#শেষ_শ্রাবণ
পর্বঃ১
আমার বিয়ের এক মাসের মাথায় শুনতে পেলাম আমার শ্বাশুড়ি গর্ভবতী। খবরটি আমাকে দিলো আমার স্বামী সাজ্জাদ। কথাটা বলার সময় তার মুখে আমি একরাশ রাগ আর ঘৃণা দেখতে পেলাম। আমাকে কথাটা বলেই ধপ করে খাটে বসে পড়লো সে। তার ফর্সা মুখ রাগে লাল হয়ে আছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না এই খবরে তো খুশি হওয়ার কথা,এমন রাগ করার কি আছে? কিন্তু তার থমথমে মুখ দেখে কিছু বলার সাহস পেলাম না।চুপচাপ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম খাটের পাশে। কিছুক্ষণ পর সেই-ই রাগে গজগজ করতে করতে বললো,” ন্যূনতম কোনো লজ্জা আছে?এই বয়সে, ছি ছি ছি। লজ্জায় আমারই মাথা কাটা যাচ্ছে। আত্মীয়স্বজন,পাড়াপ্রতিবেশি শুনলে কি বলবে? আর আমার বন্ধু আর কলিগদের কথা তো বাদই দিলাম। সমাজে আমাদের একটা মানসম্মান আছে,সব শেষ।” আমি ভেবেই পেলাম না এই খুশির খবরে সমাজে মানসম্মান নষ্ট কেনো হবে? আমার বরের বয়স ছাব্বিশ বছর, তার পরে আমার ননদ আছে একজন,সোহেলী। তার বয়স একুশ। আমার শ্বাশুড়ির অনেক কম বয়সে বিয়ে হয়, তার প্রথম সন্তানই সাজ্জাদ। খুব বেশি বয়স না আম্মার। আর এতো সুন্দর দেখতে, ফর্সা ছোটখাটো একজন মানুষ, দেখতে তো আরো কম বয়সী মনে হয়। আমার বর কি নিয়ে এতো রাগ করছে কিছুই বুঝতে পারছি না আমি। আমার বড্ড ইচ্ছা করছে আমার শ্বাশুড়ির পাশে যেয়ে একটু বসতে। তার কি খেতে ইচ্ছা করছে শুনতে। এই বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে ওই মানুষটা আমাকে নিজের মায়ের মতো ভালোবেসেছেন। আমি কি খেতে পছন্দ করি সব জেনে নিয়ে নিজের সাধ্যমতো আমার সামনে হাজির করেছেন। এই এক মাসে আমার শ্বাশুড়িকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি আমিও। সাজ্জাদের কথাগুলো শুনতে আমার মোটেই ভালো লাগছে না। তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম আমি।
সন্ধ্যার পর আমার শ্বশুর ড্রয়িংরুমে আমাদের সবাইকে ডেকেছেন। আমাদের বলতে, সাজ্জাদ,সোহেলী আর আমাকে। অন্যদিন শ্বশুর ডাকলে সাজ্জাদ তাড়াতাড়ি অফিস থেকে চলে আসে। বাবাকে এ বাড়ির সবাই একটু ভয় পায়, সমীহ করে চলে। বাবা মানুষটা একটু রাশভারি হলেও ভিতরটা অনেক নরম। নিকটস্থ একটা স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন তিনি। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ একজন। এক মাসে আমার সাথে খুব বেশি কথা হয়নি। তবে সকালের চা, আর বিকালের নাস্তাটা তার আমাকে ছাড়া চলেই না। আমাকে মামণি বলে ডাকেন তিনি।
অন্যদিন সাজ্জাদ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলেও আজ সন্ধ্যা গড়িয়ে যাচ্ছে এখনো সে ফেরেনি। আমার নিজের কাছেই কেমন অপরাধবোধ লাগছে, বাবা, আম্মা হয়তো অপেক্ষা করে বসে আছেন কথা বলার জন্য,অথচ তাদের ছেলে বাড়িই ফেরেনি এখনো। রাত সাড়ে আটটার দিকে সাজ্জাদ বাড়ি ফেরে। রুমে ঢুকেই ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে যায়। আমি কিছু বলার সুযোগ পাইনা। অন্যদিনের সন্ধ্যাগুলো কি সুন্দর হয়। আমি,আম্মা আর সোহেলী মিলে বিভিন্ন নাস্তা বানাই। সাজ্জাদ ফিরলে সবাই মিলে আড্ডা দিই ড্রয়িংরুমে বসে। কিন্তু আজ কেমন যেনো সব খাপছাড়া। সোহেলীও সেই দুপুরে খেয়ে যেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করেছে এখনো খোলেনি। কি যে হলো ভাইবোনের ভেবে পাইনা আমি। আধা ঘণ্টা পর ফ্রেশ হয়ে সাজ্জাদ বের হয়ে আসলো। বললো,”কি হলো? কিছু বলবে?এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?” আমি আস্তে আস্তে বললাম,”বাবা ডেকেছিলেন তো আমাদের,তুমি কি ভুলে গেছো?” আমার কথা শুনেই সাজ্জাদের মুখ আবার রাগে লাল হয়ে গেলো। থমথমে গলায় বললো,”আমার কোনো ইচ্ছা নেই উনাদের কোনো কথা শোনার। আর তোমাকেও একটা কথা বলছি,তুমি আমার বউ হয়ে এ বাড়িতে এসেছো, আমি যা বলবো,যেভাবে বলবো সেভাবে চলবে। বেশি বেশি করবে না। মাইন্ড ইট।” আমি অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। সাজ্জাদের বউ হয়ে এসেছি বলে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি কারো হয়ে কথা বলা যাবে না?এ কেমন কথা। কিন্তু কিছু বলতে পারিনা। একে তো আমি নতুন বউ,তার উপর আমি সাজ্জাদকে একটু ভয়ই পাই বলতে গেলে।চুপ করে বসে থাকি আমি।
“সাজ্জাদ ফিরেছো?” আমার শ্বশুর আমাদের ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ান। সাজ্জাদ উত্তর দেয়না।মোবাইলে ফেসবুকিং এ ব্যস্ত সে। তার ব্যবহার দেখে আমিই তাজ্জব বনে যাই। না পেরে আমি বলি,”জ্বি বাবা ও ফিরেছে, আপনি ভিতরে আসুন না।” সাজ্জাদ কটমট চোখ করে আমার দিকে তাকায়। আমি মাথা নিচু করে ফেলি। বাবা বলেন,” না মামণি, এখন আসবো না। তোমরা একটু ড্রয়িংরুমে আসো। আমি আর তোমাদের আম্মা একটু কথা বলতাম তোমাদের সাথে।” আমি সাজ্জাদের দিকে তাকাই। বিরক্ত মুখ নিয়ে উঠে বসে সে। বিড়বিড় করে কি যেনো বলে আমি বুঝতে পারিনা।
বড় সোফাটায় বসে আছেন বাবা,তার পাশে আম্মা। তাদের উল্টোদিকের সোফায় সাজ্জাদ মাথা নিচু করে বসা,আমি তার পাশে দাঁড়ানো। সোহেলীকে অনেকবার ডেকেছি,সে দরজা খোলেনি। শুধু বলেছে,”প্লিজ ডিস্টার্ব করোনা ভাবী। আমাকে একা থাকতে দাও।” আমি ওকে না নিয়েই ফিরে আসি। আম্মার দিকে তাকিয়ে বুকটা ধক করে ওঠে আমার। কি সুন্দর মুখটা একদিনেই কি হয়ে গেছে। চোখের নিচে কালি পড়েছে, ফোলা চোখ দেখে মনে হচ্ছে অনেক কান্নাকাটি করেছেন। আজ সারাদিন তিনি ঘর থেকে বের হননি। আমি অনেকবার তার ঘরের সামনে যেয়ে ফিরে এসেছি সাড়া না পেয়ে। দুপুরে বাবা উনার খাবার ঘরে নিয়ে গিয়েছেন। একদিনেই কি অবস্থা হয়ে গেছে আম্মার। আমার কান্না পেয়ে যায় দেখে। সাজ্জাদ রূঢ় কণ্ঠে বলে,”কি বলতে ডেকেছেন বাবা?তাড়াতাড়ি বলেন।”বাবা অবাক হয়ে ছেলের দিকে তাকান। কোনোদিন তার ছেলে এভাবে তার সাথে কথা বলেনি। তিনি সামলে নিয়ে আস্তে করে বলেন,”তোমার বোন আসলো না যে, সবাইকেই দরকার ছিলো আমার এখন।” সাজ্জাদ বলে,”কেউ না আসতে চাইলে জোর করে ধরে আনবো নাকি আমি?রুমকি গিয়েছিলো তো ডাকতে। আসেনি আমি কি করবো?”আম্মা আহত দৃষ্টিতে তাকান ছেলের দিকে। বাবা কোনো ভণিতা না করেই বলেন,”শুনেছো তো সবকিছু?” সাজ্জাদ রাগে লাল হয়ে বলে,”জ্বি শুনেছি।”
“এখন তোমরা কি কিছু বলতে চাও এ ব্যাপারে?”
