গল্পঃ:-শান্তির খোঁজে
পর্ব:-০৯
Writer:-Hassab bin Ahmed.
হুমাইরা:- ঘুমাবেন না?
আমি:- হুম।
( আমি আর হুমাইরা শুয়ে পরলাম )
আমি:- ও গো ☺️
হুমাইরা:- কি হয়েছে?
আমি:- একটু এই দিকে আস না ।
হুমাইরা:- পারবো না 😒
আমি:- আমি তোমার জন্য রাত করে এক ঘন্টার রাস্তা পার করে এলাম। আর তুমি আমার কাছে আসতে চাইছো না 😕 । থাকো তাহলে তুমি আমি সোফায় গেলাম।
( এই বলে যাওয়ার জন্য ঘুরে দাঁড়ালাম ওমনি হুমাইরা আমার হাত ধরে ফেলো)
হুমাইরা:- আপনি এরকম কোনো?
আমি:- কিরকম?🙄
হুমাইরা:- আমি না আপনার অর্ধাঙ্গিনী? আমাকে রেখে যাচ্ছেন কেন? 😒
আমি:- তুমি তো আমার থেকে দূরে সরে থাকো?
হুমাইরা:- আপনি জোর করতে পারেন না? 😒
( মানে কি এইটা দিয়ে কি বুঝলো আমি জোর করতে পারি 🤔 এই কথা শুনে কি আর বসে থাকা যায় 😍 😋এক টানে বুকে জড়িয়ে নিয়ে শুয়ে পড়লাম। ফজরের সময়)
হুমাইরা:- এই শুনছেন উঠেন। আজান দিয়েছে।
আমি:-শুম। আর একটু
হুমাইরা:- না উঠেন নাহলে জামাত পাবেন না।
( তারপর মসজিদ থেকে রুমে আসার পর )
হুমাইরা:- আপনার কলেজ আছে?
আমি:- না ।
হুমাইরা:- তাহলে তো আজকে থাকবেন.( খুশি হয়ে)
( কাছে গিয়ে মুখে আলতো করে হাত রেখে বললাম)
আমি:- না গো । আসরের নামাজের পর বাসায় ফিরতে হবে.
হুমাইরা:- থেকে গেলে কি হয় ☹️?
আমি:- বুঝতে চেষ্টা করো । কাজ আছে থাকা যাবে না.
(এমন সময় কেউ দরজা নক করছে।)
হুমাইরা:-কে?
এই পার থেকে:- আমি নিশি .
হুমাইরা:- খুলা আছে ভিতরে আয়।
নিশি:- আপু আম্মু ভাত খাবার জন্য ডাকছে। আর দুলাভাই কালকে ভুল করে চলে আসার ঘটনার জন্য আমি সরি । ভুলটা আমারি ছিলো। 😞
আমি:- আরে সরি বলার কি আছে। তোমার ভুল বুঝতে পেরেছো এতেই অনেক।
( তারপর খেতে গেলাম । খেতে গিয়ে তো আমার গলা শুকিয়ে গেছে । এতো এইটেম আমি মনে হয় কখনো এক সঙ্গে দেখিনি । কমেছে কম ১০ টা আইটেম তো হবেই .। আমার অবস্থা দেখে তো হুমাইরা খুশি হয়েছে । কিছু কিছু খেয়ে সোজা একে বারে হুমাইরার রুমে এসে শুয়ে পড়লাম । হুমাইরা পিছন পিছন আসলো ।)
আমি:- আজকে যে খাবার খেয়েছেন এক বছর আর খেতে হবে না। 🤭
হুমাইরা:- এ জন্য ই তো বলে সশুর বাড়ি মধুর হড়ি।
আমি:- হুম 🤗।
হুমাইরা:- আচ্ছা আপনি তো বিকেলে জাবেন। তাহলে চলুন আমাদের কলেজ থেকে ঘুরে আসব যাবেন? 🙂
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে চলো
( দুজনেই বেরিয়ে পরলাম হুমাইরার কলেজের উদ্দেশ্য। আচ্ছা শুনেন আমার কিছু বান্ধবী আপনাকে দেখতে চেয়েছে তাই ওদের এক কেন্টিনে আসতে বলছি)
আমি:- দেখো ওদের সঙ্গে আমার এভাবে দেখা করা উচিৎ না । পর্দার ব্যাপার আছে।
হুমাইরা:- জি আমি বুঝতে পারছি কিছু হবে না। অল্প সময় ।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে চলো।
( তারপর হুমাইরা ওর বান্ধবীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলো । রিনা, আসমা, নিলিমা, ফরিদা, আমিনা। আমি তো মাথা নিচু করে বসে আছি ওদের কথা শুনে হনে হলো আমাকে পছন্দ হয় নাই। আসমা নামের মেয়েটা তো বলেই দিলো)
আসমা:- হুমাইরা তুই শেষ পর্যন্ত এই হুজুরকে বিয়ে করলি?
