#শুভ্র_বর্ষণ
#প্রভা_আফরিন
#পর্ব_৮

আকাশ গুমোট হয়ে আছে সকাল থেকে। না বৃষ্টি, না রোদ। বাতাসও নেই পরিবেশে। গাছের পাতাগুলো স্থির হয়ে আছে। এই রকম পরিবেশে ভ্যাপসা গরম ছোটে। মিহা বাহিরে থেকে দৃষ্টি সরিয়ে হাতে নিবদ্ধ করলো। ভার্সিটির জন্য তৈরী হয়ে শোভার জন্য অপেক্ষা করতে করতে হাতের চুড়ি নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। ওর হাতের সোনার চুড়িজোড়া নিশান্ত শুক্রবারে উপহার দিয়েছে। সাথে দিয়েছে কিছু নতুন বেলীফুলের চারাগাছ। বেলীফুলের গাছ নিশান্ত নিজের বাড়িতেও লাগিয়েছে। কয়েকদিন পরতো মিহা সেখানেই থাকবে। উপহারগুলো মিহার হাতে দেওয়ার সময় নিশান্ত বলেছে,

“বলোতো এই দুইটা উপহারের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান কোনটা?”

মিহা বললো,
“আপনার দেওয়া সবকিছুই আমার কাছে মূল্যবান।”

নিশান্ত হেসে মিহার গাল টেনে দিয়ে বলে,
“সেটাতো আমি জানি পাগলী। কিন্তু এই দুইটার মধ্যে সবথেকে বেশি মূল্যবান কোনটা?”

মিহা কি বলবে বা কোন উত্তরটা দিলে নিশান্ত খুশি হবে বুঝতে পারলো না। তাই নিজের ভালোলাগার কথা চিন্তা করে বললো,

“চারাগাছগুলো।”

“কারেক্ট। আমরা চাইলে পৃথিবীর অনেক মূল্যবান জিনিস প্রিয় মানুষদের উপহার দিতে পারি। অনেক আশ্চর্য বিষয় আবিষ্কার করতে পারি। সভ্যতার জন্য অনেক কিছু বানাতে পারি। কিন্তু একটা প্রান সৃষ্টির ক্ষমতা আমাদের নেই। সেই ক্ষমতাটা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালার কাছে। তবে আমরা চাইলে প্রানের পরিচর্যা করতে পারি। সেটাকে মানুষের উন্নয়নে কিংবা ধ্বংসের জন্য ব্যবহারও করতে পারি। গাছেরও প্রান আছে। এবং প্রানের চেয়ে মূল্যবান কিছু পৃথিবীতে নেই। তাই তোমার পছন্দের কিছু চারাগাছ দিলাম। এগুলোকে যত্ন করে বাচিঁয়ে রাখা তোমার কর্তব্য। এবং গাছ বড় হয়ে ফুল ফুটলে সেগুলো দিয়ে বউকে খুশি করা আমার কর্তব্য।”

মিহা মুগ্ধ হয়ে গেলো নিশান্তের কথা শুনে। নিশান্তের হাত নিজের হাতে চেপে ধরে বললো,
“আমি অবশ্যই যত্ন নেব এগুলোর।”

নিশান্ত মিহার কপালের ওপর পড়ে থাকা চুলগুলো নিয়ে খেলতে খেলতে বললো,

” তবে আমরা চাইলে আল্লাহ খুশি হয়ে একটা প্রান কিন্তু আমাদের দিতেই পারে মাহযাবীন।”

নিশান্ত কথা শেষে চোখ টিপ মারলো। মিহা কথাটা ধরতে পারলো। সাথে সাথেই গালে রক্তিম আভা ফুটে উঠলো। দৃষ্টি নত হলো। সেই সাথে চিবুকও। ব্যস্ত পায়ে ছুটে পালালো রুম থেকে। পেছন থেকে নিশান্ত ডাকলেও থামলো না ওর চঞ্চল পা জোড়া।

