গল্পঃ:-শান্তির খোঁজে
পর্ব:-০৮
Writer:-Hassab bin Ahmed.
আমি হুমাইরা কে রুমে নিয়ে এসে শুয়েই দিলাম কিন্তু আমি ঘুমাতে পারলাম না। হুমাইরা ঘুমচ্ছে আমি চেয়ে আছি সেই নিস্পাপ চেহারার দিকে । কখন যে রাত শেষ হয়ে গেছে বুঝতেই পারলাম না। ফজরের আজানের ধ্বনি কানে এসে ধাক্কা দিলো । আমি উঠে নামাজ আদায় করেতে চলে গেলাম। মসজিদ থেকে ফিরে এসে দেখি হুমাইরার আব্বু যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু হুমাইরা রুম থেকে বের হচ্ছে না । আমি রুমে গিয়ে দেখি হুমাইরা বিছানায় বসে কাঁদছে।
আমি:- কি হয়েছে কাঁদো কেনো ? আর এখনো তৈরি হওনি কেনো?
হুমাইরা এক দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
হুমাইরা:- আব্বু বললো আপনি আমার সঙ্গে যাবেন না ।
আমি:- জি । আমার অল্প কাজ আছে আমি যেতে পারব না।
হুমাইরা:- তাহলে আমিও যাবো না।
( ও কিছুতেই যেতে চাইছিল না। তার পরেও অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে কোনো রকমে পাঠিয়ে দিলাম। এটা মনে হয় প্রথম কোনো ঘটনা যে কোন বৌ বাবার বাড়ি যাওয়ার সময় কাঁদে। হুমাইরার মুখে আমার প্রতি রাগ আর অভিমান দুটোই প্রকাশ পেয়েছিল ।
আমি ও বেরিয়ে পরলাম। সারাদিন অনেক কলেজে ঘুরে একটি কলেজে চাকরি টা পেয়ে গেলাম । রাতে বাসায় ফিরলাম । বাসাটা এখন কিরকম যেনো নিরব হয়ে গেছে। সারাদিন একটি বারো হুমাইরার সঙ্গে কথা হয়নি । হুমাইরার আব্বু অবশ্য কল করে বলেছিলো যে আমরা পৌঁছে গেছি।
খিদে পেয়েছে অনেক কিন্তু খেতে একদম ইচ্ছে করছে না। আম্মু খেতে বললো অনেক বার কিন্তু বললাম যে বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি । এমন সময় হুমাইরার ফোন এলো)
আমি:- আসসালামু আলাইকুম।
হুমাইরা:-ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমি:- ভালো আছো?
(কোনো কথা নেই অনেক কিছু বললাম কোনো কথা বলে না সুধু মাত্র একটি শব্দ বলে হুম। )
আমি:- কিছু তো বলো কি হয়েছে? না বললে তো বুঝতে পারবো না 😟।
হুমাইরা:- আপনি এখনি আমাদের বাসায় আসবেন।
বলেই কল কেটে দিলো। কিছু বলার সুযোগ ও দিলো না । কি আর করার বেরিয়ে পরলাম । এই প্রথম এভাবে শশুর বাড়ী আসা তাও আবার রাতের বেলা । রাত হয়ে গেছে তাই দোকানও খুব একটা বেশি খোলা নেই। তাই অল্প কিছু ফল মূল নিলাম।
প্রায় ঘন্টা খানেক পর বাড়ির সামনে এসে থামলাম। এখন তো আমার লজ্জা করতে আরম্ভ করলো। আমার শশুর, শাশুরীই বা কি ভাববে। এতো রাতে শশুর বাড়ী আসা । ভাবতে ভাবতেই হুমাইরা কে কল করলাম রিসিভ করলো না । কিরকম লাগে তাহলে। তাই নিশি কে কল দিলাম ( নিশি হচ্ছে হুমাইরার ছোটো বোন ) নিশি এসে গেট খুলে দিল আর বললো।)
নিশি:- আপনাদের কাহিনী দেখে আর বাঁচি না। আপনারা কি নিয়ে ঝগড়া করেছেন ?
আমি:- ঝগরা কেন করবো ?
নিশি:- তাহলে আপুর এ অবস্থা কেন?
আমি:- কেন কি হয়েছে?
নিশি:- ঘরে গিয়ে দেখুন?
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে.
