গল্পঃ#হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ#২।
লেখাঃ#মেহের।

মারুফের যৌথ পরিবার হওয়াতে রুমের বাহিরে মারুফ বেশিক্ষণ থাকতে পারল না।
লজ্জা ও ভয়ে যদি কেউ তাকে বাসর রাতে বাহিরে দেখে প্রশ্ন করে তাহলে তার কি উত্তর দিবে।
মারুফের তো চাওয়া পাওয়া বেশি ছিল না।
কখনো তো এমন জীবনের প্রত্যাশাও করেনি।
নানা রকম চিন্তায় অস্থির লাগছে ।
অনেকক্ষণ হয়েছে মারুফ রুমের বাহিরে আছে ।
তাই রুমের বাহিরে আর থাকা ওঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
মারুফ নিজের রুমে যেয়ে দেখে জেসিকা খাটে শুয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে মগ্ন হয়ে কারো সাথেকথা বলে চলেছে ।
জেসিকা কথা বলায় এতো মগ্ন যে আশেপাশে কি চলছে তার কোন খবর নেই।

মারুফ ভেবে পাচ্ছে না একটা মেয়ে মানুষ কিভাবে এমন হতে পারে!
রাতে এই মেয়ের সাথে আর কোন অশান্তির সৃষ্টি করতে চাচ্ছে না ।
সেজন্য মারুফ কোন আওয়াজ না করে নির্শব্দে বারান্দার চলে যায়।
মারুফের রুমের বারান্দায় দুটো চেয়ার ও ছোট একটি টি টেবিল রাখা আছে।
কারণ এখানে বসে মারুফ মাঝে মাঝে চাচ্চুর সাথে দোকানের বিষয়ে আলোচনা করে।
আবার কখনও একটু সময় পেলেই এখানে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে ক্লান্তি দূর করে।
মারুফের রুমের বারান্দায় বসেই বাহিরের ফুল ও ফলের গাছ গাছালির ভরা।
এখানে বসে ভরা পূর্ণিমায় চাঁদ ও তাঁরার মেলা দেখা যায়।

যেখানে সবসময় ক্লান্তি দূর করতে বসে থাকতো আজকে লজ্জা শরম ঢাকতে সেখানে রাত পার করতে হবে।
মারুফ বারান্দায় এসে রাতে যেহুতু এখানে থাকবে তাই একটু ঘুমানোর ব্যাবস্থা করার জন্য প্রথমে একটি চেয়ার লম্বা করে রেখে তারপর টেবিল আর আরেকটি চেয়ার রাখে।
চেয়ারে বসে লম্বা করে অন্য চেয়ারে ও টেবিলের উপরে পা রেখে চোখ বুজে আছে।
সারাদিন অনেক ধকল গেছে একটু বিশ্রামের আসায় চোখ বুজে রয়লো।
এদিকে রুমের ভিতরে থেকে হা হা হি হি হাসির আওয়াজ আসছে আবার কখনো চুচু শব্দ শুনা যাচ্ছে।

এমন শব্দ শুনে কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে চুপচাপ বসে থাকা সম্ভব না।
মারুফের ইচ্ছে করছে জেসিকা কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতে।
কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে পারছে না।
তাই মারুফ নিজের কান চেপে ধরে বলে,হে আল্লাহ আমি যে আর সহ্য করতে পারছি না।
আমার ভাগ্যে কি লেখা আছে জানিনা।
যাই রাখো ভাগ্যে তবু এমন মেয়ের সাথে সব সম্পর্ক থেকেই মুক্তি দাও।
নাহলে এর থেকে আমাকে নিস্তারের পথ দেখাও।
মারুফ বিরবির করে এসব বলছে,আর চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে ।
মারুফের বাবা যেদিন মারা গিয়েছে সেদিন সে কেঁদেছিলো এরপর থেকে শত কষ্টেও তার চোখে অশ্রু আসে নাই।
যখন কোন কষ্ট পেতো তখন ভেবেছে ছেলেদের যে চোখে পানি মানায় না।
আজকে নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
মারুফ চোখের পানি মুছে মনে মনে বলছে, আল্লাহ যা করবেন তা বান্দার ভালোর জন্যই করবেন।
এইসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছে তার জানা নেই।
আযানের ধ্বনিতে মারুফের ঘুম ভেঙ্গে যায়।
মারুফ রুমে এসে দেখে জেসিকা ঘুমাচ্ছে ।
নামাযের সময় হয়েছে এই মেয়ে এখনো ঘুমাচ্ছে তা দেখে মারুফ নামাজ পড়ার জন্য
জেসিকাকে কয়েকবার ডেকে ঘুম থেকে উঠে নামায পড়তে বলছে।
জেসিকা জেগে ঘুম ঘুম চোখে সামনে মারুফকে দেখেই উল্টো পাল্টা কথা শুনায় এবং এরপর থেকে তাকে ডেকে বিরক্ত করলে জুতা খুলে মারবে বলে।

