#শ্রাবণের_শেষ_সন্ধ্যা
#৭ম_পর্ব
বাবার চাপা আর্তনাদে নবনীতার চোখ যায় শ্বশুরবাড়ির লোকের দিকে। সবাই আছে শুধু নীলয় ছাড়া, সোফাতে থমথমে মুখে বসে আছেন হেনা বেগম এবং প্রিয়া বেগম। কিছু মূহুর্ত পূর্বে শান্ত এবং দীপু এসেছে। তাদের সাথেই নীলয়ের আসার কথা ছিলো। কিন্তু সে আসে নি, বরং একটা চিঠি দিয়ে তাদের পাঠিয়ে দিয়েছে। শান্ত এবং দীপু তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু ব্যার্থ হয়েছে। যতই হোক মনের বিরুদ্ধে কোনো মানুষকে জোর করে কাজ করানো সম্ভব হয় না। শান্ত ও পারে নি নীলয় কে আনতে। যখন সে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলো,
“আমি মা, ফুপি আর নবনীতাকে কি উত্তর দিবো?”
“এই চিঠিটা নবনীতার হাতে দিবি। আর বড়মা আর মাকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। জীবনটা তো আমার তাই না?”
শান্ত কোনো উত্তর দিতে পারে না। শুধু শীতল নজরে নিজের ভাইকে দেখে। যে নীলয় সপ্তাহ খানেক পূর্বে ভালোবাসায় মগ্ন ছিলো, আজ সে নিজের হবু বউ কে একা ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে। কারণটা শান্ত এর জানা! অবিশ্বাস, সন্দেহ। সন্দেহের ঘুন একবার বাসা বাঁধলে মজবুত সম্পর্কের ভিত্তিও নাড়িয়ে দেয়। এটা তো কেবল কয়েক মাসের ভালোবাসা।
নবনীতার অস্থির চোখ খুজঁছে নীলয়কে। ভেতরটা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে তার। শান্ত তখন তার দিকে এগিয়ে আসে। নীলয়ের দেওয়া চিঠিটা হাতে দেয় নবনীতার। ঝাপসা নয়নে শান্তের দিকে তাকায় নবনীতা। তার চোখের হাজারো প্রশ্নের একটাই উত্তর দেয় শান্ত,
“হয়তো চিঠিটা পড়লে নীলয়ের না আসার কারণটা জানতে পারবে।“
নবনীতা কোনো কথা বলে না। সকল স্বপ্নগুলো কাঁচের মতো ভেঙ্গে যায় তার। উপস্থিত আত্নীয়দের কানাঘোষা শুরু হয়। শারমিন বেগম মুখে আঁচল গুজে কাঁদেন। যতই হোক, মধ্যবিত্ত মেয়ের বিয়ের দিন সেটা ভেঙ্গে যাওয়াটা মোটেই কাম্য নয় তার। কি অপরাধ ছিলো তার মেয়ের। চলতি পথে এভাবে হাতটা ছিটকে দিলো নীলয়, কেনো? জসীম সাহেব মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে আছেন। তার মস্তিষ্ক কাজ করছে না। মেয়েকে সামলাবেন কিভাবে সেটাই বুঝতে পারছেন না। সবার সামনে কঠোর রুপ নিলেও মেয়ে যে তার খুব আবেগপ্রবণ।
নবনীতা কিছু সময় পলকহীন দৃষ্টিতে চিঠিটার দিকে তাকিয়ে থাকে। তার মন বিশ্বাস করতে চাইছে না নীলয় সত্যি আসে নি। এক ঘর লোকের সামনে তাকে একা ফেলে পালিয়ে গেছে কাপুরুষের মতো। নবনীতা কাঁপা হাতে চিঠিটা খোলে। সাদা কাগজে নীলয়ের গোটা গোটা লেখনী। নীলয়ের হাতের লেখা চিনতে নবনীতার খুব কষ্ট হলো না। ভগ্ন হৃদয়ে চিঠি পড়তে শুরু করে নবনীতা,