শোভা দৌড়াদৌড়ি করছে ঘর জুড়ে। ভার্সিটি যাবে অথচ কোনো কিছুই গোছানো নেই। হঠাৎ বসে থাকা মিহাকে চুড়ির দিকে তাকিয়ে লাল হতে দেখে শোভার মাথায় দুষ্টুমি চাপলো। গম্ভীর ভাব নিয়ে মিহার পাশে বসে ওর কাধে হাত রেখে বললো,

“আমার প্রিয় মাহযাবীন। তুমি আমার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছো আমি জানি। তাইতো কাজ ফেলে ছুটে এলাম।”

হুট করে শোভার আচরনে মিহা ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো। যখন বুঝতে পারলো তখন ওর মাথায় চাপড় মাড়লো কয়েকটা।

“বড় বোনের সাথে বাদরামো হচ্ছে?”

শোভা মিথ্যা ব্যথা পাওয়ার ভান ধরে বললো,
“বড় বোন চোখের সামনে বিবাহিত হয়ে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। অথচ তার এডাল্ট ছোট বোন এখনো সিঙ্গেল। আমার কষ্ট তুমি কি বুঝবে? তারওপর করেছো দেবর ছাড়া বিয়ে। হুহ!”

“তবে রে…। আসুক আজ মামা। তোর কথা তুলছি আমি।”

“প্লিজ জলদি তোলো। তাহলে এইসব পড়ালেখা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবো।”

“ফাজিল মেয়ে। যা দূর হ। পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেডি না হতে পারলে তোকে রেখেই ভার্সিটি যাবো আমি।”

“লোনলি… আই অ্যাম সো লোনলি। আই হ্যাভ নোবাডি অফ মাই ওউন।”
শোভা দুঃখী মুখ করে সুর করে গাইতে গাইতে রুম ত্যাগ করলো। মিহা হেসে ফেললো শোভার গান শুনে।

___________

“কি ব্যাপার? তুমি আমাদের বাগানে উঁকি দিচ্ছো কেনো?”

রিয়াদের কন্ঠে চমকে উঠলো শোভা। এই লোক কোথা থেকে এলো? পেছন ফিরে বললো,
“আপনার টফি আমার মুন্নুকে ভয় দেখিয়েছে। সে এখন ভয়ে বাগানে ঢুকে পড়েছে। ওকে বের করতেই এসেছি।”

রিয়াদ ভ্রু কুচকে বললো,
“মুন্নুটা কে?”

“বিড়াল। কয়েকদিন আগেই চোখ ফুটেছে। এখনি এলাকা ঘুরে বেড়ানো শুরু করেছে। এখানে আসতেই টফি ওকে তাড়া করেছিলো। তাই ভয়ে বাগানে ঢুকে গেছে। ওইযে আপনার টফি ওৎ পেতে আছে। দেখুন।”

রিয়াদ দেখলো কিছুটা দূরে টফি পেছনের পায়ে ভর দিয়ে বসে আছে। বললো,
“সত্যি বলছো? শুধুই বিড়ালের জন্য উঁকি দিচ্ছো?”

“আজব! তা নাহলে এখানে আমার কি কাজ?”

রিয়াদ কিছু না বলে বাগানে ঢুকে পড়লো। ঘুরে ঘুরে নয়নতারা গাছের নিচে একটা সাদা ও কমলা মিশেল রঙের বিড়াল পেলো। একদমই ছোট্ট একটা বিড়াল। রিয়াদ তাকে কোলে নিতে চাইলো না। বিড়ালটা এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। জীবাণু থাকতে পারে। তাই মাটিতে থপথপ আওয়াজ করে বিড়ালটা বের করার চেষ্টা করলো। এতে সে ভয় পেয়ে আরো গুটিয়ে গেলো। শোভা ব্যতিব্যস্ত হয়ে বাগানে ঢুকলো। রিয়াদকে ভয় দেখাতে দেখে তেড়ে এলো। বললো,।

