গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ ৪।
লেখাঃ মেহের।

এদিকে জেসিকার আজকাল কেমন অস্থির অস্থির লাগে আগের মত রাহুলের আশে পাশে থাকলেও সেই শান্তি খুঁজে পায় না।

জেসিকা রাহুলের চোখ দেখে বুঝতে পারে রাহুল ইদানিং ওঁর থেকে ওঁর শরীরের প্রতি ইন্টারেস্ট বেশি।
আর মারুফের সাথে বিয়ে হয়েছে এতো দিন হয়েছে জেসিকা কখনো মারুফের চোখে লোভ দেখেনি।
বিয়ের পরে কিছুদিন একরুমে ছিল তখনও মারুফ তার দিকে ফিরেও তাকায়নি পর্যন্ত।
বিয়ের পরে অধিকার থাকা সত্ত্বেও মারুফ কখনো সেই অধিকার দেখায়নি।
জেসিকা যত বড় বড় কথা বলুক না তবুও মনে মনে এটা স্বীকার করে , মারুফ তার সাথে জোর করলে সে কিছুই করতে পারতো না।
তাইতো মনে মনে খারাপ লাগে বাবার সাথে জেদ করে এদের সাথে বাজে আচরণ করার জন্য।
জেসিকা মনে করে মারুফ ও তার তালাকের পর ভালো কাউকে পাবে।
আর সে রাহুলকে ভালোবাসে তাইতো মারুফকে মানতে পারছে না।
আগে রাহুলের কাছে গেল নিজেকে সেফ ফিল করতো কিন্তু এখন ভয় পায় ওঁর সাথে একা বাহিরে যেতে।
তাইতো দেখা করতে গেলে বান্ধবীদের সাথে নিয়ে যায়।
জেসিকা ভাবছে ওকে ভালবেসেই হয়তো কাছে পেতে ইচ্ছে করছে রাহুলের।
কিন্তু যায় হোক না কেন সে তো বিয়ে ছাড়া ধরা দিবে না।
জেসিকা ভেবে পাচ্ছে না সে যেহেতু রাহুলকে ভালোবাসে তাহলে তার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছে না কেন?
রাহুলের প্রতি তার ভালোবাসা সত্যি তো?
কোথাও ভুল করে ফেলেছে না তো?
ইদানিং মনের মধ্যে এসব প্রশ্ন জেঁকে বসেছে।
এসব প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর খুঁজে পায় না।
বাবাও রাগ করে তার সাথে দেখা করতে আসে না।
মা’কে নিষেধ করেছে জেসিকার সাথে যোগাযোগ করতে।
মারুফের কাছে তার জানতে ইচ্ছে করে কি এমন জাদু করেছে তার বাবার উপরে।
যে মেয়েকে ভুলে বসে আছে তার বাবা।
কিন্তু মারুফের সাথে এক বাসায় থেকেও জেসিকার সাথে দেখা বা কথা হয়না।
অবশ্য এজন্য একমাত্র জেসিকা
খারাপ আচরণ দায়ী।

মারুফ আজকাল বাসায় বেশিক্ষণ থাকে না।
তবে যেটুকু সময় থাকে তার মধ্যেই বেশি সময় মায়ের কাছে থাকে‌।
মারুফ ওঁর মা’কে সবকিছু থেকে সরিয়ে রাখতে পারেনি এসব দেখে তার মা কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে গেছে।
মায়ের জন্য মাঝে মাঝে মারুফের ভীষণ কষ্ট হয়।
আর কোন অশান্তি চাচ্ছে না
মারুফ।
এক ছাদের নীচে বাস করেও জেসিকার তেমন একটা দেখা হয়না না বলে বলতে হচ্ছে যে
মারুফেই জেসিকার সাথে দেখা দিতে চায় না।
প্রথমে মারুফ চেষ্টা করেছি সঠিক পথে আনতে ।
কিন্তু তাতে লাভ হয়নি বরঞ্চ জেসিকা তাকে ও তার পরিবারকে এ নিয়ে নানা ধরনের অপমান করেছে।
মারুফ সব সহ্য করতে পারলেও তার পরিবারের অপমান সহ্য করতে পারে না।
তাইতো জেসিকাকে এখন আর তার পরিবারকে কষ্ট দেওয়ার এমন কোন সুযোগই দিতে চায় না।
মারুফ মনে মনে ভাবছে হয়তো আলোকে বিয়ে করলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।
এসব ভেবে হঠাৎ মনে পরে আল্লাহ তার ভাগ্যে যা লেখেছেন তাই হবে অযথা এসব ভেবে সময় নষ্ট করার কোন দরকার নেই।

