যে কোন অনুষ্ঠানে বাবুর্চিদের হাতে তৈরি মজাদার মিষ্টি দই এর রেসিপি//Mishti Doi Recipe//Yogurt recipe.
যে কোন অনুষ্ঠানে বাবুর্চিদের হাতে তৈরি মিষ্টি দই খুবই মজা হয়। আর যে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন টা মিষ্টি দই ছাড়া মনে হয় জমে ওঠে না । এছাড়া যেকোনো বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান বা যেকোনো পারিবারিক ছোটখাটো অনুষ্ঠান কিংবা বড় ধরনের অনুষ্ঠানে মিষ্টি দই একটি কমন এবং জনপ্রিয় আইটেম। আর এসব অনুষ্ঠানে বাবুর্চিরা সাধারণত কিভাবে মিষ্টি দই তৈরি করে সেই রেসিপিটাই আজকে তুলে ধরব।
***তাহলে চলুন কতটুকু দুধের মিষ্টি দই তৈরির জন্য কি কি পরিমাপ উপকরণ লাগবে তা এক নজরে দেখে নেই:-
Liquid milk( লিকুইড দুধ)-50 litter
Sugar (চিনি)-5kg
Powder milk( পাউডার দুধ)-1/2kg
yogurt ( দই বীজ)-1.5cup
প্রথমে একটি বড় হাঁড়িতে দুধ নিতে হবে। তো এখানে 50 লিটার লিকুইড দুধ রয়েছে। তারপর দুধ গুলোকে ভালো করে নেড়ে চেড়ে জাল করে নিতে হবে। অবশ্যই নিচ দিয়ে যেন লেগে না যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সেজন্যই অনবরত নেড়েচেড়ে দই পাতার দুধটাকে জাল করে নিতে হবে। আর অনবরত একদম তলানিতে থেকে নাড়তে হবে।
আর দুধটা কে অনবরত নেড়ে চেড়ে জাল করে নিতে হবে ।আর এভাবেই প্রায় আধা ঘন্টার মত ঝাল করে নিতে হবে। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে রাখতে হবে ।এই প্রসেস টা সাধারণত যে কোন অনুষ্ঠানে হয়ে থাকে ।তো যারা সরাসরি দই বসাবেন তারা আর নামানোর প্রয়োজন নেই। আর যদি দুধ জাল করার সময় হাঁড়ির নিচ দিয়ে লেগে যায় ,সেই ক্ষেত্রে একটি পাতলা কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে । আর দুধ গুলো এক হাঁড়ি থেকে অন্য হাঁড়িতে ট্রানস্ফার করতে হবে।
তো আজকের রেসিপিটা যেহেতু যে কোন অনুষ্ঠানে বাবুর্চিরা কিভাবে দই তৈরি করে সেই প্রস্তুত প্রণালি তাই তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আগের দিন সকালেই দুধটা জাল করে রাখা হয়। তারপর বিকালে আবার সেটাকে জাল করা হয়। তো সেই ভাবেই সকালে জাল করে রেখে দিয়েছিল। তারপর বিকাল পাঁচটার দিকে আবারও চুলায় বসানো হয়েছে ।
তারপর 50 কেজি দুধের সাথে পাঁচ কেজি চিনি দিয়ে নিতে হবে। তো আপনারা আপনাদের দুধ অনুযায়ী চিনির পরিমাপ টা বুঝে দিবেন।
তারপর আবারোও অনবরত নেড়েচেড়ে দুধটা কে ভালো করে জাল করে নিতে হবে আবারো প্রায় 15 থেকে 20 মিনিট । তারপর চুলা থেকে নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে। আর একটু পর পর ঢাকনা টি খুলে হালকা করে নেড়ে চেড়ে নিতে হবে। এতে করে দুধের উপরে আর দুধের সর পরবে না।
তারপর কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার পর অর্থাৎ একটি আঙ্গুল ডুবিয়ে রাখা যায় এরকম ঠান্ডা হওয়ার পর দুধ গুলোর সাথে মেশাতে হবে হাফ কেজি পাউডার দুধ । তারপর একটি মগ বা জগ দিয়ে উপর থেকে নিচ ঢেলে -ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
এর এতে করে দুধটা অনেক সুন্দর ঘন হবে। তো আপনারা চাইলে পাউডার দুধ টা চিনি দেওয়ার সময় দিয়ে দিতে পারেন। এখানে 50 কেজি দুধ এর সাথে হাফ কেজি পাউডার দুধ মেশানো হয়েছে। তারপর দইয়ের দুধ টা ভালো করে মেশানোর পর একটি মগে কিছু দুধ নিয়ে সাথে দিয়ে দিতে হবে দইয়ের বীজ দেড় কাপ পরিমাপ।
তারপর দুধের সাথে দইয়ের বীজ টুকু ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে ।
তারপর দইয়ের বীজ মেশানো দুধ টা সবগুলো দুধের সাথে ভালো করে আবার ও জগ বা কোন কিছু নিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত আপডাউন করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই কাজটা একটু ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে ।যখন দেখব দুধের উপর দিয়ে ফেনা চলে আসছে ,তখন বুঝতে হবে সুন্দর ভাবে মিশে গেছে ।
তারপর মেশানো হয়ে গেলে পছন্দ অনুযায়ী পাত্রে বা দইয়ের কাপে কুসুম গরম গরম থাকতেই দই পাতার জন্য দুধ টা রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে গেলে কিন্তু দুইটা ততটা পারফেক্ট হবে না।
আর এখানে অনুষ্ঠানে পরিবেশনের সুবিধার্থে দুইটা দইয়ের কাপে দইটা বসানো হচ্ছে। আর কিছু দুধ কিছু বক্সের আর হাঁড়িতে বসানো হয়েছে। আপনারা আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী পাত্রে দইটা বসাবেন।
তারপর দুধগুলো দই বসানোর জন্য পছন্দ অনুযায়ী পাত্রে নিয়ে ভালো করে পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে গরম থাকতেই। তারপর কাঁথা বা বাড়ি কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে সারা রাত পর্যন্ত ।
আর এই অবস্থায় যে জায়গায় বা যে রুমে দই বসানো হয়েছে সেই জায়গাটা যেন গরম থাকে কিছুটা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।তো অবশ্যই ফ্যান থাকলে বন্ধ রাখতে হবে।
তারপর পরের দিন সকালে বা 8 থেকে 10 ঘন্টার পর কাঁথা গুলো সরিয়ে, দই ডাকার কাগজ বা পেপার গুলো সরিয়ে নিতে হবে। তারপর দই পার্ফেক্ট ভাবে হয়েছে কিনা সেটা চেক করে নিতে হবে।
যদি দই পারফেক্ট হয় সেই ক্ষেত্রে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিয়ে পরিবেশন করে নিতে হবে । আর যদি রুমে ফ্যানের ব্যবস্থা থাকে সে ক্ষেত্রে ফ্যান অন করে রুম যেন একটু ঠান্ডা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবে রাখতে হবে।এতে করে দইটা খেতে খুব স্বাদ হবে ।
আর এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার যে কোন অনুষ্ঠানের মিষ্টি দই রেসিপি। আর এই ভাবে তৈরি করে নিবেন আপনারাও মিষ্টি দই । আর এভাবে মিষ্টি দই তৈরি করলে দইটি দেখতেও সুন্দর হয় এবং খেতেও সাধ হয়।
তো আশা করছি সবার কাছে এই রেসিপিটি অনেক ভালো লাগবে আর ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ,কমেন্ট এবং শেয়ার করে উৎসাহিত করবেন।