“কি আর বলবো আপনাদের বাবা?বলার মতো কিছু রেখেছেন আপনারা? সমাজের সামনে মুখ তুলে তাকাতে পারবো আর আমরা? আমাদের ইমেজটাই নষ্ট করে দিয়েছেন আপনারা।”
আমি বাবা আম্মার দিকে তাকাই। তারা যেনো নিজেদের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছে সাজ্জাদের দিকে। বাবা বললেন,”আমাদের জন্য তোমাদের ইমেজ নষ্ট হবে?”
সাজ্জাদ গলা চড়িয়ে বললো,” তা নয়তো কি? আমি চাকরি করি, সেখানে আমার কলিগ বন্ধুবান্ধব আছে,সোহেলীর ইউনিভার্সিটির বন্ধুবান্ধবরা আছে। তারা শুনলে কি বলবে, যে তোদের আবার ভাইবোন হবে?ছি ছি,লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে।”
আম্মা আর নিতে পারেন না, ডুকতে কেঁদে ওঠেন। আমি আম্মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি। সাজ্জাদ বলে চলে,”আমাদের মানসম্মানের কথা একবারও ভাবলেন না আপনারা। এখন আবার মিটিং করছেন এসব বলে।” বাবা মাথা নিচু করে বসে আছেন। আমার বড্ড কষ্ট হচ্ছে মানুষ দুটোর জন্য। কিন্তু আমি কি করবো তাই বুঝতে পারছি না। বাবা বললেন,” এখন আমাদের কি করতে বলছো সাজ্জাদ?”
” কিছুই করতে বলছি না। শুধু এটুকুই বলছি আজ থেকে আপনাদের ভালোমন্দে আমি আর নেই। আপনারা আপনাদের মতো থাকবেন আমি আমার মতো। সোহেলী কি করবে তার ব্যাপার।”
বাবা তার পাঞ্জাবি চেপে ধরেন কষ্টে,তার চোখ ভিজে যাচ্ছে। আম্মার চোখে তো অশ্রুপ্লাবন। বাবা বললেন,” তার মানে কি চাচ্ছো এ বাড়িতে হাঁড়ি আলাদা হোক?” বাবার কথা শুনে ভয়ে কেঁপে উঠি আমি। আম্মাও ভয়ে ভয়ে তাঁর দিকে তাকান।
সাজ্জাদ সোফা থেকে উঠে যেতে যেতে বলে, “ওসব মেয়েলী ব্যাপার। ওগুলো নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই। বাড়িটা যেহেতু আপনার, আপনাদের তো আমি বের করে দিতে পারিনা। তবে আপনাদের সাথে এক ছাদের নিচে বাস করতে আমার ইচ্ছা করছে না আর।” এবার আম্মা শব্দ করে কেঁদে ওঠেন। সেদিকে তাকিয়ে নিজের চোখের পানি মুছে বাবা বলেন,”তুমি হয়তো ভুলে গেছো,গ্রামে আমাদের ছোট্ট একটা বাড়ি আছে। যদিও একটু কষ্ট হবে। তবুও তোমার মা কে নিয়ে সেখানে আমাদের দিব্বি দিন কেটে যাবে।” সাজ্জাদ বলে,”তার কোনো প্রয়োজন নেই। ওখানে যেয়ে আর হাসির পাত্র বানাবেন না আমাদের।” এই বলে হনহন করে ঘরে চলে যায় সাজ্জাদ। আমি কি বলবো ভাষা খুঁজে পাইনা। শুধু মা কে শক্ত করে জড়িয়ে বসে থাকি। কেউ কোনো কথা বলতে পারিনা,শুধু চোখের পানি ফেলি।
এরপর বেশ কিছুদিন চলে যায়। বাড়িটার আর প্রাণ নেই আগের মতো। সাজ্জাদ সোহেলী কেউ কথা বলে না বাবা আম্মার সাথে। তাঁরাও নিজেদের মধ্যে কেমন গুটিয়ে গেছেন। ঘর থেকে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বের হন না। মাঝে মাঝে বাবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান আম্মাকে। সেদিন কোনো কারণে সাজ্জাদ বা সোহেলীর সামনে পড়ে গেলে তার রাগ,ঘৃণা নিয়ে তাকিয়ে তাকে বাবা আম্মার দিকে। কিন্তু আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করি আম্মার সেবা করতে। তার পছন্দের খাবার রান্না করে তাকে খাওয়াই,তার চুলে তেল দিয়ে বেণী করে দিই। কিন্তু আম্মার মধ্যে আগের মতো আর প্রাণচঞ্চল ভাবটা আর নেই। কেমন মনমরা হয়ে থাকেন সবসময়। আমি আর বাবা অনেক চেষ্টা করি তাকে হাসিখুশি রাখার। কিন্তু খুব একটা সফল হইনা। সাজ্জাদ তো একদমই পছন্দ করে না আমি আম্মার জন্য এতো কিছু করি। তাই সে বাড়ি আসার পর আমি খুব বেশি যেতে পারিনা আম্মার কাছে। এভাবেই আমাদের দিন কাটতে লাগলো।