এদিকে বোন অসুস্থ্য শুনে বোনের উপর থেকে মারুফের মামার রাগ কমেছে।
তার বোনের তো এখানে কোন দোষ নেই ।
বোন তো তার মেয়েকে মারুফের জন্য পছন্দ করতো।
মারুফের দাদুয়তো তাদের কথা দিয়ে তা ভঙ্গ করেছে।
আমাদের আগেই নাকি
উকিল কে কথা দিয়েছে ।
তাইতো নিজের ওয়াদা রাখতে উকিলের মেয়ের সাথে মারুফের বিয়ে দিয়েছে।

অবশ্য এখন সবাই বুঝতে পারছে যে এই মেয়ে দিয়ে কখনো সংসার করা সম্ভব না।
মারুফের মামা সফিক মিয়া গোপনে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারছে এই মেয়েকে তার ভাগিনা রাখবে না তাইতো সে এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না।
মারুফের মত জামাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
বোন অসুস্থ্য শুনে সফিক মিয়া সব রাগ ভুলে আজকে সকালে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বোনেকে দেখতে এসেছে।
সফিক মিয়ার বৌ রাবেয়া এসেই ননদের অবস্থা দেখে বলে,মায়া তুমি এতো অসুস্থ্য তারপরও আমাদের একটা খাবর দিলে না।
বোন আমরা কী তোমার পর?
তুমি হলে আমাদের আদরের একজন।
মায়া বলে, ভাবী লজ্জায় তোমাদের সাথে কথা বলতে পারিনি।
রাবেয়া বলে, এখানে তোমার কোন দোষ নেই ।
তুমিও তো এই বাড়ির বড় বউ ।তাই তাদের মত ছাড়া কিছুই করতে পারতে না সে আমরা বুঝি।
আহ্ মা চুপ করো না।দেখছো তো ফুফু অসুস্থ্য তাই এসব কথা এখন রাখ তো।
আর আমাকে সাহায্য কর ফুফুকে টয়লেটে নিতে।
ফুফুর শরীর মুছে দেয় এতে তার একটু ভালো লাগবে।

মায়া বল, আলো মা তোকে ব্যস্ত হতে হবে না।
মাত্র এলিতো একটু জিরিয়ে নেতো।
আলো হলো মায়ার ভাইয়ের মেয়ে ।
দেখতে শুনতে ভালই।
নরম ভদ্র এবারে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে।
দেখতেও মিষ্টি কথা বার্তায়
মিষ্টি ভাষী ।
এখানে এসেই ফুফুর দেখা শুনা করতে শুরু করে দিয়েছে।
ফুফুর খাবার দাবারের খেয়াল রাখা রান্না ঘরে গিয়ে মারুফের চাচীর সাথে সাহায্য করা
এসেছে একদিনও হয়নি তাতেই সবার সাথে ভাব করতে ব্যস্ত।

মারুফের চাচীর কাছে আলো মেয়েটা বেশ ভালো লাগে।
মারুফের চাচীর নামঃ দোলা।
দোলা আলোর সাথে গল্প করতে করতে দুজনে কাজ সেরে ফেলল।

কাজ শেষ করে দোলা তার শাশুড়ির রুমে যেয়ে দেখে তিনি মন খারাপ করে বসে আছে।

দোলা শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করে শরীর ঠিক ঠাক আছে কিনা।
চাঁদনী বানু বলে,আর শরীর দিয়ে কি হবে!
আমার এতো ভালো নাতির কপালে এমন কাল নাগিনি আনছি যে তার বীষে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।

দোলা বলে,আম্মা আমরা সোনা রেখে তামা আনছি।
আলোকে মারুফের বৌ করে আনলে আমাগো ছেলের সংসার শান্তিতে কাটতো ।
কিন্তু জেসিকার বাপে একটা উপকার করে তার প্রতিদানে আমাদের কলিজার টুকরো জীবন অন্ধকারে ঢেকে দিল।
চাঁদনী বানু বলে, সত্যি কথা বলছো।

