গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ ৩৭।
লেখাঃ #মেহের।
তোমার বোকামির জন্য চাচী ও দাদুর কাছে চর থাপ্পর খাবে আর আমি তা বসে বসে দেখবো।
তা হবেনা তোমাকে ভালোবাসি বলে তোমার জন্য আমাকে এভাবে কষ্ট পেতে হবে তা তো আমি মানতে পারছি না।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে মন খারাপ করে বলল,ওগো এবারের মত আমাকে মাফ করে দেওয়া যায় না?
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, না কোন মাফ হবে না।
কারণ মাফ করলে তুমি বারবার একেই কাজ করবে।
আজাইরা প্যাচাল না পেরে চুপচাপ শুতে যাও।
এমনিতেই কালকে থেকে বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল হয়।
নাচতে নাচতে তো দাদুকে বলেছো ভার্সিটিতে যাবে না।
তাই এখন সারাদিন বাসায় বসে থেকে গাধার ঘাটনি খাটবে সেটায় তোমার জন্য ভালো হবে।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে ফিক করে হেসে বলল, মেয়েরা কি গাধা হয়?
তুমিতো দেখছি রাগে আমার লিঙ্গ চেঞ্জ করে ফেলছো !
মারুফ জেসিকার কথা শুনে রেগে বলল, সবকিছু নিয়ে দুষ্টুমি করছো তো কালকে থেকেই বুঝবে ঠেলা।
মারুফের কথা শুনে জেসিকা বলল,তুমি কিছুই না বুঝে শুধু শুধু আমার সাথে রাগ করছো।
আর শুনো আমি ভার্সিটিতে যাব না শুনেই তো মনে হয় দাদুর রাগ কিছুটা কমেছে।
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, ওরে আমার বুঝমানরে ঠিক আছে যাও কালকে থেকে কামলা খাটতে গর্দভ মহিলা।
যার জন্য চুরি করি সেই বলে চোর।
জেসিকা অভিমান করে বলল, তুমি এভাবে আমার সাথে কথা বলছো কেন?
আর তুমি আমার সাথে এমন করছো কেন?
মারুফ রেগে কিছু বলতে গিয়েও জেসিকার দিকে তাকিয়ে শান্ত হয়ে বলল, আমার এই মুহূর্তে কথা বলতে ভালো লাগছে না।
প্লিজ তুমি ঘুমাও।
জেসিকা মারুফের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলল,এই মানুষটি যানে আমি ওঁর বুকে মাথা না রেখে একদম ঘুমাতে পারি না।
তারপর বারবার বলছে শুয়ে পরো।
নিষ্ঠুর লোক একটা।
কথাটা বলে জেসিকা অভিমান নিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে।
মারুফ জেসিকার বিরবির করে বলা কথাগুলো শুনে ওঁর পাশে গিয়ে শুয়ে ওকে বুকে জড়িয়ে নিলো।
জেসিকা মারুফের বুকে মাথা রেখে দুহাত দিয়ে মারুফকে জরিয়ে ধরে রেখে
মারুফ চুপচাপ জেসিকার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে।
আর জেসিকা মারুফ চুলে বিলি কেটে দেওয়াতে আরাম পেয়ে এক সময় ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়।
মারুফ জেসিকার মুখে দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল, সোনা তুমি বুঝতে পারছ না কালকে থেকে তোমার উপরে কেমন চাপ যাবে।
আমার ভয় হচ্ছে তুমি এসব সহ্য করতে পারবে তো?
তোমাকে ভাঙতে দেখলে যে আমি ঠিক থাকতে পারবো না।
আগের বার তো তোমার উপরে হওয়া অত্যাচার সহ্য করতে পেরেছি কিন্তু এবার যে তোমার মুখে কষ্টের ছাপ দেখলে আমার বুকে রক্তক্ষরণ শুরু হবে।
তা তোমাকে বুঝাবো কেমন করে!
এর থেকে তোমাকে বাবার সাথে পাঠিয়ে দিলেই ভালো হতো।
তোমাকে না পাঠিয়ে আমি কোন ভুল করলাম না তো?
আচ্ছা বৌ তুমি এতো অবুঝ কেন?
মারুফ এসব ভাবছে আর মনে মনে বলছে, আমার আর তোমার হৃদয় মিলে এক অটুট বন্ধন তৈরি হয়েছে।
তাইতো ,বৌ তুমি আঘাত পেলে সে কষ্ট আমার হৃদয়ে অনুভব হয়।
মারুফ জেসিকার দিকে তাকিয়ে কতকিছু ভেবে চলছে।
কিন্তু জেসিকা তা বুঝতে পারছে না।
কারণ ওঁর বৌটা ঘুমে বিভোর হয়ে আছে।
এসব কথা ভেবে মারুফ জেসিকার কপালে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দিল।
মারুফ জেসিকার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় ঘুমিয়ে পরে।
ভোরে উঠে মারুফ জামায়াতের সাথে নামায আদায় করতে মসজিদে চলে গেল।
মারুফ মসজিদে যাওয়ার পর জেসিকা নিজের রুমেই নামায আদায় করে।
জেসিকা নামায পড়া শেষ হলে চাচীর রুমের দিকে যাচ্ছে আর
জেসিকা মনে মনে বলছে, ইস্ ঝর্না যে কেন এমন করলো?