“আপনি ওর ভয় দূর করার বদলে আরো ভয় দেখাচ্ছেন কেনো? ইশ আমার মুন্নুটা! দেখি সরুন।”

শোভা এগিয়ে এসে মুন্নুকে কোলে নিতে গেলে রিয়াদ বাধা দিলো। বললো,
“এভাবে রাস্তার বিড়াল গ্লাভস ছাড়া ধরা ঠিক না। যেকোনো সংক্রমণ হতে পারে।”

শোভা কোমড়ে হাত দিয়ে বললো,
“আমি সবসময় ওদের খালি হাতে ধরি। পড়ে হাত ধুয়ে ফেলি। কোনো সমস্যা নেই।”

“সমস্যা আছে। তুমি এদেরকে যেমন ধরো। তেমনই পোষা গুলোকেও ধরো। এতেও একটা থেকে অন্যটায় জীবাণু ছড়াবে। তাছাড়া তুমি টফিকেও মাঝে মাঝে ধরো। আমার টফির সেইফটি আমাকেই দেখতে হবে। তাই এভাবে খালি হাতে ওদের ধরলে টফির থেকে দূরে থাকবে তুমি।”

শোভা রাগ করলেও ভেবে দেখলো কথাটা ঠিক। এভাবে পোষা এবং ছাড়া প্রানি গুলোকে একসাথে ধরা ঠিক নয়। টফিকে ও দেখতে না পারলেও গায়ে হাত দেওয়া হয়। যেভাবে মুন্নুদের ধরা হয়। কিন্তু এই নাক উঁচু লোকটার সামনে নিজের ভুল স্বীকার করার মানেই হয় না। শোভা সোজা হয়ে বললো,

“ব্যাপার না। টফিকে আমি ধরবো না। এখন মুন্নুকে নিতে দিন। ওর মা বোধহয় অপেক্ষা করছে।”

রিয়াদ আর কিছু বললো না। মেয়েটা বড্ড একগুয়ে। নিজের কথার ওপর আর কিছু শুনতে চায় না। রিয়াদ সরে গিয়ে একটু পেছনে দাড়ালো। শোভা মুন্নুকে দুইহাতে তুলে নিলো। বেড়িয়ে যাওয়ার সময় ভালো করে বাগানে চোখ বুলালো। বেশ ফুল ফুটেছে আবার। ওর দেখার মাঝেই রিয়াদ এগিয়ে এসে বললো,

“একবার চুরি করে মন ভরেনি? আবার কেনো নজর দিচ্ছো?”

শোভার চোখ বোধহয় এক্ষুনি কোটর থেকে বেড়িয়ে আসবে। বলে কি এই লোক? উনি কিভাবে জানলো শোভার এই সিক্রেট? শোভা পেছন ফিরে ক্ষেপে যাওয়ার ভান ধরে বললো,

“কিসের চুরি? কিসের নজর? কি যা তা বলছেন আপনি?”

“ফুল চুরির কথা বলছি। তুমি যে একটা চোর সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিচ্ছি।”

“আ আমি চোর ম মানে? দেখুন ভালো হচ্ছে না কিন্তু। আপনাদের বাগানে এসেছি বলে চোর বলবেন?”

রিয়াদ চোখ ছোট ছোট করে তাকালো শোভার দিকে। শোভা ঘামছে৷ খেয়াল করলো পা কাপছে। একে তো আধার তারওপর বৃষ্টি ছিলো সেদিন। কারো পক্ষে তো দেখার কথা না। তাহলে?