দোলা আবার বলল,আম্মা ভাবীর চোখের পানি আর কষ্ট দেখলে বুক ফেটে যায়।

ভাবী কখনো ছোট বড় কারো সাথেই খারাপ আচরণ করে নাই।
কিন্তু জেসিকা সেই মানুষটির সাথেও খারাপ আচরণ করেছে।
এসব ভাবলে ভালো লাগে না।

ওদের কথার মাঝেই আলো দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আওয়াজ দেয়।
দাদু ভিতরে আসবো।
চাঁদনী বলে,হ্যাঁ বুবু আসো।

আলোর হাতে তেলের বোতল দেখে চাঁদনী বানু বলেন,কী ব্যাপার বুবু হাতে তেলের বোতল কেন?
আলো বলে, দাদু ফুফুর মাথায় তেল মালিশ করে দিয়েছে তাই ভাবছি আপনার ও চাচীর মাথায় তেল মালিশ করে দেয়।
এতে আরাম লাগবে।

চাঁদনী বানু বলে, বুবু তুমি সকালে এসেই কাজে লেগে গেছো এখন আমাদের মালিশ করতে হবে না রুমে গিয়ে বিশ্রাম করো।
আর এমনিতেই যখন আসো সব কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকো।
মেহমানরা আসে বেড়াতে আর তুমি এসে নিড়াতে লেগে যাও।

একথা শুনে আলো বলে, দাদু আমার আপনাদের সাহায্য করতে ভালো লাগে তাই করি ।
এতে কি আপনারা কষ্ট পান।

দোলা বলে, তুমি আসলে আমার কষ্ট না মা শান্তি খুঁজে পায়।
চাঁদনী বলে, তুমি আসলে বুবু আমরা তোমার সেবা যত্ন নিতে পারি আর তুমি বলছো কষ্ট পায় এটা কোন কথা হয়েছে।

আলো প্রথমে চাঁদনীর মাথায় তেল মালিশ করে তারপর দোলা চাচীকে দেয়।
মালিশ শেষ হলে আলো ওখানে থেকে চলে যায়।

তখন চাঁদনী বানু বলে, ছোট বৌ আলোর সাথে মারুফের বিয়ে দিলে কেমন হয়?
দোলা বলে,আম্মা আপনি তো আমার মনের কথা বলেছেন।

একথা শুনলে বড় ভাবীও খুশি হবে।

চাঁদনী বানু বলে,শুনো ছোট বৌ এই কথা এখন কারো বলো না।
আমি সময় বুঝে বড় বৌয়ের সাথে এই বিষয়ে কথা
বলবোনে
আর এমনিতেই জামিলের মেয়ে এই বাসায় আর এক সপ্তাহ আছে।
ওই মেয়ে গেলেই আমি আমার নাতির আবার বিয়ে দিবো।
আমাগো মারুফের আবার সংসার হবে।

আলো কোমলের রুমে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবছে ,আলো ছোট থেকেই মারুফের বৌ হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে।
একটু বড় হয়ে বুঝতে পারছে আলোর সাথে মারুফ ভাইয়ের বিয়ে দিতে পরিবারের সবাই আগ্রহী।
তখন থেকেই মারুফ ভাইকে নিজের মনে করেছে।
কিন্তু হঠাৎ অন্য কারো সাথে মারুফ ভাইয়ের বিয়ে হচ্ছে শুনে মানতে পারছিল না।
তাইতো মারুফ ভাইয়ের বিয়ের কথা শুনেই নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল।
কিন্তু কিছুদিন আগে বাবার কাছে যখন শুনতে পেয়েছে মারুফ ভাই তার বৌকে তালাক দিবে সে থেকেই মনের মধ্যে আবারও পুরনো স্বপ্ন গুলো জেঁকে বসেছে।
তাইতো যখন শুনেছে মা ও বাবা ফুফুকে দেখতে যাবে ।
তখন থেকেই এখানে নিয়ে আসতে বাবার কাছে অনুরোধ করে।
বাবাও রাজি হয়ে গেলেন।
আলোও বাবা ও মায়ের সাথে এখানে এসে গেল।

আলো ফুফুর পরিবারের কষ্টের সময় তাদের সাথে থেকে নিজের জন্য সবার মনে একটু জায়গা তৈরি করতে চায়।
কারণ মারুফ ভাই কখনো তার পরিবারের বিপক্ষে যাওয়ার মানুষ না।
তার পরিবার আলোকে মেনে নিলে সেও মেনে নিবে।