সাতমাস পর আম্মার শরীরটা অনেক খারাপ হতে লাগলো। পায়ে পানি এসে পা ফুলে গেছে। কিছুই মুখে তুলতে পারেন না,বমি করে দেন। সবসময় শরীর দূর্বল থাকে।হাঁটাচলা করতে পারেননা বেশি। বাবা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকেন মা কে নিয়ে। নিজে বিশ্রাম না নিয়ে আম্মাকে সেবা করতে থাকেন। আম্মার পা টিপে দেন, মুখে তুলে খাইয়ে দেন,বমি করলে সব পরিষ্কার করেন। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি সেদিকে। স্ত্রীকে কতোটা ভালোবাসলে এতো কিছু করা যায় তাই ভাবি আমি। কিন্তু এতোকিছুর পরেও সাজ্জাদ বা সোহেলীর কারো মন গলতে দেখা গেলো না। আমি নিজে অপরাধবোধে ভুগি সারাদিন সাজ্জাদের এই ব্যবহারে। এর মধ্যে আমার নিজের মা একদিন ফোন করেন আমাকে। বলেন,” তুই কিছুদিন আমাদের বাড়ি থেকে ঘুরে যা।”
আমি বলি,”মা কি বলো তুমি এসব? আম্মার এই অবস্থায় আমি তাকে রেখে কিভাবে ও বাড়ি যাই?”
“তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে রুমকি? তোর বুড়ি শ্বাশুড়ির বাচ্চা হবে আর তুই তাকে সেবা করবি? এরপর কি শ্বাশুড়ির বাচ্চাটাও তুই মানুষ করে দিবি? তোর নিজের সংসার নেই?”
আমি অবাক হয়ে যাই মায়ের কথা শুনে। আমি বলি,” আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি, স্বামী, ননদ সবাইকে নিয়েই আমার সংসার মা। তুমি তো আমাকে কখনো এসব শিক্ষা দাওনি, তবে আজ কেনো এসব বলছো? আর যদি প্রয়োজন পড়ে, আম্মাকে সাহায্য করার জন্য আমি তার সন্তানকে লালনপালন করবো। আশা করি বুঝতে পেরেছো।” মা কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দিই আমি।
চারদিকে বাবা আম্মাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি, টিটকারি হয়,সব কানে আসে আমার। এইতো সেদিন পাশের বাড়ির রাহেলা খালাম্মা আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন,”কি গো বউ, শুনলাম তোমার শ্বাশুড়ি নাকি পোয়াতি।” আমি রাগ চেপে রেখে বলি,”জ্বি,ঠিকই শুনেছেন।”
“তা এই বয়সে বাচ্চাকাচ্চা এ কেমন ধারা কথা?”
আমি তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলি,” আল্লাহ সন্তান দেওয়ার মালিক। আপনি আমি তো কেউ না। তিনি চেয়েছেন, দিয়েছেন।”
উনি মুখ ঝামটা দিয়ে বলেন,”বউকে তো ভালোই ব্রেনওয়াশ করেছে তোমার শ্বাশুড়ি। ”
“আমার আম্মার হয়ে দুইটা কথা বলাকে যদি আপনার ব্রেনওয়াশ মনে হয়, তবে তাই ঠিক আছে খালাম্মা। এখন আসি আমি?” এই বলে হনহন করে চলে আসি আমি। পিছনে হাসাহাসির রোল পড়ে যায়। রাহেলা খালাম্মা আরেকজনকে ডেকে বলেন,”এসব দিনও দেখার ছিলো।”উত্তরে আরো কিছু বলে কেউ, আমি শুনতে পারিনা সেসব,আমার কান গরম হয়ে আসে রাগে। এভাবেই চলছিলো আমাদের দিন। হঠাৎ একদিন…
চলবে….