হৃদমোহিনী
পর্ব ২৪
মিশু মনি
.
২৯
মেঘালয় রীতিমতো জোর করেই দ্রুত মিশুকে নিয়ে হোটেলে ফিরে এলো। রাত এগারো টার মত বেজে গেছে। এখন সুন্দর জোৎস্না ছড়িয়েছে সবখানে, আলোয় স্নান করা যেতো শান্তিমত। কিন্তু হঠাৎ মেঘের কি হয়েছে কে জানে! বারবার বলতে লাগলো ফিরে যাওয়ার কথা। মূলত মিশুকে স্নিগ্ধ আলোয় ভেজা অবস্থায় দেখেই মাথাটা এলোমেলো হয়ে গেছে ওর। মিশু বুঝতে না পেরে বারবার প্রশ্ন করতে লাগলো।

হোটেলে ফিরে লবি থেকে রুমের দিকে যাওয়ার পথে কয়েকটা মেয়েকে দেখে মিশু মেঘালয়ের বাহু ধরে টান দিয়ে বললো, ‘ওরা কারা?’

মেঘালয় এক পলক ওদের দিকে তাকিয়ে মিশুকে বললো, ‘ওরা কারা?’
– ‘হুম, কে ওরা? যাওয়ার সময়েও দেখলাম এখানে ঘুরঘুর করছে। এখনো ঘুরঘুর করছে। কি করে ওরা?’

মেঘালয় একটু এগিয়ে এসে ফিসফিস করে বললো, ‘দেখতে চাও ওদের কাজ? একটু আড়ালে দাঁড়াও আর দেখো ওকে?’
মিশু মাথা ঝাঁকিয়ে বললো, ‘ওকে। আপনি যাচ্ছেন কোথায়?’
– ‘চুপ করে দেখতে থাকো ওদের কাজকর্ম। মজা পাবা। আর আমাকে ফলো করো।’

মেঘালয় মিশুকে আড়ালে দাঁড় করিয়ে দিয়ে নিজে গিয়ে একটা মেয়ের সামনে দাঁড়ালো। মেয়েটির আপাদমস্তক তাকিয়ে দুষ্টুমি ভরা হাসি দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। মিশু কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে আছে। অর্ধেক মিনিটের পর আবারও ফিরে এলো মেঘালয়। মেয়েটির সামনে এসে আরেকবার দুষ্টুমি ভরা হাসি দিলো। মিশুর কৌতুহলের সীমা নেই। মেঘালয় জিভ দিয়ে নিজের ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে মাথাটা একটু বাঁকা করে মেয়েটিকে দেখলো। তারপর সোজা চলে গেলো সিঁড়ির দিকে। মিশু খেয়াল করে দেখলো মেঘালয়কে অনুসরণ করে মেয়েটিও যাচ্ছে সিঁড়ির দিকে। মেঘালয় বলে দিয়েছিলো ওকে ফলো করতে। পিছুপিছু যাবে কিনা ভাবতে ভাবতে হাঁটা শুরু করে দিলো মিশু।

মেঘালয় একটু এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে নিজের চুলগুলো ঠিক করে নিলো। মেয়েটি নিঃসংকোচে গিয়ে মেঘালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে কি যেন বলতে আরম্ভ করলো। জায়গাটায় অন্ধকার হওয়ায় দূর থেকে কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা। মেঘালয় হাঁটতে হাঁটতে সুইমিংপুলের দিকে চলে গেলো। মেয়েটিও চললো ওর পাশে পাশেই। মিশুর কৌতুহল চরমে পৌঁছে গেছে। কি সমস্যা মেয়েটির?

মেঘালয় একটা বেঞ্চির উপর বসে জলের দিকে তাকিয়ে রইলো৷ তার পাশেই মেয়েটি বসে আলাপ জমানোর চেষ্টা করছিলো মেঘালয়ের সাথে। মিশু গিয়ে ওদের দুজনের পিছনে দাঁড়াতেই একটা কথাই কানে এসে লাগলো, ‘আপনি অনেক হ্যান্ডসাম। অস্থির একটা বডি আপনার।’

মেঘালয় হেসে বললো, ‘সারারাত হবে?’
– ‘ওকে। আপনার জন্য সবকিছু করতেও পারি।’

