#মেঘের_আড়ালে_মেঘ”২৯”
#জেরিন_আক্তার_নিপা
মেহরীন অনন্তর কথা একেবারেই বিশ্বাস করতে পারছে না। অনন্ত ইরফানের সম্পর্কে কিছুই জানে না, তাই সে এমনটা বলছে। মেহরীন তো দুইটা মাস ইরফানের সাথে কাটিয়েছে। আর সাতদিন পর ওদের বিয়ের তিনমাস হবে। সে কীভাবে ইরফানের নামে এসব কথা বিশ্বাস করে নিবে! ইরফানকে যেমন অবিশ্বাস করতে পারছে না তেমনি সে অনন্তকেও তো অবিশ্বাস করতে পারছে না। অনন্ত তার কাছে ইরফানের নামে কেন মিথ্যা বলবে। সে তো ইরফানকে ভালো করে চেনেও না। একটু আগে মেহরীন নিজের কানে যা শুনেছে তা-ও তো অবিশ্বাস করার মত না। ইরফান নিজে বলেছে মেহরীনকে সে একদিন হলেও ভোগ করতে চায়। মেহরীনের কান্না থামছে না। তার সাথেই কেন সব সময় এমন হয়? পৃথিবীর সব ভুল মানুষ কি তার ভাগ্যে লেখা আছে? আল্লাহ তার জন্য ভালো কাউকে বানাতে পারেনি? অনন্তকে ভালোবাসে ভেবেছে কিন্তু মন তাকে ধোঁকা দিয়েছে। ইরফানকে ভালোবাসে ভেবেছে, এখন সেই মানুষটাই ভুল প্রমাণ হয়েছে।
” আমি নিজেই তো আপনার হাতে আমাকে সপে দিয়ে চেয়েছিলাম। আপনি সেদিন আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। আমার সামনে ভালো মানুষ সাজার এত চেষ্টা কেন আপনার? আমার আড়ালে অনন্তর সাথে এই খেলায় কেন মেতেছেন? ইগোর জন্য! পুরুষ হয়ে অন্য একজন পুরুষের কাছে নিজের জেদ বা ইগো বড় করে তোলার জন্য। আমাকে ভোগ করে অনন্তকে হারিয়ে দিতে চান!”
মেহরীন ভাবতে পারছে না। তার চেনা এই মানুষটার সম্পর্কে এসব ভাবতেও অবিশ্বাস্য লাগছে। ইরফান এমন না। কোথাও ভুল হচ্ছে। অনন্তর সব কথা বিশ্বাস করলেও এই কথাগুলোকে কোনোভাবেই মানতে পারছে না।
.
বাড়ি ফেরার পরও মেহরীনের মনে এই একই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। ইরফানকে সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করবে সে। ইরফান সত্যি বলবে?
অনন্ত মিথ্যে বলার লোক না। সে নিজেও তো শুনে এসেছে। ওটা ইরফানেরই গলা ছিল।
মেহরীনের মনে হঠাৎ জেদ চেপে গেল। তার দ্বারাই কেন সব সময় ভুল হবে? আজ সত্যি সত্যিই ইরফানকে পরীক্ষা করে দেখবে। ইরফানের কি সত্যিই তার শরীরের প্রতি কোন লোভ আছে! এতদিন এক ঘরে, এক বিছানায় থাকার পরও লোকটা তার হাত পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখেনি। এতটাই পবিত্রতা ছিল ওদের সম্পর্কে। মেয়েদের নাকি তৃতীয় নয়ন হয়। সেই নয়নে ওরা ভালো খারাপ খুব সহজেই বুঝতে পারে। কই সে তো ইরফানের থেকে নিজের কখনও কোন ক্ষতির আভাস পায়নি। ইরফান তাকে ভালো না বাসলেও যথেষ্ট সম্মান করে। এটা তার বিশ্বাস ইরফান এই পরীক্ষায় অবশ্যই উত্তীর্ণ হবে।
.