“আমাকে ক্ষমা করো নবনীতা, তবে বিয়েটা আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সন্দেহ নিয়ে আর যাই হোক কারোর সাথে সারাটাজীবন কাটানো সম্ভব নয়। হ্যা মানছি, যা ঘটেছে তাতে তোমার হাত নেই। হয়তো তোমার দোষ নেই। তবে আমার মন মানছে না। হাজার চেষ্টা করেও নিজের মন থেকে সন্দেহ মিটাতে পারছি না। তাই তোমাকে কষ্ট দেবার থেকে তোমার থেকে সরে যাওয়াটা অধিক শ্রেয়। আমাকে ক্ষমা করো।
ইতি নীলয়”
নবনীতা চিঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে, এতো বড় সিদ্ধান্তটা মাত্র আট লাইনে লিখে জানিয়ে দিলো নীলয়। একটা বার মুখোমুখি হবার প্রয়োজন বোধ করলো না সে! আর কিসের সন্দেহ? নবনীতা জানে সে এখনো পবিত্র। তবে কিসের এতো সন্দেহ! এই ভালোবাসার বড়াই করছিলো নীলয়। যে ভালোবাসা সামান্য ঝড়েই নড়ে গিয়েছে! হাস্যকর তাই না? নবনীতা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, নিজেকে পাগল পাগল লাগছে। নীলয়কে ভালোবাসতে বাসতে কখন তার প্রতি আসক্তি জন্মেছে সেটা জানা ছিলো না তার। হুট করেই ছুটে গেলো নিজ রুমে। মোবাইল ফোন থেকে ফোন করলো নীলয়কে। এভাবে তাদের সম্পর্কের ইতি হতে পারে না। নীলয়ের সাথে সামনা সামনি কথা বলতেই হবে নবনীতাকে। নয়তো নিজেকে কিছুতে শান্ত করতে পারবে না। ক্রমেই ফোন করছে সে। নীলয়ের ফোন বাজলেও কেউ ফোনটা তুলছে না। নবনীতা হাল ছাড়লো না। সে ফোন করতে থাকলো। এক পর্যায়ে নীলয় ফোনটি কেটে দেওয়া শুরু করলো। নীলয় এর এমন আচারণে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে নবনীতার কোমল হৃদয়। বিষাদের ঢেউ এ বুকটা ভারী হয়ে উঠছে। কাজল কালো চোখ ঝাপসা হয়ে উঠছে নোনা জলে, কিন্তু কাঁদলে চলবে না, অজস্র প্রশ্ন জমেছে। উত্তর চাই তার। নবনীতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বসার ঘরে আসে। মুখোমুখি হয় শান্তের। শীতল কন্ঠে বলে,
“নীলয় কোথায়?”
“হ্যা?”
“এখন নীলয় কোথায়?”
শান্ত অবাক নয়নে নবনীতার দিকে তাকায়। ঠোঁটজোড়া ঈষৎ কাঁপছে, চোখজোড়া ভেজা। কাজল লেপ্টে গেছে তার। সাজটা বেমানান লাগছে। শ্যামমুখটা বিষাদে আরোও কালো লাগছে। শান্ত ধীর কন্ঠে বলে,
“ও চিটাগাং যাচ্ছে। হয়তো এখন বাস স্ট্যান্ড এ”
শান্তের কথা শুনে সবাইকে অবাক করে শাড়ির কুচিটা ধরে বেড়িয়ে পড়লো নবনীতা। শ্রাবণের ৩১ তারিখ। ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশের অঝর ক্রন্দনে বিনা ছাতায় বেরিয়ে পড়লো নবনীতা। নবনীতার এমন কাজে শারমিন বেগম ছুটে যান। মেয়েকে পিছু ডাকেন, কিন্তু নবনীতা যেনো আজ এই দুনিয়াতে নেই। তার সকল বোধবুদ্ধি নাই হয়ে গিয়েছে। নবনীতা বেরিয়ে যেতে জসীম সাহেব বুকে হাত দিয়ে বসে পড়েন। বুকে হুট করেই ব্যাথা অনুভব হতে লাগে তার। পরিস্থিতি খারাপ দেখে হেনা বেগম ব্যস্ত হয়ে উঠেন। শান্তকে আদেশের স্বরে বলেন,
“শান্ত, তুমি যাও। দেখো মেয়েটা কোথায় ছুটলো।“
“আমি কেনো?”
