গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ ৩৮।
লেখাঃ#মেহের।
দাদু ওকে শাস্তি দিতে গিয়ে তো ওর উপরে বোঝা চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
মারুফের কথা শুনে চাঁদনী বানু বলেন,তা দাদু ভাই তুমি কবে থেকে সংসারের বিষয়ে নাক গলানো শুরু করলে।
এটা কেনো ভুলে যাচ্ছ সংসার সামলানোর জন্য আমি এখনো বেঁচে আছি।
আমি মারা যায় তারপর না হয় তোমার নাক গলাতে এসো।
মারুফ বুঝতে পারছে এই মুহূর্তে কথা বললে ঝগড়া ঝাঁটি ছাড়া ভালো কিছু হবেনা।
তাই চাঁদনী বানুর সাথে আর কোন কথা না বলে রাশেদকে বলল ,ভাই যা তো দাদুর রুমে থেকে তোর ভাবীর জন্য ব্যথা নাশক স্প্রে নিয়ে আয়।
রাশেদ মারুফের কথাটা শুনে দেরি না করে চাঁদনী বানুর রুমে যায় স্প্রে আনতে ।
রাশেদ স্প্রে আনতে গেলে মায়া বেগম তার শ্বাশুড়ির দিকে তাকায়।
চাঁদনী বানু রাগে শরীর কিড়মিড় করছে।
এই মেয়ে সামান্য একটু ব্যথা পেয়েছে তাই বলে তার নাতির জান মনে হয় বের হয়ে গেছে।
তার এতো ভালো নাতিকে নির্ঘাত এই ছুড়ি কালোজাদু করছে।
চাঁদনী বানু মনে এসব চিন্তা ভাবনা করছিল।
মায়া বেগম শ্বাশুড়ির চোখে মুখে রাগ দেখে কিছুটা ভয় পাচ্ছেন।
জেসিকার জীবন তার শ্বাশুড়ির রাগে ক্ষোভে নরক না বানিয়ে দেয়।
অন্যদিকে রাশেদ চাঁদনী বানুর রুমে থেকে স্প্রে এনে মারুফের কাছে দেয়।
মারুফ জেসিকার ব্যথা জায়গায় স্প্রে করে দিচ্ছে ।
মারুফ ভাবতেই পারছে না ওর ছোট বোন ওঁর বৌয়ের সাথে এমন আচরণ করবে।
জেসিকা রেশমার বয়সে বড় না হলেও সম্পর্কে তো বড় ভাবী।
কাজটা করার আগে ওর বোন সেটা একবারও ভাবলো না।

এদিকে জেসিকা চুপচাপ হয়ে গেছে সে ভাবতেই পারেনি তার দিকে রেশমা প্লেট ছুঁড়ে মারবে।
জেসিকা মনে মনে বলল, আপু তোমার ভাগ্যো যথেষ্ট পরিমাণে ভালো নাহলে আমি আগের জেসিকা হলে তোমার হাত ভেঙে দিতাম।
তোমাদেরকে নিয়ে একসাথে সংসার করতে চায় । সেজন্য মুখ বুজে সব সহ্য করে যাচ্ছি ।
কিন্তু তাই বলে আমাকে দুর্বল ভাবলে ভুল করবে।
মারুফকে ভালোবেসে নিজেকে বদলে ফেলেছি তাইতো আজ বেঁচে গেলে।
তাই বলে তো সব সময় এক হবে না।

ওপরদিকে চাঁদনী বানু জেসিকার প্রতি মারুফের আদিক্ষেতা দেখতে না পেরে নিজের রুমে চলে যায়।
মায়া বেগম শ্বাশুড়িকে রুমে দিকে যেতে দেখে ঝটপট ঝাড়ু দিয়ে ফ্লোরে থেকে কাঁচ ভাঙ্গা পরিষ্কার করেন।
এবং প্লেটে খাবার নিয়ে জেসিকাকে জোর করে খাওয়ায় দিলো।
খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে জেসিকা শ্বাশুড়ির দিকে তাকিয়ে ছিল।
তা দেখে মায়া বেগম জেসিকার কপালে চুমু দিয়ে বলল,মা চিন্তা করিস না সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
মারুফ জেসিকার ব্যথা জায়গায় ঔষুধ দিয়ে দোকানে চলে যায়।
এদিকে জেসিকা হাতে ব্যথা পেলেও সংসারের কাজে থেকে ওর নিস্তার নেই।
গতকাল বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে লোকজনের আনাগোনা বেশি ছিলো তাই বাড়িঘর নোংরা হয়ে আছে।
তাতো ওকেই পরিষ্কার করতে হবে।
তাই সময় নষ্ট না করে জেসিকা ব্যথা হাত নিয়ে অনেক কষ্ট করে বাড়িঘর পরিষ্কার করে ।
তারপর রেশমার জন্য দুপুরের রান্না করতে যেতে হয়েছে।