তারপর ফল গুলো নিশির কাছে দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই শাশুরী আম্মা সামনে এসে হাজির এখন কি বলবো লজ্জায় তো আমি শেষ। শাশুড়ি আম্মা বললো – বাবা তুমি এসেছো ভালো হয়েছে হুমাইরা এসে সেই যে রুম আটকিয়ে রেখেছে খুলছে না কি যে করি। এখন পর্যন্ত কিছু মুখেই দেইনি মেয়েটা।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে আম্মা আমি দেখতেছি।
(এই বলে হুমাইরার রুমের সামনে এসে নক করলাম খুলছে না দেখে কল করলাম কিন্তু কল কেটে দিলো ☹️। তাই মেসেজ দিলাম
” কেঁউ কি দরজা খুলে দিবে । কেঁউ দরজার সামনে অধির আগ্রহে দাঁড়িয়ে আছে তার মহারানী কে দেখার জন্য”
মেসেজ ছেন্ড হবার সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে আবার গিয়ে বিছানায় বসে পরলো। কি আজিব আমার সঙ্গে একটি কথাও বললো না। তাই ওর সামনে গিয়ে বললাম,
আমি:- কি হয়েছে? কিছু খাওনি কেন?
হুমাইরা:- ………..
আমি:-আরে কিছু তো বলো । না বললে কি ভাবে বুঝবো কি হয়েছে ?
হুমাইরা:- যে মিথ্যা কথা বলে আমি তার সঙ্গে কথা বলি না। 😏
আমি:- আমি আবার কখন মিথ্যা কথা বললাম? 🤔 🙄
হুমাইরা:- আপনি তো বলতেন আমি আপনারা সব। আমি আপনার প্রিয়তমা । যদি তাই হতো তাহলে তো অন্তত একবার ফোন করতেন।
আমি:- ও আচ্ছা এই কথা । আসলে সারাদিন ব্যাস্ত ছিলাম তো। ভাবলাম তুমি বহুত দিন পর বাড়িতে এলে সবার সঙ্গে সময় কাটাবে তাই ফোন করি নাই । আচ্ছা সরি।
হুমাইরা:- …………
আমি:- সরি তো বললাম । বিশ্বাস করো আর কখনো হবে না।
হুয়াইরা:- …………
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে । এই দেখো কান ধরছি।
(কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে আরম্ভ করলো। কিছু সময় এই ভাবেই থাকার পর হঠাৎ নিশি খাবার নিয়ে দরজা খুলে ভিতরে চলে এসেছে । হুমাইরা সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ছেড়ে দিলো।)
হুমাইরা:- কারো ঘরে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হয় জানিস না?😾
নিশি:- আমি না হয় জানি না। 🙄 তুই কি দরজা বন্ধ করে রাখতে পারিস না?
(শুরু হয়ে গেলো দুজনের মাঝে ঝগড়া । কেউ দমে যাবে না । আমি তো শুধু হাসতেছি। এই দেখে হুমাইরা বললো )
হুমাইরা:- আপনি হাসছেন কেন? আপনি বলেন তো কার দোষ?
আমি:- এর মাঝে আবার আমাকে টানছো কেনো? 🙄
নিশি:- না দুলাভাই আপনি বলেন কার দোষ?
আমি:- আমি কিছু বলতে পারবো না 😟। তবে সঠিক উত্তর কোথায় পাবে তা জানি। যদি চাও তাহল তাঁর ঠিকানা দিতে পারি?
হুমাইরা:- জি আপনি বলুন। ও না গেলেও আমি যাবো?
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে বলছি। আগে বলো অর্থসহ কোরআন কার আছে?
নিশি:- আমার কাছে আছে? এই দাজ্জাল মেয়ের কাছে কোরআন থাকবে ? 😏
হুমাইরা:- কি আমি দাজ্জাল? তুই তো ঝগড়াটে মেয়ে 😾
আমি:- আচ্ছা তোমারা যদি এভাবে ঝগড়া করো তাহলে কিন্তু আমি বলবো না।
নিশি:- না। আপনি বলুন।
আমি:- নিশি তুমি এখন রুমে গিয়ে সূরা নূরের ২৭ নং আয়াতটি পড়বে ইনশাআল্লাহ উত্তর পেয়েযাবে।
নিশি:- আচ্ছা ঠিক আছে। আপু ভাত রেখে গেলাম খেয়ে নিবি আমি গেলাম।
( নিশি চলে গেলো আর আমি হুমাইরা কে জরিয়ে ধরলাম)
হুমাইরা:- কি হচ্ছে ছাড়েন তো।
আমি:- তুমি ধরলে দোষ নেই শুধু আমি ধরলেই দোষ 😕।
হুমাইরা:- আমার স্বামীকে আমি জখন ইচ্ছে ধরবো তোমার কি?
আমি:- সার্থপর। আর সারাদিন কিছু খাওনি কেনো?
হুমাইরা:- আমার ইচ্ছা হয়নি তাই খাইনি। আপনি খেয়েছেন?