রাতে যখন ইরফান বাড়ি ফিরে তখন পুরো বাড়ি অন্ধকার। মেইনডোর খোলা পেয়ে ভেতরে চলে এলো সে। ইরফান ভাবছে, এই সমসে ঘর অন্ধকার করে কোথায় গেল সবাই। সে ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে আয়ামকে ডাকতে ডাকতে নিজের রুমের দিকে এগোলো।
“আয়াম! বাবা, কোথায় তোমরা? বাবা, আয়াম। কোথায় গেল সব। এভাবে দরজা খোলা রেখে বাইরে গেছে নাকি? আশ্চর্য! ”
ইরফানের ঘর থেকে মৃদু আলোর রশ্মি ভেসে আসছে। নাকে কিসের যেন মিষ্টি চাপা গন্ধ এসে লাগছে। গন্ধটা চেনা চেনা লাগছে। কিসের গন্ধ? বেলীফুলের?
“কে? ঘরে কে? মেহরীন, আপনি? বাবা, আয়াম ওরা কোথায়? ঘর অন্ধকার কেন? ইলেক্ট্রিসিটি নেই? লাইট জ্বালছেন না কেন?”
মেহরীন ছোট একটা মোমবাতি হাতে নিয়া উল্টো পাশ ফিরে জানালার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। ইরফান এসে তার পেছন দাঁড়াল। এই অন্ধকার ভূতুড়ে পরিবেশ ইরফানের কাছে অদ্ভুত লাগছে। তার বাড়িতে হরর মুভির শ্যুটিং হচ্ছে নাকি? সবকিছু এমন মুভির মত সেট করা কেন?
ইরফান গলা খাঁকারি দিয়ে ডাকল,
“মেহরীন, এটা আপনি? ”
মেহরীন ভেবেছিল তার কাঁধে ধরে ইরফান তাকে নিজের দিকে ফেরাবে। কিন্তু এমনটা হলো না। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর সে নিজেই ইরফানের দিকে ফিরে তাকাল। এখানে ইরফানের জন্য বড় একটা ধাক্কা অপেক্ষা করছিল। মেহরীন আজ হামনার শাড়ি, গহনা পরে, হামনার ছবি দেখে ঠিক ওর মতই সেজেছ। যাতে ইরফান তাকে কাছে টানার একটা বাহানা পায়৷ আর সে ইরফানের আসল চেহারা দেখে নিতে পারে। বাবা আর আয়ামকে সে ইচ্ছে করেই হুরায়রার বাসায় পাঠিয়েছে। ওরা ফেরার আগে আগে তার কাজ হয়ে যাবে। মেহরীন মনকে অনেক বুঝিয়ে এই কাজ করতে রাজি হয়েছে। এছাড়া অনন্তর কথার সত্য মিথ্যা যাচাই করার আর কোন পথ খোলা নেই তার কাছে। মেহরীন মনে মনে প্রাথনা করছে, এসবে ইরফান যেন তাকেই আবার ভুল না বুঝে।
হামনার সাজে মেহরীনকে চোখের সামনে দেখে ইরফান হতবুদ্ধি হয়ে গেল। কয়েক সেকেন্ডের জন্য কিছু ভাবতে পারছে না সে। তার মাথা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। কে এটা? হামনা নাকি মেহরীন? মেহরীন হামনার মত সেজেছে কেন? নাকি তার সামনে সত্যি সত্যিই হামনা দাঁড়িয়ে আছে। আচ্ছা সে কি স্বপ্ন দেখছে! এসব তার কল্পনা নয়তো।
“হামনা!”
“ইরফান, আমি মেহরীন। কেমন লাগছে আমাকে? হামনার মতো লাগছে না? এখনও কি আপনি আমাকে গ্রহণ করবেন না? আজও আমাকে ফিরিয়ে দিবেন?”