শান্ত অবাক কন্ঠে মাকে জিজ্ঞেস করে কথাটা। হেনা বেগম শান্তের প্রশ্নে তীর্যক দৃষ্টি প্রয়োগ করেন। মায়ের দৃষ্টি শান্তের বুঝতে কষ্ট হলো না। তবে কিঞ্চিত বিরক্তবোধ হলো। নিজের কাজিনের হবু বউ এর পেছনে ছোটার ইচ্ছে তার নেই। শান্তকে দাঁড়িয়ে থাকলে দেখে হেনা বেগম শক্ত কন্ঠে বলেন,
“তোমাকে আমি কিছু বলেছি শান্ত। নবনীতার মানসিক অবস্থা ভালো নেই। রাস্তায় কোনো অঘটন ঘটে গেলে? আর জসীম ভাই এর অবস্থা ভালো নেই। তাই বলছি, যাও ওর সাথে।“
মায়ের কথা অমান্য করতে পারছে না শান্ত। মায়ের এই বাড়াবাড়ির কি মানে তার জানা নেই। শান্ত বাধ্য হয়েই ছুটলো নবনীতার পেছনে। শান্ত বেরিয়ে যাবার পর শারমিন বেগমকে ধীর স্বরে বলেন হেনা বেগম,
“আপা, চিন্তা করবেন না। শান্ত গেছে নবনীতার সাথে।“
বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় ছুটছে নবনীতা। মাথাটা যেনো কাজ করছে না তার। বৃষ্টির অঝর ধারা ভিজিয়ে দিয়েছে তার শাড়ি, পায়ের স্যান্ডেলটা কাঁদায় একেবারেই চলছে না। বাধ্য হয়ে জুতোটা খুলে ফেললো সে। জুতো হাতেই ছুটলো সে পিচের কর্দমাক্ত রাস্তায়। হঠাৎ কেউ পিছন থেকে হাত টেনে ধরলো। আচমকা টান খাওয়াতে অবাক নয়নে পেছনে তাকায় নবনীতা। শান্ত ছাতা হাতে তার বাহু ধরে রেখেছে। শান্তের এমন কাজে রাগান্বিত কন্ঠে বলে,
“হাত ছাড়ুন, আমি নীলয়ের কাছে যাবো।“
“বাসায় চলো নবনীতা।“
“হাত ছাড়ুন।“
নবনীতা ছটফট করতে লাগলে শান্ত ধমকের স্বরে বলে,
“আর একবার নড়লে তুলে আছাড় মারবো, কি সমস্যা তোমার? বাসায় চলো”
“আমি নীলয়ের কাছে যাবো। আমার প্রশ্নের উত্তর চাই, মিস্টার শান্ত।“
“বেশ, আমি তোমাকে নিয়ে যাবো। কিন্তু পাগলামি থামাও। নিজেকে দেখেছো একবার? ওদিকে তোমার মা-বাবার অবস্থা খারাপ।“
বাবা-মার কথা শুনে কিঞ্চিত শান্ত হয় নবনীতা। মা-বাবার কথা মূহুর্তের জন্য ভুলে গিয়েছিলো সে। কিন্তু নীলয়ের কাছে যাওয়াটা যে খুব জরুরী। আজ মুখোমুখি না হলে এই কষ্টটা সারাটাজীবন থেকে যাবে। শান্ত তখন নবনীতা গাড়িতে উঠলে বলে। ফোনটা বের করে কল দেয় নীলয়কে। বহুক্ষণ পর অবশেষে ফোন রিসিভ করে নীলয়।
বাসের কাউন্টারে ব্যাগ হাতে বসে আছে নীলয়। অপেক্ষা বাস আসার। আধা ঘন্টা বাদে বাস আসবে। মোবাইল ফোনের গ্যালারি খুলে বসে আছে সে। নবনীতার সাথে কাটানো মূহুর্তগুলোর স্মৃতি নিজ জীবন থেকে মুছে ফেলছে সে। যে সম্পর্কটা শেষ করে ফেলছে তার স্মৃতি রেখে কি হবে? কষ্ট যে তার হচ্ছে না এমনটা নয়। কিন্তু সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো সম্পর্ক টিকে না। মনে একটা খুত খুত থেকেই যাবে। সেটার অবশ্য অনেক উপায় আছে কিন্তু তাতে নবনীতার নাম খারাপ হবে। কি দরকার মেয়েটার নাম বদনাম করার। যতই হোক ভালোবেসেছিলো সে তার নীতুকে। এর মাঝেই একটা নারী কন্ঠ শুনতে পায় নীলয়। চিরচেনা কন্ঠে উঠে দাঁড়ায় সে। ভেজা শাড়িতে, খালি পায়ে কর্দমাক্ত অবস্থায় নবনীতা তার সামনে দাঁড়ানো। লাল বেনারসিতে তার নীতুকে সত্যি ই অপরূপ লাগছে। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে নীলয়। কিন্তু সেই চাহনী হঠাৎ বদলে যায় যখন নবনীতার সেদিনের দৃশ্যটা চোখে ভেজে উঠে। চোখ সরিয়ে নেয় নীলয়। নবনীতা ব্যাকুল হয়ে তার কাছে ছুটে আসে। কাতর কন্ঠে বলে,
“এই চিঠির মানে কি নীলয়? আর কেনো আমার ফোন ধরছিলে না তুমি?