আমি:- না 😕
হুমাইরা:- ও আচ্ছা । তাহলে খেয়ে নেন।
আমি:- না । সারাদিন ব্যাস্ত ছিলাম শরীর টা কিরকম করছে । আগে গোসল করে নেই?
এই বলে বাথরুমে চলে গেলাম । ভাবলাম একটু দুষ্টুমি করি ☺️। তাই হুমাইরা কে বললাম
আমি:- ওগো প্রিয়তোমা আমার ব্যাগ থেকে টায়াল টা দাও তো ।
হুমাইরা:- কি ভাবে দিবো?
আমি:- এদিকে নিয়ে আসো। 😎
হুমাইরা:- আমি পারবো না 🙄 আপনি দরজা খুলে হাত বের করে দেন আমি আপনার হাতে দিয়ে দিচ্ছি।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে ।
( হুমায়রা যখনি দরজার সামনে এসে টাওয়ালটা এগিয়ে দিয়েছে ওর হাতটা ধরে এক টানে ভিতরে নিয়ে আসলাম। আমি হুমায়রাকে আরো কাছে টেনে নিলাম। উপরে সাওয়ার থেকে পানি পরছে আমাদের উপর। হুমাইরা তো কাক ভিজে হয়ে মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে। আমি হুমায়রাকে এমনভাবে জরিয়ে ধরেছি যেন আমাদেরকে দেখে মনে হচ্ছে সাওয়ারের পানিও আমাদের মাঝ দিয়ে যেতে পারবে না। আমার ঠোঁট হুমাইরার ঠোঁট কে ছুইয়ে দিতে যাবে ঠিক তখনি আমার ফোনটা বেজে উঠলো ; আর হুমাইরা আমাকে ছেড়ে দিয়ে সরে গেলো।
☹️ আমার তো রাগ মাথায় উঠে গেছে। তাই কোনো মতো গোসল করে চলে এলাম। আর হুমাইরা দরজা আটকিয়ে দিলো। রুমে এসেই মোবাইলটা দেখলাম । নাছির কল করেছিলো ওকে আমি কল করে মন মতো বকলাম 😡। ও তো বুঝতে পারছে না ওকে কেনো গালি দিচ্ছি 😆। )
নাছির:- ভাই আমি কি করেছি 😣 । আচ্ছা বাদ দে মনে হয় তোর মন ভালো নাই। শুন যে জন্য কল দিসিলাম কাল তো কলেজ বন্ধ।
আমি:- কেনো?
নাছির:- জানি না স্যার আমাকে মেসেজ করেছে।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে।
( যাক তাও একটা ভালো খবর দিলো হুমাইরা বাথরুম রুমে থেকে বেরিয়ে এলো । আমি তো হুমায়রাকে দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি 😍 আসলেই মেয়ে মানুষ গোসল করার পর তাদের সৌন্দর্য যেন আরও বৃদ্ধি পায়। আমি হুমাইরার দিকে এক পলকে তাকিয়েই আছি 😍 😍 😍 )
হুমাইরা:- ঐ ভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো? আমার লজ্জা করেনা বুঝি? ( একে বারে লাল হয়ে গেছে ☺️)
আমি:- আমি তো বুঝতেই পারি না আমি কি করছি । তোমাকে দেখলে আমি এমন হয়ে যাই যেমন পানী ছাড়া মাছ।🤗
হুমাইরা:- যান । আপনি খুব খারাপ।
আমি:- কি আমি খারাপ ?
হুমাইরা:- হুম । নাহলে বাথরুমে কি করতে চাইছিলেন 🙈। আমি তো ভাবতেই পারছি না ।
আমি:- তাই না 😎 ( এই বলে হাত ধরে টেনে কাছে নিয়ে আসলাম)
হুমাইরা:- ভাত খাবেন না?
আমি:- তুমি যদি খাইয়ে দাও তাহলে খেতি পারি। 🙂
হুমাইরা:- না আমি পারবো না 🙄
আমি:- কেনো?
হুমাইরা:- কারণ আপনি আমার হাতে কামড় দিয়েছিলেন 😡।
আমি:- ও । আচ্ছা সরি । ( আমি বিছানায় মুখ কালো করে বসে পড়লাম)
হুমাইরা:- কি হলো রাগ করলেন ? খাবেন না?
আমি:- না?😡
হুমাইরা:- আমি যদি খাইয়ে দেই তাও না?
আমি:- না । আমি চাইনা আমার জন্য কেউ কস্ট পাক? তুমি খেয়ে নাও।
হুমাইরা:- আরে রাগ করেন কেন আমি তো ওভাবে বলি নাই। আচ্ছা সরি?
আমি:- ……….
