন্য মঙ্গল রেখেছে।
ঝর্না আরও বলল,ওর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা যেনো পিকুর বাবাকে জানানো হয়।

মারুফ ঝর্নার কথা শুনে খুশি হয়।
সেদিনেই বন্ধুকে ঝর্নার সব ঘটনা খুলে বলে আর বিশেষ করে পরিবর্তে কথাটাও বলে।
রাজিব সব শুনে বিয়েতে রাজি হয় এবং মারুফ তার খারাপ হোক এমন কিছু করবে না মারুফের উপর তার সে বিশ্বাস তার আছে তাও বলে।

মারুফ রাজিবের কথা শুনে বলল, বন্ধু আমার বোন আমি তো তার সম্পর্কে খারাপ দিক তোর কাছে গোপন করতেও পারি।
তাই বিয়ে যেহেতু তুই করবি তাই ওর সাথে সরাসরি কথা বলে নে।
আর ইহলামেও বিয়ের আগে পাত্রী দেখার নিয়ম আছে।

তারপর মারুফ জোর করেই ঝর্নার সাথে রাজিবের সাক্ষাৎ করিয়ে দেয়।
রাজিব ঝর্নার সাথে কথা বলে বিয়ে করতে রাজি হয়।
আজকে ওদের বিয়ে হচ্ছে।
জেসিকা অনেক খুশি হয়েছে মারুফের উছিলায় ঝর্নাটার একটা গতি হচ্ছে তা ভেবে।
জেসিকা নামায আদায় করা শেষ হলে শ্বাশুড়ির রুমের দিকে যায়।
জেসিকা শ্বাশুড়ির রুমে এসে দেখে মায়া বেগম জেরিনকে কোলে নিয়ে বসে আছে।
কিন্তু তার চোখের কোণে পানি দেখা যাচ্ছে।
জেসিকা শ্বাশুড়ির কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলল,আম্মু আবারও কেঁদেছে?
মায়া বেগম ধরা পড়ে যাওয়ায় আমতা আমতা করে বলল,কোমলকে অনেক মনে পরছে বৌ মা।

জেসিকা ওর মেয়ের ও মায়া বেগমের কপালে চুমু খেয়ে বললো,আম্মু আপনি ওর চিন্তা করবেন না।
ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি ওর সাথে দেখা হবে।
আর আম্মু আমাদের তো খুশি হওয়া উচিত ছুটকি এত ভালো বর পেয়েছে যে সর্বক্ষণ ওর খেয়াল রাখে , ওকে ভালোবাসে ।

মায়া বেগম জেসিকার কথা শুনে বলল বৌমা তুমি ঠিক বলেছো , আল্লাহর রহমতে আমার মেয়েটা কপাল গুনে এমন বর পেয়েছে।
তবে বিয়াই সাহেবের উছিলায় কোমলের জন্য এমন ছেলে পেয়েছি।
জেসিকা শ্বাশুড়ির কথাটা শুনে ওর বাপির জন্য গর্বে বুকটা ভরে গেল। আসলেই বাপি সব সময় ওর এবং ওর পরিবারের ভালো করার চেষ্টা করে।
জেসিকা শ্বাশুড়ির মুখে বাপির সুনাম শুনে তিন বছর আগে কল্পনায় চলে গেছে।
সেদিন উকিল সাহেব নিজে জিম্মা হয়ে তার এক ছাত্রের সাথে কোমলের বিয়ে দিয়েছেন।
ছাত্রের নামঃ ইমরান খান।
আইন নিয়ে পড়াশোনা করে স্কলারশিপে ডঃ করতে আমেরিকা যায়।
ওখানে পড়াশোনা শেষ করে।
ইমরান ছাত্র ভালো থাকায় তাকে ওখানের প্রফেসর হিসেবে রেখে দেয়।
ইমরান দীনের ব্যাপারে খুব সচেতন।
বাহিরের মাটিতে থেকেও নিজের অস্তিত্বকে ভুলেনি।
তাইতো তার শিক্ষককে মানে উকিল সাহেবকে তার জন্য ভালো ঘরের পাত্রী দেখতে বলেন।
ইমরানের কথা আর্থিক দিক দিয়ে মেয়ে গরীব হোক কিন্তু ধর্ম ও মনের দিক থেকে যেন ধনবান হয়।
উকিল সাহেব ইমরানের কথা শুনে কোমলের কথা বলে।
এটাও বলে মেয়ের নাম যেমন কোমল স্বভাবেও তার কোমলতা প্রকাশ পায়।
এটাও জানান ইমরান ইচ্ছে করলে কোমলকে নিজের মত করে গড়ে নিতে পারবে।