ঘন্টা খানি পর রান্না করা শেষ হলে জেসিকা ভাবলো রুমগুলো মুছে গোসল করে নামায পড়বে।
কিন্তু সেটা রেশমার সহ্য হলো না।
সে অনেকগুলো কাপড় চোপড় নিয়ে এসে জেসিকাকে ধুতে দিয়ে গেছে।
এতগুলো কাপড় চোপড় দেখে জেসিকার কান্না পাচ্ছে ।
আচ্ছা তারা কি এটা ভুলে গেছে জেসিকা তো একটা মানুষ।
সে রোবট না তাই কাজ করতে তারও তো কষ্ট হয়।
এমনিতেই এতক্ষন টানা কাজ করাতে হাত ব্যথায় টনটন করছে।
তারমধ্যে এতো গুলো কাপড়ে কাঁচতে দেওয়া কী কোনো সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের কাজ হতে পারে?
জেসিকা এসব ভেবে চোখের পানি মুছে কাপড়গুলো ধুতে নিয়ে যায় ওর রুমে।
রেশমা জেসিকাকে নিজের ও মায়ের কাপড় ধুতে দিয়ে কানে হেডফোন গুঁজে মোবাইলে গান শুনছে।
জেসিকা কাপড় ধুচ্ছে আর হাত দিয়ে চোখের পানি মুছেছে।
এরমধ্যে কোমল এসে জেসিকার রুমের দরজা বন্ধ করে।
তারপর ওয়াশ রুমে গিয়ে জেসিকাকে ওয়াশ রুমে থেকে বের করে দেয়।
কোমল ওর ভাবীকে বের করার আগে বলল, ভাবী প্লিজ শব্দ করো না তারা টের পেয়ে যাবে।
আর তুমি বসে একটু বিশ্রাম করো ততোক্ষণে কাপড়গুলো আমি ধুয়ে দিচ্ছি।
জেসিকা কোমলের কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে!
ছুটকি ওর কষ্ট দেখে সহ্য করতে না পেরে সাহায্য করতে চলে এসেছে।
কথাটা ভাবতেই চোখ দিয়ে দুই ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়ে।
তারপর নিজেকে সামলিয়ে বলল,সোনা তুই পারবি না তো।
আমার সমস্যা হবে না তুই যা আমিই করছি।
তুই কাজটা করতে চেয়েছিস তাতেই আমার মন ভরে গেছে।

তোমার কথা আমি এখন শুনবে না ভাবী ।
তোমার হাত ব্যথায় নীল হয়ে আছে তা দেখে তোমাকে কাপড়গুলো কাচতে দেয় কি করে!
তুমি আমার লক্ষী ভাবী না তাই দয়াকরে তুমি শব্দ করো না।
নাহলে আমি এখানে আছি দাদু একবার আলাপ পেলে আমাকে বর্তা বানাবে।
এরপর জেসিকার বাঁধা অপেক্ষা করে কোমল সব কাপড় চোপড় ধুয়ে দিলো এমনকি লুকিয়ে নিজের ,মায়ের,রাশেদের এবং ভাই ভাবীর রুম মুছে দেয়।
যেনো ওর ভাবীকে ব্যথা হাত নিয়ে কষ্ট করতে না হয়।
জেসিকার কাছে মনে হচ্ছে এই অমূল্য ভালোবাসা হচ্ছে বদলে যাওয়া জেসিকার প্রাপ্তি।
আজকে আগের মতো থাকলে নিশ্চয় ছুটকি লুকিয়ে ওকে সাহায্য করতে আসতো না।
ওর শ্বাশুড়ি তার সন্তানদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে। তা দোলা চাচী করতে পারেনি।
মারুফেরা এবং রেশমারা একেই পরিবারে বেড়ে উঠেছে তবুও তাদের স্বভাবে কতটা তফাৎ।