হুমাইরা:- কি হলো প্লিজ এই বার মাফ করে দেন। আর এরকম হবে না । ( কাঁদতে আরম্ভ করলো 😥)
(আমার বউ টা আর কিছু পারোক আর না পারুক কথায় কথায় কান্না করতে পারে। এই কান্না দেখে কি আর রাগ করে থাকা যায়। হুমাইরা আমাকে খাইয়ে দিলো । আজকেও কামড় দিয়ে দিছিলাম 😁। এখন হুমাইরা বিছানায় বসে আছে আমি শুয়ে আছি হুমাইরার কোলে আর হুমায়রা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে )
হুমাইরা:- আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?
আমি:- করো। এইটা আবার বলতে হবে?
হুমাইরা:- আপনি যে নিশিকে সূরা নূরের ২৭ নং আয়াত পড়তে বললেন কি আছে ঐ আয়াতে?
আমি:- ও । ঐ আয়াতে বলা হয়েছে ”
হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে এবং তাদেরকে সালাম না করে প্রবেশ করো না”
হুমাইরা:- আচ্ছা তাঁর মানে ওর দোষ ছিলো?😮
আমি:- হুম ।
হুমাইরা:- তাহলে তখন বললেন না কেন?
আমি:- এমনি তেই ও আমাদের দেখে লজ্জা পেয়েছে তার পর আমি যদি বলতাম যে নিশি ভুলটা তোমার তাহলে ও আরো লজ্জা পেয়ে যেতো।
হুমাইরা:- হুমম 🤔 এইটা তো আগে ভাবি নাই। আচ্ছা আরো একটা কথা; আমি তো জীবনে অনেক পাপ করেছি 😥 সামনে তো রোজা সবাই বলে রোজার মাস ক্ষমার মাস । আচ্ছা এমন কোনো পদ্ধতি আছে কি যে আল্লাহ আমার সব গুনাহ মাফ করে দিবেন?
আমি:- অবশ্যই আছে। রোজার মাস রহমতের মাস। এই মাসেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। এই মাসের রহমত ও উপহার হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। মহান আল্লাহ এই মাসে যে উপহার গুলো দিয়েছে তার থেকে আজকে তোমাকে শুধু মাত্র তিনটির কথা বলবো।
১. এটার উল্লেখ আছে সহিহ বুখারী হাদীস নং-৩৮ এ বলা হয়েছে “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কারের আশায় রোমজানে রোজা রাখাবে , তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে।
২. কোনো কারণে যদি তোমার রোজা ভুল হয়ে যায় আর তুমি ক্ষমা না পাও তাহলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহ তোমাকে আরো একটি উপহার দিয়েছেন। এটার উল্লেখ আছে সহিহ বুখারী হাদীস নং-৩৭ এ বলা হয়েছে “যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে আল্লাহর কাছে পুরস্কারের আশায় রমজানে কিয়াম করে তাহলে তার গুনা মাফ করে দেওয়া হয়।
৩. ধরো তোমার রোজা ও কিয়াম দুটোই ভুল হয়ে গেছে । তাঁর পরেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসে আরো একটি উপহার তোমাকে দিয়েছে । এটার উল্লেখ আছে সহিহ বুখারী হাদীস নং-২০১৪ বলা হয়েছে “যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে আল্লাহর কাছে পুরস্কারের আশায় লাইলাতুল কদরের সালাত আদায় করে, তাহলে তাঁর গুনাহ গুলো মাফ করে দেওয়া হয়।
আমরা দুজনেই এই তিনটি ইবাদত করবোই ইনশাআল্লাহ। আর এই মাসে এতো সুন্দর উপহার থাকার পরও যদি কোনো ব্যক্তি ক্ষমা না পায় তাহলে তার থেকে দুর্ভোগ আর কিছুই নেই 😔
হুমাইরা:- বাহ্ । ইসলাম এতো সহজ। শুনে মনটা ভরে গেল। আর একটা প্রশ্ন ছিল।
আমি:- বলো।
হুমাইরা:- দ্বিতীয় পয়েন্টে আপনি কিয়াম করতে বলেছেন । কিয়াম কি?
আমি:- কিয়াম হলো রাতের নামাজ।
হুম:- ও । এবার বুঝতে পারলাম।
( হুমাইরার চুল গুলো আমার মুখের উপর এসে পরেছে )
আমি:- আচ্ছা তোমার চুল গুলো তো এখনো শুকায় নি?
হুমাইরা:- এটাই তো দুঃখ। আপনার যদি বড় চুল থাকতো তাহলে বুঝতে পারতেন?😭
আমি:- আমার নাই তো কি হয়েছে আমার মহারানীর তো আছে । দাঁড়াও, আমি ভালো করে মুছে দিচ্ছি 🤗
চলবে………….
ইনশাআল্লাহ,,,,,,,,,