বাড়িওয়ালার মেয়েকে ছাদে বিরক্ত করার অভিযোগে আমাকে বাসা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। অথচ আমি জানতামই না যে বাড়িওয়ালার মেয়ে আছে বলে!

দরজায় আঁটা দিয়ে লাগিয়ে রাখা হলদে রঙের কাগজের টুকরোটি হাতে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করলাম এবার। এখানে উঠেছি সবেমাত্র দেড় মাস চলছে। তিন মাসের ভাড়া অগ্রীম দিয়ে রেখেছি। দিন-রাত মিলে যে সাত আট ঘন্টার জন্য বাসায় থাকি তার প্রায় পুরোটা সময় কক্ষেই কেটে যায়। বেলকনিতেও বসা হয় কিছুটা সময়। ছাদে তো যাই-ইনি কোনদিন। জানিও না বাড়িওয়ালার সন্তানাদি কতজন। অথচ উনারই মেয়েকে বিরক্ত করার অভিযোগে বাসা ছাড়ার নোটিশ আসলো! বিস্ময়কর ব্যাপার বটে।

ঘড়ির কাটা তখন রাত দশটা। বাড়িওয়ালা চারতলায় থাকেন। আমি তৃতীয় তলায়। ভাবলাম সরাসরি কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার করে আসা দরকার। দরজার সামনে দাড়িয়ে কলিংবেল চাপলাম। কোন সাড়াশব্দ নেই। চৌদ্দ-পনেরো সেকেন্ড বিরতি দিয়ে আবারো চাপলাম। ভেতর থেকে শব্দ আসছে। দরজা খুলছে কেউ। পাঞ্জাবির বোতামগুলো লাগানো আছে কিনা দেখে নিলাম একনজর। হ্যা সবকিছু ঠিকই আছে। মাঝবয়সী একজন মহিলা দরজা খুলে দিলেন। আমি মুখে কিছুটা হাসি নিয়ে সহীহ্ শুদ্ধভাবে সালাম দিলাম,

– আসসালামু আলাইকুম।

সালাম শুনে উনি চোখগুলো বড় বড় করে প্রথমে তাকালেন আমার দিকে। এরপর পেছনের দিকে কি যেনো দেখলেন। পরে আবার আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখলেন। আপাদমস্তক দর্শন বলতে যা বুঝায়। এরপর বললেন,
– নমস্কার। কাকে চাই?

বললাম,
– এটা তো সাদিক সাহেবের বাসা তাইনা!
– হ্যা, এটা সাদিক সাহেবের বাসা।
– আমি তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকি। উনার সাথে জরুরী কিছু কথা ছিলো। আছেন ভেতরে?
– আপনি একটু দাঁড়ান।
– জ্বী আচ্ছা।

মহিলা দরজা বন্ধ করে চলে গেলেন। আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম। ডানে বায়ে অনুসন্ধানী পর্যবেক্ষণে আবারো নিশ্চিত হয়ে নিলাম আমি চতুর্থ তলাতেই আছি যেখানে বাড়িওয়ালা থাকেন। মিনিট দুয়েক পর এসে দরজা খুলে ভেতরে যাবার অনুমতি দিলেন তিনি। আমি প্রথমে নিজের পায়ের দিকে তাকালাম। এরপর উনার পায়ের দিকে। উনি খালি পায়ে আছেন। জুতো নিয়েই ভেতরে প্রবেশ করতে যাবো অমনি তিনি আটকে দিলেন। গলদটা বুঝতে পেরে জুতোজোড়া খুলে ভেতরে প্রবেশ করলাম এবার। উনি দরজা লাগিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন। বললেন,

– সাহেব বলেছেন আপনাকে এখানে অপেক্ষা করতে। উনি খেয়ে আসছেন।

আমি সোফায় বসতে বসতে বললাম,
– আপনি কি বলেছেন আমার কথা?
– জ্বী বলেছি।
– আচ্ছা ঠিক আছে।

তখন খুব কম মানুষের বাসা বাড়িতেই টেলিভিশনের দেখা মেলে। যেমন আমাদের গ্রামের কথাই বলি। গোটা গ্রামে একটিমাত্র টেলিভিশন। তাও আবার চেয়ারম্যান বাড়িতে। সপ্তাহের শুক্রবারে যখন ছায়াছবি হয় তখন সেখানে গাঁয়ের মানুষের সমাগম ঘটে। টেলিভিশন বারান্দায় এনে টেবিলের উপর রাখা হয়। গোটা উঠোন মানুষে ভরে যায়। দাঁড়িয়ে, বসে যে যেভাবে পারে ছায়াছবি দেখে। কেউ প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে একবার জায়গা ছেড়ে উঠে গেলে সে আর ঐদিন ছায়াছবির বাকি অংশ দেখার সুযোগ পায়না।