নামাজের জন্য ডাকতে এসে যে জেসিকার কাছে থেকে মারুফ এমন বাজে ব্যাবহারের স্বীকার হবে তা কখনো ভাবেনি।
কতটুকু অসভ্য হলে কেই এমন ব্যাবহার করতে পারে ।
মারুফ মনে মনে বলল, ঠিক করেছে এই মেয়ে।
ডাকতে যেয়ে উচিত শিক্ষা পেয়েছি।
এসব বিরবির করে বলে ওয়াশরুমে চলে যায়।
ওখানে থেকে ওযু করে নামাযের জন্য মসজিদে চলে যায়।
মসজিদ থেকে এসেই দেখেলো উঠানের এক সাইডে বাবুর্চিদের রান্না শুরু করার প্রস্তুতি চলছে।

মারুফ একধ্যানে সেদিকে তাকিয়ে ভাবছে ,আজ সবকিছু ঠিক থাকলে এই মুহূর্তটা আমার কাছে কত সুন্দর লাগত কিন্তু এখন ইচ্ছে করছে সবকিছু বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু মেহমানরা এসে খাবার না পেলে যে সম্মান ধূলোয় মিশে যাবে।
দাদা জানের নাতি হয়ে তা আমি হতে দিতে পারি না।

এসব ভাবতে ভাবতে মারুফ বাবুর্চিরা যেখানে রান্না করবে প্রস্তুতি নিচ্ছে তার থেকে কিছুটা দূরে উঠানের একপাশে কিছু চেয়ার রাখা আছে।
সেখানে বসল।
মারুফ বসতেই কিছুক্ষণ পরে মায়া বেগম হাতে ট্রে নিয়ে ছেলে কাছে এসে বলল,
বড় খোকা চাটা খেয়ে নে ।

(চা পান করা হবে কিন্তু মায়েরা কখনো চা বা পানি পান করতে বলে না তারা বলেন খেয়ে নিতে বলেন।)

মারুফ মায়ের কথার শব্দ শুনে পাশে ফিরে বলল,মা তোমার এমনিতেই শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।
তার মধ্যে তুমি সকালে উঠে কাজে লেগে পরেছো কেন?
কাজের লোক না পেলে আমাকে বলতে তাও অসুস্থ্য শরীরে রান্না ঘরে যাওয়ার দরকার ছিল কোন?
এ কথা বলে, মারুফ তার মা’কে হাত ধরে নিজের ডান পাশে চেয়ারে বসিয়ে দিল।

মায়া বলেন,বাবারে তুই তো আমাকে কাজ তেমন একটা করতেই দিসনা।
আচ্ছা বাবা তোর কী হয়েছে চোখ মুখ এমন দেখাচ্ছে কেন?

মারুফ মনে মনে বলল, মা তুমি চোখ মুখ দেখেই তোমার ছেলের কষ্ট অনুভব করে ফেলেছো।
তোমার কথা শুনে তো ভয় হচ্ছে।
তোমার কাছে থেকে সব লুকাতে পারবো তো?
আর না জানি সামনে কি বিপদে পরতে হয় তার থেকে তোমাদের দূরে কিভাবে রাখবো!
বাবা মারা যাওয়ার পরে থেকে এমনিতেই অসুস্থ্য তুমি তাইতো এইসব বলে তোমাকে আর অসুস্থ করতে চায়ছি না।
সবকিছু ভেবে বলল ,মা শরীর খারাপ না আসলে একটু চিন্তা করছি তো তাই হয়তো এমন দেখাচ্ছে।

এ কথা শুনে মায়া বলে,বড় খোকা তুই কি এমন চিন্তা করছিস?

মারুফ বলে,মা আমি দাদা জানের সম্মান রাখতে পারবো তো!
খাবার দাবারের ব্যাবস্থা ঠিকঠাক ভাবে হবে তো?