এই মেয়ের কি হঠাৎ মাথা খারাপ হয়ে গেল! এসব কী বলছে? কেনই বা করছে এসব?
মেহরীন ভেবেছিল ইরফান সেই প্রথম দিনের মতো তাকে জড়িয়ে ধরবে। বা এ জাতীয় কিছু করবে। কিন্তু ইরফান তার ভাবনা ভুল প্রমাণ করে কাঠ কাঠ গলায় বলল,
“আপনি হামনার জিনিসে হাতে দিয়েছেন কোন সাহসে! কেন এসব করছেন? ভেবেছেন হামনার শাড়ি গহনা পরে ওর মত সেজেগুজে আমার সামনে এলে আমি আপনাকে হামনার জায়গা দিয়ে দেব! আপনার চিন্তা ভাবনা এই পর্যায়ে যেতে পারবে আমি ভাবতেও পারিনি। এক্ষুণি এসব চেঞ্জ করে আসুন। আমার জীবনে হামনার জায়গা আপনি কখনো নিতে পারবেন না। ভুলেও ভবিষ্যতে এমন কিছু করবেন না আর। তাহলে আমার বাড়িতে আপনার জায়গা হবে না।”
ইরফানের কন্ঠে রাগ ঝরছে। গলা হালকা কাঁপছে তার। মেহরীন মন্ত্রমুগ্ধের মতো কতক্ষণ ইরফানকে দেখল। আজ নিজের বেহায়াপনার জন্য একটুও লজ্জা করছে না তার। বরং এটা ভেবেই আনন্দ লাগছে, অনন্তর কথা মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। ইরফান আজও হামনাকেই ভালোবাসে। তাকে পাওয়ার কোন লোভ নেই ইরফানের। মেহরীন কাঁদছে। নিজের অজান্তেই তার চোখে পানি চলে এসেছে। আজ ইরফান একটা বারের জন্যও তাকে মেনে নিলে সে আজ হেরে যেত। ইরফান রাগ করে বেরিয়ে গেলে মেহরীন কাঁদতে কাঁদতে নিচে বসে পড়ল।
“ভুল মানুষকে ভালোবাসিনি আমি। উনাকে আমি যতটা ভালো ভেবেছি উনি তার থেকেও কয়েকগুণ ভালো। অনন্তর কথায় বিশ্বাস করে উনাকে অসম্মান করেছি আমি। আমার প্রতি মানুষটার কোন অনুভূতি নেই জেনেও আজ আমার ভালো লাগছে। উনার উপেক্ষায় আজ আমি এতটুকুও কষ্ট পাইনি।”
.
ইরফানের প্রতি মেহরীনের বিশ্বাস, আস্থা দেখে অনন্তও আঁচ করতে পেরেছে, ইরফানের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করতে করতে কবে যে মেহু তার থেকে দূরে সরে গেছে তা সে-ও বুঝতে পারেনি। যেই মেহু অন্ধের মতো চোখ বন্ধ করে তার সব কথায় বিশ্বাস করত। কখনো কোন প্রশ্ন বা সন্দেহ করেনি। সেই মেহুই আজ ইরফানের নকল কন্ঠ নিজের কানে শোনার পরও অনন্তকে বিশ্বাস করছে না। ওদের মাঝে দূরত্ব আজ এতটাই বেড়েছে যে,মেহু তার সাথে কথা বলতে চায় না।
“তোর জন্য আমি এতসব করেছি মেহু। শেষে তুই-ই আমাকে ঠকালি! এতদিন আমাকে ভালোবেসে এখন ওই লোকটার সাথে জীবন কাটাতে চাইছিস। না, না মেহু। তোর জন্য ইরফানের সাথে আমার দণ্ড। তুই আমার জায়গায় ওকে বেছে নিয়ে এই খেলায় আমাকে হারিয়ে দিতে পারিস না। তুই আমার ছিলি। এখন আমার নেই তো কী হয়েছে? তবে ভবিষ্যতে আমারই থাকবি। মাঝের সময়টা তোর জন্য একটা দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে। একসময় তুই ইরফান নামের কালো অতীতটাকে ভুলে থাকতে চাইবি।”
.