এদিকে জেসিকা তার বান্ধবী জয়াকে নিয়ে রাহুলের সাথে দেখা করতে এসেছে।
আজকে রিয়া, পিয়া ও রিচি ব্যস্ত ছিলো তাই জেসিকার সাথে আসতে পারেনি।

রাহুল ওদের দুইজনকে নিয়ে একটা হোটেলে যায়।
হোটেলের একটা রুম বুক করে জেসিকা বলে, রাহুল রুম নিচ্ছ কেন?
রাহুল বলে, বেবি আমার একটা মিটিং আছে এখানে ক্লাইন্ট আসবে তাই রুম বুক করেছি।

আমি মিটিং শেষ করে তোমাদের নিয়ে ঘুরতে যাব।
বেবি এখানে কিছুক্ষণ থাকতে কি তোমার সমস্যা হবে ?

জেসিকা বলে, ওকে সমস্যা নেই তুমি কাজ শেষ কর তারপর না হয় আমরা ঘুরতে যাবো।

রাহুল একথা শুনে মনে মনে হাসছে।
সেতো আজকে জেসিকা কে পেতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে।

জেসিকা আজকে শুধু জয়াকে নিয়ে এসেছে তা দেখেই রাহুল প্লান করেছে যে করেই হোক আজকেই জেসিকাকে ভোগ করবে।
এতোদিনের অপেক্ষার ফল সামনে দেখে রাহুলের চোখ দিয়ে জেসিকাকে গিলে খাচ্ছে।

এদিকে জেসিকার সে খেয়াল নেই।
জেসিকা আর জয়া পাশের রুমে বসে গল্প করছিলো তখন জেসিকা কে রাহুল ডেকে বলে, বেবি একটু এদিকে আসো তো ।

জেসিকা রাহুলের ডাকে জয়ার কাছে থেকে উঠে রাহুলের কাছে এসে বলে কি হয়েছে বেবি?

রাহুল জেসিকা রুমের বাহিরে এসে জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই আর অপেক্ষা না করে জয়ার রুম বাহিরে থেকে লক করে দিল।

জয়া রাহুলকে দরজা বন্ধ করতে দেখে বুঝতে পারে আজকে নিশ্চিত এখানে কোন অঘটন ঘটে যাবে।
এতে জয়ার ও বদনাম হবে ভেবে তাদের বাঁচাতে কাউকে ফোন করতে হবে।

ফোনের কথা মনে হতেই জয়া নিজের ফোন খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

এই রুমে এসেছে তখন তো ফোন হাতেই ছিল।
এখন কোথায় গেল !
খুঁজতে খুঁজতে বিছানার সাইডে ফোন দেখে তাড়াহুড়ো করে ফোন হাতে নিয়ে কললিস্ট এ যেয়ে জামিল তালুকদারকে ফোন করে।
কারণ জয়া মনে করে এই মূহুর্তে আঙ্কেল নিজের মেয়ের বিপদে না এসে পারবেন না।

প্রথম বার ফোন করে না পেয়ে আবার ফোন দিলো।

চারবারের মাথায় ফোন রিসিভ করেন জামিল তালুকদার।
জয়া তাকে বলে রাহুল তাদের হোটেল নিয়ে আসছে।

তাকে একরুমে বন্ধ করে রেখেছে বাহিরে জেসিকার চিৎকার শুনতে পাচ্ছে ।
জয়া ভয় পাচ্ছে যে রাহুল তাকে বন্ধ করে জেসিকার কোন ক্ষতি করে দিবে এটাও বলল।

জামিল তালুকদার সব শুনে বলে,যে ইচ্ছে করেই নিজের সম্মান নষ্ট করতে গেছে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
ওঁ মরবে কি বাঁচবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।

একথা বলে ফোন রেখে দিল।
জয়ার মাথায় কাজ করছে না এখন কি করবে!
আঙ্কেল আসবে না এখানে তার কথায় বুঝতে কষ্ট হয়নি।

জেসিকা রাহুলকে জয়ার রুমের দরজা বন্ধ করতে দেখে বলে,এই রাহুল কি করছো? ওকে লক করলে কেন?
দরজা খোল বলছি এ কথা বলে জেসিকা জয়ার রুমের দরজা খুলতে গেলে রাহুল পিছনে থেকে জরিয়ে ধরে বলল, বেবি আমরা রোমান্স করবো ।
আমি তোমাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে চায়।
তা দেখে জয়া লজ্জা পাবে তাইতো জয়ার রুম লক করেছি।
জেসিকা বলে,কি আজব কথা বলছো?
খুলোতো দরজা।