“ওয়েল। মিহার বিয়ের দিন ছিলো সম্ভবত। রাত দশটার পর বৃষ্টি থেমে গেছে। ভেজা, স্নিগ্ধ প্রকৃতিকে উপভোগ করতে কফি নিয়ে ছাদে উঠেছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম আবছা আধার ঠেলে একটা চোর বাগানে ঢুকছে। যখন বের হলো তার হাতে অনেককিছু ছিলো। সেই চোরের হাতে থাকা টর্চের আলোয় বুঝলাম সেগুলো আমার বাগানের ফুল। এবং কিছুদূর যাওয়ার পর বাগানের বাইরের আলোয় দেখলাম চোরটা আনোয়ার আঙ্কেলের মেয়ের মতো দেখতে। তারপর…”

শোভা পুরো কথাটা না শুনেই দৌড় লাগালো। এভাবে ধরা পড়বে ভাবতে পারেনি। বৃষ্টির ঠান্ডা আবহাওয়ায় সকলে কাথা মুড়িয়ে বিছানায় থাকবে।সেখানে ঘুমানো রেখে ছাদে বসে কেউ খেয়াল করবে কে জানতো? কে জানে ইংলিশ আন্টিকে বলে দিয়েছে কিনা। আরিফ আঙ্কেল জানলে ওর সম্পর্কে কি ভাববে? শোভা মনে মনে ঠিক করলো রিয়াদের সামনে পড়বে না ভুলেও। আর না এই বাড়ির আশেপাশে আসবে।

___________

রাতের বেলা নিশান্তের ফোন দিয়ে ওর বন্ধুরা লম্বা সময় মিহা এবং শোভার সাথে হাসি মজা করেছে। মিহা অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে পারে না সহজে। নিশান্ত এবং শোভা উভয়েই তা জানতো। তাই শোভাই আগ বাড়িয়ে কথা বলেছে। এতে নিশান্ত নিশ্চিত হলো কিছুটা। নিশান্তের কলেজ জীবন থেকে এখন অবধি দুইজন বন্ধু টিকে রয়েছে। একজন রাফাত এবং অন্যজন অভি। আরো একজন ছিলো যে নিশান্তর সবথেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মী ছিলো। কিছুমাস পূর্বেই সে একটা সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করেছে। সেই ধাক্কাটা সামলে উঠতে নিশান্তর বেশ সময় লেগেছে।
অভি কিছুটা দুষ্টু প্রকৃতির। ইতিমধ্যে শোভার সাথে ফ্লার্ট করার চেষ্টায় মত্ত হয়ে পড়েছে। তাকে সঙ্গ দিচ্ছে রাফাত। নিশান্ত বললো,

“আমি আগেই বলে দিচ্ছি শোভা। আমার বন্ধুদের আমি নিজেও বিশ্বাস করি না। তাই তুমিও সাবধান।”

পাশ থেকে অভি বললো,
“কোথায় নিজের শালির সাথে ভাব করতে সাহায্য করবি। সম্পর্ক মজবুত করবি। তা না করে আগেই মেয়েটাকে ভয় দেখাচ্ছিস? বেইমান।”

শোভা ফোনের এপাশ থেকে বললো,
“নো ওয়ারি ভাইয়া। আমি তো আপনারই শালি।”

অভি বললো,
“শোভা তোমার গলার স্বরটা কিন্তু খুব মিষ্টি।”।

“জানি আমি অভি ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।”

“শোভার গলাটা যেমন মিষ্টি, শোভা দেখতেও নিশ্চয়ই তেমন সুন্দর। আমারতো এখন তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করছে।”

“আমাকে দেখলে আবার আপনি অজ্ঞান হবেন নাতো?”

রাফাত বললো,
“কেনো তুমি বুঝি এতোটাই রুপসী?”

“এখন নিজের মুখে নিজের প্রশংসা আর কি করবো বলুন। লজ্জা করেতো।”

অভি বললো,
“আমাদের লজ্জাও এখন যুগের সাথে বদলেছে বুঝলে। এই যেমন ‘লজ্জা করে’ কথাটা বলতে কিন্তু একটুও লজ্জা করে না। কতটা আপডেট দেখেছো?”

