মাতোয়ারা
পর্ব_১৬

ইরিনের কথা শুনতে শুনতে আমি কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম বলতে পারি না। সকালে ঘুম ভাঙলো বেশ বেলা করে। উঠে দেখি আমার মাথার কাছে নতুন ব্রাশ, পেস্ট, তোয়ালে সব রাখা। আমার ফেইসওয়াশ, ক্রিম সব নতুন। নতুন একজোড়া স্যান্ডেল পর্যন্ত।
ইরিনকে ডাকতে হলো না। সে নিজেই এলো। বোধহয় মাত্র গোসল করেছে। চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে। পরনে লাল টকটকে জামা। অপূর্ব দেখাচ্ছিলো।
—গুড মর্নিং ইরিন! লাল জামায় সুন্দর লাগছে।
—আপনার মর্নিং নুন হয়ে গেছে জনাব। ইটস অলরেডি টুয়েলভ এনড হাফ। শুনুন, আমি ফোন করে দিয়েছি। আন্টি আপনার কয়েকসেট কাপড় পাঠিয়ে দেবেন বললেন। আপনি বিয়েতে কি পরবেন বলুন? পাঠাতে বলে দিই.. পাঞ্জাবী তো?
—তুমি এইসব জিনিস নতুন করে কিনেছ?
—হু, আপনি তো আবার ফ্রেশ জিনিস ছাড়া চলতে পারেন না। দেখি উঠুন, বিছানা ঝেড়ে দিই। এই চাদরটাও আপনার জন্য নতুন করে আনলাম। আপনি মুখ ধুয়ে আসুন। রাতে খাওয়া হয় নি আপনার। এখন মুরগির মাংস ঝাল করে ভুনা করেছি।
—কে বললো রাতে খেতে পারিনি?
—আমি বললাম। আমি তো জানি আপনি কতটুকু খান। তিনপ্লেট ভাত খান। কতরকম ফল খান। দুধ খান।ডিম খান। দশবার কফি খান। আর কাল খেলেন গুণে গুণে নয় লোকমা।
—তুমি আমার লোকমাও গুণে ফেলেছো?
—এ আর এমনকি? খাচ্ছিলেন, সামনে ছিলাম তাই গুণে নিয়েছি।
—তাই বলে আমার ভাত খাওয়া গুণে ফেললে?
—এই পৃথিবীতে সব গুণা যায়। লাস্ট স্টোরিস দেখেননি? দেখলে বুঝতেন? আর কত কি গুণে ফেলা যায? আসুন খেতে আসুন। আমার ফুফু এসেছেন। একটু পেইন দিতে পারে। তবে তিনি মানুষ ভালো।

খেতে বসে আমি আরো অবাক হলাম।ইলিশ মাছও রান্না হয়েছে।
—ইলিশ কোথায় পেলে?
—সকালে বাজার করেছি। আপনার জন্যই শুধু। বাকি সবার জন্য রুই মাছ। জোরে জোরে ইলিশ বলবেন না। সবাই শুনে ফেলবে। বিকেলে আবারও মুরগী। একদম চিন্তা করবেন না। আপনি যতদিন আছেন, আমি একটু করে আপনার জন্য আলাদা ভালো রান্না করবো। শ্বশুরের বিয়েতে এসেছেন। একটু যত্ন তো পেতেই পারেন।
—তুমি খেয়েছো?