রাহুল বলে, বেবি প্লিজ তোমাকে আমি পুরোপুরি ভাবে পেতে চাই। তোমাকে যদি হারিয়ে ফেলি তাহলে আমার কি হবে!
তোমাকে দূরে রেখে থাকতে আমার কষ্ট হচ্ছে এ কথা বলে রাহুল জেসিকাকে চুমু খেতে গেলে জেসিকা রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বলে, রাহুল এইসব কী হচ্ছে?
আমি আগেই তোমাকে বলেছি আমাদের বিয়ে পরেই তুমি আমাকে পুরোপুরি পাবে তার আগে না!

রাহুল সে কথার পার্তা না দিয়ে জেসিকাকে নানা ভাবে বুঝিয়ে ভাগে আনতে চেষ্টা করে।

কিন্তু জেসিকা কোন ভাবেই রাহুলের ইচ্ছেতে সামিল হতে রাজি না।
রাহুল নিজের রাগ আর ধরে রাখতে পারল না।
রেগে গিয়ে বলে, শালী তোর এতো দেমাগ কিসের?

মারুফ তোকে যে মজা দিয়েছে আমার কাছে তার থেকে বেশি পাবি।
ঢং না করে কাছে আয়।

জেসিকা রেগে রাহুলের গালে থাপ্পড় মেরে বল,ছি্ রাহুল তুমি এতো চিফ ।
আর তোমাকে কতবার বলেছি মারুফের সাথে আমার কোন ফিজিক্যাল রিলেশন হয়নি।
তাই কোন আজে বাজে কথা বলবে না।
রাহুল হেসে বলে, আচ্ছা তাই নাকি তাহলে তো আরও ভালো একথা বলেই রাহুল জেসিকাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে বিছানার সাথে চেপে ধরে।
জেসিকা জোরাজুরি করছে নিজেকে ছাড়াতে।
কিন্তু রাহুলের শক্তির সাথে পারছে না।
একটা মেয়ে হয়ে একজন শক্ত সামর্থ্য পুরুষের সাথে পারবেও না।
জেসিকা নিজের বাঁচাতে চিৎকার চেঁচামেচি করছে।
রাহুলের হাতে পায়ে ধরে তাকে ছেড়ে দিতে বলছে।

রাহুল জেসিকা কোন কথাই শুনছে না।
উল্টো রাহুল জেসিকার জামা খুলতে গেলে জেসিকা বাঁধা দিতে থাকে ।
তখন রাহুল জেসিকার গালে কয়েকটা থাপ্পর মেরে জামা একপাশে থেকে টেনে ছিঁড়ে ফেলে।
জয়া ভিতরে থেকে দরজার খুলতে আঘাত করছে কিন্তু খুলতে পারছে না।
জেসিকার চিৎকার শুনে ভয় পাচ্ছে তার প্রিয় বান্ধবী অবস্থা চিন্তা করে।

রাহুল জেসিকার জামা ছিঁড়ে ফেলায় জেসিকা বিছানার চাদর গায়ে পেঁচিয়ে চিৎকার করছে কে আছে বাঁচাও বলছে।

রাহুল জেসিকার অবস্থা দেখে হাসছে আর বলছে , তোমার চিৎকার আমাকে তোমার প্রতি আরও আকর্ষণ করছে ।
এ কথা বলে রাহুল জেসিকা শরীর থেকে চাদর সরাতে জোরাজুরি করছিল সে সময়,,,,

নোটঃ নিজের কাজের মাধ্যমে কারো মনে আঘাত দিলে ।
মনে রাখতে হবে আপনাকেও আঘাত পেতে হবে।
আজকে তুমি /আমি একজনকে কষ্ট দিয়ে শান্তি খুঁজচ্ছি মনে রেখো হয়তো তার থেকে বেশি কষ্ট তোমার /আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
তাইতো নিজের ভালোর জন্যেই অন্যকে কষ্ট দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

বিঃদ্রঃ লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
লাইক ও কমেন্ট করে সঙ্গে থাকবেন।
আপনাদের সাপোর্ট আমাকে লেখতে সাহায্য করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here