নবনীতার কন্ঠ কাঁপছে। মেয়েটার মুখটা শুকনো। তার ছলছল নয়নে চোখ রাখতেও বুক কাঁপছে নীলয়ের। কিন্তু উত্তর যে তাকে দিতেই হবে। অন্য দিকে তাকিয়ে শীতল কন্ঠে উত্তর দিলো,
“আমি তো বাংলায় লিখেছি, না বোঝার কি আছে এতে?”
নীলয়ের এমন উত্তরে থমকে যায় নবনীতা। চিরচেনা মানুষটিকে অচেনা লাগছে তার। যে মানুষটির মন জুড়ানো কন্ঠে তার মনের গৃহ প্রজ্জ্বলিত করতো, আজ তার কথাগুলো আঘাত হানছে বুকে। এ কি সত্যি নীলয়? ওকেই ভালোবেসেছিলো নবনীতা? যে নীলয় রোদের মাঝে কদম ফুল খুজে আনতো তার জন্য, যে নীলয় বৃষ্টিস্নাত রাতে আর বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টে এসে দাঁড়াতো তার দর্শন পাবার নেশায়। এ কি সেই নীলয়? নবনীতা কাঁপা স্বরে বলে,
“নীলয়, তুমি এভাবে বলছো কেনো? তুমি ভুলে গেছো আজ যে আমাদের বিয়ে। আমি তোমার জন্য আজ সেজেছি। দেখো, তোমার নীতু কাঁদছে। তুমি তো বলেছিলে, সারাটা জীবন আমার হাত আগলে রাখবে। আজ কেনো এভাবে আমাকে ছেড়ে দিচ্ছো?”
“আমার নীতু পবিত্র ছিলো নবনীতা। তার পবিত্রতাকেই আমি ভালোবেসেছিলাম।“
জড়তাবিহীন কন্ঠে নীলয় উত্তর দেয়। তার শীতল ছুচালো চাহনী বিষের মতো বিধছে নবনীতার বুকে। কষ্ট গুলো দলা পাকাচ্ছে গলায়। অবিশ্বাসের স্বরে বলে,
“তুমি কি বলছো এগুলো?”
“খারাপ লাগলো? কিন্তু এটাই সত্যি। আমি আগের মতো তোমায় ভালোবাসতে পারবো না নবনীতা। যখনই আমি তোমাকে দেখি তোমার সেদিনের এলোমেলো চিত্র আমার চোখে ঘুরে। আমার এই শীতল চাহনী সহ্য করতে পারবে তুমি? এর থেকে আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই ভালো। একটা সময় ভালবেসেছি বিধায়, তোমার সম্মানের কথা চিন্তা করছি। আমি কাউকে জানাচ্ছি না কেনো এই বিয়ে ভেঙ্গেছি। এর থেকে বেশি কি আশা করো তুমি?”
নীলয়ের কথাগুলো হাস্যকর লাগছে নবনীতার কাছে। মানুষ চিনতে একটা ভুল করে ফেলেছে সে। পবিত্রতার প্রমাণ চাইছে নীলয়, কিসের প্রমাণ? আর কেনোই বা দিবে সেই প্রমাণ নবনীতা? ভালোবেসেছে বলে নিজের আত্নসম্মান হারাবে না নবনীতা। কিছুক্ষণ অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকে অচেনা নীলয়ের দিকে। তখন নীলয় তাকে প্রশ্ন করে,
“কি দেখছো?”
“দেখছি একটা কাপুরুষকে। ধন্যবাদ তোমাকে আমার উপর দয়া করা জন্য। ভালো থেকো“
নির্লিপ্ত কন্ঠে বলে নবনীতা। তারপর এক মূহুর্ত দেরি না করে কাউন্টার থেকে বেরিয়ে যায় নবনীতা। নীলয় সরু চোখে নবনীতার যাবার পানে চেয়ে থাকে। এক অচেনা চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হয় তার। বুকটা যেনো ফাঁকা হয়ে গেছে।
বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় নবনীতাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে শান্ত। নিজের ভাইয়ের উপর কেনো যেনো মেজাজ খারাপ লাগছে তার। তবে নবনীতার জন্য একটা খারাপ লাগা কাজ করছে। সারাটা রাস্তা মেয়েটা বাহিরেই তাকিয়ে থাকে, তেজী মেয়েটাকে এভাবে পাথর হতে দেখে শান্তের অস্বস্তি বেড়েই যায়। সে কাউকে শান্তনা দিতে পারে না। পারলে হয়তো প্রথম মানুষটা নবনীতা হতো। জড়ো পদার্থের মতো বাসায় ঢুকে নবনীতা। নবনীতা বাসায় ঢুকতেই জানতে পারে………
চলবে