শোভা অভির খোচাটা ধরতে পারলো। বললো,
“লজ্জার প্রকারভেদ আছে বুঝলেন। এক এক জনের প্রতি এক এক রকম লজ্জা আসে। যেমন আপনার প্রতি আসছে কিছু কথায় লজ্জা। সবকিছুতে নয়। আপন পর বলেও তো একটা ব্যপার আছে। আপনদের প্রতি যেমন ভাব অন্যদের প্রতি কি তেমন?”

অভি বললো,
“বাদ দাও সেসব কথা। তুমি দেখতে কেমন শুনি। দেখে অজ্ঞান হওয়ার আগে একটু জেনে নিলে বোধহয় অজ্ঞান হওয়া রোধ করতে পারবো।”

মিহা পাশ থেকে খোচা দিলো। ইশারায় বললো এতো ভাব জমানোর দরকার নেই। কিন্তু শোভা শুনলো না। সে বললো,
“আচ্ছা আমার রুপের বর্ননা দিচ্ছি। আমার গায়ের রঙ ধরুন… আলকাতরার রঙ চেনেন?”

“তোমার রঙ আলকাতরার মতো?”

“না ছিলো আগে। এখন নেই।”

“তাহলে এখন কেমন?”

“দুধে আলতা চেনেন?”

“বাব্বাহ! এখন দুধে আলতা হয়ে গেছো?”

“উহু। সেরকম হওয়ার ইচ্ছা আছে।”

“তাহলে দেখতে কেমন তুমি?”

“কেনো বলবো? একেবারে সামনাসামনি দেখবেন বুঝলেন। এখন ফোনটা ছাড়ুনতো নিশান্ত ভাইয়াকে ফোন দিন। আপু এবং ভাইয়ার টাইম নষ্ট করছি আমরা।”

অভি হেসে বললো,
“হুমম ভাবীর ছোটবোন বেশ বুদ্ধিমতি বুঝতে পারছি। দেখা করার জন্য অপেক্ষায় রইলাম সুন্দরী।”

নিশান্তকে ফোন দিয়ে ওর বন্ধুরা উঠে গেলো। আজ ওরা নিশান্তর বাড়িতে এসেছিলো। রাতের খাবার এখানেই খাবে। নিশান্ত ফোন নিয়ে সবে মিহার সাথে কথা বলতে যাবে এমন সময় ফাইজা ভাবী এসে ছো মেরে ফোনটা নিয়ে নিলো। নিশান্ত ব্যথিত স্বরে বললো,

“এটা কি হলো ভাবী?”

“বিয়ের প্রথম প্রথম তোমার ভাই যখন কাজে ব্যাক করে। তখন ওর সাথে কথা বলার সময় কি করতে মনে আছে? আমাদের কতভাবে যে জ্বালিয়েছো সব মনে আছে। এবার যে আমার শোধ নেওয়ার পালা।”

“এটা ঠিক নয় ভাবী। আমিই কিন্তু তোমাদের প্রেমের সেতুবন্ধ। সেটা ভুললে চলবে না।”

“ওসব ইমোশোনাল কথা না বলে যাও বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়া সেরে ফেলো। ততক্ষন আমি মিহার সাথে আড্ডা দেই। কি মিহা ঠিক বলছিতো?”

মিহা ফোনের ওপার থেকে সব শুনলো নিশান্ত এখনো খায়নি শুনে বললো,
“হ্যা আপনি খেয়ে আসুন। আমরা দুই জা গল্প করি।”

“তুমিও?”
নিশান্ত ব্যথিত হলো। রুমে ত্যাগ করতে করতে বললো,

“এতোক্ষন আশেপাশের সবাই বাগড়া দিলো। এখন যাও একটু সময় পেলাম আর বউটাও প্রেমের সাথে মীর জাফর গিরি শুরু করে দিয়েছে। ভাল্লাগে না।”
ওর কথায় মিহা এবং ফাইজা একযোগে হেসে ফেললো।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here