চাচী ওঁর জন্য কালকে কতরাত পর্যন্ত চিৎকার করে কেঁদেছে।
বেচারীর এখন শরীরের কি অবস্থা কে যানে?
আমি তার কাছে গিয়ে তার শরীরের খোঁজ খবর নিয়ে আসি।
জেসিকা দোলার রুমে নক করতে যাবে সে সময়ে হঠাৎ করে কেও ওঁর হাত টান দিয়ে দোলার রুমের কাছে থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে।
কে টান দিয়েছে তা দেখতে জেসিকা পাশে তাকায়! জেসিকা তাকিয়ে রাশেদকে দেখে অবাক হয়ে যায়!
জেসিকা রাশেদের দিকে তাকিয়ে বলল, ভাইয়া টান দিলে কেন?
আমি তো চাচীকে শান্তনা দিতে যাচ্ছি।
রাশেদ জেসিকার কথা শুনে বলল, প্রেমে পড়লে যে মানুষ বোকা হয় সব সময় শুনে এসেছি।
আজকে তোমাকে দেখে তার প্রমাণ পেলাম।
জেসিকা রাশেদের কথা শুনে বলল,ভাইয়া সকাল সকাল কি বাজে বকছো বলোতো?
রাশেদ জেসিকার কথা শুনে বলল, ঠিক বলেছি।
তুমি একটু ভেবে দেখো?
বিয়ের পরে তো তুমি আমার ভাইয়ের প্রেমে মশগুল ছিলে না।
তুমি যখন নতুন বৌ হয়ে এ বাড়িতে এসেছিলে তখন তো আমার ভাইকে দেখতেই পারতে না।
হিংস্র বাঘিনী রূপে আক্রমণের নজরে তেড়ে আমাদের সবার সামনে আসতে।
সে সময় আমরা ছিলাম তোমার চোখের কাঁটা।
তখন তোমার ধমকের আমরা ভয়ে তোমার আশেপাশে যেতাম না।
তখন কত সহজে বুঝতে আমাদের কিভাবে দমিয়ে রাখতে হবে।
এ বাড়িতে কে কেমন চরিত্রের।
কাকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হবে।
কিন্তু আমার ভাইকে ভালোবাসার পরে থেকে তুমি বাঘিনী থেকে বিড়াল হয়ে গেছে।
তাইতো তোমার বুদ্ধিসুদ্ধি লোভ পেয়েছে।
নাহলে তুমি এই সাত সকালে কি চিন্তা করে চাচীর রুমে যাচ্ছিলে?
সাত সকালে বকাঝকা শুনতে তোমার ভালো লাগবে?
রাশেদ জেসিকার সাথে কথা বলছিলো এরমধ্যে মারুফ এসে পরেছে।
ওদের একসাথে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখে বলে উঠল,কি হয়েছেরে রাশেদ?
রাশেদ মারুফের কথা শুনে বলল, সকাল বেলা ভাবী চাচীর খোঁজ খবর নিতে আর উত্তম মাধ্যম খেতে তার রুমে যাচ্ছিল ভাইয়া।
মারুফ জেসিকার দিকে তাকিয়ে বলল,কেনো কালকে চর খেয়ে পেট ভরেনি ?
যে সকাল সকাল আরও খেতো চাচ্ছো।
মারুফ জেসিকাকে আরও কিছু বলতো কিন্তু ছোট ভাইয়ের সামনে বৌকে ছোট করতে চাচ্ছে না।
মারুফের কথা শুনে জেসিকা বলল,আরে তোমরা অযথায় চিন্তা করছো?
কালকে মেরেছে তো ঝর্নাকে পাওয়া যাচ্ছিল না সে কষ্টে ।
আমাকে কালকে মেরেছে তাই বলে কি তার এই অবস্থায় দূরে সরে থাকা ঠিক?