ছুটকির কথা ভেবে জেসিকার খারাপ লাগছে ।
ছুটকি ছোট মানুষ হয়েও আজকে অনেক কাজ করেছে মেয়েটার হাতটা লাল হয়ে গেছে।
মেয়েটা বোধহয় হয় নিজের হাতে খেতেও পারবে না।
আর এদিকে ওর শ্বাশুড়িকে চাঁদনী বানু তার রুমে বসে বা শুয়ে থাকতে বলেছে যেনো, মায়া বেগম জেসিকা সাহায্য করতে না পারে।
তাও মায়া বেগম শ্বাশুড়িকে ফাঁকি দিয়ে জেসিকাকে বাড়িঘর পরিষ্কার করতে সাহায্য করেছে।
জেসিকা এসব চিন্তা করে মনে মনে বলল, খারাপ মানুষের অভাব নেই পৃথিবীতে, তেমনি সংখ্যায় অল্প হলেও ভালো মানুষও আছে।
সত্যিয় আমি ভাগ্যবতী মারুফের মত জীবন সঙ্গী পেয়ে।
আর মায়ের মত শ্বাশুড়ি, বোনের মত ননদ এবং ছোট ভাইয়ের মত দেবর পেয়ে।
তোমাদের এই ভালোবাসা সবসময় আমার সাথে থাকলে হাসি মুখে সব কষ্ট সহ্য করতেও আমার আফসোস নেয়।

এদিকে সকালে দেরিতে দোকানে যাওয়ায় মারুফ দুপুরে বাসায় আসতে পারলো না।
কিন্তু সারাটা দিন বৌয়ের জন্য চিন্তায় কেটেছে।
বৌকে একটু দেখতে বুকের ভিতরে হাঁসফাঁস করছে।
তবে কাজের জন্য আসতে পারছে না।

কাজ শেষ করে মারুফের আসতে আসতে রাত হয়ে যায়।
মারুফ বাসার এসে জেসিকার মুখের দিকে তাকিয়ে বুকের ভেতরটা কামড়ে উঠলো।
শাস্তির প্রথম দিনেই বৌয়ের মুখটা শুকিয়ে আছে, শরীর দুর্বল হয়ে গেছে।
তাহলে একমাসে জেসিকার কি অবস্থা হবে তা চিন্তা করে মারুফ আঁতকে উঠলো!
অন্যদিকে জেসিকা সারাদিন পরে মারুফকে কাছে পেয়ে ঝাপ্টে ধরলো।
মারুফও জেসিকাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।
মারুফ কিছুক্ষণ এভাবে থেকে জেসিকার ওষ্ঠ দখল করে নেয়।
মারুফের এই মুহূর্তে ইচ্ছে করছে জেসিকার সারাদিনের সকল কষ্ট শুষে নিতে।
আর মনে হচ্ছে জেসিকা ওর কষ্ট শুষে নেওয়ার কাজে মারুফকে সাহায্য করছে।
এভাবে কিছু সময় থাকার পরে দুজনেই হাঁপিয়ে উঠেছে।
তাই মারুফ জেসিকার ওষ্ঠ ছেড়ে ওকে নিজের বুকে জরিয়ে ধরে রাখলো।
এর কিছুক্ষণ পর মারুফ জেসিকাকে ছেড়ে ফ্রেস হতে যায়।
ফ্রেস হয়ে এসে রান্না ঘরের দিকে যায়।
সবাই আরও আগেই খেয়ে নিয়েছে তাই মারুফ এক প্লেটে জেসিকা ও নিজের খাবার নিয়ে রুমে আসে।
জেসিকার হাত ব্যথা থাকায় মারুফ জেসিকাকে খাওয়ায় দিলো এবং নিজেও খেল।
খাওয়া দাওয়া শেষ হলে প্লেট ধুয়ে রান্না ঘরে রাখতে যায়।
মারুফ রান্না ঘরে গিয়ে দেখে সিংকে অনেক থালাবাটি অপরিষ্কার হয়ে আছে।
তা দেখে মারুফ শব্দ না করে থালাবাটিগুলো ধুয়ে ফেলে।
থালাবাটি ধোয়া হলে রুমে গিয়ে দেখল জেসিকা বসে বসে ঘুমে ঝিমুচ্ছে।
তা মারুফের বুঝতে অসুবিধা হয়নি সারাদিন পরিশ্রম করে জেসিকার শরীর ক্লান্ত হয়ে গেছে।
তাই মারুফ বিছানায় শুইয়ে জেসিকাকে বুকে নেয়।
জেসিকার কপালে ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে।
জেসিকা মারুফের আদর পেয়ে একসময় ঘুমিয়ে যায়।