হুরায়রা অনন্তকে বিয়ে করবে না শুনে বাবা প্রথমে রাগারাগি করে কারণ জানতে চাইলেও হুরায়রা কিছুই বলেনি।
“বিয়ে কি তোর কাছে ছেলেখেলা মনে হয়? মন চাইল এনগেজমেন্ট করলি। এখন মন চাইল ভেঙে ফেললি। ছেলে তোর নিজের পছন্দ ছিল। তুই আমাকে বলেছিলি, বাবা ওই ছেলেকেই আমি বিয়ে করব। এখন কী এমন হয়েছে? ঝগড়া করেছিস? ঝগড়া করে এনগেজমেন্ট ভেঙে দিবি! হুরায়রা কিছু জিজ্ঞেস করছি তোকে আমি।”
“বাবা আমি তোমাকে কিছুই বলতে পারব না। শুধু এটুকু জেনে রাখো ওই ছেলে তোমার মেয়ের যোগ্য না। ওর সাথে বিয়ে হলে তোমার মেয়ে কখনও সুখী হতো না। ভেবে নাও আল্লাহ তোমার মেয়ের ভালো চেয়ে ওই ছেলের সত্য বিয়ের আগেই আমার সামনে নিয়ে এসেছে।”
“কী করেছে অনন্ত? সেটা তো বলবি নাকি? তুই তো আমাকে কিছুই বলছিস না। না বললে আমি জানব কীভাবে মা। ওই ছেলে কী করেছে তোর সাথে? ওকে আমি এত সহজে ছাড়ব না।”
“বাবা, তোমার মেয়ে এতটাও দুর্বল না। আমি একাই ওই ছেলের জন্য যথেষ্ট। ওর কাজের যোগ্য জবাব আমি অনেক আগেই ওকে দিয়ে ফেলেছি।”
বাবা জানেন হুরায়রার সাথে কথা বলা বেকার। বাবাকে কিছুই জানাবে না সে। উনার এই মেয়ে বড় মেয়ের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। হামনা নিজের সমস্যা কখনোই একা সমাধান করতে পারত না।ছোট থেকে ছোট বিষয় নিয়েও কান্নাকাটি করে বাড়িঘর মাথায় তুলে ফেলত। হুরায়রাটা এতটা চাপা স্বভাবের বলেই কি ওর জীবনেই সমস্ত ঝামেলা দেখা দেয়! একা একা আর কত কষ্ট পাবে মেয়েটা। বাবা হয়ে উনি তো কিছুই করতে পারছেন না।
হুরায়রা ইরফানকে কল করল। অনেকদিন হয়েছে ওবাড়িতে যায়না সে। কাল রাতে আঙ্কেল আয়ামকে নিয়ে এসেছিল। বেশিক্ষণ থাকেনি। মেহরীন কেন এলো না? দুলাভাই কি এখনও অনন্তর সত্য মেহরীনকে জানায়নি।
ইরফান কল তুলল না।
“দুলাভাই কেন নিজের জীবনটাকে এভাবে নষ্ট করছে। আপু তো চলেই গেছে। সে কি আর ফিরবে? দুলাভাই কেন মেহরীনকে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করছে না। ওই ভণ্ড বাটপারের কাছে মেহরীনকে ফিরে যেতে দিবে নাকি?”
.