—হু। আপনি খান। আমি কফি করে দিচ্ছি।
ইরিনদের বাসা ততক্ষণে লোকজনে ভর্তি হয়ে গেছে। কিংবা ছোট বাসা বলে কিছু লোকজনেই ভর্তি মনে হচ্ছিলো। আমি খাওয়া শেষ করে বসতেই, ইরিনের ফুফুর সাথে দেখা হলো। উনি বোধহয় এক্সপেক্ট করছিলেন, আমি উনার পা ধরে সালাম করবো। না করাতে মনঃক্ষুণ্ন হলেন। বললেন,
—নেতা টাইপের ছেলেদের আদব লেহাজ অত্যন্ত কম। আমি তো ইরু’র বিয়ের সময়ই বলছি, এইসব রাজনীতি করা ছেলেদের কোনো বিশ্বাস নেই। এরা সারাবছর মামলার উপর থাকে। একদিন ঘরে তো চারদিন জেলে। তোমাদের তো বাবা শত্রুরও অভাব নেই। সর্বক্ষণ দলাদলি। তুমি কয়বার জেলে গেছো বাবা? ইরু বলছিলো দুইবার মাত্র!
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। ইরিন কোথায় গেলো কে জানে? এ তো দেখছি মহা মসিবত!
—আচ্ছা বাবা, তোমার উপর এখন কয়টা মামলা? নিজের পিস্তল সাথে রাখো তো? রাস্তাঘাটে কখন মরে পড়ে থাকো। কোনো গ্যারান্টি আছে? ইরুর বিয়ের সময় সবাই বললো, ছেলের বাড়ি ইয়া বড়লোক। আমি বললাম ইয়া বড়লোক স্বামীর বাড়ি দিয়ে লাভ কি, স্বামীই যদি না থাকে? স্বামী থাকলে টাকাপয়সা না থাকলেও চলে।
আমি ইরিনের নাম্বারে ফোন করলাম। ফোন ধরছে না কেন কে জানে?
—কি এক জমানা আসছে বাবা, মোবাইলে দুনিয়া খাইলো। ময়-মুরুব্বি সামনে বসা। পোলাপান মোবাইলে মন দিয়ে রাখে। ফেইসবুকে সব শেষ করে দিলো। ফেইসবুকে মুসলমানরা আটকায় থাকে, আল্লাহ-খোদার কোনো নাম নাই। নামাজ রোজা সব বিনাশ!
আমি মোবাইল ফোন পকেটে ঢুকালাম। ইরিনের ফুফুও তো দেখি ইরিনের মত বেশি কথা বলে।
—মোবাইলের কথা তোমারে বলি নাই বাবা, আমার ছেলের কথা বলছি। সে বান্দর। চূড়ান্ত বান্দর। মোবাইলে সারাক্ষণ বান্দরামি শিখে।
—ও আচ্ছা।
—আমাদের ইচ্ছা ছিলো ইরুরে সরকারি চাকরিজীবী দেখে বিয়ে দিবো। কিন্তু কি কপাল দেখো, বিয়েটা হলো বেকার ছেলের সাথে৷ তাও করে রাজনীতি।
—দেখুন, আমাদের বিয়েটা তো আসলে একটা ঝামেলার মাঝে হয়েছে.. .
—জানি, স্বাভাবিকভাবে হয়নি। এই জন্যই তো। মনকে বুঝিয়েছি। ইরুর বাবা বললো, সরকারি চাকরিজীবী না হোক ছেলে দেখতে মাশাল্লাহ। আরে মাশাল্লাহ দিয়ে হবেটা কি? সব সুন্দর জিনিসই তো অকাজের। এই যে খরগোশ সুন্দর। কোনো কাজে লাগে বলো? তুমি বলবা খরগোশের কান সুন্দর। আরে কান সুন্দর দিয়ে কি সরকারি চাকরি পাওয়া যায়? যায় না…সরকারের তো কানের দরকার নেই। দরকার মগজ। কি বলো?
—জ্বী… ঠিক বলেছেন?
—তা বাবা, তোমার ভবিষ্যত কি? রাজনীতিই করবে? নাকি বাবার ব্যবসা দেখবে? সরকারি চাকরি বাকরি তো তোমার হবেনা। শুনেছি কেইস মামলা থাকলে চাকরি হয় না! তো কি করবে?
—জ্বী, কি করবো?
—আরে ভবিষ্যতে কি করবে? টাকা-পয়সা ইনকামের রাস্তা? বুঝলে না?