মায়া বলেন, আহ্ খোকা ,তোর কি খেয়ে কাজ নেই যে তুই অযথাই চিন্তা করে মাথা নষ্ট করছিস!
বাড়িতে তুই বড় হওয়ার পরে নিজে যত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিস তা আজ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে যে আজ হবে।
যেকোনো অনুষ্ঠানে কখনো কেউ তো তোর আপ্যয়ানের বিষয়ে অভিযোগ করতে পারেনি।
তাই এসব বাজে চিন্তা ভাবনা না করে চা খেয়ে নে।
মায়া বুঝতে পারছে তার ছেলে এ বিষয়ে চিন্তা করছে না।
কিন্তু ছেলে যেহেতু তাকে বলতে চাচ্ছে না ।
তাই না বুঝার ভান করল।

মারুফ চা খেতে নিবে তখন মায়া বলে, খোকা তেলের পিঠাটা আগে খেয়েনে তারপর না হয় চা খাবি।
মারুফের খেতে ইচ্ছে না
করলেও মায়ের সন্তুষ্টির জন্য একটু খেয়ে বাকিটুকু মাকে খাওয়ায় দিল।
এরপর মায়ের হাতে এককাপ চা দিয়ে ট্রে নিজের কাছে নিয়ে বা পাশের চেয়ারে রেখে চা খেতে লাগল।

সকাল দশটা বাজে এখনো মারুফের বৌয়ের দেখা গেল না।
বাসায় আসা মেহমানরা কানাকানি শুরু করে দিয়েছে।
তাই মায়া কোমলকে পাঠায় নতুন বৌকে জাগিয়ে তৈরি হতে সাহায্য করতে এবং কোমলের সাথেই যেন মারুফের বৌকে নাস্তার জন্য টেবিলে নিয়ে আসে।
মায়ের কথা শুনে কোমল তার ভাবীর কাছে গেলো।
কোমল তার ভাবীর রুমে এসে নক করে রুমে ঢুকে দেখে ভাবী এখনও ঘুমাচ্ছে তাও প্লাজু ও শার্ট পরে।
এ দৃশ্য দেখে কোমল তাড়াতাড়ি দরজা লাগিয়ে দিল বাহিরে কেউ নতুন বৌয়ের অবস্থা এমন দেখলে তার ভাইয়ের সম্মান থাকবে না ।

কোমল দরজা লাগিয়ে
জেসিকাকে কয়েক বার ডাকলো।
জেসিকা ঘুম থেকে না উঠায় কোমল তার চুলে আলতো করে বিলি কেটে বলল, ভাবী উঠেন ও ভাবী উঠেন না।
জেসিকা ঘুম থেকে জেগে কিশোরী এক মেয়েকে তার মাথায় হাত দিতে দেখে বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠে।
কোমল তা দেখে বলে, ভাবী ভয় নেই আমি কোমল।
জেসিকা কোন কথা না শুনেই কোমলের গালে জোরে ঠাস করে চড় মারে।
কোমল সাথে সাথে গালে হাত দিয়ে আবাক হয়ে তার ভাবীর দিকে তাকিয়ে আছে ।
কোমললের চোখে পানি টলটল করছে।
সে বুঝতে পারছে না তার ভাবী তাকে মারলেন কেন!

জেসিকা বলে ,উঠে ইডিয়েট মেয়ে তোর সাহস হয় কি করে আমার চুলে হাত দেওয়ার।

আর কখনো এমন করলে তোর হাত ভেঙে দিব।
এই ছোটলোক এখনই বের হ্ আমার রুমে থেকে।

কোমল একহাত গালে দিয়ে দরজা খুলে রুমে থেকে বাহিরে এসে দেখে তার ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।
মারুফ একটা কাজে রুমে এসেছিল কিন্তু দরজা লাগানো আর চিল্লাচিল্লি শুনে এখানে দাঁড়িয়ে ছিল।
ছোট বোনকে রুমে থেকে বের হতে দেখে মারুফের বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি জেসিকা যে এতোক্ষণ ধরে তার ছোট বোনের সাথে এমন করে চিল্লাচিল্লি করছিল।
মারুফ কোমলকে বলে,কি হয়েছেরে ছুটকি ?
কোমল আমতা আমতা করে বলল, কিছুনা ভাইয়া এ কথা বলে যাওয়া ধরলে মারুফ বোনকে দাঁড় করিয়ে গালে থেকে হাত সরিয়ে দেখে গালে পাঁচ আঙ্গুলের হালকা ছাপ বসে গেছে।
এটা দেখে মারুফের মাথায় রক্ত উঠে গেল।
বাড়ির কেউ কখনো তার বোনের গায়ে ফুলের টোকাও দেয়নি আর এই মেয়ে এসেই কিনা ওঁর বোনের গালে আঙ্গুলের ছাপ বসিয়ে দিছে।

মারুফ কোমলকে হাত ধরে ভিতরে নিয়ে এসে খাটের সাইডে বসিয়ে দিল।
তারপর ড্রেসিং টেবিলের ডয়ার থেকে মলম নিয়ে গালে হালকা করে মালিশ করে দেয়।
এবং বোনকে এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে।
তারপর কোমলকে কপালে চুমু দিয়ে রুমে থেকে যেতে বলল।