ইমরান উকিল সাহেবের কথা শুনে এবং কোমলের ছবি দেখে পছন্দ করে ফেলে।
কোমলের এইচএসসি পরীক্ষার পর পর ইমরান দেশে এসে কোমলকে বিয়ে করে।
ওদের বিয়ের তিন মাস পর ইমরান বিদেশে যাওয়ার আগেই কোমলের পাসপোর্ট করে গেছে য়াওয়ার সময় সাথে করে কোমলের সব কাগজ পত্র নিয়ে যায়।
ওখানে যাওয়ার এক বছরের মধ্যে কোমলকে আমেরিকাতে নিতে কাগজ পত্র পাঠায়।

কোমল এখনে ওর স্বামীর কাছে আছে।
ইমরান কোমলকে ওখানের ভার্সিটিতে ভর্তি করে দিয়েছে।
কোমল ইমরানের কথা মত চলতে চেষ্টা করে।
ইমরানও নিজের কোন সিদ্ধান্ত কোমলের উপর চাপিয়ে দেয় না।
কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুজনে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়।
আর কোমল যেহেতু আগে থেকেই নামায পড়ে রোযা রাখে তাই সে বিষয়ে ইমরানের বেশি কষ্ট করতে হয়নি।
ইমরান সব সময় কোমলের ছোট বড় সব বিষয়ে খেয়াল রাখে।
এক কথায় বৌকে সে চোখে হারায়।
এখন কোমলের পরীক্ষা চলছে তাই ওরা দেশে আসতে পারেনি তবে এজন্য যেনো বৌয়ের মন খারাপ না হয়।তাই ইমরান ওর শ্বাশুড়িকে নেওয়ার জন্য কাগজ পত্র রেডি করছে।
কোমল সেটা জানতে পেরে খুশি হয়ে সে কথা জেসিকা ও মারুফকে জানিয়ে দিয়েছে।
জেসিকা ছুটকিকে ছাড়া থাকতে খারাপ লাগলেও যখন ফোনে ছুটকির হাসি খুশি মুখ দেখে আর ওর সুখী সংসারের গল্প শুনে তখন আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে আর দোয়া করে ওর সুখের সংসারে কারো বদনজর যেন না লাগে।

আম্মু ও আম্মু ক্ষুধা লাগছে তো!
জেরিনের আওয়াজ পেয়ে জেসিকার ধ্যান ভাঙল।
মেয়েকে নিজের কোলে নিয়ে বলল,কি ব্যাপার আজকে আমার কুট্টুস সোনা খেতে চাচ্ছে যেখানে তাকে খাওয়াতে যুদ্ধ করতে হয়।
ছোট জেরিনের মায়ের কথা শুনে অভিমান হলো ।
সে না হয় একদিন খেতে চেয়েছে তাই বলে আম্মু দাদুর সামনে এভাবে বলবে তার বুঝি লজ্জা করে না?
আর তার কি দোষ একটু আগেও তো পিকু তার সামানে তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে রোষ্ট খাচ্ছিল।
তাও আবার তার পছন্দের রানের পিসটা তার বুঝি খেতে ইচ্ছে করে না?
এদিকে জেসিকা কথাটা বলেই মেয়ের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারে খাবার কথা বলায় তাদের কন্যা তার সাথে অভিমান করছে।
মায়া বেগম নাতনির মন বুঝতে পারছে তাই জেসিকাকে বলল,বারে আমাদের খেতে ইচ্ছে করলেই দোষ?
আর সবাই খেলে দোষ নেই তাই না দাদু?
এরমধ্যে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here