—ও হ্যাঁ। এখনো ভাবিনি।
—এখনো ভাবোনি?বলো কি? বিয়ে করছো, বউ আছে। দুদিন পর বাচ্চা-কাচ্চা হবে। তাদের দায়িত্ব কে নেবে? দেখো বাবা, তোমার যদি রাজনীতির চিন্তা মাথায় থাকে বাদ দিয়ে দাও। এই দেশে রাজনীতির কোনো ভবিষ্যত নেই। চোর বাটপার ছাড়া তো কেউ রাজনীতি করে না। আমার আপন ফুপা চেয়ারম্যান। সারাবছর দুই নম্বরি করেন। ডেঙ্গুর সময় মশারি দিলো সরকারে। ফুফা দুই হাজার মশারি চুরি করলেন। পুলিশে ধরে নিয়ে গেলো। জেল ছাড়া পাবার পর, গ্রামবাসী জুতার মালা গলায় দিয়ে হাঁটালো। এখন ফুফারে সবাই ডাকে, মশারিচোর। আমাদের গ্রামের তারা মিয়া মেম্বার। বন্যার সময় চুরি করলো ওরস্যালাইন। সবাই এখন তাঁকে বলে ডায়রিয়া চোর। দুইদিন পর তোমাকে বলবে, ঔষধ চোর।
আমি মনে মনে ভাবছিলাম, ইরিন যদি আগামী দুইমিনিটের মধ্যে না আসে এই মহিলা নিশ্চয়ই আমার হাতে গুরুতর আহত হবে? রাজনীতির কারণে জেলে না গেলেও এই মহিলাকে মেরে আমি নিশ্চিত জেলে যাবো।
—বাবা, তুমি কি আমার কথায় রাগ করলে? আমি কিন্তু তোমার ভালোর জন্যই বলেছি। ইরু যেমন আমার মেয়ে তেমনি তুমিও আমার ছেলে। এইসব রাজনীতি দিয়ে কিন্তু পেট চলে না। হয় এনকাউন্টার নয় যাবজ্জীবন জেল। এই দেশে একমাত্র ভরসা সরকারি চাকরি।
আমি আর পারলামনা। চেঁচিয়ে ডাকলাম,
—ইরিন, ইরিন….ইরিন..

দুই-হাতে হলুদ মাখামাখি নিয়ে ইরিন হাজির হলো।
—কফি আনতে এতক্ষণ লাগে?
—না মানে, বাবার জন্য হলুদ বাটছিলাম।
—মানে?
—হোক দ্বিতীয়বার বিয়ে, তাই বলে কি বাবা গায়ে হলুদ হবে না? বিয়ে তো বিয়েই। ফুফু.. তুমি এক কাজ করোতো, তুমি বরং উনাকে একটু কফিটা করে দাও। যাও…
ইরিনের ফুফু মুখ কালো করে উঠে গেলেন।

ইরিন যেমন ছুটে এসেছিলো, তেমন ছুটে চলে গেলো। আর আমার তখনি মনে হলো, আমাদের বিয়েতেও গায়ে হলুদ হয় নি! আজ ইরিনকে একটু হলুদ মাখালে কেমন হয়? আমার ভেতর নিশপিশ শুরু করলো। কিভাবে হলুদ দেওয়া যায়.. কিভাবে দেওয়া যায়? ইরিনকে ডাকবো?আমি আবার ইরিনকে ডাকলাম। ইরিন হাত ধুয়ে এসে হাজির হলো।
—হলুদ কোথায়?