কোমল ভয়ে আছে সে এরুমে থেকে এই মুহূর্তে যেতে চাচ্ছে না।
কারণ কোমল তার ভাইয়ের রাগ সমন্ধে জানা আছে ।
সে রুমে থেকে গেলেই তার জন্য ভাবীকে আবার মারবে কিনা সে ভয় পাচ্ছে।

মারুফ তার বোনের মনের কথা বুঝাতে পেরেছে তাইতো একটু জোর করেই কোমলকে রুমের বাহিরে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
মারুফ বিছানার দিকে তাকিয়ে দেখে জেসিকা এখনো ঘুমাচ্ছে।
কিছুক্ষণ আগে এতো বড় কান্ড ঘটিয়ে কিকরে কেও এভাবে ঘুমাতে পারে।
মারুফ বিছানার কাছে যেয়ে জেসিকার হাত ধরে টেনে উঠিয়ে ঠাস ঠাস করে চারটা থাপ্পর মারে।
জেসিকা থাপ্পর খেয়ে ঘুমের ঘোর কেটে গেছে।
তাই রেগে মারুফকে বলে,এই ছোটলোকের বাচ্চা তোর এত সাহস হয় কি করে !
যে আমার গায়ে হাত তুলিস তোকে তো বলে মারুফকে চর মারতে গেলে মারুফ জেসিকার হাত মুচড়ে ধরে বলে এই বড় লোকের বাচ্চা আমার সাথে দাপট দেখাতে আসলে তোর হাত আর আস্ত থাকবে না।
তুই কোন সাহসে আমার বোনেকে থাপ্পর মারোস?

মারুফের কথা শুনে জেসিকা হতভম্ব হয়ে গেছে।

এদিকে মারুফ বলে চলছে,আজকে প্রথম বলে অল্পতেই ছেড়ে দিয়েছি এরপরে আমার পরিবারের কারো সাথে এমন কিছু করলে তোর এমন অবস্থা করবো যে কাওকে মুখ দেখাতে ভয় পাবি।
আর ভালো করে শুনে রাখ তুই আমাদের বাড়িতে যতক্ষন আছিস যদি একটুও উল্টা পাল্টা করিস তো পিটিয়ে তোর ছাল তুলে দিবো।
মারুফ এ কথা বলে ধাক্কা দিয়ে জেসিকাকে ফেলে দিয়ে রুমে থেকে বাহির আসে।
আসার আগেই বলে এসেছে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আসতে।

যেমন কুকুর তেমন মুগুর কথাটি সত্যি।
জেসিকা মারুফের এই অগ্নি রূপ দেখে ভয় পেয়েছে।
তাই তো আরও মার খাওয়ার ভয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হচ্ছে তবে মনে মনে এই ছোট লোকের বাচ্চাকে সু্যোগ পেলেই একহাত দেখে নিবে তা ভাবছে।

দেখতে দেখতে দুপুরে হয়ে আসছে মেহমানদের খাবার দেওয়া হয়েছে ।
মারুফের শ্বশুর এবং তার সব আত্মীয় স্বজনকে একসাথে খেতে দেওয়া হয়েছে।
মারুফকে তাদের সাথে খেতে বলেছে মারুফ তাদের সাথে খেতে বসেনি।
মারুফ তার শ্বশুরের সাথে নিরিবিলিতে কথা বলার সুযোগ খুঁজতে ব্যস্ত।
এক সময় সেই সুযোগ পেয়ে যায়।
শ্বশুরকে ছাদে বাগান দেখানো নাম করে নিয়ে আসে।
উকিল সাহেব আসে পাশে তাকিয়ে দেখে বলল, বাহ্ তোমাদের ছাদকে তো ফুল ও ফলের বাগান বানিয়ে ফেলোছো!
দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগছে।
মারুফ সে কথার উত্তর না দিয়ে
তাকে উল্টো প্রশ্ন করলো, আপনি বাবার বন্ধু হয়ে আমার ও আমার পরিবারের সাথে এতো বড় ধোঁকা করলেন কি করে?
উকিল হয়ে সত্য মিথ্যা নিয়ে লড়তে লড়তে এখন মানুষকে নিয়ে খেলতে শুরু করছেন নাক?

উকিল সাহেব মেয়ে জামাইয়ের কথা শুনে বলে,মারুফ…..

বিঃদ্রঃ লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
লাইক ও কমেন্ট করে সঙ্গে থাকবেন।
আপনাদের সাপোর্ট আমাকে লেখতে সাহায্য করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here