আমি নিজের চশমার কাঁচ গুলো ভালো করে একবার পরিষ্কার করে নিলাম। ততক্ষণে সাদিক সাহেব আসলেন। লুঙ্গি পরে আছেন উনি। গায়ে পাতলা গেঞ্জি। কাঁধে গামছা। উনাকে দেখে আমাদের গাঁয়ের জমশেদ চাচার কথা মনে পড়ে গেলো। মনে হচ্ছিল সাদিক সাহেব যেন জমশেদ চাচার জিরক্স কপি। আমি সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে উনাকে সম্বোধন করে বললাম,

– আসসালামু আলাইকুম।
– ওয়ালাইকুমুসসালাম। বসুন বসুন।

আমি দাঁড়িয়েই রইলাম। উনি আমার বিপরীত দিকের সোফায় বসলেন। এবার আমিও বসলাম। চোখদুটো বন্ধ করে টুথপিক দিয়ে দাঁতে আঁটকে যাওয়া কিছু একটা বের করে আনার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন। এরপর বিরক্ত হয়ে সেটা সামনের টেবিলের উপর রেখে দিয়ে বললেন,

– তা কি মনে করে আমার বাসায় হু? দেড় মাস হয়ে গেলো আপনার। আমি বাসা করেছি আজ প্রায় দশ বছর। আপনার মতো ভাড়াটে আমি আর একজনও দেখিনি।

কথাগুলো বলার সময় উনি হাসছিলেন। উনার মেয়েকে বিরক্ত করার পরে এভাবে হেসে কথা বলাটা আমার মনে কৌতুহলের সৃষ্টি করলো। যদিও আমি বিরক্ত করিনি। ঐ নোটিশের নিরিখে বললাম আরকি। তাহলে কি উনি এসবের কিছুই জানেন না? প্রশ্ন জাগলো মনে। বললাম,

– আসলে আমিও এতো ভালো বাসা আর পাইনি। প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ এই শহরে আছি। সময় হয়না আপনার সাথে কথা বলার। তাই আসা।

– ভালো করেছেন। খেয়েছেন রাতে?
– জ্বী খেয়েছি।
– তা, কি করছেন এখন?
– চাকরীর জন্য চেষ্টা করছি।
– বাড়িতে বাবা-মা আছেন?
– জ্বী আছেন।
– তা কি খাবেন বলুন।
– চা খেতে পারি। অবশ্য, যদি লেবুর চা হয়।
– আপনি লেবুর চা পছন্দ করেন?
– জ্বী। এটা ভালো লাগে আমার কাছে।
– আমিও তো লেবুর চা পছন্দ করি।

এই বলে উনি সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। বললেন,
– আপনি বসুন। আমি আসছি।

আমি বসে থাকলাম। ভাবতে লাগলাম ঐ কাজটা তাহলে কে করলো। কে আমার দরজায় ঐ কাগজ লাগিয়েছিলো। কেউ ফাইজলামো করলো নাতো আবার।

ঘরটা বেশ গোছালো। দেয়ালে অনিন্দ্য কিছু পেইন্টিং শোভা পাচ্ছে। মনে হলো সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কিনে এনে লাগানো হয়েছে। আমি চারদিক দেখছিলাম এমন সময় সাদিক সাহেব চলে আসলেন। সোফায় বসতে বসতে বলতে লাগলেন,

– আমার স্ত্রী অসুস্থ। ঘুমিয়ে আছে। মেয়েটা সব কাজ একা সামলাতে পারেনা। অভ্যেস নেই। এজন্য মহল্লার একজন মহিলা আছেন তিনদিন ধরে। ওকে সহায়তা করে। একটু বসুন। চা আসছে।

বললাম,
– ঐ হিন্দু মহিলাটি?
– হ্যা। বেচারির সন্তানাদি নেই। তার স্বামীও অসুস্থ। যখন যেখানে কাজ পায় করে। এমনিতেও সবসময় যে যেভাবে পারে সহায়তা করে। তবে সে খুব আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মহিলা। কেউ সাহায্য করলেই নিতে চায়না। কাজ করে খেতে পছন্দ করে। বলে, কাজে লজ্জা নেই।

বললাম,
– কিছু মনে করবেননা। আপনার পরিবার সম্বন্ধে আমার তেমন ধারণা নেই। সুযোগই হয়নি আসলে আপনার সাথে বসার। এসব নিয়ে কথা বলার।