মিশু হা হয়ে শুনলো কথাটা। পাশ কাটিয়ে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর মনেমনে ভাবছিলো কি কথা বলছে মেঘালয় মেয়েটির সাথে? সন্দেহজনক কথাবার্তা। কিন্তু মগজে কিছুই ঢুকছে না। আবারও ওদের পিছনে এসে দাঁড়ানো মাত্রই বুঝতে পারলো টাকা নিয়ে কথা হচ্ছে। এতক্ষণে ব্যাপারটা বুঝতে পারছে মিশু। এসব করা হচ্ছে? সরাসরি মিশুকে বলতে সমস্যা কোথায় ছিলো? এভাবে মেয়েটার সাথে কথা বলে প্রমাণ দিতে হবে? রাগে গজরাতে গজরাতে মিশু এগিয়ে আসলো মেঘালয়ের কাছাকাছি। মিশুর উপস্থিতি ভালোভাবেই খেয়াল করছিলো মেঘালয়। মিশু পাশে এসেছে বুঝতে পেরে দুষ্টুমি করে মেয়েটিকে বললো, ‘ওকে। রুমে আসো। রুম নাম্বার…’

কথা শেষ করার আগেই মিশু ঝাঁপিয়ে পড়লো মেঘালয়ের উপর। কি ঘটে যাচ্ছে বুঝে উঠতে সময় লাগলো মেঘালয়ের। বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রীতিমতো কয়েকটা কিল ঘুষি বসিয়ে দিয়ে দুহাতে আচড় বসাতে বসাতে মেঘালয়কে ধাক্কা দিয়ে জলে ফেলে দিলো মিশু। সুইমিংপুলে পড়ে গিয়েও স্তব্ধ হয়ে মিশুর দিকে তাকিয়ে আছে মেঘালয়। মিশুর এত রাগ থাকতে পারে ও কল্পনাই করেনি কখনও। মিশু রাগে দাঁত কড়মড় করতে করতে মেয়েটিকে বললো, ‘থাপড়ে সবকটা দাঁত ফেলে দিবো বেয়াদব মেয়ে। বাপ কয়টা তোর? জন্ম পরিচয় জানা আছে নাকি নেই?’

এরকম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে হা হয়ে গেলো মেয়েটা৷ চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে রইলো। কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলো না। চলে যাওয়ার জন্য উঠতে যাবে এমন সময় মিশু এগিয়ে গিয়ে ওর হাত টেনে ধরে তুলে দাড় করিয়ে দিয়ে বললো, ‘হাত আছে? হ্যা আছে তো। হাত আছে, সুস্থ সবল একটা শরীর আছে। যতক্ষণ শরীরে শেষ রক্তবিন্দুটা পর্যন্ত থাকে ততক্ষণ অব্দি সৎপথে রোজগারের চেষ্টা করো মেয়ে। কোনো প্রতিকূলতা তোমাকে থামাতে পারবে না। সংসারে অভাব থাকবেই, তাই বলে নিজের সম্ভ্রম বিক্রি করে খাবে? ভাত নামে গলা দিয়ে? হজম হয়? মা কি এসব করে খায়? এসবই শিখিয়েছে?’

মিশু চড়া গলায় বলছিলো কথাগুলি। আশেপাশের কয়েকজন লোক হা হয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। মেয়েটি লজ্জায় মাথাটা নিচু করে রেখেছে। অপমানিত হলেও এরকমভাবে কখনও হয়নি। কিছুই বলার নেই।

মিশু আবারও বললো, ‘তোমার এই রাস্তায় নামার পিছনে কোনো ইতিহাস থাকতেও পারে। সেই ইতিহাস আমি ঘাটতে চাইনা। যত কঠিন পরিস্থিতিতেই পড়োনা কেন, শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা অব্দি, শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত কাজ করে খাওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ। অন্যের শরীরের নিচে নিজেকে ঢুকিয়ে দিয়ে কখনও অভাব ঘোচেনা। পড়াশোনা জানলে চাকরি করে খেতে পারতে, না জানলে অন্তত মাটি কেটে খেলেও ক্ষতি হতোনা। তাই বলে দেহ বিক্রি করে খাবে? ছিহ, অভিশাপ জাগে তোদের মত মেয়ের জন্য। যারা মেয়ে নামের কলংক।’

মেয়েটি আর সহ্য করতে পারছে না। চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই মিশু আবারও টেনে ধরলো ওর হাত। জোরে হাটটা টেনে ধরে বললো, ‘কত অভাবে পড়ে এই রাস্তায় নেমেছিস? এতই যখন অভাব তখন পারলে আত্মহত্যা করে মরে যেতিস। এই রাস্তায় নামা মানে নিজেকে খুন করে ফেলা। তারচেয়ে মরে যাওয়াও ভালো। অন্তত জগতের মানুষজন জানবে মেয়েটা ভালো ছিলো। মাটি কাটতে লজ্জা লাগে? প্রয়োজনে ভাপা পিঠা বিক্রি করে খা। সেই পেশাও এটার চেয়ে ভালো। অন্তত আত্মসম্মান বজায় থাকবে।’