( এই শুনে তো হুমাইরা প্রাই ঝগড়া শুরু করে দিয়েছিলো কিন্তু আমি কিছু বলতে দিলাম না। রিনা নামের মেয়েটি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো)
রিনা:- how are you?
(আমি কিছু বলার আগেই আসমা বলে উঠলো)
আসমা :- কাকে কি বোলাতে হয় তাও শিখলি না। এই সব গরিব অশিক্ষিত হুজুর দের ইংরেজি বললে কি কিছু বুঝতে পারবে।
( আবার হুমাইরা ঝগড়া শুরু করে দিলো । বহুত কস্টে হুমাইরা কে সান্ত করে আমি হাসি মুখে বললাম)
আমি:- আসমা আপনি মনে হয় ইসলাম পছন্দ করেন না। আপনি কোন ধর্ম পালন করেন?
আসমা:- মানবতা ই সব থেকে বড় ধর্ম।
আমি:- আমি গরিব এটা মানলাম আমি অশিক্ষিত এটাও মানলাম কিন্তু মানবতা ভালো ধর্ম এটা মানতে পারলাম না। মানবতা নিয়ে আমার কিছু আপত্তি আছে আপনি কি ওগুলোর উত্তর দিতে পারবেন?
আচমা:- আপনাদের মতো হুজুর দের প্রশ্নর উওর দিতে পারবো না কেনো 🙄 আপনি বলেন
আমি :- ঠিক আছে বললে তো বহুত বলা যায় কিন্তু আপনি আমাকে মাত্র কয়েকটা পয়েন্টের উত্তর দিবেন।
১. মানবতাবাদীতার সমস্যা হলো যে মানবতাবাদীতার কোন স্ট্যান্ডার্ড নাই। যেমন, আমরা সবাই জানি যে আমাদের উচিত বাবা-মার সাথে ভালো ব্যবহার করা। কিন্তু, কতটুকু ভালো ব্যবহারকে ভালো ব্যবহার বলবো? কে এটার স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করে দিবে? অথচ, ইসলাম বলে, বাবা-মার সাথে এমনভাবে ভালো ব্যবহার করো যে তাদের প্রতি কখনো উহ্‌ শব্দ পর্যন্ত করবে না। এমনিভাবে, মানুষের জীবনের প্রতিটা কাজের স্ট্যান্ডার্ড ধর্ম (বিশেষ করে ইসলাম) নির্ধারিত করে দেয়, ফলে পথহারা মানুষ পথ খুঁজে পায়।
২.মানুষ এমন একটা প্রাণী যার ব্রেইন ওয়াশ করা খুব সহজ, আর একবার ব্রেন ওয়াশ হয়ে গেলে সে মানুষ হত্যার মত ঘোরতর খারাপ কাজকেও সে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মেনে নিতে পারে (যেটা আসলে অমানবিক!)। যেমন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার জার্মানদের এমনভাবে ব্রেইন ওয়াশ করেছিল যে তারা অনায়াসে গণহত্যা সমর্থন করেছিলো। আবার, প্রিয়নবী মুহাম্মদ(সা) এর আগমনের আগে আরবের রীতি ছিল মেয়েদের জ্যান্ত কবর দেয়া, এটাকে তারা খুব স্বাভাবিক মনে করত। কারণ, তাদের ব্রেইন এভাবেই ওয়াশ হয়ে গিয়েছিল। এক সময় ভারতে সমকামীদের ঘৃণার চোখে দেখা হতো, অথচ এখন দেখা হয় সম্মানের চোখে। আমাদের সমাজে বিয়ের আগে বিছানায় শোয়াকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়, কিন্তু সেইদিন খুব বেশী দূরে নাই যেইদিন এই নোংরা কাজটাকেও মানবতার চোখে ‘হালাল’ হবে!
সত্যি কথা হলো, স্ট্যান্ডার্ড ঠিক না করে দিলে মানুষ আর মানুষ থাকে না, ক্রমশ:ই পশু হয়ে যায় । আর ভালো-মন্দের এই স্ট্যান্ডার্ড মানুষ দিতে পারবে না, কারণ সে সব সময়ই সুবিধাবাদী, সব সময়ই কিছু না কিছু দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড। এই স্ট্যান্ডার্ডে আসতে হবে উপরের লেভেল থেকে। এই প্রসঙ্গে এমন একজনের উক্তি দিচ্ছি যাকে কোন ‘মানবতাবাদী’ উপেক্ষা করতে পারবে না!