আমার কথায় উনি মুচকি হাসলেন। বললেন,
– যেমনটি বলছিলাম, আমার স্ত্রী অসুস্থ। তিন মেয়ে ও এক ছেলে আছে। ছেলেটা সবার ছোট। ও গ্রামের বাড়িতে আছে গত চার মাস ধরে। ছোট ও মেজো মেয়েটাও সেখানে। বড় মেয়েটা বাসায় আছে। টেলিফোনে জানিয়েছি ওদের। চলে আসবে শীঘ্রই।

বললাম,
– আপনাদের গ্রামের বাড়ি কোথায়?
– বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনা জেলায়।

আমার জেলায় উনার বাড়ি আর এটা আমি আজকে জানলাম। উনি আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন তখনি ভেতরের কক্ষ থেকে সুরেলা কণ্ঠে ভেসে আসলো, ‘বাবা, চা রেখে গেলাম।’ এবার সাদিক সাহেব উঠে গিয়ে চা এনে টেবিলে রাখলেন। আমাকে নিতে বললেন। আমি টাটকা গরম চা খেতে পছন্দ করি। অনেকেই কিছুটা ঠান্ডা করে তারপর খান। প্রথম চুমুকেই মনটা ভরে গেলো। কতো জায়গায় কতো রকমের চা খেয়েছি হিসেব নেই। এমন সুস্বাদু চা ইতোপূর্বে কখনো খাইনি আমি। সাদিক সাহেব কয়েক চুমুক নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

– চা কেমন হয়েছে?
– দারুণ! এর আগে লেবুর এতো সুস্বাদু চা আমি আর খাইনি।

আমার কথা শুনে তিনি হাসলেন। তার চোখেমুখে গৌরবের ছাপ স্পষ্ট। তারপর বললেন,
– আমার মেয়ে চা বানানো শিখেছে তার দাদির কাছ থেকে। আমার মায়ের হাত খুব ভালো ছিলো। শুধু চা নয়, উনি সবকিছু রান্নাতেই বেশ পারদর্শী ছিলেন। তা আপনাকে কে রান্না করে দেয়?

– আমি নিজেই রান্না করি। যদিও বেশির ভাগ সময় বাইরেই খাওয়াদাওয়া করা হয়।
– আগামী শুক্রবার জুমা’র নামাজ পড়ে চলে আসবেন। দাওয়াত আপনার।
– ইনশাআল্লাহ্।

ততক্ষণে চা ফুরিয়ে এসেছে আমার। বললাম,
– আমাকে উঠতে হবে। শুক্রবারে আবার কথা হবে আপনার সাথে। আর হ্যা, আপনি আমাকে তুমি করেও বলতে পারেন। তাতেই আমি অধিক সাচ্ছন্দ্যবোধ করবো।

উনি আবারো হাসলেন আমার কথায়। আমি চলে আসবো তিনি আমার পিছুপিছু দরজা পর্যন্ত আসলেন। সিঁড়ি বেয়ে নামতে যাবো তখন বলে উঠলেন,

– তোমার নামটা যেনো কি?

আমি একগাল হেসে বললাম,
– রিয়াদ আহম্মদ ভূঁঞা। আপনি রিয়াদ বলেই ডাকবেন।
– আচ্ছা ঠিক আছে। গুড নাইট।
– গুড নাইট।

শহরে থাকার পেছনে বড় কারণ হলো সাহিত্য চর্চার সুবিধা। ইতোমধ্যে চারটি বই বেরিয়েছে আমার। পঞ্চম বই বের করার তোরজোর চলছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কবি সাহিত্যকদের পরামর্শ নিতে তাঁদের কাছে দৌড়ঝাঁপ তো আছেই। সাথে অনেক পরিচিতজন, শুভাকাঙ্ক্ষী আর বন্ধুবান্ধব। তাদের কাছেই সারাদিন পড়ে থাকি। কাক ডাকা ভোরে বেরুই ফিরি রাত আটটা-নয়টায়। কখনো দশটা-এগারোটাও পার হয়ে যায়।

বিছানায় শুয়ে ভাবছি, এটা আবার সাদিক সাহেবের বড় মেয়ের কাজ নয়তো। যদি হয়ও, তো সে এটা কেন করবে? নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করলাম।

বাড়িতে টেলিফোনে কথা হয় মাঝেমধ্যে। চিঠিও পাঠাই। নতুন ঠিকানায় আসার পর তা জানিয়ে এখনো চিঠি পাঠানো হয়নি। আমি আমার মায়ের কাছে চিঠি লিখি। মা’কে উদ্দেশ্য করে লিখি। যদিও তিনি পড়তে জানেন না। পড়ে শোনায় আমার ছোটবোন। তিনি নিজের ভাষায় যা বলেন তা আবার লিখেও পাঠায় সে। ঠিক করলাম কাল সময় করে একটা চিঠি লিখবো মায়ের কাছে।