মেঘালয় মনেমনে ভাবছে, ‘খাইরে রে। মিশু বুঝি হোটেলসুদ্ধ সবাইকে জড়ো করে ফেলবে এবার। এত তেজ ছিলো মেয়েটার? জানা ছিলোনা তো।’

দ্রুত পুল থেকে উঠে এসে মিশুকে থামাতে যেতেই মিশু চেঁচিয়ে বললো, ‘জাস্ট শাট আপ। একদম টাচ করবেন না আমাকে। আমি শুধুমাত্র এই মেয়ের কথা ভাবছি না। আমি ভাবছি গোটা জাতির কথা। কক্সবাজারে এদের মত শত শত মেয়ে হোটেলে এসব করে বেড়াচ্ছে। রোহিঙ্গা কত মেয়েও এসব করে খাচ্ছে। ওদের আত্মসম্মান নেই মানলাম। কিন্তু এসব করে যে শত শত এইচআইভি ছড়িয়ে দিচ্ছে ওরা কি জানে? গত কয়েকদিন আগেই নিউজে দেখেছি ক্যাম্পে ছয়জন অসুস্থ পেশেন্ট পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র ভাইরাস বহন করলেও ছেড়ে দেয়া যায়, কিন্তু ওরা সরাসরি এইডস এ আক্রান্ত। একবারও ভেবে দেখেছেন এভাবে? ওদেরকে চিকিৎসার জন্য আলাদা করা হলে আমাদের রাষ্ট্রকে দোষারোপ করবে। বলবে আমরা নির্যাতন করছি, একঘরে করে দিয়েছি। ওরা যে শত শত ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে সেটা এদেরকে কে বোঝাবে? এভাবে কেউ ভাবেনা কেন?’

মেঘালয় মুগ্ধ হয়ে গেলো মিশুর কথায়। চোখের পলক পড়ছিলো না ওর। মিশু মেয়েটিকে নিজের আত্মসম্মান জাগানোর পাশাপাশি একটা জাতির কথাও ভাবছে? কিছু না বলে তাকিয়ে রইলো মিশুর দিকে।

মিশু মেয়েটিকে বললো, ‘হতে পারে তোমার কাঁধে একটা পরিবারের দায়িত্ব। কিন্তু তাই বলে এই রাস্তায় নামাটা উচিৎ হয়নি। এটাতে তোমার সম্মানও নষ্ট হবে আর তুমি কখনো উন্নতিও করতে পারবে না। ভালো থাকার জন্য ভালো পথটাকে বেছে নিতে হয়৷ এর জন্য না খেয়ে থাকতে হলে থাকবে, কিন্তু নিজের সবকিছু বিকিয়ে দিলে জীবনে কিছুই পাবেনা। না সুখ, না সম্মান। শুধু বেঁচে থাকাটাই জীবন নয়, জীবনের মানে সম্মানের সহিত বাঁচা। যেন মরার পরও তোমাকে কেউ না কেউ স্মরণ করে। দেশকে কিছু দিয়ে তারপর মরো। দেশকে কি দিয়েছো? অবৈধ সন্তান ছাড়া? বাচ্চা পেটে এলে তো নষ্ট করে ফেলে দিয়ে আসবে, যদি একটাও বেঁচে থাকে সেও রাস্তায় ঘুরেঘুরে বড় হবে তারপর তোমারই মত দেহ বিক্রি করে খাবে। বিবেকবোধ জাগ্রত করো মেয়ে। যাও এখান থেকে। শক্ত সামর্থ্য শরীর আছে, প্রয়োজনে ইট ভেংগে খাবে৷ কিছু করার আগে একশবার ভাব্বা বুঝলা?’

মেয়েটি একটা দৌড় দিয়ে চলে গেলো সেখান থেকে। আশেপাশে তাকিয়ে থাকা লোকজন গুলো নিজেদের মত চলে গেলো। মেঘালয় মিশুর কাছে এসে বললো, ‘এত রিয়েক্ট না করলেও পারতে। একটা মেয়ে কি অবস্থায় পড়ে এই পথে নেমেছে তুমি তো জানোনা। মেয়েদের জন্য রোজগারের পথটা অনেক কষ্টকর।’