We cannot solve our problems with the same thinking we used when we created them. – Albert Einstein
একটু চিন্তা করলে বুঝবেন উপরের কথাটায় একটা অসীম পুনরাবৃত্তির চক্র রয়েছে। আপনাকে যে কোন সমস্যার সমাধান করতে হলে যে লেভেলে তা তৈরী করা হয়েছিলো তার উপরের লেভেলে যেয়ে চিন্তা করতে হবে, কিন্তু ঐ লেভেলে চিন্তা করতে যেয়ে আপনি আবার কিছু সমস্যা তৈরী করবেন, যার সমাধান করতে হলে যেতে হবে আরো উপরে, তারপর আরো, তারপর আরো … শেষমেশ আপনি আসলে সমস্যার সমাধানই করতে পারবেন না। সুতরাং, মানব জীবনের সমস্যার সমাধান আসতে পারে শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে।
তোমরা কি বেশি জানো, না আল্লাহ্‌? তার চেয়ে বড় জুলুমকারী কে যে আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া প্রমাণ গোপন করে? – (সূরা বাকারাহ্‌ ২:১৪০)
৩.মানুষকে সোজা রাখার সবচেয়ে উত্তম উপায় হলো Carrot and Stick পদ্ধতি। ধর্মকে বাদ দিলে স্রষ্টার কাছে জবাবদিহিতা বাদ দেয়া হয়, বাকী থাকে শুধু মানুষের কাছে জবাবদিহিতা। কাজেই, যার স্রষ্টাভীতি (ইসলামী পরিভাষায় তাকওয়া) নাই সে যখন মানুষের চোখকে ফাঁকি দিয়ে তার লোভ-লালসা পূরণের কোন উপায় পেয়ে যায়, তখন সেই কাজটা খারাপ হলেও খুব সহজেই সেই পাপগুলো সে করে ফেলে বা ভালো কাজ করা থেকে বিরত থাকে।
উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন আপনার এক প্রতিবেশী আপনার কাছে একদিন সাহায্য চাইলো, আপনি তাকে সাহায্য করলেন, কিন্তু বিনিময়ে সে আপনাকে ধন্যবাদ জানালো না, আপনি কিন্তু মন:ক্ষুণ্ন হবেন। দ্বিতীয় একদিন সে সাহায্য চাইলো, আপনি সেদিনো তাকে সাহায্য করলেন, এবারো সে আপনাকে ধন্যবাদ জানালো না, আপনি কিন্তু আসলেই মন:ক্ষুন্ন হবেন এবার, এবং খুব সম্ভবত: তৃতীয়দিন সে যখন সাহায্য চাইবে আপনি তাকে সাহায্য করবেন না। কারণ, মানুষ জন্মগতভাবে প্রতিদান প্রিয় (এরজন্যই বছর শেষে বেতন না বাড়লে আপনার মন খারাপ হয়ে যায়!), সে একদিন ফ্রি ফ্রি কাজ করে দিবে, ২ দিন করে দিবে, কিন্তু তৃতীয় দিন আর করবে না।
অথচ, আপনি যদি একজন প্রকৃত ধার্মিক হয়ে থাকেন, আপনি কিন্তু তা-ও ঐ মানুষটির উপকার করে যাবেন, ধন্যবাদে তোয়াক্কা করবেন না। কারণ, যে আল্লাহয় বিশ্বাস করে, সে পরকালে বিশ্বাস করে। একজন প্রকৃত ধার্মিক মানুষ এই দুনিয়ায় মানুষের কাছ থেকে প্রতিদান পাবার আশায় কাজ করে না, সে কাজ করে করে আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাবার আশায়। একজন মু’মিন গীবত করবে না, অশ্লীল কথা বলবে না – যদিও সে জানে এই কাজের জন্য তাকে পুলিশ ধরবে না, যদিও জানে কেউ তাকে দেখছে না, কিন্তু সে জানে আল্লাহর কাছে তাকে একদিন জবাবদিহি করতেই হবে, আর তাই সে সর্বাবস্থায় সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করবে। কাজেই ধর্মীয় জীবন ব্যবস্থা অবশ্যই ধর্মহীন জীবন ব্যবস্থা থেকে শ্রেষ্ঠ।
গবেষনায় দেখা গেছে যে ধার্মিক মানুষেরা ধর্মহীনদের চেয়ে দান বেশী করে এবং ভলান্টিয়ার কাজেও বেশী অংশগ্রহণ করে। বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী আর্থুর সি ব্রুকস স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত তার গবেষনাপত্র Religious Faith and Charitable Giving এ তথ্য-উপাত্তসহ এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। কোন কোন ফ্যাক্টর মানুষের civic behavior (যেমন – দানশীলতা এবং ভলান্টিয়ার কাজ) কে প্রভাবিত করে তা জানার জন্য ২০০০ সালে আমেরিকার কিছু রিসার্চার ৫০টি কমিউনিটির থেকে ৩০ হাজার অবজারভেশন সংগ্রহ করে। তাদের গবেষনায় প্রাপ্ত ফল দেখে তারা বিস্মিত হয়ে যায় – নাস্তিকেরা মুখে যত বড় বড় কথাই বলুক না কেন, ভালো কাজের হিসাব নিলে দেখা যায় যে ধার্মিকেরা ভালো কাজে অংশগ্রহণে সেক্যুলারদের থেকে বহুগুণে এগিয়ে আছে। আমি আর্থুর সি ক্লার্কের লেখা থেকে উদ্ধৃত করছি:
The differences in charity between secular and religious people are dramatic. Religious people are 25 percentage points more likely than secularists to donate money (91 percent to 66 percent) and 23 points more likely to volunteer time (67 percent to 44 percent).