রাশেদ জেসিকার কথা শুনে বলল,ভাইয়া তোমার বৌকে তুমি বোঝাও আমি এর মধ্যে নেই।
মারুফ জেসিকার কথা শুনে বলল, জেসিকা তুমি বেশি বুঝো এটা হচ্ছে একটা বড় সমস্যা।
আর শুনো চাচী তোমার উপর ক্ষেপে আছে তাই তার সামনে যাওয়ার চেয়ে দূরে থাকায় ভালো তোমার জন্য।
আর এই কথা যেনো আমাকে আরেক বার বলতে না হয় ।
জেসিকা মারুফের কথা শুনে চুপচাপ নিজেদের রুমে চলে গেল।
দোলা ছাড়া বাসার সবাই সকালের নাস্তা খেতে বসেছে।
জেসিকা সকালে উঠে শুধু দাদুর জন্য নাস্তা বানায়।
কালকের অনেক খাবার রয়ে গেছে সেগুলো কালকে রাতে মায়া বেগম ও জেসিকা গরম রেখেছে।
তাই জেসিকা ভেবেছে আজকে সকালে ও দুপুরে এগুলো সবাইকে খাওয়াবে।
কিন্তু চাঁদনী বানু বেশি তেলাক্তো খাবার খায়না তাই তার জন্য নাস্তা বানানো হয়েছে।
সবার প্লেটে জেসিকা পোলাও, রোষ্ট ও সাথে চিংড়ি মাছ তুলে দিচ্ছে।
তুলে দেওয়ার পরে সবাই চুপচাপ খাওয়া শুরু করছে ।
কিন্তু ঝর্নার বোন মানে রেশমা না খেয়ে চুপচাপ বসে আছে।
রাশেদ ও কোমলের পছন্দের খাবার এগুলো তাই ওরা চুপচাপ খাচ্ছে।
আর মায়া বেগম পোলাও খায়নি সে অল্প একটু সাদা ভাত ও ইলিশ মাছ নিয়ে খাচ্ছে।
চাঁদনী বানু রুটি ও সবজি খাচ্ছে আর নাতনির দিকে মানে রেশমার দিকে আর চোখে তাকিয়ে আছে।
এদিকে কোমল রেশমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিল তারপর কিছু ভেবে বলল,আপু তুমি খাচ্ছ না কেন?
রেশমা মনে হয় এই কথার অপেক্ষাই ছিলো।
তাই কোমলের কথা শুনে বলল, আমি বাসি খাবার খায়না।
তারপর ওদের দাদুকে রেশমা বলল, দাদু তোমার নাতি বৌয়ের কি হাত ক্ষয় হয়ে যেতো আমার জন্য কিছু রান্না করলে।
জেসিকা রেশমার কথা শুনে বলল,আপু আমিতো জানতাম না আপনি বাসি খাবার খেতে পারেন না।
আচ্ছা তাও সমস্যা নেই আপনি এখানে রুটি ও সবজি আছে সকালে করেছি এটা।
তাই আপনি রুটি ও সবজি খেতে থাকেন আমি আপনার জন্য ডিম ভাজি করে আনছি।
জেসিকা কথাটা বলে, রেশমার প্লেটে রুটি ও সবজি দিয়ে ডিম ভাজতে চলে যায় রান্না ঘরে।
জেসিকা যাওয়ার পরে মারুফ রেশমাকে বলল,তুই কবে থেকে বাসি খাবার খাওয়া বন্ধ করলি।
তাছাড়া তুইতো দাওয়াতের বাসি পোলাও রোষ্ট ও গরুর গোশত ভীষণ পছন্দ করতি আগে তাহলে আজকে খাচ্ছিস না কেন?
বোন তোর শরীর খারাপ করেনি তো?
রেশমা মারুফের কথা শুনে রাগে থম ধরে বসে আছে।
এরমধ্যে জেসিকা ডিম ভেজে এনে রেশমার সামনে রেখে তাকে খেতে বলে।
তারপর কোমলের পাশে দাঁড়িয়ে ওকে বললো, তোমার আরও কিছু লাগবে ছুটকি?
তারমধ্যে রেশমা ডিমসহ প্লেট ছুড়ে মারে জেসিকার দিকে।
জেসিকার শরীরে কাঁচের প্লেট বারি খেয়ে নিচে পড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
জেসিকার হাতে প্লেট লাগায় ব্যথা পেয়ে কাকিয়ে উঠলো।
সবাই শব্দ শুনে ওদের দিকে তাকিয়ে নিচে ডিম ভাজা পরে থাকতে দেখে বুঝতে পারল কি হয়েছে?
মারুফ জেসিকার কাছে গিয়ে বলল,কি হয়েছে দেখি?
মারুফ জেসিকার হাত টেনে নিজের কাছে নিয়ে দেখে ফর্সা হাতে অনেকক্ষাণী জায়গা ব্যথায় নীল হয়ে আছে।
তা দেখে মারুফ রেগে রেশমাকে বলল ,এটা কি ধরনের বেয়াদবি?
জেসিকা তোর বড় ভাবী হয় সেটা ভুলে গেছিস?