—রেখে এসেছি। একটু নিয়ে আসো।
—কেন? আরে সারারাত হাঁটু ভাঁজ করে শুয়েছি তো। এখন হাঁটু ব্যাথা করছে। হলুদ লাগালে ভালো হয়ে যাবে।
—আশ্চর্য হলুদ দেবেন কেন? ব্যথার ঔষধ আছে। আমি এনে দিচ্ছি।
—আরে না৷ আমি জানি হলুদে ব্যথা তাড়াতাড়ি সাড়ে।
—কিন্তু আপনার জিন্স তো এতে দাগ হয়ে যাবে।
—হোক দাগ… তুমি হলুদ আনো।
ইরিন হলুদ নিয়ে এলো। বলেছি হাঁটুতে ব্যথা কিন্তু আমার ফিটিং জিন্স তো কিছুতেই হাঁটুর উপর উঠানো যায় না। অনেকক্ষণ টানাটানি করি, ইরিন দীর্ঘশ্বাস ফেললো,
—এই জন্যই বলি, লুঙ্গি ভালো। জিন্স দিয়ে কোনো কাজ হয় বলেন? লুঙ্গি হলে ফট করে তোলা যায়! দাঁড়ান আমি বাবার থেকে নতুন লুঙ্গি এনে দিচ্ছি। উনার নতুন লুঙ্গি আছে।
—লাগবে না ইরিন। বাদ দাও..
—বললাম তো নতুন। একদম প্যাকেট খোলা হয়নি। বিয়ের শপিংয়ে কিনেছি। ইরিন গিয়ে লুঙ্গি নিয়ে এলো।
—আমি লুঙ্গি ফুঙ্গি পরতে পারবো না। তাছাড়া তোমার ফুফু দেখামাত্রই একটা বাজে কমেন্ট করে ফেলবে।
ইরিন হলুদ হাতে খুব বিব্রত হচ্ছিলো। কি করবে বুঝতে পারছিলো না।
—দরজা আটকে দাও ইরিন। আমি বরং শর্টস পরে নেই।
ইরিনের মাথায় যেনো বাজ পড়লো।
—আমি দরজা বন্ধ করতে পারবো না। বাড়িতে এত মেহমান। উনারা কি ভাববেন?
আমি উঠে গিয়ে দরজা বন্ধ করলাম। ইরিন কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললো,
—আপনাদের বাড়িতেও তো আমরা দরজা বন্ধ করে শুই অথচ এখানে কি যে ভয় লাগছে।
আমি লুঙ্গি হাতে নিতেই ইরিন অন্যদিকে ফিরে তাঁকালো। আমি এই প্রথম দেখলাম, বেশি কথা বলা, অস্থির চঞ্চল মেয়েটা থরথর করে কাঁপছে। শুধু কাঁপছে না, প্রচন্ড লজ্জা পাচ্ছে। আমার ভেতরের অন্য আমিটা এতে যেনো খুব আনন্দ পেলো। ভেতরের উৎসাহ আরো বেড়ে গেলো।
ইরিন তোতলাতে তোতলাতে বললো,
—আআমি কি চোচোচো–খ বন্ধ করবো?
—কেন?
ইরিন জবাব দিলো না।
লুঙ্গি পরে আমি চেহারায় আহত ভাব এনে বিছানায় আধশোয়া হলাম।
—ইশ্! এত ছোট বিছানায় ঘুমিয়ে পা আমার ভেঙ্গেই গেলো বোধহয়? কই? দাও.. হলুদ দাও…
ইরিন বাটি হাতে এক জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে থাকলো।
আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, নিজে উঠে গিয়ে তাঁর হাত ধরলাম।
—এসো…
ইরিন নিশ্চুপ এলো।
আমি বিছানায় বসে হাঁটু অবধি লুঙ্গি তুললাম। ইরিন হাতে হলুদ নিয়ে স্প্রিং এর মতো কাঁপতে লাগলো।
—এই যে এখানে ব্যথা।
ইরিনের কাঁপা হাত, ভয় পাওয়া চেহারা, বারবার ঠোঁট কামড়ে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা সব মিলিয়ে আমি খুন হয়ে যাচ্ছিলাম। ঝাঁঝরা অনুভূতির খুন।
ইরিন হাঁটুতে হলুদ লাগিয়ে সারতেই আমি বললাম,
—ঘাড়েও ব্যথা ইরিন। এত নিচু বালিশে আমি কখনো শুয়েছি বলো?