পনেরো দিন পর।
জেসিকার শরীর ইদানিং ভালো যাচ্ছে না।ঠিক মত খেতে পারে না।
খাবার দেখলে পেটের ভিতরে থেকে নাড়িভুরি উল্টে আসতে চায়।
তবুও শাস্তি স্বরুপ তাকে কাজ করতেই হয়।
একা হাতে সংসারের কাজ করে হাঁপিয়ে উঠেছে।
তারমধ্যে রেশমা ও দোলার অত্যাচারে জেসিকার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।
মাঝে মাঝে দোলা রেগে জেসিকার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না।
দোলা ছোট জা হয়েও মায়া বেগমের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
জেসিকাকে সাহায্য করার জন্য দোলা মায়া বেগমকে নানা কটু কথা শুনায়।
জেসিকার মাঝে মাঝে মনে হয় ওর স্বামীর খরচে সংসার চলে এরপরেও যেহেতু ওর শ্বাশুড়িকে অপমান হতে হয়।
তাহলে সে চুপচাপ সব সহ্য করবে কেন?
দোলা ভালো হলে ওর শ্বাশুড়ির সাথে বাজে ব্যবহার করার আগে নিজের অবস্থান চিন্তা করে দেখতো।
জেসিকার সহ্যের সীমা শেষের দিকে ।
ইদানিং মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে দোলা ও রেশমাকে কিছু না বলতে পেরে হাঁপিয়ে উঠেছে।
এভাবে মুখ বুজে সব সহ্য করতে পারছে না।
দুই দিন আগেই জেসিকার সাহায্য করতে কোমলকে রেশমা দেখে ফেললে চাঁদনী বানুর কাছে কোমলের নামে উল্টাপাল্টা কথা বলে বিচার দেয়।
সেদিন মারুফের দাদু রাগ হয়ে কোমলকে চর মারেন।
তা দেখে জেসিকা মনে মনে কষ্ট পায়।
তাকে সাহায্য করায় দাদু ছুটকিকে মেরেছে সেজন্য বেশি কষ্ট পাচ্ছে।

অন্যদিকে মারুফ বাসায় এসে কথাটা শুনে সেদিন থেকে ওর দাদুর সাথে কথা বলছে না।
মারুফের কথা দাদু শাস্তির নামে জেসিকার উপরে অবিচার করছে।
কোমল ওঁর ভাবীকে সাহায্য করে এমন কোন ভুল করেনি যার জন্য ওর গায়ে হাত তোলা যায়।
আর রেশমা দিন দিন বেয়াদব হচ্ছে আচরণ নিষ্ঠুরতা প্রাকাশ পাচ্ছে তবুও দাদু তাকে ছোট বলে ছেড়ে দিচ্ছে।
আর কোমল অন্যায় না করেও দাদুর কাছে মার খেতে হচ্ছে।
তাই দাদুর সাথে কথা বলে না।
ইদানিং জেসিকার শরীরের অবস্থা দেখে মারুফের চিন্তা হচ্ছে ।
মেয়েটা ডাক্তারের কাছেও যেতে চাচ্ছে না। তাই এই মুহূর্তে কি করবে বুঝতে পারছে না!
মারুফ কিছুদিন ধরে একটা বিষয় খেয়াল করছে জেসিকার খাবারের প্রতি অরুচি ধরে গেছে।
সারাদিন কাজ করে খাওয়া দাওয়া না করায় জেসিকার শরীর নিস্তেজ হয়ে পরে।
তা দেখলে মারুফের বুকের ভিতরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।
ভালোবাসার মানুষটি এমন অবস্থা দেখতে কেই বা চায়।
আজকাল মায়ের মুখের দিকে তাকালে মারুফ আগের মত মায়ের মুখে হাসি খুঁজে পায় না।
ওর মায়ের চোখে মুখে অসহায়ত্ব দেখে মারুফের বুকের ভিতরে যন্তনা হয়।
ওর ছুটকিও জেসিকার অবস্থা দেখে কিছু করতে না পেরে আজকাল উদাস হয়ে থাকে।
এদিকে মারুফ জেসিকাকে নিয়ে আলাদা হচ্ছে না কেনো?
তাই রাশেদ রাগ করে ওঁর মারুফের সাথে কথা বলে না।
মারুফ সবার কষ্ট দেখে এটা বুঝতে পারে তার ভালোবাসার মানুষগুলো ভালো নেয় ।
মারুফ তাদের ভালো রাখতে পাচ্ছে না ওর সেটা ভেবেই বেশি কষ্ট হচ্ছে।
তবে মারুফ ঠিক করেছে এভাবে চলতে দেওয়া যায় না এর একটি সমাধান বের করতে হবে।
আজকে দোকানে থেকে এসে এই বিষয়ে কথা বলবে ওঁর দাদুর সাথে।
মারুফ যখন এসব চিন্তা ভাবনা করতে ব্যস্ত সে সময়ে মারুফের ,,,,

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আর একটা অভিযোগ হচ্ছে গল্প পোষ্ট করার পরেই কেউ কেউ কমেন্ট করে নেক্সট তখন মনে হয় আমাকে এরা রোবট ভাবছে না তো।
কারণ এইটুকু দেখতেই আমার কয়েক ঘন্টা লাগে।
এরপর বাচ্চা ও সংসার সামলাতে হয়।
গল্প দেওয়ার সময় হলে এমনিতেই দিবো নেক্সট বলা লাগবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here