রাতে ঐসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখ দুটো লেগে গিয়েছিল টেরও পাইনি। পাশের মহল্লাতেই মসজিদ। ফজরে আশেপাশে সবার আগে এই মসজিদের মোয়াজ্জিন সাহেবই আজান দেন। তাঁর আজানেই ঘুম ভাঙে আমার। আজো এর ব্যতিক্রম হলোনা। সারাদিন বাসায় ফেরা হয়না বলে প্রতিদিন ভোরেই গোসল করে বেরিয়ে যাই। গোসল সেরে পাটের তৈরি ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে বেরুতে যাব তখনি খেয়াল করলাম হলদে রঙের একটি ভাজ করা কাগজ মেঝেতে পড়ে আছে। দরজার নিচ দিয়ে বাইরে থেকে কেউ রেখে গেছে এটা। তবে এখন পড়ার সময় নেই। আজান হয়েছে অনেকক্ষণ হয়ে গেলো। যেভাবে ছিলো সেভাবেই তুলে ব্যাগে থাকা প্রকাশিতব্য বইয়ের পাণ্ডুলিপির ভাজে রেখে দিলাম সেটা। তড়িঘড়ি করে হনহন করে ছুটে চললাম মসজিদের দিকে।

নামাজ শেষে প্রতিদিন মসজিদের বারান্দায় কিছুক্ষণ বসি আমি। নিজের করা কৃতকর্মের হিসেব মেলানোর চেষ্টা করি। পারিনা। পাপ ছাড়া চোখে পড়েনা কিছু। এরপর নিজের লিখাগুলো দেখি। ভুলত্রুটি খুঁজি। ভাবি, যদি আল্লাহ্ পাক মেধাশক্তি কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দেন। তাঁর কাছে এটা আমার সরল মনের কামনা। এবার ব্যাগ থেকে পাণ্ডুলিপিটা বের করলাম। এর ভেতরে হলদে রঙের ভাজ করা কাগজটি রেখেছিলাম যে মনে ছিলোনা। এমনটি আমার সাথে প্রায়সই ঘটে। কখনোসখনো অতি নিকট অতীতের কথাও ভুলে যাই যেখানে অনেক পুরনো অতীতের অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ও পুঙ্খানুপুঙ্খ স্বরণে থেকে যায়, ভুলিনা। কাগজটি নজরে আসায় মনে পড়লো। পাণ্ডুলিপিটা রেখে ভাজ গুলো খুলে নিলাম। সেই চেনা হাতের লিখা। না, এটা মসজিদে বসে পড়বোনা। বাইরে যাই। বেরিয়ে এলাম। গলির রাস্তার একপাশে গিয়ে পড়তে লাগলাম। তাতে লিখা;

‘বাবার মুখে শুনলাম আমার চায়ের বেশ প্রশংসা করেছেন। এজন্য ধন্যবাদ। যে কারণে এটি লিখা। এতদিন আমি ভোরের পাখি ছিলাম। বলতে, আমার আগে বিল্ডিংয়ে আর কেউ উঠতে পারতো না। আপনি আসার পর এটা বদলে গেছে। এখন আপনিই আগে উঠেন। সকালে বেরুন, ফেরেন রাতে। জানিনা কি করেন আপনি। জানতেও চাইনা। আমার কাছে আপনাকে কেমন যেনো মনে হচ্ছিলো। একবার ছাদেও পর্যন্ত আসেন না। আর আমাদের বাসাতে তো না-ই। তাই ভাবলাম আপনাকে একটু উপর নিচ দৌড়ঝাপ করানো যাক। কাল দরজায় যা লিখে রেখেছিলাম সেজন্য দুঃখিত। ক্ষমা করবেন। আমি চাইবো যেনো চিঠির জবাব আসে। রেখে দিবেন যেখান থেকে আপনি এটা পেলেন। আমি নিয়ে নিব।

ইতি
নামটা না হয় পরে কখনো জানবেন’

হাতের লিখাগুলো খুব সুন্দর। বেশ গোছালো। পুরো লিখাটি পড়ে মনে মনে কিছুক্ষণ হাসলাম। বিস্মিতও হলাম। তারপর ভাজ করে সেটা পকেটে রেখে পথ চলতে চলতে নিজেকেই নিজে বলে উঠলাম, ‘আগে মাকে চিঠি লিখে পাঠাবি আজ। এরপর এর জবাব লিখবি। তাকে লিখবি, যাকে এখনো দু-চোখে দেখিসনি একবারও।’

———চলবে——–

#হলদে_চিঠির_প্রেম
# পর্ব_০১
# রিয়াদ_আহম্মদ_ভূঁঞা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here