ইরিন অপ্রস্তুত কণ্ঠে বললো,
—এই জন্যই আমি থাকতে মানা করেছিলাম। এখানে আপনি থাকলেই অসুস্থ হবেন। দেখি ঘাড় ঘুরান! আজ রাতে আপনি নিচে ঘুমোবেন, আমি উপরে।
আমি ইচ্ছে করে বললাম,
—কি বললে? তুমি আমার উপরে শোবে।
ইরিন দাঁতে জিভ কাটলো।
—আমি সেটা বলিনি, বিছানায় শুবো বলেছিলাম।
ইরিন ঘাড়ে হলুদ লাগানোর সময় আমি ইচ্ছে করে ওর শরীরে ঢলে পড়লাম। ইরিন চেঁচিয়ে উঠলো,
—আল্লাহ আমার জামা শেষ। একটু সোজা হয়ে থাকলে কি হত? দেখি… সোজা হন। আশ্চর্য! মানুষ তো আপনি, এই যে টি শার্ট না খুলেই হলুদ লাগালেন। আমি শিওর এখন টিশার্টও নষ্ট হবে।
আমি এক ঝটকায় টিশার্ট খুলে ফেললাম, যা হয় হবে। আর থামাতে পারছি না নিজেকে।
—ইরিন এক কাজ করো, আমার সারা গায়েই হলুদ দিয়ে দাও। পাতলা তোষকের বিছানায় শুয়ে আমার সারা শরীরই ম্যাজম্যাজ করছে।
ইরিন বিমর্ষ মুখে বললো,
—বাবার বিয়ের হলুদ আপনাকে মাখিয়ে ফেলছি। যদি আপনার আবার বিয়ে হয়ে যায়?
—মনে করো, এটা আমার আগের বিয়ের হলুদ। পেন্ডিং ছিলো। এখন মাখানো হচ্ছে।
ইরিন আমার গায়ে ব্যথার জন্য আফসোস করতে করতে পুরো বাটির হলুদ আমাকে মাখাতে লাগলো। পিঠ মাখাতে গিয়ে সে বললো,
—আর পারবো না। হাত ধরে এসেছে। কত বড় শরীর আপনার। এত লাগিয়েও ফুরাচ্ছে না।
—বললাম তো সারা শরীরে ব্যথা।
—সামনে তো আপনার নিজের হাত পৌঁছায়, নিজে মাখুন।
—ইশ্… হলুদটায় গা জ্বলছে ইরিন। খুব জ্বলছে।
—বলেন কি? আমি তো ভালো করে পাটা ধুয়ে বেটেছি।
—আমি কি তোমাকে মিথ্যে বলছি? এই দেখো, নিজে মেখে দেখো। দাঁড়াও আমিই তোমার ঘাড়ে মেখে দিচ্ছি।
ইরিন কিছু বলবার আগেই, আমি ওর সমস্ত গালে মুখে হলুদ লেপে দিলাম। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছিলো। পৃথিবীতে আমিই বোধহয় সবথেকে প্রথম জামাই, যে শ্বশুরের বিয়ের হলুদ নিজে মেখে বেড়াচ্ছি। এবং তারপর ইরিনের ফুফু দরজায় নক করলেন। মোটামুটি রটিয়ে ফেললেন, শ্বশুরের গায়ে হলুদ, মেয়ে আর মেয়ের জামাই মিলে মেখে ফেলেছে। ইরিন লজ্জায় লাল নীল হচ্ছিলো। রাগ করছিলো।

আর আমি? মনে হতে লাগলো হাওয়ায় ভাসছি। এত আনন্দ, এত খুশি আগে কখনোই আমার হয়নি। শ্বশুর বিয়ে করছে বলে এই সুযোগ পেয়েছি।
আমি ইরিনের বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
—আপনাকে আমি নিজে ড্রাইভ করে বিয়ে করতে নিয়ে যাবো…

(চলবে)

#তৃধা_আনিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here