“মেহরীন তোমার হাতে এক কাপ চাওয়া খাওয়াবে? আঙ্কেল তোমার চায়ের অনেক প্রশংসা করেছে। তুমি নাকি দরুণ চা করো।”
“আচ্ছা, তোমরা বসো। আমি চা করে আনছি। ”
একগাল হেসে মেহরীন রান্নাঘরে চলে গেল। হুরায়রা ইরফানদের বাড়িতে এসেছে। দুলাভাইয়ের সাথে তার অনেক কথা আছে। মেহরীন চলে যাওয়ার পরপরই হুমায়রা আয়ামকেও পাঠিয়ে দিল।
“বাবু দেখো তো গিয়ে তোমার মাম্মী কীভাবে চা করে। মাম্মীকে হেল্প করো যাও।”
আয়াম চলে গেলে হুমায়রা ইরফানের দিকে ফিরে বসে।
“দুলাভাই কী চাইছেন আপনি বলুন তো। মেহরীনকে এখনও ওই বাটপারের কথা বলেননি কেন? আপনি কি চান মেহরীন ওই জানোয়ারের কাছে ফিরে যাক?”
“উঁহু। ”
“উঁহু, তাহলে ওকে সত্যিটা জানাচ্ছেন না কেন? আর কত সময় দিবেন? অনেক হয়েছে এবার নতুন করে জীবন শুরু করুন তো। আমিও বোন হারিয়েছি, বাবাও মেয়ে হারিয়েছে। কই তাতে কি আমাদের জীবন আটকে আছে? আপনি কেন তাহলে সময়কে আটকে রাখতে চাইছেন? মেহরীন কি আপনার যোগ্য না?”
“মেহরীন আমার যোগ্য হলেও আমি ওর যোগ্য না হুমায়রা। আমি কখনও ওকে ওর প্রাপ্য ভালোবাসা দিতে পারব না।”
“কেন পারবেন না? আপনি আপুকে ভালোবাসেন বলে?”
“হুম।”
“আচ্ছা আমার কয়টা প্রশ্নের উত্তর দিন তো।”
“বলো।”
“আপনি অনন্তর সত্য জেনে এতদিনেও কেন মেহরীনকে কিছু জানাননি। মেহরীন কষ্ট পাবে ভেবেই তো নাকি?”
“হুম। ”
“আপনি মেহরীনকে অনন্তর কাছে ফিরে যেতে দিবেন?”
“না। ”
“কেন দিবেন না? কারণ আপনি ওর ভালো চান। আপনি চান না মেহরীন ভুল মানুষের সাথে নিজেকে জড়াক। আপনি ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন। ওকে কষ্ট পেতে দিতে চান না। তাই অনন্তর সত্য এখনো ওর কাছে লুকিয়ে রেখেছেন। আপনি ওকে নিয়ে ভাবেন দুলাভাই। ওর যথেষ্ট কেয়ার করেন। সারাজীবন একসাথে থাকার জন্য শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট না। মানুষটার যত্ন নিতে হয়। তার খুশির কথা ভাবতে হয়। আপনি মেহরীনের খুশির কথা ভাবেন। আপনার অজান্তেই মেহরীন আপনার মনে জায়গা করে নিয়েছে। আপনি স্বীকার করেন বা না করেন। মেহরীনই আপনার জন্য পারফেক্ট। ওকে নিয়ে আপনার কোন ফিলিংসই নেই এটা অস্বীকার করতে পারবেন আপনি?”
“এসব কথা কেন আসছে হুমায়রা?”
“আসছে কারণ, আমি আপনাকে বুঝাতে চাইছি আপনি মেহরীনের জন্য কী ফিল করেন, কেমন ফিল করেন। শুধু শুধু নিজের মনের সাথে লড়ছেন কেন? সত্যিটা মেনে নিন না। আপুর জায়গা একটু হলেও মেহরীন নিয়ে নিয়েছে। সেটা আপনিও জানেন। যতই হোক মেহরীন দেখতে তো আপুর মতই।”
চলবে___
গ্রুপ লিংক
জয়েন হয়ে নিন।
https://www.facebook.com/groups/928548141001685/?ref=share