মিশু মেঘালয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘এমন অনেক মেয়ে আছে যারা দিনের পর দিন না খেয়ে থেকেও কখনও এই পথে নামেনি। তারা কিন্তু বেঁচে আছে। সবকিছুর জন্য ইচ্ছাশক্তি থাকতে হয়।’
– ‘জীবন এত সহজ নয়।’
– ‘এভাবে প্রতিদিন কাস্টমার খুঁজে নেয়াটা খুব সহজ? প্রতিদিন যেচে ধর্ষিতা হওয়াটা খুব সম্মানের?’
– ‘মিশু, ওদেরকে ওদের মত থাকতে দাও।’
– ‘দিয়েছি তো। সামনে পেলে একবার চেষ্টা করবো না তার বিবেক জাগ্রত করার? সমাজ থেকে এদের বিতাড়িত করার কোনো উপায় হয়তো নেই। কিন্তু সুযোগ পেলে অন্তত একজন মানুষকে হলেও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত।’

মেঘালয় মুগ্ধ গলায় বললো, ‘তুমি খুব তেজী আর স্পষ্ট গলায় কথা বলতে পারো। আমি জানতাম না কোনো মেয়েও এতটা দৃঢ়তার সাথে কাউকে এভাবে বলতে পারে।’
– ‘আমি আগে পারতাম না। আজকে এগুলা কিভাবে বললাম জানিনা। আপনার সাথে মেশার পর থেকে এমন শক্তি পেয়েছি হয়ত।’
– ‘আচ্ছা? অনেক হয়েছে এবার চলো।’

মিশু পা বাড়ালো রুমে যাওয়ার জন্য। মেঘালয় হাতটা দিয়ে মিশুর কোমরে ধরে ওকে কাছে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো দেখে মিশু হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বললো, ‘বাইরে এভাবে না ঘুরলেও চলবে। লোকজনকে দেখানোর প্রয়োজন আছে? আমাদের দেখাদেখি আরেকজন শিখবে। দূরে থাকো।’

মেঘালয় অবাক হয়ে ছেড়ে দিলো মিশুকে। একটু আগেই তো মিশু অনেক সহজ স্বাভাবিক আর বেশ রোমান্টিক মুডে ছিলো। হঠাৎ এই অদ্ভুত তেজী রুপটা আসলো কোথ থেকে বোঝা যাচ্ছেনা। অদ্ভুত লাগছে খুব! মিশুকে ছেড়ে দিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে পাশাপাশি চলতে লাগলো৷ কিন্তু মিশুর মুখে এখনো রাগ স্পষ্ট। মেঘালয় একবার কাছে আসতেই ওয়ার্নিং দিয়ে বললো, ‘দূরে..’

মেঘালয় দূরে সরে গেলো। একবার তাকালোও না মিশুর দিকে। কিন্তু লিফটে উঠেই একটানে বুকে টেনে নিলো মিশুকে। এবার আর কোনো বাঁধা দিলোনা মিশু।

৩০.
ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সকাল সারে আটটা বাজে। ইয়া বড় হাই তুলে মিশু মেঘালয়ের দিকে তাকালো। মেঘালয় চোখ মেলে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। সমুদ্রের গর্জন কানে ভেসে আসছে। মিশু ঘুম জড়ানো গলায় বললো, ‘কখন উঠলে?’
– ‘অনেক্ষণ হলো।’
– ‘ওঠোনি যে?’
– ‘তোমাকে ফেলে? অসম্ভব।’

মিশু মুচকি হেসে মেঘালয়কে জাপটে ধরে বললো, ‘আপনি অনেক ভালো। আপনার সাথে মিশে মিশে আমিও আপনার মত হয়ে যাচ্ছি।’
– ‘হুম সেটাই তো চাই।’

এরপর বাবা, মা ও ছোটবোনের সাথে ফোনে কথা বলার পর মিশু বললো, ‘একটা নিউজ আছে। স্কলারশিপের জন্য এপ্লাই করেছিলাম। সেটার পরীক্ষার ডেট দিয়েছে, আর এক সপ্তাহ পর পরীক্ষা। আমার তো আর পরীক্ষাটা দেয়া হবেনা। আপনাকে রেখে দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে আমার একটুও নেই।’

মেঘালয় হেসে বললো, ‘থাক তাহলে। অযথা পরীক্ষা দিয়ে কি হবে? তুমি এখন থেকে আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমোবে। আর ভার্সিটির জন্য প্রিপারেশন নাও এখন থেকেই। আমিতো আছি ই।’
– ‘উম আচ্ছা। আমরা হিমছড়িতে কখন যাবো?’
– ‘ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নাও। নাস্তা করেই বের হবো।’

মিশু আনন্দে লাফ দিয়ে উঠে বসলো বিছানার উপর। ছোটবেলা থেকেই মেয়েটা ঘুরতে বড্ড ভালোবাসে। আজকে আবারো সমুদ্রে যাওয়া হবে। একদিকে পাহাড় আরেকদিকে সমুদ্র! উফফ কি আনন্দ হচ্ছে!

চলছে, চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here