The data show that if two people — one religious and the other secular — are identical in every other way, the secular person is 23 percentage points less likely to give than the religious person and 26 points less likely to volunteer.
৪:-মানবতাবাদীরা প্রায়শ:ই হয়ে দাঁড়ায় সুবিধাবাদী। একজন মানবতাবাদী যে শাস্তি সবার জন্য অমানবিক মনে করে, সেই একই শাস্তি তার চরম শত্রুর জন্য সঠিক বলে মনে করতে পারে। উদাহরণ দিচ্ছি। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় মানবতাবাদীরা কিন্তু এইসব অপরাধীদের ফাঁসীর জন্য গলা ফাটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু, এরাই আবার অন্য আলোচনায় বলবেন মানুষের ফাঁসী দেয়া ঘোরতর অপরাধ, যেহেতু আমরা প্রাণ দিতে পারি না, কাজেই প্রাণ নেয়ার অধিকারো আমাদের নেই।
৫.শেষ কথা হলো ধর্মকে বাদ দিলে আপনি সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিচ্ছেন। অথচ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব যুক্তি প্রমাণিত , সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা মানুষের মানসিক কাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ। আল্লাহ্‌ মানুষকে উপাসনা করার need দিয়ে তৈরী করেছেন, আর তাই বিপদে পড়লে বা আটকে গেলে ঘোর নাস্তিকও স্রষ্টাকে ডাকে। কাজেই, স্রষ্টাকে উপাসনা না করে মানুষ কখনোই মানসিক প্রশান্তি পাবে না।
( আমি মাথা নিচু করেই বলছিলাম । আসমার দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটার মুখ শুকিয়ে গেছে । আর হুমাইরা তো খুশি হয়েছে। আমি আসমা কে উদ্দেশ্য করে বললাম )
আমি:- আরো বলবো না কি?
আসমা:- আসলে আমি সরি ভাইয়া । আমি আসলে বুঝতে পারি নাই। এভাবে কখনো ভেবে দেখি নাই তো । আমাকে ক্ষমা করে দিবেন । ( বলেই উঠে চলে গেল)
(তারপর হুমাইরাকেও ক্লাছে পাঠিয়ে দিলাম।
আমার হঠাৎ চোখ পড়লো নাছিরের উপর । নাছির এখনে কেনো? ও আমাকে দেখতে পাইনি তাই ওকে ডেকে আনলাম)
আমি:- তুই এখানে কেন?
নাছির:- আমি এই কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষক।
আমি:- আগে তো কখনো বলিস নাই?
নাছির:- আসলে কাউকে বলা হয়নি 😅
( হঠাৎ করে আমার মাথার এক বুদ্ধি এলো)
আমি:- ভাই আমাকে একটা হেল্প করবি?
নাছির:- বল কি করতে হবে?
আমি:- তোকে যদি আমাদের কলেজের পাশেই এক কলেজ ক্লাস করতে দেই তুই কি করবি?
নাছির:- তাহলে এখানে কে পড়াবে?
আমি:- আমি 🙂
নাছির:- তাহলে , কলেজে আগে বলতে হবে যে আমি এখন থেকে চলে যাবো আর অন্য একজনকে দিয়ে যাবো। তাহলে আমি আজকে বলে দেখি,?
আর হ্যা, কবে থেকে শুরু করবি?
আমি:- কাল থেকে।
নাছির:- আচ্ছা।
( তারপর হুমাইরা কে নিয়ে বাসায় এসে পরলাম । দেখতে দেখতে বাড়িতে চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেল 😞)
চলবে………………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here