রেশমা কোন কথা না বলে হনহনিয়ে ওঁর রুমের দিকে চলে যায়।
তা দেখে মারুফ দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে।
তারপর জেসিকাকে ভাঙা প্লেটের কাছে থেকে সরিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে হাতে সেঁক দিচ্ছে আর দাদুকে বলছে তোমার নাতনি পাগল হয়েছে নাকি?
এমন করলো কেন?
দেখছো ওঁর হাতের কি অবস্থা করেছে?
মারুফের কথা শুনে রেশমা রুমে থেকে চেঁচিয়ে বলছে, তোমার বৌ ডিম ভাজি করতে গেছে তাই বলে আমাকে তুমি কত কথা শুনিয়ে দিলে।
তুমি কি ভেবেছিলে এতকিছু বলার পরেও আমি তোমার বৌয়ের ভেজে আনা ডিম খাবো?
তা প্রশ্নই উঠে না।
আর দাদু তুমি না বললে এই মেয়ের কাজে কেউ হেল্প করবে না।
তাহলে এখন তোমার আদরের নাতি তোমার কথা শুনছে না কেন?
রেশমার কথা শুনে বলল, দাদু দেখছো ওঁর কথা বার্তা বলার ছিরি?
মারুফের কথা শুনে চাঁদনী বানু বলল,দাদু ভাই ও ছোট মানুষ ওঁর কথা ধরতে আছে।
আর ও বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে তাই ওকে এসব বিষয়ে তুমিও কিছু না বললেই ভালো হয়।
মারুফ জেসিকার হাতের অবস্থা দেখে বলল, হ্যাঁ ,তাইতো বিয়ের পরেও বাড়ির মেয়েরা ছোট মানুষ থাকে।
আর বৌয়েরা তো বড় তাই তারা কোন ভুল ত্রুটি করতে পারবে না।
চাঁদনী বানু বলল, দাদু ভাই তুমি কিন্তু বেশি কথা বলছো!
মারুফ চাঁদনী বানুর কথা শুনে এ বিষয়ে আর কিছু বলল না।
আচ্ছা দাদু বুয়া কোথায় তাকে কাঁচের টুকরোগুলো পরিষ্কার করতে বলো।
নাহলে এতে কারো হাত পা কেটে ফেলতে পারে।
জেসিকার হাতের অবস্থা দেখে , রাশেদ, কোমল ও মায়ার খারাপ লাগছে।
রাশেদ মনে মনে রেশমার উপরে ক্ষেপে আছে।
কিন্তু দাদুর ভয়ে কিছু বলছে না।
এদিকে মারুফের কথা শুনে মায়া বেগম বলল,বাবা তুই চিন্তা করিস না এগুলো আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
চাঁদনী বানু মায়াকে ধমকে বলল, চুপচাপ এখানে এসে বসে থাকো।
আর তোমার সবাই জেসিকার সামনে দাঁড়িয়ে না থেকে টেবিলে এসে বসো।
চাঁদনী বানু মারুফকে বলল, দাদু ভাই তুমি ওকে ছেড়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপাতত দোকানে যাও।
আর জেসিকা তাড়াতাড়ি এগুলো পরিষ্কার করো।
জেসিকা ব্যথায় হাত নাড়াতে পারছে না।
কিভাবে এগুলো পরিষ্কার করবে তাই ভাবছে।
অন্যদিকে চাঁদনী বানুর কথা শুনে মারুফ বলল, দাদু ওঁর হাতে ব্যথা পেয়েছে ।
পরিষ্কার করতে পারবে না।
কাজের খালা কোথায় দাদু তাকে এসব পরিষ্কার করতে বলো
চাঁদনী বানু মারুফকে বলল, আমি কাজের লোকদের একমাসে ছুটি দিয়েছে তাই এখন থেকেই সব কাজ ওকে একা করতে হবে।
মারুফ ওঁর দাদুর কথা শুনে চমকে বলল, দাদু এটা কি ঠিক হচ্ছে!
শাস্তি দিতে গিয়ে তো ওঁর উপরে বোঝা চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
মারুফের কথা শুনে চাঁদনী বানু বলেন,তা দাদু ভাই তুমি কবে থেকে সংসারের বিষয়ে
নোটঃবেশিভাগ পরিবারে মেয়েরা দোষ করলে ছোট মানুষ বলে অদেখা করে কিন্তু ছেলের বৌ বা নাতির বৌ সামান্য জোরে কথা বললেও তাদের শুনতে হয় বেয়াদব।
তার বাবা মা তাকে কিছুই শিক্ষা দেয়নি।
আচ্ছা শাশুড়িরা কেনো ভুলে যায় তারাও এক সময় বৌ ছিলো।
বিঃদ্রঃ লেখায় ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আর যদি গল্পটা আপনাদের ভালো লাগলে তো লাইক ও কমেন্ট করবেন।
আপনাদের সারা পেলে লেখার উৎসাহ জাগে।